এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shyamal | 24.119.209.168 | ১২ জুন ২০০৭ ১৫:১৯390286
  • প্লিজ, তক্কো করুন। এটা মোনোলগ নয়। আপনার উদাহরন দিন। তাহলে থ্রেডটা ভালো হবে। ইন্দো কতগুলো প্রশ্ন করেছিলেন, তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম মাত্র।
  • S | 61.95.167.91 | ১২ জুন ২০০৭ ১৫:৪২390287
  • হ্যাঁ, ইন্দিরা সুপ্রীম কোর্টে জিতলেন। তারপর কী হল?

    ইয়ে, এই সময়ে শুনেছিলাম অনেক রাশিয়ান মেয়ের নাম ইন্দিরা দেওয়া হত।
  • ranjan roy | 59.93.196.94 | ১২ জুন ২০০৭ ১৮:০৩390288
  • বা:, বেশ ভালো হচ্ছে। শ্যামল ওঁর মত করে লিখুন। কল্লোল তাঁর মত করে। আর এসবের মধ্যে আস্তে আস্তে ফুটে উঠুক রঙ্গীন-ধুসর ষাট-সত্তর।
    তুষার রায় কবিতা পড়ার সময় আমি ছিলাম। উনি "ব্যান্ডমাস্টার" বলে একটি কবিতা পড়লেন। " ড্রিরি-রিরি-ড্রাঁও স্ট্রোকে বন্যা জাগে চুলে" লাইনটা এখনও মনে আছে।" সামনে একটি পুলিশ এসে দাঁড়ানোয় উনি বলে উঠলেন--"পুলিশ, ওরে পুলিশ! কবির সামনে আসার আগে কবিতা তোর খুলিস।"
    আমি এখন কোলকাতার নাকতলায় এসে স্মৃতিবিভোর হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। ফিরে গিয়ে লিখবো।
    দময়ন্তী বা অন্য কেউ প্লীজ, ""শহর থেকে শহরে""র সুতোটা দিন, পাচ্ছিনা।
    রঞ্জন
  • ranjan roy | 59.93.196.94 | ১২ জুন ২০০৭ ১৮:২৮390289
  • মিস্টেক! মিস্টেক!
    ঘুমচোখে ভুলভাল লিখেছি। সঠিক দ্বিতীয় পংক্তিটি হবে --""কবির সামনে আসার আগে টুপিটা তোর খুলিস।" দু:খিত।
    রঞ্জন, নাকতলা, কোলকাতা।

  • B | 59.93.218.192 | ১৩ জুন ২০০৭ ০১:০৪390290
  • এই দেখো, আবার রাগের কথা কেন?

    একটা থ্রেড কয়েকটি পরিচিত-অপরিচিত শব্দের নিরিখে নির্দিষ্ট কিছু, তাও যদিও কোন সময়ের কথাই। কিন্তু অন্যটা নির্দিষ্ট সময়ের সীমা টানা নামের পথ ধরে সেই সময়ের ইতিবৃত্ত।

    তাই তাতে সন্দেশের বিস্তার যেমন আসে, তেমনই আসে ৬৯-এর অস্ট্রেলিয়া-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ দেখার উত্তেজনাও।

    তবে এটা ঠিক ... দেখার চোখ, অনুভবের চোখ, বা .....

    তাই আসে না ভারত-পাকিস্তান বা ভারত চীন সীমান্ত লড়াই, আর আবার এক ঝাঁক মানুষের পূর্ব পাকিস্তান থেকে ছিন্নমূল হয়ে চলে আসা.....

    আসে না ১৯৬৭-র ইডেনের সীতেশ রায়ের ঘটনার পর কলকাতায় প্রথম টেস্ট - তাও লরি, স্ট্যাক্‌পোল, রেডপাথ, ওয়াল্টার্স, শীহান, ম্যাকেঞ্জি, কনোলি, চ্যাপেলদের সাথে গুণ্ডাপ্পা বিশ্বনাথের অভিষেক সিরিজের কলকাতা টেস্টের প্রথম দিন কিভাবে ম্লান হয়ে গিয়েছিলো ইডেনের ডেইলি টিকিটের লাইনে ছ জনের মারা যাওয়াতে, অথবা এক ক্যামেরাম্যানকে ব্যাট দিয়ে বিল লরির মারতে যাওয়াতে.....

    অথবা ওই মোলায়েম বয়সের নরম অনুভূতিতেও কোন সন্দেশ পাঠায় না লিয়রের ছড়া, টং লিং আর..... পাপাঙ্গুল.........
  • tan | 131.95.121.135 | ১৩ জুন ২০০৭ ০৪:১৬390291
  • মাথা স্পিন করে গ্যালো।:-)))
    চট্‌পটি ছানাকাটা।
    মানে খুব চটপট আলাদা হয়ে যায় আরকি দুই ধরনের বস্তু।স্পিনোডাল ডিকম্পোজিশান।নিউক্লিয়েশান অ্যান্ড গ্রোথ।:-)))
    অন্যটা ধীরে ধীরে সঞ্চয়!
    আসলে এইসব পরিভাষা যারা দিয়েছে তারাও কখনো কখনো কিচ্ছু নাম না পেয়ে কালার ফ্লেভার এসব বলে ছেড়ে দিয়েছে-আসল কালার ফ্লেভারের সঙ্গে কোনো সম্পক্ক নেই।এরা হলো শেক্সপীরিয়ান সায়েব। নাম দিয়ে কি হবে? গোলাপে যে নামে ডাকো সুরভি বিতরে। জিনিসটা কি আর কি করা যাবে সেটা দিয়ে---এরা বুঝে নিয়েছে,ব্যস!
    কন্সাল্ট্যান্ট এর হিন্দি শুনেছিলাম শলাহকার।
    আমার এক পরিচিত ডেঁপো বলেছিলো কনসালট্যান্ট সার্জেন তাইলে হবে শলাহকার শল্যবিদ।:-)))

  • tan | 131.95.121.135 | ১৩ জুন ২০০৭ ০৪:১৮390292
  • অত্যন্ত দু:খিত।
    এটা ভাটিয়ালিতে যাবে।
    প্লীজ ঈশেন,পাঠিয়ে দাও।

  • shyamal | 24.119.209.168 | ১৩ জুন ২০০৭ ০৫:৫৪390293
  • স্কুলে পড়াকালীন দিদির উত্‌সাহে বা তাড়নায় আমি আর বোন গানের স্কুলে ভর্তি হলাম। দু সপ্তাহও টেঁকেনি। তার মধ্যে আমার রেওয়াজ শুনে পাড়ার ধোপা এসে কমপ্লেন করল তার গাধারা নাকি মেটিং কল শুনে উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে। গান শেখার সেখানেই ইতি।
    তবে গানের প্রতি interest এখনও আছে। কলকাতা আসার পর দিদির উত্‌সাহে আমরা কবি প্রণাম দেখতে গেলাম । সকালের প্রথম বাসে রবীন্দ্র সদন। সেখানে ২৫শে বৈশাখ সব শিল্পীরা আসতেন। সদনের মাঠে ফ্রি প্রোগ্রাম। জানিনা এখনও হয় কিনা।
    সকাল ছটায় অনুষ্ঠান শুরু হত কোরাসে ' হে নূতন' দিয়ে। তার পরে ' প্রথম আদি তব শক্তি' ইত্যাদি। তারপর ছোট থেকে বড় শিল্পীরা গাইতেন। কে ছিল না? সাগর সেন, চিন্ময়, দ্বিজেন, সুমিত্রা সেন, ঋতু গুহ, পূর্বা সিংহ, সন্তোষ সেনগুপ্ত, অশোকতরু, পূরবী মুখার্জি থেকে শুরু করে একদম শেষে নীলিমা সেন, কনিকা, সুচিত্রা, হেমন্ত আর পঙ্কজ মল্লিক। প্যান্ডেল করে তার মধ্যে হত। শ্রোতাদের জন্য বোধহয় চেয়ার ছিলনা-- চাদরের ওপর বসে।
    আর ২৫শে বৈশাখ থেকে একমাস ধরে রবীন্দ্র সদনে টিকিট কেটে সন্ধেয় প্রোগ্রাম হত। কোনদিন নৃত্যনাট্য তো পরের দিন গানের আসর বা রবীন্দ্রনাথের নাটক।সেখানে দেখি দেবব্রত বিশ্বাসকে। গেরুয়া পান্‌জাবী আর গেরুয়া ধুতি লুঙ্গির মত করে পরা।
  • shyamal | 24.119.209.168 | ১৭ জুন ২০০৭ ১৫:৩৯390294
  • অনেকেই ৭০ এর দশকে যুব কংগ্রেস আর ছাত্র পরিষদের ওপর খাপ্পা। আমি জানিনা কেন। আমার ধারণা, এরা মানুষ খুনের রাজনীতি করেনি। অন্তত: আমি মনে করতে পারছিনা। তবে আমাদের পাড়ার কাছে যে কলোনী নকশাল ঘাঁটি ছিল, সেটা হয়ে গেল কংগ্রেস। তার পরে শুরু হল কংগ্রেসের মধ্যে ঝগড়া। সবার ইচ্ছা বড় নেতা হওয়ার। এই ঝগড়ার জন্য আর ইন্দিরা বিরোধি হাওয়ার জন্য ১৯৭৭ এ কংগ্রেস হারল । জ্যোতি বাবু মুখ্যমন্ত্রী হলেন। আমাদের ভয় ছিল আবার না খুনোখুনির রাজত্ব শুরু হয়। কিন্তু thankfully তা হয়নি কারণ বামফ্রন্টের প্রধান শত্রু নকশালরা তখন নি:শেষ।
    কেন্দ্রে কি হল ? ইন্দিরা তো হারলেন জনতা দলের কাছে। এই জনতা দল তৈরী হয়েছিল শুধু ইন্দিরাকে হারানোর জন্য। সেজন্য এদের কোন অর্থনৈতিক প্ল্যান ছিলনা। সেই মন্ত্রিত্বে ছিলেন অটলবিহারী, আদবানি থেকে জগজীবন রাম। বামেরা বাইরে থেকে সমর্থন করেছিল।যতদূর মনে পড়ে, জেতার পর এঁদের প্রধানমন্ত্রী ঠিক করতে লেগেছিল দশ দিন। কারন সেই পুরোনো খেয়োখেয়ি। মোরারজি, চরণ সিং আর জগজীবন -- তিন জনেরই ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার।শেষে হলেন মোরারজি । বাকি দুজন বোধহয় উপপ্রধানমন্ত্রী । তারপরে এদের একমাত্র এজেন্ডা হল ইন্দিরাকে জেলে পাঠানো। অনেক দিনের প্রচেষ্টায় তাঁরা সফল হলেন। সেটাই হল তাঁদের কাল।
    ইন্দিরা জেলে যাওয়াটাকে পুরো রাজনৈতিক রূপ দিতে পারলেন। দেখিয়ে দিলেন এটা political vendatta। তখন আনন্দবাজারে বেরোত, মোরারজি কি খান -- একটু আপেল, আঙুর, বাসমতির ভাত ইত্যাদি। আর জেলে ইন্দিরার জন্য বাড়ি থেকে কি যায় ? শুকনো দুখানা রুটি, ডাল আর একটা তরকারী -- ব্যাস। ইন্দিরা exactly জানতেন জনগণের সহানুভুতি কি করে আদায় করতে হয়। তাছাড়া জনতা দলের অন্তর্দ্বন্দের পুরো সুযোগ নিলেন। মাস খানেক জেলে থাকার পর ইন্দিরা ছাড়া পেলেন। তারপরে চরণ সিংকে করলেন প্রধানমন্ত্রী । ছমাস না যেতেই আবার ভোট। ফিরে এলেন ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রী হয়ে।
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৭ জুন ২০০৭ ১৮:৩৬390296
  • না, যুব কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ ""মানুষ খুনের রাজনীতি'' করেনি, কারন ওরা তো গান্ধীজীর অহিংসা আর সত্যাগ্রহে বিশ্বাস করতেন। শুধু অজস্র মানুষ মারা গেছে/ঘর ছাড়া হয়েছে ""জনতার রোষে'' সিপিএম বা নকশাল করার অপরাধে।
    তথ্য প্রমাণ চাইলে দিতে পারি, একটু সময় লাগবে। কলকাতায় থাকলে সে সময়টুকুও লাগতো না।
    আপাতত: একটা বই দেখে নিলেই চলবে - ভারতীয় গণতন্ত্রের স্বরূপ, প্রকাশক এপিডিআর। ৫ নং মদন বড়াল লেনে (বৌবাজার লোহাপট্টির পেছনে) পাওয়া যায়।
    আরো বহু documentation আছে। নির্মাল্যর করা বরাহনগর গণহত্যার ওপর তথ্য চিত্রেও প্রচুর মণিমুক্তো আছে। কফি হাউসে নির্মাল্যর খোঁজ করলে পাওয়া যাবে।
    তবে হ্যাঁ যুব কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ ""মানুষ খুনের রাজনীতি'' করেনি, কারন ওরা তো গান্ধীজীর অহিংসা আর সত্যাগ্রহে বিশ্বাস করতেন। যদিও মাথা নীচু কারে স্বীকার করছি - এদের মধ্যে প্রচুর প্রাক্তন ""নকশাল'' ছিলো। তাদের চমৎকার ভাবে ব্যবহার করেছিলেন ""সুব্বোতোদা'' আর ""পিয়দা'' মাননীয় ''মানুদা''র পরিচালনায়।
    এটা শুধু প:ব:র গল্প নয় ত্রিপুরারও।
  • Bappa | 59.93.196.6 | ১৮ জুন ২০০৭ ০০:৩৩390297
  • যাক, তাহলে ফ্লো-য়ের উপর দাঁড় বাইতেই হয়। আর সেটাই স্বাভাবিক।

    শ্যামলের ঠিক কত বয়স জানি না। তবে তিনি যখন এগুলো লিখছেন, আশা করা যায় যে উনি সেই সময়ের অনেক ঘটনা দেখেছেন, বা হয়তো পড়েছেন বিভিন্ন জায়গায় বসেই।

    "প্রাক্তন নকশাল" ব্যাপারটি আজও নিয়মিত রাজনীতি করে যাওয়া ( ধুস্‌, ফালতু সময় নষ্ট করছে...., নিয়মের বশে করে যাচ্ছে......, ওদের গোষ্ঠীর নেতাটা যেন কে? আরে ও তো ...., ইত্যাদি, ইত্যাদি ) মানুষজনের থেকে আজ অনেক বেশী রোমাঞ্চকর, তার প্রমান এ পাতায় বিভিন্ন সময়ে আর নানাবিধ থ্রেডে দেখতে পাওয়া যায় নিয়ম করেই।

    অনেকটা সেলুলারের ইতিহাস না জানা লোকের সামনে সেলুলারের গল্পো বলে সেলুলার বিপর্যয় ঘটানোর "প্রাক্তন স্বাধীনতা সংগ্রামী"দের মতই আবছা, আলো-আঁধারিতে ঢাকা এক অতিপ্রাকৃত মানব বা দেবতা।

    কিন্তু প্রাক্তন নকশাল বা "প্রা-ন" গোষ্ঠীর সৃষ্টি তো পরেই, নিশ্চয়ই আগে নয়।

    সেই তাঁরা যখন প্রাক্তন হন নি, বর্তমান ছিলেন, তখন নব, যুব, ইত্যাদি, ইত্যাদির লোকেরা সবাই কি নকশালপন্থী দলের মধ্যেই ঢুকে পড়েছিলেন। মানে মুচিপাড়া থানার যাবতীয় দাদারা। শত ঘোষের চেলা চামুণ্ডারা।

    কাশীপুর গণহত্যার সময় ঠিক কি ঘটেছিলো? নির্মল চ্যাটার্জীকে কারা মেরেছিলো? তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অত লোক জড়ো কি করে হোলো? যে রিকশওয়ালার রিকশোতে চেপে কিছু ছেলে যেতো, তারও হাত কেটে দিলো কে বা কারা? গোপাল লাল ঠাকুর রোডে কি হয়েছিলো? গঙ্গার দিকের রাস্তা কারা ব্লক করেছিলো?

    তাঁরা কি খুনের রাজনীতি করতেন না অন্য রাজনীতি?

    তখনই কি তাঁরা "প্রা-ন" গোষ্ঠীর সদস্য হয়ে গিয়েছিলেন?
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৮ জুন ২০০৭ ১১:২৩390298
  • আমি হয়তো একটু আবেগের বশে সময়ের গন্ডী পেরিয়ে গেছি।
    না কাশীপুর-বরাহনগর ঘটনায় ""প্রা-ন''রা ছিলেন না। তখনও তাদের জন্ম হয় নি, বা হবো হবো করছে।
    এই কাজটা করতো প্রিয়। জেলে জেলে ঘুরে, এলাকা থেকে খবর নিয়ে, বেছে বেছে সেই সব ছেলেদের ধরতো(হ্যাঁ, ""ছেলেদের'' শব্দটা ভেবেই ব্যবহার করা, মেয়েদের এই কর্মকান্ডে ধরা হয়নি।) যাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ, এবং যাদের তাঙ্কিÄক যায়গাটা দুর্বল। তখন এরকম প্রচুর মানুষ নকশাল হয়েছিলো (বিশেষ করে সিপিআইএমএল-এ, যারা এলাকায় মস্তান বা মস্তান গোছের। তখন বলা হয়েছিলো ""লুম্পেন প্রোলেতরিয়েৎও বিপ্লবের সাথী''। এরা যখন জেলে এবং যখন এরা বুঝতে পারছে, যে ছাড়া পাওয়াটা বেশ কঠিন, তখন প্রিয় এদের সাথে জেলে দেখা করে এদের ছাড়া পাবার টোপ দিয়ে নব-যুব-ছাপ-তে নিয়ে এসেছিলো। এরাই আবার এদের অন্য সাথীদের নিয়ে এসেছিলো।
    ৭২/৭৩ থেকে ৭৭ এরাই ছিলো নব-যুবর বিরোধী নির্মূলকরনের প্রধান অস্ত্র। এরাই হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছে/ঘরছাড়া করেছে/সেই সব পরিবারের মেয়েদের শ্লীলতাহানি করেছে সিপিঅম বা নকশাল করার অপরাধে।
  • saa | 10.37.253.2 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৪:১৫390299
  • কল্লোলদা একটু বিশদে বলুন, আমি শুনেছি এই নবকংগ্রেসরা নাকি নিজেদের বলতো আমরা লব! অতি জঘন্য এই সমাজবিরোধীদের ভয়ে কেউ সন্ধের পর বাড়ি থেকে বেরোতে পারতোনা ইত্যাদি। ডিটেলসে শুনতে ভালো লাগবে
  • Arijit | 128.240.233.197 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৪:৩৯390300
  • উড়ে গেলো। আবার দিই।

    "যুবকংগ্রেস, ছাত্রপরিষদ খুনের রাজনীতি করেনি - হেহেহেহে - দারুণ জোকস।'
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৪:৫০390301
  • নাহ অরিজিত। জোকস !!! না না। খুব কষ্ট দেয়। জোক বোলো না।
    শ্যামল - হয়তো তোমার লেখায় বাধা দিলাম, কিন্তু পারলাম না ভাই। ঐ স্মৃতিগুলো আজও রক্ত ঝরায়।
  • Arijit | 128.240.233.197 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৪:৫২390302
  • কল্লোলদা - খুব জোরে বিঁধলে হাসি পায় না, অনেক সময়? এক একটা কথা যখন হতভম্ব করে দেয়, তখনও মাঝে মাঝে বোকার মতন হাসি পায় না? সেরকমই।
  • shyamal | 24.119.209.168 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৬:৩৭390303
  • তাহলে বলতে হয় ৭০ এর দশকে সাংবাদিকরা নির্বোধ ছিলেন। কারন কাগজে তো যুব - নব র কাহিনী কোনদিন পড়িনি। আর মানুষ খুন হলে তো কাগজে বেরোবে -- সেটাও বিশেষ দেখিনি। আর তুমি বলছ হাজার হাজার মানুষ মরেছে। আমাদের কলেজে যারা নকশাল করত তাদের গায়ে তো আঁচড়টিও পড়তে দেখলামনা। হ্যাঁ ঘর ছাড়া হয়েছে ঠিক। কারন যাদের নামে পুলিশের কাছে ওয়ারেন্ট আছে তাদের অন্য উপায় নেই। অপর দিকে এই নকশাল অপবাদের জন্য ৭০-৭১ এ অনেকের চাকরি হয়নি। ইন্টারভিয়ুতে বলেছে, ও তুমি কলকাতা থেকে আসছ, তবে তো তুমি নকশাল।
    ১৯৬৯ - ৭২ এর মধ্যে বহু শিল্প কলকাতা ছাড়তে বাধ্য হয়। বহু বিদেশি এয়ারলাইন কলকাতা ছেড়ে চলে যায়। এগুলো documented। নকশালরা যা সর্বনাশ করে গেছে তার ফল লোকে আজও ভুগছে।
    আবার শুনছি আমাদের নেত্রী নাকি নকশালদের সঙ্গে হাত মিলাচ্ছেন। সবই ক্ষমতার লোভ।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৬:৪৩390304
  • জরুরী অবস্থার সময় কলকাতার গনমাধ্যমের ভূমিকা - কেউ একটু আলোকপাত করবেন এই বিষয়ে?
  • shyamal | 24.119.209.168 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৬:৫১390306
  • জরুরী অবস্থার আগে গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল কি? ১৯৭২ - ৭৫ এ সময়ে? তখনই তো সাধারন মানুষের জীবন অনেক স্বাভাবিক হয়ে আসে। নকশালদের কিন্তু থামানো হয় জরুরী অবস্থার আগেই। ১৯৭৫এ যখন জরুরী অবস্থা ঘোষিত হয় তখন নকশালরা খেয়োখেয়িতে বহু ভাগে বিভক্ত। একটা নয়, সাতটা নকশাল পার্টি ব্যান করা হয়।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৮:১৯390307
  • না, আমি ওই বিশেষ সময়টুকুর জন্য জানতে চেয়েছি। তবে তার আগে বা পরের সময় ছুঁয়ে গেলেও চলবে। যে সময়ের কথা বিশেষ জানি না।
  • kallol | 122.167.6.159 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৮:৩৩390308
  • ৭১-এ সিদ্ধার্থ রায় প:ব: বিষয়ক মন্ত্রী থাকার সময় বরাহনগরে যে গণহত্যা ঘটে, তার অতি সামান্য উল্লেখ ছাড়া (৪ বা ৭-এর পাতায় ""বরাহনগরে গন্ডোগোল'') এর বেশী যদি তখনকার কোন গণমাধ্যমে কেউ দেখাতে পারে, গান গাওয়া ছেড়ে দেবো। তা বলে মানতে হবে বরাহনগরে কিছুই হয় নি। চলে যান সৎচাষী পাড়ায়, বয়স্কদের জিজ্ঞাসা করুন, সেই দিনের কথা, তাদের চোখ মুখ দেখলেই বুঝবন, সেদিন কি ঘটেছিলো।
  • bozo | 129.6.123.128 | ১৮ জুন ২০০৭ ১৯:২৪390309
  • এই লেখাটা বহুত ফানি হচ্ছে।
    ডিলান অনেক দিন আগে একটা গান লিখেছিলেন। হয়তো তেমন জনপ্রিয় নয়।

    You walk into the room
    With your pencil in your hand
    You see somebody naked
    And you say, "Who is that man?"
    You try so hard
    But you don't understand
    Just what you'll say
    When you get home

    Because something is happening here
    But you don't know what it is
    Do you, Mister Jones?


    আজকাল আমরা সবাই মি: জোন্সের দলে।
  • Du | 67.111.229.98 | ১৮ জুন ২০০৭ ২৩:০৭390310
  • ১৩২ বছরের পুরোনো খবরের কাগজে তখন কি শুধু '১০০(নাকি ৯৫) বছর আগে' খবর ছাপা হত ?
  • ranjan roy | 122.168.71.83 | ২৪ জুন ২০০৭ ০০:১৮390311
  • শ্যামল,
    ভাই, আপনার "সত্তরের দশকের সাংবাদিকরা কি নির্বোধ ছিলেন"?- উক্তিটির ব্যাপারে বলছি যে নির্বোধ নয়, সাহসী ছিলেন না। আর সম্পাদক ? বেশীর ভাগই uncomfortable খবর ছাপতেন না।
    তখন statesman সম্বন্ধে বলা হত যে ওদের অফিসের সামনে ডেড্‌বডি পড়ে থাকলেও ওরা পুলিস বিভাগে খোঁজ না নিয়ে ছাপে না।
    খেয়াল করুন, investigative journalism কথাটা উঠলো emergency উঠে যাওয়ার পর। সম্ভবত: india today থেকে। ওদের অরুণ পুরী বললেন- someone is trying to hide something. that is news for you. অরুণ শোরীরা অনেক পরে এসেছেন। আসলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মত দুঁদে বাজারী কাগজের রামনাথ গোয়েনকারাও emergencyর সময় মোক্ষম বুঝে গেলেন যে গণতন্ত্র শুধু রামা-শ্যামা-যদু-মধুর জন্যে নয়, বাজারের জন্যেও নিতান্ত দরকারী।
    আর খালি সরকারের প্রেস নোট তোতাপাখির মত আওড়ালে পাবলিকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয় না, ফলে মার্কেট শেয়ার কমে যায়।
    এর পর অবিশ্বাস্য ভাবে পত্রিকার সংখ্যা, মাসিক এবং পাক্ষিক , বাড়তে লাগলো। এবিপি হাউসের sunday এবং Teligraaph নতুন বেড়িয়েই প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন মহম্মদ আকবরের সম্পাদনায় সবার চোখে পড়লো।
    আজকে এত বেসরকারি চ্যানেল আর পত্রিকার ছড়াছড়িতে সত্তরের দশকের সাংবাদিকতা আর সম্পাদকীয় পলিসি কী ছিল, তা বিন্দুমাত্র বোঝা যাবে না। একটা উদাহরণ দিই।
    ১৯৭১এর শীতের সকালে উত্তমকুমার রেডরোডের ধারে গাড়ি করে বেড়াতে গিয়ে দেখলেন এক পুলিস অফিসার একজন হাত-পা বাঁধা বুড়োলোককে মেরে ফেলে দিচ্ছে আর বলছে "সরোজ দত্ত, তোর খেল খতম"। ঘটনার তাৎপর্য্য না বুঝে উত্তম টলিউডে স্টুডিওতে গল্প করায় ক'জন কলাকুশলীর ওনাকে প্রেস স্টেটমেন্ট দিতে বলে। উত্তমবাবু ভয়ে বম্বে পালালেন। কাগজগুলো শুধু বোম্বে পালানোর কথাই লিখলো, কারণটা নয়। খেয়াল করুন, তখন এমার্জেন্সি হয় নি। কিন্তু নকশাল দমনের নামে বঙ্গে অঘোষিত এমার্জেন্সি সিধুবাবুর সময় থেকেই চলছে।
    এবার যুবদের গল্পো। সময় ১৯৭১। কোলকাতায় সি আর পি নেমেছে। ওরা নাইলনের জাল দিয়ে কয়েক কিলোমিটার পাড়া ঘিরে combing operation চালায়।
    আমার পাড়া নাকতলায় কিছু নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের হাতেও তুলে দেয়া হয়েছে রাইফেল। ওরা খোলাখুলি হাতে নিয়ে বেড়ায়। বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে গুলি করে ডাব পাড়ে। আর পাড়ার যত লুম্পেন মস্তান, যেমন "বামনা সুভাষ"( যার বোমা বাঁধতে গিয়ে একটা চোখ ও হাত যাওয়ায় সঙ্গীত সন্ধ্যা করে ওপারেশনের টাকা তোলা হয়) এক সকালে ন'জন সশস্ত্র সঙ্গী নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনের গেটে এসে ধমকায় এবং গেট খুলতে বলে।
    ওরা আমার ন'কাকা তুষার রায়কে তুলে নিয়ে যাবে। বড়কাকিমা অনেকক্ষণ তর্ক করে ওদের আটকান এবং শেষে দরজা খুললে ওরা ঢুকে প্রত্যেকটি ঘরে রাইফেল দিয়ে মশারি তুলে চেক করে। পায় নি।
    আপনাকে যানাই তুষর রায়ের নামে আজ অব্দি কোন পুলিশি ওয়ারেন্ট নেই। উনি সিপিএম এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। AG Bengal এ অডিটর এবং কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি সংগঠনের নেতৃস্থানীয় কর্মী ছিলেন। পার্টি নেতৃত্বের সংগে মতবিরোধে সদস্যতা ছেড়ে দেন। গত নির্বাচনের সময় ISBN চ্যানেলে সাগরিকা ঘোষ ওনার ইনটারভিউ নিয়েছিলেন। শ্যামল বলতেই পারেন যে এটা একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। ওনাকে জানাই যে তখন কোন পত্রিকাতে এই খবর ছাপা হতো না। থানায় ডয়রি ও না। ১৯৭৩এ ছত্তিস্‌গড়ে এসে দেখি যুব দের একই ছবি। Durg Govt. Collegeর প্রিন্সিপাল Dr. Verma ওদের ব্যবহারে বলতে বাধ্য হলেন-যুব কংগ্রেস নয়, গুন্ডা কংগ্রেস।"
    রঞ্জন
  • ranjan roy | 122.168.71.83 | ২৪ জুন ২০০৭ ০০:২৭390312
  • সেই সময় উৎপল দত্ত দুটো নাটক করেছিলেন--" দু:স্বপ্নের নগরী" আর "এবার রাজার পালা"। ওতে রূপকের মাধ্যমে বলা হয়েছিলো ওনার সমকালীন কোলকাতায় জীবন কি ছিলো, কতটা স্বাভাবিক ছিলো।

    রঞ্জন রায়।
  • shyamal | 24.117.80.201 | ২৪ জুন ২০০৭ ০১:৫০390313
  • ১৯৭১ এ তো সিধু বাবু আসেনইনি। উনি আসেন ৭২এ। ১৯৭১এ যতদূর মনে পড়ছে , অজয় মুখার্জি আর জ্যোতি বসুর রাজত্ব। নব যুব রা তখনো জন্মায়নি। আর মস্তান সব পার্টিতে ছিল, এখনো আছে। সেই বিধান রায়ের গোপাল পাঁঠা থেকে শুরু করে। গত বছরও দেখেছি বাজারে সব গরিব বিক্রেতাদের একটা স্লিপ দিচ্ছে আর তার বদলে টাকা নিচ্ছে। পার্টির চাঁদা। একেবারে মাফিয়া স্টাইল।
  • bozo | 68.239.77.54 | ২৪ জুন ২০০৭ ০১:৫১390314
  • রঞ্জন দা,
    আমার মনে হয় ইনভেস্টিগেটিং অরুন শৌরী, অরুন পুরীর আগে এসেছেন।ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ধরেই।
    তবে সরকারের বিরোধীতা ধরলে আরো আগে এক্সপ্রেসের ফ্রাঙ্ক মোরেসের কথা আসবে (কবি ডন মোরেসের বাবা)। আর ব্লিটজ্‌ পত্রিকার ননী কারাঞ্জিয়া। যদিও পরবর্তী কালে এর মেয়ে সিনে ব্লিটজ্‌ প্রকাশ করেন এবং জুহু বীচে প্রতিমা বেদীর দৌলতে ৭০ এ cineBlitz এর জনপ্রিয়তা Blitz কে ছাড়িয়ে যায়।
    এবং Illustrated weekly যদিও খুশবন্ত সিং এর বদান্যতায় (emergency period বাদে এই ভদ্রলোক আমার চোখে বেশ বর্ণময় চরিত্র) এর বায়াসডনেস সরকারের পক্ষে ছিল।
    গৌরকিশোর ঘোষের কথা তো দীপ্তেন দা ও কল্লোল দা লিখেছেন।
    emergency এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সি আর ইরানী। যদিও নকশাল আন্দোলনে এনার নীরবতা সুবিদিত। এর সঙ্গে কয়েক বার কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। আজ দেখা হবার সুযোগ থাকলে আমি হয়ত point blank এ এই প্রশ্নটাই করতাম।
  • kallol | 122.167.182.168 | ২৪ জুন ২০০৭ ১১:৪৮390315
  • ভাই শ্যামল, এসো একটু ফিরে দেখা যাক।
    অজয় মুখার্জি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দুবার প্রথমবার : মার্চ ১৫, ১৯৬৭ থেকে নভেম্বের ২, ১৯৬৭ পর্যন্ত। দ্বিতীয়বার : ফেব্রুয়ারী ২৫, ১৯৬৯ থেকে মার্চ ১৯, ১৯৭০ পর্যন্ত। এর মাঝে প্রফুল্ল ঘোষ হন নভেম্বের ২, ১৯৬৭ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০, ১৯৬৮ পর্যন্ত। এরপর মার্চ ১৯, ১৯৭০ থেকে এপ্রিল ২, ১৯৭১ অবধি রাষ্ট্রপতি শাসন। আবার এপ্রিল ২, ১৯৭১ থেকে জুন ২৮, ১৯৭১ পর্যন্ত প্রফুল্ল ঘোষ। তারপর আবারও জুন ২৮, ১৯৭১ থেকে মার্চ ১৯, ১৯৭২ অবধি রাষ্ট্রপতি শাসন। এই সময় মানুবাবু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় যুব কল্যান ও ক্রীড়া মন্ত্রী হন (মার্চ ১৮, ১৯৭১)। তার কিছুকাল পরেই (প:ব:-এ ৪র্থ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারী হবার সাথে সাথেই) ওনাকে আরও একটা দায়িত্ব দেওয়া হয় - পশ্চিম বঙ্গ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তখন থেকে উনি রাইটার্সেই বসতেন। সেই সময় উনি একটা সর্বদলীয় সভা ডাকেন কি ভাবে প:ব:তে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটানো যায়। এই সভাটি বিখ্যাত হয়ে আছে ""রোটান্ডা মিটিং'' হিসাবে। এতে সব সংসদীয় দলেরাই যোগ দেয়। সিপিএমএর থেকে জ্যোতি বাবু ছিলেন। শোনা যায় এই সভাতেই নকশালদের বিরুদ্ধে ""অল আউট'' যাবার সিদ্ধান্ত হয়। না ভাই, তখনকার কোন কাগজে এর উল্লেখ পাবে না। এমনকি আজও সরকারী বাম দলেরা এই মিটিংটি নিয়ে কোন কথা বলেন না। কারন ঐ সিদ্ধান্তের অংশীদার তারাও ছিলেন। তাই এই তিরিশ বছরের বাম শাসনেও ৭২ থেকে ৭৭এর কোন ঘটনারই (এমনকি সিপিএম কর্মীদের উপর অত্যাচারের ঘটনারও) কোন সরকারী তদন্ত হলো না। তাই সিদ্ধার্থ রায় থেকে রুনু গুহ নিয়োগী থেকে কোনো একটি কনিষ্ঠবলেরও ৭২-৭৭ কান্ডের কারনে একটি কেশও বাঁকা হয়নি।
    কাজেই ""১৯৭১-এ তো সিধুবাবু আসেনইনি'' কথাটা ""১'' থেকে ""নি'' অবধি ভুল।
    তখনকার মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে রঞ্জন যা লিখছেন, তারপর, আমার আর নতুন কিছু বলার নেই।
  • shyamal | 24.117.80.201 | ২৪ জুন ২০০৭ ১৪:১০390317
  • বা: এইতো তখনকার ইতিহাস বেরিয়ে আসছে। এই মিটিংএর কথা আমার জানা ছিলনা। তবে সিপিএমের সমর্থন কিছু অস্বাভাবিক নয় যখন প্রধান নকশাল - শত্রু ছিল তারা।
    তবু একটা প্রশ্ন থেকে যায়। তখনকার সাংবাদিকরা কি নকশাল বা পুলিশের ভয়ে চুপ করে থাকতেন? যতদূর মনে পড়ছে, গৌর কিশোর ঘোষকে নকশালরা threaten করেছিল। কিন্তু তাঁর কলম থামাতে পারেনি। বরুণ সেনগুপ্তও ভয় না পেয়ে লিখতেন। তিনি কংগ্রেসের ভেতরের ঝগড়ার গল্প আনন্দবাজারে লিখতেন। কই তাঁর তো কিছু হল না।
  • Bappa | 59.93.200.29 | ২৪ জুন ২০০৭ ১৪:৪৪390318
  • কল্লোল,
    দয়া করে গান ছাড়বেন না। যদিও আপনার সেই 'ক্ষমতা...' নিয়ে বাঁধা গান সম্বন্ধে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে, তবুও আপনার গান একটি সম্পদ। আর গানের নামে দিব্যি (তাই তো মনে হলো :-)) কেটে বাহাত্তরের ঘটনার সম্বন্ধে গণমাধ্যমের সম্বন্ধে ওরকম স্টেটমেণ্টও দেবেন না।

    যদিও গণমাধ্যম বলতে কি বোঝাচ্ছেন তা আরেকটু পরিষ্কার করে বললে আরও সুবিধে হোতো।

    যদি পত্র পত্রিকা হয় তাহলে অজস্র কাগজ, পুস্তিকা, মাসিক, ইত্যাদি দেখানো যাবে পরবর্তী সময়ের। যার মধ্যে সবচেয়ে বিস্তৃত বা ডকুমেণ্টেড ভাবে বেরিয়েছে এ পি ডি আর-এর তরফ থেকে "ভারতীয় গণতন্ত্রের স্বরূপ" নাম দিয়ে একটি পুস্তিকা, যাতে অনেক রেফারেন্স দেওয়া আছে। সে যুগের পত্রিকার মধ্যে ফ্রণ্টিয়ারে অবশ্যই বেরিয়েছিলো। আরও বেরিয়েছিলো উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া থেকে প্রকাশিত 'ইঙ্গিত' পত্রিকায়। সেগুলি দুÖপ্রাপ্যই হয়ত, বা অপ্রাপ্যও। এখানে উল্লেখযোগ্য যে ফ্রণ্টিয়ারের বিরুদ্ধে সে যুগে সরোজ দত্ত যদিও প্রচুর লেখা লিখেছিলেন, তবে সেটাকে সেই সময় দিয়েই দেখা দরকার। আজকে ব্যাখ্যা করলে মুশকিল হবে।

    কিন্তু এগুলি হয়তো 'সে হিসেবে' গণমাধ্যম নয়, আর হয়েও ওঠে নি।

    কিন্তু যদি দৈনিক খবরের কাগজের কথা বলেন, তাকে 'গণমাধ্যম' বলতে কারুর দ্বিধা থাকবে না আশা করি। আর সেখানে মনে হয় রঞ্জন রায়, কল্লোল বা আমরা সবাই একটা কাগজের নাম ভুলেই গেছি। সেটি যুগান্তর, যাদের ইংরিজি কাগজ ছিলো অমৃতবাজার পত্রিকা। টেলিগ্রাফের আগে আনন্দবাজারের হিন্দুস্থান স্ট্যাণ্ডার্ডের সময় কলকাতায় ইংরিজি পত্রিকা পাঠকের এক দল ছিলেন স্টেট্‌স্‌ম্যান-এর ভক্ত অন্যদল অমৃতবাজারের, যাকে তাঁরা "বাzl" বলে ডাকতেন। তখন আনন্দবাজারের কোন কাগজই এত জনপ্রিয় ছিলো না। শীর্ষেও নয়। পরবর্তীতে টেলিগ্রাফ আসার পর আর তার ঝকঝকে টাইপ, কাগজের কোয়ালিটি, ইত্যাদিতে অমৃতবাজারকে পিছনে ফেলে দেয়। অবাঙালীদের বড় অংশ যারা বাZlর পড়তেন, তারা কাগজ পাল্টান। সাথে সাথে আরও মুশকিলে পড়ে সবাই যুগান্তর গোষ্ঠীর কাগজ বন্ধ হবার উপক্রমে। সে অন্য প্রসঙ্গ।

    যুগান্তর গোষ্ঠীর তরুণ কান্তি ঘোষ, তুষার কান্তি ঘোষের সাথে অথবা কংগ্রেসের প্রফুল্ল কান্তি ঘোষের সাথে কার্যপদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়েদের প্রচণ্ড মতবিরোধ ছিলো।

    আর তাই, যুগান্তর, অমৃতবাজারে বেশ বড় করেই বরিয়েছিলো কাশীপুর গণহত্যার ঘটনা। সেরকম না হলেও বেরিয়েছিলো স্টেট্‌স্‌ম্যানেও। আর আরও বেরিয়েছিলো দৈনিক বসুমতীতে। যুগান্তর, অমৃতবাজারে সামনের পাতাতেই। যুগান্তরে তার Implication নিয়েও তথ্য ছিলো, ছিলো অমৃতবাজারেও। এ দুটি কাগজে ২৯শে জুলাই, ১৯৭২-এও সামনের পাতার একদম উপরে বাঁ দিকে প্রধান খবর হয়ে - কবি বিষ্ণু দে-র জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পাওয়ার খবরকে বাঁ কলামে পাশে রেখে - যথেষ্ট প্রশ্নবোধক তথ্য দিয়ে বেরিয়েছিলো চারু মজুমদারের মৃত্যুর খবর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন