এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রবাসে দৈবের বশে

    shyamal
    অন্যান্য | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ | ৬৭৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shyamal | 72.24.206.134 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ০৭:০২395323
  • অন্য একটি থ্রেডে জয় প্রশ্ন করেছেন আমেরিকায় ভারতীয়রা কেন আসে? তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
    আমার মনে হয় যে কারণে ঝরিয়া জেলা থেকে অনেক মানুষ কলকাতায় আসে রিক্সা চালানো বা মুটেগিরির জন্য, সেই একই কারণে ভারতীয়রা আসে বা থেকে যায় আমেরিকা বা অন্যান্য পশ্চিমি দেশে। কারণটা হল জীবনযাত্রার মানের উন্নতি করা। সেই বিহার বা ঝাড়খন্ডের বাসিন্দারা মাসে মাসে কলকাতা থেকে মানি অর্ডার করে দেশে টাকা পাঠায়। একই কাজ করে আমেরিকার ইমিগ্রান্টরাও।
    তবে আমেরিকার নিয়ম কানুনের ফলে প্রধানত: উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত ভারতীয়রা এদেশে আসতে পেরেছে। ফলে ভারতীয়দের গড় আয় এখানে সাদা মার্কিনিদের চেয়েও বেশী। এথনিক গ্রুপ হিসাবে ভারতীয়দের আয় সবার উপরে।
    ছোটবেলায় শুনতাম ওমুক আমেরিকায় গেছে কারণ ওখানে দারুন ভালো কাজের আবহাওয়া। এগুলো মিথ্যা অথবা সেল্ফ ডিসেপশন। অবশ্যই এটা আমার ব্যাক্তিগত মত। কথা হল যাঁরা ভালো কাজের জন্য আছেন তাদের যদি সমান ভালো কাজ বাংলাদেশে দেওয়া হয় তাঁরা যাবেন কি?
    এদেশে অবশ্যই বহু ভালো ইউনিভার্সিটি আছে। ডিউক তার মধ্যে একটি। কিন্তু আমি দেখেছি অনেকে এমন সব ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এসেছে যেগুলো সম্বন্ধে যত কম বলা যায় ততই ভালো। তবে একটা কথা ঠিক, এখানে পয়সা বেশী বলে ল্যাব ফেসিলিটি সাধারণভাবে ভালো।
    এখানে লোকে পড়তে আসে কেন? তার কারণ যাদের নিকট আত্মীয় আমেরিকায় নেই তাদের পক্ষে ইমিগ্রেশন পাওয়ার সহজতম রাস্তা হল ছাত্র হয়ে আসা। আমরা যখন এসেছি অনেকেই এই তথ্য জানতাম না। কিন্তু আসার অল্প দিনের মধ্যেই এটা বোঝা যায়। অনেক সাবজেক্টেই গ্র্যাজুয়েট স্টাডির জন্য অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ পাওয়া যায়। তাতে খরচা চলে যায় কোন রকমে। আর পাশ করার পর ছমাস থেকে এক বছর সময় পাওয়া যায় 'প্র্যাকটিকাল ট্রেনিং' এর। এসময়ে চাকরি করলে স্যাম চাচার আপত্তি নেই। সাধারনত: অনেকেই এই সময়ে অন্য ভিসায় চলে যায় যাতে কাজ করার বাধা নেই।

    আমার মনে হয় ইদানিং আসার তাগিদটা একটু কমেছে। আশির দশকে আমাদের গ্রীন কার্ড হতে লেগেছিল দেড় বছর। আর এখন নাকি লাগে ছয় বছরেরও বেশী। তাছাড়া দেশে এখন মধ্যবিত্তের জীবনের মানও বেড়েছে।
  • lcm | 71.132.143.93 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৪:০৮395340
  • শ্যামল,

    কিন্তু এই ঝরিয়া থেকে কলকাতা আসা, আর ভারত থেকে আমেরিকা-র পড়তে আসা ঠিক এক জিনিস নয়।

    প্রথম কথা, বিহার-এর বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা কলকাতায় আসেন, তারা স্রেফ বেঁচে থাকবার তাগিদে আসেন। কলকাতায় এসে তারা যে অমানুষিক পরিশ্রম করেন এবং যে পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন জীবনযাপন করেন, সেটাকে আর যাই হোক বেটার স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং বলা যায় না। গ্রামে না খেতে পেয়ে মরে যাবার মতন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে, এবং পরিবারকে বাঁচাতে তারা আসেন।

    আর, যারা iit/univ/eng. coll ইত্যাদি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করে, gre/toefl লড়িয়ে, দারুণ শংসাপত্র নিয়ে আমেরিকা আসেন, তারা আমেরিকা না এলে মারা যেতেন না বা পথে বসতেন না। তারা আসেন উচ্চশিক্ষার সুব্যবস্থার সুযোগ নিতে। আসার পরে অনেক সময় নামমাত্র স্টাইপেন্ড নিয়েও যে জীবনযাত্রা তার অতিবাহিত করেন, তা খুব অসাধারণ না হলেও, দেশের তুলনায় খুব খারাপ কিছু নয়। এবং তারা যে যে কারণে আমেরিকায় থেকে যান (বা, এতদিন যেতেন) তাদের মধ্যে অন্যতম কারণ বেটার স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং এবং কাজের পরিবেশ। তুমি যে কথাটা বলেছ যে কাজের আবহাওয়া ভাল বলে থেকে যাওয়াটা বাজে যুক্তি, সেটা বোধহয় পুরোপুরি ঠিক নয়, আসলে কাজের এবং কাজের বাইরে - দুটো আবহাওয়াই অনুকূল হবার জন্য অনেকে থেকে যেতে চান। এবং এটা শুধু ভারতীয় নয়, যে কোনো দেশের ইনভাইটেড ইমিগ্র্যান্ট-দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

  • umesh | 62.254.196.200 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:২৬395351
  • অনেক দিন বাদে শ্যামলবাবুর সাথে একমত হওয়া গেলো।
    বিদেশে আসার মুল কারণ হলো money.
    বাকি সব কারণ গুলো নিজেকে সান্তনা দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়।
    আমরা বিদেশ এ যা পায় সেটা কে ৭৮, ৪০, বা ৫৫ দিয়ে গুণ করতে পারি, তার পর সেটা বেশ বড়ো সংখ্যা মনে হয়।

    আচ্ছা better standard of living মানে কি পাচ্ছি?
    clean road? less crowd? dicipline citizen?
    বাকি সব india তে পাওয়া যায়।
    কিন্তু কি হারাচ্ছি?
    সব থেকে বড়ো social life টা হারিয়ে ফেলছি।
    তার পড়েও বিদেশে আছি শুধু পয়সা ছাড়া আর কিসের জন্যে।
    যে মানে না সে সত্যি টা মানতে ভয় পায়।
  • Arijit | 128.240.229.65 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:৩২395362
  • যাঁরা পড়া শেষ করে ফিরে যান? আমি নিজে এমন অনেককে চিনি...হয়তো সংখ্যায় কম, কিন্তু খুব কম নয়। সেটা আশা করি self-deception নয়?
  • umesh | 62.254.196.200 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:৩৩395373
  • এই social life, বন্ধু, পরিবার, আড্ডা, দেশ, দেশের সব কিছু হারিয়েও বিদেশ এ পড়ে থাকি শুধু পয়সার জন্যে, তখন সেটা মানতে মন চায় না।

    তখন মন কে সান্তনা দিতে থাকি better standard of living, better work environment, better scope, better .......... বলে।

    আমার তাই মনে হয়। জানি না বাকি দের কি হয়।
  • ^¦^ | 193.8.106.40 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:১৮395384
  • ল্যাখাপরা শেষ করে ফেরে তারাই চাকরী না পেলে। বছরের পর বছর পোস্ট-ডক করে যেতে চাইলে সে অন্য কথা।
  • Arijit | 128.240.229.65 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:২০395395
  • মানা গেলো না।
  • Blank | 203.99.212.224 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:২৩395406
  • নাহ অনেকেই আছে যারা ফিরবে বলে ফেরে। আমি অনেক কেই দেখেছি।
  • ^¦^ | 193.8.106.40 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:২৭395417
  • বালার অধ্যাপক হলে অন্য কথা। তবে শ্যামলবাবুর কথা ঠিক। দেশে এখন IT field এ কাজ আছে মায়নাও খুব ভালো, কিন্তু অন্য field এর গবেষকেরা সব থেকেই যান চেনা পইরিচিত আছে বলেই জানি। কিন্তু আজকাল চাক্রীর market খারাপ চাকরী না পেলে ফিরতেই হয়।
  • ^¦^ | 193.8.106.40 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:২৮395324
  • বাংলার অধ্যাপক
  • Arijit | 128.240.229.65 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:৩১395332
  • অন্য ফিল্ডেও অনেক চেনাপরিচিতদের ফিরতে দেখেছি। সকলের কাছে প্রায়োরিটির ডেফিকেশন আলাদা।
  • ^¦^ | 193.8.106.40 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:৩১395331
  • ৯/১১ র পরে একটা change এসেছে INS এর immigration system এ। থেকে যাবার করাকড়ি প্রচুর বেড়ে গেছে।
  • Arijit | 128.240.229.65 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:৩২395333
  • ** ডেফিনেশন **
  • ^¦^ | 193.8.106.40 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:৩৮395334
  • সেটা মানছি। কিন্তু মেজরিটির কাছে prioritydefinition টাকা/ডলার দিয়ে বিচার হয়। ব্যতিক্রম এক দুজনে্‌ক নিয়ে লোকে আহাউহু করে আবার পেছনে খিল্লি করে। আজ আমার next projectUSA তে হলে যাব। ভিসা বানিয়ে রাখা আছে মিথ্যে বলব না। USA গিয়ে independent job পেয়ে গেলে কোনো লজ্জা করবো না বিবেকের কাছে সৎ থাকবো।
  • ^¦^ | 193.8.106.40 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৮:৪৭395335
  • ২০০৮ এ কি হয়েছিল?
  • b | 78.137.144.235 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ২১:৩২395336
  • যেমন রবিবাবু, অরবিন্দদা, জহরচাচা, সুভাষবাবু, মহাত্মাজি ...
    বিদেশে চাকরি পেয়ে গেলে কি দেশে ফিরতেন? ভাগ্গিস পান নাই!!
  • b | 78.137.144.235 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ২১:৩৪395337
  • অবশ্য অরবিন্দ আর সুভাষ সম্পর্কে অন্য গল্পও শোনা যায়।
  • arjo | 168.26.215.54 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ২১:৫২395338
  • যার যার নিজস্ব প্রায়োরিটি আছে। শুধুই টাকার জন্য আসি এটা একটা যাকে বলে ওভার সিম্পলিফিকেশন।

    কারা আসে এবং কেন আসে:

    ১। ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র এদেশে গবেষণা করতে আসেন। কারন গ্রস স্কেলে এত ভালো গবেষণা অন্য কোথাও হয় না। ধার এবং ভার দুই ই অনেক বেশি। এরা প্রথমে MIT, Harvard, GTech, Standford ইত্যাদি জায়গায় পড়েন এবং পরে এরই কোনো একটায় পড়ান এবং ভারী ভারী গবেষণা করে ভারতীয় হিসেবে আমার এবং আপনার মুখ উঙ্কÄল করেন। এদের দেশে ফেরার অনেক অসুবিধার অন্যতম হচ্ছে ভারতে গবেষণার এমন সুযোগ কোথাও নেই। তার সাথে আছে ভারতীয় রাজনীতি।

    উদা:
    থিসিস সাবমিট করার পর পোস্ট ডক করার সময় তার সম্মিলিত পেপারের সংখা ছিল ষোল। একটি বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি তাকে মাসিক ৬০০০ টাকা বেতনে কদিন দেখে তারপর সে সুযোগ্য কিনা জানাবে বলেছিল। যদিও ছাত্রটি সেখানেই পড়াশুনো করেছিলেন। তিনি এখন বহাল তবিয়তে বিদেশে পড়ায় এবং পেপার পাবলিশ করেন।

    অনেকে অবশ্য ইন্ডাস্ট্রী তেও যান। তারা সেখানেও পাথ ব্রেকিং কিছুই করে থাকেন। সবাই হয়ত নাম গুলো জানেন।

    ২। ঠিক এনাদের মতন নয় কিন্তু above average ছাত্র। কিছু দেশে থাকে কিছু সঠিক চান্স না পেয়ে বা ভালো কিছু করে দেখানোর ইচ্ছেয় পড়াশুনো/গবেষণা করতে আসে। তারাও আস্তে আস্তে ভালো কাজ করার নেশা পান এবং কেউ কেউ এখানে থাকেন আর কেউ কেউ দেশে ফিরে যান। কিন্তু মুলত academics এই থাকেন।

    যাঁরা দেশে ফিরে যাবার চেষ্টা করেন তাঁদের মুল সমস্যা হচ্ছে যে ভারতে কাজ করার সুযোগ সুবিধা বড় কম আর মাইনে বেশ কম। যেখানে আমি চাড্ডি vb লিখে বছরে ১০-১৫ লাখ পাব বছরে সেখানে মেগু দা স্টক্যাস্টিক প্রসেস এর গবেষণা করে বছরে ২ লাখ টাকা ?(ঠিক জানি না) পাবে। এটা আমার মনে হয় একটা ফান্ডামেন্টাল প্রবলেম। তাই এনাদের অনেকেই ফিরে গিয়ে টাকা বেশি এমন জায়গায় চাকরি দেখেন নয়ত কিছুদিন বাদে ফিরে আসেন।

    ৩। অনেকেই থাকেন average কিন্তু ভারতে তাদের কেউ গবেষণা করতে দেয় না। তারা এদেশে এসে গবেষণা করেন পরবর্তী কালে এদেশেই পড়ান বা গবেষণা করেন। ভারতের academic দুনিয়ায় এদের স্থান নেই। কারন ভারতে ভালো institute আর ভালো ছাত্র র অনুপাতটা অসম। এদের ইচ্ছে থাকলেও ফিরে যাওয়াটা টাফ।

    ৪। এঁরা হচ্ছেন আমার মতন সফ্‌টওয়্যারের লোকজন। টাকা এবং আরো টাকাই মুল লক্ষ্য। কখনো H1 permanent বা কখনো B1 luxary বা কখনো honeymoon trip - মানে হানিমুন এর টাকা তুলতে হবে। কেউ কেউ এদেশে এসে বেশ কিছুদিন বাদে সিদ্ধান্ত নেন না আর দেশে ফেরা যায় না। এক এক জনের কাছে কারণ এক এক রকম। কারুর ছেলেমেয়ে বড় হয়ে গেছে। কেউ কেউ এদেশের অপেক্ষাকৃত সহজ জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। আবার অনেকেই দেশে থাকেন বছরে এক বার করে ঘুরে যান। বেশ দেশ ঘোরাও হল। আর ওদিকে কিছু টাকাও হল। কেউ কেউ আবার একেবারেই আস্তে চান না কারন পরিবার।

    লিস্টি কি কম্পলিট হল? না হলে করতে থাকুন দেখবেন প্রত্যেকের আলাদা আলাদা প্রায়োরিটি আছে। শুধুই টাকার জন্য বা conversion rate এর জন্য আসেন সেটা সমর্থন করা গেল না।

    সবার শেষে যারা শুধুই টাকার জন্য আসছেন তারা ভালো করে দই ভাত খাওয়া প্র্যকটিস করুন। আর রুম শেয়ার করা প্র্যকটিস করুন। মাইরি বলছি অনেক চেষ্টা করে দেখেছি এছাড়া আর কোনো উপায়ে নেই আশাহত হতে পারেন। আর একটা উপায় হল গন্ডগ্রামে থাকা। কিন্তু সে তো আর নিজেদের উপর ডিপেন্ড করে না তাই নিজের রা যা করা যায় সেটা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ঐ যে কথায় বলে না hope for the best but prepare for the worst.
  • tan | 131.95.121.132 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:০৮395339
  • এইসব নিয়ে বিতর্কের কোনো শেষ পাওয়া যায় না। তবে মনে হয় প্রত্যেক মানুষ যেমন আলাদা,প্রত্যেকের আসার ও থাকার কারণগুলোও কিছুটা কিছুটা করে আলাদা।
    আমার এক বাঙালিনী বান্ধবী কইতো তার আসার কারণ হলো সর্বত্র(একেবারে সর্বত্র,থাকার জায়্‌গা,কাজের জায়্‌গা,রাস্তার রেস্ট এরিয়া,সব) পরিষ্কার বাথরুম-ব্যবস্থা যা দেশে আকাশকুসুমের সামিল।
    আরেক বান্ধবী কইতো মশা না থাকা।
    আরেকজন কইতো খোলামেলা পরিবেশ,ভীড়ভাট্টা কম।
    আরেকজন কইতো দূষণ কম....

    এরকম কোটি কোটি ভিন্ন ভিন্ন কারণ সব শুনে শুনে ভির্মি খেয়ে কারণ জোগানো ছেড়ে দিয়েছি।
    বাপু যে যার মতন রসেবশে রহো।:-))))))
  • b | 78.137.144.235 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:২৯395341
  • আমেন।
  • lcm | 128.48.203.128 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:৩৮395342
  • ধুর! টাকা একটা ফ্যাক্টর তো বটেই। কিন্তু টাকা রোজগারের জন্য আমেরিকা কেন, তার জন্য মধ্যপ্রাচ্য ভাল জায়গা। এখন বেঙ্গালুরু-ও ভাল।

    আর, স্বপ্ন, স্বপ্ন? সে বুঝি কিছু নয় :-)
    ম্যারিক্যান ড্রিম [ নাকি ডিম? অশ্বডিম্ব :-) ] ...the dream of a land in which life should be better and richer and fuller for everyone, with opportunity for each according to ability or achievement...
    হায়, হায়, এ সবই মায়া। যাও না, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কনসুলেটের সামনে গিয়ে জনগণকে বোঝাও যে এ স্বপ্ন মিথ্যা, দেবে খেদিয়ে তোমাকে :-)
  • tan | 131.95.121.132 | ২৫ জানুয়ারি ২০০৮ ০০:০৭395343
  • এলসিএম,
    সেখেনে যে বড় গরম!:-))))))
  • san | 220.226.46.105 | ২৫ জানুয়ারি ২০০৮ ০০:১৯395344
  • গরম লাগে তো তিব্বত গেলেই পারো।

    ডায়মন্ডহার্বার আর রাণাঘাট চেনো তো?
  • tan | 131.95.121.132 | ২৫ জানুয়ারি ২০০৮ ০০:২০395345
  • না না, কইলো যে টাকা কামাতে হলে আটাকামা না না থুরি থুরি মধ্যপ্রাচ্যে যেতে হয়! সেখেনে যে বড়ো গরম!
  • shyamal | 72.24.206.134 | ২৫ জানুয়ারি ২০০৮ ০৯:৪১395346
  • আর্য তিনটে গ্রুপ অনাবাসী ভারতীয় দেখিয়েছেন। এরমধ্যে প্রথম গ্রুপ গবেষক-অধ্যাপক কিন্তু অতি সামান্য। প্রায় দুই মিলিয়ন ভারতীয়ের মধ্যে আট-নয় হাজার অধ্যাপক। গবেষকও ঐ রকমই হবে। সে জায়গায় ৩৫০০০ ডাক্তার। ডাক্তারদের গড় আয় ১৫০০০০ ডলারের বেশী।
    তিন লাখ আছেন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিতে। এছাড়া গুজরাতিরা আমেরিকার সর্বত্র মোটেল ব্যবসায় আছেন।
    বেশ কিছুদিন এদেশে হয়ে গেল। তাই কিছু বাঙালিকে/ভারতীয়কে চিনি। তাদের মধ্যে সামান্য সংখ্যক গবেষক বা অধ্যাপক। কারণ অন্যান্য দেশের মত এদেশেও অ্যাকাডেমিকসে কম টাকা।
    দৈ ভাত না খেয়েও অনেকেই ভালো পয়সা করেছেন। অবশ্যই আমি যাঁরা স্থায়ীভাবে আছেন তাদের কথা বলছি।
    এদেশে থাকাটা লজ্জার কিছু নয়। গত শতকের প্রথম দিকে ইটালিয়ান, আইরিশ আর ইহুদিরা এসেছিল। তাদের দেশের অবস্থা অনেক ভালো হয়ে যাওয়ায় এখন ঐসব দেশ থেকে খুব কমই আসে। ভারত আর আমেরিকার আর্থিক তফাৎটা এতই বেশী যে এদেশে আসাটা শিগ্গিরি বন্ধ হবে না।
    আর মধ্যপ্রাচ্য ? প্রথমত: যারা হাই টেকে আছেন তাদের পক্ষে কতটা সুযোগ আছে জানিনা। ওখানে যা শুনি, শিব ঠাকুরের আপন দেশের মত আইন কানুন। যা শুনি ওখানে ব্লু কলার কাজই বেশী। আর শিক্ষা, কালচার, লিবারাল আবহাওয়া যা আমেরিকায় পাওয়া যায় তা মনে হয় মধ্যপ্রাচ্যে মিলবে না।
  • r | 125.18.17.16 | ২৫ জানুয়ারি ২০০৮ ১৩:৩২395347
  • তার মানে শুধু টাকা নয়; শিক্ষা, কালচার, লিবারাল আবহাওয়া- সবই চাই।
  • tan | 131.95.121.132 | ২৫ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:১৯395348
  • নবকুমারের মতন কইতে ইচ্ছা হয় ""আহা,কী শুনিলাম!""
    মানে এই সুতায় অনেক ভালো ভালো কথা শুনলাম। সত্যি।

    :-)))))))
  • ranjan roy | 122.168.78.182 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৮ ০০:৫৮395349
  • অ্যাই Tan,
    ইয়ার্কি মারবে না। আমি ড্যাম সিরিয়াস। বোঝার চেষ্টা করছি।
    কোন নতুন ফেনোমেনন বুঝতে গেলে আমার প্রিয় পদ্ধতি কেস স্টাডি। সেবারের মত একটু হেল্প কর।
    আমি ম্যারিকা কেন ভারত-ভুখন্ডের বাইরে আন্দামান ছাড়া কোথ্‌থাও যাইনি।
    কিন্তু, আমার দুই বাল্যবন্ধু নিউ ইয়র্কে আস্তানা গেড়েছে। এদ্দিনে আমাকে খুঁজে পেয়েছে।
    এক্‌জন, যাদব্‌পুরের বি-ফার্ম শুরু হওয়ার পর প্রথম ব্যাচ। কোলকাতায় রিচার্ড শেখনারের ওয়ার্কশপে নাটক করতো। প্রথম জীবনেই চাকরিসূত্রে আমেরিকায় এসে ক'বছর পর ব্যাচমেট বউকে নিয়ে আসে। নিজের লাইনে প্রতিষ্ঠিত। ছেলে আমেরিকায় জন্মে এখন মেরিল লিঞ্চে চাকরি করে- রিপাব্লিক্যান সাপোর্টার।
    ধ্রুব দত্ত (বন্ধুর আসল নাম)আজও আমেরিকায় বিভিন্ন আয়োজনে বাংলাকবিতা আবৃত্তি করে, নাটক, একক অভিনয় করে আর,দু'বছরে একবার কোলকাতায় আসে।আগামী শীতে এবার বিলাসপুরে আসবে।
    ও' বলে --আমেরিকায় সুযোগ অনেক বেশি। যে কেউ এখনে এলে কিছু- না-কিছু ঠিক করে নেবে।
    দ্বিতীয় জন-চন্দন নাগ। কোলকাতায় কমার্সের লাইনেচাকরি করতে করতে প্রায় ৪৫ বছর বয়সে ওদেশে যায় এবং গুছিয়ে নেয়।
    ও সে'দিন শোনাল - আজকাল একটা ফ্যাশন হয়েছে এটা বলা যে দিল্লি ও মুম্বাই আমেরিকান শহরের মত হয়ে যাচ্ছে। আরে বাবা ভারত এখনও পাঁচশ' বছর পিছিয়ে আছে।
    এরা কোনদিন ম্যারিকা হতে পরবে না। কারণ, ভারতে ম্যরিকার তুলনায় জনসংখ্যা ও করাপ্‌শন দুটৈ অনেক বেশি। আমেরিকায় করাপ্‌শন ওপরতলায় কিছু আছে, নীচের দিকে বেশি না, ফলে আমাদের মত লেভেলে কোন অসুবিধা হয় না। কিন্তু, ভারতে? রামো:, নীচের থেকে ওপর-সব!
    এবার জনগণ কি বলেন?

  • tan | 131.95.121.132 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৮ ০১:০৩395350
  • আহা আহা আহা
    রঞ্জনদা,
    বাহা বাহা বাহা।
    :-))))))))))))))))))))))))))))))))))
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৮ ০১:৫২395352
  • সবাই খালি আমেরিকা-আমেরিকা করে কেন? তাছাড়া কি অন্য পশ্চিমি দেশ নাই ?

    রঞ্জনদার পোস্ট নিয়ে একটি কথা বলার ছিলো। আজকাল ভারতীয় বিফার্ম ( বা যেকোনো মেডিশিন রিলেটেড) ডিগ্রী নিয়ে, এদেশে, মানে আমি কানাডার কথা বলছি (আমেরিকা-তে একই হবে হয়তো), প্রতিষ্ঠিত হওয়া বেশ চাপের। ফার্মাসির লাইসেন্স পেতে গেলে, গুচ্ছের পড়াশোনা করে, টিউশেন ক্লাশে পয়সা খরচা করে, ৩/৪ বছর ক্‌চ্ছ সাধন করতে হয়। আমার পরিচিত, কিছু বিফার্মের ছেলেকে জানি, টোরোন্টোয়, পিজাহাট, বা গ্যাসস্টেশনে অডজবে ব্যাস্ত আছে, আশা কবে ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স পাবে।

    টোরেন্টোয়, সব, প্রায় সব, ইস্ট এশিয়ান ট্যাক্সি চালক, হয় বাংলাদেশি/পাকিস্তানি/ভারতীয় উচ্চশিক্ষিত ইমিগ্রান্ট, ঠেলায় পড়ে অডজবে ব্যাস্ত আছেন। এনার কোন মোহে, দেশের প্রতিষ্ঠিত জীবন ছেড়ে এসেছেন বলা দুস্কর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন