এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ফন্ট ইউনিকোড ট্রান্সলিটারেশন ইত্যাদি ফর ডামিজ

    Arijit
    অন্যান্য | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | ৬০৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:০৬408163
  • শ্যামলবাবুকে - ঐ মাঝে টাইপ করে আপডেট ইত্যাদি করার জন্যে আপনাকে রিভার্স ট্রান্সলিটারেশন করতে হবে। অথবা পুরো ডকুমেন্টের ম্যাপ রাখতে হবে। অন্য কোনভাবে করা যায় কিনা ভেবে দেখিনি। রিভার্স ট্রান্সলিটরেশনটাই সবথেকে অপটিমাল।

    দ-এর প্রশ্নটা বুঝিনি। যা বুঝেছ, তার প্রেক্ষিতে, মাত্রা বোধহয় আলাদা কোন গ্লিফ নয় অধিকাংশ ফন্ট ফাইলেই। ইউনিকোডেও। তবে কেউ রাখতেই পারে।
  • lcm | 128.48.7.222 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:৩০408164
  • বাহ! ন্যাড়া ভালো শুরু করেছে।
    ইতিহাস প্রসঙ্গে... ১৯৬০-এর দশকে IBM কাজ শুরু করে জাপানিজ কাটাকানা/কাঞ্জি নিয়ে, এই ieee ডকুতে কিছু তথ্য আছে, উৎসাহী জনতা চাইলে দেখতে পারে:
    http://ieeexplore.ieee.org/stamp/stamp.jsp?arnumber=01401743

    চলুক ন্যাড়া...
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:০৬408165
  • ন্যাড়ার ইউনিকোড প্রসঙ্গে বলি, চিনে ভাষায় নাকি অক্ষর ২৫-৩০ হাজার। আর বহুব্যবহৃত অক্ষর ৫০০০। কাজেই আট বিটে সম্ভব নয়। ষোল বিট ইউনিকোড হলে ৬৫৫৩৬ টা অক্ষর অবধি যেতে পারে।
  • Blank | 59.93.246.89 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:১১408166
  • সিমপ্লিফায়েড চাইনিজ আছে তো
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:১৩408167
  • বাইনারী দা কি দেখার জন্য।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:২৭408168
  • ন্যাড়াদা। এখানেই লিখছি। যদ্দূর মনে পড়ছে, রেফ আর য-ফলাকে ইউনিকোড আলাদা বস্তু হিসেবে ট্রিট করেনা।

    র+ক=র্ক
    ক+য=ক্য

    এইরকমই ধরা আছে।

    তবে এতে একটা প্রবলেম ছিল। উপরিউক্ত স্কিমটা দিয়ে একটা অ্যাম্বিগুইটি থাকে। সেটা হল:

    র+য = (র‌্য/র্য)?

    এটা সমাধানের জন্য একটা টেকনিক নেওয়া হয়েছিল। সেটার ডকুমেন্টেশন আছে। কোথায় আছে মনে নেই। তবে আছে।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:৪০408169
  • যা বুঝলাম ইউনিকোড কোন ব্যঞ্জনবর্ণেরই লিগেচারের গ্লিফ ডিফাইন করছে না - ন য-ফলা, না র-ফলা না রেফ। খালি ভাওয়েল লিগেচার ডিফাইন করছে।

    সুতরং এখানেই ইউনিকোড ইউনিকোডত্ব হারাচ্ছে বাংলার ক্ষেত্রে। মানে সোলেইমানলিপি য-ফলা গ্লিফ-কে যে হেক্সে এনকোড করছে মুক্তি যদি তাতে না করে তাহলে ফন্ট বদলালে গ্লিফ বদলে তো যাবেই, সম্পুর্ণ অন্য শব্দ চলে আসতে পারে।

    বুইলে?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০২:০৭408170
  • তাহলে তো সেটা সমস্ত যুক্তাক্ষরের ক্ষেত্রেই খাটবে। অন্য কিছু একটা গপ্পো আছে নিশ্চয়ই।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৫:২৪408171
  • যখন বাংলায় ফন্ট লেখার দরকার হল তখন এই Extended ASCII এনকোডিং ব্যবহার করে ফন্ট
    তৈরি করা হল। তবে এখন অধিকাংশ ফন্ট ফাইলই বলে যে তারা ISO-8859-1 এনকোডিং ব্যবহার
    করে। বা Window 1292। এখানেও প্রচুর গোলমাল আছে। সে থাকুক। আমরা বরং এনকোডিং-এর
    গোলমেলে চক্কর থেকে বেরিয়ে ফন্ট নিয়ে একটু কথা বলি।

    টাইপোগ্রাফিতে ফন্ট মানে একটা বিশেষ সাইজের, বিশেষ টাইপফেসের ক্যারেকটার সেট। যেমন ১০-পয়েন্টের রে-রোমান (সত্যজিত রায়ের ডিজাইন করা ফন্ট) প্লেন। ১০-পয়েন্টের রে-রোমান
    বোল্ড আবার অন্য ফন্ট। কিংবা ১২-পয়েন্টের রে-রোমান প্লেন। কিন্তু কম্পিউটারে যেহেতু সাইজ
    বাড়ানো-কমানো সহজ গাণিতিক হিসেব, কম্পিউটার ফন্টের বিবেচনায় তাই সাইজ ব্যাপারটা বাদ
    দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৮-পয়েন্ট কি ১৬-পয়েন্ট কি ৪৮-পয়েন্টের এরিয়াল প্লেন একই ফন্ট বলে ধরা
    হবে। যদিও ৮-পয়েন্টের এরিয়াল প্লেন আর ৮-পয়েন্টের এরিয়াল বোল্ড আলাদা আলাদা ফন্ট ধরা
    হয়।

    উইন্ডোজ, ম্যাক (এটা আন্দাজে বলছি) এবং লিনাক্সও আজকাল ট্রু-টাইপ ফন্ট বা টিটিএফ
    (TrueType Font, TTF) ব্যবহার করতে পারে। ট্রুটাইপ স্ট্যান্ডার্ড শুরু করেছিল অ্যাপেল
    কম্পিউটারস। মাইক্রোসফট উইন্ডোজের জন্যে লাইসেন্স নিয়ে একে জনপ্রিয় করে দেয়। সাধারণত:
    একটা ট্রুটাইপ ফন্ট ফাইলে (.ttf এক্সটেনশন) একই টাইপফেসের বোল্ড আর ইটালিক্স গ্লিফ থাকে। আর
    থাকে কিছু মেটাডাটা। ট্রু টাইপ ফন্ট ফাইলের ফর্ম্যাট এই আলোচনায় সেরকম ইন্টারেস্টিং নয়।
    তবু কারুর উৎসাহ থাকলে এখানে পাওয়া যাবে:
    http://developer.apple.com/textfonts/TTRefMan/RM06/Chap6.html#Overview

    বাজারে একটা নতুন টার্ম নেবেছে - গ্লিফ। গ্লিফ হল গিয়ে একটা বর্ণর গ্রাফিকাল
    রিপ্রেজেন্টেশনের নাম। পড়ার সময় গ্লিফ দেখে আমরা চিনতে পারি কোনটা কোন বর্ণ। মানে ধরা
    যাক 'ব' বর্ণটা। তো এই বর্ণের বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকাশ আছে। এর একটা ধ্বনিগত প্রকাশ আছে,
    বাংলায় যাকে সবাই ফোনেটিক
    রিপ্রেজেন্টেশন বলে জানে। সেটা লিখে বোঝানো যাবে না। মোটামুটি দুটো ঠোঁট এক করে,
    কন্ঠ থেকে এক দলা হাওয়া ছুঁড়ে বের করলে যে ধ্বনি বেরোয় - সেরকম। তেমনি এর চিত্রগত
    প্রকাশ বা গ্রাফিকাল রিপ্রেজেন্টেশন হল 'ব' - একটা সবদ্বিবাহু ত্রিভুজ পাশ করে শোয়ানো,
    ডগাটা বাঁদিকে আর ভূমিটা আলম্ব। মাথায় আনুভুমিক একটা দাগ। এইটা হল 'ব'-এর গ্লিফ। কিন্তু
    এই গ্লিফেই ত্রিভুজের ভূমিটা কত বড়, সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের অসম কোণটা কত ডিগ্রি ইত্যাদি ওপর
    নির্ভর করবে 'ব' কিরকম দেখতে হবে। এইগুলো পাল্টালেই এক ফন্টের গ্লিফ অন্য ফন্টের একই
    বর্ণের অন্য গ্লিফ হয়ে যায়। বোঝাই যাচ্ছে, একই ফন্টের প্রতিটা বর্ণের গ্লিফ আলাদা আলাদা।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৭:২২408173
  • ঈশান বোধহয় এই ডকুমেন্টেশনের কথা বলছিলে:

    http://unicode.org/faq/indic.html#15
  • Blank | 59.93.197.33 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৮:৪৪408174
  • খুব ভাল চলছে ন্যাড়াদা
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৯:৩৮408175
  • বুঝছি একটু একটু, মুশকিল হচ্ছে কিছু টার্ম নিয়ে। সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ তো বুঝলাম আইসোসিলিস ট্রায়াঙ্গল, আলম্ব (পারপেণ্ডিকুলার??), আনুভুমিক - এগুলোর মানে কি?

    (খিস্তি মেরো না, কিন্তু আমি জিওমেট্রি ইংরিজীতে পড়েছি)
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:৪১408176
  • আলম্ব পার্পেন্ডিকুলার। অনুভূমিক হল হরাইজন্টাল।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:২৯408177
  • এইটার কথাই বলছিলাম। থ্যাঙ্কু ন্যাড়াদা।
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:১২408179
  • অ্যাপলের ডকু টা পড়ে একটা হাল্কা আইডিয়া হলো যে ফন্ট ফাইলে কি থাকে। কিন্তু এর কি আরো ডিটেলস আছে কোথাও?
    সেগুলো না পেলে অনেক প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। আমি একটা ফন্ট ফাইল খুলে বা প্রোগ্রামের থ্রু দিয়ে রিড করিয়ে ম্যাপ করতে পারবো কি ডকুমেন্টের সাথে?
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:২৬408180
  • ব্ল্যাংক, পারা যাবে। কাল লিখব।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৩:৪৭408181
  • ঈশান, ইউনিকোডের গল্পটা অনেকটা ধরা গেছে। মানে গল্পের যে অংশটা আমার কাছে রহস্যাবৃত ছিল।
  • Blank | 59.93.195.233 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:২৩408184
  • ন্যাড়াদা আজ সময় পেলে আর এক পর্ব লেখা কিন্তু ...
  • nyara | 67.88.241.3 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০২:২৮408185
  • তাহলে স্ট্যান্ডার্ড - যেমন ASCII বা Extended ASCII - ঠিক করে দেবে কোন গ্লিফ থাকবে।
    কিন্তু এই খোপগুলো আসলে কী? তার থেকেও বড় কথা খোপগুলো নাগাল পাব কি করে? খুব
    সোজা। প্রত্যেকটা খোপের একটা করে নম্বর আছে। একদম ০ থেকে শুরু কর ১২৭ কি ২৫৫ অব্দি।
    যেমন প্রথম মানে ০ নম্বর খোপে থাকবে ফক্কা - কম্পিউটারের ভাষায় যাকে নাল বলে ডাকা হয়। ও,
    আরেকটা ব্যাপার। সাধরণত: কম্পিউটারে কোন কিছু গোণা শুরু হয় ০ থেকে, ১ থেকে নয়। মানে
    রাম, দুই, তিন, চার-এর বদলে শূণ্য, এক, দুই, তিন, চার ইত্যাদি। তাই প্রথম খোপ বলছি
    বটে, সেটা আসলে শূণ্যনম্বর খোপ। ঘাবড়ানোর কিছু নেই। অভ্যেস হয়ে যাবে।

    তো যা বলছিলাম, ০-নম্বরে আছে নাল। বড় হাতের A আছে ৬৫ নম্বরে আর ছোট হাতের a আছে ৯৭
    নম্বরে। এটা স্ট্যান্ডার্ড। যেকোন ASCII বা Extended ASCII স্ট্যান্ডার্ডের ফন্টের এর
    অন্যথা হবে না। হলে তাকে আর স্ট্যান্ডার্ড ফন্ট বলা যাবে না। তো এবার যদি এরিয়াল কি
    টাইমস রোমান কি স্যানস সেরিফ ফন্টের ৬৫ নম্বর খোপে যাই, বড় হাতে A পাবই পাব। এবারেই
    মজা। যখন বাংলা ফন্ট ডেভেলপাররা ফন্ট ডেভেলপ করতে শুরু করল, তাদের ওই ২৫৫টা খোপ নিয়েই
    কাজ করতে হবে। কারণ কম্পিউটারে ৯৯% প্রোগ্র্যাম একটা ক্যারেকটর ৮-বিট এনকোডিং ব্যবহার
    করে। ২৫৫ সংখ্যায় অসুবিধে নেই। গোলমালটা হল, কোন খোপে কী রাখা হবে। বাজারে ISCII
    বলে একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে। কিন্তু তার তোয়াক্কা না করে ফন্ট ডেভেলপাররা বিভিন্ন খোপে নিজেদের পছন্দমতন গ্লিফ
    রাখতে আরম্ভ করলেন। ফলে ৬৫ নম্বর খোপে কোন ফন্টে আছে অ কোন ফন্টে আছেং কোন ফন্টে ব।
    কে যে কেন কোথায় কী রাখছেন, বোঝা প্রায় অসম্ভব। আর তার ফলেই বাংলায় লেখার যে সব
    সফটওয়্যার আছে, সেগুলোতে সাধারণত: একটি বিশেষ ফন্ট নির্দিষ্ট। এই যে গুরুচন্ডালীতে আমরা
    ফাটিয়ে বাংলা লিখছি, এ কিন্তু শুধু বাংলাপ্লেন ফন্ট ব্যবহার করতে পারে (ইউনিকোডের
    আলোচনা এখন বাদ রাখছি। গুরুচন্ডালী ইউনিকোডে পড়া যায়।)

    এখন কোন ফন্টের কোথায় কি গ্লিফ আছে, তা জানা যাবে কি করে? স্ট্যান্ডার্ড মেনে ফন্ট তৈরি
    হলে তো অসুবিধে নেই। কিন্তু বাংলার মতন নন-স্ট্যান্ডার্ড ফন্টে কি উপায়? উপায় হল দুটো।
    প্রথম, যেখানে ফন্ট ডেভলপার ডকুমেন্ট করে দেয় যে সে কোন নম্বরে কোন গ্লিফ রেখেছে।
    দ্বিতীয়, অধিকাংশ আধুনিক প্রোগ্র্যামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বা ইউ-আই লাইব্রেরি ফন্ট অ্যাক্সেস করার
    এপিআই দেয়। সেই এপিআই-তে ফন্টের নাম আর খোপের নম্বর দিলে এপিআই ক্যারেক্টার ফেরত দেবে।
    তো এবার ০ থেকে শুরু করে ২৫৫ অব্দি একটা একটা নম্বর পাঠাও আর কি ক্যারেকটার ফেরত আসছে
    দেখ। তাছাড়া উইন্ডোজ বা লিনাক্সে GNOME ডেসক্টপ ক্যারেক্টার দেখার জন্যে ইউটিলিটিও দেয়।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৪:৩৩408186
  • বাজারের যখন এরকম অবস্থা, তখন ইউনিকোডের আবির্ভাব। তাও সে নয় নয় করে কুড়ি-বাইশ বছর
    হয়ে গেল। ইউনিকোড দুটো জিনিস করল। এক, ডবল বাইট মানে ১৬-বিট ক্যারেক্টার মডেল প্রস্তাব
    করল। তার মানে এক ধাক্কায় সাম্ভাব্য বর্ণের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫৫৩৬-এ। অর্থাৎ আমাদের আলোচনায়
    যে আলমারির তুলনা ব্যবহার করেছি, সেই আলমারিতে খোপের সংখ্যা হল ৬৫৫৩৬। আর দুই,
    বিশ্বের প্রায় সব চালু, প্রায়-চালু বা প্রায়-লুপ্ত ভাষার (যেসব ভাষার লিখিত রূপ আছে)
    বর্ণমালার জন্যে ওই ৬৫০০০+ খোপের মধ্যে কিছু কিছু খোপ নির্দিষ্ট করে দিল। বাংলার ভাগে
    পড়েছে ২৪৩২ থেকে ২৫৫৯। তো এর ফল হল যে যদি শ্রীযুক্ত হরিপদ পাল একটি ইউনিকোড
    কমপ্লায়েন্ট ফন্ট বানান, তাতে ২৪৫৩ নম্বর খোপে ক বর্ণকে রাখতেই হবে।

    ইউনিকোডের মজা আছে। যদি ইউনিকোডের বাংলা ব্লকের চার্টটা দেখেন, তাহলে দেখবেন যে
    সেই চার্টে কোন যুক্তাক্ষর দেখান হয়নি। দেখান হয়নি য-ফলা কিংবা রেফ। ক্ষ বা হ্ম-ও নেই।
    অথচ নন-ইউনিকোড কোন বাংলা ফন্টের চার্ট দেখুন, প্রচুর যুক্তাক্ষরের গ্লিফ রয়েছে সেখানে।
    তাহলে কি ইউনিকোড যুক্তাক্ষরের স্ট্যান্ডার্ড দিচ্ছে না? অ্যায়। এইখানেই মজা। ইউনিকোড
    স্বরবর্ণ ছাড়া আর কোন বর্ণের - মানে ব্যঞ্জনবর্ণের - ডেরিভেটিভ গ্লিফ দেখায় না। সেটা সে ফন্ট
    ডেভেলপারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। যেমন, ষ-এ ট-কে ফন্ট ডেভেলপাররা ইচ্ছে করছে ষট হিসেবে
    দেখাতে পারে, ইচ্ছে করলে ষ্‌ট হিসেবে দেখাতে পারে। আবার ইচ্ছে করলে ষ্ট হিসেবেও দেখাতে
    পারে। যুক্তবর্ণের জন্যে ফন্ট ডেভেলপাররা কি গ্লিফ ব্যবহার করবে ইউনিকোড সে সম্বন্ধে কোন
    স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে দেবে না। একমাত্র ব্যতিক্রম হল ৎ। এটা যদিও ত-এর ডেরিভেটিভ ফর্ম,
    ইউনিকোড ৎ-এর গ্লিফ কোডচার্টে দিয়েছে। যদিও অনেক পরের রিভিশনে।

    এর ফলে মজা হচ্ছে যে, ইউনিকোড শুধুমাত্র স্থানু ফন্ট ফাইল হিসেবেই থাকছে না (যাতে কিছু
    রেন্ডারিং লজিক থাকলেই হয়ে যায়), ইউনিকোড ফন্টকে অনেক ইন্টেলিজেন্ট কন্টেক্সুয়াল লজিক
    ইমপ্লিমেন্ট করতে হচ্ছে। যেমন ধরা যাক কোন ফোনেটিক বাংলা এডিটর - যেমন গুরুচন্ডালীর
    এডিটর বা বঙ্গলিপি বা পরবাস অক্ষর ইত্যাদি। এরা যখন ইংরিজিতে দেখে ke লেখা, বোঝে যে
    ব্যবহারকারী একটা এ-কার আর তার পরে একটা ক লিখতে চাইছে, যদিও ইংরিজিতে k আগে এসেছে।
    তার ফলে এই এডিটরগুলোকে এই ক্ষেত্রে একটা ট্রান্সপোজ করতে হয়। অর্থাৎ পরে আসা e-র জায়গায়
    একটা এ-কার ক-এর আগে ঢুকিয়ে দিতে হবে। এই লজিকটা এডিটরের ইমপ্লিমেন্টেশন।

    কিন্তু ইউনিকোড ফন্ট ব্যবহার করলে এই ট্রান্সপোজিশন লজিকটা আর এডিটরকে ইমপ্লিমেন্ট করতে
    হচ্ছে না। ইউনিকোড ফন্টই যখন দেখছে যে ক-এর পরে একটা এ-কার এসেছে, সে নিজেই
    ট্রান্সপোজিশন করে এ-কারকে ক-এর আগে পাঠিয়ে দেবে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৪:৫৫408187
  • এইবার বুঝি বুঝি করছি।

    কোশ্চেন হল একটা স্ট্যান্ডার্ড যখন এসে গেছে, তখন বাকি পদ্ধতিগুলোতে নতুন এফর্ট দিয়ে লাভ কি? লেগ্যাসি সিস্টেমের মতন জিইয়ে রাখা?
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৫:২৪408188
  • এখনো অনেক প্রশ্ন আসছে মনে, আজ চাপে আছি। সময় পেলে প্রশ্ন গুলো লিখছি পরে
  • Blank | 59.93.240.233 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:২২408189
  • ও ন্যাড়া দা। অজ্জিত দার এই প্রশ্নটা আমারো ছিলো যে
  • nyara | 64.105.168.210 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:৫১408190
  • মিস করে গেছিলাম।

    টেকনিকালি খুব কিছু কারণ নেই। কিন্তু লেখক বা টাইপসেটারদের দিক থেকে কারণ আছে। ইউনিকোড যেহেতু বেশ কিছু জিনিস ফন্ট ডেভেলপারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে, যে ইউনিকোডে কিছু লিখছে বা পড়ছে তার কাছে অনেককিছুই হাতের বইরে থেকে যায়। ষ্ট নিয়ে যে উদাহরণ দিলাম - তুমি জান না, ষ-র পরে একটা ট লাগালে সেটা ষ্ট হবে না ষট হবে না ষ্‌ট হবে। তোমার সিস্টেমে একরকম দেখাচ্ছে, ইউজারের সিস্টেমে যদি অন্য কোন ইউনিকোড ফন্ট থাকে তাহলে সে যে কি দেখবে লেখক হিসেবে তুমি জান না। শুধু তাইই নয়, ষ্ট গ্লিফটার ঠিক শেপ কি হবে সেও অজানা।

    এটা এমনিতে হয়তো খুব বড় প্রবলেম নয়, কিন্তু যারা ভিশুয়াল রিপ্রেজেন্টেশনের ওপর গুরুত্ব দেন, তারা একটা প্রেডিক্টেবল সিস্টেম চাইতে পারেন। যেমন অ্যাড এজেন্সিগুলো কি পাব্লিশিং হাউস। সেখানেই কাস্টম ফন্ট করে খাবে।

    বাংলা ছেড়ে যদি ইংরিজিতে যাই, তাহলে দেখব ইংরিজি ইউনিকোডের ক্ষেত্রে বাংলার অসুবিধের অনেকগুলোই নেই। তাও এখনও লিগ্যাসি ফন্ট করে খাচ্ছে, নিত্য নতুন তৈরিও হচ্ছে।
  • lcm | 128.48.7.222 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০১:২৯408191
  • একদম ঠিক কথা। সুন্দর দেখতে ফন্ট-তো ইউনিকোড-এর উদ্দেশ্য নয়। ফন্ট রেন্ডারিং-এ ইউনিকোড-এর ভূমিকা মিনিম্যাল, universal code ইন্টারন্যাল ডেটা রেপ্রেজেন্টেশনের জন্য।
  • rokeyaa | 203.110.246.230 | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৪০408192
  • আমি সমিত ফন্টে লিখতে চাই, কিন্তু গুরুর এডিটর ঐ ফন্টে বাংলা দেখায় না। কি করিতে হইবে? গুরুর কি-ম্যাপিং ব্যবহার করে কি সেটা করা যাবে? উদাহরণ সহ বুঝাইয়া লিখ।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ১০:১৭408193
  • কিছু করিয়াই হইবেনা। :(

    মানে করা হয়তো যায়, কিন্তু কঠিন কেস। আমি একটা শমিতের ম্যাপিং বানিয়েছিলাম, বাকি বহু কিছুর মতো এটাও হারিয়েছে।
  • siki | 122.160.41.29 | ০৩ মার্চ ২০০৯ ১১:২৩408195
  • ঈশানের এত হারায় কী করে? ঈশান কি সবকিছু আপিসের কম্পুতে রাখে আর তারপরে একদিন কোম্পানি ছেড়ে দেয় আর সবকিছু হারিয়ে যায় ফর্ম্যাটিংয়ের গর্ভে? নাকি ঈশান একেবারেই সঞ্চয়ী নয়? সেভ করতেই পারে না? :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন