এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • মান্না দে : কাল ,আজ চিরদিনের........

    Bratin
    গান | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ | ১৩৩২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 203.110.243.21 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:১৫423253
  • .....আমি-তুমি ছাড়াই ""গ্যাদগ্যাদে"" (?) যুগের গান:

    ১। মুক্তির মন্দির সোপান তলে।
    ২। উঙ্কÄল একঝাঁক পায়রা
    ৩। কোন এক গাঁয়ের বধুর
    ৪। ঐ যে আকাশের গায় দুরের বলাকা
    ৫। রিক্সাওয়ালা (চন্দ্রবিন্দুর নয়, গায়ক দিলীপ সরকার)
    ৬। জনম মরণ পা ফেলা আর

    বাংলা গানের অলোচনাতে অখিলবন্ধু ঘোষের নাম উঠে এলনা এখনো?
  • MR | 72.190.83.142 | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৩:১৮423254
  • আজ্‌কাল কার গায়কদের গান শুনে শ্রোতাদের কি হয় গায়কেরা ঠিকই বুঝতে পারে, তাই তারা কিছুক্ষণ বাদে গেয়ে ওঠে "তোদের ঘুম পেয়েছে বাড়ি যা।" :)
  • PT | 203.110.243.21 | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:৩৮423255
  • নচিকেতার ""বৃদ্ধাশ্রমের'' শেষ প্যারাগ্রাফটা কেমন অস্বাভাবিক লাগে। বাঙালী মায়েদের এইরকম প্রতিশোধ স্পৃহা থাকে নাকি?
  • Samik | 122.162.75.194 | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:৫৩423256
  • গোটা গানটাই গ্যাদগ্যাদে। কিন্তু মান্না দে-র সুতোয় নচি ক্যানে?
  • . | 125.18.104.1 | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:৫৭423257
  • ন্যাড়াস্যার খাপে খাপ লিখেছেন, যথারীতি। মান্না দে গলার তালিম আর এক্সপ্রেশনের নিরিখে রাজা লোক। কি সাংঘাতিক তালিমী গলা হলে এই বয়সেও পাবলিক ফাংশনে এতক্ষণ গান গাওয়া যায়! এক্সপ্রেশনে আমি মান্না দে-কে কিশোরের থেকে এক কাঠি উপরেই রাখব। কারণ, কিশোরের অভিনয়ক্ষমতার জন্য একটা স্বাভাবিক সুবিধা ছিল। প্লে-ব্যাক গানে এত সাবলীলভাবে এত বিচিত্র ভাবের গান খুব কম গায়কই গেয়েছেন। "এক চতুর নর", "পুছো না ক্যায়সে", "আমি যামিনী তুমি শশী হে" এবং "এই দুনিয়ায় ভাই সবই হয়"- এক গলায় ধারণ করা একটা তুখোড় ম্যাজিকের মত। মান্না দে তবুও বাংলা গানে হেমন্ত বা হিন্দি গানে কিশোরের থেকে এক চুল নীচে রইলেন তার কারণ মনে হয় সেই ব্যাখ্যাতীত এক্স-ফ্যাক্টর। যে ফ্যাক্টর অভিনেতাকে নায়কের থেকে আলাদা করে দেয়। মান্না দে তাই গানের নায়ক হতে পারলেন না। সেটা নিয়ে উনি নিজেও ওয়াকিবহাল। নিজেই বলেছেন যে হেমন্ত বা কিশোরের মত প্রায় অপার্থিব নায়কত্ব তাঁর ছিল না। অতএব নিজেকে ঘষে মেজে তৈরি করেছেন। এবং সে তৈরির কোনো জবাব নেই।

  • PT | 203.110.243.21 | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:৫৮423258
  • লতা, চন্দ্রবিন্দু কেউ বাদ নেই। সুমন, নচিও আলোচিত আমার আগেই.....
  • Manish | 117.241.228.171 | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:০৩423259
  • ছায়া দেবীর lipএ এই গানটা কোন রাগের উপর সুরারোপিত: (টপ্পা কি?)
    ছল করে জল আনতে আমি যমুনাতে যাই
  • PT | 203.110.243.21 | ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৫০423260
  • রাগ বলতে পারব না তবে পুরনো ""খ্যামটা"" জাতের গান।
  • Bratin | 117.194.99.144 | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:৪৫423261
  • ন্যাড়া দা এই পয়েন্ট টা একদম ঠিক লিখেছে। গানের মধ্যে নাটক। মান্না দে র একটা সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম উনি এক জায়গাতে উনি বলেছেন ' আমি যখন বাংলা সিনেমায় এলাম তখন হেমন্ত সু-প্রতিষ্ঠিত। আর ওনার এমন ভরাট গলা। যে গান গাইলে মনে হয় হল টা ভরে গেল। আমার এমন গলা নিয়ে ওনার সঙ্গে পারবো না। তাই গানের মধ্যে নানা রকম রাগ মিশিয়ে দিতেশুরু করলাম ( মানে রাগ প্রধান গান যা শুনলেই রাগ হবে )। মনে করুন ১। তুম না তুম না বাজে গো বীনা বা ২। যখন কেউ আমাকে পাগল বলে ইত্যাদি ইত্যাদি

    ন্যাড়া দা তীর্থ দা বা অন্য যে কেউ এই পয়েন্ট লেখো না। আমি এত রাগের নাম জানি না বা আলাদা করে তার বৈশিষ্ট্য জানি না
  • Shibanshu | 219.64.67.88 | ১০ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৫৬423263
  • ছায়া দেবীর লিপ-এ শুধু নয়, গানটি ছায়া দেবী নিজেই গেয়েছিলেন। সঙ্গীত পরিচালনা যদিও সরকারিভাবে তপন সিংহ, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে অলোক নাথ দে-ই কাজটি করতেন। রাগ ভৈরবি এবং অবশ্যই খেমটা। তুলনীয় অদ্বিতীয়া ছবিতে মান্না দের 'এই মাল নিয়ে চিরকাল যতো গোলমাল' সুর হেমন্তের। মান্না দে বাংলা গানের একটা পর্যায়। এ ব্যাপারে তাঁর ভূমিকা বিচার গবেষকের নিষ্ঠা দাবি করে, উড়ো মন্তব্য দিয়ে নিজস্ব সঙ্গীতবোধকেই খাটো করা হয়।
  • A | 24.34.250.7 | ১১ জানুয়ারি ২০১০ ০০:২৬423264
  • হুমম, ছায়া দেবী, পাহাড়ী সান্যাল, এঁদের গানের উপর খুব ভালো দখল ছিল।
    মান্না দে-র গানের কথা হতে হতে হঠাৎ সুমন, নচি বা চন্দ্রবিন্দু আসে কেন!!
  • kamal | 59.97.129.159 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:০৫423265
  • আমার জন্ত্রোনা আমি বুঝি না। আমার জীবন

  • ffff | 59.97.129.159 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:০৯423266
  • বাঙ্গালির প্রানে জতটুকু ব্যথা
  • ffff | 59.97.129.159 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:১০423267
  • আমর সকল রসের ধারা
  • Samik | 219.64.11.35 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:৩৬423268
  • ল্লে প্প:
  • SR | 115.64.196.170 | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ১৮:৪২423269
  • PT কে বলছি, দিলীপ সরকারের গাওয়া "রিকশাওয়ালা" গানটা সম্পর্কে আরো কিছু বলুন প্লিজ! কোন সময়ের গান এটা, কোথায় বা কোন ছবিতে গাওয়া?
  • PM | 223.223.137.225 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ০০:০৬423270
  • সুমনের একটা বই আছে আজকাল থেকে বেড়িয়েছিল। "বাংলা গান কোন দিকে গেলো" type-এর একটা নাম বইটার। সেখানে রিক্সাওয়ালা গানটা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা করেছেন উনি। বাংলা গীতিকার-রা খেটে খাওয়া মানুষ আর তাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে কতোটা বিচ্ছিন্ন সেটা প্রমান করতে গিয়ে সুমন এই গানটির উদাহরনসহ অলোচনা করেছিলেন। গানটা আমি শুনিনি তাই মন্তব্য নেই। তথ্যের জন্য জানালাম।
  • kallol | 115.241.83.128 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ০৮:০৪423271
  • মান্না দের গাওয়া একটা গান নিয়ে কেউ বল্লে না যেটা আমি-তুমি-ছাঁদ-ফুল-লতা-পাতার বাইরে -
    চার দেওয়ালের মধ্যে নানান দৃশ্যকে / সাজিয়ে নিয়ে দেখি বাহির বিশ্বকে
    গীতিকার কে? বলতে পারলে বিরিয়ানী। ন্যাড়া আর শিবাংশু বাদ।
    এই গানটা আমার মনে হয় বাংলা গানের লিরিকে একটা বিস্ময়। মহীন-সুমনের অনেক আগে এরকম একটা গান, ভাবা যায় না। লিখেছিলেন আর এক কিংবদন্তী সুরকার। কে?
  • prateek | 122.179.48.15 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ০৮:১৩423272
  • ক্লু আছে,সুধীন----??
  • kallol | 115.241.83.128 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ০৮:৪৭423274
  • প্রতীককে বিরিয়ানী।
  • nyara | 122.167.170.118 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ১১:০৭423275
  • যদ্দুর মনে পড়ছে শঙ্খ ঘোষ কোন একটা লেখায় 'চার দেয়ালের মধ্যে নানান দৃশ্য'-র প্রশংসা করেছিলেন কথার জন্যে।

    কল্লোলদা-ই কি বেনামে শঙ্খ ঘোষ?
  • Bratin | 117.194.101.173 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ১১:১৯423276
  • ও কল্লোল দা। আমি এই ঘুম থেকে উঠলুম ( ৯:৫০ এ)। তাবলে কি বিরিয়ানী ফস্কে যাবে নাকি? সুধীন দাসগুপ্ত তো!! :-((
  • Bratin | 117.194.101.173 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ১১:৪৮423277
  • আমাদের 'আংগ্রী ইউংম্যান' রাজদীপ আবার দোকান বদলালো। এই খবর বিশেষ করে দিল্লীর জনগনের জন্যে। যারা ও র ঘাড় ভাঙতে পারবে।
  • kallol | 115.242.227.16 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ১২:০৭423278
  • ও বাবা উনিতো স্বয়ংখোদা। আমি বাপু ফ্যাৎরা মানুষ। এটা প্রথম দেখায় মনিদা। আড্ডা হচ্ছিলো গানের কথা নিয়ে। সে প্রায় ৭৭ সাল। আমাদের তখন লাল নিশান, হুঁশিয়ার, কমরেড, হাতিয়ার, লড়াই ছাড়া যে কোন গানই বুর্জুয়া। ফলে তুমুল তক্কো হচ্ছিলো। একদিকে পুরোনো আইপিটিএ আর আমাদের হালের গণসঙ্গীত (হেমাঙ্গদা, প্রতুলদা, বিনয়দা, মেঘনাদদা, দিলীপবাবু ইত্যাদি), অন্যদিকে মনিদাদের হায় ভালোবাসি, ফিরে আসবো, অউব, চৈত্রের কাফন, তখন সদ্য তৈরী হওয়া কথা দিয়া বন্ধু ফির‌্যা না আইলা.............। মনিদা সে সময় কথায় কথায় কয়েকটা গানের কথা বলে। মূল ধারার গান, কিন্তু অন্য রকম। একটা তো ঐ চার দেওয়ালের। তারপর, আজ নয় গুনগুন গুঞ্জন প্রেমের, বৌ কথা কও বলে পাখী আর ডাকিস না, এমনি চিরদিন তো কভু যায় না, এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার, টক্কা টরে খবর এসেছে, যেখানে যাও লাইন লাগাও..... আরও কতোগুলো ছিলো, এখন আর মনে নেই।
  • kallol | 115.242.227.16 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ১২:০৮423279
  • অতক্ষণ ঘুমুলে চলবে!!
  • kumu | 122.160.159.184 | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ১২:৩৩423280
  • সুধীন দাশগুপ্ত।আমি এইমাত্র টই দেখলাম,তাই আমিও বিরিয়ানী--

    চার দেয়ালের মধ্যে নানান দৃশ্যকে/সাজিয়ে নিয়ে দেখি বাহির বিশ্বকে,
  • শিবাংশু | 127.201.166.234 | ০১ মে ২০১৩ ১২:৪৬423281
  • আজ তাঁর জন্মদিন। হ্যাঁ, সুরের এক দেবতা আজ চুরানব্বই বছর পেরিয়ে এলেন।
    কোনও চর্চা-বিশ্লেষণ করবো না, আজ শুধু স্মরণটুকুই লিখে রাখি।

    মান্না দের গান অনেকের মতই, ব্যক্তি আমার সঙ্গীতচিন্তার অনেকটা জায়গা অধিকার করে রাখে। ওঁর গাওয়া বাংলা ও হিন্দি গান, যা বাজারে পাওয়া যায়, প্রায় সবই আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে। এছাড়া রয়েছে ওঁর কয়েকটি অনুষ্ঠান, আমার নিজস্ব টেপ করা সংগ্রহ।

    কখনো সময় সুযোগ পেলে শুধু ওঁর গান নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে রইলো। আসলে অনেক কিছুই লেখার আছে, তাই সেই সব গান নিয়ে কোনও প্রস্তুতিহীন আলোচনায় যাবার ধৃষ্টতা করতে পারিনা। অজয় চক্রবর্তী একবার একটি আড্ডায় বলেছিলেন, তাঁর একটি অনুষ্ঠানে মান্না দে গান শুনতে এসেছিলেন। শেষ হবার পর তিনি অজয়বাবুর কাছে এসে বলেন, ' এ জন্মে তো গানটা শেখা হলোনা , পরের জন্মে আপনার মতো কারুর কাছে বসে গানটা একটু শিখতে হবে।' তখন অজয়বাবু তাঁর পা ছুঁয়ে বলেন, আজকের অজয় চক্রবর্তী গান শুরু করেছিলো মান্না দে'র অনুকরণ করতে করতেই। শ্যামনগর থেকে কলকাতা, তাঁর প্রাথমিক পরিচয় তৈরি হয়েছিলো, 'ঐ যে ছেলেটা, ভালো মান্না দে'র গান গায়' এই ভাবেই। সারা ভারতবর্ষে কতো লক্ষ গাইয়ে যে মান্নাদা'কে বিগ্রহ বানিয়ে সঙ্গীতচর্চা শুরু করেছেন বা সারা জীবন ধরে তাঁর প্রতি সেই একই মাত্রার শ্রদ্ধা নিয়ে মজে রয়েছেন, তার বোধ হয় কোনও ইয়ত্তা নেই। জগজিৎ সিং, সুরেশ ওয়াডকর, যীশুদাস, উস্তাদ আমজাদ আলি খান, কীভাবে মান্নাদা'র গুণমুগ্ধ, তার কিছু পরিচয় ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি।

    তাঁকে নিয়ে কিছু ব্যক্তিগত অনুষঙ্গ, তাঁর আরো সহস্র সহস্র মোহিত শ্রোতার মতো হয়তো আমারও কিছু রয়েছে। ছোটোবেলা থেকেই অনেকের মতো ওঁর গান নকল করার চেষ্টা করেছি। সে তো শিব গড়িতে বাঁদরই হতো। কিন্তু বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে একটা উৎসাহব্যঞ্জক পরিহাস কাজ করতো। এভাবেই একটা একটা প্র্যাক্টিক্যাল জোক বাজারে ছড়িয়ে পড়ে, মান্না দে, শিবাংশু দের সম্পর্কে জ্যাঠা। যে সব বন্ধু লেগ পুল করতে এই সব রটনা করেছিলো তারা আবিষ্কার করে গুজবটি বেশ গভীরে চলে গেছে। কলেজে পড়তে অবাঙালি বন্ধুরা একেবারে কনভিনস্ড ছিলো যে ব্যাপারটি সত্যি। এর ফলে যেকোনও অবকাশেই, যেখানে আমি উপস্থিত আছি, 'কানু ছাড়া গীত নাই' গোছের একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়।

    'ভার্সাটাই'ল বলতে যে শব্দটি তৈরি হয়েছিলো, মান্না দে যেন তার আদর্শ ধারক । আমাদের দেশের সাধারন শ্রোতারা , অন্যান্য দেশের শ্রোতাদের মতই 'ন্যাচরাল' গায়কদের অধিক পক্ষপাতী। হেমন্ত, কিশোর, মুকেশ । কিন্তু এমন সফিস্টিকেটেড সাঙ্গীতিক ক্ষমতা আর তৈয়ারি নিয়ে সাধারন শ্রোতাকে বেঁধে রাখার ক্ষমতা এদেশে মান্না ছাড়া আর কেউ দেখাতে পারেননি।

    এখনও তাঁর নাম মানুষের মনে কী ধরনের উন্মাদনা আনে তা আমি দেখেছি। হায়দরাবাদেও যেকোনও অনুষ্ঠানে আমার কাছে শুধু মান্না দের গান শোনানোর আদেশ আসতো। সে ফর্ম্যাল বা ইনফর্ম্যাল , সব রকম পরিস্থিতিতেই। গত বেশ কিছুদিন ধরে নববর্ষ, বিজয়া সম্মেলনী জাতীয় যেসব অনুষ্ঠানে গাইতে হয়েছে, সব জায়গাতেই শ্রোতারা সমস্বরে মান্না দের চল্লিশ পঞ্চাশ বছর আগে গাওয়া গান শুনতে চেয়েছেন। কোনও কটাক্ষ না করে বলি, আজকের বাংলা গানে এমন কি কোনও পারফর্মার আছেন যাঁর গান দশ বছর পরেও কেউ শুনতে চাইবে?

    শেষ যে অভিজ্ঞতাটি হয়েছিলো হায়দরাবাদের বৃহত্তম বাঙালি প্রতিষ্ঠান , বঙ্গীয় সংস্কৃতি সঙ্ঘের বিজয়া সম্মেলনিতে। খুব ব্যস্ত ছিলুম অফিসে সেদিন। বাড়ি না ফিরেই অফিস থেকে সোজা পৌঁছেছিলুম সেখানে। কিন্তু পৌঁছোতেই সব্বাই মান্না দে শোনানোর জন্য যে রকম আদেশ করতে থাকলেন, আমি নেহাৎ অপ্রস্তুত। ওঁর গান গাওয়ার আগে একটা ন্যূনতম প্রস্তুতি লাগে। এভাবে হয়না। একটু বিরক্তই লাগছিলো। কিন্তু হঠাৎ মনে হলো এঁরা তো আমাকে শুনতে চাইছেন না, এঁরা 'মান্না দে'র গান শুনতে চাইছেন। নববর্ষে, বিজয়া সম্মেলনীতে বাঙালিরা মান্না দে শুনবেন না তো কীই বা শুনবেন? খোদ পশ্চিমবঙ্গের হালহকিকৎ জানিনা, তবে প্রবাসের বাঙালিরা তো এখনও মান্না দে'র নামেই কসম খেয়ে থাকেন।

    বিজাতীয় কামিজ পাৎলুনে, অফিসের পোষাকে স্টেজে। আমার একান্ত সঙ্গী 'পাকড়াশি বাবু কা পেটি ' সঙ্গে নেই। তবে গুরুকে স্মরণ করে প্রথম কলেজ জীবনের গানটি, 'ও কেন এতো সুন্দরী হলো'। কী গাইলুম আমি নিজেই ভালো জানি, কিন্তু শ্রোতারা রীতিমতো হর্ষিত। তার পর একজন প্রবীণ শ্রোতা এসে আদেশ করলেন, আমি যেন 'আমার না যদি থাকে সুর' শোনাই তাঁকে একবার। এই গানটির সঙ্গে একটু সজল অনুষঙ্গ রয়েছে আমার। আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর মা যখনই দেখা হতো, এই গানটি আমার থেকে শুনতে চাইতেন। সম্প্রতি দেহাবসান তাঁর। এই গানটি তাঁর স্মৃতির সঙ্গে ওতোপ্রোত হয়ে আছে। গানটি খুব সহজ নয়। মন্দ্র থেকে তারায় সুরের প্রচুর যাতায়াত। কিন্তু তবে চেষ্টা করলুম।

    এই অভিজ্ঞতা আবার আমাকে শেখালো, মানুষ শুনতে চাইছেন মান্না দের গান, আমার ভূমিকা শুধু তাঁদের স্মৃতিটিকে ট্রিগ্যার করা। আমার মূল্যহীন গান তাঁদের নিয়ে যাচ্ছে মান্না দে নামের একটা সুরের সমুদ্রের কাছে, এই টুকুই সন্তুষ্টি আমার।

    বড্ডো বেশি ' আমি' প্রসঙ্গ এসে গেলো। বন্ধুরা মার্জনা করবেন।

    যদি কোনও 'সর্বশক্তিমান' কোথাও থেকে থাকেন, তিনি আমাদের প্রিয় শিল্পীকে যেন আরো দীর্ঘ সুস্থ শরীরের শূশ্রূষা এনে দেন, আজ আমাদের এই কামনা।
  • | 190.215.111.211 | ০১ মে ২০১৩ ১৩:২৩423282
  • জ্জিও শিবাংশু দা। আজকে ওনার জন্ম দিন ভুলে গিয়েছিলাম । ইয়েস ৯৪। ৯১ তম জন্মদিনে আজকের দিনে ওনার অনুষ্ঠান শুনেছিলাম মহাজাতি সদনে।

    কে বলবে একটা ৯১ বছরের লোক। কী অসীম প্রানশক্তি। আর কী সজীব মন। সেই গোঁফের ফাঁকে স্মিত হাসি।

    আমরা এক হল ভর্তি দর্শক জাস্ট মন্ত্রমুগ্ধ। তবে গান বাছছিলেন একটু হিসেব করে। "তুম না তুম না" নেই কিন্তু" শাওন রাতে যদি আছে"।
    "বেহাগ যদি না হয় রাজি " নেই কিন্তু "হয়তো তো তোমার ই জন্যে " আছে।

    (খেয়ে এসে বাকি টা লিখছি!!)
  • | 190.215.111.211 | ০১ মে ২০১৩ ১৩:২৫423283
  • শিবাংশু দা আরেক বার আড্ডা দিতেই হবে। বল্লে বিশ্বাস করবে না আমি ও মান্না দের ও গান গাইবার চেষ্টা করে থাকি।

    খালি ভাবি একটা লোকের জীবনে "তেমন" বিরহ না থেকে কী এই সব গান গাওয়া যায়!! কী করে সম্ভব?
  • lcm | 34.4.162.218 | ০১ মে ২০১৩ ১৩:৫৩423285
  • শিবাংশু তো যথারীতি ---
    অন্ধকারের অন্তরেতে অশ্রুবাদল ঝরে
    (ওরিজিন্যালি ওনার কাকার)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন