এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রবাসে দৈবের বশে

    shyamal
    অন্যান্য | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ | ৬৭৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tan | 131.95.121.132 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:১৪395353
  • কাবলিদা কোথায় গেলেন? আপনি থাকতে পুঁচকে পাঁচকাগুলো ভুলেঠিকে কিসব ঝেড়ে যাচ্ছে।
    আপনি বরং বলুন কিভাবে মিশে যেতে হয়, আপন করে নিতে হয় অথচ নিজের শিকড়ের উপরেও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
    বলুন শুনি।

  • ranjan roy | 122.168.69.215 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৮ ২৩:৫৪395354
  • শ্যামলবাবুর নজরটান চেয়ে--
    খুশবন্ত সিংয়ের The Company of Women থেকে--
    ""--However, much as I liked living in the free and easy atmosphere that prevailed in the States, with all the creature comforts it provided, and despite finding Americans the easiest people to befriend, I did not have a sense of belonging to the country or its people. Iwas Indian, belonged to India, wanted to make my mark inIndia and nowhere else.
    ------
    There were the old settlers, mostly Sikhs in California, who owned large farms and lived in luxary. there were the late-comers-doctors,engineers, teachers,hoteliers,--all doing much better money-wise then they could ever have in India. Even the latest arrivals--mostly factory workers and cab-drivers--earned enough in dollars, to be able to send decent money back home to ensure that their children went to public schools and their wives lived in comfort in their villages, while the men themselves had women--American, European immigrants and Latinos-- to cook, keep house and warm their beds. With everything going for them, they talked of their "watan', ate Indian food, listen to Indian film music and often cried in their sleep. Their common theme was ,"once I have made enough dollars, I will go back to my village'. Hardly any did.

    জনগণ, কি ক'ন?
  • shyamal | 72.24.206.134 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১০:৪৫395355
  • এদেশে যে ভারতীয়রা আসে আর স্থায়ী ভাবে থেকে যায় তাদের বেশিরভাগকেই কিছুটা স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমার এক এখানকার আমেরিকাতুতো দাদাকে জানি যিনি এখন বেশ ভালো ভাবে এস্টাব্লিশড । কিন্তু তিনি যখন প্রথম আসেন তিরিশ বছর আগে তখন গ্রীন কার্ড থাকা সঙ্কেÄও অড জব করতে হয়েছে। রেস্টুরেন্টে বাসন ধোয়ার সময়ে ইউনিভার্সিটি থেকে ফোন এসেছে যে তার পি এইচ ডি প্রোগ্রামে অ্যাডমিশন হয়ে গেছে।
    আমি যখন পড়তে আসি বহু ভারতীয় ছাত্র নিউ ইয়র্কে রেস্টুরেন্টে, গ্যাস স্টেশনে কাজ করে খরচ চালাত যদিও ছাত্রদের ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করা বেআইনি। এটা তো অনস্বীকার্য যে এদেশে অতি কম পয়সায় বাইরে থেকে লোক এনে কাজ করানোর ট্র্যাডিশন বহু বছরের। যারা আসে তারা দেখে নিজের দেশের তুলনায় অনেক ভালো আছি। সেই চাহিদা আর যোগানের গল্প। তাদের কেউ কেউ ক্ষেতে ফসল তোলে আবার কেউ হয় টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ( এই অধমও ছিল এক সময়ে) , কেউ পোস্ট ডক কেউ ভিজিটিং প্রফেসর।
    অনেক হার্ডল অতিক্রম করার পরে একটা জেদ চেপে যায় যে কিছু ডলার কামাতেই হবে। তখন তারা হিসেব করে কত টাকা হলে দেশে ফিরে যাওয়া যাবে। কিন্তু দু:খের বিষয়, যত দিন যায় সেই অংকটা তত বাড়তে থাকে। আমার আরেক আমেরিকাতুতো দাদা বছর পনের আগে বলত, বুঝলি দেশে ফিরতে গেলে অন্তত: এক কোটি টাকা থাকা দরকার। আর বছর সাতেক আগে সেই বলেছে, না: পাঁচ কোটির কমে সংসার চালানো কঠিন। কাজেই এটা যাকে বলে মুভিং টার্গেট হয়ে দাঁড়ায়।
    বিয়ের পরে ছেলেরা বলে , আরে আমি তো দেশে যেতে রাজি, কিন্তু বৌ রাজি নয়। তার পরের স্টেজে বাচ্চারা দেশে যেতে চায়না। আরেকটা যুক্তি হল, বাচ্চারা এদেশে যত সুযোগ পাবে দেশে কি তা পাবে? এভাবেই দিন কেটে যায়। এর মধ্যে এদেশে বাড়ী হয়। দেশে একটা ফ্ল্যাট হয়। দেশে যাওয়ার ইচ্ছেটা থেকে যায় কিন্তু বাস্তবে হয়না।
    আর আজকাল বহু বড় মেট্রোপলিটান জায়গাতে একটা দেশি পট্টি আছে যেখানে মুসুর ডাল থেকে বড়ি, পুঁই ডাঁটা থেকে বিস্ক ফার্মের বিস্কিট, দোসা থেকে তন্দুরি চিকেন, হিন্দি সিনেমা, বলিউডি ফিল্ম স্টারদের প্রোগ্রাম --- সবই পাওয়া যায়। ইন্টারনেটে বাংলা কাগজ, তারা বাংলা টিভি। দেশে সপ্তাহান্তে ফোন, সবই সহজ। আমি যখন প্রথম আসি , দেশে প্রায় কারো বাড়িতে ফোন ছিলনা আর কলের দাম ছিল মিনিটে দু ডলার। এখন ঘরে ঘরে সেল ফোন আর কলের চার্জ মিনিটে আট সেন্ট। এসব কারনে দেশে ফেরার তাগিদ কমেছে।

  • nyara | 64.105.168.210 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:১৫395356
  • একটা n+1 rule-এর ফান্ডা আছে এদেশের ভারতীয়দের মধ্যে। সেটা হল n টাকা হলেই দেশে ফিরে যাব। n-এর ভ্যালু এক একজনের কাছে এক একরকম - কারুর ১০০,০০০ ডলার, কারুর ৫০০,০০০ ডলার তো কারুর কাছে ১,০০০,০০০ ডলার। কিন্তু মজাটা হল যে যেই ঐ n টাকার গোলটা ছোঁয়া হল, অম্নি n = n+1 হয়ে যায়। অর্থাৎ টাকার গোলটা কখনই ছোঁয়া যায়না।

    এটার একটা করোলারি হল x+1 rule। এক্ষেত্রে লোকে প্রতিজ্ঞা করে x বছর পরে ফিরবই ফিরব।
  • § | 61.95.167.91 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:২৯395357
  • বড় দার্শনিক হয়ে যেতে ইচ্ছে করে এসব শুনলে। একটাই তো জীবন। জীবনে সব দেখার সাধ কজনের মেটে! নিজের দেশকে এখনও ঠিক করে চিনে উঠতে, দেখে উঠতে পারলাম না, বাইরের দেশে গিয়ে, শুধুমাত্র টাকার জন্যে আমার এই একমাত্র জীবনের একটা বড় অংশ, একটা ভ্যালুয়েবল অংশ কাটিয়ে আসব? শুধুই টাকা, কেরিয়ার, বেশি সুযোগ, উচ্চশিক্ষা? তারপর ঐ, বৌ আসতে চায় না, ছেলেমেয়ের ক্যালকাটার ওয়েদার স্যুট করে না বলে বাকি জীবনটাও কাটিয়ে দেওয়া সেখানেই? জীবনে কি তার চেয়ে বড় আর কিছু নেই? কে জানে!

    এমন কিছু দেশপ্রেমিক নই, দেশের জন্য প্রাণ দেবার হিম্মৎও নেই, ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত করাপশান ... তা-ও জানি, তবু, তবু এ তো আমার নিজের জায়গা। আমি ইচ্ছেমত এখানে বাড়ি কিনতে পারি, সবজি বাজারে ঝেড়েবেছে আলু টমেটো কিনতে পারি, হোলির দিন রং মেখে উদ্দাম হুল্লোড় করতে পারি, যে কোনো সময়ে চাইলেই বাড়ি চলে যেতে পারি, যে কোনও দরকারে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছে যেতে পারি, মার্কেটে গিয়ে আড়তে গিয়ে গোলায় গিয়ে দরদস্তুর করে ঝেড়েবেছে জিনিস কিনে আনতে পারি, চাইলে বাঙালির প্রোগ্রামে মাইকে বাজানো বাংলা গান শুনতে পারি, ...

    হয় তো এ সবই আমেরিকা, তথা বিদেশের অনেক দেশেই পাওয়া যায়, কিন্তু নিজের দেশে এই সব পাওয়ার যে সহজলভ্যতা, সে কি বাইরে মেলে? টাকাপয়সা দেশে বসেই যা পাচ্ছি, খারাপ তো নয়! দিব্যি দিন চলে যায়, মাস চলে যায়, মাসের শেষে কিছু বেঁচেও যায়।

    কেন খামোকা আবার সেটআপ চেঞ্জ করা? :-)
  • r | 125.18.17.16 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১১:৫৭395358
  • তাইলে যাবতীয় দেশপ্রেমের হেতু হইল ল্যাদ!
  • nyara | 64.105.168.210 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১২:০২395359
  • সোপবক্স ফাঁকা। রেসিডেন্ট এন আর আই এসে 'বাংলার মাটি, বাংলার জল' স্টাইলে 'বাংলার ভিড়, বাংলার কাদা / বাংলার বাসে ভিড় গাদা গাদা' নিয়ে দুছত্র শোনাবেন না?
  • san | 122.166.7.51 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১২:২৮395360
  • তাহলে টাকা, কেরিয়ার, সুযোগ, উচ্চশিক্ষা ইত্যাদি ইত্যাদির থেকেও বড় যা জীবনে আছে তা হল সবজি বাজার? কনফিউজিং ;-)
  • Blank | 203.99.212.224 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৩:২৪395363
  • আমেরিকা
    ---------------
    প্রথম বার এসেছিলাম 'প্রথম বার' বলে। তখন ভাবতুম কবে 'অনসাইট' যাবো। পরের বার এলাম কিছুটা বাধ্য হয়ে, কিছুটা 'যাই ঘুরে আসি'।
    আর একবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে, আরো কিছু জায়গা ঘোরা বাকি রয়ে গেছে।

    অন্য যেকোনো জায়গা
    ------------------
    এক্ষুনি রাজি। অনেক অনেক জায়গা আছে যাওয়ার।
  • § | 61.95.167.91 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৪:২৬395364
  • হুঁ। ঐ অর্ণব চ্যাটার্জি টাইপের ল্যাদ বলতে পারো (প্রিয় বন্ধু)। গত বছরের রেজোল্যুশন ছিল বটে। সেই মতো এগিয়েওছিলাম। দেড় দু বছরের জন্য চলে যাবার কথা হয়েছিল মার্কিন ভূমিতে (এটা দীর্ঘ ঊ তো?)। কিন্তু যতই দিন এগিয়ে আসতে থাকল, বুঝলাম সেই মানসিকতা আমি হারিয়ে ফেলেছি। ফ্যামিলিকে ছেড়ে এক সপ্তাহের জন্য তুর্কীতে, আর দেড় মাসের জন্য পুণেতে রইলাম, বুঝলাম আমার পক্ষে এইভাবে অন্য জায়গায় গিয়ে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা বেশ অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। কী ধরণের ল্যাদ এটা, জানি না।

    এক রকম জেদের বশেই বিদেশযাত্রা কাটিয়ে দিয়েছি। এই সোমবার আমার পিটিশন এল। কিন্তু এখন আমি ভারতীয় ক্লায়েন্টের খিদমত খাটছি। আপাতত দূর দূর তক বিদেশ যাবার কোনও গল্প আমি বাকি রাখি নি। পিটিশন এখন ধূলো খাক। নতুন জায়গায় গিয়ে সব নতুন করে সেটআপ করা, প্রচন্ড লেবার।
  • Du | 67.111.229.98 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২১:০৯395365
  • বেঁচে গেছো, ভায়া।

    ন্যাড়াবাবু ভাল বলেছেন :) । পরের x টা আরো ভাল। আর ভদ্রলোকের এক কথা । তাই x বছর পরে ফিরবো টা বদলায় না । শুধু circle of reasons এর মতো 'ফিরবো'টা কখন 'যাবো' হয়ে যায়।
  • ranjan roy | 122.168.69.215 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২২:২৪395366
  • মাইরি!
    আমি এই প্যারাডক্সের একটা মিনি মডেল
    পেশ করতে চাই।প্লীজ, পচা টম্যাটো,পচা ডিম ছুঁড়বেন না।
    আমার বাবা বাহরিন, ভিলাই এসব জায়গায় চাকরি করতে করতে স্বপ্ন দেখতেন পরে কলকাতা ফিরে যাওয়ার।
    রিটায়ারমেন্ট কাছে এলে মনে করলেন-- গঙ্গা পার হবেন না।
    তারপর ভিলাইয়েই অনেকটা জমি কিনে প্লট করে ভাবলেন একটা মিনি বাঙ্গালী- ঘেট্টো গোছের বানাবেন।
    ব্যাপারটা এগুতে লাগলো। কিন্তু অন্য বয়সে-কম ঢাকা-কুমিল্লা-মৈমনসিং ওয়ালারা বাড়িকরতে স্বাভাবিক ভাবে একটু বেশি সময় নিলেন। শেষমেশ আমাদের বাড়ি ( ভিলাইয়ের উপনগরীতে শস্তাজমি খুঁজে) অবাঙ্গালীদের মধ্যেই হলো।
    আমি জানি এদেশেই চাকরি করতে হবে। কাজেই প্রবাসী বঙ্গালী খুঁজে বিয়ে করলাম( রোজ রোজ মাছ কে খাওয়াবে?)
    এখন বাবার তৈরি বাড়ি আর্থিক কারণে বেচে দিয়ে বিলাসপুরে বানিয়ে থিতু হয়েছি।
    আমি সুনীল গাঙ্গুলীর একটা চরিত্রের মত দেশ বলতে বুঝি আমার ছোটোবেলার কোলকাতা। ভারতবর্ষ নয়।
    আমার আপন ছোটোভাই সল্টলেকে, নাকতলায়, বেহালায়, হুগলীতে গন্ডাকয়েক কাকা-কাকিমা, তুতো ভাইবোন।
    কিন্তু, আমি রিটায়ারমেন্টের পর কোলকাতায় যাবো না।
    যদিও বাংলা ছাড়া আর কোন ভাষায় আমি স্বচ্ছন্দ নই। অ্যাদ্দিনে PCBL, GCর খোঁজ পেয়ে বর্তে গেছি। ৩৫ বছর পরে বাংলায় লিখতে পেরে হাঁফছেড়ে বেঁচেছি।
    কিন্তু আমি ১৯ বছর সেদ্ধ খাবার পর ৩৮ বছর ধরে আতপচাল খাচ্ছি।
    আমি কোলকাতায় ফিরে যাবো না। ধানবাদ থেকে আমার তুতো বোন ডাকছে- বড়দা, রিটায়ারমেন্টের পর এসো, বেহালায় ফ্ল্যাট কিনে আমাদের পাশে থাকো। কিন্তু আমি জানি- আমি যাবো না।
    যদিও রোজ সকালে আটটায় বেরিয়ে রাত্তিরে একঘন্টা ট্রেন যাত্রা করে রাত নটায় বাড়ি ফিরে বারোটা অব্দি বাংলা-ওয়েবজিনে না গেলে পেটের ভাত হজম হয় না, তবুও না।
    কারণ পয়সা? মনে হয় না।
    কারন অভ্যস্ত জীবন না বদলাতে চাওয়া? হয়তো কিছুটা। ভাবতে ভাঅবতে মনে হলো আসল কারন অন্য কিছু। একধরনের আত্মবিশ্বাসের অভাব।
    আসল কারন যদি কোলকাতা আমাকে ফিরিয়ে দেয়?
    যে কোলকাতার স্বপ্ন আমার চোখে, যদি গিয়ে দেখি সে' কোলকাতা কোথাও নেই। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে?
    ভাবুন তো, একটি মেয়েকে কথা দিলেন--- শহরে গিয়ে অনেক টাকা কামিয়ে বড়া আদমী হয়ে ওর কাছে ফিরে আসবেন। সেই কল্পনায় খেটে মরলেন। তারপর ফিরে গিয়ে দেখলেন-- হাওড়াপুলের তলা দিয়ে অনেক জল
    গড়িয়ে গেছে।
    তখন???? কোথায় ফিরবেন? কার কাছে ফিরবেন?

    বিশ্বস্ত সূত্রে শোনা-- লেখক শংকর কলকাতায় যতই কাজ বা মিটিং, ডিনার থাকুক, রাত্রে গাড়ি চালিয়ে ফিরে যান, হাওড়ার শিবপুরের নিজের বাড়িতে।
    কিন্তু শংকর ক'জন?
  • a x | 192.35.79.70 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২২:৫১395367
  • রঞ্জনদার শেষ লেখাটাই একমাত্র কিছু মানে রাখল এই থ্রেডে আমার কাছে।
  • dd | 202.122.18.194 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২৩:৩৮395368
  • ইয়েস। রঞ্জন বড্ডো খুব ভালো লিখেছে।

    আসলে যে কলকাতায় যে মফ:স্বলে ইস্কুলে কলেজে চোট আর হোঁচট খেয়ে টালমাটাল হেঁটে কুঁদে বড়ো হলাম সেখানে আর ফিরে যেতে পারবো না। কখনো না।

    সেই রিয়ালিটি শুধু স্মৃতিতে ডায়ারীতে।

    এই তো বেশ আছি ব্যাংগালুরে (বা বে এরিয়ায় বা মংগল গ্রহে)। এইখানেই নেট ও প্রবাসী প্রতিবেশীদের নিয়ে আমার মিছিমিছি বাংলা বাংলা খেলা।

    কাবেরীতেই গংগাপ্রাপ্তি। গ্লোবালাইজেশনের একেবারে আল্টিমেট।

  • lcm | 128.48.203.128 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০০:১৪395369
  • সেন্টুতে ভিজে চপচপে হয়ে যাচ্ছে এই থ্রেড।
  • dd | 202.122.18.194 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০০:২৭395370
  • হে:।
    রাত সাড়ে বারোটার পর জেগে থেকে বানান টানান ঠিক রেখে টাইপ কত্তে গেলে খুব জোরদার সেন্টু লাগে। লাগেই। নয়তো ট্রিগনোমেট্রির আঁক কষতে হয়।

    বরম জ্যাবজ্যাবে সেন্টুই ভালো, বাদাম ভাজার সাথে দারুন জমে।
  • kallol | 122.167.90.153 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০০:২৯395371
  • জম্মো থেকে ৭১-৭২ এই দু বছর আর ২০০১-২০০৩ এই তিন বছর বাদ দিয়ে কলকাতাতেই ২০০৬ পর্যন্ত। কলকাত ছেড়ে আসার একটা বড় কারন কলকাতায় হাঁপিয়ে ওঠা। আমি যে কলকাতায় বড় হয়েছি, সে কলকাতা স্রেফ 'না' হয়ে গেছে।
    এখন কলকাতা বড় বেশী সাবধানী আর চকমকে। বরং তুলনায় গৌহাটি বা আগরতলা অনেক আপন লাগে। এমনকি (দীপ্তেন খুব ক্যালাবে - তবু) তুলনায় ব্যাঙ্গালোরও অনেক সতজ। না, দিল্লী তেমন টানে নি।
    যদি আমায় কোন অপশন দেওয়া হয় - আমি আগরতলায় বা গৌহাটিতে থাকতে চাইব।
  • lcm | 128.48.203.128 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০০:৩৮395372
  • কিন্তু তুমি যদি দিল্লী বা বেঙ্গালুরু তে বড় হয়ে উঠতে , তা হলেও এখনকার সঙ্গে মিলত না। কোনোদিনই মেলে না।
  • kallol | 122.167.90.153 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০০:৪৫395374
  • একদমই তাই। ফলে পরবাসে সব ক্ষেত্রে দৈবের বশে নাও হতে পারে। ল্যাদ, মাল্লু, নিশ্চিন্ততা - এসবের বাইরেও বহু কারন হয়।
  • dri | 129.46.154.111 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:৪৩395375
  • কই আমার তো খুব সেন্টু কিছু লাগল না। বরং বেশ গল্প শোনা যাচ্ছে। কে কেমনভাবে কারণগুলো সাজিয়েছেন। এটা তো এজ অব রিজ্‌ন। তাই রিজ্‌নটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। নিজের কাছে পরিষ্কার থাকার জন্য কারণ একটা খুঁজে বার করতেই হবে। কেন আমি ফিরিনি।

    যে জায়গায় রঞ্জনদা, ডিডিদা এবং এ এ এক্সের সাথে মিলল না, এরা মনে হল প্রত্যেকেই এক রকম ভাবে এখন যেখানে আছেন সেখানে অ্যাড্‌জাস্টেড। 'এই তো বেশ আছি বেঙ্গালুরুতে'। কলকাতায় গেলে কি ফিরে পাব হারিয়ে যাওয়া সময়? আমি এখনও এই অ্যাডজাস্টমেন্টটা খুঁজে পেলাম না। এখনও বড় ফিশ আউট অব দা ওয়াটার লাগে। এতদিন থেকে গেলাম তার মূল কারণ, পয়সা। শুনতে একটু খারাপ লাগে। ভাবতেও। অন্তত বলা উচিত ছিল কাজ, বা লাইফস্টাইল। বা অন্য কিছু। কিন্তু এটাই ট্রুথ, এবং ওনলি ট্রুথ। একটা ছোট্ট থট এক্সপেরিমেন্ট করা যাক। ধরা যাক কলকাতায় একটা চাকরি পাওয়া যাচ্ছে যেখানে আমি এখন যা পাই তার দুগুন পাবো। যাবো।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:৫২395376
  • প্রায় দশ বছর হল কলকাতা ছাড়া। প্রথম প্রথম ২-৩ মাস পরে পরে যেতুম, সব বন্ধু বান্ধব আসত, খুব মজা হত। ফিরবার সময় দমদমে যেতেই কিছুতেই মন চাইত না। প্লেনের জানলার ধারে বসে উড়ে যাবার আগে দুচোখ ফেটে জল আসত। আবার ২-৩ মাস ফিরে আসবার সম্ভাবনা নেই। এক - দু সপ্তাহের কলকাতার ধোঁয়া ধুলো ভরা অক্সিজেন নিয়ে মাস দুই চলত - আবার চাপত কলকাতাকে দেখার নেশা। জানতাম ফিরে এসে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট হবে, তবু যেতে ভাল লাগত।
    প্রথমবার বিদেশে যাবার সময়ও খুব কষ্ট হয়েছিল। নতুন দেশ দেখবার আনন্দ থেকে কলকাতা ছাড়ার কষ্ট ছিল অনেক বেশী। আরো যখন জানিনা কবে ফিরব আবার আমার প্রিয় শহরে। বছরখানেক পরেই মনে হতে লাগল - এভাবে চাকরি করা যায় না, বছরে একবারও কলকাতা না গিয়ে শুধু কলকাতা কে মিস করছিলাম না - দেশটাকেও প্রচণ্ড মিস করছিলাম। চাকরি ছেড়ে, থেকে যাবার জন্য শত অনুরোধ অগ্রাহ্য করে , রীতিমত ঝগড়া করে তাই ফিরে এলাম দেশে - কলকাতাকে কাছে পেয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। থাকতে শুরু করলাম পুনে তে - ২-৩ মাস পরে পরেই কলকাতা যাওয়া। সঙ্গে শুরু হল আবার পড়াশুনো, কলকাতা যাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সিটাও কমে গেল। তবু বছরে ২ বার যেতামই। তবে কলকাতাকে আমার কলকাতা বলে মনে হচ্ছিল না। প্রথম ২-৩টে সুযোগ ছেড়ে দিলেও একসময় চলেই গেলাম ইউরোপ দর্শনে। গুরু-র সঙ্গে আলাপ হল, বাংলার বাইরে থেকেও কত বাঙ্গালী আড্ডবাজকে কাছে পেলাম। আগের বারের মতন কলকাতা ছেড়ে থাকার কষ্টটা ছিলইনা বললে চলে। তবু যখন কথা হল কলকাতা যাওয়ার, আনন্দে নেচে উঠেছিলাম। প্রায় আড়াই বছর পরে আবার কলকাতা গেলাম। দমদম থেকে বাড়ি যেতে ২৫ কিমি রাস্তা লাগল ৩ ঘন্টা। সর্বত্র খোঁড়াখুঁড়ি। নতুন করে তৈরি হচ্ছে যেন শহরটা। বেশ ভাল লাগল কলকাতার আধুনিক রূপ। চেনা রাস্তা গুলো যেন চিনতে পারছি না! কিন্তু খুব কষ্ট পেয়েছিলাম যখন দেখলাম কাছের লোকগুলো আর কাছের নেই। জমাটি আড্ডা মারতো যারা, আমার কলকাতা ফেরার জন্য বসে থাকত যারা, সকলেই আজ খুব ব্যস্ত। ৩ সপ্তাহ প্রায় একাকী ভুতের মতন কলকাতা ঘুরে বেড়ালাম - ভাল লাগল না। কলকাতার কেউ আজ আমাকে টানে না। আমেরিকায় বসে রয়েছি ১ বছর হল, কলকাতা যাবার ইচ্ছাই করছে না। পুনেতে নিজের বাড়ি - মা --- টানছে বড় মাঝে মাঝেই। ফিরতে হলে পুনেতে যাব, হিমালয়ে ঘুরে বেড়াব - তবু কলকাতা গিয়ে সকল কে যাষ্ট দেখা দেওয়া আর নিজে নিজে এনজয় করার কোন মানে হয় না। এতে আমার কষ্ট বাড়ে, আনন্দ হয় না।
    প্রবাসে থাকা তাই কোন দৈবের বশে নয় - থাকত ভাল লাগে, নতুন দেশ ঘুরতে ভাল লাগে, নতুন কিছু দেখতে ভাল লাগে তাই। পয়সাকড়ি দেশে যা জমত তার দ্বিগুন জমে যায় - দেশের থেকে অনেক বেশি আরামে থাকা যায় সেটাও আরেকটা কারন। কলকাতা না থেকে পুনে থাকলেও যা, ক্যালিফোর্নিয়া থাকলেও তা -- এই ভেবে একসময় এসেছিলাম বিদেশে। এখন দেশে গেলে "কলকাতা না গেলেও চলে' - এটা হয়ত আমার একান্ত নিজস্ব অনুভুতি, কলকাতায় কোন কাছের বন্ধু নেই বলেই হয়ত, কাকা-জ্যেঠা-মামা-মাসি-পিসি ও তুতো ভাই-বোনেদের মধ্যে কোন মানসিক যোগাযোগ নেই বলেই হয়ত, মা কলকাতায় থাকেনা বলেই হয়ত। তবু কেন রহড়ার নিজের বাড়িকে ঠিক নিজের মনে হয় না - জানি না। নিজের বানানো ঘরটাও নিজের মনে হয়না কেন - জানি না। জানি না কেন মনথেকে কলকাতার প্রতি সব ভালবাসা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। এটা ভাল না খারাপ - তাও বুঝতে পারি না।
    তবু বাংলা ভাষা, বাঙালীকে ছাড়া বাঁচি না। আনন্দবাজার না পড়লে সকালে কাজে মন বসে না, দুপুরে বর্তমান চাই, আর সারাদিন গু.. - রিজ-কাণ্ডে ক্ষেপি, সিঙ্গুর - তাপসি ব্যাথিত করে, নন্দীগ্রাম-আমরা-ওরায় সর্বনাশের আশঙ্কায় বিচলিত হই। তবে কি আমি সেই না দেখা বাঙালী হয়ে গেলাম যে বাংলাকে ভালবাসে, কলকাতাকে নয়!
  • lcm | 128.48.203.128 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৫:২৬395377
  • না মানে, মানুষ জাতির ইতিহাসে মাইগ্রেশন নতুন কিছু নয়। জীবিকা, রুটি-রুজি, শিক্ষা, বেড়ানো, আরামের জীবন যাপন, দখলদারি... বিভিন্ন কারণে মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গেছে, কখনও শেকর গেড়ে থেকে গেছে নতুন জায়গায়, কখনও ফিরে এসেছে পুরোনো জায়গায়...। ফার্স্ট জেনারেশন ইমিগ্র্যান্ট-দের (দেশ থেকে বিদেশে, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে) একটা জেনারেল সাইকোলোজি থাকেই- একটা দ্বন্দ্ব, দ্বিধা। কিন্তু সেটা স্বাভাবিক, সেটা নিয়ে হতাশার কিছু নেই, কারণ খুঁজে হয়রান হবারও দরকার নেই।
  • dri | 129.46.154.111 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৫:৩০395378
  • কিন্তু কারণ খুঁজে হয়রান হলেও বলার কিছু নেই। কারো কাছে, হয়ত অনেকের কাছেই এই জাস্টিফিকেশানটা খুব বড়ো জিনিষ।
  • Paramita | 63.82.71.141 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৫:৪৯395379
  • কোনো কিছুতেই অন্য কারো কিছু বলার থাকা উচিত নয়। সব পসন্দ অউর প্রায়োরিটি আপনা আপনা।
  • dri | 129.46.154.111 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৫:৫৭395380
  • আমারও একই কথা। অন্যের কারণটা শুনতে চাইব, গল্প শুনতে ভালোবাসি বলে। জাজ করব না।
  • lcm | 128.48.203.128 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৬:৩৪395381
  • একমত। সারা জীবন ধরে না ফেরার এই কারণ খুঁজার ইচ্ছে-টাও আপনা আপনা ।
  • Suvajit | 124.183.183.167 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:০০395382
  • আরো একটা কারণ আছে মাইগ্রেশনের। নিজের দেশ থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়া। আমার ঠাকুরদাদা দাঙ্গার সময় কলকাতা আসার অল্পদিন পরেই মারা যান, আমার জম্মের আগে। তাই আমি তাকে দেখিনি। কিন্তু আমার ঠাকুরমাকে দেখেছি। প্রথম কলকাতায় এসে ঝুপরিবাড়ি, পরে এক কামরার ঘরে পরিবারের ১০-১২ জন কেমন গাদাগাদি হয়ে থাকতেন সে গপ্প শুনেছি। কলকাতায় ২০-২৫ বছর কাটিয়ে দেবার পরেও কলকাতা তার কাছে প্রবাসই ছিলো। বৃদ্ধা ঠাকুরমার স্মৃতিতে বহুবার শুনতাম তার নোয়াখালির বাড়িতে ফেলে আসা পুকুর, পুকুরের মাছ, তাল, নারকেল, আম, জাম গাছের কথা, তার সইদের কথা, গ্রামের মানুষদের কথা। মনে হত, যে মানুষটা, তার নিজের পল্লিগ্রামে পরিচিত জনেদের মাঝে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতেন, কলকাতার প্রবাসে এসে, হাত-পা বাঁধা হয়ে তার সেই স্বাধীন সত্বাটাকে হারিয়ে এসেছেন বহুদিন।
    বহুকাল তিনি গত হয়েছেন। আমার বাবা-মারও জন্মস্থান বাংলাদেশ। কিন্তু কলকাতায় থেকে, কাজকর্ম করে তারা ক্রমশ কলকাতার সংগে মানিয়ে নিয়েছেন, প্রবাসই তাদের দেশ হয়ে গেছে। ঠাকুমার হাহাকারের প্রতিধ্বনি তাই তাদের মধ্যে কখনো শুনি নি। তাও আজও ঠাকুমার কথাগুলো আমাকে নাড়া দেয়, ভাবি একটা মানুষকে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কেন নিজের দেশ ছাড়তে হয়।
  • tan | 131.95.121.132 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:২১395383
  • দাঙ্গায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া আর কাজকর্মের জন্য দেশ ছাড়ার মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য আছে বলে মনে হয়।

  • shyamal | 72.24.206.134 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১০:২২395385
  • বিদেশে থাকতে থাকতে আর এটাকে ততটা বিদেশ বলে মনে হয়না। কখন জানিনা, শচিন, সৌরভের সঙ্গে সঙ্গে ইলাই ম্যানিং আর টুমারের ফ্যান হয়ে গেছি। সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে সঙ্গে প্যাট্রিক ইউইং আর মাইকেল জর্ডানের লড়াই দেখে মজা পেয়েছি। নিউ জার্সিতে থাকাকালীন নিউ ইয়র্ক জায়ান্টস (মার্কিনি ফুটবল) আর নিউ ইয়র্ক নিকসকে (বাস্কেটবল) ফলো করতে শুরু করেছি। বেসবলটা বুঝিনা তাই ইয়াংকিকে সমর্থন করার প্রশ্ন ওঠেনা।
    একটু আগে এদেশের বড় পরব সুপারবল শেষ হল। আর আন্ডারডগ জায়ান্টস প্রায় অবিশ্বাস্য ভাবে শেষ মুহুর্তে জিতে গেল। নিউ ইয়র্ক টাইমসে হেডলাইনের খবর। একে একে ড্যালাস কাউবয়, গ্রীন বে প্যাকারকে বধ করে শেষে অপরাজিত নিউ ইংল্যান্ড পেট্রিয়টকে সুপারবলে হারানোটা চাক দে ইন্ডিয়ার থেকেও অবিশ্বাস্য। সবাই জায়ান্টসকে অনেক দিন আগেই খরচের খাতায় লিখে রেখেছিল। খেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথে নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে এক বঙ্গ সন্তানের ফোন। দেখেছ, জায়ান্টস কাঁপিয়ে দিয়েছে। কারণ বহু দিন যাবৎ নর্থ ক্যারোলাইনাতে থাকলে কি হবে, নিউ জার্সিতে পড়াশোনা ও প্রথম চাকরি। তাই এখনও জায়ান্টসের ফ্যান।
    আমাদের আরেক বন্ধু, যে আমাদের মার্কিনি ফূটবলের নিয়ম কানুন শিখিয়েছিল, সে বেচারা এখন কলকাতায় গেছে। জানিনা ভোর পাঁচটায় উঠে সুপারবল দেখতে পেল কিনা। দেশে বোধ হয় সি এন বি সিতে দেখায়।
    চাক দে জায়ান্টস হল। দেখা যাক মঙ্গলবার চাক দে হিলারি হয় কিনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন