এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 220.226.209.5 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:০৭394397
  • র- সাব্বাশ। আমার প্রশ্নে সত্যিই একটা বর্ণভেদের গন্ধ ছিলো। হাত তুললাম।
    কিন্তু প্রশ্নটা গন্ধ তুলে আবার রাখলাম। সত্যি এমন দেশ আছে কি যেখানে ৫০%এর বেশী মানুষ দারোয়ান, ড্রাইভার, বাড়ির বা দোকানের কাজের লোক ?
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:২৪394398
  • ৫০% মানুষ সার্ভিস ইন্ড্রাস্ট্রি তে, মানে ৫০% মানুষ সার্ভিস ভোগ করছেন। রেসিও ১:১ !!!

  • Arijit | 128.240.229.65 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:১৮394399
  • আমার একটা গপ্পো মনে পড়লো - অনেকদিন আগে দেশে পড়েছিলাম -

    কেমব্রিজ বা অক্সফোর্ডের এক অংকের প্রফেসরের বাড়িতে জলের পাম্প খারাপ হয়ে গেছে। তো তিনি টেলিফোন বই খুঁজে এক প্লাম্বারকে ফোন করলেন। প্লাম্বার ভদ্রলোক বল্লেন - আমার রেট ঘন্টায় ৫০ পাউন্ড। এই আমি রওনা দিচ্ছি - এখন থেকে টাইম রাখুন। তো তিনি এসে পাম্প ঠিক করে দিয়ে জিনিসপত্র গুছোচ্ছেন - প্রফেসরমশাই বল্লেন - কিছু মনে করবেন না, আমি কেমব্রিজের অংকের প্রফেসার হয়ে পাই এত পাউন্ড, আপনি তো আমার চেয়ে বেশ কয়েকগুণ বেশি আয় করেন। প্লাম্বারমশাই বল্লেন - কোন ইউনিভার্সিটি বল্লেন? কেমব্রিজ? আমি ওখানে ফিজিক্সের প্রফেসার ছিলাম।

    মনে পড়লো - তাই বল্লুম - এই থ্রেডের সাথে হয়তো সম্পর্ক নেই।

    অন্য একটা জিনিস বলার ছিলো - এই সার্ভিসের ইক্যুয়েশানটা এত লিনিয়ার হলে এই উন্নত দেশে এর ক্রাইসিস থাকতো না। ক্রাইসিস বলেই প্রচণ্ড খরচ, আর তাই লোকে এই বাড়ি-টাড়ির কাজ - মানে দেওয়াল গাঁথা, প্লাম্বিং, ইলেক্ট্রিকের কাজ, প্লাস্টার, রং - এমনকি ফ্লোরিং - সব নিজে নিজে করে। এরকম DIY চালু হলে এই এত্ত লোক যারা দুম করে বিল্ডার হয়ে যাবে তারা কোথায় যাবে?
  • Arijit | 128.240.229.65 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:২১394400
  • এবং দ্বিতীয় কথা হল শ্যামলবাবু হয়তো প্রমাণ করতে চাইলেন যে উনি (৭) নম্বর পয়েন্টের মধ্যবিত্ত নন, তবে গ্রাম থেকে লোকেদের তুলে এনে শহরের বস্তিতে ভরে রাখতে কোনো আপত্তি নেই (পয়েন্ট ৬)। হাইরাইজ চাই, হাইরাইজ, পাশে দুটো ধারাভি হোক ক্ষতি নেই - হাইরাইজ তৈরী হয়ে গেলে বুলডোজার তো আছেই...
  • kallol | 220.226.209.5 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:২৩394401
  • না ব্ল্যাংক- রেশিও তা নয়। হিসাব মত ৫০:৫৪ অর্থাৎ ১:১ ও নয়।
  • kallol | 220.226.209.5 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:৩৩394402
  • আর তাছাড়া সার্ভিস ইনডাস্ট্রি বললে হবে না। সেতো ব্যাংক, আইটি, ট্র্যাভেল এজেন্সি, শেয়ার ব্রোকিং, কুরিয়ার - সবই সার্ভিস। সেরকম তো নয়। ঐ ৫৮% শুধু দারোয়ান, ড্রাইভার বা বাড়ি/দোকানের কাজের লোক।
    এটা বুঝতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের জন্য একজনের বেশী দোকান কর্মচারী / বাড়ির কাজের লোক /ড্রাইভার / দারোয়ান। এদের কি মাইনে দিতে হবে? না এরাই কাজ করার জন্য নিয়োগ কর্তাকে টাকা দেবে?
  • Arijit | 128.240.229.65 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:৩৮394403
  • গুগুল মিছেই বড় হাতের ও দিয়ে এত চেল্লামিল্লি করে - ইক্যুয়েশনগুলো কত লিনিয়ার...
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:৫৭394404
  • কল্লোল দা, আমি এখানে 'সার্ভিস' বলতে ঐ বাড়ির কাজের লোক, ড্রাইভার, দারোয়ান এদের ই বলেছি।
    মাথা পিছু একজনের ও বেশী। এতো পুরো, সেই কোলকেতার 'বাবু' কালচার হয়ে গেল।
    তখন ই জানতুম যে আমরা ইংরেজ আমলে বেশী ভাল ছিলুম, অনেক ভাল অর্থনৈতিক বিন্যাস ছিল :)
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৮:০৭394405
  • নাহ, অজ্জিত দার কথা মানা গেল না। ইক্যুয়েশান টা লিনিয়ার না। এটা সার্কুলার।
    এক একটা লোক পিছু, এক এক জন কাজের লোক। মানে ফ্যামিলি তে যত জন লোক তত জন কাজের লোক। তো মাইনে দিতে দিতে এক সময় 'বাবু' রা ফতুর হয়ে যাবে, আর 'কাজের লোক' রা তখন 'বাবু' হয়ে যাবে।
    ফলে এতদিন যারা 'বাবু' ছিল , তারা হবে 'কাজের লোক'। এই ব্যপার টা চক্রাকারে চলতে থাকবে। সার্কুলার ইকনমি (ভাগ্যিস দুক্কুর বেলা গলায় দু পাত্তর ঢেলেছি)।
  • r | 59.162.191.115 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৮:৪২394407
  • মেনে নিচ্ছি শ্যামলবাবুর পুরো সমাধান অতিসরলীকরণদোষে দুষ্ট, বা, অনেকটাই কথার কথা।

    কিন্তু, এক, এই সমাধানের পিছনে একটা মেইনস্ট্রিম অর্থনৈতিক চিন্তাধারা আছে, যেটা অর্থনীতির মহলে আলোচনাযোগ্য চিন্তাধারা। সেই পথ ঠিক না ভুল সেটা অন্য প্রশ্ন। কাজেই শুধু টিটকিরি না মেরে, বা একটি দুটি পয়েন্ট বিচ্ছিন্ন করে না দেখে, কেউ যদি পুরো প্রকল্পটার পয়েন্ট বাই পয়েন্ট সমালোচনা করেন তাহলে ভালো হয়।

    দুই, আমাদের আলোচনার ঝোঁক থাকে "কি করা উচিত নয়" তার দিকে। সেই বাজারে কেউ যদি কিংকর্তব্য প্রকল্প নিয়ে সাহস করে এগিয়ে আসেন, আমার মনে হয় তার সাধুবাদ প্রাপ্য। যারা চালু অর্থনীতি মডেলের বিরোধিতা করে আন্দোলন করেন, তাদের একজনও কিন্তু বিকল্প কোনো তাঙ্কিÄক ছকের খোঁজ দিতে পারেন নি, সবেধন নীলমণি অমিত ভাদুড়ি ছাড়া। অতএব, শ্যামলবাবুর মডেলের সমালোচনার সাথে সাথে দুই একটি বিকল্প মডেলের গল্পও শুনলে ভালো লাগবে।

    কিন্তু,

    বাই দ্য ওয়ে, সি পি এম হঠানোর আহ্বানে এই সব প্যাঁচাল ঢুকল কি কইর‌্যা? ;-)
  • Arijit | 128.240.229.65 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৮:৫১394408
  • শ্যামল যদি এট্টু কঠিন করে থিওরীটা দেন, বা এট্টু অংক টংক কষেন তাইলে ভাববো। কিন্তু আপাতত এটা বেজায় সরলীকৃত, কাজেই...;-)
  • shyamal | 72.24.206.134 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৯:০০394409
  • কল্লোল,
    আবার একটা ভুল করলে। ভারতে ১১০ কোটি লোক। কিন্তু সবাই কাজ করেনা। কত কোটি বাচ্চা আর বুড়ো আছে? ২০০৭ এর হিসেব মত ৫১ কোটি কর্মি। এর ৬০% মানে প্রায় ৩০ কোটি চাষ করে। অর্থাৎ ৫৪% মানে হল ২৭ কোটি যারা চাষ থেকে অন্য কাজ করবে। এদের মধ্যে সিংহভাগ কনস্ট্রাকশনে কাজ করবে। কনস্ট্রাকশন এমন নয় যে ফ্ল্যাট বানানো শেষ হয়ে গেলে ( দশ / পনের বছর বাদে) এই সেক্টর বন্ধ হয়ে যাবে। যাদের এখন পুরোনো বাড়ি আছে সেগুলো ভেঙ্গে তখন নতুন বাড়ি হবে।
    আর ড্রাইভার , মেকানিক এগুলো কি খারাপ কাজ ? কাজের কোন ইজ্জত নেই, শুধু আয়ের তারতম্য রয়েছে। আজকাল এরা কত আয় করে কোন ধারনা আছে? আমি কিছুকাল মাঝে কলকাতায় ছিলাম। ২০০৪ সালে ড্রাইভার নিত ২৭০০ টাকা মাসে। ২০০৭ এ আমার দাদা দিচ্ছে ৩৫০০ টাকা । এখন যার স্কিল আছে তার ডিমান্ড বিরাট বাড়ছে। আমাদের যে কাজের মহিলা ছিল, নিরক্ষর। ঘড়ি পর্যন্ত দেখতে জানেনা। তিন বাড়ি কাজ করে ২০০০ টাকার ওপর আয় করত। আমার বৌকে তার বাড়ি কোন পুজোয় নেমন্তন্ন করেছিল। পীয়ারলেস হাসপাতালের পেছনে বস্তিতে থাকে। পাকা বাড়ি। ভেতরে প্লাস্টার করা। টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান সব আছে। খুব সম্ভব সেকেন্ড হ্যান্ড। অবশ্য এদের অবস্থা বস্তির অন্য লোকের চেয়ে ভালো। বাড়িতে চারজন আয় করে।
    এটা ঠিক যে কলকাতার বস্তিতে যারা থাকে তাদের আয় হয়তো বর্ধমানের বস্তির চেয়ে বেশী হবে।
    এবার আমাকে বল ঐ ২৭ কোটি লোক যাদের বেশিরভাগ চাষি নয়, ভূমিহীন কৃষি শ্রমিক, তারা কত পায়? বছরে কত দিন তাদের কাজ থাকে ?
  • Arijit | 128.240.229.65 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৯:১২394410
  • কোনো কাজই খারাপ নয়, অকাজ না হলেই হল। মুশকিলটা হচ্ছে এই এটা হলে ওটা হয়ে যাবে (আপনা আপনিই), সেটা হলে আরেকটা হয়ে যাবে (আপনা আপনিই) - এই লিনিয়ার ইক্যুয়েশনটা কিছুতেই হজম হচ্ছে না। পড়ে থেকে বার বার মনে হচ্ছে "যেমন চালাও তেমনি চলি'...

    সিঙ্গুর/নন্দীগ্রাম বা ওদিকে দিল্লী/হরিয়ানার দিকের প্রচুর ঘটনা, উড়িষ্যা - এগুলো সবকটাই কি প্রমাণ করে না - যে চাষ থেকে সরিয়ে নিলেই সবাই অন্য কাজ শিখে রাতারাতি (আপনার লেখাতেই এই শব্দটার ব্যবহার আছে) পাল্টে যাবে - ব্যাপারটা এত লিনিয়ার নয়? এতসব ঘটনাকে কন্সপিরেসী থিওরী দিয়ে উড়িয়ে দেওয়াটা খুব চাপের।

    দাভোসের উল্টোদিকেও বেশ কিছু সংখ্যক লোক আছেন...
  • ip | 128.231.88.5 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১০:০৬394411
  • শ্যামল বাবু, চাষি ভাগচাষি র কথা যখন তুল্লেন, তখন সিঙ্গুরের হিসেব টা নিয়েই শুরু করা যাক। সরকারি হিসেব মতেই ১২,০০০ জনের নাম ক্ষতিপুরণের তালিকা তে আছে,এর মধ্যে ভাগচাষি রা নেই।
    NSS এর report বলে ৪০% ভাগচাষি , তাহলে ৮,০০০। এরা কিন্তু কোনোরকম ক্ষতিপুরণ ও পায়েনি।

    এখনো অব্দি Tata direct employment training এ সিঙ্গুর থেকে দুই phase এ সাকুল্যে ৯৭ জনের employment হবে জানিয়েছে।। সেদিন নিরুপম সেন বোল্লেন, direct +indirect মিলিয়ে সিঙ্গুরের গোটা দুইহাজার মানুষের employment হবে।

    এবার বাকি ১৮,০০০ সিঙ্গুরের লোক জনের কি হবে ?
    ঐ কারখানা তৈরির পর কবে সেখানে পান বিড়ি র দোকান দিতে পারবে, ওখানে residential complex তৈরি হলে সেখানে বাড়ি তৈরি র সময় , তারপর security guard হয়ে এই সব লোক employed হয়ে যাবেন তো ?

    ওহ, ঐ nano বাজারে এলে মফ্‌স্‌বলে এ লোক এ বাড়ি করবে, তখন মজুর লাগবে, তারপর বাড়ি ভেঙ্গে গেলে আবার বাড়ি তৈরি
    করবে, দয়া করে আবার এই যুক্তি হাজির করবেন না।

    Tata র সুবিধা দেখেতে গিয়ে এভাবে একটা multicrop land কেড়ে নিয়ে এভাবে industrialisation করে সিঙ্গুর এর লোকেদের নতুন কর্মস'ম্‌গস্থান, উন্নয়ন করা হচ্ছে বলাটা CPM এর ভাওতাবাজি নয় কি ?

    আর, ঐ ভাগচাষি দের সারাবছর কাজ এর কথা তুলেছেন। এর জন্য কিন্তু NREGS scheme ছলু হোএছে, ১০০ দিন কাজ দেবার জন্য, সেটা র ঠিকঠাক implementation হয়না, এ average এ ১৪ দিন এর কাজ হয়, তাও minimum wage আন্যন্যো রাজ্যের থেকে কম, (দিন্‌হাটা র বিক্ষোভের এর সেটা একটা main issue ছিলো)।সেগুলো নিয়ে তো প্রশ্ন তোলেন না !
  • shyamal | 72.24.206.134 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১২:০২394412
  • আই পি বাবু,
    আপনার সঙ্গে আমার বেসিক তফাৎ আছে।আমি মনে করি
    ১। সরকার মা বাপ নয়। কোম্পানী মা বাপ নয়। প্রত্যেক অ্যাডাল্ট তার নিজের আর পরিবারের উন্নতির জন্য দায়ী।
    ২। NREGS একটি মরালি করাপ্ট পলিসি যেটা মনমোহন সিং, সিপিএমের চাপ না থাকলে কখনো সমর্থন করতেন না। ট্যাক্সের টাকায় গরীবের উন্নতি করার জন্য যে প্রতি ১০০ টাকা খরচ হয় তার ১৪ টাকা আসল গরীব পায় আর ৮৬ টাকা যায় মধ্যবিত্ত আমলা, কেরানি আর মিডলম্যানের পেটে।
    ৩। বুদ্ধদেবের সরকার সিঙ্গুরের ব্যাপারটা ঠিক হ্যান্ডল করেনি। উচিৎ ছিল সরকারের মধ্যস্থতায় টাটা আর জমির মালিকদের মধ্যে সরাসরি নিগোশিয়েশন।
    ৪। ভাগচাষিদের জমি নেই। তারা চাকরি করত। তারা ক্ষতিপুরণ পাবে কেন? আজ যদি আরেকটা কোম্পানী এসে আমি যে কোম্পানিতে চাকরি করি তাকে কিনে নিয়ে আমাকে ছাড়িয়ে দেয়, নতুন কোম্পানি কি আমাকে ক্ষতিপূরণ দেবে? কেন দেবে?
    ৫। সিঙ্গুরের লোকেদের সিঙ্গুরেই থাকতে হবে এমন কোন মাথার দিব্যি কেউ দেয় নি। তারা ভারতের যে কোন জায়গায় কাজ খুঁজে নেবে। প্রতি বছর বিহার আর ইউ পি থেকে দলে দলে কৃষি শ্রমিক পাঞ্জাব, হরিয়ানায় যায় চাষের কাজ করতে।
    ৬। সরকারের কাজ তাহলে কি? সরকারের কাজ হল একটা পরিবেশ গড়ে তোলা যেখানে লোকের কাজের সুযোগ তৈরী হয়। এর জন্য কি করা দরকার আগে কিছুটা বলেছি।

    সরকারের উচিৎ ফ্রি স্কুল আর চিকিৎসা কেন্দ্র বানানো যাতে বাচ্চারা পড়াশোনা শিখতে পারে। যারা স্কিল শেখাতে পারবে সেসব সংস্থাকে বিপূল ভর্তুকি দেওয়া যাতে গরীব লোক ফ্রিতে রাজমিস্ত্রি, ইলেকট্রিসিয়ান, ড্রাইভার, প্লাম্বার ইত্যাদি হতে পারে। এদের ডিমান্ড এখন প্রচন্ড। শিক্ষার অভাবে অনেকেই ভুল পথে যায়। টাটার দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা হয়তো এক বছরে উড়িয়ে দেবে। সরকারের উচিৎ NREGS এর ১৫০০০ কোটি টাকা ঐ ভাবে খরচ না করে প্রতি একশো গরীব পরিবারের জন্য একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার রাখা যে ঐ একশো পরিবারকে গাইড করতে পারবে কি করলে কাজ পাওয়া যায়, কি ভাবে জমানো টাকা ইনভেস্ট করা উচিৎ ইত্যাদিতে। এটা ফুল প্রুফ উপায় নয়। এতেও করাপশন হবে। কিন্তু return on investment অনেক বেশি হবে বলে আমার ধারণা।

    Give a man a fish; you have fed him for today. Teach a man to fish; and you have fed him for a lifetime

    আজ যে সব বহুতল হচ্ছে তার বেশিরভাগই উচ্চমধ্যবিত্ত আর মধ্যবিত্তের জন্য। সরকারের উচিৎ যে সব বিল্ডার দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকার ছোট, নো ফ্রিল্‌স ফ্ল্যাট বানাতে চাইবে তাদের ভর্তুকি দেওয়া। এই সব ফ্ল্যাটের ক্রেতারা যাতে কুড়ি/তিরিশ বছরের লোন পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা। তবে ব্যাঙ্ক অবশ্যই দেখবে ক্রেতার লোন ফেরৎ দেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা। সাব প্রাইম চাইনা।

    সরকারকে সমস্ত প্রকার ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সে নবরত্নই হোক আর যাই হোক।

    কোম্পানিদের ডায়নামিক হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সেজন্য দরকার
    ১। যে কোন কোম্পানি যাতে সরকারের অনুমতি ছাড়া উঠে যেতে পারে সেই নিয়ম আনা।
    ২। কোম্পানিরা যাতে যে কোন কর্মচারি নিতে বা ছাড়াতে পারে সরকার বা ইউনিয়নের অনুমতি ছাড়া।
  • a | 220.226.76.13 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:২১394413
  • তাইলে সংবিধানের মৌলিক অধিকার আর directives গুলোর কি হবে?

    তাছড়া, ঐ ভাগচাষীর একটা competence আছে, সে দুম করে আরেকটাতে যাবে কেন? Given যে সেটার competition and stability is not proven yet?

    আর আয় বাড়লেও ক্রয়ক্ষমতা বাড়বেই একথা কি মাথার দিব্যি দিয়ে বলা যাবে?

    আমার মতে, এখন corruption has become the system। এই একটা জায়্‌গায় যদি substantially control আনা যায় তাহলে দারিদ্র্য অনেকটাই কমবে। (এই বিষয়ে মনে হয় শ্যামল বাবুর সাথে একমত)। আর এই কাজটা শুধু সদিচ্ছা দিয়েই করা সম্ভব, কোন কঠিন মডেল ছাড়াই :)
  • shyamal | 72.24.206.134 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২২:১৭394414
  • সংবিধানের কোন মৌলিক অধিকার violate হচ্ছে না। কিছু directive হয়তো হচ্ছে। যেমন একটি directive আছে, the state shall strive to implement right to work for all। এর মানে কি তা কোর্টই বলতে পারবে। আমি বলব কাজ করার অধিকার অলরেডি আছে। কিন্তু বলেনি যে state shall provide job to everyone। দুটোর মধ্যে বিস্তর ফারাক।

    ভাগচাষির কম্পিটেন্স নিয়ে সে দুটো কাজ করতে পারে। হয় অন্য জেলা বা অন্য রাজ্যে কাজ খুঁজতে পারে যেখানে তার কম্পিটেন্সের দাম আছে। অথবা অন্য স্কিল শিখে নেবে। এটা একুশ শতক, বিশ বা উনিশ শতক নয়। এখন পরিবর্তনকে না মেনে নেওয়াটা গোঁয়ার্তুমি। একজন লোক টেলিগ্রাফ অফিসে কাজ করত এবং খুব কম্পিটেন্ট ছিল টেলিগ্রাফ যন্ত্রে। তার পরে ফ্যাক্স আর সেল ফোন আসার পরে আর কেউ টেলিগ্রাম করেনা। সে কি তার কম্পিটেন্স ধুয়ে জল খাবে? না অন্য কিছু শিখবে যার বাজার আছে? এই স্কিল শেখানোর দায়িত্ব সরকারের, সে যদি শিখতে চায়।

    আয় বাড়লেই ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে যদি না মুল্যবৃদ্ধি হয়। আর চিদাম্বরম ইনফ্লেশনকে ক®¾ট্রালে রেখেছেন। ইনফ্লেশন তখনই হয় যখন লোকের হাতে টাকা আছে অথচ বাজার কোন দ্রব্যের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। ষাট, সত্তরের দশকে হত কারণ সরকারের আমদানী করার বিদেশী মুদ্রা প্রায় ছিলইনা। এখন সরকারের হাতে ডলার ভর্তি। চাল, তেল, টিভি কম পড়ছে ? আমদানী কর। ইনফ্লেশন হবেনা।

    করাপশন দুভাবে কমানো যেতে পারে। এক, যথাসম্ভব সরকারকে ছোট করা। সরকারের ইন্সপেকটর কমানো। করাপশন হয় সেখানেই যেখানে সরকারি কর্মচারীদের ক্ষমতা আছে লাইসেন্স দেওয়ার -- সে ড্রাইভার লাইসেন্সই হোক আর নতুন ব্যবসা শুরুর লাইসেন্সই হোক। এগুলোকে প্রাইভেটাইজ করতে হবে আর একাধিক প্রাইভেট কোম্পানিকে কাজ দিতে হবে যাতে তাদের মধ্যে কম্পিটিশন থাকে ভালো কাজ দেখানোর। লাইসেন্সের সংখ্যা যথাসম্ভব কমাতে হবে। সিঙ্গাপুরে কেন একটা ফর্ম ভরে ব্যবসা শুরু করা যায় আর সেখানে কলকাতায় লাগে কুড়ি তিরিশটা ফর্ম?
  • a | 220.226.56.250 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২৩:২০394415
  • উইকি থেকে

    They(Fundamental Rights) also forbid trafficking of human beings and forced labour.

    এখানে আপনার তত্বে Forced Labor হচ্ছে, তাই Fundamental rights violate হচ্ছে।

    আবার উইকি থেকে,

    The State shall endeavour to provide the right to work, to education and to public assistance in cases of unemployment, old age, sickness and disablement, within the limits of economic capacity

    স্পষ্ট করে বলা আছে যে রাষ্ট্রকে বেকারদের কাজ দেবার সুযোগ করে দেবার দিকে মনোযোগী হতে হবে। সুতরাং আপনার মনগড়া ব্যাখ্যা ঠিক নয়। তাছাড়া ঐ একি sentence এ শিক্ষার কথাও বলা আছে। অতএব, আপনার যুক্তি অনুসরণ করে চললে সরকার শিক্ষাই বা দেবে কেন?

    এবার, বাজে যুক্তির বিরুদ্ধে একটা বাজে যুক্তি দি, সরকার ছোটো করে দিলে উদ্ব্রত্ত (এক্সেস) লোক কি করবে? মানে আপনার মডেলে তারা কি করবে সেটা আপনি বলেন্নি তো...
  • a | 220.226.56.250 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২৩:৩৯394416
  • আরেকটা কথা, inflation কি শুধু বাজারে supply demand এর সাথে connected ? এর আর কোন অর্থনৈতিক কারণ নেই? অর্থনীতিবিদেরা কি বলেন?

    টাকা আছে আমদনি কর, inflation হবে না... এই সূত্রে আম্রিগায় inflation আটকানো যায়না কেন?

    আর, আপনার ঐ ৬% এর থেকে ৫৪%এর differenece কোনদিন কমবে না, ফলে (যেহেতু দুজনেই এখন শহরে এসে গেছে) একি বাজারদরে দুজনের ক্রয়ক্ষমতার difference ও কমবে না। (খুব basic linear model আর কি, যেখানে বাজার দর যার ক্রয়ক্ষমতা বেশী তার ক্‌থা ভেবে তৈরী হয় না, যেখানে আমার মাইনে বাড়লে আমার ড্রাইভারের, কাজের মাসির, রাজমিস্ত্রীর সবার মাইনে বাড়ে ইত্যা:)

    তাহলে ঐ বস্তির আলো-পাখা-শিক্ষা এসব ছাড়া সেই ভাগচাষীর কি উন্নতি হল?
  • shyamal | 72.24.206.134 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:১৪394418
  • কি করে আমার তঙ্কেÄ forced labor হচ্ছে বুঝলাম না। forced labor মানে বুঝি যেখানে একজনের অনিচ্ছা সঙ্কেÄও তাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে পয়সা দিয়ে বা না দিয়ে। অর্থাৎ যেমন slavery

    আপনি যেটা বলেছেন, The State shall endeavour to provide the right to work, to education and to public assistance in cases of unemployment, old age, sickness and disablement, within the limits of economic capacity , সেটা article 41, directive principles। এগুলো শুধু গাইডলাইন। These provisions, contained in Part IV of the Constitution of India, are not enforceable by any court.

    রাষ্ট্রকে বেকারদের কাজ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আপনিও একই কথা বলেছেন। আমিও একমত। কোথাও বলেনি রাষ্ট্রকে বেকারদের কাজ দিতে হবে। বলেছে কাজ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমি সেই সুযোগ করে দেওয়ার উপায় সম্বন্ধেই বলে আসছি। সুযোগ হবে যদি অর্থনৈতিক অ্যাক্টিভিটি বাড়ে।

    সরকার ছোট করে দিলে উদ্বৃত্ত লোক কি করবে? কোন কোম্পানী বন্ধ হয়ে গেলে বা লে অফ করলে উদ্বৃত্ত লোক কি করে? অন্যত্র কাজ দেখে। তাই করবে। সরকার কি চাকরী দেবার সময়ে বলেছে, তুমি সরকারী কর্মচারি হইলে, অতএব এখন হইতে তোমার অবসর এবং মৃত্যু অবধি সব দায় আমার অর্থাৎ করদাতাদের। আজ হইতে তুমি করদাতাদের পালিত সন্তান।

    আপনি দ্বিতীয় পোস্টে কি লিখেছেন ক্রয়ক্ষমতা, বাজার দর ইত্যাদি নিয়ে, বুঝলাম না। একটু বিশদ ভাবে লিখুন।

  • Ishan | 12.240.14.60 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৩:০৮394419
  • শ্যামলবাবুর মডেলটা পুরোপুরিই মার্কিন উন্নয়নের মডেল।

    এক। বেসিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের দিকটা সরকার দেখবে। কিন্তু বাকি সব জায়গা থেকে হাত গুটিয়ে নেবে। সোজা বাংলায় বললে সরকার গাড়ি বানাবেনা। কিন্তু রাস্তা বানাবে। সরকার সস্তার গাড়িকে উৎসাহ দেবে, কারণ তাতে মধ্যবিত্তরা সাবার্বে থাকবে। কর্মসংস্থান হবে। ইনডাইরেক্টলি সরকার এইসব করে কর্মসংস্থানটা দেখবে, কিন্তু চাকরি দেবার এজেন্সি হবেনা।

    দুই। কর্মসংস্থানের মডেলে সবার উপরে থাকবে পরিষেবা। কল সেন্টার থেকে শুরু করে কনস্ট্রাকশান হয়ে বাড়ির দারোয়ান অব্দি। ভারি শিল্পে বিশেষ লোক কাজ পাবেনা। কৃষি থেকে বহু লোক উচ্ছেদ হবে। তারা সবাই পরিষেবায় কাজ করবে।

    ভারতীয় প্রেক্ষাপটে এর কটা ফ্ল আছে।

    এক। বেসিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের টাকাটা সরকারের হাতে কোত্থেকে আসবে। আমেরিকায় বা বিলেতে এটা আসে ইনকাম ট্যাক্স থেকে। ভারতে এমনিতেই বেশিরভাগ লোক ট্যাক্স দেয়না। কারণ তারা ফরমাল সেক্টরে কাজ করেনা। তার উপর শিল্পপতিরা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। একজ্যাক্ট হিসেবটা মনে নেই। মনে হয় এক লক্ষ কোটি টাকার মতো বকেয়া আছে সরকারের। সেইটা উদ্ধার না করা পর্যন্ত ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কোনো কাজে হাত দেওয়া যাবেনা। রাস্তা বানানো যাবেনা। মধ্যবিত্তও সাবার্বে যাবেনা। পরিষেবা শিল্পেরও বিকাশ হবেনা। কর্মসংস্থানও হবেনা। ইত্যাদি ইত্যাদি।

    দুই। যদি সব লোক ট্যাক্স দেয়ও, তাহলেও এই সমস্যার সমাধান হবেনা। কারণ, ভারতীয় লোকেদের গড় আয় আমেরিকার গড় আয়ের পঁচিশ বা তিরিশ ভাগের এক ভাগ। তার এক তৃতীয়াংশ নিয়ে নিলেও লোকপিছু ইনফ্রাস্ট্রাকচারের হিসেবে ভারত আমেরিকান স্ট্যান্ডের তিরিশ ভাগের এক ভাগই থাকবে। ফলে দলে দলে মধ্যবিত্ত সাবার্বে চলে গেল আর কনস্ট্রাকশান শিল্প চড়বড়িয়ে বেড়ে উঠল, সেটা বড়ো স্কেলে সম্ভব না। পুরোটাই হবে, কিন্তু শ্যামলবাবু যে স্কেলে আশা করছেন, তার চেয়ে অনেক অনেক ছোটো আকারে।

    (এখানে অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলে রাখি, এটা একটা চক্রাকার সমস্যা। ভিসাস সার্কল। টাকা নেই বলে শিল্প হয়না। শিল্প হয়না বলে টাকা নেই। এই চক্রটা অমেরিকাতেও ছিল। বিশেষত: কুড়ি তিরিশের দশকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবসা করে লাল হয়ে গিয়ে বিশ্ববাজার থেকে আমেরিকান কোম্পানিগুলো বিপুল টাকা তুলে এনে এই দুষ্টচক্রটা ভাঙে্‌ত পেরেছিল। ভারতে এরকম কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না।)

    তিন। কৃষিতে ৬০% থেকে লোক কমিয়ে ৬% করে দিলে প্রবল বিপর্যয় হবে। পরিষেবা যে হারে বাড়বে ভাবছেন, সে হারে বাড়বেনা। কারণটা আগেই ব্যখ্যা করলাম। ফলে লোকের কাজ যাবে। কিন্তু বিকল্প কর্মসংস্থান সে হারে হবে না। একটা বিপর্যয় টাইপের কিছু হবে।

    আসলে সমস্যাটা সেই দুষ্টচক্রের। টাকা নেই বলে তৃতীয় বিশ্ব গরীব। আবার গরীব বলেই টাকা আসে না। :)
  • Arijit | 77.103.111.51 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৪:৫৯394420
  • কব্বে থেকেই তো বলে আসছি যে ইক্যুয়েশনটা লিনিয়ার নয়। গরীবের কথা বাসি হলে ফলে।
  • arjo | 24.214.28.245 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৮:১৯394421
  • ঈশান শ্যামল বাবুর মডেলটা পরে দেখি নি কিন্তু ধরে নিচ্ছি সেটা অভিরূপ সরকারের মডেলের উপর ভিত্তি করে মানে এক্সটারনাল ইকনমি কি করে মূল ইকনমিকে তে কনট্রিবিউট করে তাই।

    ভারতেই কিন্তু এর উদাহরণ আছে মারুতি উদ্যোগ। সেটা কি করে হল?
  • Ishan | 12.240.14.60 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৮:৪৩394422
  • আমি একটু ক্ল্যারিফাই করি।

    এক। অভিরূপবাবু যা লিখেছেন বা শ্যামলবাবু যা লিখেছেন, সেটা টু সাম এক্সটেন্ট ঘটবেই। গাড়ির খদ্দের বাড়ছে। ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়ছে। পরিষেবার চাহিদা বাড়ছে। সবই হচ্ছে। এবং হবে। কিন্তু সেটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে একটা বিপ্লবের আকারে যেভাবে দেখা হচ্ছে, তার ধারেকাছেও যাবেনা। এই সংখ্যার দেশ প্রচ্ছদ কাহিনী করেছে "ভারত রতন টাটা'। ভাব দেখে মনে হচ্ছে বিপ্লব এল বলে। এটা কিন্তু জাস্ট প্রোপাগান্ডা। ভয়ংকর র‌্যাডিকাল কিছু ঘটছে না। ঘটবেওনা। হ্যাঁ, এরই হাতে গরম উদাহরণ হল মারুতি। সস্তা গাড়ি দেশে নতুন কিছু না। লাখ দুই টাকাতেই মারুতি পাওয়া যায়। তাতে কিছু বিপ্লব হয়নি। ন্যানোতেও হবেনা।

    দুই। এসব সঙ্কেÄও ন্যানো কারখানায় আপত্তির কোনো কারণ নেই। আইডিয়ালি। শিল্পপতি কারখানা করবেন, তাতে চাট্টি লোকের চাকরি হবে। ঘুরপথেও কিছু লোক কাজ পাবে। সবই ভালো কথা। আপত্তির কোনো প্রশ্নই নেই। আপত্তি শুধু তিনটে জায়গায়:
    ক। জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতিতে।
    খ। "ন্যানোতেই সর্বসুখ' এই হাইপে।
    গ। "ন্যানোতেই সর্বসুখ' এই হাইপ দেখিয়ে টাটাকে সরকারি ভরতুকি দেওয়ায়।

    এই কারণগুলো না থাকলে ন্যানো অতি ভালো জিনিস।

  • arjo | 24.214.28.245 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৯:১৩394423
  • এক্সটারনিলিটির ক্ষেত্রে একটা রিস্ক তো থাকবেই। যেমন

    ১। সেই সংখ্যক লোকজন গাড়ি কিনবে তো যাতে minimum acceptable limit এর নীচে না নামে।

    ২। অনেক বাধা যেমন রাস্তা, তেল ইত্যাদি ইত্যাদি সেক্ষেত্রে সরকার সেগুলোকে কি ভাবে সাপোর্ট করে।

    কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের জুতো পায়ে গলিয়ে দেখলে হাতে যখন টাকা নেই তখন একটা ডেসপারেট এফর্ট হিসেবেই ভর্তুকি এসেছে।

    উদ্দেশ্য হয়ত আছে কিন্তু ইমপ্লিমেন্টাশনে প্রচুর ভুল। জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতিতে, লোকজন কে বোঝানোয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা সম্বন্ধে সঠিক প্ল্যান না থাকায়, যা করছে সেটা ঠিক কিনা মানে কোনোরকম অংক কষে দেখেছে কিনা।

    সোজা কথায় আমার মতন লোকজন আমলা হলে আর "র" সফটওয়ার তৈরি করলে যা হয় আর কি।
  • shyamal | 72.24.206.134 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১২:৩৬394424
  • ঈশানের পোস্ট প্রসঙ্গে বলছি।
    যদি ধরে নেই যে গত অনেক বছরে এক লাখ কোটি টাকা বকেয়া ট্যাক্স আছে, সেটা কিন্তু সামান্য পরিমাণ। মাত্র ২৫ বিলিয়ন ডলার। এ বছরে ভারতে বিভিন্ন ট্যাক্স থেকে টাকা আসবে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার। (indiabudget.nic.in) বেসিক পরিকাঠামোতে অবশ্যই ঘাটতি আছে। সেজন্য ভারত আগামী পাঁচ বছরে খরচ করবে ৫০০ বিলিয়ন ডলার। টাকাটা কোথা থেকে আসবে? সরকার রাজি হয়েছে প্রাইভেট এবং প্রাইভেট-পাবলিক-পার্টনারশিপে। আর বিদেশী লগ্নিতে। পরিকাঠামো সাধারণত: বন্ড দিয়ে ফান্ড করা হয়। প্রাইভেট লগ্নি হবে এর মধ্যে এক চতুর্থাংশ।

    দ্বিতীয়ত: PPP হিসাবে ভারতীয়দের গড় আয় আমেরিকানদের গড় আয়ের ১২ ভাগের এক ভাগ।

    কাজেই টাকা করতে হলে এই বেলা পরিকাঠামোর স্টক কিনুন। স্টীল, সিমেন্ট, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি।

    আর আরেকটা কথা। ন্যাড়াবাবু বোধহয় বলেছেন, রাস্তা নেই তো ন্যানো চলবে কোথায়? রাস্তা তৈরী হয় চাহিদা থেকে। কাজেই আগে লোকে গাড়ি কিনে জ্যামে ভরিয়ে দেবে। তখন সরকারের টনক নড়বে আর রাস্তা তৈরী হবে।
  • § | 122.162.84.57 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:৪৫394425
  • কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেন, কোনও প্রশ্ন নয় :-)))
  • Ishan | 12.240.14.60 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৮:৩২394426
  • উঁহু পিপিপির হিসেবে হবেনা। তুলনাটা অন্যভাবে করতে হবে। ডিটেল দিচ্ছি।
  • Ishan | 12.240.14.60 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৮:৪৪394427
  • হ্যাঁ, ২০০৭ সালে ইউএস গভর্নমেন্ট এক্সপেন্ডিচারের হিসেব দেখুন :
    Pensions 769.4

    Defense 601.4

    Welfare 362.9
    Health Care 736.6
    Education 704.1

    Protection 253.7
    Transportation 212.7
    General Government 88.4
    Other Spending 257.7


    সবকটাই বিলিয়ান ডলারে। ডিফেন্স আর পেনশান বাদ দিলে দেখুন সামাজিক খাতে ব্যয় হল ২৫০০ বিলিয়ান ডলার। এবার এটাকে জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করুন। আর ১৩৫ বিলিয়ান ডলারকে ভারতের জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করুন। তাহলেই তফাতটা দেখতে পাবেন।
  • shyamal | 72.24.206.134 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৯:৪৫394429
  • ঈশানবাবু,
    আপনি এইসব ডেটা কোথা থেকে পেয়েছেন? আমি উইকিপিডিয়াতে চেক করলাম। কোনটাই মিলছে না। যেমন শিক্ষায় আপনি বলেছেন ৭০৪ বিলিয়ন আর উইকি বলছে ৯০ বিলিয়ন। স্কুল শিক্ষার বেশিরভাগটাই আসে স্টেট আর টাউনের ট্যাক্স (প্রপার্টি ট্যাক্স) থেকে। ফেডারাল ট্যাক্স থেকে নয়।
    আর আপনি যে পেন্সন, হেল্‌থ কেয়ার ইত্যাদি দেখিয়েছেন সেগুলো ইনকাম ট্যাক্স থেকে আসেনা। এর জন্য ইনকাম ট্যাক্সের ওপরে সরকার মাইনের আরো ১৫.৩% কাটে যার নাম সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যান্ড মেডিকেয়ার ট্যাক্স। এই ১৫% এর আদ্ধেক যায় আমার পকেট থেকে আর বাকি আদ্ধেক এমপ্লয়ারের পকেট থেকে। আদতে পুরোটাই আমার পকেট থেকে যায় কারণ এমপ্লয়ার যখন 7.65% ট্যাক্স দিচ্ছে আমার বাবদ, তখন ঐ পরিমান মাইনে আমাকে কম দিচ্ছে। এর বদলে অবসরের পর (৬৬ বছরের পরে) সরকার লোকেদের সোশ্যাল সিকিউরিটি (পেন্সন) দেয় আর বৃদ্ধদের চিকিৎসার দায় নেয়। বলাই বাহুল্য, সোশ্যাল সিকিউরিটির টাকায় সংসার চলেনা। আর এই 15.3% এর এক অংশ যায় বেকার ভাতা দিতে।
    কারুর চাকরী গেলে ছমাস অবধি সরকার বেকার ভাতা দেয়।
    এই ট্যাক্স গুলো ভারত সরকার পায়না, সেই সুবিধাও দেয় না। কাজেই আপেলের সঙ্গে আপেলের তুলনা করতে গেলে আপনার পেন্সন, ওয়েলফেয়ার আর হেল্‌থকেয়ারের খরচ বাদ দিতে হবে।
    আমেরিকায় সরকার হেল্‌থকেয়ার দেয় শুধু অবসরপ্রাপ্তদের। ইউরোপ বা ক্যানাডার মত ইউনিভার্সাল হেল্‌থকেয়ার নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন