এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নেপালে মাওবাদী গণতন্ত্র

    kallol
    অন্যান্য | ১৪ এপ্রিল ২০০৮ | ৫৬৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:২৫397183
  • ফ্যালাসি নাই।

    যেমনটা আমরা ছোটোবেলা থেকে শিখে এসেছি এটা সেই গপ্পো নয় একেবারেই। মার্কসিস্ট থিয়োরিতে কোনো জিনিসের দাম যোগান-চাহিদার গ্রাফ দিয়ে নির্ধারিত হয়না। হলেও সেটা শর্ট টার্মে। লং টার্মে না।

    কিরকম একটু ছোট্টো করে বলি। ধরা যাক বাজারে একটা জিনিসের হেবি ডিম্যান্ড। যোগান কম। ফলে দাম চড়া। এটা হল চাহিদা-যোগানের হিসেবের দাম। মার্কস এখান থেকে আরেকটু গভীরে গেলেন। কি সেটা? না, দাম বেশি বলে মুনাফা বেশি। ফলে লং টার্মে বেশি মুনাফার আশায় বেশি বেশি করে পুঁজি ঐ বস্তুটি উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগ করা হবে। বস্তুটি বেশি বেশি করে উৎপাদিত হতে থাকবে। ফলে যোগান বাড়তে থাকবে। এবং দাম কমতে থাকবে।

    এইভাবে দাম কমতে কমতে লং টার্মে এমন একটা জায়গায় এসে দাঁড়াবে, যেখানে জিনিসের দাম = জিনিসে সঞ্চিত শ্রমের দাম।
  • Paramita | 63.82.71.141 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৪১397184
  • লাস্ট পোস্টে ইশেন কি স্টেপ জাম্প করেছে? বা হিডেন অ্যাজাম্পশান কুছ? নইলে পেত্যয় গেল না।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৪২397185
  • এই প্রসঙ্গে একটা কথা ছোটো করে বলে দিই- বস্তুর মূল্য মানে শ্রমের মূল্য- অর্থাৎ লেবার থিওরি অফ ভ্যালু কোনো মার্ক্সীয় অবদান নয়। ক্লাসিকাল লোকেরা, স্মিথ, রিকার্ডো ইত্যাদি, বেসিকালি দাদু সম্প্রদায়ের অর্থনীতিতঙ্কেÄর মূলে রয়েছে লেবার থিওরি অফ ভ্যালু। সেটা এই দাদুও ব্যবহার করেছেন। লেবার থিওরির উপপাইদ্য-সম্পাইদ্য ছাড়াও মার্ক্সের গোড়ার কথাগুলো দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায়।
  • Arpan | 124.125.227.119 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৪৬397186
  • ঈশানের এই উদাহরণটি গপ্পো হিসাবেও ভাল নয়, বেশ কমজোরি। :)

    বস্তুর (উৎপাদনের) জীবনচক্র বলে একটি জিনিস থাকে পুঁজিবাদী মডেলে। পুঁজি ওই বস্তুটি বেশি বেশি করে উৎপাদনের বদলে নতুন নতুন মডেলে আপগ্রেড করে। সেলফোন একটি ক্লাসিক উদাহরণ। যেই কারণে লং টার্মের গল্পটি বাস্তবে কখনো সত্যি হয় না।

    বাবু মার্কস ডালে ডালে গেলে পুঁজিবাদ যায় পাতায় পাতায়।
  • b | 193.1.100.109 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৫৩397187
  • ঈশানবাবু,
    যেটা লিখেছেন সেটা তো অ-মার্ক্সীয় পাঠ্যপুস্তকেই দেখছি।

    যোগান ক্রমশ: বাড়তে থাকলে দাম কমবে, ফলে দূর ভবিষ্যতে জিনিসটি বিক্রি করে যত টাকা পাওয়া যাবে সেটা মোট খরচের সমান হবে: অর্থাৎ মুনাফার পরিমাণ শূন্য। যদি অবশ্য আরো বেশি বেশি করে উৎপাদক বাজারে ঢোকে, তবেই।
    তবে আলাদা কোথায়?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৫৭397188
  • একটা নয় অনেকগুলো স্টেপ জাম্প আছে। :) ছোটো করে, একটা গল্প বাদ গেছে, যে, জিনিসের দাম নির্ধারণ আসলে একটি সামাজিক পদ্ধতি। বাজার নির্ধারিত নয়। সে সব অনেক ঝকমারির ডিডাকশন। কিন্তু বাংলা কথা, কচি করে সিদ্ধান্তটা ঐটাই। ক্যাপিটাল এবং মার্কস-রচিত ক্যাপিটালের মানেবই "মজুরি শ্রম ও পুঁজি'তে বিশদ ব্যাখ্যা পাইবেন। :)

    আর অর্পণের ক্রিটিসিজম টা একটা ভ্যালিড ক্রিটিসিজম। পিওর ইকনমিক অ্যাঙ্গল থেকে। অনেকেই করেছেন। মানে এটা একটা নোন ডিফেক্ট। :)

    এছাড়া দার্শনিক দিক থেকেও আরও কটা জানা বাগ আছে। চান্স পেলে পরে লিখছি।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:৫৭397189
  • মার্ক্সও পাতাতেই আছেন। :-)

    এইখানেই বিনিময় মূল্য ও ব্যবহার মূল্যের গল্পটা আসে। বিনিময় মূল্যের হিসেবে দেখলে নতুন নতুন সেলফোন বেরোচ্ছে, আরও আরও বিক্রি হচ্ছে, আরও আরও টাকা আসছে। অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটা সেলফোন নিয়ে নয়, টাকা নিয়ে। ব্যবহার মূল্যের দিক থেকে দেখলে সামাজিকভাবে এই নতুন নতুন সেলফোনের ব্যবহার মূল্য কি? শূন্য। তুমি তো আর চৌকো সেলফোনের জায়গায় তিনকোনা সেলফোন চাও নি। ওটা কেউ তৈরি করে তোমাকে দেখাবার পরে তোমার মনে হয়েছে- বা:! অতএব পুঁজিপতিরা টাকা বানাবার জন্য লাইফ সাইকেলের গল্প কাজে লাগাল আর তুমি হয়ে গেল বুউকা। অ্যান্ড দ্যাট'স হোয়াট ইজ রটেন ইন ডেনমার্ক।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০০:০৩397190
  • b,

    মার্কসীয় মতে মুনাফা শুন্য হবে না। কারণ জিনিসের দাম সামাজিক ভাবে নির্ধারিত। জিনিসের দাম = তাতে সঞ্চিত (সামাজিক ভাবে প্রয়োজনীয়) শ্রমের দাম। সেটা কনস্ট্যান্ট। বাজারে ওঠানামা করতে করতে জিনিসের দাম সেখানে এসে ঠেকলে পুঁজিপতিরা অধিকতর বিনিয়োগ থেকে ক্ষান্ত দেবেন। কিন্তু তার মানেই মুনাফা শুন্য হয়ে যাওয়া নয়। কারণ শ্রমিক তার শ্রমের মূল্য পায়না। শ্রমিক পায় শ্রমশক্তিকে ভাড়া দেবার দাম। সেই ভাড়া তার শ্রমের মূল্যের চেয়ে কম। এবং শ্রমের মূল্য - শ্রমশক্তির ভাড়া = উদ্বৃত্ত মূল্য। এইটাই মালিকের মুনাফা।
  • r | 198.96.180.245 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০০:০৬397191
  • ঈশেন যা লিখেছে সেটা অ-মার্ক্সীয় বইতে দেখাই সম্ভব কারণ এটা মার্ক্সের তঙ্কÄ নয়। মার্ক্স এই তঙ্কেÄর যেখানে নাক গলালেন- বিনিময় মূল্য বনাম ব্যবহার মূল্য, শ্রম বনাম শ্রমশক্তি।
  • aja | 207.47.98.129 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০০:১০397193
  • একটা কথা খেয়াল করার মত। অর্পণের ক্রিটিসিজম কিন্তু যে কোন অর্থনৈতিক তঙ্কÄ, যা ইকুইলিব্রিয়াম স্টেটের ওপর নির্ভর করে তার পক্ষেই প্রযোজ্য। অর্থাৎ, চাহিদা-যোগানের তঙ্কÄতেও ঐ একই দুর্বলতা রয়েছে। ইকুইলিব্রিয়াম প্রাইসে চাহিদা = যোগান হবে, যদি যথেষ্ট সময় দেওয়া হয় সিস্টেমকে স্টেবিলাইজড হবার জন্য (সাথে লো বা নন-একজিস্টেন্ট এϾট্র বেরিয়ার, পারফেক্ট ইনফর্মেশন ইত্যাদি থাকা চাই)। তা পুঁজিবাদীরা সিস্টেমকে স্টেবিলাইজ করার সময় দিতে চায় না (এবং নতুন প্রতিযোগীর প্রবেশ আটকায়, এবং ইনফর্মেশন অ্যাসিমেট্রি বজায় রাখে। লেবার মার্কেটে ইনফর্মেশন অ্যাসিমেট্রির ফল নিয়ে স্টিগলিটজের একটা লেখা পড়েছিলুম) মুনাফার উঁচু হার বজায় রাখার জন্য। সুতরাং তারা নতুন নতুন প্রোডাক্ট ই®¾ট্রাডিউস করে। এই পর্যন্ত গল্পটা একই।

    এবার পুঁজিবাদের সমর্থকেরা বলবেন এই ক্রমাগত নতুন প্রোডাক্ট ইনোভেশন এনকারেজ করে, কনজিউমারকে অনেক চয়েস দেয়। বিরোধীরা বলবেন এই সমস্ত প্রোডাক্ট মার্জিনালি আলাদা। এদের ইনোভেশন বলা যায়না কোন মতেই। আর অনেক চয়েস থাকা মানেই কনজিউমারের অবস্থা কিছু ভাল হয়, এমন মোটেই নয়।
  • r | 198.96.180.245 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০০:২১397194
  • এই টইয়ের নাম চেঞ্জ করে দিলে হয় না?
  • dri | 129.46.154.111 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০০:২৬397195
  • :-)), ফুল মার্ক্স টু নেপাল!
  • Paramita | 63.82.71.141 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০০:২৮397196
  • :)
  • dri | 129.46.154.111 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০০:৪৫397197
  • মূল্য নিয়ে কচকচির কোন শেষ নেই। মূল্য কাকে বলে -- এই নিয়ে শুরু করলে ফিলসফিতে গিয়ে ঠেকবে।

    কিন্তু কল্লোলদার বেসিক প্রশ্নের উত্তর কি পাওয়া গেল? পুঁজিবাদী ব্যবস্থা ভালো নয়। ভেরি গুড। কিন্তু অন্য সেল্ফ সাসটেনিং স্টেব্‌ল ব্যবস্থাটি কি? বোঝাই যাচ্ছে, ঐসব শ্রেণীহীন, রাষ্ট্রহীন স্বর্গের কথাগুলো তেমন জোরালো নয়। সেটা মার্ক্সও বুঝতেন, আমরাও বুঝি। এগ্‌জিস্টিং ইকনমিক অর্ডারের ক্রিটিকটি যেমন জোরালো, শ্রেণীহীনতা এবং রাষ্ট্রহীনতার গপ্পোটি ঠিক তেমনই উইক। এমতাবস্থায় কি করিতে হইবে?
  • arjo | 168.26.215.54 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০০:৫১397198
  • এত কঠিন বিষয়ে লিখব না লিখব না করেও লিখে ফেললাম। মানে এটা ডি: ভুল ধরা চলবে না। ;-)

    সাপ্লাই - ডিম্যান্ডের লজিক টা কোনো থিওরী নয় বরং একটা ঘটনা যা হয়ে থাকে।

    ধরা যাক বাজারে ১০০ খানা জিনসের প্যান্ট পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বাজারে ১০০০ জন ক্রেতা আছে যাঁরা জিনস কিনতে চায়। স্বভাবতই শুরু হবে ক্রেতাদের মধ্যে চরম কম্পিটিশন। সবাই চাইবে একটা করে জিনসের প্যান্ট যাতে তার কাছে থাকে। এটা একটা আরবিট এক্সাম্পল। এবারে পুঁজিপতিরা একত্রিত হয়ে সারা বাজারের সমস্ত জিনস কিনে নিতে পারে। পুরো জিনসের মার্কেটই চলে এলে কয়েকজনের হাতে। এবারে তারাই ঠিক করবে প্রতি জিনসের দাম কত।

    অন্য দিকে সাপ্লাই যদি ডিমান্ডের থেকে তাহলে বিক্রেতাদের মধ্যে কম্পিটিশন অনেক বেশি। সমস্ত বিক্রেতা চাইবে তার ঘরের জিনস বিক্রি হোক চাই কি একটু কম দামে।

    কিন্তু কোন একটা জিনিসের দাম এই ভাবে ইন্‌ফাইনিটলি বাড়তে বা কমতে পারে না। জিনসের দাম বাড়লে নিশ্চয়ই অন্য কোনো ধরণের একটা প্যান্টের দাম অবশ্যই কমেছে। এবারে যে জিনিসের দাম কমেছে পুঁজিপতিরা বেশি বিনিয়োগ করবে সেই জিনিসে যেখানে দাম বা ডিমান্ড বেশি। পুঁজির মাইগ্রেশন এক টাইপ থেকে অন্য টাইপ অফ ইন্ডাস্ট্রিতে। এই ইমিগ্রেশন হতেই থাকবে যতক্ষণ না অত্যধিক প্রোডাকশন হতে হতে দাম কস্ট অফ প্রোডাকশনের নীচে নেমে যায়।

    অন্যদিকে যদি কোনো একটা জিনিসের দাম কস্ট অফ প্রোডাকশনের নীচে নেমে যায় তাহলেও পুঁজির মাইগ্রেশন হবে।

    যেকোনো জিনিসের দাম হয় তার কস্ট অফ প্রোডাকশনের উপরে থাকবে নয় নীচে। এবারে একটা পিরিয়ড অফ টাইমে এই দাম বাড়া বা কমা একে অপরকে ব্যালান্স করে। যেকোনো জিনিসের দাম নির্ধারিত হবে সেই জিনিসের কস্ট অফ প্রোডাকশনের কত তার উপরে।

    এবারে পুঁজিবাদী ইকনমিস্টরা বলেন যে যেকোনো জিনিসের অ্যাভারেজ প্রাইস হল কস্ট অফ প্রোডাকশন। মার্ক্সের সাথে বিরোধ টা বোধহয় এইখানে (বিদ্বজনে ভ্যারিফাই করুন)। এই যে দাম বাড়া বা কমা সেটা পুঁজিবাদীরা বলে থাকেন অ্যাকসিডেন্ট আসলে অন্যদিক থেকে দেখলে প্রাইস ফ্লাকচুয়েশনই ল এবং যেকোনো জিনিসের দাম যে তার কস্ট অফ প্রোডাকশনের সমান সেটাই অ্যাকসিডেন্ট। লক্ষ করুন দুপক্ষেরই দাবী প্রায় একই কিন্তু ব্যাখ্যা অন্য।

    অবশ্য ম্যাথাম্যটিকালি ঠিক থাকতে হলে বলতে হয় এটা একটা ডেফিনিট পিরিয়ড অফ টাইমের মধ্যে হবে এবং অনেক চয়েস থাকতে হবে, একটাই চয়েসে এটা হোল্ড করে না।
  • r | 198.96.180.245 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০০:৫৬397199
  • মার্ক্সসায়েব হলে কি বলতেন বলছি- চেয়ারে বসে এবং টইতে লিখে বলা সম্ভব নয় এন্ড স্টেট কি হবে, অর্থাৎ নো গনৎকারি, নো রিকোয়ারমেন্ট স্পেক। এইসব উদভুট্টে স্বপ্নকল্পনা ইউটোপিয়ান সমাজতন্ত্রীরা দেখেছিলেন যাদের আমি পেলেই বাটাম দিয়েছি।

    গ্রামশি সায়েব পরে এসে বলবেন- মার্ক্সবাদ হল প্র্যাক্সিসের দর্শন- তঙ্কÄ ও সেই তঙ্কেÄর ব্যবহারের সমান মূল্য, একে অন্যের সাথে জড়িয়ে আছে। এই প্র্যাক্সিসের চর্চাই ভবিষ্যৎ তৈরি করে দেবে।

    আরও পরে পোমোরা বলবেন- ঐরকম আখাম্বা সর্বজনীন মডেল হয় না, - ব্যাটা ডিটারমিনিস্টিক, এসেনশিয়ালিস্ট, মেটান্যারেটিভের দাস! :-)))
  • dri | 129.46.154.111 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০১:০৫397200
  • অর্থাৎ কেউই বলছেন না কাল কি হতে হবে। শুধু বলছেন আজ যা হচ্ছে সেটা কেন ভালো নয়।
  • dri | 129.46.154.111 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০১:০৭397201
  • এর থেকে তো জিসাসও ভালো ছিল। বলেছিল, ওরে তোরা আমার ওপর বিশ্বাস রাখ, তাহলে ডুববি না।

    আপনারা ধর্মে মতি আনুন বাবারা।
  • dri | 129.46.154.111 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০১:১২397202
  • ঠিক এইজন্যেই আমি ধর্মগুরু, জ্যোতিষি আর কোম্পানীর সিইওদের অ্যাতো পছন্দ করি। এরা কি সুন্দর নিশ্চিত করে বলে দিতে পারেন কাল কি করলে ভালো হবে।

    থিওরিটিশিয়ানগুলো সব ইনডিসিশনে ভোগে। সব্বাই।
  • dri | 129.46.154.111 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০১:২১397204
  • আজকাল আরেকটি গ্রুপ ও উঠে আসছে জ্যোতিষিদের কম্পিটিটার হিসেবে। স্টক মার্কেট অ্যানালিস্ট।
  • r | 198.96.180.245 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০১:৪৩397206
  • :-)

    এ ব্যাপারে আমি মার্ক্স ও পোমো- উভয়ের সাথে একমত। অর্থাৎ আমি কল্লোলদার প্রশ্নটাকেই প্রশ্ন করছি। মার্ক্সের সাথে একমত, কারণ এই প্রশ্নের উত্তর স্রেফ মগজ-কাগজ-কলম নিয়ে দেওয়া যায় না। মাঠে-ঘাটে কাজ করতে হবে- আমার মাজায় ব্যথা। পোমোদের সাথে একমত, এটা ক্লাস এইটের মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন নয়, যে এর একটাই উত্তর, না পারলে কাটা।

    আরও একটা কথা- ইতিহাসের শেষ অধ্যায় নিয়ে ফুকুইয়ামাসদৃশ কথাবার্তা বলতে মার্ক্সসায়েবের মানা আছে- ইতিহাসের শ্যাষ নাই, ভাবার চেষ্টা বৃথা তাই। :-)
  • dri | 129.46.154.111 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০১:৫১397207
  • সবই ঠিক আছে। কিন্তু যতই নামটি মাওবাদী হোক, কাজ তো করতে হবে 'গণতন্ত্রে'র ফ্রেমওয়ার্কে। সেটা কেমন করে সেটাই দেখার। এত সাপোর্ট পেল মানে, নিশ্চয়ই ভেতরে ভেতরে লোকে সন্তুষ্ট ছিল না, এবং মাওবাদীদের দেখানো স্বপ্ন মানুষের ভালো লেগেছিল। মনে তো হয় না এরা প্রাইভেট বিজনেসকে ঘাঁটাবে। বরং যেটা করতে পারে, সেটা হল মিনিংফুল ল্যান্ড রিফর্ম। মুস্কিল হল এত ছোট দেশ হয়ে একেবারে প্রাইভেট বিজনেসে আঘাত করা হল ওয়েস্টকে চটানোর শিওরশট উপায়। এবং ওয়েস্ট বাঁশ দিলে এই সরকারকে একদম ব্যর্থ প্রমাণ করে ছাড়তে পারে, প্রতি পদে পদে এম্বার্গো লাগিয়ে। ওয়েস্ট প্রথমেই চেষ্টা করবে এই মাওবাদী পার্টির টপ নেতাদের কিনে নিতে। মানে নানারকম বিজনেস ডীল আর ঘুষ দিয়ে। এইসবের পর নেতারা কতটা পিওর থাকতে পারে সেটা সময় বলবে। তবে খুব বেশী ওয়েস্ট বিরোধী কাজ করতে বোধ হয় সাহস করবে না।
  • dri | 129.46.154.111 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০২:০৪397208
  • না ... কিন্তু শ্রেণীহীন, রাষ্ট্রাহীন সমাজেই ইতিহাসের শেষ, এমন একটা স্বপ্ন দেখানোর কিছুটা রেসপন্সিবিলিটি মার্ক্সকে নিতেই হবে। এই স্বপ্ন এখনও কিছু কিছু ডাইহার্ড মার্কসিস্টকে দেখতে দেখি। (তারাই আবার কি জানি কেন ফুকুয়ামার এন্ড অব হিসট্রিতে খুব চটে যান)। কিন্তু সত্যি তো এইটাই যে অনেক কুঁতে কুঁতে শ্রেণীহীন সমাজ অব্দি পৌঁছনোর (যদি অ্যাট অল পৌঁছনো যায়) পরের দিনই আবার সব ঘেঁটে যাবে। না, ইতিহাস শেষ হবে না। মাঠে ঘাটে কাজই সত্য। অন্যরকম চাইলে অন্যরকম কিছু ভাবতে হবে যেটা সলিড। মানে, মাঠে ঘাটে ইম্‌প্লিমেন্টেব্‌ল।
  • dri | 129.46.154.111 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০২:০৫397209
  • ** ঘেঁটে যাবে -- ঘেঁটে যেতে পারে।
  • r | 198.96.180.245 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০২:৪৫397210
  • আরে মশাই, মার্ক্স তো আর এডওয়ার্ড সৈদ-নোয়াম চোমস্কি কি দীপেশ চক্কোত্তি ছিলেন না, যে আমেরিকান ইউনিভার্সিটির সুখের টেনিওর এবং আসন্ন বিপ্লব- একসাথেই করবেন। লেনিনদের মত না হলেও ভদ্রলোককে কিছু সত্যিকারের রাজনীতি তো করতেই হয়েছিল, আর তার জন্য শাশুড়ির সম্পত্তি পাওয়ার আগে অবধি হাঘরের মত বাঁচতে হয়েছিল-চোখের সামনে বাচ্চাগুলো মরে গিয়েছিল। তো কেস হল- ভদ্রলোক আদতে বলেছিলেন যে শ্রেণীহীন সমাজের জন্য আমাদের সংগ্রাম চালাতেই হবে, কিন্তু মিটিং মিছিলে কি আর শুকনো কথায় চিঁড়ে ভেজে? অতএব ভুল করে হয়তো দুই একবার বলেছেন- আমাদের জয় অনিবার্য। ব্যস, খেল খতম, পয়সা হজম। এইজন্যই মার্ক্সের প্যামফ্লেট গোছের রচনাগুলো একটু ডিসকাউন্ট দিয়ে পড়া দরকার।

    তবে অজদার বাকুনিন-মার্ক্সের তক্কাতক্কির কথায় মনে পড়ল- ষাটের দশকের হিসেবে মার্ক্স হলেন সিপিএম, আর বাকুনিন নকশালপন্থী। দীপ্তেনদা-কল্লোলদাদের আমলে এই মার্ক্স-বাকুনিন নিয়ে তক্কাতক্কি হত? :-)
  • Du | 67.111.229.98 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০৩:০৪397211
  • আর মাওবাদ ? মাওবাদ সম্বন্ধে কেউ কিছু বলুন না?
  • dri | 129.46.154.111 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০৩:১৩397212
  • ইয়েস, আমিও মার্ক্সের ডিসকাউন্টেড রিডিংএর পক্ষে। বিশেষ করে অ্যানালিটিক পার্টের ভলিউম আর ইমোশানাল পার্টের ভলিউম তুলনা করলে ব্যাপারটা খুবই অ্যাপারেন্ট। কিন্তু বিরাট লেখার পুরোটা তো কেউই পড়তে চায় না। ছোট কোটেশানকে আউট অব কন্টেক্সট দেখাই বেশী হয়। আর তা ছাড়া, কাউকেই এত আইকন বানানোর দরকার নেই যে তার প্রতিটি লিখিত সেনটেন্স অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে। কোন সেন্টেন্সে ভক্তি হবে সেটা পাঠক নিজে পড়ে বিচার করে নিতে পারবে। মার্ক্সের বহু কথাই আজও লোকে মানে এবং মানতে বাধ্য হয় (ইভেন ক্যাপিট্যালিস্টরাও), জাস্ট কথার জোরে।
  • kallol | 122.167.71.174 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ০৯:২০397213
  • আমি ক্যাপিটাল আর ম্যানিফেস্টোকে এক করে দেখছি না। ক্যাপিটাল-এ মার্ক্স পুঁজিবাদকে উলঙ্গ করে দিয়েছেন। কিন্তু তারপর কি ? সেটাই বলার চেষ্টা করেছেন ম্যানিফেস্টোতে। কাজেই ম্যানিফেষ্টোর উদ্ধৃতিগুলো আমি কোথাও কন্টেক্সটবিহীন ভাবে দেখার চেষ্টা করিনি। আজ পর্যন্ত কোন ধরনের মার্ক্সবাদীই ম্যানিফেস্টোর এই কথাগুলোকে কাউন্টার করে নি মার্ক্স নিজেও না। মার্ক্স বিশ্বাস করতেন সমাজতন্ত্রে রাষ্টের হাতে পুঁজি থাকবে, তাই লিখেছেন। যেভাবে সামন্ততান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থার চেয়ে আলাদা, সেভাবে সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থার চাইতে কোথায় আলাদা - তা মার্ক্স বা লেনিন কেউই দেখাতে পারেন নি। কার্যক্ষেত্রে কি হয়েছে, সে নিয়ে তো আর তর্ক নেই বোধহয়।

    আমাদের সময়ে মার্ক্স-বাকুনিন নিয়ে প্রায় কেউই ভাবতো না। তখন অনেক বেশী জরুরী ছিলো সোভিয়েৎ সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ কি না সেই তর্কে, হোজা-মাওয়ের তৃতীয় বিশ্বের ধারনা নিয়ে তর্কে।
    শুধু একজন - প্রমোদ সেনগুপ্ত (না দশগুপ্ত নয়) যিনি সিপিএম থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু চারুবাবুর লাইনকে বাকুনিনীয় মনে করতেন - একটা বই লিখেছিলেন ""বিপ্লব কোন পথে""। তাতে বাকুনিন তুলে তুলে দেখিয়েছিলেন, চারু বাবু যা বলছেন তা আসলে বাকুনিনের কথা। তখন বইটা পাত্তা পয় নি, ঠিযে কারনে রোজা লাস্কেমবার্গ পাত্তা পান নি - সত্যি কথা বলেও। তাছাড়া তখন, চীনা পার্টির নবম কংগ্রেস বলে দিয়েছে - এখন মাওয়ের যুগ। লেনিনের যুগ অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদের যুগ শেষ। এখন সমাজতন্ত্রের বিজয়ের যুগ - সাম্রাজ্যবাদ কাগুজে বাঘ হয়ে গেছে। তাই লেনিনের যুগের কৌশল-যুক্তি এখন অর্থহীন।
  • hanu | 125.18.104.1 | ১৮ এপ্রিল ২০০৮ ১৮:১৫397215
  • র এর ডিসকাউন্টেড রিডিং এর প্রস্তাবটি যুক্তিসঙ্গত। তার একমাত্র কারণ মার্ক্সের ব্যক্তিগত দারিদ্র্য নয়। তার একমাত্র কারণ নয় তিনি আস্তে করে ক্যাপিটালটি নামায়েছিলেন। আমার কাছে তার মূল কারণ হল বিরাট এমার্জিং পাওয়ার হিসেবে পুঁজিবাদের অর্থনৈতিক/সামাজিক/রাজনৈতিক তিনটি দিকেরি সম্মিলিত ক্ষমতার চরিত্রের মৌলিক বিশ্লেষণ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি শ্রমিক শ্রেণী নামক এমার্জিং ক্লাসটির পোলিটিকাল পজিশনিং এর প্রোগ্রাম টি নামান। এই কাজটি করতে গিয়ে তাঁকে ইউরোপে ও আমেরিকার সমস্ত কনটেম্পোরারি ডিবেটে অংশগ্রহণ করতে হয়েছিল। রাজনৈতিক অর্থনীতি এবং বিশেষত দর্শন ও ইতিহাসে কয়েকটি যুগান্তকারী কাজ নামাতে হয়েছিল। এবং অর্গানিজেশন্‌করতে হয়েছিল। বস্তুত কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টোর ডকুটি বেসিকালি একটা ইন্ট্যারন্যাশনালের ডেডলাইনের তাড়া ও রিমাইন্ডারের বকুনি খাওয়ার পরে লেখা। এবং তিনি ওয়ার্ডসওয়ার্থ ইত্যাদির ন্যায় শিল্প বিপ্লবের সময়ে বা পরে, এই তো দেশের অবস্থা, যাই প্রকৃতির কোলে ফিরে যাই ইত্যাদি বলে ডিসএনগেজ করেন নি বা অন্যন্য অনেক আইডিয়োলোগের মত সত্যের স্বরূপ সন্ধানে নিজেকে সীমিত রাখেন নি।
    পুঁজিবাদের পাল্টা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা হিসেবে সোভিয়েত রাষ্ট্র ১৯১৭ থেকে বিশের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত যে পথে চলেছে, নানা ধরণের রাষ্ট্রীয় ক্রিমিনালিটি সঙ্কেÄও তাকে অন্তত সময় ধরে কেন ডিসকাউন্ট দেব না সেটাও ভেবে দেখা দরকার। আমার মত, দেওয়াই যায়। এমনকি রোজা বা বাকুনিন দের যথেষ্ট গুরুঙ্কÄ দিয়েও দেওয়া যায়। জার্মানীর পরবর্তী কালের যা ইতিহাস এমনি্‌ক ওয়াইমারের যা ইতিহাস তাতে রোজাদের বিশ্লেষণ একেবারে অব্যর্থ ছিল এটা বলা যায় কিনা সন্দেহ আছে। (এবং যে জেনেরালিটির গাল মার্ক্সবাদীদের দেওয়া হয়, সেই একই গাল বিশ্ববিপ্লবপন্থী দের দেওয়া হয় না কেন সেটা ভেবে দেখা দরকার। অলটারনেটিভের সন্ধানে সোভিয়েত একটা বড় প্রমিসিং একসপেরিমেন্টে সমকালীন পরিস্থিতিতে। পরে এই রাষ্ট্র সাম্যের পক্ষে নাইটে মেয়ার হওয়া সঙ্কেÄও প্রথম দশটা বছর সোভিয়েত রাষ্ট্রের আচিভমেন্ট আকাশছোঁওয়া) তার পরে স্তালিনের আমলে ক্রিমিনালিটি এতটাই বেড়েছে যে তখন একনায়কতন্ত্রটাই ইস্যু, অর্থনীতিটা আর ইস্যু নয়। তবু মনে রাখা দরকার গ্রেট ডিপ্রেশনের পরেও সোভিয়েতের অর্থনৈতিক মডেল ভাঙেনি দেখেই, পশ্চিমে প্ল্যানিং ইত্যাদির ধারণা জনপ্রিয়তা লাভ করে। এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের প্র্যাকটিস শুরু হয়। সোভিয়েত কে গাল টাল দেওয়ার আগে এইগুলা মনে রাখা দরকার।

    এইবার হল এই গোটা প্রোসেসটায় তার মানে দুইটা মেন খুঁটি, পুঁজিবাদ ও রাষ্ট্র। মার্কস বা লেনিন দুজনেই এটার মৌলিক চরিত্র নিয়া চিন্তা করেন নি এইটা বলাটা একটু চাপ। জাতীয়তাবাদ অবশ্যৈ একটু আলাদা জিনিস। তবে মনে রাখা দরকার স্তালিন আমলের রুশ জাতীয়তাবাদ আর ঊনবিংশ শতকের আনার্কিস্ট দের ঐতিহ্য থেকে উঠে আসা বলশেভিকদের সমাজবদলের পরিকল্পনা এক জিনিস নয়। এবং আরেকটা জিনিস আছে , ভায়োলেন্স। পাতি খুন করেছে বলশেভিকেরা-কালেক্টিভাইজেশনের সময়ে- বিপ্লবের সময়ে ও বিপ্লবের পরে। তারা সিভিল ওয়ারে জয়ী পক্ষ। পরবর্তী কালের পুষ্প প্রজন্মদের অনেকের ভাবগুরু ট্রটস্কি, ক্রন্সটাডে সৈন্য পাঠিয়ে যেটা করেছিলেন তার বাংলা নাম হল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এই প্রশ্নে যে কোন পেসিফিস্ট পজিশনকে আমি একশো কেন দুশো শতাংশ ডিস্কাউন্ট দিতে রাজি আছি। এইটা ব্যক্তিগত ভাবে আমার কনট্রাডিকশন, এটা স্বীকার করি। কিন্তু ইন্ডাসত্রিয়াল ক্যাপিটালিজম গড়ে ওঠার আমলে তার সর্বগ্রাসী রূপটিকে তাঙ্কিÄক দিক থেকে দেখানো এবং তার পাল্টা রাজনীতির প্রস্তাব নামানোর কৃতিঙ্কÄ টা মার্ক্সকে দিতেই হবে। কী এমন পাল্টা প্রস্তাব এসেছে উৎপাদনের, উৎপাদন সম্পর্কের, শিল্প প্রতিষ্ঠার, মার্ক্সের ক্রিটিকদের কাছ থেকে, এমনকি পরিবেশবাদীদের কাছ থেকে। শ্যুমাখারের প্রস্তাবসমূহকে সেল্ফ সাসটেইন্ড ভিলেজ ইকোনোমির খেলনা প্রস্তাব হিসেবে দেখাই যায়। আর সমবায় ইত্যাদি পাল্টা প্রস্তাব ও মূলত: এজেন্সী বদলের প্রস্তাব, শিল্পবিরোধী নয়। কৃষি কি আদৌ বিশুদ্ধ অর্থে পরিবেশবন্ধু? এমনকি 'সাসটেনবল' কৃষি? নগরকে অস্বীকার করে পুঁজিবাদের ডিসেন্টিং প্রস্তাব হিসেবে দুর্বল।

    তাছাড়া আমার মনে হয় বিশ্বায়নের আগ্রাসনের আমলে মার্ক্সবাদের ক্রিটিক নামানোর পরিকল্পনাটা আমরা যারা বিভিন্ন ডিসেন্টের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই বা যারা বিভিন্ন সোশাল ট্রান্সফর্মেশনের বেনেফিসিয়ারি তারাই একমাত্র করতে পারি। যারা যুক্ত তারা সম্ভবত ইন্সপিরেশন খোঁজেন। মার্কসের রচনায়। এটা একসিজেন্সির ভিন্নতা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন