এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রবাসে দৈবের বশে

    shyamal
    অন্যান্য | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ | ৬৭৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • § | 61.95.167.91 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:২৩395386
  • আলোচনা বেশ জোরদার স্যুইং খেয়েছে। :-)

    যদি দুগুণ স্যালারির অফার পাই, কলকাতা যাব না। ব্যান্ডেল যদি কলকাতার মত মেগাসিটি হয়ে যায়, সেখানে যদি চাকরির অফার পাই, যাবো না।

    স্থানমাহাত্ম্য যে সময়টায় গড়ে ওঠার কথা, সে সময়ে আমার গড়ে ওঠে নি। মানুষের ছোট্টবেলার বন্ধু থাকে, অনেক দিন বাদে তাদের অর্কুটে খুঁজে পাওয়া যায়, টানা দশ বচর বারো বছর ধরে একসাথে পড়া ক্লাসফ্রেন্ড থাকে যাদের সাথে বড় হয়ে ওঠার সমস্ত গোপন কথা শেয়ার হয়ে আছে, আমার সে-সব কিছুই ছিল না। "বন্ধু' বলে অচেনা সমবয়েসী ছেলে-মেয়েকে আঁকড়ে ধরার যে সময়টা, সেই সময়েই আমি ঘুরে বেরিয়েছি এক জেলা থেকে আরেক জেলায়, এক স্কুল থেকে আরেক স্কুলে। বন্ধুত্ব গাঢ় থেকে গাঢ়তর হবার আগেই পাল্টে গেছে বন্ধুরা। অন্য জায়গা, অন্য রকম মাটির রং, অন্য ডায়ালেক্ট, অন্য মেন্টালিটি। আবার অ্যাডজাস্টমেন্ট।

    ব্যান্ডেল আমার আদত দেশ, ঠাকুর্দা লেভেল অবধি যাচ্ছি না। দেশ ভাগের অনেক আগেই রেলের চাকরির সুবাদে ঠাকুর্দা ব্যান্ডেলে স্থিতু হন ও বাড়ি কেনেন। কিন্তু আমার জীবনে এতাবৎ ব্যান্ডেলবাস মাত্র ছ-বছর। আর এক বছর দিল্লিতে কাটালেই দুটো সমান সমান হয়ে যাবে। আমার দিল্লিবাস এবং ব্যান্ডেলবাস।

    কিন্তু ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত একটা জিনিস বুঝতে পারি নি, পরিবেশ, পারিপার্শ্বিক, বন্ধু, স্কুল সব পাল্টে পাল্টে গেলেও একটা জিনিস পাল্টাচ্ছিল না, সেতা হল বাবা-মা-দিদির সান্নিধ্য। একই পরিবারের ছায়ায় থেকেছি, বারবার নতুন নতুন জায়গায় গিয়ে সেটআপ করার হ্যাপা, ছেলেমেয়ের স্কুল খোঁজার হ্যাপা ... এ সব কী জিনিস, বুঝি-ই নি, রোজ দুপুর বেলায় লাঞ্চ পেয়েছি, রাতের বেলায় ডিনার। ভেবেছিলাম, জায়গার প্রতি টান তো আমার গড়ে উঠল না, ইঞ্জিনীয়ারিং পড়তে জলপাইগুড়ি যেতেও কোনও অসুবিধা হবে না। এত জেলায় ঘুরেছি, জলপাইগুড়ি আরেকটা জেলা বই তো নয়!

    কিন্তু তফাৎটা বুঝতে পারলাম যখন সেই ছায়াটা সরে গেল। বাবা-মা-সবাইকে ছেড়ে এই প্রথমবার একটা নতুন জায়গায় একা খাপ খাইয়ে নেবার লড়াই। কেউ পাশে নেই। বীভৎস কষ্ট!

    কিন্তু তা-ও তো পেরে গেলাম। সবাইই পারে। চার বছর ধরে কলকাতা কলকাতা করে হেদিয়ে মরত কলকাতার ছেলেরা। শহর কলকাতা থেকে এসে জলপাইগুড়িতে চার বছর কাটানো জাস্ট নরকবাসের তুল্য ছিল, আমি তো তাও মফস্বল থেকে আসা পাব্লিক। দার্জিলিং বা সিকিমে সাত দিনের জন্য ঘুরতে যাওয়া খুব ভালো, কিন্তু কল্পনা করো সেখানে তুমি কয়েক বছর কাটাতে যাচ্ছো? বেশ টাফ, বেশ টাফ। তখন আর জায়গাটা অতটা রোম্যান্টিক লাগে না।

    কিন্তু ঐ যে বাড়ি ছেড়ে বেরোলাম, বাড়ির সাথে টানটা আপনাআপনি কমে গেল। শিকড় ছেঁড়ার অভ্যেসের জন্যেই কিনা কে জানে, বাড়ির থেকে বাড়ির বাইরেই বেশি সচ্ছন্দ বোধ করতে লাগলাম। তারপর কলকাতা ভূবনেশ্বর পেরিয়ে দিল্লি।

    এই শহর জানে আমার প্রথম সবকিছু। প্রথম সংসার পাতা, মেয়ের জন্ম, নিজের বাড়ি, গাড়ি, বুঝতে পারি নি কখন শিকড় চলে গেছে ভেতরে। বুঝতে পারলাম প্রথম যখন বৌকে ছেড়ে মেলবোর্ন চলে যেতে হয়েছিল, তাও সেটা অত কষ্টকর লাগে নি তখন, যতটা লাগল এইবার পুণে গিয়ে। কেবলই মনে হচ্ছে আমার সেই ডায়নামিসিটি হারিয়ে গেছে, নিজের ফ্যামিলিকে ছেড়ে আমি আর কোনও জায়গাতেই অ্যাট হোম ফিল করতে পারছি না। আবার ফ্যামিলি নিয়েও দিল্লি ছেড়ে অন্য কোনও জায়গায় গিয়ে টেম্পোরারি বা পার্মানেন্ট সেটাপ করার কথাও ভাবতে পারছি না। ঐ ... শিকড় চলে গেছে অনেক গভীরে।

    আড়াই বছর বাদে ব্যান্ডেল গেলাম, দুর্গাপুজোর খচাখচ ছবি তুললাম, নাচলাম, সবার সাথে দেখা করলাম, মিষ্টি খেলাম, সব ঠিক আছে। কিন্তু লং টার্মে ব্যান্ডেল / কলকাতায় থাকা? পারব না। মাইন্ডসেট পাল্টে গেছে। কলকাতার থেকে দিল্লি আমার অনেক অনেক বেশি চেনা। ব্যান্ডেলে আমার বাড়ি থেকে ডালহাউসি স্কোয়্যারে রাইটার্স বিল্ডিং যতটা ডিসটেন্স, প্রায় সেই ডিসটেন্স আমি এখানে রোজ বাইকে করে যাই আর আসি। ওখানে পারব?

    আর পারব না। এখন কলকাতার ওয়েদারে আমার শরীর খারাপ হয়ে যায়।
  • Arpan | 202.91.136.4 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:৩১395387
  • হুম, দেখছি আমি বেশ ভাল আছি। পদ্মপাতায় নীরবিন্দু।

    আর নতুন সেটাপ? সে তো প্রতি দুই বছরে একবার করে করতে হয়। হায়, হায়, আমার গাড়িও হল না, বাড়িও হৈল না।
  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:৪৮395388
  • নিজের যেখানে পছন্দ সেখানে থেকে বাড়িটাকে তুলে আনাও যায় - সকলে পারে না।

    দিল্লী থেকেও যখন কলকাতা যেতাম এক এক সময় ধোঁয়ায় কষ্ট হত। এখন আরো বেশি হবে। আমরা ম্যানেজ করতে পারলেও ঋকের অনেক অসুবিধা হবে। তাও আমি কলকাতাতেই থাকতে চাই। একটা ইউটোপীয়ান কারণ আছে, সেটা বাদ দিলাম - কিন্তু কয়েকটা প্র্যাক্টিক্যাল কারণ আছে -

    (১) বাড়ির দায়িত্ব অর্থনৈতিকভাবে নেওয়াই যায়, কিন্তু দরকারের সময় পাশে থাকলে বুড়োবুড়ি অনেক বেশি জোর পায়। মই থেকে পড়ে বাবার যখন মেরুদণ্ড ভাঙলো তখনই টের পেয়েছি।

    (২) আমার দুইখান প্যাঁচাপেঁচি এখন - বড়টা তো পরিবার বলতে কি বোঝায় জানলোই না, দাদু-ঠাকুমা-দিদিমা-পিসি-মাসীদের চিনলোই না। দাদু-ঠাকুমাও নাতিকে পেলো না। এখনও সময় আছে - সেটাকে ইউটিলাইজ করা যায়। ছোটটার ক্ষেত্রেও এরকম হোক, কেউ চাই না।

    (৩) স্বার্থপর কারণ - এখানে দুজনে চাকরি করে দুটোকে সামলানো সম্ভব নয়। পাগল হয়ে যাবার যোগাড় হয়।

    (৪) আর এগুলো প্রথম লাইনে যা লিখেছি সেটা দিয়ে সলভ হয় হয়তো - কিন্তু আমার হবে না - সেই ৬৫ সাল থেকে যে বাড়িটাকে বাবা হাতে করে করে দাঁড় করিয়েছে, সেখান থেকে বের করে আনা মানে অর্ধেক জীবন কেড়ে নেওয়া।

    এসবের খুব সোজা উত্তর হল - না বেরোলেই হয়, এবং বেরোলেই যখন তখন একা থাকলেই হয়। কিন্তু সোজা উত্তর সবসময় চলে না।
  • Arpan | 202.91.140.4 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:০১395389
  • অরিজিতের ১) আর ৪) নং পয়েনকে দুইহাত তুলে সাপোট করলুম।
  • Riju | 203.197.96.50 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:৩৯395390
  • অজ্জিত দার ১ আর ৪ নং কে আম্মো দুহাত তুলে সাপোট্টালুম।
    ছোট্ট থেকে যে বাড়ি তিলে তিলে গড়ে উঠতে দেখি ,একটু বড় হয়ে যেটার মেরামরি তে নিজেও হাত লাগাই, যেটার জন্যে ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই,কর্পোরেশন ইত্যাদির এত ঝামেলা পোহাই সেটা কখন যেন আমার ঘর হয়ে যায় - মিষ্টি তেতো সব কিছু মিলেমিশে একটা টান তৈরি করে দেয়। একেই হয়ত হোম সিকনেস বলে।
    ডলারের লোভে বিদেশ গেলেও বছর ঘুরতে ফিরে আসি কলকাতায় , বাসা বাঁধতে পারিনা ভারতের অন্য কোন শহরে অথচ সেখানে মাইনেকড়ি অনে-এ-এক বেশী ।
    আস্ত বোকা
  • Arpan | 202.91.140.4 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:৫১395391
  • আমি সারা বছর তুমুল ল্যাদ খেয়ে, বই পড়ে আর তামাকু সেবন করে কাটাতে চাই। সেইটা যেখানে পাবো সেইটা আমার ঘর।

    আপাতত সেইটা আমি সল্লেকের পৈতৃক বাড়িতে ছুটিছাটায় গেলে পেয়ে থাকি। কাজেই সেইটাই আমার ঘর।

    তার বাইরে যেকোন জায়গাতেই যাই না কেন মনে হবে "হেথা নয় অন্য কোনখানে'।

    আর কলকাতায় চাগ্রী নিলে জানি মাথার ওপর সেই কল্পতরু বৃক্ষও সরে যাবে। ঘর নিয়ে সেই নস্টালজিক ফিলিং আর থাকবে না। তবু ইচ্ছে আছে একদিন সেখানেই আসন পাতবো। x বছর পরে।

    জানি না কদ্দিন আর এমন করে কাটানো যাবে। চাপ বাড়ছে। :-)
  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৭:৫৩395392
  • আমার (৪) নম্বরটা এট্টু অন্য (মানে ঋজুর পোস্টের সাপেক্ষে) - প্রথম তিনটেকে নাল অ্যাণ্ড ভয়েড করে দেওয়া যায় যদি চার নম্বরটার অ্যান্টিডোট (অর্থাৎ কিনা প্রথম লাইন) দেওয়া যায় - মানে তুমি যেখানে আছো সেখেনেই বাকিদের তুলে আনো। এটা শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব। কারণগুলো ঋজুই লিখেছে।
  • a | 220.226.13.210 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৮:২৫395393
  • এ নিয়ে আমার একটা তত্ব আছে,freeze shot theory যা মূলত ডিডি র কথাই।

    আমরা যখন বাড়ি থেকে বেরো ই তখন যে বাড়ি, যে পরিবেশ যে ভালো লাগাগুলো ফেলে যাই, সেগুলো ফিরে এসে পাওয়া অসম্ভব। কারণ এই ক বছরে সেই জায়্‌গার পরিবর্তন হয়েছে, হবেই। আর্থিক, মানসিক, সামাজিক সব ভাবে। কিন্তু আমার ÏØম্রতি তো দাড়িয়ে আছে একি জায়্‌গায়।

    কি করব!!!

    তাই, হেথা নয় হেথা নয়, অন্য কোথা অন্য কোনোখানে!!! কিন্তু তাও হচ্ছে না। মা বাবা আছে, তাদের দেখতে হবে তো!!!!!

    ফলে, রোজ চাগ্রি দেখি, ইন্টারভিউ দি, তাপ্পর ছেড়ে দি। তবে পহা পেলে চলে যাবো বেঙ্গালুরু। শহরটা ভালো লেগেছে

    (বা যাবো না,জানি না)
  • Suman | 130.235.28.87 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৯:১০395394
  • বাইরে থাকার সুখ অনেক কিন্তু শান্তি পাই না। প্‌র্‌থ্‌ম্‌ত পরিবার ছেরে থাকা যায় ন। দ্বিতীয়্‌ত মনে হয় আমি সমাজ কে ফাকি দিছি।
  • r | 125.18.17.16 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:১১395396
  • সবাই আসল পয়েন্টটা মিস করে গেছেন, অর্থাৎ যাহা অনুক্ত- প্রবাসে দৈবের বশে যদি টুপ করে খসে তখন কেস বিলা হয়ে যাবে। এখানে প্রবাস মানে কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাটও হতে পারে- বুড়ো একা, বৌ মরে গেছে, ছেলে ও মেয়ে বিদেশে। তিনদিন পরে পচা গন্ধ আর দরজার বাইরে পিঁপড়ের সারি দেখে দরজা ভেঙ্গে লাশ বের করতে হল। একই কেস- প্রবাসে দৈবের বশে ইত্যাদি ইত্যাদি। পাড়ার তপেনদা- ছেলেবৌ নিয়ে পোস্ট-ডক করছিল আম্রিগায়। মেরেকেটে চল্লিশ, হঠাৎ বুকে ব্যথা, একঘণ্টায় শেষ। বন্ধুবন্ধব সব করল বটে, কিন্তু বাড়িতে বুড়ো বাপ মা আর আইবুড়ো বয়স্কা দিদি আর দেখতেও পেল না। একই কেস। গভীর রাতের হাসপাতালে রোগ নিয়ন আলো দেখতে দেখতে যখন আশেপাশে কেউ নেই নিজের ডুবে যাওয়া দেখতে দেখতে- সেই একই কেস। প্রবাসে দৈবের বশে।

    মরার সময় একটা রোদ্দুরময় উঠোনে শুয়ে থাকি, পাশে সব বংশজ ও বন্ধুরা, সবাই যেন হাত রাখে হাতে, সবাই যেন কাঁধে নিয়ে যায় একটা সুখী দাহকার্যের জন্য- সে যেখানেই হোক।
  • ranjan roy | 122.168.69.215 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:৩০395397
  • অফ স্ট্যাম্পের ওপর সামান্য আউট স্যুইং
    -------------------------------:)))
    ড: শিবনারায়ণ রায় একবার বলেছিলেন যে উনি নিজেকে বিশ্বনাগরিক ভাবেন। খাওয়াদাওয়া, দৈনন্দিন জীবনযাপনশৈলীতে এমন খিচুড়ি পাকিয়েছে যে টিপিক্যাল বাঙালী বা ভারতীয় -- কিছুর সঙ্গেই মেলে না।
    এমনি সমস্যা যাঁরা অনেকদিন ধরে বিদেশে আছেন তাঁদের কারো হয়েছে কি? অজ্জিৎ? অপ্পন? মামু? কাবলিদা? টিম? ট্যান? শ্যামল বা আর কেউ?
    আর একটু জুড়ে দি'--- উনি এটাও বলেছেন যে ফলে উনি কোন দেশ বা শহরের জন্যে
    কোন বিশেষ টান বা sense of belonging অনুভব করেন না। কাজেই দেশপ্রেম বা রাষ্ট্রবাদের প্রশ্নে উনি নিউট্রাল!
    এইখানেতে আলোচনাটা সুদীপের এইনিয়ে খোলা সূতোর মধ্যে যেতে পারে।
    যেমন আমি পাকিস্তান জিতলে মুসলমানবন্ধুর বাজি পোড়ানোয় দোষের কিছু পাইনে। ঠিক যেমন ইংল্যান্ডে ম্যাচ হলে বার্মিংহাম বা অন্য জায়গা থেকে পাকিস্তান বা ভারতের সমর্থক জুটে গেলে। অস্ট্রেলিয়া বা সাউথ আফ্রিকায় ভারতীয় মূলের কমিউনিটি ইন্ডিয়ান টিমকে ডিনার দিলে তো আমরা তাদের দেশপ্রেমকে কোশ্চেন করি না!
  • ranjan roy | 122.168.69.215 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:৪২395398
  • আহা! r কে দুহাত তুলে সমর্থন। মোদ্দা কথাটা হল যেখানে থাকো- রসেবসে থাকো। যে জমিতে দাঁড়িয়ে আছো তার রং-গন্ধ চিনে পাড়াপ্রতিবেশির সঙ্গে সুখে-দু:খে, ভাব-ভালোবাসায়-ঝগড়াঝাঁটিতে মিলেমিশে থাকো----যাতে মরণকালে কাঁধ দেয়ার জন্যে অন্তত: জনা আষ্টেক লোক পাওয়া যায়।
    ""মনে করো শেষের সেদিন ভয়ংকর''।
    কিন্তু মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গলে বা গভীর ঘুমে মনপবনের নাও তুলে যাবে সেই---।
    বুড়ো আঙ্গুল দেখানো প্রেমিকার কথা ভেবে ভেবে কি বৌয়ের সামনে গোমড়ামুখ করে বসে থাকবো? কভি নেহি।
    ""শেষের কবিতা''য় দাড়িদাদুর থিওরি ভাবো( যদি আমি ঠিক বুঝে থাকি):--- রোজকার প্রয়োজনের দীঘিও চাই আবার বছরে একবার পুরীর সমুদ্রও চাই।
  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:৪৬395399
  • আমি খাওয়াদাওয়ায় ঘটি-বাঙাল-বিহারী-মুঘলের সংমিশ্রন। আর তো বাকি সবই বাঙালী স্টাইল। মেলে না এমন নয়। কিন্তু টান - আছে - কলকাতার জন্যে - সেটা হয়তো ওই বাড়ির টান। দিল্লীর ওপরেও ছিলো - খাবারের টান। থাকতে থাকতে নিউক্যাসলের ওপরেও মায়া পড়ে গেছে - ঠাণ্ডা হাওয়া, বিষ্টি - এসবের পরেও।

    http://sloganditegiye.blogspot.com/2006/06/blog-post_115081318221667937.html
  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২০:৫১395400
  • না: এখেনে পটল তুললে আমার বউ আতান্তরে পড়বে - funeral-এর ব্যবস্থা করতে।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২২:১৬395401
  • ""সমুখে শান্তি পারাবার/ভাসাও তরণী হে কর্ণধার....""
    তিনি কর্ণ ধরে যেখানে নিয়ে যাচ্ছেন সেখানেই যাচ্ছি, যেখানে নিয়ে যাবেন সেখানেই যাবো, আই হ্যাভ নো চয়েস।আমি নৌকা মাত্র।(ভাগ্যিস নোয়ার নৌকা না,পালে পালে গরুছাগলভেড়াবাঘগন্ডারমোষ পায়রায় গাছে পালায় ধানেগমেভুট্টায় ভারী হয়ে যেতাম!)
    :-)))))
    আসলে এত কথাবাত্তা বলেও বিশেষ লাভ নেই,কালের গতিতেই এরকম,আজ থেকে বছর তিরিশ কি আরো আগে বাপমাদের জেনারেশানে এই এত সংখ্যক মধ্যবিত্ত দুনিয়া পাড়ি দিচ্ছে এমাসে জাকার্তা ওমাসে শিকাগো সেমাসে টোকিও পরমাসে অসলো...এ জিনিস স্বপ্নের অতীত ছিলো। তখন যেতো খানকয় মাখনঘিখাওয়া সোনার চামচের ছেলেপিলে,তারো আগে যেতো যারে আমরা পাতিপাবলিকে কইতাম কিরিম অব দ্য ছোছাইটি। এরাই "বিলেত ফেরৎ" নামে অভিহিত হতেন এবং দেশেফিরে উঁচুতলায় কাজ করতেন।এদের সঙ্গে পাতি মধ্যবিত্ত সমাজের যোগ তেমন ছিলো বলে মনে হয় না। আমরা তখন ব্যস্ত ছিলাম আমাদের দেশভাগের ভয়,দাঙ্গা চাকরিবাকরি এসব নিয়ে।তখন বরং হট টপিক ছিলো যৌথপরিবার ভেঙে যাওয়া নিয়ে,সত্যি কি কাকাজ্যেঠায্যেঠিমাকাকীমা ঠাকুমাদাদুর থেকে ভেঙে টুকরো হয়ে হয়ে শুধু বাবামাছেলেমেয়ের ঘর হবে নাকি হওয়া উচিত? সেকালের গপ্পে উপন্যাসেও এই ক্রন্দনধ্বনি শোনা যায়। কিন্তু কালের গতি,কে ঠেকাবে?
    কালক্রমে সে মামলা মিটলো, যে যার মতন আলাদা আলাদা হয়ে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি হয়ে গোছগাছ করেনিলো। পুরানো সেই চল্লিশ সদস্যের সংসারের গপ্পো ও সেই সংসারের বড়মার জীবন নিয়ে উপন্যাস ক্রমে অবসোলিট হয়ে গেলো।
    এখন নতুন টপিক এসেছে স্বদেশ না বিদেশ,প্রবাস না অপ্রবাস? চাকরির প্রয়োজনে বা অন্য প্রয়োজনে এতলোকের নানাদেশে ছড়িয়ে পড়াই হয়তো এইধরনের আলোচনা তক্কবিতক্কের কারণ। একদিন এমামলাও সেটল্ড হয়ে যাবে,আমাদের নাতিপুতিদের নাতিপুতিরা চোখ এত এতখানি করে হয়তো এসব দূর অতীতের গল্প শুনবে। তখন হয়তো ইন্টারপ্ল্যাণেটারি নেটোয়ার্কে জোর তক্ক চলবে ""কোন্‌ গ্রহে থাকা ভালো? ""
    :-))))))))))

  • tan | 131.95.121.132 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২৩:২৪395402
  • কাকতালীয়ভাবে আজকের কনফুসিয়াস কোটেশানে আছে,
    "And remember, no matter where you go, there you are"
    :-))))))))))))))))))))))))))))
  • Arpan | 202.91.136.4 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১০:০৬395403
  • রঞ্জনদা, আমি মোটেও অনেকদিন দেশের বাইরে থাকিনি বা ছিলাম না। মাঝে মাঝে খেপ খেলতে যাই। সব মিলিয়ে এই মেরেকেটে বছর চারেক।

    তবে হ্যাঁ, কলকাতার বাইরে আছি দশ বছর হতে চল্লো।
  • dff | 59.161.75.16 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:৪৯395404
  • কোত্থাও বেশীদিন থাকতে ইচ্ছে করে না। কোথাও ফিরতেও তেমন কোন টান অনুভব করি না। ইলিশ মাছ বা ফুচকা -- কোনটার অভাবেই তেমন কষ্ট হয় না। পেলে খুবই ভাল, কিন্তু না পেলেও কোঈ বাত নেহি। বই, সিডি, কম্পুর অভাবে ভীষণ কষ্ট হয় ---- কিন্তু আমি যেখানে যেখানে যাই এইগুলো ঠিকই পেয়ে যাই। তাই নস্ট্যালজিক হবারও বিশেষ কোন স্কোপ নেই। আমি পটলে যাবার পর তো আর টের পাব না পিঁপড়ে কামড়াল কি কাকে ঠুকরাল, মরার পর যা খুশী হোগ্গে--- Who cares?

    তবে মা যতদিন বেঁচে আছে , ততদিন যেন দরকার হলে ৫-৬ ঘন্টার মধ্যে বাড়ী পৌঁছতে পারি -- এরকম জায়গাই পছন্দ।

    আর রিটায়ারের পর (মানে শুধু চাকরী নয় , সর্ব অর্থে রিটায়ার) হিমালয়ের কোন একটা জায়গায় থাকতে চাই। পর্নকুটীর ফুটিরে নয়, রীতিমত চার্বাকের কুটীরে থাকব।

  • d | 59.161.75.16 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:৫০395405
  • * উফ্‌ নামে দুটো বাড়তি f জুড়ে গেছে।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:৫৪395407
  • এইরে ! আগেই কামড়ে দিয়েছে। পিঁমড়ে নিয়ে হেলা ফেলা কত্তে নেই। পিঁমড়ে বলে কি মানুষ লয়? দেখেলে তো নামের পরে কেমন উফফ জুড়ে গেলো!
  • Du | 67.111.229.98 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২২:৩৯395408
  • একমত দ, আসল কারণ হচ্ছে ঐ মা বাবা । তারা না থাকলে দেশ শুধুই একটা প্রিয় জায়গা , মাঝে মাঝে যাবার জন্য।
  • shyamal | 72.24.206.134 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:১৩395409
  • আমি দকে এ ব্যাপারে পুরো সমর্থন করি। মরে যাওয়ার পরে লাশটার কি হবে এই নিয়ে মোটেই চিন্তিত নই। ওটা তো তখন পুরোনো জামা। নৈনং ছিদ্দন্তি শস্ত্রানি, নৈনং দাহতি পাবক। যদি অস্ত্রে কাটা যায়না, আগুনে পোড়ানো যায়না, এমন আমি থাকি মৃত্যুর পরে, তবে হয়তো আবার জন্মাব। "আসব যাব চিরদিনের সেই আমি।"

    রঞ্জনবাবুকে বলি আমারও নিজেকে কিছুটা global citizen মনে হয় যদি অপরাধ না নেন। যদিও থেকেছি দুটো মাত্র দেশে। স্যামুয়েল জনসনের কথাটা বিশ্বাস করি : patriotism is the last resort of the scoundrel. এদেশে এখন সেটা প্রচন্ড ভাবে সত্যি। আমরা দূর্গা পূজা, সরস্বতী পূজার সাথে সাথে থ্যাঙ্কসগিভিংএ টার্কি রোস্টও খাই, সামারে পার্কে বার বে কিউও করি। আবার আমার কলকাতায় ফুটপাথের চা, তেলেভাজা খেলেও অসুখ হয়না। পনেরই অগস্ট নিউ ইয়র্কে ইন্ডিয়া ডে প্যারেডেও গিয়েছি আবার ফোর্থ অফ জুলাই বাজি পোড়ানো দেখি। যেমন ভারতীয় বা চীনে খাবার ভালোবাসি সেরকমই পছন্দ করি লাজানিয়া/পাস্তা, থাই খাবার, এনচিলাডা বা জাইরো।
    বিশ্বায়নের সাথে সাথে নেশন-স্টেটের ধারণাটা তরল হয়ে যাচ্ছে।
  • ranjan roy | 122.168.69.215 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০০:২৩395410
  • শ্যামলবাবুকে দু'হাত তুলে সমর্থন।
  • r | 59.162.191.115 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:০৪395411
  • মরে গেলে কি হবে তা নিয়ে কে চিন্তা করে, মরে যাওয়ার ঠিক আগে কি হবে তা নিয়ে ভাবুন!

    ঘাড় কেতরে মেঝেতে পড়ে আছেন, ওঠাবসাচলাফেরার ক্ষমতা নেই, অথচ টন্‌টনে জ্ঞান আছে যে আর দশ মিনিটের মধ্যে কেউ এসে ওষুধ না দিলে অক্কা পাবেন, কিন্তু কেউ কোত্থাও নেই, মাথার কাছে হাতঘড়িটার টিক্‌টিক্‌ শব্দ ছাড়া কেউ সাড়াশব্দটিও করছে না, ঐ পিঁপড়ে, বা পিমড়ের দল এসে এসে দেখে যাচ্ছে কতক্ষণে তারা নিরুপদ্রবে লাইন লাগাতে পারবে, আর দশ মিনিট বাকি, এই সময়টুকু পেরিয়ে গেলে আপনি আর আপনি নয়, একটি লাশ, আর মনে মনে ভাবছেন, কি কুক্ষণে নিজের লাশ লইয়া বড়াই করসিলাম, ব্যাকগ্রাউন্ডে উদাত্তকন্ঠে আবৃত্তি হচ্ছে- প্রবাসে দৈবের বশে ....., এইটাই তো পুরো সিনেমার ক্লাইম্যাক্স পয়েন্ট, তুঙ্গমূহুর্ত। সেই সব মূহুর্তের কথা ভাবুন।
  • r | 59.162.191.115 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:০৮395413
  • ডি: "ভাবুন" লেখা হয়েছে, কিন্তু ওটা শ্যামলবাবুকে উদ্দেশ্য করে নয়, ওটা পপুলার লিটারারি স্টাইলে সর্বসাধারণের জন্য একটা জেনেরিক সলিলোকি। ;-)
  • arjo | 168.26.215.54 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:০৮395412
  • প্রবাসে এসব হয় না। খামোকা ভয় পাবার কারন নেই। বরং কলকাতায় বেশি হয়। এখানে ৯১১ আছে। হোসপাইস আছে। হঠাৎ কিছু হলে ৯১১ আর জানান দিয়ে হলে হোসপাইসে যান। আর কাঁধের ও দরকার নেই, গাড়ি আছে। মরতে হলে মশাই প্রবাস ই ভাল। "r" মাইরি বুড়ো হয়ে যাচ্ছে।
  • r | 59.162.191.115 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:১০395414
  • ব্যাটাচ্ছেলে, আগের পোস্ট পড়ে নে, যেখানে কলকাতাকেও প্রবাসের মধ্যেই ধরেছি! :-(
  • arjo | 168.26.215.54 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:১৭395415
  • উরিত্তারা এ এক্কেরে গ্লোবাল প্রবাস। ইর্‌র্‌ক।
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:২১395416
  • র, হচ্ছে প্রবাসে বেঁচে থাকার কথা(জীবতারা ইত্যাদি কিন্তু কবি বলেন নি সাবজেক্টে), আপনি মৃত্যুর অমন একটি গ্রাফিকাল বর্ণনা দিয়ে এখনই হার্টফেল করাবেন না মশাই! মরতে আমায় একই রকম বিচ্ছিরি লাগবে, সে যেখানেই হোক আর পাশে যেই থাকুক।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৬395418
  • আর ১০ মিনিট পরে আমি একটি লাশ - এটা ভাবতেও কেমন ভয় হচ্ছে :-)
    স্বপ্নেও যদি একবার দেখতে পেতাম মরার আগে ঠিক কেমন লাগে - এই আমি বুঝতে পারছি আর ৫-১০ মিনিট পরে আমি নেই, বা ঠিক ১ মিনিট আগে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন