এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লা মোদ : এক্ষুণির শিল্প

    pragati
    অন্যান্য | ২২ অক্টোবর ২০০৯ | ৭২৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pragati | 121.246.71.76 | ২২ অক্টোবর ২০০৯ ১০:৩৮419476
  • ফরাসীরা ফ্যশনকে বলে, 'লা মোদ'।
    'মোদ' শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ 'মোদো' থেকে, যার অর্থ-- এক্ষুণি। এর থেকেই জন্মেছে ইংরেজি শব্দ : মডার্ন। ভাষাতঙ্কÄবিদরা দেখিয়েছেন, ১১২৭ সালে পারীর এক গির্জার সন্ন্যাসী চাইলেন তাঁর গির্জার সংস্কারসাধনে। প্রশ্ন হল, সংস্কারটি পরিচালিত হবে শিল্পের কোন মাপকাঠি নিয়ে, ক্লাসিক্যাল গ্রীক, রোমান, না কিছুদিন আগেই উঠে আসা রোমানেস্ক রীতিতে ? পুরোনো রীতি কোনোটাই মেনে না নিয়ে বানানো হল নতুন গির্জা। সন্ন্যাসী এই নতুন গির্জাটিকে ডাকলেন এই ভাবে : "ওপাস মোদের্নাম', নতুন কাজ।
    (Postmodernnism For Biginners.Richard Appignanesi and Christ Garrat : Icon Books, Cambridge. 1995)
  • pragati | 121.246.71.76 | ২২ অক্টোবর ২০০৯ ১১:০৭419487
  • তো, সন্ন্যাসীর নতুন গির্জাটি পরে পরে শিল্পবিচারে গথিক নামে পরিচিত হয় ও নতুন এক শিল্পরীতির হাওয়া বইয়ে দেয়। রেনেসঁ এর যুগ আসতে আসতে যে হাওয়া হয়ে গেল বেশ বাসী।

    দেখতে গেলে 'লা মোদ', ফ্যাশন সংগঠিত যা কিছু,তার একটা ফুরফুরে- ঝিলমিলায়িত অবস্থান থেকে বাসী- তামাদি হয়ে যাবার অনুক্ষণ তাগিদ থেকে যাচ্ছে।
    কিন্তু দেখুন, ফ্যাশনের আবর্তনপথ যেহেতু চক্রাকার,পুরোনোর উৎবেলিত কিছু কিছু কাজ নতুনের মধ্যে অবশ্যই উঠে আসতে পারে।

    যাই হোক, সুতোর আগায় ফিরে আসি।
    ফ্যাশন কি এক্ষুনির শিল্প?
    *এক্ষুনি বানানটি সুতোর নামেতে ভুল লিখেছি, ঠিক করা যাবে কি?
  • Blank | 203.99.212.224 | ২২ অক্টোবর ২০০৯ ১১:৪৪419498
  • এটা চলতে থাকুক, ইন্টারেস্টিং পোমো গন্ধ :)
  • d | 117.195.40.105 | ২২ অক্টোবর ২০০৯ ১৯:৪৯419509
  • প্রগতি আ আ: কতদিন পরে!!
    হাত চালিয়ে লেখো।
  • pragati | 121.246.71.76 | ২৩ অক্টোবর ২০০৯ ০১:৩৩419520
  • ফ্যাশন-স্টাইলের একটা বহু পুরোনো বিতর্ক প্রায়ই সংস্কৃতিচর্চার টেবিলে উঠে আসে।
    ফ্যাশন অল্পজীবী, এক ঋতুতেই ঝিমিয়ে পড়ে, স্টাইল যুগজীবী -- ফ্যাশন বালখিল্য, চপলমতি প্রেমিকহৃদয়, স্টাইল তাজের দেওয়ালের ক্যালিগ্রাফির মতন পরিশ্রুত -- ফ্যাশন নিতান্তই Kitch-আধারে পরিবেশিত, স্টাইল সনেটধ্রুপদী : এই রকমই বিতর্কের চাপান-উতোর।
    আসলে, স্টাইল-ফ্যাশনের একটা সমাজস্বীকৃত মেলামেশা আছে, কিন্তু সবসময় তাদের অন্ত্যমিল হয় না।
    আপনি যদি আ-লা-মোদ, ফ্যাশনিস্তা হয়ে থাকেন আপনার অল্প কয়েকটি- ই ধ্রুপদী পোশাকে, অলংকারে, অ্যাক্সেসারীস নিয়ে, তবে বিতর্ক নেই। কিন্তু ঝামেলা অন্য ব্যাপারে।
    ফ্যাশনের একটি জোরদার সাব-অল্টার্ন স্রোত আছে, যা উপেক্ষা করার নয়।
    কলার-ওলা 'বান্টি ঔর বাবলি' কামিজ কিছুদিন আগেই ভারতের ১৪-৫০ এর নারীকে যথেষ্টই উদ্দীপিত করেছিলো। ডিজাইনার বুটিকের পাঁচহাজারী পোশাক থেকে তিরুনেলভেলীর 'জ্যোতি ফ্যাশান'এর দু'শো টাকার 'বান্টি ঔর বাবলি'
    কামিজ ক্রেতা পেয়েছেন ঐ সাব-অল্টার্ন ঢেউএর ধাক্কায়।
    আর এখানেই সেই ঝামেলাটি।
    কখন আপনি জানবেন, ফ্যাশনের 'সেল বাই ডেট' পেরিয়ে গেছে?
    তেমন কঠিন কিছু নয়। কলারওলা কামিজ বা পুঞ্জীবদ্ধ কবিতায় আকীর্ণ হাঁটুঝুল পাঞ্জাবী না পরে আপনি যদি পরেন ইঞ্চিপাড়ের পেজ্‌লি-কল্কারেখার কালো রেশম শাড়ী, বা সাদা অক্সফোর্ড এর সঙ্গে ব্ল্যু জীন্স, তবে ১৪-৯৫ হলেও একই সঙ্গে থাকছেন আ-লা মোদ ও ফ্যাশনিস্তা।

    দেখুন, দুধারা এখানে মিলে গেল ।

  • a x | 75.53.200.70 | ২৩ অক্টোবর ২০০৯ ০৮:৪৬419531
  • প্রগতি, ফ্যাশানের এই সাব-অল্টার্ন স্রোতটা মোর অফ আ মডার্ন ফেনোমেনন না? আগে ধর '৬০-'৭০ কি তারও আগে কি এই সাব-অল্টার্ন চোরাস্রোত ছিল, নাকি অনেকবেশি পাশ্চাত্যমুখী ছিল ?
  • pragati | 121.246.71.76 | ২৩ অক্টোবর ২০০৯ ০৯:৫০419542
  • নিশ্চয়ই ছিলো চোরা স্রোত। ষাট-সত্তরের 'সাধনা-হেয়ারকাট', 'ববি'প্রিন্ট,'অমিতাভ'কলার ইত্যাদি বাদ দিলেও ত্রিশ-চল্লিশের দশকের 'কাননবালা'ব্লাউস,'বড়ুয়া'সার্ট , পঞ্চাশের দশকে 'ডোনাট' খোঁপা... অজস্র উদাহরণ রয়েছে।
    যেটা বদল হয়েছে, সেটা হল বহুমুখী মিডিয়ার সাবলীল, সর্বত্র বিচরণতা।
    এখন সিনেমা ছাড়াও অন্যান্য মিডিয়ার মাধ্যমে ফ্যাশন হয়তো আরও দ্রুতগামী,দৃশ্যময়, এবং সাব-অল্টার্ন বাঙ্ময়তায় ডেমোক্রাটাইস্‌ড হচ্ছে।

    এ বিষয়ে আর কে কি বলেন?
  • d | 117.195.36.78 | ২৩ অক্টোবর ২০০৯ ২০:২৫419553
  • কিছু কিছু ফ্যাশান তো স্টাইল হয়ে যায়। ধর, জ্ঞানদানদিনীরা যখন ঘুরিয়ে কাঁধের কাছে প্লিট করে শাড়ী পরতে শুরু করলেন, তখন সেটা ফ্যাশানই ছিল, "এক্ষুনি'র জিনিস। কিন্তু কালেদিনে ঐটাই স্টাইল হয়ে উঠল।
  • d | 117.195.36.78 | ২৩ অক্টোবর ২০০৯ ২০:৩৮419564
  • আর একটু ভেবে মনে হল, কিছু কিছু ফ্যাশান ক্রমশ: কালজয়ী হয়ে স্টাইলে পরিণত হয়। বা উল্টোভাবে বলতে পারি, স্টাইলরা সবাই একদিন ফ্যাশান অর্থাৎ কিনা "এক্ষুনি'র শিল্প ছিল।
  • a x | 143.111.22.23 | ২৩ অক্টোবর ২০০৯ ২০:৫৯419477
  • আগের পোস্টে, ধর না ধরুন* হবে :-)

    আচ্ছা, আমি আসলে বোধহয় সাব-অল্টার্ন বলতে অন্য কিছু ভাবছিলাম। এই উদাহরণ গুলো কি ঠিক সাব-অল্টার্ন না পপুলার কালচার?
  • d | 117.195.36.78 | ২৩ অক্টোবর ২০০৯ ২২:২০419478
  • কিন্তু সাব-অল্টার্নের সংজ্ঞা কি সময়ের সাথে অল্প করে বদলে যায় না?
  • shyamal | 24.117.233.39 | ২৩ অক্টোবর ২০০৯ ২৩:২৫419479
  • আচ্ছা, এই সাব-অল্টার্ন কি লোয়ার ক্লাস বা ওয়ার্কিং ক্লাসের ইউফেমিজম?

    এই প্রসঙ্গে বলি, আগেও অন্য একটা টইয়ে লিখেছি, সেই ৭০ এর দশকে পাঞ্জাবী কিছুটা চালু হয়েছিল আমেরিকায়। এখন আবার মেয়েরা ভয়ঙ্করভাবে ভারতীয় কুর্তি কিনছে। সেগুলোর অবশ্য অধিকাংশই চীন বা বাংলাদেশে তৈরী। কিন্তু ডিজাইন ও খুব সম্ভব কোম্পানী নি:সন্দেহে ভারতের।
  • pragati | 121.246.71.76 | ২৪ অক্টোবর ২০০৯ ০০:০৯419480
  • সাব-অল্টার্নের একটা স্বীকৃত অ্যাকডেমিক নির্দিষ্টতা আছে।
    এক্ষেত্রে না প্রয়োগ করাই উচিত। এটা লেখার পরে আমার মনে হয়েছে। গুড পয়েন্ট।
    ফ্যাশনের গণতন্ত্রীকরণ হয়তো বেশী যুক্তিযুক্ত হবে।
    ফ্যাশনের যে তাৎক্ষণিক বিমোহন রয়েছে,তা সঙ্গে সঙ্গে পপুলার কালচারের আধারিত হয় না, একটু সময় লাগে। যদি একটি ফ্যাশনধারার মধ্যে কিছু সারবস্তু থাকে, জনরঞ্জনী আঁচ থাকে, তা হলে হয়তো পপুলার কালচার তাকে নেবে, কিন্তু বীজ থেকে চারা বেরোতে সময় লাগে।
    জ্ঞানদানন্দিনীর শাড়ীর ও সময় নিয়েছিলো।
    আগের শতাব্দীর বিশের শতক পর্যন্ত 'ফেরতা দিতে শাড়ী পরার' উৎসাহকে সন্দেহের চোখে দেখা হত।
    সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মপরিবারেও চলে আসছিলো ভিন্ন রীতিতে পরা 'ব্রাহ্মিকা শাড়ী'। 'পাকদন্ডী' বই এ লীলা মজুমদার লিখছেন, ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্রী থাকাকালীন, অর্থাৎ, আগের দশকের শেষ-কুড়ি নাগাদ তিনি ও তাঁর দিদি 'ব্রাহ্মিকা শাড়ী' ই পরতেন।

    ১৮৭০ এর সময় থেকে ১৯২০ আসতে পপুলার কালচারের বীজবপন ও চারা বেরোতে লেগে গেছে।
    এই সময়ের মধ্যেই ফ্যাশন থেকে স্টাইলের দিকে জ্ঞানদানন্দিনীর শাড়ী হাঁটতে শুরু করেছে।
    পাশ্চাত্যে, কোকো শানেলের 'এল. ডি.বি' বা 'লিট্‌ল ব্ল্যাক ড্রেস' ও সময় নিয়েছে।
  • pragati | 121.246.71.76 | ২৪ অক্টোবর ২০০৯ ০০:১৮419481
  • আজ্ঞে, এল. বি. ডি। স্যরি :)
  • pragati | 121.246.71.76 | ২৪ অক্টোবর ২০০৯ ০০:২১419482
  • এল. বি. ডি। স্যরি :)
  • dd | 122.167.3.209 | ২৪ অক্টোবর ২০০৯ ০০:৩১419483
  • হয়তো অপ্রাসংগিক। এবং নিশ্চয়ই রস বিভান্ডকারী। এবং এট্টু ইসে টাইপের।

    অপিচ, সত্যের খাতিরে চুপ থাকতে পাল্লেম না।

    ঐ যে প্রগতি কইলেন, ফরাসীতে মোদো মানে এক্ষুনি, এটা, এটা না, বড্ডো মনে ধল্লো।

    সব ফরাসীদের নমষ্কার জানাই। সাধে এঁয়াদের ফ্রেঞ্চ বলে ?
  • d | 117.195.36.143 | ২৪ অক্টোবর ২০০৯ ১০:১৬419484
  • হ্যাঁ ঠিক। ফেরতা দিয়ে শাড়ী পরাই শুধু নয়, ব্লাউজ, শায়া ইত্যাদি পরাও তো সন্দেহের চোখে দেখা হত। ঐ লীড টাইমতুকু লাগে নিশ্চয়। ধর কিছুদিন আগেও চুলে রং করানো বেশ নীচুনজরে দেখা হত। আবার অনেকে চুলের রং ফ্যাশান স্টেটমেন্ট হিসাবেও ব্যবহার করতেন। এখন কিন্তু অনেকটাই স্টাইলের অঙ্গ হয়ে গেছে।
    (কোনরকম পড়াশোনা ছাড়াই যা মনে আসছে বলে যাচ্ছি)
  • pragati | 121.246.71.76 | ২৪ অক্টোবর ২০০৯ ২০:৫৫419485
  • ডিডিদা, :)
    দ, হ্যাঁ ঠিক।
  • shyamal | 24.117.233.39 | ২৪ অক্টোবর ২০০৯ ২১:১২419486
  • শ্যানেলের কি এখনও অ্যাপারেলের লাইন আছে নাকি শুধু পারফিউম আর কোলোন?
  • d | 117.195.36.136 | ২৪ অক্টোবর ২০০৯ ২২:১৫419488
  • না বোধহয়। ভারতের দোকানে শীগগির দেখেছি বলে তো মনে হচ্ছে না।
  • pragati | 121.246.71.76 | ২৬ অক্টোবর ২০০৯ ১২:৩৬419489
  • পাশ্চাত্যে ১৮৭০ থেকে ফ্যাশননির্ভর কিছু পত্রপত্রিকা প্রকাশ হতে শুরু হতে থাকলেও সেইভাবে 'কুত্যুর হাউস' ব্যা ফ্যাশনের নামী ঘরানার একটিও জন্ম নেয় নি বিংশশতাব্দীর প্রথম পর্যন্ত।
    রাজারানী থেকে শুরু করে সামাজিক ভাবে অভিজাত শ্রেণী,শিল্পবিপ্লবের পরে নতুন অন্ত্রপ্রেনরকুল, মোটামুটি ভাবে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাছন্দ্যে অভ্যস্ত হতে থাকা ক্রমবাঙ্ময় মধ্যবিত্ত শ্রেণী -- সকলেই পোষাক বানাতে বরাত দিতেন ছোট ছোট সংস্থায়, যেখানে কাজ করতেন বহু অনামী নারীকর্মী -- যাঁরা সীবনশিল্পে ছিলেন বিশেষ পারদর্শী। সামান্য উপকরণ, যেমন সিল্কের টুকরো, লেস-রিবনে প্রধানত হাতের কাজে বানাতেন নানা পোষাক, যাদের কোনো লেবেল ছিলো না।
    পোষাক বানিয়েই এই মেয়েরা অর্থনৈতিক ভাবে সফল হতেন, স্বতন্ত্র, সম্মানিত জীবন যাপন করতেন। ইয়োরোপে এঁরা বহুদিন ধরেই আর্থসামাজিক সিঁড়ির একটি প্রয়োজনীয় ধাপ। এবং বিংশশতাব্দীর দরজা খোলা না পর্যন্ত এঁরাই নির্ধারিত করেছেন ফ্যাশন। ভিক্টোরীয় উপন্যাসে এঁদের দেখা মেলে। যাঁরা যারা নিজেদের কলাকুশলতায় একই সঙ্গে হয়েছিলেন অর্থনৈতিক ভাবে সফল ও ফ্যাশনের প্রথম বর্ণমালা তৈরীতে উপযাজক।
    কোকো শানেলের জন্ম ইতিহাসের এক আকর্ষণীয় সময়ে। নতুন শতাব্দীর এগিয়ে আসার সঙ্গে জীবনযাপনের সর্বস্তরে নতুন হাওয়া ওঠে। কিন্তু, এর থেকেও বড় কথা,শতাব্দী-শেষ-শতাব্দী শুরুর আশ্চর্য মহিমাময় সময়ে, 'ফঁ দ্য সিয়েক্ল' এর আলো-আঁধারীর গর্ভে জন্ম নিচ্ছিল শিল্পকলা জগতের ও কিছু বিশেষ দিকনির্দেশ। ডিজাইনের ক্ষেত্রে আসছে আর্ট ন্যুভো, স্পেন থেকে আসা এক তরুণ শিল্পী ঘনকের মাধ্যমে ছবির বিষয় কে মেপে নিচ্ছেন।
    গ্যাব্রিয়েল 'কোকো' শানেল ফ্রান্সের মফ:স্বলে,দারিদ্র্যের মধ্যে। বাঁচার জন্য কোকো শেখেন সেলাই, টুপি-বানানো'র কলাকুশল। অক্লান্ত চেষ্টা ও আশ্চর্য উদ্ভাবনীশক্তির পরিণতিতে শানেলের প্রথম দোকান খুলে যায় পারীতে।
    নতুন এক সিনেমা, ' কোকো আভঁ শানেল' এ দেখা গেছে শানেল-সাম্রাজ্যের ভিত্তিপ্রস্তর প্রতিষ্ঠিত হবার আগের কোকো কে।
    তবে শনেলের নাম লেবেলাইত হতে হতে ২০ এর দশক। ততদিনে ফ্যাশনে সত্যি সত্যি চলে আসছে কিছু আনকোরা ভাবনার বিচ্ছুরণ। ভিক্টোরিয়ান কর্সেটের খাঁচা থেকে মেয়েদের শরীর মুক্ত হয়েছে, স্কার্টের ঝুল দ্রুত কমছে, নতুন ধরণের কাপড়, যেমন জার্সি, জর্জেটের বহুল ব্যবহার শুরু হচ্ছে, সর্বোপরি এই পোষাক যারা পরবেন, তাদের মানসিকতায় এসেছে এক ঝকঝকে অনন্যতা।
    যুদ্ধ শেষ হতে না হতে , 'রোরিং টোয়েন্টিস' এর প্রভাতবেলায় কোকো শানেল নিজের ক্যুতুর হাউস থেকে বার করলেন কিছু অসাধারণ পোষাক। যা একই সঙ্গে সরল ও মনোহর। বিশের দশক 'ফ্ল্যাপার ড্রেসে'র যুগ। ঝুল উঠে এসেছে হাঁটুর কাছে, এক কাটের স্লীভলেশ 'সীথ'। নেই ঝালর, লেসের আতিশয্য। হালকা কাপড়ে বানানো। কর্সেট নেই, তাই নেই স্তনকে বাড়িয়ে দেখানোর প্রবণতা। বরঞ্চ বিশের দশকে স্তনের উচ্চতা কে কম করানোর প্রবণতাই ছিল।
    এইসব ফ্যাশনধারাকে একত্রিত করে ১৯২৬ সালে কোকোর 'লিট্‌ল ব্ল্যাক ড্রেস' এল। এক কাটের হাঁটুঝুল , কালো কাপড়ে বানানো সেমিজাকৃতির একটি সরল, আবেদনময় পোষাক।
    যুদ্ধোত্তর ইয়োরোপের মেয়েদের কাছে এক ধরণের 'আশীর্বাদ'। তাদের কান পর্যন্ত নামা কপালে ফ্রিঞ্জ দেওয়া নতুন উবের কুল হেয়ার স্টাইল, রঙীন প্রসাধন, জ্যাজ--সঙ্গীতের মূর্চ্ছনায় আন্দোলিত শরীরের সঙ্গে এই নতুন পোশাকের এক অনুপম সখ্যতা রচিত হল।
  • h | 61.95.144.10 | ০১ নভেম্বর ২০০৯ ০৯:১৪419490
  • পড়লাম। এই বিষয়ে আরো লেখা আলোচনা হোক।

    আমি একবার একটা একজিবিশন দেখেছিলাম, ব্ল্যাক মিডলক্লাসের বাড়িতে ড্রইং রুম বস্তুটার বিবর্তন। বিচিত্র একজিবিশন, এবং কোয়াইট ফ্যান্টাস্টিক। মেনলি ফোটোগ্রাফ আর মেমোয়ার। ফিন্সবারি পার্কের কাছে কি যেন একটা মিউজিয়ামে। ভুলে গেচি।

    আর লন্ডনে পূব ডিকটায়, লিভারপুল স্ট্রীট স্টেশনের কাছে একটা রাস্তা আছে, নাম পেটিকোট লেন। আমি রোজ বাড়ি ফিরতাম এই রাস্তাটা দিয়ে। এর মূল কারণ হল, এখানে একটা তাপাস বার ছিল আর একটু বাঁদিকে গিয়ে ব্রিক লেনের মুখটায় একটা বাংলা বইয়ের দোকান ছিল। যাবতীয় আহমদ শরীফ আর আহমদ ছফা, বদরুদ্দীন ওমর আর নির্মলেন্দু গুণ ঐখানে পড়া/কেনা।

    ঐ এলাকাটায় নাম ই এরকম, ট্রেডের নাম ধরে ধরে, থ্রেডনিডল স্ট্রীট, বেলমেকার্স স্ট্রীট ইত্যাদি। তো পেটিকোট লেনে ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধ থেকেই একটা বাজার বসে। মেনলি ইমিগ্রান্ট বিভিন্ন কম্যুনিটির ফ্যাশন। আফ্রিকান সিল্ক, গজ ধরে কিনতে গেলে, এখনো ঐখানেই যেতে হবে, ইত্যাদি। তো সেখানকার ফ্যাশন, বিশেষত: বেনে ডি দোকানটার গল্প ইত্যাদি নিয়ে একখানা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম। ঈস্ট লন্ডন নিয়ে এমনি সোশিওলোজির শেষ নেই, ক্রাইম স্টোরির শেষ ও নেই, জ্যাক দ্য রিপার ইত্যাদি। কিন্তু এই ডকুমেন্টারি টা ছিল শুধুই ফ্যাশনের উপরে। চ্যানেল ফোর-ই হবে, নইলে বিবিসি। মনে নেই।

    সেইটার কথা মনে হল, প্রগতিদির লেখাটা পড়ে।
  • pragati | 121.246.71.76 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ০০:০৪419491
  • জেনসেম- হেরমেস-জান্ড্রা রোডস-সেট মুন্ডু

    ওপরের শব্দগুলি পাশাপাশি বসাতে একটু শিহরণ লাগলো। এমনভাবে ওদের পাশাপাশি বসানো যাবে? কাকতালীয় একটা মিলমিশ বানানোর চেষ্টা হয়তো। দেখা যাক, কতটা এদের একসূত্রে বাঁধা যায়!
    যে মিলের কথা দিয়ে এই নামাবলি সাজাতে শুরু করি, তা হল এরা ভারতের পোশাকসংক্রান্ত বিষয়ে কখনও কোনাচে ভাবে, কখনও আলাগা ভাবে জড়িয়ে আছে।
    প্রথম ও শেষ নাম একশো ভাগই ভারতীয় পরিধানের সঙ্গে জড়িত। প্রথমটি পূর্বপ্রান্তের। শেষেরটি দক্ষিণপ্রান্তের

    শিলং এর রাস্তায় হাঁটতে এমনিতেই ভালো লাগে। শহরের একটি মধ্যবিন্দু আছে, একটি মুখ্যচত্বর... যেখানে সন্ধ্যামুখী বিকেলের দিকে নরম, এক ফুঁ য়ে উড়িয়ে দেওয়া বৃষ্টিচূর্ণ,রঙ্গীন ছাতার ঢেউ,রাস্তার পাশে পৈঠার ওপর বসা দোকানী মেয়েটির পশরা , যার বধ্যে থাকে জামরঙের অর্কিড -- এই সবের মধ্যে হেঁটে যায় সুসজ্জিত তরুণ-তরুণীরা.... বেশীর ভাগ মেয়েই পশ্চিমী পোশাকে,কনভার্স জুতোয়,ডেনিমে, খোলা চকচকে চুলে। কিন্তু অনেক মেয়েই, অফিসযাত্রিণী থেকে অর্কিড-বেসাতিনী, এক অপূর্ব পোশাকে, যার নাম "জেনসেম"। জেনসেম জানে নারী শরীরের সরলতা, জটিলতা। দু'টি কাপড়ের টুকরো। একটি এককাঁধের ওপর গিঁঠ বাঁধা, আরেকটি অন্য পিঠে। কাপড়ের ছাপ, ডিজাইন আর রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউস-পেটিকোট। পোশাকের ঝুল শাড়ির মতন লুটিয়ে নয়, গোড়ালি স্পর্শ করে।এর সঙ্গে মেয়েরা পরেন বেশীর ভাগই কিটেন হীল, বা অন্যধরণের সুন্দর সুন্দর হীলের জুতো। এমনিতেই আমার মনে হয়, শিলং ভারতের শ্যু ক্যাপিটাল। সব্বাই সুন্দর সুন্দর জুতো পরেন।
    জেনসেমে সজ্জিতা খাসি মেয়েদের আলোকবলয়ের মতন ঘিরে থাকে স্বাধীন নারীমননের সঙ্গে মিশে থাকা দেশীয় পোশাকের আভিজাত্য।

    ফ্রান্সের বিখ্যাত ডিজাইনার হাউস হেরমেস (যাদের কল্পিত ও নির্মিত স্কার্ফ ফ্যাশন জগতে বিশেষ আদৃত) ২০০৮ এর স্প্রিং-সামার কালেকশনে রানওয়ে তে নিয়ে আসেন শাড়ি-ম্যাজিক : পশ্চিমী পার্সপেক্টিভে এই সাড়ে পাঁচ হাত অকর্তিত কাপড়ের মহিমা আরও আগে থাকতেই পরিস্ফুট হতে আসছিলো। পশ্চিমের গুরু-সেলেব্রিটি, লঘু-সেলেব্রিটিরা ( ম্যাডোনা, নেওমি ক্যাম্পবেল, লিজ হারলি....) শাড়ির সমাদর করেছেন। কিন্তু কিমোনো ও তার 'ওবি' কোমরবন্ধনী ফ্যাশনের মানচিত্রে আলপিনবদ্ধ হয়েছে, শাড়ি তেমন ভাবে আসেনি এই কিছুদিন পর্যন্ত। পরে অবশ্য শাড়ির আঁচল, কুঁচি, অনন্য ড্রেপ - সবই নিয়েছেন ডিজাইনাররা। শাড়ি বিভাজিত ও বিমূর্ত হয়েছে। হেরমেস কালেকশনে শাড়ির আঁচল ও কুঁচি নিয়েছেন ডিজাইনার।

    আশির দশকে শাড়িকে পশ্চিমী ফ্যাশন জগতে নিয়ে আসতে চেষ্টা করেন একসেϾট্রক ব্রিটিশ ডিজাইনার জান্ড্রা রোড্‌স( Zandra Rhodes)। শাড়িকে তিনি তার ল্যাবরেটরিতে কাটাছেঁড়া করেন। ভিক্টোরিয়ান গাউনের নিচে এককালে ব্যবহৃত তারের ফ্রেম, ক্রিনোলাইনের মধ্যে আটকে দেন । আঁচল কেটে ফুটো করলেন দুই আস্তিন বানাতে। ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় চমকের তাগিদ ছিলো, শিল্পের সুকৃতির নয়।
    হেরমেস হয়তো এইদিক থেকে অনেকটা সফল।

    শুরু করেছি জেনসেম দিয়ে। শেষ করি "সেট মুন্ডু" দিয়ে। ভারতের পূর্বপ্রান্ত থেকে দক্ষিণপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখি শিলং এর বৃষ্টির মতন এখানেও বৃষ্টিবিন্দু ঝরে বেশ কয়েক মাস...ব্যাকওয়াটারের ধারে চাপ চাপ সবুজ গুল্মলতায়, তামার পাতে মোড়া মন্দিরের চালে। কিন্তু এখানের মেয়েরা পশ্চিমী পোশাকে ততটা পটু নয়, তাদের সবথেকে ভালো লাগে "সেট মুন্ডু' তে। এখানেও দু'পিস কাপড়, বা দু'"সেট' কাপড়। জেনসেমের মতনই। অনেকক্ষণ জ্বাল দেওয়া দুধবরণ কোরা সুতি কাপড়, সরু রঙীন পাড়, কখনও সোনালী পাড়।
    এ পোশাকের প্রথম ভাগ , কোমরে পাক দিয়ে পরা সারং এর মতন, যা হল "মুন্ডু" (মুন্ডু কেরলের পুরুষেরাও গর্বের সঙ্গে পরেন। রঙ্গীন সার্ট বা খাদির সার্টের সঙ্গে মুন্ডু একটি কিলার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট)। পরের অংশটি কোমরে গুঁজে শাড়ির আঁচলের মতন কাঁধের ওপর রাখা। সিমেট্রি তৈরি করে মুন্ডুর সামনের পাড়টি আর কোমর থেকে কৌণিক ভাবে যাওয়া পাড়টি।

    সরল, অভিজাত সুন্দর।
  • pragati | 121.246.71.76 | ০৬ নভেম্বর ২০০৯ ০০:১৪419492
  • *বারো হাত।
    মিশটেক :)
  • Nina | 12.149.39.84 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:১৩419493
  • প্রগতি, তুলে দিলাম :-))
  • Nina | 68.45.76.170 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৬:২০419494
  • কই, প্রগতি, লিখবেন না?!!
  • pragati | 117.199.14.30 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৭:২৬419495
  • আমার নীল রঙের জামা সবচেয়ে বেশী। সক্কলের তাই থাকে। কারণ, নীল প্রায় পাঁচশো বছর ধরে সবরকম পৃথিবীর-- ফ্যাশনের, সংস্কৃতির, প্রকাশনার, বিজ্ঞাপনের----- ন্যুমেরো উনো।
    নীল ঘুরে ফিরে আমাদের পোষাকের মধ্যে এসে যায়। অবচেতনে। নীল একটি অভ্যস্ত রঙ আমাদের জীবনে। নীলের যে বিভিন্ন 'অবতার' ( এই নামের সিনেমাটি মনে করুন, সেখানেও নীলের বেশ ভালো রকম প্রাচুর্য ছিলো) আমাদের ভালো রকম শাসন করে, তাদের মধ্যে স্কাই ব্ল্যু,রয়াল ব্ল্যু,মিডনাইট ব্ল্যু, টীল ব্ল্যু ......
    থাক, এদের আর বাংলা করার দরকার নেই। সবাই চেনে এদের। আচ্ছা, টীল ব্ল্যু কেমন রঙ? সত্তর ভাগ নীল আর আর ধরা যাক তিরিশ ভাগ সবুজ।
  • Shibanshu | 59.90.221.5 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৭:৪৫419496
  • আমার তো কালো জামা সবচে বেশি...
  • Shibanshu | 59.90.221.5 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৮:০১419497
  • হ্যাঁ, আরেকটা কথা, লেখাটি চমৎকার। প্রগতির জন্য প্রশংসা আর নিনার জন্য ধন্যবাদ। :-)
  • pragati | 117.199.14.30 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৩৮419499
  • নীল সবাইকে মানায়।
    একদিন বৃষ্টির ম্লান বিকেলে আমাদের সিঁথির পাড়ায় একটি মেয়েকে দেখেছিলাম নীল-সাদা পোলকা ডটের শাড়িতে,রাস্তায় হেঁটে যেত। বৃষ্টি ধরে এসেছিলো। পিঠের উপর কোমর ছোঁয়া নীল রঙের-ই, জলের ফোঁটায় ভেজা-ভেজা একটা বিনুনী। সত্যি নীল রঙের। বালিকা-আমি এই ধরণের একটি ক্ষুরধার কাব্যের পাশে থাকতে পেরে প্রায় টলমল করছিলাম..
    নীল মেয়েটিকে বর্ষার বিকেলে মাঝে-মাঝে মনে পড়ে...
    রঙ নিয়ে যারা লেখা -পড়া করেন, নীল রঙকে বলেন শীতল। আমর তা মনে হয় না। নীলের উত্তাপ দেখুন, এই ভাদ্রের আকাশে তাকিয়ে, রৌদ্র-দাহের মধ্যে নীলের উত্তাপে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। আর মনে হয়, এই দিন নীল জিন্স আর সাদা শার্টের দিন,নীল শিফনের দিন, ইন্ডিগো-ব্ল্যু-তে ছোপানো খাদি কুর্তার দিন।

    নীলকে খুঁজে পেতে নিতে আমাদের কোনো অসুবিধে হয়না...
    এই যেমন এখন এই ঘরের মধ্যে, দেখছি নীল বেড-কাভার, দেওয়ালে তিব্বতী তাঙ্খায় নীল বর্ডার,নীল মলাটে 'ক্লাসমেট'নোটবুক,অক্সফোর্ড পেপারব্যাক ফ্রেঞ্চ ডিকশনারি,বিছানার ওপর গুজরাতি এম্ব্রয়ডারি করা ফ্যাব ইন্ডিয়ার কুর্তা, আর আমার অতি প্রিয় মিডনাইট ব্ল্যু নেলপলিশ...
    এমনভাবেই কি নীল ছুঁয়ে থাকে সবাইকে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন