এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 12.240.14.60 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৯:৫৪394430
  • http://www.usgovernmentspending.com/year2005_0.html#usgs302

    হিসেবটা ২০০৫ এর। আমি ভুল করে ০৭ লিখেছি। তবে এই সাইটে ২০০৭ এর হিসেব ও আছে।

    বাকি কথা কাল।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৫:১২394431
  • উর্বর জমি নিয়ে শিল্প ও তার পরিনাম - কে লিখছে? - আবাপ। উদ্দেশ্য মানিক সরকারকে একটু ""ডাউন"" দেওয়া। কিন্তু দিতে গিয়ে নিজেদের ""উন্নয়ন তঙ্কÄ"-এর মুখোশটা খুলে পড়েছে।
    ১৯৭৬ সালে ত্রিপুরার ডম্বুর উপত্যকায় জলবিদ্যুত প্রকল্পের জন্য যে ৩০-৩২ হাজার উপজাতির মানুষ উৎখাত হন - তাদের আজকের অবস্থা। তারা জলবিদ্যুত প্রকল্পে কাজ পায় নি। ঐ জলবিদ্যুত প্রকল্প ঘিরে যে সহযোগী শিল্প গড়ে ওঠার কথা ছিলো তা গড়ে উঠেছে কি না জানিনা। গড়ে উঠলেও তাতে এদের স্থান হয় নি.......
    বিশদ : http://www.anandabazar.com/11desh2.htm
  • tan | 131.95.121.132 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৯:২৬394432
  • এইজন্যেই সত্যজিৎ রায় না কেযেন গেয়েছিলেন না গাইয়েছিলেন "ওরে তোরা যুদ্ধ করে করবি কি তা বল্‌"
    :-))))))))))))))))))))))))))))))
  • kd | 59.93.198.147 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:১৫394433
  • শ্যামলের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে আমার জানা তথ্যের কিছু বৈষম্য আছে। আমেরিকায় বেকার ভাতা (সেটা যদি unemployment benefit হয়), তা social security funds থেকে আসেনা - আসে employerদের কাছ থেকে unemployment tax (aka payroll tax) হিসেবে। আর fed govt শুধু অবসরপ্রাপ্তদেরই health benefit দেয় না (এটা medicare), দরিদ্রদেরও দেয় medicaid নামে (এটা welfare systemএর underএ।

  • kd | 59.93.198.147 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:২৪394434
  • এছাড়া সরকার অনেক টাকাই পেনশনের জন্যে খরচা করে - fed employeeরা SSbenefit পায়না (ওরা contributeও অরে না), তারা পেনশন পায়; veteranরাও পায়। আর এতগুলো ex-presidentগুলোর পেছনে যা খরচা হয় (এই টাকায় একটা ছোটখাটো দেশ চলতে পারে), এটাও ঐ budget categoryতে।
  • shyamal | 72.24.206.134 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২২:৩০394435
  • কাবলিদা,

    আপনি ঠিকই বলেছেন। SS Tax থেকে বেকার ভাতা আসেনা। কিন্তু নিউ জার্সি সহ তিনটি রাজ্যে employeeর থেকেও SUI, SDI কাটে। আমি যেহেতু আগে বেশীর ভাগ সময়ে নিউ জার্সিতে চাকরি করেছি, বেশ মনে আছে SUI,SDI কাটা হত। যদিও সামান্য।
    আর মেডিকেড ছাড়াও গরিবদের জন্য আরো স্কিম আছে। যেমন ফুড স্ট্যাম্প, হাউসিং সাবসিডি ইত্যাদি।

    ঈশান বলতে চেয়েছেন যে ভারতের তুলনায় আমেরিকাতে সামাজিক খাতে অনেক বেশী ব্যায় হয়। কিন্তু সেটার জন্য ট্যাক্সও অনেক বেশী দিতে হয় যা ভারত সরকার নেয়না। ভারতে শুধু কেন্দ্রীয় সরকার ইনকাম ট্যাক্স নেয়।
    এদেশে তার ওপরে সোশ্যাল সিকিউরিটি ট্যাক্স, রাজ্যের ট্যাক্স, বড় সিটিতে সিটি ট্যাক্স আর বিরাট পরিমাণ প্রপার্টি ট্যাক্স।এসব যোগ করলে আড়াই ট্রিলিয়নের অনেক বেশী।

    দেশেও প্রপার্টি ট্যাক্স আছে। কলকাতায় যেটাকে কর্পোরেশন ট্যাক্স বলে। কিন্তু এদেশের % এর তুলনায় নগন্য।
  • ranjan roy | 122.168.70.209 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২৩:১৫394436
  • অন্তত: ইনফ্লেশনের ব্যাপারে মনে হচ্ছে ভারতে সমস্যাটা এতটা লিনিয়র নয়, বেশ জটিল।
    শ্যামলবাবুর ঐ"" Too much money chasing too few goods'' গোছের তিরিশশতকীয় ( বিংশ শতাব্দীর) ব্যাখ্যা একটা ফ্যাক্টর মাত্র। সবটা নয়। এখানে স্ট্রাকচারাল কারনও আছে।
    বিশুদ্ধ পুঁজিবাদি ইকনমিতে সমস্ত সেগমেন্টে ফিল এমপ্লয়মেন্ট হোলেও ইনফ্লেশন
    হতে পারে। কিন্তু ভারতের মত দেশে অনেক ফ্যাক্টর আদ্দেক বা আধখ্যাঁচড়া ব্যবহার করার পরেও আনইভেন গ্রোথ এর জন্যে ইনফ্লেশন হতে পারে।
    ফলে নন্দীগ্রাম-সিংগুরের পাশে কিছু সালিমনগর-ন্যানোনগর বা অমনি কিছু গজিয়ে উঠবে।সেখানে মার্কেট বেশ চড়া হবে। কিন্তু কর্মচারিরা অতটা কামড় ফিল করবে না। লেকিন উসিকে আস-পাস কা দেহাতি ইলাকা? মাহাংগাই কা মার সে?
    এই মডেলই ভারতে বেশি দেখা যায়।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০০:২৬394437
  • শ্যামলবাবু ঠিকই ধরেছেন। সমস্যাটা আসলে এইরকম:

    আমেরিকা সামাজিক খাতে বেশি টাকা খরচা করতে পারে, কারণ, প্রচুর ট্যাক্স নেয়। প্রচুর ট্যাক্স নিতে পারে, কারণ লোকজন প্রচুর উপার্জন করে। লোকজন প্রচুর উপার্জন করে, কারণ আমেরিকা বড়লোক দেশ। বড়লোক দেশ, তাই আমেরিকা সামাজিক খাতে বেশি খরচা করে।

    ভারত সামাজিক খাতে অল্প টাকা খরচা করে, কারণ কম ট্যাক্স নেয়। ট্যাক্স কম, কারণ মাথাপিছু উপার্জন কম। মাথাপিছু উপার্জন কম, কারণ ভারত গরীব দেশ। গরীব দেশ, কারণ ইনফ্রাস্ট্রাকচারে/শিক্ষায়/স্বাস্থ্যে, অর্থাৎ সামাজিক খাতে কম খরচা করে।

    পুরোটাই সার্কুলার। এই বৃত্তটা কিভাবে ভাঙতে হবে, বা ভাঙা যাবে, সেটাই অ্যাজেন্ডা।
  • tan | 131.95.121.132 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০০:৩২394438
  • মহাজনের পন্থা ধরুন।মানে আম্রিকার।
    একটা বড়গোছের যুদ্ধু লাগিয়ে দিন অন্যদের মধ্যে,তাপ্পরে ব্যবসা করে মালসাপ্লাই দিয়ে লাল হয়ে গিয়ে শেষমেষ যুদ্ধে নামুন,একটি বোম ঝেড়ে জিতে নিন লড়াই। ব্যস মারদিয়া কেল্লা,ওয়াহ গুরুজী কি ফতে!
    টাকাকে টাকাও হলো,ব্যবসাকে ব্যবসাও হলো, চক্রেরও অন্ত হলো।
    হোহোহোহোহো।
  • a | 220.226.49.137 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:৩৬394440
  • এই সুতো পড়তে পড়তে মনে হল(এটা বোধোয় আগেও কেউ বলেছে) জে এই শ্যামল বাবু আসলে মামু বা র বা বোধিদা। এরাই বিপক্ষে তক্কো করতে (এমনিতে পারেনা তো, political correctness এর জন্যে) নাম পরিবত্তন করে লেখে।

    সবি আবাপ র খেলা, "সর্প হইয়া দংশন করো গোরা (আআআঅ) উঝা হইয়া ঝাড়ো, উঠিলে বিষ নামাইতে পারো যদি ক্রিপা করো রে......"
  • ei_je_ami | 207.47.98.129 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:৩৪394441
  • এই সব ইকনমিক্সের তঙ্কÄ শুনে গলব্রেইথ মনে পড়ে গেল - ঘোড়াকে প্রচুর দানা খাওয়ালে কিছু কি আর পাখিদের মুখে পৌঁছবে না? আই-টি আর শেয়ার-বাজারে লোকে পয়সা করলে দু-চার নয়া তো ড্রাইভার-ঠাকুর-চাকরদের হাতে যাবে, না কি?
  • shyamal | 72.24.206.134 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৯:২০394442
  • আমার মনে হয় বৃত্তটা অন্যরকম। ১৯৯১ এর পরে ক্রমাগত রিফর্ম হয়েছে। তার ফলে এখন ৮-৯ শতাংশ বৃদ্ধির হার। এর ফলে লোকের আয় দ্রুত বাড়ছে। তাতে দুটো জিনিষ হচ্ছে। এক, লোকের আয়ের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়ছে। তার ফলে শিল্প আর পরিষেবা দুটোতেই কাজ বাড়ছে। চাহিদা বাড়লে শিল্প বাড়ে কারণ বেশী জিনিষ তৈরী করতে হয়। আর পরিষেবা বাড়ে কারণ সেই জিনিষগুলোর বিক্রি, সার্ভিসিং ইত্যাদি।
    দুই, লোকে জমাচ্ছে বেশী। ভারতে দারিদ্র সঙ্কেÄও একটা কালচারাল ব্যাপার আছে। লোকে রেনি ডের জন্য পয়সা বাঁচায়। এখন মাথাপিছু সেভিংস ৩০%। এই টাকাটা নতুন ব্যবসায় লগ্নি হচ্ছে।
    এই পজিটিভ বৃত্তের জন্য লোকের অবস্থা ভাল হচ্ছে। গত NSSO রিপোর্টে বলেছে পভার্টি রেট কমে ২২% হয়েছে।
    তবে কেন গ্রামে এত গরীব লোক? আগেই বলেছি চাষে প্রডাক্টিভিটি অতি কম। আর প্রাথমিক শিক্ষা আর চিকিৎসায় সরকার সবে পয়সা খরচ করতে শুরু করেছে। তার এফেক্ট দেখা যাবে কয়েক বছর বাদে।
    কিন্তু লোকের প্রডাক্টিভিটি আর জীবনযাত্রার মান বাড়াতে গেলে গ্রামে থাকলে চলবেনা। এ নিয়ে এই থ্রেডে আগেই বলেছি।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৯:৫৮394443
  • হ্যাঁ, ১৯৯১ এর পরে ক্রমাগত রিফর্ম হয়েছে। এক্সপোর্টে, বিশেষ করে সফটওয়্যার এক্সপোর্টে প্রায় বিপ্লব ঘটেছে। বৃদ্ধির হার ৮-৯ শতাংশ। পরিষেবায় দ্রুত কাজ বাড়ছে। টাকার দাম বাড়ছে।

    তবে সমস্যা হল, এগুলো সবসময় "উন্নতি'র সূচক না। যদি কোনো দেশে একটি রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন সেক্টর দুম করে ফুলে ফেঁপে ওঠে, তাহলে ঠিক এই লক্ষণগুলোই দেখা যায়। এবং সেটা ঠিক উন্নতির লক্ষণ না। আই এম এফ এর খাতায় এটা একটা রোগের নাম। রোগটার গালভরা নাম হল ডাচ ডিজিজ। ডাচ অসুখ।

    ডাচ অসুখের গল্পটা নেটেই পাওয়া যাবে, তবু ছোটো করে লিখে দিই। গল্পটা মোটামুটি এরকম, যে, ১৯৬০ এর দশকে নেদারল্যান্ডসের উত্তর সাগর উপকূলে খুঁজে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক গ্যাসের বিপুল ভান্ডার। গ্যাস তোলা শুরু হয়, শুরু হয় রপ্তানী, এবং ডাচ দেশের সম্পদ প্রভূত পরিমানে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এর ফলশ্রুতিতে নেদারল্যান্ডসের বাকি সমস্ত সেক্টরের শিল্পের উপর এক অদ্ভুত এবং প্রত্যাশিত প্রভাব পড়ে। দেখা যায়, যে, দেশের অর্থনীতির অন্য একটা বড়ো অংশ, তেল শিল্পের এই বিপুল উন্নতির দ্বারা উপকৃত তো হয়ইনা, বরং ক্রমশ: দুর্বল হয়ে পড়ে। গ্যাস ছাড়া আর যাযা জিনিস নেদারল্যান্ডস রপ্তানি করত, বিশ্বের বাজারে সেগুলি প্রতিযোগিতার ক্ষমতা ক্রমশ: হারিয়ে ফেলতে থাকে। ফলত: দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি একটি ধাক্কার সামনে পড়ে। ইউরোপীয় উন্নত বিশ্বের অংশ বলে পরবর্তীতে নেদারল্যান্ডস এই ধাক্কা সামলে ওঠে, কিন্তু এই বিশেষ ব্যাপারটি ডাচ অসুখ নামে বিশ্ব অর্থনীতিতে পরিচিত হয়ে যায়।

    কেন ঘটেছিল এই ঘটনা? কারণ খুঁজতে বসে, পরবর্তীকালে, ১৯৮২ সালে, দুজন অর্থনীতিবিদ, কর্ডেন এবং নিয়েরি, এই অসুখকে ব্যাখ্যা করার জন্য একটি অর্থনৈতিক মডেল নির্মান করেন। কোনো একটি বিশেষ সেক্টরে রপ্তানির বিস্ফোরণ হচ্ছে, এরকম একটি দেশের অর্থনীতিকে তাঁরা এই মডেলে ব্যাখ্যা করেন। তাঁদের মডেলে, ঐ বিশেষ দেশের অর্থনীতিকে তিনটি সেক্টরে ভাগ করা হয়। এক। প্রসারমান, নতুন ধরণের, রপ্তানির সেক্টর (ডাচ উদাহরণে যেটা প্রাকৃতিক গ্যাস)। দুই। অপেক্ষাকৃত পুরোনো, পিছিয়ে পড়া, ট্র্যাডিশনাল রপ্তানির সেক্টর। তিন। সম্পূর্ণ দেশীয় সেক্টর, যার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির বিশেষ সম্পর্ক নেই। এর মধ্যে পড়ে খুচরো বিক্রি, সার্ভিস সেক্টর, নির্মান শিল্প, ইত্যাদি ইত্যাদি, অর্থাৎ, যেখানে কেনা-বেচা আছে, কিন্তু গুডস বা বস্তু উৎপাদন হয়না। এই দুজন অর্থনীতিবিদ দেখান, যে, "ডাচ অসুখ' এ আক্রান্ত অর্থনীতিতে, এক এবং তিন নম্বর সেক্টর ক্রমশ: দ্বিতীয় সেক্টরটিকে গ্রাস করে ফেলে। এবং অর্থনীতি খোলা হোক বা বন্ধ, সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের হোক বা নিও-লিবারাল, সরকার-নিয়ন্ত্রিত বা খোলা-বাজারি, সকল ক্ষেত্রেই জিনিসটা প্রায় একই রকম ভাবে ঘটবে।

    কিকরে এটা ঘটে? ধরা যাক, একটি বিশেষ সেক্টরের রপ্তানি হঠাৎ প্রচন্ড পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটা তেল হতে পারে, বা অন্য কিছু। এই রপ্তানি বিস্ফোরণ, প্রাথমিকভাবে, দেশের আয়কে প্রভূত পরিমানে বাড়িয়ে দেবে। কারণ রপ্তানি করে প্রচুর বিদেশি মুদ্রা দেশে ঢুকছে। এবার এই বিদেশি মুদ্রার পুরোটাই আবার আমদানির জন্য ব্যয় করা হবেনা। অনেকটাই খরচা হবে দেশীয় বাজারে। বিভিন্নরকম সার্ভিসের চাহিদা বাড়বে, যেটা এতদিন না হলেও চলে যাচ্ছিল। ফলে, তিন নম্বর সেক্টর, অর্থাৎ দেশের সার্ভিস সেক্টরে টাকা ঢুকবে, চাহিদা বাড়বে। এবং নির্মান শিল্প, খুচরো বিক্রিবাটা, ইত্যাদি জিনিসের কিঞইৎ রমরমা দেখা দেবে। সোজা বাংলায়, সার্ভিস সেক্টরের বাড়বাড়তন্ত হবে, রকমারি সার্ভিস পয়দা হবে, এবং সেসবের দাম বাড়বে, কারণ বেশি দামের জিনিসের খদ্দের পাওয়া যাচ্ছে।

    এবার, এই দেশের অর্থনীতি যদি বন্ধ-দরজা হয়, অর্থাৎ কিনা বিদেশী মুদ্রার বিনিময় মূল্য যদি সরকার নির্ধারণ করে থাকেন, তাহলে সরকারি বিনিময় মূল্যে এই পরিবর্তনের কোনো প্রভাব পড়বেনা। নমিনাল এক্সচেঞ্জ রেট একই থাকবে, কারণ, তা সরকার নির্ধারিত। কিন্তু প্রকৃত বিনিময় মূল্যের পরিবর্তন ঘটবে। কিরকম? না,সার্ভিস সেক্টরের রমরমা হচ্ছে,জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে,অর্থাৎ যে মাল বিদেশে এক ডলারে পাওয়া যায়, ধরা যাক, সেটা, বা সমমানের জিনিস, আমি এতদিন দশ টাকায় কিনছিলাম। কিন্তু এখন সেটা আমাকে কুড়ি টাকায় কিনতে হবে। ফলে মূল্যবৃদ্ধি এবং রিয়েল এক্সচেঞ্জ রেট হাত ধরাধরি করে বাড়বে। এক নম্বর সেক্টর, অর্থাৎ, বর্ধমান রপ্তানির সেক্টর এটাকে প্রাথমিকভাবে সামাল দেবে কর্মীদের মাইনে বাড়িয়ে, কারণ, এই সেক্টর তখন বিস্ফোরণরত। কিন্তু দুই নম্বর সেক্টর, অর্থাৎ, প্রথাগত রপ্তানিকারকরা মুখ থুবড়ে পড়বে। কারণ, সার্ভিসই হোক, বা শ্রম, তাদের তখন কিনতে হবে বেশি দামে, কিন্তু উৎপাদিত মাল বেচতে হবে একই দামে, কারণ বিদেশি মুদ্রায় তাদের উৎপাদিত জিনিসের দাম বাড়েনি। দীর্ঘমেয়াদে ক্রমশ: এক নম্বর সেক্টরের উপরেও প্রকৃত বিনিময়মূল্যের বৃদ্ধির ছাপ পড়বে। উৎপাদনখরচ বাড়ার ফলে, তাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমতেই থাকবে আন্তর্জাতিক বাজারে। ফলে একসময় রপ্তানি একটি স্থিতিশীল জায়গায় পৌঁছবে, এমনকি কমেও যেতে পারে। এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি একটি বিরাট গাড্ডায় পড়বে।

    এটা গেল, বন্ধ-দরজা অর্থনীতির কথা। দরজা যদি খোলা থাকে, তাহলেও অবস্থার ইতরবিশেষ হবেনা। বরং পুরো জিনিসটা আরও খোলামেলাভাবে ঘটবে। প্রকৃত বিনিময়মূল্যের বদলে পাল্টে যাবে সরকারি, মানে অফিসিয়াল বিনিময়মূল্য, বা নমিনাল এক্সচেঞ্জ রেট। দেশীয় মুদ্রার দাম বাড়বে। ফলে একটা জিনিস রপ্তানি করে আগে যখন দশ টাকা পাচ্ছিলাম, এখন সেই একই জিনিস রপ্তানি করে পাব পাঁচ টাকা। ফল এক ও অভিন্ন। এক নম্বর সেক্টর কিছুদিন কোনোক্রমে চালিয়ে নেবে, কিন্তু দুই নম্বর সেক্টর মুখ থুবড়ে পড়বে। এবং একসময় এক নম্বর সেক্টরের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমে যাবে আন্তর্জাতিক বাজারে। ফলে মন্দা অবশ্যম্ভাবী।

    *****

    তো, এই হল ডাচ অসুখের গপ্পো। এবার সমকালীন ভারতের দিকে তাকান। আইটি নামক একটি সেক্টর উপচীয়মান। আইটি রপ্তানির হার এখনও পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল বিদেশী মুদ্রা ঢুকছে ভারতের বাজারে। আইটি কর্মীদের উপার্জন বাড়ছে, সেটা খরচা হচ্ছে দেশীয় বাজারেই। ফলে সার্ভিস সেক্টরের রমরমা। রিয়েল এস্টেটের বাজার আকাশছোঁয়া। জিনিসের দাম বাড়ছে। বাড়ছে রিয়েল এবং নমিনাল দুই এক্সচেঞ্জ রেটই। লাটে উঠছে ট্র্যাডিশনাল ইন্ডাস্ট্রি, ট্র্যাডিশনাল এক্সপোর্ট। এবং আইটি ইন্ডাস্ট্রিও ক্রমশ: পৌঁছে যাচ্ছে স্যাচুরেশনের সীমারেখায়। নমিনাল এক্সচেঞ্জ রেট বাড়ার অর্থ হল, টাকার দাম বাড়ছে। ডলারের দাম কমছে। একসময়ের পঞআশ টাকা থেকে কমে এখন এক ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে চল্লিশেরও নিচে। ফলে আইটি শিল্পের উপার্জন কমছে।

    ডাচ অসুখ হয়েছে কিনা আমরা জানিনা। তবে লক্ষণগুলি দেখা যাচ্ছে।

    অনেক লম্বা লেখা হয়ে গেল। এবার বাইবাই। :)
  • shyamal | 72.24.206.134 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১০:৫২394444
  • গুরুচন্ডালিতে অনেকেই আই টির লোক হলেও ভারতের অর্থনীতিতে তার প্রভাব নগন্য। জিডিপির ৬% আই টি বা ৬৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে মাত্র ৪১ বিলিয়ন রপ্তানী। বাকিটা দেশের ভেতরে কনজিউমড হচ্ছে।
    আর টাকার দাম বাড়ার ফলে ব্যাক্তিগত ভাবে আমার ক্ষতি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু দেশের লাভ হচ্ছে। কারণ আমদানী, রপ্তানির চেয়ে বেশী আর তার বেশিরভাগই পেট্রোলিয়াম। ভারতের অর্থনীতি এখনও মুলত: ডোমেস্টিক। রপ্তানীর ওপরে নির্ভরশীল নয়। যা বৃদ্ধি হচ্ছে প্রায় পুরোটাই অর্গ্যানিক গ্রোথ। সেজন্য অন্য দেশে কি হল তার ওপরে ততটা নির্ভরশীল নয়।
  • Arpan | 202.91.136.4 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:০৪394445
  • কিছু রিসেন্ট ডেটা দিলাম। তর্কটা চলতে থাকুক এই আশায়। যদিও টইয়ের আলোচনার বিষয়বস্তু আর শিরোনাম খেই হারিয়েছে আগেই। :-)

    http://www.ibef.org/economy/economyoverview.aspx
  • Arpan | 202.91.136.4 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:১১394446
  • শ্যামল,

    ৬% হল ডাইরেক্ট ইমপ্যাক্ট। তাই না? ধরুন, ইনফোসিস রাজারহাট বা বানতলায় আপিস খুলল, তার হাত ধরে আশেপাশে মানুষের কর্মসংস্থান হল, বাড়িঘর-দোকানপাট হল, আইটির লোকের উপার্জিত টাকার খানিকটায় লোকাল ইকোনমি উপকৃত হল। এই ইনডাইরেক্ট ইমপ্যাক্ট ধরলে কি ওটা ৬%-এর বেশি হয় না?
  • lcm | 71.132.137.231 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:৪৮394447
  • শ্যামল একদম সোজা মার্কিন কনসিউমার স্পেন্ডিং বেসড ইকনমি-র সুরে কথা বলছে। সেটা ঠিক আছে, কিন্তু এই ইকনমিতে কারেন্সির শক্তপোক্ত স্টেডি ভ্যালু চাই। ভারতে সমস্যা হল, আয় বাড়ে, এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে টাকার দাম কমে। লো ইনকাম গ্রূপের জনগণের ওপর চাপটা রিলেটিভলি ততটা কমে না।
  • ip | 69.251.184.3 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২৩:৩৬394448
  • শ্যামলবাবু, poverty reduction কেমন হচ্ছে তা নিয়ে এগুলো দেখুন একটু:

    http://www.thehindu.com/2007/10/26/stories/2007102653981200.htm

    It all happened around the same time. The day the Sensex crossed 19,000, India clocked in 94th in the Global Hunger Index — behind Ethiopia...The joy over the stunning rise of the media’s most loved index held on for a bit the next day. The same day, India clocked in as the leading nation in the number of women dying in childbirth. In this list, the second, third and fourth worst countries put together just about matched India’s 1.17 lakh deaths of women in childbirth...

    No Minister came forward to calm the nation when India hit the 94th rank in the Global Hunger Index. That’s out of 118 countries... Ethiopia ranks a notch above us at 93. Pakistan ranks ahead of us, too, at 88.. All our South Asian neighbours do better than us on this index, except Bangladesh. And who knows when it will overtake us? None of the countries boasts an economy growing at 9 per cent a year.

  • ip | 69.251.184.3 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০০:৩২394449
  • NSSO report এ যে poverty reduction এর কথা বলেছেন, এই survey র কিছু basic flaw দেখেছেন কি ?

    ১৯৯৯-২০০০ এর survey বলে bol number কমে দাড়াএ ২৬%, যা ১৯৯৪-৯৫ র থেকে ১০% কম।
    এবোঙ্গ এটকে economic reforms এর সাফল্য বলে claim কর হয়।

    এটআ কতট ঠিক, সেট বোঝার জন্য PL কিভাবে defined হচ্ছে দেখ দরাকর।

    Poverty line er definition:

    Rs. 327 per month per capita for rural India and Rs.454 per month per capita for urban India for the year 1999-2000


    এবারে,
    এই poverty line ১৯৭৩-৭৪ এ কিকরে compute করা হয়েছিলো দেখা যাক।

    The planning commission identified the expenditure group from the NSSO consumer expenditure data, whose expenditure on food fulfilled the calorie norms. The average per capita per month expenditure of this group was fixed as the ‘poverty line’. The
    poverty line was Rs. 49 for rural areas and Rs. 56.6 was for urban areas.


    poverty ratio ১৯৭৩-৭৪ এ কি ছিলো?

    ৫৬।৪% গ্রামে আর ৪৯% শহরে।

    আর তখন calory norms ছিলো:
    গ্রাম এ 2400 Kcal per capita per diem , শহরে 2100 Kcal per capita per diem

    এর মানে টা দাড়ায়,
    in 1973-74, 56.4% population in rural areas did not have sufficient purchasing power to afford 2400 Kcal and 49% population in urban areas could not afford 2100 Kcal

    বেশ।

    এব্বর ৯৯-২০০০ এ poverty line এর incomecalory র হিসেব টা একটু correlate করুন:

    According to NSSO 55th round data the rural poverty line of Rs.327 in 1999-2000 corresponds not to 2400 Kcal but to 1868 Kcal. The rural poverty line, which would correspond to 2400 Kcal, is Rs. 567 and the corresponding poverty ratio is 74.9%.

    Thus in 1999-2000, 74% of our rural population cannot afford 2400 Kcal.

    তা হলে ৭৩-৭৪ থেকে ৯৯-২০০০ এ এসে এই figure টা ৫৬% থেকে বেড়ে ৭৫% এ ধরবো না কমে ২৬% ?

    এই তুলনাতে না গিয়েও just ১৯৯৯-২০০০ এর per capita expenditure, যা required calorie norms এর সাথে correspond করে আর povert line er income টা দেখুন। দ্বিতীয়টি অনেক কম।

    এরপর ও বলবেন, economic reforms এর পর poverty কমেছে ?
  • a x | 24.165.170.54 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৪:৫৩394452
  • আরে আরে কন কি আইপি বাবু - সিঙ্গুরে চাষীরা সব ন্যানো কিনছে আর তারমধ্যে আপনি এইসব কি প্রচার চালাচ্ছেন? এসব তো কোল্যাটেরাল ড্যামেজ, এরকম তো একটু হবেই, খুবই করুণ কিন্তু কি আর করা। আর সাইনাথের লিংকটি আগে একবার দিয়েছিলাম, কি যেন বলেছিলেন শ্যামল বাবু - এই আর্টিকলটি "ওয়াইনিং'এ ভরা" :-)) - সত্যিই তো।
  • shyamal | 72.24.206.134 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৭:০৪394453
  • আই পি বাবু,
    এই সাইনাথ পাবলিকটি কে ? এরকম লেখা ছাপে দেখে আমার "হিন্দু' কাগজের ওপর শ্রদ্ধা প্রচুর নেমে গেল। এটা হচ্ছে অসৎ রিপোর্টিংএর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।

    প্রথমত: ইনি মিথ্যাকথা লিখেছেন। ভারত ঠিকই ৯৪ তম। কিন্তু ইথিওপিয়া ৯৩ নয়, ১১৪। এর পরেও কি এনার কোন ক্রেডিবিলিটি থাকে?

    দ্বিতীয়ত: ইনি সব খবর দেননি। এনার হিডেন অ্যাজেন্ডা হল ভারতের অগ্রগতিকে হেয় করা। সেজন্য ইনি পিক অ্যান্ড চুজ করেছেন। নয়তো ইনি লিখতেন যে ১৯৯০ থেকে ২০০৭ সালে Global Hunger Index 33.7 থেকে কমে 25 হয়েছে। ঐ টেবলেই আছে যেখানে বলেছে ভারত ৯৪তম। এগুলো সবই UNOmillenium development goals এর মধ্যে। বিভিন্ন দেশ ২০১৫ সালের মধ্যে দরিদ্রদের উন্নতি করার একটা গোল সেট করে বোধ হয় ২০০০ সালে। সেই অনুযায়ী ২০১৫ সালে ভারতের GHI হওয়া উচিৎ ১৬। সেদিকে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে।

    কিন্তু এগুলো তো উনি লিখবেন না। কারণ ওনার প্রেমিস হল liberalizationএর ফলে ভারতে গরিবি বাড়ছে। কাজেই খবরের যে অংশ সেই কল্পনাকে ভুল প্রমানিত করে তা উনি কি করে লিখবেন?

    লিঙ্কটা দিলাম : http://www.welthungerhilfe.de/fileadmin/media/pdf/Pressemitteilungen/DWHH_GHI_english.pdf

    ------------------------------------
    আমি কিন্তু একবারও বলিনি যে ভারতে গরীব মানুষ নেই। আমি বলেছি, ১৯৯১ এর পরে ভারত সঠিক পলিসি নেওয়ার ফলে গরীবেরও উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু গরীবদের বেশীরভাগই চাষে নিযুক্ত। আর চাষে একজনের কাজ দশজনে করে বলে আয় প্রচন্ড কম। সেজন্য চাষ থেকে এদের শহরে এমন কাজে আনার প্রচেষ্টা চালাতে হবে যাতে এদের উৎপাদনশীলতা বাড়ে। সেটাই আয় বাড়ানোর একমাত্র উপায়।
  • shyamal | 72.24.206.134 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৭:০৬394454
  • I mean
    ১৯৯০ থেকে ২০০৭ এ ভারতের GHI 33.7 থেকে কমে 25 হয়েছে।
  • shyamal | 72.24.206.134 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১০:২৭394456
  • এস জি বাবু,
    আপনি যে লিঙ্কটা দিয়েছেন, তাতে কোন টা মিথ্যা কিনা জানতে চাইছেন? ইনি বলেছেন, Even Ethiopia managed to reduce the Global Hunger Index by 12.3, compared with the targeted 24.7, and is placed just ahead of India.

    আমি আবার বলছি, আমি অরিজিনাল লিঙ্কটা দিয়েছি আগের পোস্টে। নিজে পড়ে দেখুন। সাইনাথ ডাহা মিথ্যা বলেছেন যে ইথিওপিয়ার GHI ranking ৯৩। আর এই পারমিতা শাস্ত্রী কি বলেছেন? ইনি বলছেন যে ইথিওপিয়া , যে ভারতের চেয়ে অনেক গরীব দেশ, সে ১৯৯০ থেকে ২০০৭ এর মধ্যে দারিদ্র যত % কমিয়েছে , ভারতও প্রায় তত % কমিয়েছে। সংখ্যাগুলো দিলেই বুঝতে পারবেন।

    ১৯৯০ এ ইথিওপিয়ার GHI ছিল 46 আর ভারতের ছিল 33.7। ২০০৭এ ইথিওপিয়ার GHI হয়েছে কমে 33.67 আর ভারতের হয়েছে 25.03। শতাংশ হিসেবে ভারত কমিয়েছে টার্গেটের 49.6% আর ইথিওপিয়া টার্গেটের 49.8% । কিন্তু ভারতের দারিদ্র ১৯৯০এ যেখানে ছিল ইথিওপিয়া ২০০৭ সেই জায়গায়।
    এই টার্গেটটা কিন্তু এক এক দেশের এক এক রকম। ভারতের টার্গেট হল ২০১৫ সালে GHI 16 হওয়া। আর ইথিওপিয়ার টার্গেট হল 21

    পারমিতা আরেকটা কথা বলেছেন। India’s Global Hunger Index Progress Indicator of 0.496 implies that instead of a reduction of 17.6 in the index since 1990, India managed only 8.7 in the 17 years to 2007.
    এটা যে বলেছেন তাতে ওনাকে মিথ্যাবাদী বলতে হয়। আর মিথ্যাবাদী বললে যদি আপনার আপত্তি থাকে তবে বলব উনি নির্বোধ। আপনার ওপরের লাইনটা পড়ে কি মনে হবে? যে ভারতের ১৯৯০ থেকে ২০০৭ এর মধ্যে GHI কমানোর কথা ছিল 17.6, সেই জায়গায় কমিয়েছে 8.7। এটাই মিথ্যা বা নির্বুদ্ধিতা। তার কারণ ভারতের গোল হল 17.6 কমানো ২০১৫ এর মধ্যে, ২০০৭এর মধ্যে নয়।

  • ip | 69.251.184.3 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৩:২৭394457
  • শ্যামলবাবু, আপনার style এই বরং শুরু করা যাক :

    এই শ্যামল পাবলিক টি কে? এরকম লেখে দেখে আমার শিক্ষিত সমাজের উপর শ্রদ্ধা-ভক্তি চলে গেলো। অসৎ interpretation এর জ্বলন্ত নিদর্শন।
    :)

    Axa দিদিমণি, আপনি ঠিক ই কৈয়াসিলেন ! :(

    কাজের কথায় আসি, pick and choose আপনি নিজে তো কম করেন নি।

    ৯২ থেকে ২০০৭ এ index কমার কথা বলে সেটা reforms এর সাফল্যের খতিয়ান বলে দেখাতে চাইছেন।

    ভুল কথা।

    এবং,
    "What is more alarming is the slowdown and near stagnation of the fall in poverty rates in India since 1992...

    India scored 41.23 in the GHI in 1981. There was a substantial fall to 32.73 in 1992. In 1997, it touched 25.73 and continued to remain steadfast at that score even in 2003.
    ...
    Unlike in India, there has been significant fall in the hunger index of both Bangladesh and Mali from 35.73 to 28.27 and 31.97 to 28.07, respectively, between 1997-2003."
    http://www.financialexpress.com/old/fe_full_story.php?content_id=143372


    অতএব, ৩২ থেকে ২৫ এ নামা টা ১৯৯৭ তে ই হয়ে গেছিলো, তারপর আর কোনো change প্রায় হয়েনি, ২০০৩ ই না, ২০০৭ অব্দিও।
    আর এই syagnationalarming

    SG, Paramita Shashtry link ত দিতে গিয়ে দেখি আপনি দিয়ে দিয়েছেন, ধন্যবাদ।

    শ্যমল বাবু, আবার ও pick and choose করলেন।

    ২০১৫ এর জায়গা তে ক্যানো ২০০৭ এ target achieved হয়েনি বলেছেন বলে লেখিকাকে মিথ্যাবাদী বল্লেন, ওদিকে ওনার লেখা পরের line টা বেমালুম হজম করে গেলেন !!

    লেখা ছিলো:

    'India’s Global Hunger Index Progress Indicator of 0.496 implies that instead of a reduction of 17.6 in the index since 1990, India managed only 8.7 in the 17 years to 2007.

    এবং পরের line

    The full target may be difficult to achieve in the remaining eight years, says the report. '


    :)

    আর আমিও একবার ও বলিনি যে আপনি বলেছেন যে দেশে গরীব নেই।
    আপনি যা বলেছেন সেটা হলো economic reforms এর ফলে দারিদ্র্য কমেছে, তার প্রমাণ হিসেবে আপনি NSSO r data দেখিয়েছেন। আমার কথা ছিলো সে হিসেবে flaw আছে, আর ঠিকমত দেখতে গেলে calory norms অনুযায়ী সেই হিসেব বলছে দারিদ্র্য বেড়েছে। আপনি সে point টা সযত্নে এড়িয়ে গেছেন।

  • ip | 69.251.184.3 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৪:৩০394458
  • Sainath প্রসঙ্গে,
    উনি ethiopiaranking টা ভুল লিখেছেন। India র আগে 93 rankEthiopia না, Sudaan আছে।
    তো ?
    Ehiopia র থেকে কম হওয়াটা লজ্জার (rather Ethiopia r উপরে থাকাটা গর্বের ) আর সুদান এর থেকে কম
    হওয়াটা নয়?

    আর Ethiopia র কথা ওনার লেখায় এসেছে DNA র একটি report এর basis এ:

    "The daily, DNA, though, did capture the essence of the story with its report: “Ethiopians manage hunger better than us.” For indeed, they do these days. At least by the measure of the International Food Policy Research Institute’s Global Hunger Index...

    Draw the baseline anywhere in the 1990s, and you’ll find Ethiopia worked better at reducing hunger than we did.


    লক্ষণীয়, ৯৩ rank টি ভুল হলেও শেষ statement টি ঠিক এবং সেটি ই প্রতিপাদ্য।

    Paramita Shashtry লেখাটা দেখুন:

    Even Ethiopia managed to reduce the Global Hunger Index by 12.3, compared with the targeted 24.7, and is placed just ahead of India. With a reduction of 4.4 from its target of 6.9, China is 10 places ahead of India.

    আমার ধারণা, "is placed just ahead of India" এই statement টা ধরেই হয়তো SainathIndia র আগের rank তা বসিয়েছেন Ethiopia র জন্য , কিন্তু এটা hunger reduction index এর ক্ষেত্রে, Hunger index ক্ষেত্রে নয়।

  • Arpan | 202.91.136.4 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৫:১৭394459
  • যাহারা এই টইতে ডেভেলপমেন্ট মডেল লইয়া তরজা চালাইতেছেন তাহাদের কাছে শুরুতে ক্ষমা প্রার্থনা করিলাম প্রসঙ্গান্তরে যাইবার জন্য। :-)

    প্রসঙ্গ: গদি উল্টাইতে গেলে কী করিতে হইবে।

    কী করিতে হইবে কেউ জানে না। কারণ বহুবিধ, বহুশ্রুত এবং বহুআলোচিত। টুকরোটাকরা যেইসব খবর গোচরে আসিতেছে, সেইগুলি সবই "কী হইতেছে'। তাহাদিগের কিঞ্চিৎ নমুনা এইখানে সাঁটিয়া দিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিতেছি।

    http://www.anandabazar.com/archive/1080211/11raj3.htm
    http://www.anandabazar.com/archive/1080212/12raj3.htm

    টিপ্পনী: একটু টেকনিক্যাল জার্গন আউড়ানোর লোভ সামলানো যাইতেছে না। যেকোন বড় কাজের প্রাথমিক হিসাব ও খসড়া বানাইবার দুইটি সর্বজনগ্রাহ্য ও সর্বজনমান্য উপায় আছে। একটিকে বলে বটম-আপ অ্যাপ্রোচ ও অন্যটি টপ-ডাউন অ্যাপ্রোচ। প্রথমটি অনেক সময়সাপেক্ষ ও পরিশ্রমসাধ্য। পরেরটি সহজ, দ্রুত ও অনেকাংশেই গোঁজামিল সহযোগে প্রস্তুত।

    ঘটনাপ্রবাহের গতিমুখ দেখিয়া ইহারা প্রথম প্রণালীটি মানিয়া চলিতেছে এইপ্রকার সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া অবিমৃশ্যকারিতা হইবে। আর কালিদাস সাজিবার জন্য একটিমাত্র মুহুর্ত যথেষ্ট। বিগত কয়েক বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস আমাদের সেই অনুপম শিক্ষা দিয়াছে। এইবার চাকা ঘুরিবে এই কুহক আশা আপনার মনে বাসা বাঁধিলে নিচের লিংকটি পড়িতে অনুরোধ করি।

    http://www.aajkaal.net/cat.php?hidd_cat_id=2

    ভবিষ্যতে কী করিলে পরে কী হইবে বিদগ্‌ধজনের সেই টপ ডাউন প্রচেষ্টায় আস্থা না রাখিয়া মূঢ়ের ন্যায় এই কয়খানি কথা লিখিয়া গেলাম।

    (মাইরি এই লাইনটা বাদ দিয়ে পুরোটা ইটালিক্সে দেখার বড় সাধ ছিল। কিন্তু ল্যালাদের সাধ আর চাঁদের পো.. দুইই সমান।)
  • sg | 203.197.115.39 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:২০394460
  • ip-কে ধন্যবাদ। যে কথাগুলো বলতে চেয়েছিলাম সেগুলো আপনি অনেক গুছিয়ে বলে দিয়েছেন।
  • ranjan roy | 122.168.70.209 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২২:১৬394462
  • শ্যামলবাবুর প্রতি আমার আস্থা একটুও কমে-বাড়ে নি।
    কিন্তু, ওনার ভুল ধরা আর পি সাইনাথ ও পারমিতা শাস্ত্রীকে মিথ্যুক কমপ্লিমেন্ট দেয়া দেখে স্বামীজির একটা ঘটনা মনে পড়লো।
    শিকাগো ধর্মমহাসভা থেকে ফেরার পর ওনার জয়জয়কার। কিছু ভাটপাড়ার টুলো পন্ডিতের পেছন জ্বলে গেলো। তাঁরা বল্লেন- এই সিমলের নরেন, সেদিনের ছোকরা হিন্দুধর্মের কি জানে? ও কি করে হিন্দুধর্মের আগমার্কা প্রতিনিধি হবে?
    যাহোক, সেই পন্ডিতমন্ডলীর সঙ্গে স্বামীজির শাস্ত্রবিচার শুরু হলো-- জমে উঠেছে (সংস্কৃতে চলছে গোলাগুলি)। এমন সময় স্বামীজি মুখ ফস্কে একজায়গায় ""অস্তি'' বলতে গিয়ে ""স্বস্তি'' বলে ফেল্লেন।
    আর, যায় কোথায়! পন্ডিতেরা মহোল্লাসে তুড়িলাফ দিয়ে উঠলেন। জিতে গেছি, জিতে গেছি ভাব।
    --যে ব্যাটা দেবভাষাটাই ঠিকমত বলতে পারে না, সে ঐ ভাষায় লেখা শাস্তর কি বুঝবে?
    স্বামীজি বিরক্ত হয়ে সভা ছেড়ে যাবার সময় খালি বল্লেন- এরা কলার শাঁস ছেড়ে কলার খোসা নিয়ে টানাটানি কচ্চেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন