এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লা মোদ : এক্ষুণির শিল্প

    pragati
    অন্যান্য | ২২ অক্টোবর ২০০৯ | ৭২৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sibu | 122.175.11.26 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২৩:০৬419533
  • না ডিডিদা, ছবি, গান এ সব আমার ক্ষমতার এক্কেবারে বাইরে। গিন্নির ভারী দু:খু কোন রকম আর্ট আমার আসে না বলে।
  • dd | 122.167.36.68 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৩৪419534
  • শুক্ল যজুরবেদে ৩০ অধ্যায়ে একটি লিস্ট আছে সেই সময়কার পেশা ও বৃত্তি নিয়ে। তাতে লেখা আছে "প্রকামের উদ্দেশ্যে কাপড় রং করে এমন স্ত্রীকে যুক্ত করছি"(১২/১০)। কিন্তু কোন কোন রং ব্যাভার করতেন তাঁরা? সেটি নিয়ে কোনো কথাটি নেই।

    মৃচ্ছকটিকে বসন্তসেনা "রক্তবসনা' ও বর্ষাকালের সাদা ফুলের অলংকার পরে অভিসারে বেড়িয়েছিলেন।

    মহাভারতে মনে পরছে যেনো উষ্ণীশের রং নিয়ে কিছু লেখা ছিলো। দ্রোণের পাগড়ী ছিলো সাদা। বাকীটা দেখছি কোথায় খুঁজে পাই।
  • Sibu | 74.125.63.33 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১০:৫১419535
  • একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও, আমাদের রবিদাদুর কিন্তু রঙের ভাল সেন্স ছিল। গৌড়বরন তোমার চরনমূলে, ফলসাবরন শাড়িটি ঘেরিবে ভাল। অথবা ল্যাবোরেটরীতে নীলাকে নিয়ে সোহিণি যখন রেবতীর ধ্যানভঙ্গ করতে গেল - নীলচে-সবুজ বেনারসী, বাসন্তি রঙের কাঁচুলী আর লাল মখমলের চপ্পল। ব্যাপারটা এত পরিষ্কার ভাবে ফার্স না হলে মনে হত রবিদাদু মদনভস্মের আগে অপর্ণার কথা মাথায় রেখে নীলাকে সাজিয়েছেন।
  • pragati | 117.207.233.200 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৯:৪৮419536
  • নীল রঙে কাপড় ছোপানোর ব্যবসা বেশ ভালোরকম রমরমার মুখ দেখে বেশ কয়েক শতক ধরে।
    মধ্যযুগে প্রতিটি শিল্প যেমন গিল্ড-শাসিত, রঙ-ছোপানোর ব্যবসাতেও ছিলো বিভিন্ন গিল্ডরা ও তাদের বিধিনিষেধ। কেউ লাল রঙের ছোপানোর কাজে পাট্টা নিলে সে একমাত্র লালেই কাপড় ছোপাতে পারবে, আবার যদি কেউ নীলের কারবারি হয়, তবে লাল-ভাটিখানায় সে পার্সসোনা নন গ্রাটা।

    আর, রঙের বে-আগল মেশামিশিতে সমাজ ছিলো এক নম্বর মরাল পুলিশ। পাস্ত্যুরো লিখছেন, নীল আর হলুদ মিশিয়ে সবুজ তৈরির লিখিত তথ্য নেই মধ্যযুগের রঙের ওপর গ্রন্থিত যৎকিঞ্চিৎ তথ্যাবলির মধ্যে। সবুজ পাওয়া যেত সবুজ পাথর/ধাতু নিষ্কাশণ করে। মধ্যযুগের ইয়োরোপে এমনিতেই অ্যালকেমিস্টরা, ধাতু মেশানোর কারবার লুকাছুপিতে করে যেতেন, রঙ-ছোপানীরাও এমন কিছু সন্দেহের উর্দ্ধে ছিলেন না। দুই ভিন্ন বস্তুর বেনিয়ম মেশামিশির মধ্যে শয়তানের প্রচ্ছন্ন উপস্থিতি থেকে যায় , এমন একটা ভাবনা পনেরো-ষোলো শতকের ইয়োরোপের হাওয়ায় প্রায়শই ভাসত।

    যাই হোক, নীলের পারদ কিন্তু চড়তেই থাকল। নতুন রঙ-হায়ারার্কির শিরোপা নিয়ে নেয় নীল,উপরন্তু, চার্চের অনুমোদন-ছাপ্পা।

    ইয়োরোপের নীলায়ন ঘটে গেল।

  • Nina | 12.149.39.84 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ২০:০৫419537
  • আকাশে তো রামধনু ছিল--তবে কেন সাত-রঙের ব্যাবহার পুরোনো দিনের কাব্যে নেই?
  • maximin | 59.93.217.128 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ২০:২৪419538
  • চম্‌ৎ-কার।
  • pragati | 117.207.233.200 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ২০:৪২419539
  • সতেরো শতকে ভার্মিয়ের যখন ছবি আঁকছেন, তখন নীল নিয়ে আর কোন দ্বিধা নেই , দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু ভার্মিয়ের যে ভাবে এই রঙটিকে নিয়ে খেলেছেন, তা শিল্প-ঐতিহাসিকদের দিয়ে অনেক লেখা লিখিয়েছে। নীলকে তিনি যেভাবে স্বচ্ছতা আর তন্ময়তা দিয়েছেন, তেমনটি আর দেখা যায়নি অনেকদিন।
    'উয়োম্যান ইন ব্লু, রিডিং এ লেটার' ছবিতে মেয়েটির বোলেরো স্টাইলের শর্ট কোটটির রঙ নীল, কিন্তু সেখানে নীলের মধ্যে থেকে ফুটে উঠেছে হাল্কা হলুদ রঙ, গোলাপী... এই রঙেরা নীলকে দিয়েছে একটু মায়া, তন্ময়তা।

    ভার্মিয়েরের সমসাময়িক নিউটন ১৬৬০ সালে স্পেক্ট্রাম দেখিয়ে দেবার পরে দেখা গেল নীল আর সবুজ রয়েছে এর মধ্যমণি হয়ে।
    নীলের সামগ্রিক আইডিয়াইটা এইভাবেই সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো।
    আঠেরো শতকের মাঝামাঝি দেখা যাচ্ছে, এক ফরাসি রঙ-মালিকের ক্যাটালগে ২৪ রকম নীলের নমুনা, তারমধ্যে ১৬ রকম হালকা নীল।

    আঠেরো শতক থেকে ইয়োরোপে নীল শুধু ফ্যাশনের, রোমান্টিকতার, কাব্যের, বিষন্নতার রঙ নয়, জাতীয়তাবাদের ও রঙ।

    ফরাসি বিপ্লবের পতাকায় আসে 'ত্রিকোলোর' --- তিনটি রঙ, নীল, সাদা, লাল। কিন্তু নীল এর মধ্যে প্রধান রঙ , কারণ, এই রঙটি ই থাকে পতাকাদণ্ডের সঙ্গে জড়ানো। তার পরে সাদা আর লাল।
    নীল ফরাসিদের জাতীয় রঙ, তাই তাদের ফুটবল-দলের খেলোয়াড়দের জার্সির রঙ নীল। তারা হল 'লে ব্ল্য'।

    ফ্রান্সের পতাকার নীল, নতুন দেশ আমেরিকাকেও প্রায় একই রকম রঙ-চয়নে সাহায্য করে, তাদের জাতীয় পতাকার রঙ -নির্বাচনে। হয়তো আমেরিকার স্বাধীনতা-যুদ্ধে ফ্রান্স তার হাত শক্ত মুঠিতে ধরে ছিলো বলে।
    ইয়োরোপে নীল তাই ভালো রকম পোলিটিক্যাল রঙ ও বটে।

  • pragati | 117.199.15.85 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ২২:৫৮419540
  • ব্লু জিনস : নীলের আর এক প্রেক্ষাপট

    জেমস ডিন 'Rebel without a cause ফিল্মে ব্লু জিনস কে পাকাপাকি ভাবে ফ্যাশনের জগতের একটি প্রতিষ্ঠিত ধারা বসিয়ে দেন। হলিউড একবার তকমা দিলে ফ্যাশনে একধরণের স্থিরতা আসে। জিনসের ক্ষেত্রেও তা হয়েছে।
    ১৯৫৩ তে এই ছবি আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহে আসার পঞ্চাশ বছর আগেই লেভি-স্ত্রাউস ভালো ভাবেই ব্যবসায়ে দাঁড়িয়ে গেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার স্বর্ণ-সন্ধানীদের শক্ত-পোক্তো ওভার-অল বিক্রি করতে গিয়ে লেভি-স্ত্রাউস ইয়োরোপ থেকে আমদানী করতে থাকেন একধরণের মোটা ক্যানভাস কাপড়, প্রধানত ফ্রান্সের 'নিম' শহরে বানানো serge de nîm । এই ভাবে ডেনিম নামটি পরিচিত হল। পরে, একই ধরণের ক্যানভাস কাপড় লেভি-স্ত্রাউস আনাতে থাকেন ইতালির জেনোয়া থেকে। সবাই যাকে বলতো 'জেনোয়াস' জেনোয়াস থেকে জিনস হতে বেশী সময় লাগেনি।

    জেমস ডিন অল্প বয়সেই মারা যান। রেবেল ইয়ুথ আইকন। পরে, ষাটের দশক থেকে ব্লু জিনস একের পর এক আইকন দ্বারা চিহ্নিত হয়ে যায়। ছাত্র আন্দোলন... ফ্লাওয়ার পাওয়ার ... হিপি মুভমেন্ট... এবং ব্লু জিনসের মাহাত্যের প্রায় ষাট বাছরের কীর্তিগাথা সবটাই শুরু হয়েছে আমেরিকা থেকে।
    জেমস ডিনের আগে জিনস ফ্যাশনে একরকম ব্রাত্যই ছিলো। দক্ষিণের তুলো ক্ষেতের কালো মজুর, দরিদ্র খেটে -খাওয়া মানুষের নিতান্ত কাজের পোষাক।
    পঞ্চাশ- ষাটের দশক থেকে হলিউড,নানান কালচারাল কন্টেক্সটের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জুড়ে যাওয়ায় ব্লু জিনস একটি শুদ্ধ মেটাফর।

    এবং সে নীল।
    এবং সে নীল।

    আশির দশকে ক্যালভিন ক্লাইন ব্লু জিনস কে পুনর্দ্বিজত্ব দান করেন ফ্যাশনের দুনিয়ায় সাফাল্যমণ্ডিত সাইক্লোন তুলে। আশির দশকে ব্রুক শিল্ড থেকে নব্বই এর দশকে কেট মস ক্যালভিন ক্লাইনের ব্লু জিনস এর মডেল হয়েছেন অনেকেই।

    কালো থেকে কমলা , জিনসের রঙ এখন নানা রকম।

    কিন্তু, জিনস, সে থাকে নীল। নীলেই সে ভালো থাকে।

    নীল নিয়ে এখানেই শেষ।

    পরে অন্য কিছু নিয়ে লেখা যাবে।

    ভিক্টোরিয়ান কর্সেট? ডিয়র 'নিউ লূক'?

  • kk | 107.3.242.43 | ১৮ অক্টোবর ২০১১ ০৪:৩৮419541
  • প্রগতিদি, এই লেখাটা ভীষণ ভালো লাগলো। দিওর 'নিউ লুক' নিয়ে প্লিজ লিখুন। অপেক্ষা করবো।
  • Nina | 68.45.76.170 | ১৮ অক্টোবর ২০১১ ০৬:২৫419543
  • প্রগতি, এ এক অদ্ভুত সুন্দর লেখা--আগে এত ভিন্ন স্বাদের লেখা, এত সুস্বাদু , পড়িনি।
    এর পরের লেখাটির অপেক্ষায় রইলাম খুব আগ্রহ নিয়ে। যদি আবার কোনও টই তুলতে হয় বলবেন, তক্ষুণি তুলে দেব :-))
  • pragati | 117.199.3.251 | ১৮ অক্টোবর ২০১১ ১৪:২৭419544
  • নিশ্চয়ই লিখব। থ্যাংকু :)
  • dd | 124.247.203.12 | ১৮ অক্টোবর ২০১১ ১৪:৫০419545
  • তা আমার পি পাকামীর কথা সবাই জানেন ,তো সে নিয়ে আর নতুন অবতরনিকার দরকার দেখি না। আমি এই টই পড়ার পর খুব তাড়াতাড়ি একটা থিওরী খাড়া করে ফেলেছি। শুনুন।

    আমাদের দুনিয়া ছিলো মনোক্রোমাটিক। দেবীর রুপ বর্ণনায় কিরীট কেয়ুর অলংকারের কথা থাকলেও জামা কাপড়ের রং নিয়ে কথা নেই। তন্ত্রের দেবীরা কখনো রক্তাম্বরা বা কালো রংএর বস্ত্রাবৃতা - সেটা তো নেহাৎ ই সিম্বলিক।

    এমন কি নেহাৎ ই অর্বাচীন বিদ্যাসুন্দর গ্রন্থাবলীটাও উল্টে পাল্টে বিদ্যার পোষাকের কোনো রং পেলাম না। গোটা ছয়েক কবির লেখা এই রোম্যান্টিক বইটায় রং নেই।

    তারপর দেখুন - ধরুন গিয়ে লাল রঙ। রেড। সাহেবদের কতোগুলি শেডের নাম আছে- যথা কার্মাইন,স্কারলেট,মেরুন,ক্রিমসন,.... বাংলায় শুধু ই লাল। বস্তুবাচক রং গুলো বাদ দিচ্ছি যেমতি টম্যাটো রেড,চেরী রেড,গোলাপী,সিঁদুরে,ভার্মিলিয়ন।

    অর্থাৎ আমরা জেনেটিক্যালি আর ট্র্যাডিশনালী ঐ রকমই। রং নিয়ে আমরা নিতান্ত আলাভোলা। এখন আর কি করা যাবে ?

  • maximin | 59.93.162.120 | ১৮ অক্টোবর ২০১১ ১৬:১৭419546
  • লেখাটা খুবই সুন্দর লেগেছে। অনেক কিছু জানলাম। আর পুরোটাই ইন্টারেস্টিং। পাঠকের মনোযোগকে ধরে রাখে।
  • i | 124.149.40.107 | ১৮ অক্টোবর ২০১১ ১৬:২৯419547
  • প্রগতিই পারেন এমনটি লিখতে। অসম্ভব ভালো লেগেছে।
  • maximin | 59.93.162.120 | ১৮ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৪১419548
  • একটা জিনিস বুঝছি না। পোষাকের রং ধরলে আমাদের দেশে নীল রং কম পাওয়া যাচ্ছে। অথচ সাহিত্যে যে প্রকৃতিবর্ণনা সেখানে নীল রঙের বিভিন্ন শেড ছিল, যা আমাদের কল্পনায় ধরা দেয়।
  • maximin | 59.93.162.120 | ১৮ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৫৬419549
  • কারণটা কি এই নয় যে সাহেবরা এসে নীল চাষ শুরু করার আগে অবধি কাপড় ছোপানোর নীল রঙ আমাদের দেশে তৈরি হত না?
  • dri | 117.194.233.22 | ৩১ অক্টোবর ২০১১ ২৩:০৬419550
  • দেখে এলাম Ming এবং Qing ডায়নাস্টির চীনে তৈরী পোর্সেলিন পটে নীলের ব্যবহার। দু রকম নীল, একটা কোবাল্ট ব্লু, আরেকটা ল্যাজারাইট ব্লু। প্রথমটা কোবাল্ট অক্সাইড আর অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের সংমিশ্রণে। দ্বিতীয়টা লাপিজ লাজুলি। দুটো দু রকম।
  • Nina | 12.149.39.84 | ৩১ অক্টোবর ২০১১ ২৩:০৯419551
  • প্রগতি
    ভিক্টোরিয়ান কর্সেট না ডিয়র নিউ লুক---অধীর আগ্রহে বসে আছি তো--কোনটা আগে শুরু করবেন?
    নতুন টই না পুরোনো কোনও টই----বসে আছি পথ চেয়ে:-))
  • dri | 117.194.233.22 | ৩১ অক্টোবর ২০১১ ২৩:১৯419552
  • প্রাচীন ভারতে পোষাকের রং এর ব্যাপারে মেগাস্থেনিসের বর্ণনা :

    The dress worn by the Indians is made of cotton produced on trees. But this cotton is either of a brighter white colour than any found anywhere else, or the darkness of Indian complexion makes their apparel look so much whiter. They wear an undergarment of cotton which reaches below the knee halfway down to the ankles and an upper garment which they throw partly over their shoulders and partly twist in folds round their head. ...

    (সোর্স: রোমিলা থাপারের এনশিয়েন্ট ইন্ডিয়া)

    রঙীন পোষাকের কোন উল্লেখ নেই। তবে কি কোন ডাই ইউজ করত না ভারতীয়রা?

    আরেকটা একটু অপ্রাসঙ্গিক কথা। দেখা যাচ্ছে সেই আমলেও ভারতীয়রা কেলেকুষ্ঠিই ছিল। তবে ফ্যাটফ্যাটে ফর্সা আর্য্যরা কবে এসেছিল?
  • chondal | 116.218.191.83 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৪:৫৮419554
  • কৈ কৈ আর কৈ?
  • Blank | 69.93.194.142 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৮:৪১419555
  • আমার পোস্ট খানি কি হারিয়ে গেলো !!!
    অজন্তার ছবিগুলোতে লোকজন কিন্তু বেশ রঙীন জামা কপড় পরা অবস্থায় দেখা যায়। বুদ্ধ বেশীর ভাগ জায়গায় লাল বা কমলা কপড় পরা, নর্তকী/অপ্সরাদের কাপড়ে নীল আর সবুজের অনেজ শেড। হলুদ বা ক্রীমের শেড আছে অনেক মানুষের জামা কাপড়ে।
  • Blank | 69.93.194.142 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৯:০৩419556
  • আর ভারত থেকে কাপড় বিদেশে রপ্তানী হতো। প্লিনীর বইতে আছে ভারতীয় কার্পাস বস্ত্র নাকি খুব হাই কোয়ালিটির। তো এই কাপড় কি শুধুই সাদা ছিল !!! ইউরোপে নিয়ে গিয়ে রঙ করানো হতো !!!
  • kd | 69.93.200.54 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:০৬419557
  • সেকি? তাহ'লে তখন বামুনরা পৈতেতে গেরুয়া পরতো না? সাধু-টাধু, মুনিঋষিরা?
    প্লাস, সধবা বিধবা বুঝতো কি করে?
    ঃ)
  • ডিডি | 132.167.17.250 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:২৫419558
  • যেটা বলতে চাইছিলাম, এই টই খোলার পর থেকে তিন চারটে যায়্গায় রঙ নিয়ে কয়েকটা তথ্য পেয়েছিলাম ইন্ক্লুডিং অথর্ব্ব বেদে ব্রাত্যদের ড্রেস ফ্রেস নিয়ে।

    সেটা লিখবার কথা ভাবলেই চিন্তা করতে হতো টইটাকে খুঁজে পাবো কি করে। এই নেট স্যাভী চরাচরে আমি এক প্রান্তবাসী ০.০০০১%। এখন ঠাকুরের কৃপায় এই টই ডুবে না গেলে আর কোনো আধ্যাত্ম টেকনলজিক-সেন্টিমেন্টাল বিপর্যয় না ঘটলে কাইলে সকালে লিখুম গিয়া।

    অখন ঘুমান গিয়া।
  • Blank | 69.93.194.142 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৩৩419559
  • ডুবতে দেবো না
  • ডিডি | 132.167.15.17 | ০১ অক্টোবর ২০১২ ১০:০৭419560
  • "ইন্ডিয়ান ইয়েলো" আমাদের ফ্রেস্কো টেস্কোতে ইউজ হতো। খুব উজ্জ্বল একটা ট্র্যানসপারেন্ট রং।

    গরুদের জন্ম থেকে আম আর আম গাছের পাতা খাওয়ানো হতো। আর কিছু না। গরুগুলো বাঁচত ও না বেশীদিন। কিন্তু সেই গরুর চোনাকেই শুকিয়ে এই পিগমেন্ট তৈরী হতো।

    আরেকটা ইন্টেরেস্টিং পিগমেন্ট হচ্ছে রয়াল পার্পল। বা টাইরিয়ান পার্পল। তখনকার দিনের (২য় সেঞ্চুরী বিসি - তারো আগে)। এক ধরনের সামুদ্রিক শামুক তাদের ডিমের উপর একটা ,কি বোলবো, লালা গোছের কিছু (secretion) লাগাতো। সেটিকে শুকিয়ে এই পিগমেন্ট তৈরী হতো। শামুক গুলোকে টোকা মারলেও তারা অল্প করে ঐ দেহজ আঠা বার করতো। তো ওরকম করে শামুক গুলোকে দুইয়ে বিন্দু বিন্দু করে ঐ রং তৈরী করে বিককিরি হতো।

    অ্যাক্চুয়ালি ফিনিশিয়ানরা আরো রং তৈরীতে উস্তাদ ছিলেন। লিখছি।
  • ডিডি | 132.167.15.17 | ০১ অক্টোবর ২০১২ ১০:১৭419561
  • আর মায়ারা একটা নীল রং ব্য়্বহার করতেন সেটাও জগদ্বিখ্যাত ছিলো। খুব উজ্জ্বল আর চট করে ফেড করতো না।

    স্থানীয় কাদা মাটী আর কিছু গাছের পাতা মিশিয়ে এই পিগমেন্ট তৈরী হতো।

    মায়া আর আজটেকরা কোচিনীল পোকার থেকে এক্স্ট্রাক্ট করে আর অন্যান্য সল্ট মিশিয়ে তৈরী করতো কারমাইন লাল রং। সেটা ১৭-১৮ এ ডি পর্যন্ত্য খুব চলতো।

    ব্রাত্যদের পোষাকে সাসা,কালো, আর লাল রংএর ইউজ ছিলো। কটন ছাড়াও রং করা ভেড়ার লোমের পোষাক ছিলো। সেটার রেফারেন্স দিয়ে পরে লিখছি।
  • | 24.99.22.78 | ০১ অক্টোবর ২০১২ ১০:২৪419562
  • আপনে একখান লোক বটে সত্যি!!!
    কিন্তু কোচিনিল পোকা টা কী বস্তু? মানে কী পোকা সেটা?
  • pi | 127.194.0.38 | ০১ অক্টোবর ২০১২ ১০:২৬419563
  • কোচিনীল পোকা কী ?
  • pi | 127.194.0.38 | ০১ অক্টোবর ২০১২ ১০:২৭419565
  • ওহ, দমদির পোস্টটা দেখিনি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন