এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নেপালে মাওবাদী গণতন্ত্র

    kallol
    অন্যান্য | ১৪ এপ্রিল ২০০৮ | ৫৬৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hanu | 125.18.104.1 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১০:১৯397150
  • রেনেসাঁ সন্তান বলতে, রেনেসাঁ পরবর্তী চিন্তার ঐতিহ্য র উত্তরসূরী বলতে চেয়েছি।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১০:২৩397151
  • রঙ্গনের 1:58 PM-এর পোস্টে:

    কোম্পানী 'খ' কোম্পানী 'ক'-কে ঘন্টায় ১০০ ডলার দেয়। এমনটাই হবে না? মনে হয় টাইপো।
  • kallol | 122.167.97.94 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১০:২৮397152
  • র - ঐ লাইনের পরেই লিখেছি ""সে (চাষী) এবং তার পরিবার যতক্ষন তার নিজের জমিতেই শ্রমিক ততক্ষন তার পুঁজি বাড়ে না। তাকে পূঁজি বাড়ানোর মত উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরী করতে গেলে শ্রমিক নিয়োগ করতে হয়, যাদের মজুরী দিয়েই সে খালাস - তাদের খাওয়া পড়ার দায়িত্ব চাষীর নয়।""
    পরের পোস্টে আরও বলেছি :
    ""উদ্বৃত্ত মুল্যের পরিমান বাড়াতে গেলে উৎপাদন বাড়াতে হয়। চাষীর ক্ষেত্রে জমির পরিমান বাড়াতে হয়, বা অন্য বেশী লাভজনক ফসলে যেতে হয়। তবেই সে শ্রমিক নিয়োগ করতে পারে।""
    আমি কখনই বলিনি যে উদ্বৃত্ত মূল্য শ্রমিকের কাছে ফিরে গেলে পূঁজি বাড়ে। এমনকি মালিক নিজে শ্রমিক হলেও না।
    এক হিসাবে তুমি ঠিকই বলেছো - উদ্বৃত্ত মূল্যকেই উচ্ছেদ করা দরকার, তাহলেই পূঁজিরও উচ্ছেদ হবে। মার্ক্স পূঁজি বলতে যা বুঝিয়েছেন (ঈশেনের পোস্ট, আমার সমাজতন্ত্রের সংকট ..... দ্রষ্টব্য) তাতে পূঁজি থাকবে কিন্তু উদ্বৃত্ত মূল্য থাকবে না - এটা হবার নয়। ঈশেন যা কিন্তু কিন্তু করে ""যদি"" দিয়ে বলল - আমার সেটা গোটা গোটা করে বলতে কোন দ্বিধা নেই - এটাই মার্ক্সের আসল গাড্ডা। সামাজতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা বলে মার্ক্স বা মার্ক্স পরবর্তী কেউই দেখিয়ে উঠতে পারেন নি।

  • Arpan | 202.91.136.71 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১০:৫১397154
  • কল্লোলদা একটা কথা বল। তুমি লিখেছ একজন কৃষক (আর তার পরিবার) যতক্ষন নিজের জমিতেই শ্রমিক ততক্ষন তার পুঁজি বাড়ে না। এই স্টেটমেন্টটা মনে হয় ফুলপ্রুফ নয়।

    ধরো, আমি একজন ফ্রিল্যান্সার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। নিজের একটি কম্পিউটার, কিছু সফটওয়্যার আর কিছু অর্জিত জ্ঞান (ও মেধা) আছে। আমার লেখা কিছু অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার আছে যেগুলি আমার সাইট থেকে লোকে কেনে। এইখানে উদ্বৃত্ত মূল্য যা আমি আয় করছি তা এখনো পুঁজি নয় কারণ আমি কোন ভ্যারিয়েবল ক্যাপিটাল এমপ্লয় করিনি। এই অব্দি ঠিক আছে।

    এইবার কেসটা হল কী, আমি আমার উদ্বৃত্ত মূল্য বাজারে খাটালাম। ধরো, কিছু শেয়ার কিনলাম। অর্থাৎ আমার উদ্বৃত্ত মূল্য পুঁজিবাদী সিস্টেমে ক্যাপিটাল হিসেবে গেল। এবং বছর শেষে আমি কিছু ডিভিডেন্ড পেলাম।

    তো, এই সিনারিওতে মুনাফা অর্জন করার পরে পুঁজির বৃদ্ধি হল কিনা? ট্র্যাডিশনালি আমার জমিতে/সংস্থায় শ্রমিক নিয়োগ না করেও?
  • kallol | 122.167.97.94 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১০:৫১397153
  • আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে আমি বাংলাটা ঠিকমত লিখতে পারি কি না। নইলে আমি যা বলতে চাই না সেগুলই কেন ""আমার কথা"" হয়ে যায় !
    আমি কখন বললাম ""মার্ক্সের আগে পূঁজি ছিলো না"" ! আমি বলেছি ধনতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থার আগে মার্ক্স পূঁজি বলতে যা বুঝিয়েছেন তা ছিলো না। সম্পদ ছিলো, জমে থাকা এবং ব্যবহৃত হওয়া সম্পদ ছিলো, শোষণ ছিলো, কিন্তু কিন্তু কিন্তু কিন্তু..... মার্ক্সের সংজ্ঞা অনুযায়ী পূঁজি ছিলো না যা উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরী করে। যার অসাধারণ ক্রিটিক মার্ক্স নিজেই দিয়ে গেছেন।
    মার্ক্সবাদের রাষ্ট্রীয় প্র্যাকটিসের প্রশ্ন নয়। ওটার গলদ তো সমাজতন্ত্রের মার্ক্সবাদী ধারনার মধ্যেই আছে। পূঁজি থাকবে কিন্তু পূঁজিবাদ থাকবে না - এটা হয় না।
  • kallol | 122.167.97.94 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১০:৫৬397155
  • কারেন্সীর সাথে পূঁজির কি সম্পর্ক ? কারেন্সী তো কবে থেকেই আছে। ওজনে ভারী থেকে হালকা হয়েছে। লগ্নী পূঁজি আসার পর সে ভগবান হয়েছ।
    অধুনা ভয়ানক নিন্দিত পল পট কারেন্সী তুলে দিয়েছিলো। তাতে আর কিই বা হলো।
  • kallol | 122.167.97.94 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১১:০২397156
  • অর্পন - যেই মুহুর্তে তুমি কোথাও টাকাটা বিনিয়োগ করছো, তুমি মুনাফা অর্জন করছো - কিসের মূল্যে ? তোমার নয়, অন্য কারো শ্রমের মূল্যে। তাই সেটা মার্ক্সীয় মতে পূঁজি। এমনকি তুমি যদি তোমার কম্পানীর শেয়ারেও টাকা ঢালো তাহলেও। সেখানে তুমি তোমার এবং তোমার সহকর্মীদের শ্রমের মূল্যে ডিভিডেন্ড পাও।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১১:১১397157
  • এক্স্যাক্টলি, আমার এটাই বলার ছিল যে, পুঁজির বৃদ্ধির জন্য শ্রমের উদ্বৃত্ত মূল্য আবশ্যিক। কিন্তু সেইটা ঘুরপথেও হতে পারে। তোমার কৃষকের নিজের জমিতে নিজেই শ্রমিক এই সিনারিওতেও সেইটা হতে পারে।

    ** (পূঁজি নয়, পুঁজি, পুঁজি।)
  • kallol | 122.167.97.94 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১১:১৫397158
  • অর্পন - আর একটা কথা মনে হলো। স্বনিযুক্ত প্রকল্পে ""উদ্বৃত্ত মূল্য"" হয় না। তুমি তোমার বানানো অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার যে দামেই বিক্রি কর না কেন তার পুরো মূল্যের মালিক তুমিই। ফলে তোমার শ্রমের পুরো দামটাই তুমি পাও। তোমার থেকে তুমি চুরি করতে পারো না। এক হিসাবে এটাও পূঁজির বাইরে থাকা। তবে তুমি যেহেতু বাজার এড়িয়ে যেতে পারছো না (মাল বিক্কিরি করতে হচ্ছে) তাই তুমি ব্যবস্থাটার অংশ হয়েই থাকছো। যেই একটা বড় কোং তোমার মত মাল বাজারে কমদামে ছাড়বে তখন তুমি বাধ্য হবে, হয় তোমার উৎপাদন বাড়াতে (তাতে সেই শ্রমিক নিয়োগ) নয় তোমার মাল সেই বড় কোংকে বেচে দেবে, নয় বিবাগী হবে। তৃতীয় পথটি ছাড়া সেই তুমি পূঁজির অংশ হয়ে যাবে।
  • hanu | 125.18.104.1 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১১:২৪397161
  • কল্লোলদা, প্রথমত: আপনি অত্যন্ত ভাল বাংলা লেখেন, এটা নিয়ে আমার অন্তত সন্দেহ নাই। ভাষা ও বাচন নিয়ে আমার সমস্যা আদৌ নাই। বিষয় নিয়ে আছে। সেটা বোঝাতে পারি নি।

    মার্ক্স পুঁজিবাদের এখনকার যে মাস প্রোডাকশনের ইনডাসট্রিয়াল প্রোডাকশনের গড়ে ওঠার সময়কার লোক, সমসাময়িক উদ্বৃঙ্কÄ উৎপাদনের ক্রিটিক লিখেছেন এবং সেটা বদলানোর পোলিটিকাল প্রোগ্রাম লিখেছেন এবং একই সঙ্গে ঐতিহাসিক ঘটনার বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন এজেন্সীর ভূমিকার কথা আলোচনা করেছেন, কারণ সমসাময়িক অর্থনীতি র ও জীবনযাত্রার সোশাল ট্রান্সফর্মেশন গুলির সঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষমতার সম্পৃক্তি তিনি বুঝেছিলেন। এই সম্পর্কে দু চার কথা লিখে গেছেন। এবং ডিসেন্টের অর্গানাইজেশন তাতে সমৃদ্ধ হয়েছে। একটা সময়ের উৎপাদন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট লক্ষ্য করাটা 'গাড্ডা' হওয়া মুশকিল।
  • kallol | 122.167.97.94 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১১:২৪397160
  • কিন্তু নেপালের খবর কি ? মাওবাদীরা কি তাদের কোন সরকারী নীতি ঘোষনা করেছে ?
  • Arpan | 202.91.136.71 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১১:৩১397162
  • বেশ। তাহলে মাক্ষীয় ব্যাখ্যা অনুযায়ী মুনাফা = উদ্বৃত্ত মূল্য সবসময় নয়।

    কেন নয়, পরিষ্কার হল না। আশা করি, র বিনিময় মূল্য আর ব্যবহার মূল্য নিয়ে দু'পয়সা দেবার পরে ক্লিয়ার হবে।
  • kallol | 122.167.97.94 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১১:৫৫397163
  • ধনতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থার ক্রিটিক তৈরী করাটা বা তার বৈশিষ্ট লক্ষ্য করাটা ""গাড্ডা" নয়। সেটার বদলের পলিটিকাল প্রোগ্রাম নিয়েও কিছু বলার নেই। কিন্তু বদলে কি হবে ? সেটার ব্যাখান নিয়ে আপত্তি আছে। ধনতন্ত্রের অসাধরণ ক্রিটিক তৈরী করে হাত ঘুরিয়ে নাক ধরার মত নতুন ব্যবস্থার নামে সেখানেই থেকে যাওয়াটাই গাড্ডা।
  • kallol | 122.167.97.94 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১২:০৫397164
  • মার্ক্সীয় ব্যাখ্যা অনুযায়ী মুনাফা=উদ্বৃত্ত মূল্য। তুমি যাকে মুনাফা বলছ - তোমার খাওয়া-পড়ার খরচ মিটিয়ে যে উদ্বৃত্ত তোমার হাতে থাকে - মার্ক্স সেই সম্পদকে মুনাফা বলেন নি। সেটা খাটিয়ে অন্যের শ্রমের মূল্যে যখন তার চেয়ে বেশী পাও - সেটাই মুনাফা=উদ্বৃত্ত শ্রম।
    সে তো ধরো হত দরিদ্র ঘরেও (বিশেষ করে মেয়েরা) দুটাকা-পাঁচটাকা করে সংসার খরচ থেকে কিছু সরিয়ে রাখে (অনেকেই তাও পারে না)। সেটাকে কি মুনাফা বলা যায় ? চরিত্রে তো একই।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ১৯:১৫397165
  • আসল কথায় আসি। মানে কেন কল্লোলদার বক্তব্যে আপত্তি।

    প্রথম, সমস্যাটা আদৌ পুঁজি বা উদ্বৃত্ত মূল্য নিয়ে নয়। সমস্যাটা দুইরকম- এক, ক্রমাগত উদ্বৃত্ত মূল্য বাড়িয়ে যাওয়ার যে পুঁজিবাদী নিয়ম তাই নিয়ে, এবং দুই, এই উদ্বৃত্ত মূল্যের মালিকানা নিয়ে। যখনই সমাজ দ্রব্যকে বিনিময় মূল্যের নিরিখে না ভেবে ব্যবহার মূল্যের নিরিখে ভাবতে শিখবে, তখন উদ্বৃত্ত মূল্য বাড়িয়ে যাওয়ার প্রোৎসাহ নষ্ট হয়ে যাবে, উদ্বৃত্ত মূল্য ও পুঁজির অস্তিত্ব সঙ্কেÄও। যে কোনো প্রাক-পুঁজিবাদী বিনিময় অর্থনীতি তার উদাহরণ। উদ্বৃত্ত মূল্যের মালিকানার প্রশ্নে মার্ক্সকে শ্রম ও শ্রমশক্তির ফারাক করতে হয়েছিল। শ্রমিক শ্রমশক্তি বেচে এবং সেই শ্রমশক্তির জন্য পয়সা পায়। কিন্তু তার শ্রমের মালিকানা পুঁজিপতির। এবং যেহেতু সেই শ্রম উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি করে অতএব তার মালিকানাও পুঁজিপতির। কাজেই শ্রমিক বিনিময়মূল্যে তার শ্রমশক্তি বেচলেও সে তার শ্রমের মালিক নয়। পুঁজিবাদী শোষণের গল্পটা এখানে দাঁড়িয়ে।

    দ্বিতীয় আপত্তি মার্ক্সের মুখে রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদের তঙ্কÄ বসিয়ে দেওয়াতে। এক, মার্ক্স পারতপক্ষে ভবিষ্যদ্বাণী দেখে বিরত থেকেছেন। দাস কাপিটালে এই ভবিষৎ নিয়ে স্রেফ একটি প্যারাগ্রাফ পাওয়া যাবে। দুই, কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোর মত সাংগঠনিক রচনা এবং দাস কাপিটালের মত বিশ্লেষণাত্মক রচনাকে আলাদা করতে হবে। তিন, একটি দুটি জায়গায় রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ গোছের কথা পেলেও সেটাকে মার্ক্সের সম্পূর্ণ রচনা, চিঠি, জীবন ও ইতিহাস থেকে সরিয়ে দেখাটা অন্ধের হস্তীদর্শন হবে। বরং মার্ক্স রুশোর গণতন্ত্রের ধারণাকে আরও সুসংহত রূপ দিতে চেয়েছিলেন।

    তবে মার্ক্স একটা জায়গা ধরতে পারেন নি। সেটা হল জাতীয়তাবাদের জোরের জায়গা। এর সাথে রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদের বাড়বাড়ন্তের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২০:১৫397166
  • কচি করে বিনিময় মূল্য ও ব্যবহার মূল্যের গপ্পোটা সেরে ফেলা যাক।

    ধরা যাক সেই আদিম যুগের কথা- নিয়েনডার্থাল ধড়াচূড়ো ছেড়ে মানুষ আরও কয়েক পা এগিয়েছে, চাষবাস করতে শিখেছে। তখন অর্থনীতিতে পয়সাকড়ির বালাই নেই। আমি যদি ধান উৎপাদন করি তবে সেই ধানের বদলে রামের ঘর থেকে গম, শ্যামের ঘর থেকে আলু নিয়ে আসি। কেন আনি? কারণ ঐ গম, আলু ইত্যাদি আমার জীবনধারণের জন্য দরকার। অর্থাৎ এখানে আলু বা গমের কি দাম সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, এগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ "আলু" ও "গম" বলেই, বা "আলু"র অন্তর্নিহিত মূল্য ও "গমের" অন্তর্নিহিত মূল্যের জন্যই। এটা হল ব্যবহার মূল্য। ব্যবহার মূল্যের দুটো দিক- এক, এটাকে সংখ্যা দিয়ে ধরা যায় না, এবং দুই, সংখ্যা দিয়ে ধরা যায় না বলে এক বস্তুর ব্যবহারমূল্যকে অন্য বস্তুর ব্যবহারমূল্যের সাথে তুলনাও করা যায় না, বা বিভিন্ন বস্তুর ব্যবহার মূল্য যোগও করা যায় না। ব্যবহারমূল্যের হিসেবে যে কোনো মানুষের চাহিদা সীমিত, অতএব ক্রমাগত উৎপাদন বাড়িয়ে উদ্বৃত্ত মূল্যের গল্প নেই।

    এইবার মানুষ আরও একটু সেয়ানা হল, বাজারে গিয়ে কেনাবেচা শিখল, পয়সাকড়ির লেনদেন শিখল। এখন আমি ধান বিক্রি করি এক কেজি এক টাকা। এবার বাজারে সেই ধান বিক্রি করে সেই পয়সা দিয়ে আমি গম, আলু ইত্যাদি কিনি। অর্থাৎ যদিও এখন ধান, গম, আলুর বিনিময় ঘটছে পয়সার মাধ্যমে, অর্থাৎ তাদের বিনিময়মূল্যের হিসেবে, কিন্তু সেই টাকা আমি আমার অন্যান্য দ্রব্যের প্রয়োজনে ব্যয় করছি। অর্থাৎ, টাকাপয়সা দিয়ে একধরনের ব্যবহারমূল্যের বদলে আমি অন্যান্য ব্যবহারমূল্য কিনছি। এই বিনিময় হল, দ্রব্য-টাকা-দ্রব্য, বা দ্র-টা-দ্র। যেহেতু আমাদের ব্যবহারমূল্যের চাহিদা সীমিত, অতএব এইক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি হলেও সেই উদ্বৃত্ত মূল্য ক্রমাগত বাড়িয়ে যাওয়ার কোনো গপ্পো নেই। মনে কৃষক নিজের ধানবেচা টাকা দিয়ে টি ভি কেনাটাই যাবতীয় সমস্যার মূল- তা নয়।

    সমস্যা হল যখন কেউ এই কেনাবেচা করছে কোনো দ্রব্যের ব্যবহারমূল্যের জন্য নয়, শুধু তার বিনিময়মূল্যের জন্য, অর্থাৎ টাকার জন্য। বাজারে এবার ঝানু ব্যবসায়ীরা ঢুকেছে। এরা আমার থেকে ধান কিনে সেই ধান অন্যকে বিক্রি করে- আর এই কেনাবেচার দামের যে পার্থক্য সেটা পকেটেস্থ করে। কাজেই এখানে দ্র-টা-দ্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে টা-দ্র-টা। টাকার চাহিদা যেহেতু অসীম, অতএব ক্রমাগত উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি হতে থাকে। পুঁজিপতির ক্ষেত্রে এই হিসেবতা দাঁড়ায়: টা-শ্র-টা। অর্থাৎ সমস্যাটা চাষের টি ভি কেনায় নয়, সমস্যা যে লোকগুলো উদ্বৃত্ত মূল্যের লোভে চাষেকে দিয়ে নিত্যনতুন টি ভি কেনাচ্ছে, প্রয়োজন থাকুক বা না থাকুক, তাদের নিয়ে।
  • kallol | 122.167.86.37 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২১:০৭397167
  • মার্ক্সের মুখে রাষ্ট্রীয় পুঁজি :
    ১)The proletariat will use its political supremacy to wrest, by degree, all capital from the bourgeoisie, to centralise all instruments of production in the hands of the State, i.e., of the proletariat organised as the ruling class; and to increase the total productive forces as rapidly as possible. - Communist Manifesto –Chapter 2 : Proletarians & Communists

    ২) Centralisation of credit in the banks of the state, by means of a national bank with State capital and an exclusive monopoly. – 5th point of the 10 point agenda of Socialism. - Communist Manifesto –Chapter 2 : Proletarians & Communists

    কমিউনিষ্ট ম্যানিফেস্টোতে মার্ক্স খুব গোটা গোটা করে যে কি করিতে হইবে-র যে নিদান দিয়েছেন তাতে মার্ক্স, প্রথম উদ্ধৃতিতে নাম না করে আর দ্বিতীয় উদ্ধৃতিতে নাম করেই রাষ্ট্রীয় পুঁজির পক্ষে সওয়াল করেছেন।

    মার্ক্সের পুঁজির ক্রিটিক নিয়ে বলার কিচ্ছু নেই। কিন্তু তিনি কোথাও ""সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা" নিয়ে এমন কিছু বলেন নি যেখানে উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরী হবে না। বরং বলছেন তার মালিকানা , রাষ্ট্রের অর্থাৎ শাসক শ্রেণী হিসাবে সংগঠিত সর্বহারার। সেটা যে হয় না, তা মার্ক্স ধরতে পারেন নি।
    তাই সমাজতন্ত্রে শ্রমিকের শ্রমের মালিক হয় রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্রের মালিক হওয়ার কথা ছিলো তার, কিন্তু সেটা হয় না। কারন মার্ক্সের মতে শ্রেণী হিসাবে শ্রমিক শ্রেণী রাষ্ট্রের উচ্ছেদ চায়। ফলে তার পক্ষে রাষ্ট্রের মালিক হওয়া সম্ভব নয়।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২১:১৬397168
  • এই সমস্যাটাই আমি দুই আর তিন নম্বর পয়েন্টে লিখেছি। কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো আর দাস কাপিটালকে একই জায়গায় বসিয়ে দেওয়া। এবং দু একটা কোটেশন দিয়ে মার্ক্সের সম্পূর্ণ রচনা ধরার চেষ্টা করা। আগেই বলেছি দুই এক জায়গায় এই ধরনের কোটেশন পাওয়া যাবেই।

    শ্রমিক পুঁজির মালিকানা পেল এবং শিশু সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরি হল- অত:পর? তাহলে স্রেফ পুঁজি আর উদ্বৃত্ত মূল্য থেকে বেরিয়ে মার্ক্সের রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের ধারণায় পৌঁছাতে হবে। সেটা পরের কিস্তিতে।
  • aja | 207.47.98.129 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২১:২০397169
  • মার্ক্সের বক্তব্য যতটুকু মনে পড়ছে, সমাজতন্ত্রে রাষ্ট্র থাকবে। কিন্তু সমাজতন্ত্র হল সাম্যবাদে (কমিউনিজম) উত্তরণের মধ্যবর্তী স্তর। যেহেতু রাষ্ট্র শ্রেনী নিপীড়নের যন্ত্র, সমাজতন্ত্রে প্রলেটারিয়েট রাষ্ট্রকে ব্যবহার করবে শোষক শ্রেনীগুলির বিলুপ্তির কাজে। অত:পর সাম্যবাদে যেহেতু একটিই শ্রেনী, রাষ্ট্র অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে। সুতরাং সাম্যবাদে রাষ্ট্র থাকবে না।

    মার্ক্স ঠিক কি ভুল সেটা ঠিক করতে চাইছি না এখানে। শুধু এটুকুই বক্তব্য যে মার্ক্স বিরাট কিছু রাষ্ট্রপন্থী ছিলেন না। উনি প্রলেতারীয় রাষ্ট্রকে একটা নেসেসারি ঈভিল হিসেবে কিছুদিনের জন্য রাখতে চেয়েছিলেন।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২১:২৯397171
  • অজদা অল্প কথায় মার্ক্সের কথা বলে দিয়েছেন। পরে সমসাময়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা, সংসদীয় গণতন্ত্র ইত্যাদি নিয়ে মার্ক্সের অবস্থান, বিশেষত: ইংলন্ড ও জার্মানির রাজনৈতিক ইতিহাস, অবশ্যই প্যারিস কমিউন ইত্যাদি নিয়ে মার্ক্সের লেখা নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যাবে, মার্ক্স মূলত: রাষ্ট্রবিরোধী- কথায় ও কাজে। লেনিন কথায় শক্তিশালী রাষ্ট্রের বিরোধী ছিলেন কিন্তু কাজে কিছু করতে পারেন নি। স্তালিন কথায় ও কাজে শক্তিশালী রাষ্ট্রের আইডিয়া বাস্তবায়িত করলেন। তার সাথে রাশিয়ান জাতীয়তাবাদের গভীর সম্পর্ক, যে জাতীয়তাবাদের সমস্যা নিয়ে মার্ক্স প্রায় নিশ্চুপ।
  • aja | 207.47.98.129 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৩৮397172
  • তবে মার্ক্সের রাষ্ট্রপন্থী ভাবমূর্তি তৈরী হওয়ার পিছনে অ্যানর্কিস্টদের (যেমন বাকুনিন) সাথে ওনার বিতর্কের একটা বড় ভূমিকা ছিল। শ্রেনীর বিলোপ না ঘটিয়ে আগেই রাষ্ট্রের বিলোপ ঘটাতে হবে, এমন কথা উনি ইউটোপিয়ান মনে করতেন।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৪৬397173
  • মার্কস তো জাতীয়তাবাদের উপর হেবি খাপ্পা ছিলেন। প্যারি কমিউন প্রসঙ্গে তে ডিটেল আছে। জাতীয়তাবাদের নামে যুদ্ধ লাগিয়ে বুর্জোয়ারা শ্রমিক শ্রেণীর আন্তর্জাতিক ঐক্যকে ধ্বংস করে ইত্যাদি।

  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৫১397174
  • খাপ্পা তো ছিলেনই, কিন্তু তা নিয়ে বিশদ বিশ্লেষণে যান নি, যেভাবে পুঁজি টুঁজি নিয়ে বক্‌বকিয়েছেন। বোঝেন নি যে ঐটি তার সাজানো বাগান এইভাবে শুকিয়ে দেবে।
  • Arpan | 124.125.227.119 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২১:৫৬397175
  • টাইমাউট। উদ্বৃত্ত মূল্যের মালিকানার প্রশ্নে মার্ক্স শ্রম ও শ্রমশক্তির পার্থক্য করেছিলেন। শ্রমশক্তি শ্রমিক বিনিময়মূল্যে বেচে দেয় কিন্তু সে তার শ্রমের মালিক নয়।

    এখানে "শ্রম' বলতে কি বোঝানো হল? উৎপাদন বা পরিষেবা? না অন্য কিছু?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২২:০৪397176
  • শ্রম মানে পরিশ্রম। মাথা বা গায়ে গতরে খাটা। তখনকার ধারণা অনুযায়ী শ্রমিক শ্রম বেচে এবং বিনিময়ে শ্রমের দাম পায়। যার নাম মজুরি।

    মার্কস বললেন মজুরি টা শ্রমের মূল্য না। শ্রমিক "শ্রম করিবার ক্ষমতা' কে ভাড়া দেয়। মজুরিটা সেই ভাড়া। মজুরি + উদ্বৃত্ত মূল্য = শ্রমের মূল্য। ব্যস।
  • aja | 207.47.98.129 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২২:০৭397177
  • আমি যতদূর বুঝি, শ্রমশক্তি হল শ্রমের ক্ষমতা। শ্রমিক শ্রমশক্তি বিক্রি করে, অর্থাৎ কয়েক ঘন্টার জন্য তার শ্রম করার ক্ষমতা মালিকের। শ্রমশক্তি কিন্তু ইন ইটসেল্ফ কিছু উৎপাদন করে না।

    অন্যদিকে শ্রম হল উৎপাদনের ডাইরেক্ট ইনপুট।

    একটা উদাহরণ এই রকম হতে পারে। মডার্ন টাইমস মনে কর। চার্লি আট ঘন্টার শিফটে কাজে যোগ দিয়েছে। এখন কনভেয়র বেল্টের গতি বেড়েই চলেছে। চার্লি বিক্রি করছে ঐ আট ঘন্টার শ্রমশক্তি। কিন্তু কনভেয়র বেল্টের গতিবৃদ্ধির সাথে সে বেশী বেশী শ্রম দিচ্ছে।

    বা ধর একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার বিক্রি করছে তার সমস্ত সময় (কেন না তার কাজের নির্দিষ্ট ঘন্টা নেই)। এখন এই সময়ে ক্রমশ: বেশী বেশী কাজ করিয়ে মালিক বেশী বেশী শ্রম নিতে পারে তার কাছ থেকে।

    র এর চেয়ে ভাল বলতে পারবে।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২২:০৯397178
  • ঠিক- দুজনেই।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২২:১৯397179
  • তবে এই বিনিময় মূল্যের কথাটা অন্যভাবে ঠাকুরও কয়ে গিয়েছিলেন- টাকা মাটি->মাটি টাকা। কিন্তু বাঙালী সাব-অল্টার্ন ঠাকুরকে পাত্তা না দিয়ে সাহেব মার্ক্সকে কেন পাত্তা দেওয়া হয়- এই হল পোস্ট-কলোনিয়াল থিওরির উৎস। :-)
  • Arpan | 124.125.227.119 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২২:২৭397180
  • বুঝেছি এবার। ঈশান ও অজদাকে ধন্যযোগ।

    কিন্তু মজুরি + উদ্বৃত্ত মূল্য = শ্রমের মূল্য এই সমীকরণে আমার মতে একটি ফ্যালাসি আছে। উদ্বৃত্ত মূল্য যে তৈরি হয় তার একটি ইনপুট যদি শ্রম হয় অন্য ইনপুটগুলি হল মালিকের মূলধন (এবং অপারটুনিটি কস্ট), পরিকাঠামো (মেশিনারি) এবং বিপণনের দক্ষতা। কাজেই উদ্বৃত্ত মূল্যের একটি অংশ ঐ সমীকরণে আসা উচিত। পুরোটা নয়। কারণ অন্য উপকরণগুলো না থাকলে শুধু শ্রম এবং শ্রমশক্তি দিয়ে উৎপাদন এবং বিপণন হয় না।

    সেই হিসাবে মজুরির উপরি উদ্বৃত্ত মূল্যের একটি অংশের উপর শ্রমিকের মালিকানা জন্মায়। অর্থাৎ শ্রমিকের হক আছে উৎপাদনের উপকরণ হিসাবে শ্রমের অংশগ্রহণের হিসাবে কোম্পানির লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) পাবার।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ এপ্রিল ২০০৮ ২৩:০৯397182
  • হে হে, এখানেই মজা- ঐ মেশিনারি, মূলধন মালিকের কাছে এল কি করে? আকাশ থেকে তো পড়ে নি। আরও কিছু শ্রম রয়েছে ঐ মেশিনারি ইত্যাদি উৎপাদনের পিছনে যা মালিক ঝেড়েছে। অতএব এই পরম্পরাক্রমে ঝাড়ার ইতিহাস দেখলে ব্যাপারটা এই দাঁড়ায়- যে কোনো দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ হয় সেই দ্রব্য উৎপাদন করেছে সেই শ্রমের দ্বারা। এই শ্রম মানে শ্রমশক্তি এবং অন্যান্য উৎপাদনের উপকরণ। শ্রমিক শুধু শ্রমশক্তি বেচে, বাকি উৎপাদনের উপকরণের মালিকানা পুঁজিপতির। অতএব......

    বিশদে জানতে চাইলে "লেবার থিওরি অফ ভ্যালু" দিয়ে গুগলাইয়া দেখ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন