এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নেপালে মাওবাদী গণতন্ত্র

    kallol
    অন্যান্য | ১৪ এপ্রিল ২০০৮ | ৫৬৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 220.226.209.5 | ১৪ এপ্রিল ২০০৮ ১৫:১৮397083
  • কোন দেশে ঘোষিত মাওবাদীরা ভোটে জিতে ক্ষমতায় - এই প্রথম। রাজতন্ত্র হয়তো বিদায় হবে। কিন্তু কৃষির প্রশ্নে - শিল্পের প্রশ্নে কোন পথ নেবে প্রচন্ড অ্যান্ড কোং সেটাই দেখার। কেন্দ্রের বঞ্চনার গল্প এখানে চলবে না। এক খোলা থাকে আমেরিকা বা সি.আই.এর চক্রান্ত। একটা কাছাকাছি মডেল আছে, কিউবা। কিন্তু সেখানে গণতন্ত্রের দায় ছিলো না। আর কিউবার ভৌগলিক অবস্থানও অনেক সুবিধাজনক, অন্তত: নেপালের চেয়ে।
    আমার কেমন বারবার মনে হচ্ছে আর একটা সিপিএম কেস হতে চলেছে। সেই শিল্পায়ন (বুর্জোয়া পুঁজির বিকাশের গল্প, তবে না সমাজতন্ত্র)। সেই খোলা বাজারের খেল।
    কার কি মনে হচ্ছে ?

  • U | 198.169.6.69 | ১৪ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৩৭397137
  • কল্লোলদা,
    'মনে হচ্ছে', মানে, আপনিও, এখন, বিশ্বাস করতে সুরু করেছেন, (মানে অবচেতনে), আজকের যুগে সমাজতন্ত্র-টন্ত্র ফালতু কথা, বুর্জোয়া পুঁজি ছাড়া বিকল্প নেই, মানে মাওবাদীদের-ও নেই, সিপিএম-এর-ও নেই।
  • kallol | 122.167.64.149 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ০০:২৫397148
  • আমি অনেককাল আগেই ব্যাপারটা (মার্কসীয় সমাজতন্ত্র) নিয়ে ধাঁধায় ছিলাম। পরে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, মার্ক্স বা লেনিন সমাজতন্ত্র বলতে যা বলেছেন ও করেছেন (করার দায় অবশ্য লেনিনের ওপরই বর্তায়), সেটা রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ ছাড়া অন্য কিছুই নয়। এই গুরুতেই লেখাটা আছে - এইখানে
    http://www.guruchandali.com/?portletId=1&pid=jcr://content/guruchandali/guruchandali11/1200864285723
    বুর্জোয়া পুঁজির বিকল্প আছে, এটা আমার বিশ্বাস। সেটা ঠিক কি, তা বলে দেওয়া আমার সাধ্যের বাইরে। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে তা কখনই - মার্ক্স-লেনিনের "সমাজতন্ত্র" নয়। কারন সেটাও পুঁজিবাদেরই আর একটা রূপ মাত্র। বরং মাও অন্য একটা চেষ্টা করছিলেন। যেটা আজ বহুনিন্দিত, "সাংষ্কৃতিক বিপ্লব"। মাও বলেছিলেন, সমাজতন্ত্র মানে জাগতিক প্রাচুর্য নয়, বরং সমাজতন্ত্র মানে নতুন মানুষ গড়া।
    কিউবাও ৯০-পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক অবরোধে পরার পর বেশ কিছু ঔৎসুক্য জাগানো পরীক্ষা চালায়। সেগুলো ফিদেল পরবর্তী জামানায় কতটা টেঁকে সেটাও দেখার।
    নেপালে মাওবাদীরা খুব অন্য রকম কিছু করবে বলে মনে হয় না। গত বছর কোন এক সময় প্রচন্ড, বুদ্ধ ভট্‌চার্যের শিল্পায়ন নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছিলো। তাই.......

  • r | 198.96.180.245 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ০১:০০397159
  • একটু ফুট কাটি: "কি করিতে হইবে" এই ব্যাপারটার দায় কিন্তু লেনিনের ঘাড়েই ফেলতে হবে। দাস কাপিটাল বা ভ্যালু, প্রাইস এন্ড প্রফিটের মূল জায়গাটাই হল ধনতন্ত্রের ইতিহাস ও বিশ্লেষণ, "কি করিতে হইবে"র জায়গাটা ভাসাভাসা অথবা "যাহারা করিবে তাহারা স্থান কাল পরিস্থিতি দেখিয়া করিবে"। বরং মার্ক্স "ভবিষ্যৎ সমাজতন্ত্র এইরূপ হইবে"- এই ইউটোপিয়ান সমাজতান্ত্রিক মডেলের বিপক্ষেই লড়াই করেছেন। মার্ক্স মনে করেছিলেন যারা প্রতিদিনের লড়াই লড়ে তারাই ঠিক করবে কি হবে, আর্মচেয়ারে বসে এইজাতীয় ফতোয়া দেওয়ার কোনো অর্থ নেই। অতএব সচেতনভাবে মার্ক্স স্বপ্নরাজ্য তৈরি করার থেকে অনেক শ্রেয় মনে করেছেন মূল্য ও উদ্বৃত্তের কাঠখোট্টা বিশ্লেষণকে। "কি করিতে হইবে"র প্রতি ঔদাসীন্যের আরও একটা প্র্যাক্টিকাল কারন ছিল। ১৮৪৮ এবং ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনালের সময় ছাড়া মার্ক্স খুব বেশি দৈনন্দিন রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন নি যেখানে লেনিনকে রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে "কি করিতে হইবে" নিয়ে সারাক্ষণই ভাবতে হয়েছে।

    সমাজতন্ত্র মানে নতুন মানুষ গড়া- এটাও মার্ক্সেরই কথা, ১৮৪৪ সালের ইকোনমিক এন্ড ফিলোজফিকাল ম্যানুস্ক্রিপ্টের কথা। ১৯১৭ বিপ্লবের অনেক পরে ১৯৩২ সালে এই লেখাটি প্রকাশ পায়। ১৯১৭ সালের আগে এই লেখাটির বহুল প্রচার থাকলে কি হত তা নিয়ে জল্পনা সম্ভব।
  • RATssss | 63.192.82.30 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ০৩:০৬397170
  • অজ্ঞ আমির একটা অবুঝ প্রশ্ন :-
    দুটো পাশাপাশি দেশ, এক দেশে যে মতাদর্শ মেনে চলা দল শাসন করে, পাশের দেশে সেই একই মতাদর্শ মেনে চলা দলটাকে অনৈতিক/নিষিদ্ধ করা হয় কি হিসেবে?
    শুধু নেতাগুলো শুধু আলাদা - মতাদর্শে তো দুজনেই মাওবাদী!
  • U | 198.169.6.69 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ০৪:২৪397181
  • কল্লোলদা,
    আপনার আগের গুরুর লেখাটা পরেই, মন্তব্য করেছিলাম। কারণ, আপনার গুরুর লেখাটার শেষেও সেই ইউটোপিয়ান ওয়ান লাইনার। পিছিয়ে পড়া মানুষের হাতে লড়াই-এর ব্যাটনটা নেওয়া কি আদৌ সম্ভব, আমাদের ভারতবর্ষে ? হাজার সংস্কার, হাজার জাতপাত, হাজার অশিক্ষার দেওয়াল অতিক্রম করে? নাকি মাওবাদীদের এই লড়াইটই ঠিক, ঝাঝা স্টেশনে পুলিশ মেরে, বন্দুক লুঠ করে?

    কিউবা আমদের সপ্নে,
    কিন্ত এমন দেশ-ও আছে যেখানে শিক্ষা, সাস্থ্য, খাদ্যের ১০০% গ্যারান্টি দেওয়া হয়, প্রতিটি নাগরিককে, ১০০% পুঁজিবাদী কাঠামোতে-ও, যেখানে চীনের মতো সেনাবাহিনী-র-ও দরকার হয় না, আবার দরকার হয় না আমেরিকার দাদাগিরির-ও ।
  • lcm | 71.132.135.104 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ১০:৪৮397192
  • এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি...
  • kallol | 220.226.209.5 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ১৪:০০397203
  • ঊ - আমি বিশ্বাস করি পিছিয়ে পড়া মানুষের হাতে কেউ ব্যাটন তুলে দেবে না। তারা নিজেরাই তুলে নেবে। তাদের অশিক্ষা-জাতপাত-সংষ্কার নিয়ে যে কথাগুলো চালু আছে তা নেহাৎই ""ভদ্রলোক"" দৃষ্টিকোন থেকে দেখার ফল। যতকাল এদের, অর্থাৎ ""ছোটলোক""দের ওপর ভদ্রলোকেরা নেতৃত্বে থাকবেন ততকাল ঝাঝাই হোক বা কাঠ্‌মান্ডু বা নন্দীগ্রাম - বুদ্ধ লাইনই চলবে।
    অপেক্ষা কর - দ্যাখো প্রচন্ডবাবু কি করেন।
    হ্যাঁ, শুনেছি কিছু স্ক্যান্ডিনেভিয়ন দেশে ১০০% পুঁজিবাদী কাঠামোতেই অনেক কিছু করা হয়। ওদের স্বল্প জনসংখ্যা একটা বড় সুবিধা। যে সুবিধাটা ১০০% সমাজতান্ত্রিক কাঠামোতে কিউবাও পেয়েছে। এই উপমহাদেশে ওভাবে সম্ভব নয়। এখানে বিকেন্দ্রীকরন একটা বড় ভূমিকা নেবে - অনেকটা চীন যা করেছিলো রাশিয়া সব সাহায্য তুলে নেবার পর, কিন্তু তার সাথে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রেখে।

  • kallol | 220.226.209.5 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ১৪:০৬397214
  • র‌্যাটস্‌স্‌স্‌স - খুব সহজ। যে ভাবে নকশাল আন্দোলনের তুঙ্গ সময়েও ভারত চীনের সাথে একসাথে নির্জোট আন্দোলনে থেকেছে, ঠিক সেইভাবে। আরে দ্যাখো না, এখনই তো জ্ঞান দেওয়া শুরু হয়ে গেছে - ""ভারতের মাওবাদীরা, নেপাল থেকে শিক্ষা নিক"" গোছের সুললিত বাণী চোখে পড়ে নি ?
  • lcm | 71.132.135.104 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ১৫:১৬397084
  • স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো (সুইডেন, ফিনল্যান্ড...) বা কানাডা - এই ধরনের দেশগুলো-র কথা আলাদা। এদের জনসংখ্যা এত কম, জনসংখ্যা প্রতি সম্পদ এত অতিরিক্ত বেশী - এদের কোনো "বাদ' এর দরকার নেই। আবার, কাতার, সিঙ্গাপুর... এরা আর একটা ক্যাটাগরিতে। তবে এরা কেউই (মানে এখানকার সরকার) ১০০% গ্যারান্টি দেয় না। যেমন, সুইডেন-এ বোধহয় ৩০০ দিনের পর আর বেকার ভাতা দেয় না, কাজ খুঁজতে সাহায্য করে। আর এই ওয়েলফেয়ার মডেল-কে সাপোর্ট করতে ট্যাক্স-এর বোঝাও জনগণ-কেই বহন করতে হয়।

    নেপাল-এর মাওবাদী, ভারতের মাওবাদী , আর চীনের মাও সমর্থক যারা ছিলেন - এদের সকলের বোধহয় আলাদা অ্যাজেন্ডা। তবে ভারত বা নেপালে 'মাওবাদ' জাস্ট একটা টার্ম, এটা 'ভগৎ সিং বাদ' বা 'রবিনহুড-বাদ' ও হতে পারত। সোশ্যাল ডিসপারিটি যত বাড়বে, এই ধরনের ব্যাপার থাকবেই (আন্ডার সাম ব্যানার)। এই সমস্যা শুধু ভারতের একার নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এই সেপারেটিস্ট রিবেল গ্রুপ ছিল এবং আছে।
  • U | 198.169.6.69 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ২০:৫৬397095
  • কল্লোলদা,
    প্রভুত জনসংখ্যা-র চাপ আর অতি স্বল্প প্রাক্‌তিক সম্পদ নিয়েও, সুরক্ষিত, নাগরিক সমাজ গঠনের, হাতের কাছের উদাহরণ জাপান। আমরা, চায়ের টেবিলে যখন তখন কিউবার উদাহরণ দিই, কিন্ত, জাপানের কথা মনেও আসেনা, কারণ সেই -- পুঁজিবাদ। আমরা সমাজতন্ত্র ছাড়া কিছুই বিশ্বাস করি না। স্ক্যান্ডেনেভিয়ান, দেশগুলো, প্রাক্‌তিক সম্পদে উদ্ব্‌ত্ত, একথা ঠিক নয়, নরওয়ের খনিজ তেল ছাড়া, এই দেশগুলো, এখোনো অনেকটাই ক্‌ষি, মেডিসিন (লাইফ সায়ন্স), এন্ডস্কেল ইন্ডাস্ট্রি-র উপর নির্ভরশীল, হ্যাঁ জনসংখ্যার চাপ কম। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর, এদের অবস্থা, কোনোমতেই, বালগেরিয়া, হাঙ্গেরি, ইত্যাদি পুর্বইউরোপের দেশের থেকে ভাল ছিলোনা। কিন্ত, পুর্ব ইউরোপের পতনটা আমদের ভাবায়, এদের সমাজটা নয়, কারণ সেই -- পুঁজিবাদ।
    নেপাল (জনসংখ্যা-র চাপ আছে, তবে দেশটা ছোটো) যদি, বুর্জোয়া পুঁজির বন্টনে, বা শিল্পায়নে সমজিক চরিত্র বদলাতে চায়, তবে ক্ষতি কি ? নাকি ক্ষতি আছে, কারণ সেই পুঁজিবাদ ?
  • kallol | 122.167.76.216 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ২১:২৭397106
  • জাপান নিয়ে খুব কম জানি। একটু পড়াশুনো করে নেই।
    আর হ্যাঁ, পুঁজিবাদে আপত্তি আছে। বুর্জোয়া পুঁজির বন্টনে ব্যাপারটা বুঝলাম না। শিল্পায়নে সামাজিক চরিত্রের বদল ? যেমন - মেরা ভারত মহান ? কি জানি !
  • U | 198.169.6.69 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৩১397117
  • হ্যাঁ, জনগনের ওয়েলফেয়ারের দায় জনগন-ই নেবে, (ট্যাক্স ইত্যাদি), সেটাও তো সমাজতন্ত্র-ও বলে, নাকি ? আর, সুইডেন-ডেনমার্কে, ব্‌হত পুঁজি, সবচেয়ে বেশী ট্যাক্স দেয়, আইনি পথে-ই। সেখানে লৌহকঠিন সেনাবাহিনীর দরকার হয় না, আর সরকার গঠন হয় ব্যালট বাক্সে-ই।
  • r | 198.96.180.245 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৪২397128
  • আরও একটু বলার ছিল। :-P
    মার্ক্সের উপর এই ভবিষ্যদ্বাণীর দায় চাপিয়ে দেওয়ার আরও একটি কারণ আছে। মার্ক্স কি ভুলে "বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র" শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেছিলেন, মূলত: ইউটোপিয়ান সমাজতন্ত্রের থেকে নিজের মতবাদের তফাৎ বোঝাতে। এর থেকেই সেইসব প্রবাদপ্রতিম দেওয়াললিখনের জন্ম- মার্ক্সবাদ সর্বসইত্য ইত্যাদি। কিন্তু গোলমালটা বেঁধেছে "সায়েন্স" শব্দটাকে নিয়ে। লাতিন "সাইন্টিয়া"র অর্থ জ্ঞান। জার্মানিতে সায়েন্স শব্দটিকে এই আদিরূপের অনুবর্তী থেকে ব্যাপকতর অর্থে ব্যবহার করা হয়- অর্থাৎ যে কোনো বিষয়ের সিস্টেমেটিক চর্চা। কিন্তু ইংরেজিতে সায়েন্স বলা মানেই হাইপোথিসিস-এক্সপেরিমেন্ট-প্রেডিকশনের গোলচক্করে পড়ে যাওয়া। এতে আরও উসকানি দিয়েছে সোভিয়েত রাষ্ট্র- ন্যাচারাল সায়েন্সের সাথে মার্ক্সবাদের একটা সরাসরি সরলরৈখিক সম্পর্ক তৈরি করে। অতএব লোকজনের দাবী- মার্ক্সবাদের প্রেডিক্টিভ পাওয়ার কতটা প্রমাণ কর। যদিও পলিটিকাল সায়েন্স নিয়ে যারা চর্চা করেন, তাদের কাছে ভবিষ্যদ্বাণীর কোনো দাবী করা হয় না। অতএব, মার্ক্সস্যার নিজে ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বিশেষ সময় ও পরিশ্রম খরচ না করলেও বিভিন্ন প্যাঁচে পড়ে তাঁকে এখন গণৎকারের এϾট্র পরীক্ষাতেও বসতে হচ্ছে।

    নীতিবাইক্য: সযত্নে অনুবাদ না হলে পোস্টারিটি এবং পোস্টিরিয়র- উভয়েরই সর্বনাশ।
  • U | 198.169.6.69 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ২২:০০397132
  • কল্লোলদা,
    বুর্জোয়া পুঁজির বন্টন -- নেপালের ক্‌ষি আর কুটির শিল্প ছাড়া কিছু নেই বলেই জানি। সুরক্ষিত সমাজ গঠনের মুল্য কোথাথেকে আসবে, জানা দরকার । কে দেবে অর্থনৈতিক ভিত্তি ? চীন ? উত্তর কোরিয়া ? বা তারা দিলেও, সেটা পুঁজি নয় ? অবশ্য, সমাজতন্ত্রিক পুঁজি হবে সেটা, বুর্জোয়া নয়।
    কোথাথেকে আসবে পাহাড়ে পাহাড়ে মানুষের কাজের যোগাড় ? পিছিয়ে পড়া মানুষ, লড়াই করে কাঠমান্ডু-র পয়সাওয়ালা, উপরের তলার লোকেদের সম্পত্তি দখল করে নিলো, তাতে গঠন হবে সুরক্ষিত সমাজ ?
  • dd | 122.167.26.212 | ১৫ এপ্রিল ২০০৮ ২২:১০397133
  • প্র বৈ চ চমৎকার লিখেছেন। ফাসক্লাস।
    মার্কস সাহেবের মতামতের উপর ক্লাস এইটের ফিজিক্সের মতন "সাইন্স" চাপিয়ে দেওয়া ঐতিহাসিক হাঁদামী।

    তবে স্যার , আপনার পোবোন্ধে আপনে কোনো প্যারাগ্র্যাফ দ্যান না কেনো? না; প্যারা দিলে যুক্তি আরো উঙ্কÄল হতো অ্যামনটি কইছি না। তবে শুনিচি হেথায় নাকি দুয়েকজন বেদ্ধ ব্যাক্তি রয়েছেন। তাদের পড়তে সুবিধে হয়।
  • Blank | 59.93.240.160 | ১৬ এপ্রিল ২০০৮ ০১:৩০397134
  • জাপানের মডেলটা আর কোন কোন দেশ ফলো করে? Keiretsu মডেল? lifetime employment টা কোন কোন দেশে আছে?
  • kallol | 220.226.209.5 | ১৬ এপ্রিল ২০০৮ ১০:৫১397135
  • ঐটাই মুস্কিল। আমরা আর পুঁজির বাইরে ভাবতে পারি না। আমরা কোন ছাড়, মার্ক্স সায়েবই ভাবতে পারেন নি।
    প্রগতি মানে, গতকাল যে যে আরামের উপকরন ছিলো তার চাইতেও বেশী আরামের উপকরনে যাওয়া - এটাই আমাদের গেলানো হয়েছে। এটাই নাকি এগিয়ে চলা। তাতে পরিবেশ, মানুষের স্বাস্থ্যের পেছন মারা যায় তো যাক।
    গরুর গাড়ি থেকে ন্যানো, খেরো খাতা থেকে কম্পু, গুপি গায়েন-বাঘা বায়েন থেকে ডিভিডি, খোলার চাল থেকে আকাশ আঁচড়ানো...... এসবই নাকি এগিয়ে যাওয়া। ফল - পৃথিবীকে ধীরে ধীরে বসবাসের অযোগ্য করে তোলা।
    জানি, এসব কথা বললেই আওয়াজ উঠবে ""তবে কি দাও ফিরে সে অরণ্য ?????""
    সে, তুমি আমি চাই বা না চাই উষ্ণায়ন এই মাত্রায় চলতে থাকলে ২০০-৩০০ বছর পরে তাই হবে!!!
    পুঁজিবাদ আমাদের শিখিয়েছে মাছ ধরে মাছ খাওয়া - পিছিয়ে পড়া। বরং মাছ ধরে, সেই মাছ বেচে, সেই পয়সায় মাছ কিনে খাওয়াটাই - এগিয়ে যাওয়া। অনেক হয়েছে, এইসব ""শিক্ষার"" পেছনে লাথি মারার সময় এসে গেছে।
    হয়তো, হয়তো কেন, নিশ্চিত ভাবেই এক ধাক্কায় কিছু হবে না। কিন্তু হতে হবে, হতেই হবে, যদি মানুষ হিসাবে, প্রকৃতির অংশ হিসাবে টিঁকে থাকতে হয়।
    মাও-এর চীন এই ভাবে বোঝে নি। কিন্তু ঠেকায় পড়ে তাদেরও একদিন বলতে হয়েছিলো - কেন গাড়ি ?, কেন সাইকেল নয়। তাই চৌ এন লাইও সাইকেলে চড়ে দপ্তরে যেতেন। কিন্তু, ঐ যে, ঠেকায় পড়ে! ছোট ছোট কারখানা একদম স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে গড়ে তোলা হয়েছিলো। এবং তাতেই চীন মাওএর আমলেই সারা পৃথিবীতে সমীহ আদায় করেছিলো। তবে ঐ যে, ঠেকায় পড়ে ! যদিও আমি কোন ভাবেই চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থার (তখনকার এবং এখনকার) সমর্থক নই।
    পুঁজি (মার্ক্সীয় মতে) ছাড়া পৃথিবী চলেছে। ইউক্লিড, আর্কিমিডিক্স, অ্যারিস্টটল, হোমার, বরাহমিহির, আল-জেব্রা, কালিদাস, রামায়ন, ইউরিপিদিস, মহাভারত, শূন্যের ধারণা, চাণক্য, চার্বাক, সাংখ্য, গ্যালিলিও এসব মার্ক্সীয় মতে ""পুঁজি"" আসার আগেই সম্ভব হয়েছে। যদি, মার্ক্স সায়েব সামাজবিকাশ নিয়ে যা যা তঙ্কÄ দিয়েছেন (যা আজ সব ব্যাটায় মানে) ""ক্রমশ: উন্নত সামাজ - কারন ক্রমশ: উন্নত উৎপাদন ব্যবস্থা - তাই ক্রমশ: উন্নত চিন্তা - ঠিক হত, তবে - আজ পৃথিবীর পরিবেশ নিয়ে ভাবতে হত না। একদিন মানুষ, মার্ক্সীয় মতে, পুঁজির বাইরে বেঁচেছে, আবার একদিন সে পুঁজির বাইরে বেরিয়ে যেতেও পারবে।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ০০:২৪397136
  • কল্লোলদার "পুঁজি" আর "পুঁজিবাদ" গুলায়া গ্যাসে গা! ;-)
  • U | 198.169.6.69 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ০১:২১397138
  • কল্লোলদা,
    আপনার কোনো কথাই কনট্রাডিক্ট করিনা, বা যেকোনো শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের-ই এটাই ভাবা উচিত। কিন্ত আমি তো অতো বিশাল হরাইজেন-এ ভাবার কথা বলিনি, কিন্তু। 'এগিয়ে যাওয়া' বা 'প্রগতি' এসব প্রশ্ন তো ওঠেইনি। আমর, 'সুরক্ষিত সমাজ' বলতে ছিলো তিনটে, একদম ত্‌নমুল স্তরের চাহিদা .....

    ১) সমস্ত নাগরিকদের (এগিয়ে যাওয়া, পিছিয়ে পড়া), বিনা মুল্যে, সুষ্ঠ চিকিৎসার ব্যবস্থা।
    ২) সমস্ত শিশুদের (এগিয়ে যাওয়া, পিছিয়ে পড়া), বিনা মুল্যে, শিক্ষার সুযোগ।
    ৩) প্রতিটি নাগরিকের খাদ্য-বস্ত্র ন্যুনতম মাত্রায় সুনিশ্চিত করা।

    আমার স্বল্প জ্ঞানে জানি, কানাডা, স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলো, জাপান, এই চাহিদা গুলো নিশ্চিত করে। পুঁজিবাদি দেশ হয়েও। সেখানে ব্‌হৎ পুঁজির সংস্থা, (মানে, অন্তত দেশের আইনি ক্ষেত্রে), সবচেয়ে বেশি কর দেয়। চীন বা কিউবা-ও করে হয়তো, কিন্তু, নেপালের অর্থনীতি-র পক্ষে তা দুরুহ।

    এটা কি সত্যি বিশ্বাসযোগ্য, যে, সুধু, পশ্চিমি কনস্যুমারিজম-এর হাতছানি-ই, পুর্ব ইউরোপের পতনের কারণ ? চীনকে, তার অর্থনৈতিক সাফল্য প্রমান করতে হচ্ছে না, অলিম্পিক আয়োজন করে ?
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ০১:৪৪397139
  • মার্ক্স কোনোদিন পুঁজিহীন সমাজের কথা বলেন নি, পুঁজিবাদহীন সমাজের কথা বলেছেন। পুঁজি কি? সহজ মেইনস্ট্রিম হিসেবে যে কোনো উৎপাদন প্রক্রিয়ার মূল দুই উপাদান- শ্রম ও পুঁজি। অনেক সময় এর সাথে ভূমি, প্রযুক্তি ইত্যাদি যোগ করা হয়। যেদিন থেকে মানুষ কৃষিকাজ শুরু করে, সেদিন থেকে উৎপাদনে পুঁজির ব্যবহার শুরু হয়। কৃষক পরের মরশুমের রোপনের জন্য যে বীজ জমিয়ে রাখে , তা হল কৃষকের পুঁজি। অতএব পুঁজির বিরুদ্ধে জেহাদ কেন? মার্ক্সের প্রশ্ন ছিল- পুঁজিবাদী সমাজে পুঁজির এক বিশেষ রূপ ও তার মালিকানা নিয়ে।

    মার্ক্স এখানে পুঁজিকে দুইভাবে ভাগ করলেন- ফিক্স্‌ড ও ভেরিয়েব্‌ল। এই ফিক্স্‌ড ও ভেরিয়েব্‌ল ক্যাপিটাল বলতে আমরা সচরাচর যা বুঝি, মার্ক্সের হিসেব তার থেকে একটু আলাদা। ফিক্স্‌ড ক্যাপিটাল একা কোনো মুনাফা বা উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি করতে পারে না, অতএব এর মূল্যের কোনো পরিবর্তন নেই, বাহ্যিক ক্ষয় ছাড়া। পুঁজিপতিরা শ্রম-শক্তি কিনে এবং ফিক্স্‌ড ক্যাপিটালকে তার সাথে পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করে, উদ্বৃত্ত মূল্যের সৃষ্টি করে। অতএব উদ্বৃত্ত মূল্যের সূত্র হল এই শ্রম-শক্তি বা ভেরিয়েব্‌ল পুঁজি। সাধারণত: এমন ধারণা তৈরি করা হয় যে পুঁজি আপনা আপনি বাড়ে, কারণ এটাই পুঁজির বৈশিষ্ট্য। মার্ক্স বললেন এটা ধাপ্পা। আসলে এই পুঁজিবৃদ্ধির পুরোটাই আসে শ্রমিকের শ্রম-শক্তির মাধ্যমে। কিন্তু এই পুঁজির যে লভ্যাংশ, বা উদ্বৃত্ত মূল্য, তার পুরোটাই আত্মসাৎ করে পুঁজিপতি। অতএব, প্রশ্নটা পুঁজির মালিকানা নিয়ে- কার জিনিষ কে খায়?

    (প্যারাগ্রাফ দিয়েছি)
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ০১:৫৮397140
  • ধরা যাক কোম্পানী ক- বিল্ডিং আছে, কম্পিউটার আছে, টাকাপয়সাও আছে। কিন্তু শুধু এগুলো দিয়ে কিছু উৎপাদন করা যায় না, উৎপাদন না করলে বিক্রি করা যায় না, বিক্রি না করলে মুনাফা করা যায় না। অতএব প্রয়োজন শ্রমশক্তি।

    আম্রিগান কোম্পানী খ-এর সফট্‌ওয়ার এঞ্জিনীয়ার চাই। অতএব কোম্পানী ক এবার এঞ্জিনীয়ারদের শ্রমশক্তি কিনল। ধরা যাক এই কাজের জন্য কোম্পানী ক কোম্পানী খ-কে ঘন্টায় ১০০ ডলার দেয়। অতএব এই এঞ্জিনীয়ারের শ্রমের মূল্য ১০০ ডলার। অথচ সে মাইনে পায় ঘন্টায় ৩০ ডলার। অতএব ৭০ ডলার হল উদ্বৃত্ত মূল্য যার পুরোটাই যাচ্ছে কোম্পানী ক-এর মালিকের পকেটে।

    মার্ক্সের যুক্তিতক্কোগপ্পো এই সত্তর ডলার নিয়ে, মেশিন বা বিল্ডিংবিহীন সমাজের স্বপ্ন নিয়ে নয়। :-)
  • kallol | 122.167.89.8 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ০৮:৪৫397141
  • র-এর সাথে একমত মার্ক্স কোনদিনই পুঁজির বাইরে যাওয়ার কথা বলেননি। পুঁজি থাকবে আর উদ্বৃত্ত মূল্য থাকবে না - সেটা সম্ভব নয়। আর উদ্বৃত্ত মূল্য যদি শ্রমিকের কাছে ফিরেই যায় তবে পুঁজি বাড়বে না - মারা যাবে। পুঁজি মারা গেলে পুঁজির উপর ভিত্তি করা উৎপাদন ব্যবস্থাও মরবে। তাই পুঁজিবাদী ব্যবস্থা থাকলে (তা ধণতন্ত্র, বাজার অর্থনীতি, সমাজতন্ত্র, বাজার সমাজতন্ত্র - যে নামেই ডাকো) উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরী হবে শ্রমিককের শ্রম চুরি করেই, এবং তা পুঁজির গতর বৃদ্ধিই করবে। তাই মার্ক্স যে সমাজতন্ত্রের কথা বলেছেন এবং লেনিন যে সমাজতন্ত্র গড়েছেন তা পুঁজিবাদেরই অন্য রূপ - রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ - যা আসলে একটি সোনার পাথরবাটি - চূড়ান্ত ব্যার্থ প্রকল্প।
    সমাজতন্ত্রের পতনের কারন তার ভিতরেও ছিলো - যা হয় না তা করতে যাওয়া, এতে পশ্চিমী ভোগবাদের বিশেষ কিছু করার ছিলো না।
    পুঁজির বাইরে বার হতে না পারলে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বাইরেও যাওয়া যায় না। অ-পূঁজিবাদী সমাজ তো দূরস্থান।
    চাষীর বীজধান পুঁজি কিনা সেটা নির্ভর করে তা উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরী করে কি না তার উপরে। চাষীর জমির পরিমান (যা সেই চাষী পরিবারের ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য, আপৎকালীন সঞ্চয় সমেত, ঠিকঠাক) না বাড়লে তার বীজধানের পরিমানও বাড়ানোর দরকার নেই। তাই তার উদ্বৃত্ত মূল্য হয় না। তাই সেটা পুঁজি নয়। কিন্তু চাষী যদি ""এগিয়ে"" যেতে চায় অর্থাৎ ফসল বেচে সেই টাকায় খাবার কিনতে চায়, তবে তাকে বাজারে যেতে হয়। তাকে ফসল বেচতে হয় উৎপাদন মূল্যের চেয়ে বেশী দামে - অ্যায়, চলে এলো উদ্বৃত্ত মূল্য - মুনাফা। এবার সে এবং তার পরিবার, যতক্ষন তার নিজের জমিতেই শ্রমিক ততক্ষন তার পুঁজি বাড়ে না। তাকে পুঁজি বাড়ানোর মত উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরী করতে গেলে শ্রমিক নিয়োগ করতে হয়, যাদের মজুরী দিয়েই সে খালাস - তাদের খাওয়া পড়ার দায়িত্ব চাষীর নয়। তখন বীজধান পূঁজি।

  • kallol | 122.167.89.8 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ০৮:৫৫397142
  • দুইটা কথা - উদ্বৃত্ত মূল্যের পরিমান বাড়াতে গেলে উৎপাদন বাড়াতে হয়। চাষীর ক্ষেত্রে, জমির পরিমান বাড়াতে হয়, বা অন্য বেশী লাভজনক ফসলে যেতে হয়। তবেই শ্রমিক নিয়োগ করতে পারে সে।
    আর তাতে কি হচ্ছে - সেটা আজকের (১৭ এপ্রিল) আবাপতে আছে। http://www.anandabazar.com/17edit3.htm
  • r | 65.95.99.186 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ০৯:২২397143
  • কল্লোলদার স্টেটমেন্টের মধ্যে ইনকন্সিস্টেন্সি রয়েছে।

    "উদ্বৃত্ত মূল্য যদি শ্রমিকের কাছে ফিরেই যায় তবে পুঁজি বাড়বে না- মারা যাবে।" প্রথমে চাষী বাজারে যেত না, উদ্বৃত্ত মূল্য নেই, অতএব বীজধান পুঁজি নয়। এবার চাষী বাজারে গিয়ে উৎপাদনমূল্যের থেকে বেশি দামে ফসল বিক্রি করছে, উদ্বৃত্ত মূল্য পাচ্ছে, এবং সেই উদ্বৃত্তমূল্য চাষীর কাছেই ফিরে আসছে। কিন্তু এবার বীজধান পুঁজি। অর্থাৎ উদ্বৃত্তমূল্য শ্রমিকের কাছে ফিরে গেলেও পুঁজি বেড়ে গেল।

    কেন হল? কারণ প্রথম ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত মূল্য শূন্য, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত মূল্য আছে। তাহলে উদ্বৃত্ত মূল্য না থাকলে পুঁজি নেই? তাহলে পুঁজি নয়, দরকার উদ্বৃত্ত মূল্যকে নিশ্চিহ্ন করা। আর মার্ক্স তাই চেয়েছিলেন।

    উদ্বৃত্ত মূল্য কি করে নিশ্চিহ্ন করা যায়? বিনিময়-মূল্যের জায়গায় ব্যবহার-মূল্যকে যদি হিসেবে ফিরিয়ে আনা যায়। কিন্তু যতদিন ব্যবস্থা না বদলায়, ততদিন বিনিময়-মূল্যই শিরোধার্য। ততদিন শ্রমিক কি করবে? উদ্বৃত্ত মূল্যের যতটা সে পেতে পারে তার জন্য লড়াই করবে।
  • r | 65.95.99.186 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ০৯:২৩397144
  • বিনিময়-মূল্য আর ব্যবহার-মূল্যের বিশদ গল্প পরে হইব খনে। ;-)
  • Ishan | 12.226.83.103 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ০৯:৫৫397145
  • উফ এতক্ষণে একটু টাইম পেলাম। এট্টু ফুট কেটে যাই। :)

    কল্লোলদার কথায় কিন্তু কোনো ইনকনসিস্টেন্সি দেখছিনা। মানে ঐ "পুঁজির বাইরে' কথাটায়। ইনকনসিস্টেন্সি যদি কারো থেকে থাকে তো মার্কসের, কল্লোলদার না। যদি দিয়ে বললাম, কারণ অতো বড়ো ফতোয়া আমি এই মূহুর্তে দিতে চাইনা। :)

    একটা ছোটো করে ব্যাখ্যা দিয়ে ঘুমোতে যাই। পুঁজি হল, মার্কসের কথায়, জীবন্ত শ্রমের উপর সঞ্চিত শ্রমের প্রভুত্ব। বাংলা ভাষায় উদ্বৃত্ত মূল্য জমা হয়ে হয়ে পুঁজি হয়, এবং সেটা জ্যান্ত শ্রমের উপর আধিপত্য বিস্তার করে, শ্রমশক্তিকে ভাড়া নেয়।

    এর লজিকাল ডিডাকশান হল, উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি না হলে পুঁজিও তৈরি হবে না। মানে শ্রমিক নিজেই উদ্বৃত্ত মূল্যটা ঝেড়ে দিলে, পুঁজি থাকবেনা। ফলে "পুঁজিহীন সমাজ' কনসেপচুয়ালি ঠিকই আছে।

    তবে গপ্পোটা এতো সোজা নয়। ডেফিনিটলি। কিন্তু কনসেপচুয়ালি "পুঁজিহীন সমাজ' একরকম করে মার্কসেই আছে তো।
  • r | 65.95.99.186 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১০:০৭397146
  • ইনকন্সিস্টেন্সি এই জায়গায়: কৃষক উদ্বৃত্ত মূল্য ঝেড়ে দিলেও পুঁজি থাকছে।
  • r | 65.95.99.186 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১০:১০397147
  • এই ইনকন্সিস্টেন্সি দূর করার রাস্তা সেই ইউজ-ভ্যালু আর এক্সচেঞ্জ ভ্যালু। কিন্তু....

    "আজ তবে এইটুকু থাক, বাকি কথা পরে হবে।" :-)
  • hanu | 125.18.104.1 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১০:১৫397149
  • কল্লোলদার 'মার্ক্সের আগে পুঁজি ছিলনা' কথাটা নেওয়া গেলনা। প্রথমত: এটা অনৈতিহাসিক। দ্বিতীয়ত: বাজারের/উৎপাদন ব্যবস্থার/শ্রম ব্যবহার ও সম্পর্ক প্রত্যেকটার ই ইতিহাস রয়েছে। তাদের বয়স খুব স্বাভাবিক ভাবেই মার্ক্সের চেয়ে বেশি। ইতিহাসের যে সময়টা মার্ক্স প্রত্যক্ষ করেছেন সে সময়টা নিয়ে তিনি পর্যালোচনা করেছেন। একই সময়টা আমরা শিল্পবিপ্লোবত্তর যুগে পুঁজিবাদের যে রূপ দেখতে অভ্যস্ত সেই রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড রূপটা গড়ে ওঠার সময়।
    অতএব মার্কসের ক্রিটিক প্রথমত: সমসাময়িক পুঁজিবাদের ক্রিটিক। অর্থনীতির রচনা গুলির এটাই প্রধান দিক। ইতিহাসের (উদা:এইটিন্থ ব্রুমিয়ের) বা দর্শনের বিষয়ে রচনা গুলি (উদা:জার্মান ইডিওলোজি) র রচনা গুলোকেও দেখার ক্ষেত্রেও এটা নিশচিত ভাবে বলা যায় সম সাময়িক ইউরোপের(এবং আমেরিকার) রাজনৈতিক জগতের মূল বিতর্ক গুলোকে অ্যাড্রেস করেই এই লেখাগুলি লেখা।

    এইবারে দার্শনিক পদ্ধতি যদি দেখা যায় তাহলে বলা যায় 'শ্রেণী' এবং 'দ্বান্দ্বিকতা' র ফর্মুলেশন অবশ্যই কালোত্তীর্ণ। এবং এই কালোত্তীর্ণ বৈশিষ্ট গুলি এনলাইটেনমেন্টের উৎপাদন হওয়া সঙ্কেÄও মূলত: ব্যক্তিগত এবং সংগঠিত ডিসেন্টের ইতিহাসে গুরুঙ্কÄপূর্ণ এবং আরো ইম্পর্ট্যান্ট বিষয় হল মার্ক্স ও এঙ্গেলস নিজেদের কেও একটা ডিসেন্টের ট্র্যাডিশনের উত্তর্সূরী বা শরীক ই ভাবতেন। সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিমন্ডলে প্রচুর বিতর্ক, সেকটারিয়ানিজম ও পাতি খেয়োখেয়ি থাকা সঙ্কেÄও। পরবর্তী কালে কে কাকে কতটা গুরুঙ্কÄ দেবেন, কোন একসিজেন্সির কারণে কোন ভাবনার ঐতিহ্যকে সামনে আনবেন সেটার কোন নির্দিষ্ট মডেল নাই। আগেও ছিল না।

    একটা কাল্পনিক কথোপকথন, মার্ক্সের ভুতের সঙ্গে সাসুনের সম্ভবত, মজা করে লিখেছে কেউ। সেইটা সত্যি পড়ে দেখতে পারেন আগ্রহীরা।

    আমার মনে হয় কল্লোলদা বেসিকালি যেটা বলতে চাইছেন সেটা হল মার্ক্সবাদের যে কটি রাষ্ট্রীয় প্রাকটিস দেখা গেছে সেগুলোতে ওঁর সায় নাই। এতে আমার আপত্তি নেই। আমার আপত্তি হল এর সঙ্গে মার্কসের রচনার সম্পর্ক কতটুকু আদৌ আছে। 'শ্রেণী' ক্যাটেগরিটি নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক বহুদিন ধরেই চলছে এবং দ্বান্দিকতার পদ্ধতি নিয়েও চলছে। কিন্তু এই সব বিতর্কে যা হয় খুব কনভিন্সিং হার জিত খুব একটা হয় টয় না। নানা পার্সপেকটিভ এলে কনটেম্পোরারি ডিসেন্টে নানা মাত্রা যোগ হয়। সব সময়ে সেই মাত্রা গুলি যে একটা অলটারনেটিভের চেহারা পায় তা নয়। কিন্তু তাই বলে পুঁজিবাদ গড়ে ওঠার, অর্গানাইজ্‌ড হওয়ার সময়ে মার্কসের ক্রিটিকের গুরুঙ্কÄকে ঠিক উড়িয়ে দেওয়া যায় না, মানে যাবে না কেন যায়, কিন্তু বেসিকালি ডিসেন্টের অর্গানাইজেশনের উপকার হয় কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন টা থেকেই যায়। আরেকটা জিনিস আছে, কল্লোলদ পুঁজি বিহীন সমাজের কথা সম্ভব কিনা ভেবে দেখতে বলছেন। আমার প্রশ্ন হল এমনকি কারেন্সি তুলে দিলেও পুঁজি থাকবেনা এই কথাটা হলপ করে বলা যায় কিনা জানি না।

    আমি শুধু এইটুকু বুঝি, বিবাদী স্বরেরে ইতিহাসে, রেনেসাঁ সন্তান হওয়া সঙ্কেÄও মার্ক্সএর গুরুঙ্কÄ রয়েছে। দার্শনিকেরা মার্ক্সের ক্রিটিক প্রহউর করেছেন এবং করবেন। তার একমাত্র কারণ গুরুঙ্কÄটা আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন