এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মার্ক্সিজম রাষ্ট্র বাজার ও কিছু ক্লিশে

    aka
    অন্যান্য | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ | ৪১৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 24.42.203.194 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৭:৪৪435641
  • আগের যা কিছু ক্লিশে

    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1262698173019

    বাকি রইল মার্ক্সিজম ফর ডামিজ। আমি একজন ডামি। আমার মতন আরও অনেকে আছেন। আমি আমার ও তাদের প্রতিনিধি হয়ে এই টই খুললাম। আমি জানতে চাই

    ১। ওয়ার্কিং ফোর্স কাকে বলে? মার্ক্স কাকে ওয়ার্কিং ফোর্স বলেছেন এবং কালের ক্রমে সেই ওয়ার্কিং ফোর্সের চরিত্র কিভাবে বদলেছে?

    ২। সোসালিস্ট পৃথিবীতে শ্রমের ও উদ্বৃত্ত মূল্য শ্রমিক (লেবার) দের মধ্যে কিভাবে বন্টিত হবে? মার্ক্স কি বলেছেন এবং আজ এতদিন বাদেও সেই কথা কতটা ঠিক?

    ৩। ফ্রি স্টেট কথাটির অর্থ কি? আজকের দুনিয়ায় তার প্রাসঙ্গিকতা কতটা?

    ৪। কিভাবে সমাজের চালিকাশক্তি ক্যাপিটাল থেকে লেবার হয়ে যাবে?

    ৫। ধরা যাক সমাজের চালিকাশক্তি লেবার থেকে ক্যাপিটাল হয়ে গেছে এই অবস্থায় এই রাস্তা তৈরি, হাসপাতাল তৈরি, স্কুল তৈরি ইত্যাদির সিদ্ধান্ত নেবে কারা, কিভাবে?

    ৬। এই বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কোন কোন অর্থনীতিবীদ কাজ করেছেন? মানের ক্রমানুসারে দিন।

    ৭। সর্বদাই শুনে থাকি ধনতন্ত্র = সাম্রাজ্যবাদ।

    ক) ওদিকে এও শুনেছি আলটিমেট ফ্রি স্টেট নাকি সারা পৃথিবী জুড়ে। আমার কেমন মনে হচ্ছে দুটো একদম এক। একটা সমাজের ১০ শতাংশ লোকের জন্য অন্যটা ৯০ শতাংশ লোকের জন্য। একটু বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ।

    খ) এও দেখেছি সোভিয়েতে যখন লাল পতাকা ফতফত করে উড়েছে তখনই কোল্ড ওয়ার হয়েছে। আফগানিস্তানের দীর্ঘ যুদ্ধের ইতিহাসে সোশালিস্ট সোভিয়েতের ভূমিকা কিছু কম নয়। আবার অস্ত্র বিক্রিতেও কিছু কম নয়। সাম্রাজ্যবাদ যদি শুধু ধনতন্ত্রেরই দান হয় রাশিয়ার এই ভূমিকাটি একটূ ব্যাখ্যা করবেন।

    ৮। শুনেছি ধনতন্ত্রে নাকি অলট্রুইস্ট বলে কিছু হয় না। আমায় আর একজন বললে ভুল শুনেছি আসলে পৃথিবীর সর্বত্রই অলট্রুইস্ট হয় যেমন নাকি মার্টিন লুথার কিং। আসলে নাকি উল্টো। ধনতন্ত্র সবাই অলট্রুইস্ট হবে এই অ্যাজাম্পশনটা করে না। শুনেছি সমাজতন্ত্রে নাকি ব্যপারটা একদম উল্টো। একটু বলবেন।

    এই হচ্ছে 'ডামি' আমার প্রশ্নাবলী। আরও প্রশ্ন আসবে, করতে থাকব।

    অক্ষদা বললে ভেবে দেখলাম সাধু প্রস্তাব তাই খুললাম, যদি উত্তর দেন খুব ভালো লাগবে। অক্ষদা, ভেব না বাম, অতিবাম, মধ্য বাম এবং টার্মিনোলজি বামেদের কটাক্ষ করার জন্য এই টই খুলেছি। সত্যই জানতে চাই।

    শুধু তিনটি অনুরোধ আছে রাখলে বাধিত হব।

    ১। শুধুই লিংক দিয়েন না। কিছু বক্তব্য রাখুন।

    ২। মার্ক্সিজম ফর ডামিজ লিখতে গিয়ে ক্যাপিটালিজমের ক্রিটিসিজম নামাবেন না, মার্ক্স সম্বন্ধে বিশেষ কিছু না জেনেও বলছি ওনার পরে আমাদের কাউকেই ওটা খুব বেশি মানায় না।

    ৩। এই টই পড়েই একটা বুকলিস্ট নামিয়ে দিয়েন না। অন্ধ মনে করে আলোদান করুনই না সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

  • pinaki | 131.151.102.250 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৩১435665
  • ওয়ার্কিং ফোর্সটা আবার কি? মার্ক্সের এরকম কোনও কয়েনেজ আছে নাকি? অবশ্য বেশিরভাগ বাংলায় পড়েছি, সিওর নই। তুমি কি মীন করছ বলো তো?
  • aka | 24.42.203.194 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৩৫435676
  • লেবার লেবার।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৪১435687
  • মানে ওয়ার্কিং ক্লাস বোঝাতে চাইছো তো? এরকম ভুলভাল লিখলে মার্ক্সিস্টরা গোল্লা দেবে। লেবার বলতে অন্য জিনিস বোঝায়। লেবার এবং লেবার পাওয়ারের তফাৎ নিয়ে মার্ক্সবাদে গুচ্ছ চর্চা আছে। তার চেয়েও বেশী আছে অ্যাবস্ট্রাক্ট লেবার নিয়ে। আচ্ছা আচ্ছা মার্ক্সবাদীরাও সেসব বোঝে না। আম্মো বুঝি না। কিন্তু টার্মগুলো জানি। (কালো চশমাওলা স্মাইলি)। কাজেই টার্মিনোলজিতে ভুল করলে ঘ্যাঁক করে ধরব।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৪৩435698
  • সেইজন্যই তো ওয়ার্কিং ফোর্স বলেছি। আমি লেবারই মিন করেছি। ক্লাস বলি নি, কি মুশকিল।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৪৮435709
  • আচ্ছা খোলসা করে কই। মর্ডান টাইমসের চার্লি চাপলিন আর এই ধরো আমি যে রোজ গুরুতে ঝগড়া করার জন্য মাইনে পাই দুজনে কি এক হলাম। একটায় কায়িক শ্রম প্রচূর লাগে। আর একটাতে ঢপ দেবার ক্ষমতা লাগে। দুই কি এক হল। যদি না হয় তাহলে চার্লি চাপলিনের শোষন আর আমার শোষন কি এক হল?

    (সবই যদি আমি বলে দেব শিখব কি? :)))
  • .. | 173.26.17.106 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:০১435720

  • pinaki | 131.151.102.250 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:০২435731
  • লেবারের চরিত্র বদল বলতে? লেবার মানে শ্রম। শ্রমিক নয়। শ্রম দুরকম। মূর্ত আর বিমূর্ত। আর একটি বস্তু হল শ্রমশক্তি। লেবার পাওয়ার। কিন্তু তুমি এখানে শ্রমিক মীন করছ বলে মনে হচ্ছে। ওয়ার্ক ফোর্স বল্লে মার্ক্সবাদীরা কিছুই বুঝবে না। শ্রমের চরিত্র বদল বলতে কি তুমি কায়িক শ্রম থেকে মানসিক শ্রমে পরিবর্তনের কথা বলছ? সেটা মূর্ত শ্রমের চরিত্রের পরিবর্তন। কিন্তু সেই পরিবর্তন মার্ক্সবাদের মূল বক্তব্যকে কোনও সমস্যায় ফেলে না। মানে সারপ্লাস আগে উদ্বৃত্ত কায়িক শ্রম থেকে তৈরী হত। এখন উদ্বৃত্ত মানসিক শ্রম থেকে তৈরী হয়। মানে আইটি ইত্যাদি। কিন্তু তাতে কি গেল এল? বরং শ্রমিক শ্রেণীর চরিত্রের কিছু পরিবর্তনকে হিসেবের মধ্যে নেওয়া উচিৎ। তাও সেটার প্রয়োজন মূল হাইপোথেসিসকে বাঁচানোর জন্যে নয়। শ্রমিক আন্দোলন - ইত্যাদির গতি প্রকৃতি ঠিক করার জন্য।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:০৭435742
  • তোমার লেখাটা না পড়েই লিখে ফেলেছি। কিন্তু মার্ক্সবাদে শোষণ কথাটা তো সারপ্লাস তৈরী হওয়া দিয়ে বা উদ্বৃত্ত শ্রমের চুরি যাওয়া দিয়ে ঠিক হয়। সেই উদ্বৃত্ত শ্রম কায়িক না মানসিক - তার উপর নির্ভর করে না। তোমার উদাহরণে দুজনেই যদি একই পরিমাণ উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরী কর - তাহলে মার্ক্সবাদের ভাষায় দুজনের শোষণ একই। সে যতই চার্লিরটা দেখতে অমানবিক লাগুক না কেন।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:২২435642
  • আসলে মার্কিস্ট তঙ্কÄ আলোচনার মূল সমস্যা হল ক্যাপিটালিস্ট এবং মার্ক্সিস্ট প্যারাডাইমের টার্মিনোলজিগুলোর মানে আলাদা হয়ে যাওয়া। যেমন ধর, মার্ক্সিজমে 'মূল্য' আর 'দাম' - এক নয়। এখন এগুলো প্রথমে কেউ একটা শর্টনোট দিয়ে দিলে আর সেগুলো সবাই জানলে তারপর আলোচনা ভালোভাবে এগোতে পারে। নাহলে মার্ক্সিস্টরা একটা রেফারেন্স ফ্রেম থেকে কথা বলে যাবে, নন মার্ক্সিস্টরা আর একটা রেফারেন্স ফ্রেম থেকে। এবং দুজনের কেউই কারুর কথা বুঝবে না। (যদিও ভাববে তারা বুঝছে, আর তাতে ব্যাপারটা আরও ঘাঁটবে। :-))

    আর দাদাদের কাছে শুনেছি অ্যাবস্ট্রাক্ট লেবার না বুঝলে মার্ক্সবাদ বোঝা হয় না। যদিও সাত আট বছর রাজনীতি করেও সেটা আমার বোঝার সুযোগ/সৌভাগ্য হয় নি। এখানে এই আলোচনার সুবাদে যদি কেউ সহজ করে বুঝিয়ে দেন - তাহলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:৩১435653
  • পুরোটা কি তাই?

    এক তো উদ্বৃত্ত মূল্যের ওপর আমার খানিক ভাগ আছে প্রফিট শেয়ারিং হিসেবে। বছরের শেষে কখনো থোক টাকা, কখনো আইপড, কখনো হুলিয়ে ডিনার।

    দুই, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সৃষ্টির আনন্দ। যেমন ধরা যাক গুগুলের লোকজন দুর্দান্ত রিসার্চ ওয়ার্ক করে কিছু একটা নাবাল সে কিন্তু হেবি খুশী হল। চার্লি চাপলিনের মতন পাগল হবার একদম উল্টো রিয়াকশন। একে কি শোষন বলা যায়। হ্যাঁ মার্ক্সের উদ্বৃত্ত মূল্য ধরলে অবশ্যই যায় কারণ সে যতটা ভ্যালু তৈরি করছে ততটা পাচ্ছে না।

    এবং ডেভলপড ইকনমিতে এই জাতীয় ওয়ার্কফোর্স বেড়ে গেছে। আজকাল ভারতেও বাড়ছে। পুরো তত্বে কি এর কোন প্রভাব আছে? থাকলে কি?
  • aka | 24.42.203.194 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:৪০435657
  • হ্যাঁ দুটো আরও কথা।

    টার্মিনোলজি ব্যবহার করলে একটু ব্যাখ্যা করবেন, নইলে 'ডামি'জ রা কিছুই বুঝবে না।

    আর একটা প্রশ্ন

    ৯। এই যে পিনাকি বললে অ্যাবস্ট্রাক্ট লেবার না বুঝলে মার্ক্সিজম কিছুই বোঝা হয় না, অথচ পিনাকি আট নয় বছরেও বুঝে উঠতে পারে নি। মানে মিত্তির সাহেবের মতন প্রাবন্ধিক যা বুঝে উঠতে পারল না, সেই থিওরির টানে দুনিয়ার মজদুর এক হয়ে যাবে? কি করে? দূর্বোধ্য হলেও সেই থিওরি এমনই যে ব্যপারটা অটোমেটিক হবে?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ১০:০৩435658
  • এই যে - এইটা - http://www.portside.org/

    সাইটটা পাল্টে দিয়েছে দেখছি। আগে বেশ সুন্দর একটা ট্যাগলাইন ছিলো...
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ১০:০৬435659
  • এই ওয়ার্কিং ক্লাস নিয়ে সুইজির ইন্টারভিউটাতে তো বেশ সুন্দর করে লিখেছে...এটা আগে পড়িনি।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ১০:১৪435660
  • আপাতত আরেকটা লিংক দিয়ে যাই - মার্ক্সের "মজুরি, শ্রম ও পুঁজি' - পরে এটা নিয়ে ভাটানো যাবে। এট্টুস হাত খালি হোক।

    http://www.marxists.org/archive/marx/works/1865/value-price-profit/index.htm
  • pinaki | 67.43.241.179 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ১১:১৭435661
  • ৯। কেউ অ্যাডাম স্মিথ, রিকার্ডো বা কেইন্স পড়ে ক্যাপিটালিজমের প্রতি আকৃষ্ট হয় না। ক্যাপিটালিজম তাকে কিছু মেটিরিয়াল সুযোগ সুবিধা, ভোগের উপকরণ ইত্যাদি দেয় বলে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। ঠিক একই ভাবে ক্যাপিটালিজম যখন মানুষের বেসিক নীড ফুলফিল করতে পারে না, তখন মানুষ মার্ক্স বা অন্য কোনও অল্টারনেট 'ইজম' এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। সেরকম কোনও ইজম হাতের কাছে না পেলে ভগবানের পায়ে মাথা কোটে।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:২০435662
  • পিনাকি, একদম ঠিক। শুধু একটু খানি অ্যাড করার আছে। ধনতন্ত্র খুবই ইনটিউটিভ। মানে এই নয় যে তঙ্কÄকথা যা আছে তা খুব ইনটিউটিভ। আসলে সকালে উঠে বাজারে যাই মাছ কিনি, ওষুধ কিনি, বাড়ি ফিরে হিসেব কষি একটা ফ্রিজ কেনা যাবে কিনা। আমার বাবা এই হিসেব কষেছেন দেখে দেখে বড় হলাম। আমিও কষি, আমার ছেলেও এই দেখেই বড় হবে। তাই চন্দ্র, সূর্য্য, গ্রহ, তারা যেমন, বাজার, সাপ্লাই, ডিমান্ড আমার কাছে প্রায় তেমন। গরমকালে পটলের দাম বেশি হবে এ বুঝতে আমাকে স্মিথ, রিকার্ডো, সামুয়েলসন, কেইন্স পড়তে হয় না।

    কিন্তু একটা নতুন সিস্টেম, যা দেখছি, শুনছি তার থেকে একেবারে উল্টো মেরুর চিন্তা ভাবনা করতে গেলে এবং সেই পলিটিক্সকে সুচিন্তিত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে খানিকটা সিমপ্লিসিটি না থাকলে যা হয় তাহল বিভিন্ন খুঁটিনাটি মতামতে বিরোধ। খানিকটা ভেগ বকলাম কিন্তু কলকাতায় বিভিন্ন বামপন্থী মতাদর্শের মধ্যে কাজিয়া নিশ্চয়ই দেখেছ। কেউ মাওয়ের দশ নং প্যারা পন্থী এবং কেউ তেরো নং প্যারা পন্থী এবং তারা দুটি বিভিন্ন দল। দুনিয়ার মজদুর এক হওয়া দুরের কথা, পার্টিই এক সুরে কথা বলতে পারে না।

    আরও বড় পয়েন্ট হল এটা আগের ওয়ার্কফোর্স পয়েন্টের সাথে রিলেটেড। যেটা বক্তব্য ছিল তাহল ইন্টেলেকচুয়াল ওয়ার্কফোর্সের সংখ্যা যত বাড়ছে, আপাত সুখী গৃহকোণের সংখ্যা যত বাড়ছে ক্যাপিটালকে সরিয়ে লেবারই সমাজের চালিকাশক্তি হবার জন্য যে বিপ্লব দরকার বলে মনে করা হয় তা ততই নন-অবভিয়াস হয়ে উঠছে না? এই যেমন ধরা যাক আমি, বা অনেকেই যারা একটা সুখী গৃহকোন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন, বা জীবন যুদ্ধ চালাচ্ছেন তাঁরা কি আর বিপ্লবের কথা ভাবেন? যদিও এটা ধরে নেওয়া হয়েছে যে বিল্পবই হল আসল পথ। চমস্কি কোথাও একটা বলেছিলেন যে বামপন্থার কাছে এটা একটা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ যে আমরা সবাই জীবন যুদ্ধে ব্যস্ত। (একটু প্যারা ফ্রেজ করলাম, আসলটা কোথায় পড়েছি খুঁজে পেলাম না)। এই অবস্থায় মার্ক্স সাহেবের আইডিওলজি শোষনের যে বেসিক তঙ্কেÄর ওপর বেস করে গড়ে উঠেছে তা কতটা ভ্যালিড আজকের দুনিয়ায়? হ্যাঁ মাওবাদীরা ভারতের এক তৃতীয়াংশে বিপ্লব আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু ব্যাঙ্গালুরু, কলকাতা, মুম্বাই, ভাইজাক এমনকি শ্যামনগর, নৈহাটি ইত্যাদি জায়গায় বিপ্লব আনা কতটা সম্ভব। এমনকি বিপ্লবের প্রতি সহানুভূতি আনাই বা কতটা সম্ভব? এবং তারই সাথে রিলেটেড যে সেক্ষেত্রে ফ্রি স্টেট যা কিনা দেশ কালের সীমা না মেনে এক সময় সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত হবে তাই বা কতটা সম্ভব?

    এক্ষেত্রে সুইজি বলেছেন একসময়ে স্ট্যাগনেশন আসবে এবং তখনই নাকি ইন্টেলেকচুয়াল ওয়ার্ক ফোর্স অন্যদিকে হেলে পড়বে। আমি স্ট্যাগনেশন থিওরি পড়ি নি। কিন্তু কোথায় স্ট্যাগনেশন? এই রিসেশন, এই চাকরি যাবার ভয়, শরীর খারাপ আমার তো প্রতিদিনই নতুন দিন। এইসবই জানার।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ২১:০০435663
  • আরে ইয়ে মানে কেইন্সকে ডানপন্থী কইলে? সোশাল ডেমোক্রেটরা দু:খ পাবেন তো। :))
  • pinaki | 67.43.241.179 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ২১:৫৯435664
  • এখন যেভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হলেও ক্যাপিটলিজম চলছে, এভাবে চললে বিপ্লব ফিপ্লব হবে না, মার্ক্সবাদেও দলে দলে লোক আকৃষ্ট হবে না। সিম্পল ব্যাপার। যেখানে ক্রাইসিস বেশী সেখানেই তো লোকে অন্য ইজম খুঁজবে। মোটমুটি খেয়ে পরে চালিয়ে দিতে পারলে আর ওসব হ্যাপা লোকে নেবে কেন?

    তবে ওভারঅল পৃথিবীতে আপাত: সুখী গৃহকোণ বাড়ছে - এটা কি জোর দিয়ে বলা যায়? আমি খুব সিওর নই।
  • Sibu | 216.239.45.130 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৩৮435666
  • ধনতন্ত্র ইনটুইটিভ সেটা হয়তো ঠিক কথা। কিন্তু ইনটুইটিভ হলেই সেটা সবসময় ঠিক হয় না। কে সি পাল গ্যালিলিওর চেয়ে বেশী ইনটুইটিভ। বাইবেল ডারউইনের চেয়ে বেশী ইনটুইটিভ।
  • aka | 168.26.215.13 | ৩০ জানুয়ারি ২০১০ ০০:২৪435667
  • পিনাকি, না হয় নি বোধহয়। কিন্তু যেখানে যেখানে হয়েছে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে সেখানেই। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন করলে ভৌগলিক কারণে কিছুদিন চালানো যেতে পারে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্র কেলিয়ে পাট করে দেবে। এলটিটিই বলো, আল্ফ বলো সবেরই একই নিয়তি হয়েছে। অধুনা যুদ্ধরত দলের পরিণতিও তাই বলেই আমার মনে হয়। ফাটাকেষ্ট বলেছে না 'মারব এখানে লাশ পড়বে শশ্মানে'। একটা কেমিকাল আলি তৈরি করবে লাশ পড়বে দশ হাজার জনের। এবং রাষ্ট্রের এই ভূমিকায় সন্তুষ্ট থাকবে সুখী গৃহকোণের লোকজন। বরং যে বঞ্চনা, লাঞ্ছনা থেকে এই বিদ্রোহ তা মাটি চাপা পড়ে যাবে দেশদ্রোহীর লাশে। এখানেই আমার প্রশ্ন কি করে সমাজের চালিকা শক্তি ক্যাপিটাল থেকে লেবার হয়ে যাবে? মুক্তির পথ কি?

    (কিন্তু তুমি ছাড়া আর কোন মাস্টারমশাই পেলাম না, যদিও তুমি খুব ভালো মাস্টারমশাই)
  • dd | 122.167.39.197 | ৩০ জানুয়ারি ২০১০ ০০:৩৬435668
  • র বাবু
    আপুনি হেথায় মানে এই টইতে ল্যাখেন। তাইলে
    থিওরিটিক্যাল ল্যাখাগুলি একত্তর হয়।

    এই আর কি।
  • kallol | 124.124.93.202 | ৩০ জানুয়ারি ২০১০ ১১:১৯435669
  • আকা - একদম ঠিক। এখানেই মনে হয় গান্ধী প্রাসঙ্গীক - সত্যাগ্রহ, অসহযোগীতার জায়গা থেকে।
    একটা গল্প বলি। আমাদের এক বন্ধু ১৯৮৩-৮৪ নাগাদ কিউবা গেছিলো। সে ক:বি:তে অঙ্কের মাষ্টার সেই সূত্রে যাওয়া। তা, সে অ্যাটেনব্যারোর গান্ধী নিয়ে গেছিলো। সেটা দেখতে দেখতে তার কিউবান বন্ধুরা লবন আইন অমান্যের জায়গায় খুব বিস্মিত হয়ে তাকে জিগিয়েছিলো - ওরা মার খেতে যাচ্ছে কেন? হয় পাল্টা মারুক, নয় সরে আসুক। এটা ওদের কাছে নতুন ব্যাপার - অস্বীকারের প্রতিরোধ।
    তবে এটাই একমাত্র পথ এমনটা নয়। এটাও একটা পথ - এভাবে দেখা যেতে পারে।
  • de | 117.98.160.138 | ৩০ জানুয়ারি ২০১০ ১৮:০৬435670
  • এই টইটা আরো চলুক, aka কে অনেক ধন্যবাদ, abstract term এর অচলায়তন টাকে নিয়ে একটু নাড়াচাড়া দেওয়ার জন্য, অনেক দিন ধরে আমারো মনে হয়েছে এরকম একটা প্রচেষ্টার দরকার -- কিন্তু বহু কিছুর অভাবে হয়নি। গুরুর সহজিয়া পান্ডিত্যের কাছে অনুরোধ, abstract theory নয় application oriented aspects গুলো নিয়ে একটু আলোচনা হোক, নাহয় ডামিজ দের শেখানোর জন্যই হোক।
  • aka | 24.42.203.194 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ০১:১২435671
  • দে, মাস্টারমশাই খুঁজতে বেরিয়েছি। (মতান্তরে কুলোকে মুর্গীও বলিয়া থাকে:))।

    কল্লোল-দা, গান্ধীর সত্যাগ্রহ, অহিংস পন্থা অবশ্যই কার্যকরী নইলে ভারতের স্বাধীনতা আসত না। কিন্তু পড়ে পড়ে মার খাওয়া কতদিন সম্ভব তা জানি না।

    একটা জিনিষ জানলে খুব ভালো হয় তাহল খানিকটা ইতিহাস। বিভিন্ন দেশে বামপন্থা আন্দোলন কিভাবে শুরু হয়েছে, কিভাবে এগিয়েছে এবং এখন কোন অবস্থায়। কিন্তু মাস্টারমশাইরা সব মুখে কুলুপ আঁটলে জানব কেমনে? মার্ক্সসিস্ট.অর্গে সবই আছে, কিন্তু টই যখন খোলা হয়েছে তখন কেউ লিখলে ভালো হত। ফুটকি একবার কয়েছিল সংসদীয় গণতন্ত্রই বামপন্থী আন্দোলনের ঐতিহাসিক অনিবার্যতা। কেন কয়েছিল সে কি আর বলবে? এমনটা কয়েছিল কিনা তাও ঠিক ভালো মনে নেই। ফুটকি শুনতে পেলা?
  • ranjan roy | 115.184.79.238 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ১২:৫১435672
  • আকা,
    কি আর কমু? সারাজীবন কট্টর মার্কসবাদী থাইক্যাও এই বয়সে আমার অবস্থাও প্রায় কল্লোলের মতন।
    সেই পরশুরামের গল্পের গণিতের অধ্যাপকের মতন-- মৃতদেহ খাটের ওপর দাঁড়িয়ে উঠে বলছে-- আছে হে আছে, সব দেখে বলছি।

    ইয়ার্কি ছেড়ে কাজের কথা:
    আমি ছত্তিসগড়ে এত বছর থেকে খুব ক্লোজলি আর এস এস এর ক্যাডারদের দেখলুম। আমার প্রত্যয়:
    ১) আর এস এস ও মার্ক্সিস্ট দুইই ক্যাডারবেসড্‌ পার্টি।
    ২) দুই দলেরই লোকেরা নিজেদের আমজনতার থেকে বৌদ্ধিক স্তরে খুব সুপিরিয়র ভাবে।
    ৩) তার কারণ--- ইতিহাসের গতিপ্রকৃতি নিয়ে দুই দলেরই নিজস্ব ব্যাখ্যা। একজনের মূলত: ইকনমিক ডিটরমিনিস্টিক ব্যাখা অন্যজনের ধর্মীয়-জাতিভিত্তিক।
    ৪) দুই দলেরই নীচের স্তরের ক্যাডাররা সাধারণত: আদর্শবাদী সাধারণ মধ্যবিত্ত জীবনযাপন করে থাকে, কিন্তু নেতাদের ব্যাপারে সবসময় গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় না।
    ৫) দুই দলই ন্যায়ের রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু তার মোডালিটি বা লজিস্টিক সাইড গুলো অস্পষ্ট।
    যেমন, বছর পনের আগে সি পি আই এম এল এর একটা দলিল হাতে এসেছিল। তাতে জনৈক বিজয় প্রশ্ন তুলে ছিলেন যে এটা কি করে সুনিশ্চিত করা যায় যে শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার নামে সেটা কার্যত:একটি ছোট গোষ্ঠীর হাতে ব্যাপক দমনপীড়নের একচ্ছত্র ক্ষমতায় পর্যবসিত হবে না! অর্থাৎ যে যায় লংকায়, সে হয় রাবণ--- এই আপ্তবাক্যের অখন অবধি কোন ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে না। রুশ, চীন, কিউবা--- কোথাও না।
    +৬) সমজপরিবর্তনে হিংসার ভূমিকা। এ'ব্যাপারে বাম--ডান একমত। এরা সবই end justifies the means এই ম্যাক্সিমে বিশ্বাস করে। আমিও করতাম, এখন করি না। কল্লোলও করে না।
    কিন্তু বিকল্প কী? আমি জানি না। গান্ধীবাদ? আমি জানি না।
    এটা নিয়ে কখনও কখনো তির্য্যক ভাবে অক্ষ, শৈবাল, পিনাকীর সঙ্গে বিভিন্ন প্রসঙ্গে সামান্য আলোচনা হয়েছে। শুধু এই প্রশ্নেই আলাদা টই খুলে আলোচনা হওয়া কাম্য।
  • kallol | 124.124.93.202 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ১৪:১৫435673
  • বিকল্প সমাজ হিসাবে রামরাজ্য খুব আবছা গোছের। কিন্তু বিকল্প লড়াইয়ের রাস্তা হিসাবে অসহযোগ বেশ পোক্ত ব্যাপার। ক্ষমতা অস্বীকারকে ভয় পায়, দিশেহারা হয়ে যায় নীরব বা অহিংস অস্বীকারে। দমন নামায় ক্ষমতা। সেই দমনকে পাল্টা দমন দিয়ে বাধা দিলে, ক্ষমতা স্বস্তি বোধ করে। সেই দমনের সামনে নিস্ক্রিয় প্রতিরোধ গড়লেই ক্ষমতা বুঝে পায় না কি করবে।
    আর একটা লড়াইয়ের রাস্তা, গুজব। ক্ষমত গুজবে ভয় পায়। কারন গুজবকে নিষিদ্ধ করা যায় না।

  • PT | 203.110.243.21 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:৪৭435674
  • কেউ যদি একটু বুঝিয়ে বলেন:

    ১। কেউ অসহযোগের রাস্তাতে নামলেই, ক্ষমতা যদি ক্ষতমের রাস্তা নেয়, তাহলে সেই অসহযোগ ঠিক কি ভাবে চলবে? সাম্প্রতিক ইতিহাসে নির্বিচারে গণহত্যা এমন কিছু অজানা ঘটনা নয়।

    ২ গুজব = মিথ্যে গপ্প বানিয়ে রটনা। সে তো ক্ষমতা আরো efficiently করতে পারে। ঊদা: সাদ্দাম হোসেনের কাছ পারমাণবিক অস্ত্র আছে।

    এই দুটো যদি মানুষের উপকারের জন্য লড়াইয়ের রাস্তা হয় তাহলে হাতে তো পেন্সিলও থাকে না!!
  • kallol | 124.124.93.202 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ২০:১২435675
  • ক্ষমতা গুজব রটায় না। গুজবের উৎস বোঝা যায় না। ক্ষমতা যে সব খবর রটায়, তার উৎস সরকারী/বেসরকারী মিডিয়া। গুজব মানুষ রটায়, যখন তার স্বাভাবিক তথ্যের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। সাদ্দামের হাতে পারমানবিক অস্ত্র আছে - কে বলেছে? উত্তর সবাই জানে। প্রাত:রাশের টেবিলে ইন্দিরা-মানেকা ঝগড়ায়, সঞ্জয় ইন্দিরাকে চড় মেরেছে - এটার উৎস ???? কেউ জানে না।
  • kallol | 124.124.93.202 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ২০:১৫435677
  • একটা দেশের সব মানুষকে মেরে ফেলা যায় না। আমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়ায় উপনিবেশ স্থাপন প্রক্রিয়া ছাড়া, আর কোথাও এটা ঘটে নি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন