এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  •  Somnath Mukhopadhyay           | 12.240.14.60           | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৮:৩৪394350
  • পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে।

    বাক্যটি লিখিয়াই বুঝিলাম ইহা বর্তমানে একটি অতীব হাস্যকর বাক্য। এমত বাক্য অধুনা আর কেহই লিখেনা। প্রচলন উঠিয়া গিয়াছে। তথাপি গাম্ভীর্য সহকারে কী লিখিব ভাবিতে গিয়া অ ই বাক্যই কলম হইতে নি:সৃত হইল।

    যেখানে এমন একটি দল শাসন চালাচ্ছে, যাদের উপর বাঙালির সিংহভাগেরই আর কোন আস্থা নেই। এই মূহুর্তে এখানে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হলে তারা হেরে যাবে।

    আবশ্যিকভাবেই আমি কোনরূপ তথ্যভিত্তিক কথা বলিতেছি না। যাহা আমার নিজস্ব অনুধাবন, জনসংযোগ, অপ্রত্যক্ষ দর্শন, এবং আকাঙ্খা, তাহাই তো বাস্তব বলিয়া বোধ হইতেছে। এমতই হইয়া থাকে। যেমত রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, পন্ডিতরা বলিয়া থাকেন, অথবা লিখিয়া থাকেন- বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কিত রায়দানে ইশ্বরপ্রতিম বিষয়মুখী অবস্থান লইয়া থাকেন, তাঁহারাও, আহা তাঁহাদেরও যেন ক্ষমা হউক, অবগত নহেন, যে, ওমত কোনরূপ অবস্থান এই মরশরীর লইতে অক্ষম।

    অথচ সবে ভোট গেল। এখনও তিন-চার বছর সংবিধানমতে তারাই শাসক থাকবে। তাহলে কী করা যাবে? কী করা যেতে পারে?

    প্রথমেই অসাংবিধানিক পথটির কথা ভাবা যাক। যা তথাকথিত মাওবাদীরা বলছে- সশস্ত্র উপায়ে দলটির উচ্ছেদ বা বিতাড়ন, অনেকেরই, বিশেষ করে পর্টির হাতে লাঞ্ছিত অপমানিত ক্ষতিগ্রস্ত যারা, এই মাওবাদী প্রকল্পে বেশ উত্তেজনা হয়। প্রতিশোধ। যদি হয়, খুব ভল হয়। কিন্তু প্রায় সব বাঙালিই বোঝেন, তা হবার নয়। টোটাল সিনের মার্জিনে দু-পাঁচটা জঙ্গলঘেঁষা পকেটেই ঐ ঐ স্বপ্ন আটকে থাকবে। আর, যে দু-দশ গন্ডা প্রকৃত সূর্যমুখী পাগল এখনও স্বপ্ন দেখে গনমুক্তি ফৌজ মার্চ করবে একদিন না-হয় একদিন, তাদের হিসেবের মধ্যে ধরাটা বেশী চালাকি হয়ে যাবে। তবু, মূলধারার রাজনীতিতেও প্রান্তিক এই চরমপন্থা একটা প্রভাব রাখবে। কখনও মরিয়া বিরোধীরা মাওবাদীদের ডেকে এনে আনবে; সাহসী হয়ে উঠবে প্রতিবাদে, শাসকদল ভয় পাবে, কখনও ঐখানে মাওবাদী আছে- এই বলে সরকার যে কোনো বিরোধিতাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে দমন করবে। এভাবেই এই ধারাটি বেঁচে থাকবে। যদিও এতে পশ্চিমবাংলার রাজনৈতিক সঙ্কট কাটবে না, কেননা, ওরা, ঐ মাওবাদীরা, দূর ভবিষ্যতেও শাসক পরিবর্তনে মেজর ভূমিকা নিতে পারবেনা।

    কতিপয় পাঠকের ইহা মনে হইতে পারে, যে, যাহা কিছু লিখা হইতেছে, ইহাই বাস্তব। ইহাই সত্য। স্মরণ করাইয়া দিতে চাই, এমন সর্বজনমান্য সত্য বলিয়া কিছুর অস্তিত্ব নাই; যদি থাকিয়াও যায়, তাহা ব্যক্তিমানুষের প্রাপ্তব্য নহে। একই বাস্তবতাকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি ভিন্ন রূপে দেখিয়া থাকে, ভিন্নরূপে বিশ্লেষণ করিয়া থাকে এবং বিভিন্ন সূত্রে তথা তত্বে তথা সত্যে উপনীত হইয়া থাকে।

    অতএব আমরা মূলধারার রাজনীতির দিকে তাকাই। অসংখ্য দল জোট ঘোঁট, দলে ঘোঁট, ঘোঁটে জট রয়েছে, তবু, মিল এটাই যে প্রায় সবাই বর্তমান শাসকদলকে মসনদ থেকে সরাতে চায়। তারা সবাই মিলে নিচুতলায় জোট হলেও ওপরে হবেনা। জাতীয় ঘোঁট রাজনীতির বাধ্যবাধকতা নির্বাচনী ময়দানে ত্রিমুখী চতুর্মুখী প্রতিদ্বন্দিতা রূপে হাজির হবে। যা অতীতেও হয়েছে। তখন আমার আপনার মতো লোক কী করবে! সদ্যগঠিত অরাজনৈতিক সুশীল সমাজই বা কী ভূমিকা নেবে?

    পঞ্চেন্দ্রিয় আহৃত বাস্তব হইতে সত্যে পৌঁছাইবার, সেই আপন সত্য, যাহা মতাদর্শ বলিয়া পরিচিত, কেন্দ্রে স্থাপন করিয়া পুনরায় জগত দেখিবার, ব্যাখ্যা করিবার যে চিরপুরাতন প্রক্রিয়া বিষয়মুখী দৃষ্টিকোণ রূপে অভিহিত, তাহা যে একটি বিভ্রম মাত্র, পুনর্বার তাহা স্মরণে লউন।

    বিরোধীরা ছত্রভঙ্গ, তাদের কোন সুনির্দিষ্ট নীতি-কর্মসূচী নাই, সংগঠন নাই, উপযুক্ত নেতা নাই- এসব বলে ভেবে আলোচনা করে আবার কি বর্তমান শাসক দলেরই মসনদে থেকে নিশ্চিত করব, নাকি, যা হওয়ার হবে এদের আগে সরাতে হবে, এমনভাবে ভাবব? বাহাত্তর থেকে সাতাত্তর- ইন্দিরা জমানার শেষে মানুষ নেগেটিভভাবেই একজোট হয়ে যেখানে যেমনভাবে পারে ভোট দিয়ে কংগ্রেসকে পরাজিত করেছিল, বিরোধীদের উপযুক্ত নেতা আছে কি নেই, বিকল্প কর্মসূচী কী- এসবের পরোয়া করেনি। কেননা একটি অভিজ্ঞতাজাত স্থির সিদ্ধ্বান্তে পৌঁছানো গেছিল যে, বর্তমানে শাসকদের দরকার, এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারেনা। পশ্চিমবাংলায় এখন ঐরকম পরিস্থিতি হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে মতৈক্যেই বাতলে দিতে পারে মানুষ কী করবে?

    অতি ক্ষুদ্র হইতে সমগ্রের বৃহত্তম কল্পনা- সবই যদি আপেক্ষিক হইয়া পড়ে তাহা হইলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে এবং স্থানে অনেক মানুষ অনুরূপ সিদ্ধ্বান্তে পৌঁছাইবে কী উপায়ে? কী প্রক্রিয়ায়ই বা তাহারা অন্তত একটি বিষয়ে সমমনস্ক হইয়া উঠিবে? তত্ব বানাইয়া ইহার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ হয়তো অসম্ভব, কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দিয়া থাকে যে, দেশে দেশে যুগে যুগে শাসকের অত্যাচার সীমা চাড়াইলে সব পন্ডিতিপনা অগ্রাহ্য করিয়া মানুষ কিরূপে যেনবা দলবদ্ধ্ব না হইয়াও একত্রিত হইয়া থাকে। শাসককে পর্যুদস্ত করিয়া থাকে।

    পশ্চিমবঙ্গে যে চরম অগণতন্ত্র চলছে, উন্নয়ন, বিকল্প, ডান-বাম, সেই পুঁজিবাদ, ঐ সমাজতন্ত্র ইত্যাদি কুটকাচাল ছেড়ে অমন এক সিদ্ধ্বান্তের দিকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলাই সময়ের দাবী। কী হবে পরে দেখা যাবে, আগে তো এদেরকে তাড়ানো তাড়ানো হোক! আপাতত মানুষ এমনই ভাবছে, এবং সেই গতিকে বিচলিত করে নানা প্যাঁচাল বাজারে হাজির করলে তা হবে বেইমানী, বিশুদ্ধ্ব বিশ্বাসঘাতকতা।
  • r | 59.162.191.115 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৯:০৬394384
  • মাইরি এই ইটালিক্স দিতে হইলে কি করিতে হইবে?
  • shyamal | 72.24.206.134 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৯:২২394395
  • সোমনাথবাবু,
    আমি প্রাথমিকভাবে সিপিএম ও মাওবাদী বিরোধী। সাতাত্তরেও ছিলাম। কিন্তু আজকের যুগে বিরাট প্রশ্ন হল এদের তাড়ালে কারা আসবে? সাতাত্তরে ইন্দিরাকে তাড়িয়ে কিছু ক্লাউনকে আনা হয়েছিল দিল্লিতে। তারা তিন বছরও টিকলোনা। এদের তাড়িয়ে মমতাকে আনবেন? উনি একজন অত্যন্ত সৎ ও অপদার্থ মহিলা। আর কাউকে দেখছিনা। আর ফ্রি,ফেয়ার ভোট হলে এরা হেরে যাবে কিনা তাতেও সন্দেহ আছে। বহু দোষ থাকা সঙ্কেÄও বুদ্ধদেবের চেয়ে কাজের নেতা আর দেখছিনা।
    ইনি বিপ্লব আনছেন। না নক্সালি মানুষ খুনের বিপ্লব নয়। টাটা ন্যানোর বিপ্লব। কেমিকাল হাবের বিপ্লব। উন্নয়নের বিপ্লব। আজ মুকেশ, অনিল, ধুত, টাটা, মিত্তল সবাই পশ্চিমবঙ্গে লগ্নি করতে চাইছেন। সেটা কিন্তু বুদ্ধদেবের মুখ চেয়ে। জ্যোতিবাবু পার্টিকে সর্বত্র অগণতান্ত্রিক ভাবে ঢুকিয়েছিলেন। শিক্ষক হতে গেলে পার্টির সদস্য হতে হয়। কোন কাজের কাজ করেননি। লেবার মাফিয়ার ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতেন।
    বুদ্ধদেব রিস্ক টেকার। পার্টির ক্ষতি করেও ঠিক কাজ করছেন যাতে উন্নতি হয়।
    কাজেই প্রশ্ন হল এদের তাড়িয়ে কাকে আনবেন?
  • r | 59.162.191.115 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৯:৪০394406
  • এই ব্যাপারে আমি রব নিরুত্তর কারণ এই ভদ্রলোক বলেই দিয়েছেন- "....সেই গতিকে বিচলিত করে নানা প্যাঁচাল বাজারে হাজির করলে তা হবে বেইমানী, বিশুদ্ধ বিশ্বাসঘাতকতা।" কাজেই তক্কাতক্কি করে লাভ নাই।
  • ip | 69.251.184.3 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১০:৪৮394417
  • "পার্টি র ক্ষতি করেও থিক কাজ করেছেন যাতে উন্নতি হয়।"

    কার বা কাদের উন্নতি হয় ?
  • § | 61.95.167.91 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:১২394428
  • বুদ্ধু ভট্‌চায পার্টির ক্ষতি করেও উন্নতির কাজ করেছেন?

    (চিঁ হিঁ হিঁ হি হি হি হি হি হি হি হি)
    {ঘুড়ায় হাসছে}
  • shyamal | 72.24.206.134 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:১৯394439
  • কোন দেশেই গণতান্ত্রিক দলকে গদিতে আনা হয়না এ জন্য যে তারা গদির সুযোগ নিয়ে পার্টিকে শক্ত করবে। সিপিএম প্রথম পঁচিশ বছর শুধু তাই করেছে। বেআইনি কাজ করেছে। পার্টিকে সব ইন্সটিটিউশনের ভেতরে ঢুকিয়েছে। আমাদের কাজের লোকের জামাই, মেয়েকে পিটিয়েছে। কোথায় গেল? পার্টির কাছে। তারা মীমাংসা করল। এটা যে গণতন্ত্রবিরোধী (separation of Judiciary, Legislature and Executive) সেটা বোধহয় সিপিএমের নেতারাও জানেনা। এরা সালিশি বিল আনার চেষ্টা করেছিল।

    কার বা কাদের উন্নতি হয় ? অভিরূপবাবুর লেখাটা পড়ুন।
    http://www.anandabazar.com/6edit3.htm

    মধ্যবিত্তের উন্নতি হলে গরীবের চাকরি তৈরী হয় । তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি হয়।

  • Blank | 203.99.212.224 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:২৯394450
  • কি চাপ। এই 'প্রায় সব বাঙালী' কারা?
  • ip | 69.251.184.3 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:৪৯394461
  • কজনের কাজ গিয়ে কজনের চাকরি তৈরী হয়?
  • - | 125.18.17.16 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৩:৪৭394351
  • বেসিকালি দলে দলে নোকেরে সিপিএম এর বিরুদ্ধে ভোট দিতে বলা হচ্ছে। যে যেখানে যাকে পারেন। মাঝে মাঝে কলকাতায় অরাজনৈতিক মিছিল সহ। তো সে তো এমনি ই হবে। এই ম্যানিফেস্টোর দরকার কি। এটা তো 'কি এমনিতেই হইবে'।

    জনগণ ঠিক ই আছে। যে যাকে পারে ভোট ই দেবে। সুশীল সমাজের নোকেদেরি বিভিন্ন সরকার ও বে সরকারী সরকারের সঙ্গে ক্লায়েন্ট পেট্রন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা।
  • umesh | 62.254.196.200 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৫:২৫394362
  • বুদ্ধবাবু আসার আগে, অন্তত বইমেলা আর খেলার জগত টা কিছু টা রাজ্‌নীতি মুক্ত ছিলো, বুদ্ধবাবু এসে সেটা তেও CPM ঢুকিয়ে দিয়েছে।
    এখন CABCPM এর আখড়া, আর বইমেলা তো CPM এর পারিবারিক সম্পত্তি।
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৫:৩১394373
  • তো খারাপ কি?
  • Arijit | 128.240.229.3 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৫:৩৩394377
  • কিন্তু ইটালিক্স? র-এর কোশ্চেনে লাইন দিলাম।
  • Arijit | 128.240.229.3 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৫:৫২394378
  • অ, ভাটে দেখে কোশ্চেন উইথড্র করলাম।
  • - | 125.18.17.16 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:০৩394379
  • এই সিপিএম ময় জগতে একা সুশীল সমাজ কষ্ট স্বীকার করে টেলি তে বলে যাচ্চেন।
  • umesh | 62.254.196.200 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:৩৩394380
  • blank, কিছুই হয়নি, শুধু বাংলা Ranji Trophy তে 2nd division এ খেলবে, আর বইমেলা খাদ্যমেলা তে পরিণত হয়েছে।
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:৩৭394381
  • তো পাবলিক যখন বই মেলা চায় না, তখন আর ওসব রাখার দরকার কি? খাদ্য মেলা ই তো ভাল। বই এর থেকে তো খাবার বেশী দরকারি।
  • umesh | 62.254.196.200 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:৫২394382
  • এটা যদি finally খাদ্যমেলা তাহলে ঐ শুয়োরের বাচ্ছা টা জনগণের সামনে নাকি কেঁদে বলে কেন যারা এ মেলা বিরোধী তারা বইবিরোধী, বলতে পারে খাদ্যবিরোধী তাহলে আমার আর কোনো আপত্তি থাকে না।
  • - | 125.18.17.16 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:৫৮394383
  • উত্তেজনা, বই বা পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলার ক্রিকেট কারোর জন্যই ভালো নয়,
    ট্যাক্সোনোমি ব্যতিরেকে।
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:১৬394385
  • বাহ:, শুওরের বাচ্ছারাও তো আজকাল বেশ সত্যি কথা বলে ...
  • sg | 203.197.115.37 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:০৯394386
  • শ্যামল-বাবু,
    মধ্যবিত্ত-র উন্নতি হলে গরিবের-ও উন্নতি হবে........ একটু প্রমাণ দেবেন? অভিরুপ বাবু তো বলেই ছেড়ে দিয়েছেন... উদাহরণ দেবার risk আর নেন-নি। আপনি সেই অধরা কাজটুকু করে এই আমাদের একটু আলোকপ্রাপ্ত করুন, please.... আমি এই বৈপ্লবিক তত্বের উদাহরণ পাওয়ার জন্য উত্তেজনা সামলাতে পারছি না
  • dd | 202.122.18.194 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:৪৪394387
  • দাঁড়ান, দাঁড়ান।
    তাড়াহুড়োর তো কিছু নেই।
    সমস্যাটা আগে ,ইয়ে, অনুধাবন করুন।
    ছিপিএম খরপ কিন্তু বুদ্ধবাবু ভালো আর উদিকে মমতা অপদাত্থো কিন্তু তিনোমূল বড্ড ভালো, তাই তো?
    তো, আমরা এই গু চ'এ মহান প্রাংগনে এক পিটিশন দিয়ে দি, যে বুদ্ধবাবু তিনোমূলের দায়িত্ব নিন আর মমতা চলে যাক ছিপিএমে। ঠিক আছে ?

    এরপর ভোটের সময় তিনোমুল (মার্ক্সিস্ট)র ভোটবাক্সে (একটি ফুল ও কাস্তে) লাগান ছাপ। আর বয়কট করুন সি পি আই (মমতাকে)- (আর একটি ফুল ও হাতুড়ী।)। ব্যাস।

    সাপ ও ভাঙলো না, লাঠিও বেঁচে যাবে।

  • Arijit | 128.240.229.3 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:৪৬394388
  • ছোট্টুলালের মতন হাসি পাচ্ছে। খৌয়া খোয়া করে হাসবো?
  • shyamal | 72.24.206.134 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:১৩394389
  • এস জি বাবু,
    আপনি অভিরূপবাবুর লেখা ভালো করে পড়েননি। এই প্যারাগ্রাফটা পড়ুন, যেটা শুরু হয়েছে "মোটরগাড়ি সস্তা হলে" দিয়ে। কেন মধ্যবিত্তের উন্নতি হলে গরীবের উন্নতি হবে এই নিয়ে অন্য থ্রেডে বলেছি। সংক্ষেপে বলছি ।
    ১। ভারতের ৬০% লোক চাষ করে আর গ্রামে থাকে। এরাই গরিবের অধিকাংশ। এদের বিদ্যুত, পানীয় জল, পাকা বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল, কেবল টিভি কিছুই নেই। এদের হাল বলদ দিয়ে চাষ করা ছাড়া অন্য স্কিল নেই।
    ২। এদের উৎপাদনশীলতা প্রচন্ড কম বলে রোজগার কম। এক জনের কাজ ১০ জনে করে । রোজগারও ভাগ হয়ে যায়।
    ৩। শহরের গরীবের অবস্থা এদের চেয়ে অনেক ভাল।
    ৪। এম পি, এম এল এ রা মধ্যবিত্ত। তারা গরীবদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বা প্রাথমিক চিকিৎসায় টাকা ঢালেনি। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ায় ভর্তুকি দিয়েছে যাতে আমরা পড়েছি প্রায় ফ্রিতে। মধ্যবিত্ত আজও রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি পায়।

    অভিরূপবাবু যে ছবি এঁকেছেন তাতে সস্তা গাড়ির কল্যানে অনেক মধ্যবিত্ত সাবার্বে থাকতে পারবে। এর ফলে কনস্ট্রাকশন সেক্টরে বিশাল ডিমান্ড হবে। ভারতে আরো পনের কোটি ফ্ল্যাটের দরকার। কাউকে সেগুলো বানাতে হবে।
    যদি সত্যিই গরীবের উন্নতি করতে হয় তবে
    ১। মানুষকে আর কর্পোরেশনদের যে কোন পরিমান (পড়ুন এক লাখ একর) চাষের জমি কেনার অধিকার দিতে হবে।
    ২। তারা যন্ত্রে চাষ করবে। রাতারাতি কৃষিতে প্রডাকটিভিটি একশো গুন বাড়বে।
    ৩। রাজনীতিকরা এগুলো জানেন। তবুও করেননা কেন? তার কারন চাষে আর ৬০% লোক লাগবেনা। লাগবে ৬%। বাকি ৫৪% কি করবে? এই কঠিন কিন্তু ঠিক ডিসিশন নেওয়ার সাহস কোন রাজনীতিকের নেই।
    ৪। যে ৬% চাষ করবে তাদের মাইনে অনেক বেড়ে যাবে। তার কারন ১০ জনের কাজ একজনে করতে পারবে। এটাকেই উন্নতি বলে।
    ৫। বাকি ৫৪% স্কিল হীন লোক কি করবে? সরকার যদি এদের দুমাসের ট্রেনিং দেয়, এরা রাস্তা, বাড়ি, স্কুল বানাতে পারবে। পনের কোটি ফ্ল্যাট বানাতে এদের দরকার হবে। ডিমান্ড মিট করার জন্য বিল্ডাররা আপনিই এগিয়ে আসবে।
    ৬। সবচেয়ে বড় কথা হল যে কনস্ট্রাকশনের কাজ করার জন্য এদের গ্রাম ছেড়ে শহরের বস্তিতে থাকতে হবে। এদের আয় বাড়বে। আর বস্তিতে এরা বিদ্যুৎ, জল, কাছাকাছি স্কুল, হাসপাতাল সব পাবে।
    ৭। এক শ্রেনীর মধ্যবিত্তের রাগ হবে যে "ছোটলোক" এসে শহরের বারোটা বাজাল। এই লোকদের পাত্তা দিলে চলবে না।

    শিল্পের দরকার আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু আজ শিল্পে রোবটরা কাজ করে। দিল্লির কাছে মারুতির ফ্যাকটরিতে রোবট প্রচুর, কর্মী কম।
    যেখানে সবচেয়ে বেশী জব তৈরী হবে সেটা হল পরিষেবা। সফ্‌টওয়্যারও তাই, আবার বাড়ি বানানো ও তাই।

    শুধু কনস্ট্রাকশনে নয়, বাড়ির কাজের লোক, ড্রাইভার, সিকিউরিটি গার্ড, দোকানের কর্মচারী, গাড়ির মেকানিক ইত্যাদি বহু জব তৈরী হবে। এগুলো হবে মধ্যবিত্তের উন্নতি হলেই।

    ভারতের মাথা পিছু আয় ১০০০ ডলারে পৌঁছেছে। এখন অর্থনীতি ক্রুজ ক®¾ট্রালে চলেছে যেটা প্রকাশ কারাট জাতীয় লোক কাঠি দেওয়ার জন্য থাকা সঙ্কেÄও। এই মুহুর্তে গরীবের উন্নতি করা আগের চেয়ে অনেক সহজ সরকার যদি সাহসী স্টেপ নিতে পারে।

  • nyara | 64.105.168.210 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:২৩394390
  • অল্পদামের গাড়ি হলে মধ্যবিত্ত শহরতলিতে থাকতে পারবে, এরকম কথা যদি অভিরূপবাবু বলে থাকেন তাহলে আমি জানতে চাইব এই সব গাড়ির জন্যে যে রাস্তা লাগবে তার সমাধান অভিরূপবাবু কি দিচ্ছেন? গাড়ির জন্যে তেলের যে অপরিসীম চাহিদা বাড়বে সেই চাহিদা মেটানো হবে কি করে? And what about the huge carbon footprint?

    (যদিও থ্রেডটা ঠিক এই বিষয়ে ছিলনা বোধহয়।)
  • kallol | 220.226.209.5 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১২:২৯394391
  • মাঝে মাঝে শ্যামলের পোস্ট পড়লে নিজেকে খুব বুদ্ধিহীন বলে মনে হয়।
    ভারতে ১০০ কোটি মানুষ। তার ৫৪% মানে ৫৪ কোটি মানুষকে দুমাস ট্রেনিং দিয়ে ১৫ কোটি ফ্ল্যাট বানানো হবে।
    তারপর ফ্ল্যাটা বানানো শেষ হলে ? তারা কি করবে ?
    ৫৪ কোটি - কাজের লোক, ড্রাইভার, দোকান কর্মচারী, সিকিউরিটি গার্ড-এর কাজ করবে।
    বা: এতো full employment হয়েই গেলো!
    এত সহজ কথাটা কেউ বোঝে না কেন?
    খামোখা অমিত ভাদুড়ীর মত, অমর্ত সেনের মত লোকেরা হেদিয়ে মরছে - বই লিখছে। কি জানি বাবা - আমি বোধ হয় সত্যি বুঝতে পারছি না।
  • a | 220.226.64.246 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৩:০৯394392
  • ৫৪% লোকের উন্নতি হল না হল না? হলে কি করে হল?

    উন্নতির ডেফিনিশন থেকে স্যামল দা শুরু করলে ভালো হত
  • sg | 203.197.115.39 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৩:৫৬394393
  • আআআঅহাহাহা! শ্যামল-বাবু কী লা-জবাব ছবি-ই না এঁকেছেন! সবাই খালি বাড়ি বানাবে, ও না না, ওনেকে দারোয়ান, বাড়ীর কাজের লোক ইত্যাদি-ও হবে, বস্তি-তে থাকবে..... সেখানে কত আরাম....জল,বিদ্যুত, স্কুল সব পাওয়া যায়..... উন্নয়ন এক্কেরে হাতের মুঠোয়। না:, অনেক কিছুই জানি না দেখছি.... বস্তি-তে জল,আলো থাকে, বাড়ির কাজের লোকেদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয় ঐ চাকরি করে, আর ভারতে মাথাপিছু আয় ১০০০ ডলার, মানে শ্যামল-বাবু নিশ্চয় বলতে চেয়েছেন যে অর্থনৈতিক ভাবে একদম নিচতলায় থাকা মানুষ-ও এই আয় টা করে। কল্লোল-দার মত আমার-ও নিজেকে খুব বোকা লাগছে!
  • kallol | 220.226.209.5 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৪:২৫394394
  • একটা জরুরী কথা বাদ পড়ে গেছে - ভারত তখন কৃষকদের দেশ থেকে - কাজের লোক (দোকানের বা বাড়ীর), দারোয়ান আর ড্রাইভারদের দেশ হবে। কারন দেশের ৫০%এর বেশী মানুষ তো ঐ কাজই করবে।
    এমন দেশটি কোথাও খুঁজে.......
    গায় বেশ কঁটা দেয়।
  • r | 125.18.17.16 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৫:৫৬394396
  • একটা কূটপ্রশ্ন আছে- বামপন্থী ভাবধারাতে পেশার কি একটা হায়ারার্কি আছে, বা, নব্য বর্ণভেদ? মানে কৃষকের থেকে ড্রাইভার, কাজের লোক, মিস্তিরি- এরা সব দুর ছাই? সিঙ্গুর নিয়ে আন্দোলনকারী অনেক বিপ্লবী নেতাকে দেখেছি এই প্রসঙ্গে "ইজ্জত", "মর্যাদা" এই শব্দগুলো ব্যবহার করেন- কৃষক লোকের গাড়ি চালাবে, তার কোনো ইজ্জত নেই? আমি জানতাম এই "ইজ্জতের" ধারণা মধ্যযুগীয় সামন্ত্রতান্ত্রিক সমাজের স্বাক্ষর। উত্তরাধুনিক বামপন্থায় দেখছি ব্যাপারটা ঠিক সেইরকম নয়। মানে কিছু পেশা "ইজ্জতের", কিছু পেশা "ইজ্জতের" নয়। সেইজন্যই বোধ করি আমাদের বামপন্থী মধ্যবিত্ত বাড়িতে কাজ করা লোকগুলোর এই দশা!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন