এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মার্ক্সিজম রাষ্ট্র বাজার ও কিছু ক্লিশে

    aka
    অন্যান্য | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ | ৪১৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 168.26.215.13 | ২২ এপ্রিল ২০১০ ১৮:২৩435711
  • শিবুদা ওখানে "সাহেব" মানে মার্ক্স সাহেব।

    ট্রান্সফরমেশন প্রবলেম নিয়ে অনেকের অনেক রকম মতামত আছে। যেমন তুমি যে লিঙ্ক দিলে সেখানেই আছে

    Analytical Marxists accepted that the transformation problem disproved the Labour Theory of Value and based their Marxian social theory on a combination of the Fundamental Marxian theorem, game theory, and other neoclassical and mathematical tools.

    পড়ে যতদূর মনে হল মার্ক্সের সারপ্লাস ভ্যালু থিওরি, এক্সপ্লয়টেশন, এবং তার থেকে ডিরাইভ করা Tendency of the rate of profit to fall এই নিয়ে বিস্তর ক®¾ট্রাভার্সি। দু একজন হার্ডকোর ছাড়া ঐ তঙ্কÄ নিয়ে খুব বেশি মাথা কেউ ঘামায় না। মার্ক্সের মূল তঙ্কÄই এই দুটি জিনিষের ওপর নির্ভর করে। তাই ওনার থিওরি মুঠো মুঠো নুন সহযোগে খাওয়াই ভালো।

    This is recognized by sophisticated marxist (to be distinguished from true believers of in the Volume I theory of value) as the problem of "transforming values into prices of production"

    সেইজন্যই ওপরের প্যারাগ্রাফের ব্র্যাকেটেড অংশটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। বিশ্বাস দিয়ে রামদেবের পুজো হয়, সমাজ কল্যাণ হয় না। বামপন্থীদের ইন্টেনশন নিয়ে প্রশ্ন নেই কিন্তু সেদিকে বহু প্রিস্টেরও ইন্টেনশন খুব ভালো। তঙ্কেÄর উল্টোদিকটা জানাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

    অথচ আশির দশকে কি জেনেছিলাম না মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান। যা শুধুমাত্র তাঙ্কিÄক মতেই ঐতিহাসিক ছাগলামো ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। কারণ এইসব ক®¾ট্রাভার্সি শুরু করেছেন সাহেব নিজেই।

  • Arijit | 121.242.15.238 | ২২ এপ্রিল ২০১০ ১৮:৩৮435712
  • এই বিজ্ঞান ব্যাপাট্টা নিয়ে এই টইয়েরই শুরুর দিকে বৈ চ-র একটা পোস্ট আছে না? ল্যাটিন (scientia) থেকে বাংলায় নামানোর ফল?
  • aka | 168.26.215.13 | ২২ এপ্রিল ২০১০ ১৮:৫০435713
  • আমার মনে হয় এটা হল উইলফুল সাসপেন্সন অফ ডিসবিলিভ। নিজের রাজনীতিকে লেজিটিমাইজ করার জন্য জেনে বুঝে ভুল। নইলে ভারতীয় বাম তাঙ্কিÄকরা এইসব জানতেন না এটা মানতে কষ্ট হয়।

    নামের পেছনে মার্ক্সবাদী বললেও কাজে কম্মে তারা অনেকটাই আমেরিকার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের ভারতীয় ভার্সন। দুয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। আমার মনে হয় এটা অত্যন্ত সুচিন্তিত পদক্ষেপ, ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য সাহেব কিন্তু কাজে কর্মে অন্য কিছু। কেন দরকার? কারণ ভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট এবং কংগ্রেসের পলিসিতে খুব বেশি পার্থক্য নাই। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের থেকে নিজেদের আলাদা করতে সাহেবের দ্বারস্থ এইসব। বাকিটা শুনতে চাই।
  • Arijit | 121.242.15.238 | ২২ এপ্রিল ২০১০ ১৮:৫৯435714
  • ওটা একটা রেটরিক। "সভারেন সোশ্যালিস্ট রেকুলার ডেমোক্রেটিক রিপাবপলিক'-এর মতনই।

    মার্ক্সবাদ সর্বশক্তিমান কারণ ইহা বিজ্ঞান/সত্য (আমি দ্বিতীয়টাও দেখেছি দেওয়ালে) দেখলে/শুনলে প্রথম কোশ্চেন যেটা মাথায় আসে সেটা হল তাইলে কি "সর্বশক্তিমান'-এর এগজিস্টেন্স মেনে নেওয়া হল?

    তবে কংগ্রেসের এবং সিপিএমের *ঘোষিত* পলিসিতে (কারেন্ট উন্নয়নের মডেল নয়, কর্মসূচী/কর্মনীতি এবং গঠনতন্ত্র পড়) বিস্তর ফারাক।
  • aka | 168.26.215.13 | ২২ এপ্রিল ২০১০ ১৯:০৭435715
  • আরে ""ঘোষিত"" নীতি হল সিভি।

    আমার সিভিতে যেমন লেখা আছে n-tier অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন। কাজে করতে বসলে ডেটা ড্রিভেন আর্কিটেকচার। ;) কারণ উহাই বিজ্ঞান। :)
  • Sibu | 66.102.14.1 | ২৩ এপ্রিল ২০১০ ০১:৫৮435716

  • http://www.nytimes.com/2009/09/06/magazine/06Economic-t.html?_r=1&pagewanted=1&em

    As I see it, the economics profession went astray because economists, as a group, mistook beauty, clad in impressive-looking mathematics, for truth.


    আবার পড়ুন:


    Empirical Marxists, including Anwar Shaikh, Moshe Machover, and Paul Cockshott, maintain that since empirical data bears out the correspondence of prices and labour values, the transformation problem is irrelevant.

  • aka | 168.26.215.13 | ২৩ এপ্রিল ২০১০ ০২:৫৩435717
  • শিবুদা,
    ১। ক্রুগম্যানের এই লেখাটা আমি পড়েছি। এতে রিসেন্ট রিশেশনের প্রেক্ষাপটে শিকাগো স্কুলের সাথে কেইন্সিয়ান ইকনমিস্টদের ঝগড়া এবং ফাইনান্স থিওরিকে এক হাত নেওয়া হয়েছে। ক্রুগম্যানের যে লাইনটি তুলে দিয়েছো সেটা মনে হয় ফাইনান্সের ডিফারেন্ট মডেল নিয়ে বলা। উনি নিজে ডেমোক্রেট হওয়ার জন্য এই সুযোগে এক শিকাগো স্কুলের অর্থনীতিবীদদের এক হাত নিয়েছেন। সে বেশ করেছেন। কিন্তু এটা কি একটু আউট অফ কনটেক্সট কোট হয়ে গেল না? মার্ক্সের সারপ্লাস ভ্যালুর থিওরিতে অংক না মিললে ওনার Tendency of the rate of profit to fall থিওরি অনেকটা জোলো হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে অংক মেলাটা জরুরী। অংক মেলাটা জরুরী কিন্তু শুধুই অংক দিয়ে পলিসি হয় না। এই মনে হয় ক্রুগম্যানের মূল বক্তব্য।

    ২। শিবুদা আমি যতটুকু জেনেছি তাতে পোস্ট মার্ক্স মার্ক্সসিস্ট ইকনমিস্টদের মধ্যে নাম করা হল - পল সুইজি, মাইকেল কালেকি, জন রবিনসন, পল বারান। এদের প্রত্যেকেই মার্ক্সের ভ্যালু থিওরির লিমিটেশন স্বীকার করে কেইন্সের তঙ্কেÄর ওপর আরও কাজ করেছেন।

    সুইজি ও বারানের কাজ সম্বন্ধে - (Harry Cleaver)
    Political Economy of Growth, published in 1956, and their joint work, Monopoly Capital, which appeared in 1964, the basic analytical weapons brought to bear in analyzing capitalist development in underdeveloped and developed countries were variants of orthodox neoclassical and Keynesian political economy. (35) Marxism was, for the most part, reduced to supplying the rhetoric and the moral background of these works.

    এম্পিরিকাল কাজকে খুব একটা পাত্তা কেউ দেয় নি। একদিকে সামুয়েলসন, সুইজি, বরান অন্যদিকে আনওয়ার শেখ এট অল। তবে বলছ যখন পড়ে দেখব।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৩ এপ্রিল ২০১০ ১৯:১৫435718
  • অংক এবং বাকি সব কচকচি দুরে সরিয়েও লেবার থিওরি অফ ভ্যালু যে ইন্টিউশনের ওপর দাঁড়িয়ে পরবর্তী কালের বামঘেঁষা অর্থনীতিবীদরাও সেই ইন্টিউশনটাকে প্রশ্ন করেছেন। প্রফিট আসে শুধু মাত্র সারপ্লাস লেবার থেকে এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা উনি দেন নি। উনি বলেছেন আমরাও বাধ্য ছাত্রর মতন মেনে নিয়েছি।

    সবাই নয়, যেমন জোয়ান রবিনসন লিখলেন "An Essay of Marxian Economics"। (খানিকটা পাবেন http://www.questia.com/PM.qst?a=o&d=8511612)। উনি দুটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন

    ১। ক্যাপিটালিস্ট শুধুই শোষণ করে তা ঠিক নয়। সমাজে শ্রমিক ও পুঁজিপতির মধ্যে একটা হারমোনি রয়েছে।

    ২। মার্ক্সের মতে লেবার যেহেতু সমস্ত প্রফিটের উৎস তাই যত লেবার কমে টেকনলজি ব্যবহার বাড়বে তত প্রফিট কমবে। এবং এতে করেই একসময় ক্যাপিটালিস্ট অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। রবিনসন বললেন ল্‌ঙ রানে বাজারের ইকিউলিব্রিয়ামে পৌঁছনর একটা প্রবণতা আছে।

    লোকে বলে দুইই অত্যন্ত সঠিক অ্যানালিসিস।

    জোয়ান রবিনসন - http://en.wikipedia.org/wiki/Joan_Robinson
  • ranjuan roy | 122.168.205.226 | ২৪ এপ্রিল ২০১০ ২৩:৫০435719
  • শিবু, প্লীজ আমিও তাই বলতে চেয়েছি, ঠিক তোমারই মত। এক্সপ্রেশনটা ঠিক হয় নি। অর্থাৎ, যে মানবিক মূল্য মার্ক্সবাদের দিকে আমাদের প্রাথমিক আকর্ষণের উৎস, তা ছাড়াও মার্ক্সের লেখায় এমন কিছু অবজেকটিভ অন্যালিটিক্যাল দিক আছে যার মূল্য এবং ইন্টেলেকচুয়াল আবেদন অনেক বেশি।
    যেমন,অমর্ত্য সেন নোবেল পেতেই পাড়ার গদাইও এখানে সেখানে পোবন্ধ লিখে( বিশেষ করে হিন্দি বলয়ে)ওনাকে "গরীব কা মসীহা'' বানিয়ে ফেল্লো।
    কিন্তু আমার মতে ওনার বড় কাজ ( ফেমিন বা এন্ডাওমেন্ট থিওরিকে ছোট করছি না) থিওরি অফ কলেকটিভ চয়েস নিয়ে ""অ্যারো প্যারাডক্স"" এর সমাধান বের করা। কি কন্ডিশনে মাইনরিটি ডিসিশন এর করেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা কে প্রোটেক্ট করা যায়-- ইন্টারেস্টিং আমি ঠিক জায়গা থেকে জেরক্স করে নিয়েছি কিন্তু অ্যাইসা ম্যাথমেটিক্স যে দাঁত ফোটাতে পারিনি। রিটায়ার করে আবার একটা চান্স নেব।:)))
  • ranjan roy | 122.168.205.226 | ২৫ এপ্রিল ২০১০ ০০:৫৫435721
  • মেরে আকা! তোমাকে ধন্যবাদ! তুমি-শিবু মিলে এই টইকে বাঁচিয়ে রাখ। আমি আসছি। পিনাকী এবং অন্যেরা বিশেষ করে প্রো বৈ চ যদি আসেন তো মজা আ জায়েগা।
    কারণটা বলি। ১৯৭৬-৭৭ সালে লেবার থিওরি ও ট্রান্সফর্মেশন প্রবলেম নিয়ে লাইব্রেরিতে রেগুলার পড়েছিলাম। ইচ্ছে ছিল ডিসার্টেশন ওতেই করবো। জমা দিলাম। রায়পুরের প্রফেসররা অরাজী, কারণ ওরা কেইনস্‌ ও ফ্রিড্‌ম্যান এর আগে যেতেই চান না।
    তারপর চাকরিতে ঢুকে ৩৬গড়ের গাঁয়ে গাঁয়ে ঘুরতে হল। বই পড়ার সুযোগ-সাধ্য কিছুই ছিল না।
    এখন তোমার পোস্ট পড়ার ইচ্ছে খুঁচিয়ে তুল্লো।
    আমি তল্‌হন যা পড়েছিলাম স্মৃতি থেকে বলছি, ভাট বকলে অনায়াসে ধরিয়ে দিও।

    এক, বামপন্থী কেইনেসিয়ানদের মধ্যে তুমি যাদের নাম করলে ওরা ছিলেন (এরা কেম্ব্রিজ স্কুলের অংশ। এঁদের মধ্যেমরিস ডব এবং অমর্ত্য ও আছেন।) কিন্তু একজন বিশিষ্ট হলেন পিয়েরো স্রাফা। ইতালির কমিউনিস্ট পার্টিতে তোগলিয়ত্তিদের সঙ্গে ছিলেন মুসোলিনির ঠেলায় পালিয়ে কেম্ব্রিজে আসেন।
    দুই, জোয়ান রবিনসনের ওই চটি বইটা চল্লিশের দশকে লেখা। তারপরে ষাটের এবং সত্তরের দশকে ওনার বক্তব্য অনেক পাল্টেছে। বলছি---।
    ঐ বইতে উনি মার্ক্সের মেথডলজিকেও আক্রমণ করে ক্রুড বলেছিলেন। ওনার বক্তব্য ছিল মার্ক্স সঠিক প্রবলেমগুলো বোঝার চেষ্টা করছিলেন inappropriate analytical tools দিয়ে।
    আর তুমি যা বল্লে-- লেবার থিওরি অফ ভ্যালুকে উনি ফালতু ভাবতেন। কিন্তু বলতেন তাতে মার্ক্সের মূল রেট অফ এক্সপ্লয়টেশন ভুল হয় না।
    ভলতেয়ার বলেছিলেন যে মন্ত্র পড়লে ভেড়া মরবে যদি তার সাথে ঈকটু সেঁকো বিষ দেয়া হয়।
    রবিনসন বলতেন যে লেবার থিওরি হল সেই অং-বং মন্ত্র। কিন্তু ষাটের দশকের শেষে উনি মার্জিনালিস্ট স্কুলকে এক হাত নিলেন, এবং সমস্ত নিও-ক্ল্যাসিক্যালদের, স্যামুয়েলসনকেও।
    উদাহরণ--এক, তিরিশের দশকে বিশ্বমন্দার বাজারে অস্ট্রিয়ান স্কুলের ভন হায়েক এসে কেম্ব্রিজে লেকচার দিচ্ছিলেন। উনি যখন ওঁর ছোট ছোট delta দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ড ভরিয়ে ফেলছিলেন তখন বাইরে লন্ডনের রাস্তায় দশ লক্ষ শ্রমিক বিক্ষোভ দেখিয়ে ওনাদের scarce means multiple ends এর মধ্যে চয়েসের থিওরিকে ভুল প্রমাণ করছিলো। অর্থাৎ means সবসময় scarce না ও হতে পারে।
    দুই, distribution theory তে উনি নিও-ক্ল্যাসিক্যালদের বিরুদ্ধে মার্ক্সের পক্ষে দাঁড়ালেন।
    নিও-রা partial differentiation এর Eular's Theorem দিয়ে জলের মত প্রমাণ করতে চায় যে টোটাল উৎপাদন শ্রম, পুঁজি, জমির মালিক এদের প্রত্যেকের marginal product হিসেবে দিলে সমবন্টন হয়। কারণ এর নীট যোগফল সমগ্র উৎপাদনের সমান।
    df(L,Lab, cap)/dx= Ldelf/delL + C delf/delc + Lab. delf/ dellab.

    জোয়ান সোজা স্যামুয়েলসনকে জিগাইলেন- when you compute the marginaal product of a labour, what do you keep constant?
    স্যামুয়েলসন অবাক। এমন এলিমেন্টারি প্রশ্ন? ব্যাপারটা কী?
    --Why, capital offcourse!

    Robinson- Thank you, because it shows that the diminishing marginal product of a labour is not the diminishing productivity of a labour. It is the result of technical mal-adjustment in production.
    ষাটের দশকে উনি লিখলেন notes on chaina তারপর কালচারাল রেভোলুশনের সময় freedom and necessity
    তারপর উনি, জোসেফ নীডহ্যাম ইত্যাদি চায়না পলিসি ওয়াচার্স রা লন্ডন থেকে ব্রডশীট বলে ফোলিও গোছের পত্রিকা নিয়মিত বের করতে লাগলেন। শেষে কে এন রাজের অনুরোধে ত্রিবান্দ্রমে Centre for Development Studies এ কিছুদিন ভিজিটিং হয়ে রইলেন।
    আমি তখনই রেক্টাম রাইপ। কলেজে পড়ার সময় একটা চিঠি লিখে জোয়ান রবিন্সন, কেম্ব্রিজ, ইউ কে লিখে পাঠিয়ে দিলাম। মাসখানেকের মধ্যে ওনার ওই এয়ারলেটারে জবাব এল ভিক্টোরিয়ার মনাশ ইউনিভার৪সিটি থেকে।
    আমার প্রশ্নের উত্তরে উনি জানালেন যে উনিমার্ক্সিয়ান ইকনমিকসকে ক্যাপিটালিজমের ড্যানামিক্স বোঝার সবচেয়ে সঠিক তঙ্কÄ মনে করেন। কেইনসকে কম্পারেটিভ শর্ট টার্ম statics। তবে মার্ক্সের থিওরির সত্যতা প্রমাণ করতে লেবার থিওরি অনাবশ্যক-- এই হল ওনার মত। চিঠিটা অনেক দিন যত্ন করে রেখেছিলাম, উৎপল দত্ত মশাইয়ের চিঠিটিও। বাকিটা কালকে।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৫ এপ্রিল ২০১০ ১০:২৬435722
  • রঞ্জনদা, আমি ইকনমিক্সের কিছুই জানি না। অতএব এই নিয়ে কিছু বলা খানিক আপনার ভাষায় ইয়ে রাইপ গিরি হয়ে যাচ্ছে। :)) কিন্তু যারা জানে তারা কাটিয়ে দিলে আর কি করা।

    মার্ক্সের বহু কিছু অবদানের মধ্যে খানিকটা হল অর্থনীতি, তাই শুধু লেবার থিওরি অফ ভ্যালু দিয়ে সব কিছু উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু "Tendency of the rate of profit to fall" কে যদি "the most important law of political economy" বলে ধরে নিই তাহলে সারপ্লাস লেবার আর প্রফিটের অংক না মিলতেই হবে। নইলে মানে দাঁড়ায় না।

    বাকিটা কাল লিখছি, আমার ল্যাপটপের কিবোর্ড খারাপ হয়ে গেছে। বাড়িতে একটা কম্পিউটার নিয়ে মারামারি চলছে এখন।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৬ এপ্রিল ২০১০ ০৭:০১435723
  • রঞ্জন দা এই যে সুইজির দা থিওরি অফ ক্যাপিটালিস্ট ডেভলপমেন্টের একটু আলোচনা। উনিও কিন্তু সারপ্লাস ভ্যালু এবং দা টেন্ডেন্সি অফ দা রেট অফ প্রফিট টু ফল থিওরি ওপর ভরসা রাখেন নি। যতটুকু বুঝলাম প্রশ্নটা সেই একই জায়গায়।

    “It would appear ... that Marx was hardly justified, even in terms of his own theoretical system, in assuming a constant rate of surplus value simultaneously with a rising organic composition of capital. A rise in the organic composition of capital must mean an increase in labour productivity, and we have Marx’s word for it that higher productivity is invariably accompanied by a higher rate of surplus value. In the general case, therefore, we ought to assume that the increasing organic composition of capital proceeds pari passu with a rising rate of surplus value. If both the organic composition of capital and the rate of surplus value are assumed variable ... then the direction in which the rate of profit will change becomes indeterminate. All we can say is that the rate of profit will fall if the percentage increase in the rate of surplus value is less than the percentage decrease in the proportion of variable to total capital.” [9]

    http://www.wsws.org/articles/2004/apr2004/ps2-a07.shtml

    তবে ইকনমিক থিওরি ছাড়াও মার্ক্সের আরও বহুবিধ কাজ ছিল। কিন্তু অর্থনীতি নিয়ে প্রচূর সমস্যার কথা পড়ছি।

    আর যতদিন যাচ্ছে তত কিন্তু ব্যপার আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এখনকার অর্থনীতিবীদরা বলে কন্টিনিউয়াজলি ইনক্রিজিং প্রফিটের কথা।

    যেমন ধরা যাক গুগুল সার্চ অ্যালগরিদম। যত বেশি লোকে ইউজ করে অ্যালগরিদম তত ভালো কাজ করে আরও ভালো সার্চ রেজাল্ট দেখায়। যত ভালো সার্চ রেজাল্ট তত বেশি লোকে ব্যবহার করে। এরকম করে অলমোস্ট ন্যাচরাল মনোপলি এবং যতদিন না ইন্টারনেট সার্চের সাবস্টিটিউশন বেরয় ততদিন এই মনোপলি কায়েম থাকবে। শুধু তাই নয় সারা পৃথিবীতে ইন্টারনেট ইউজার যত বাড়বে তত বাড়তে থাকবে গুগুলের প্রফিট। গুগুলের প্রফিটের একটা বড় অংশ কিন্তু তার ইঞ্জিনিয়াররা পায় (বোনাস + পার্ক্স), সাথে প্রাইড ফ্রি। গুগুলের একজন এমপ্লয়ীও কিন্তু এক্সপ্লয়টেড মনে করে না। যদিও এটা একটা কোম্পানির কথা পুরো ইকনমির কথা নয়। তবে ঠিক এরকম না হলেও অনেকেই বেশ দিব্যি সুখে স্বাচ্ছন্দে থাকছেন। ডিক্টেটরশিপ অফ প্রোলেতারিয়েত কি আজ সম্ভব? প্রোলেতারিয়েতই বা কারা?
  • SB | 114.31.249.105 | ০৪ মে ২০১০ ১৩:২৩435724
  • মাওবাদ-মার্ক্সবাদ বিতর্ক নিয়ে একটা ভাল লেখা: http://radicalnotes.com/content/view/131/39/
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ মে ২০১০ ০১:৫৪435725
  • আপাতত নতুন কোন প্রামাণ্য তাঙ্কিÄক রেফারেন্স না পাওয়া অবধি মার্ক্সের লেবার থিওরি অফ ভ্যালু ছাড়ান দিলাম। এরই ফাঁকে পেয়ে গেছি প্রথম পাতায় করা অন্তত একটি প্রশ্নের উত্তর। এই বিষয়ে কোন কোন অর্থনীতিবীদ কাজ করেছেন, কখন কাজ করেছেন ইত্যাদি। আর পাওয়া গেছে আরও একটি প্রশ্নের উত্তর তুলো চাষ দেখে তৈরি মার্ক্সের অর্থনীতির থিওরি গুলো আজ গুগুল সার্চ আর অ্যাপেল আইপ্যাডের যুগে কতটা রেলেভ্যান্ট। দেখা গেল অন্তত মার্ক্সের লেবার থিওরি অফ ভ্যালু খুব কাজের কিছু নয়।

    যাই হোক আসা যাক প্রথম পাতার পরবর্তী একটি প্রশ্নে। লেনিন পেপার লিখে প্রমাণ করেছেন ধনতন্ত্র = সাম্রাজ্যবাদ। কিন্তু একদিকে কোল্ড ওয়ার অন্যদিকে বিভিন্ন দেশে বিশেষত আফগানিস্তানেও সক্রিয় নিজ আধিপত্য কায়েম করার চেষ্টা করে গেছে সোশ্যালিস্ট রাশিয়া। এটা কেন?

    সেদিন মাওবাদীদের পার্টি প্রোগ্রাম পড়তে গিয়েও এটা পেলাম।

    "This ideology and culture will be guided by the great ideology of the proletariat, that is, Marxism-Leninism-Maoism. This culture will express its international solidarity with the on-going revolutionary struggles for national liberation, democracy and socialism all over the world by uniting with them in their fight for people’s democratic and socialist culture. It will defeat all types of revisionist ideology and hold high the red banner of the most scientific and developed ideology of Marxism-Leninism-Maoism".

    ওদিকে ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি ""দুনিয়ার মজদুর এক হও""।

    দেখুন সারা পৃথিবীতে আধিপত্য কায়েম করা সোশ্যালিস্টদেরও লক্ষ্য। তাহলে কি সাম্রাজ্যবিস্তারের ইচ্ছা বাম ও ডান দুই পন্থীরই সমান? শুধু কাগজে কলমে আলাদা কারণে?

    এর উত্তর পেলে ভালো লাগবে, না পেলে আবার খাটা খাটনি করতে হবে।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ মে ২০১০ ১৮:১৮435726
  • আজ যদি মার্ক্সিজমের একজন ওমনাথ থাকত তাইলে এমন দিন আমাকে দেখতে হত না গো।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৬ মে ২০১০ ১৮:১৯435727
  • তার সাথে মার্ক্সিজম, ইভেন সোশ্যালিজমের কোনো সম্পক্কো নেই।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৬ মে ২০১০ ১৮:২০435728
  • মানে এই *সাম্রাজ্যবিস্তারের* সাথে।
  • . | 125.18.104.1 | ২৬ মে ২০১০ ১৮:২৩435729
  • আমি ওমনাথের মত ওরকম ধমক দিই না তাই তোকে সেদিন দেখতে হল না।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ মে ২০১০ ১৮:২৩435730
  • একি এক কথায় বলে দিলে হবে নাকি। কেন বলছ বলবে তো।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ মে ২০১০ ১৮:২৪435732
  • না ধমকেই কও না, শুনি।
  • @ | 61.95.144.122 | ২৬ মে ২০১০ ১৮:৩১435733
  • ওই সাম্রাজ্যবিস্তার ইত্যাদি হল কূটনীতি - রাদার চাণক্যনীতি। মার্ক্স আর এঙ্গেল্‌স কক্ষণো সেসব নিয়ে মাথা ঘামাননি।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৬ মে ২০১০ ১৮:৪১435734
  • এমনই লেনিন যখন মারা যান তখনো রাশা একদিকে কসাক বিদ্রোহ ঠেকাতে আর অন্যদিকে পোলিশ বর্ডারে নিজেদের বাঁচাতেই ব্যস্ত। সাম্রাজ্যবিস্তার করবে কি করে? এই ভাগাভাগির শুরু মনে হয় পট্‌সডাম চুক্তি থেকে। আর আমার মতে যাবতীয় ঝোলা শুরু হয় ওই peaceful সিরিজের পর থেকে।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৬ মে ২০১০ ১৯:১৬435735
  • ফুটকি, কি জন্য কইলে বুইছি। কিন্তু লেনিন কেন ইম্পিরিয়ালিজমকে হায়েস্ট ফর্ম অফ ক্যাপিটালিজম কইলেন এবং তার সাথে মার্ক্সের লেবার থিওরি অফ ভ্যালুর যোগসূত্র কতটা। সেটা ধমকে বা না ধমকে কও না। বইতে যা আছে তা পড়ে নেব। আজকাল নেটে সব মেলে।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৭ মে ২০১০ ১০:২৫435736
  • কাল বাড়ি চলে গেলুম বলে লেখা হয়নি - পট্‌সডাম মনে হয় ভুল। ওয়ারশ কি? দেখতে হবে। বেসিক্যালি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মিত্রশক্তির মধ্যে যে চুক্তিটা হয় সেইটা...
  • aka | 168.26.215.13 | ২৮ মে ২০১০ ০০:৩৯435737
  • অজ্জিত, আমার মূল প্রশ্নটা একটু থিওরেটিকাল একটু প্র্যাকটিকাল।

    লেনিন লিখলেন ইম্পিরিয়ালিজম, হায়েস্ট ফর্ম অফ ক্যাপিটালিজম। যুক্তিগুলো মোটামুটি এইরকম যে পুঁজিপতির একটাই লক্ষ্য মুনাফা করা, কিন্তু দেশের সীমার মধ্যে আটকে গেলে মুনাফা বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই রাজনৈতিক আঁতাতের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী দেশে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তার করতে হবে। তাহলেই মুনাফা ক্রমশ বাড়ানো সম্ভব। দেশের বাজারে মনোপলি কায়েম করে বিদেশের বাজারের দিকে নজর দাও। ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানিও তাই করেছে কুলোকে বলে আজকের আফগানিস্তান যুদ্ধও অনেকটা তাই মিডল ইস্টের তেলের লাইন দখল। এটা অনেকটাই সত্যি।

    একটু উল্টো দিক থেকে দেখলে মার্ক্স ক্রিটিক অফ গোথা প্রোগ্রামে লিখেছেন আজকের দিনের রাষ্ট্র হল পুঁজিবাদী রাষ্ট্র। দেশ অনুযায়ী তার চরিত্র খানিক বদলালেও আসলে উন্নত দেশের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র চরিত্র পুঁজিবাদী। আমেরিকা, ইংল্যন্ড বা সুইটজারল্যান্ডে তা একটু এদিক হলেও হতে পারে। The "present-day state" is therefore a fiction.

    তারপর উনি বলেছেন তাহলে পরিবর্তন হবে কি করে? কমিউনিস্ট সোসাইটি তৈরি হবে কি করে? সেটার উত্তর দিতে হলে বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই দেওয়া উচিত।

    Between capitalist and communist society there lies the period of the revolutionary transformation of the one into the other. Corresponding to this is also a political transition period in which the state can be nothing but the revolutionary dictatorship of the proletariat.

    Now the program does not deal with this nor with the future state of communist society.

    http://www.marxists.org/archive/marx/works/1875/gotha/ch04.htm


    তো, যতদূর বুঝলাম মার্ক্স এখানে থেমে গিয়েছেন। এরপরে লেনিনের আমলে অনেক কিছু হল। যা পড়েছি লেনিন মার্ক্সের নামে সবাইকে মার্ক্সের নামে এককাট্‌ঠা করলেন কিন্তু করলেন নিজে যা মনে করেন তাই। উনি বললেন পুঁজিবাদী গণতন্ত্রে আমাদের মতন বেশিরভাগ লোক অল্প কিছু পুঁজিপতির হাতে শোষিত হত, এবারে তার উল্টো হবে আমাদের মতন বেশির ভাগ লোকের হাতে অল্প কিছু পুঁজিপতি শোষিত ও শোধিত হবে।

    And so in capitalist society we have a democracy that is curtailed, wretched, false, a democracy only for the rich, for the minority. The dictatorship of the proletariat, the period of transition to communism, will for the first time create democracy for the people, for the majority, along with the necessary suppression of the exploiters, of the minority. Communism alone is capable of providing really complete democracy, and the more complete it is, the sooner it will become unnecessary and wither away of its own accord.

    http://www.marxists.org/archive/lenin/works/1917/staterev/ch05.htm


    এইরকম ভাবে সমাজ শুদ্ধ হয়ে গেলে ধীরে ধীরে স্টেট বলে আর কিছু থাকবে না।

    (চলবে)
  • aka | 168.26.215.13 | ২৮ মে ২০১০ ০১:১২435738
  • এই অবধি ঠিকই আছে। ভবিষ্যত সমাজ কেমন কেউ জানে না, ভাসা ভাসা ধারণা আছে কিন্তু কি হবে কেউ জানে না। একটু এগিয়ে যাওয়া যাক, ততদিনে রাশিয়ায় বলশেভিক বিপ্লব হয়ে গেছে, ১৯১৯ সালে মস্কোতে কমি¾ট্রান তৈরি হয়েছে। যার মূল লক্ষ্য হল

    The International intended to fight "by all available means, including armed force, for the overthrow of the international bourgeoisie and for the creation of an international Soviet republic as a transition stage to the complete abolition of the State.

    প্রশ্ন এখানেই। এইটুকু পড়ে কি মনে হয় না যে কমি¾ট্রান আসলে উল্টোনো সাম্রাজ্যবাদ? এবং মূল আন্দোলনের খুব লজিকাল এক্সেটেনশন।

    অনেকে বলে কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোর - ""Proletarians of all countries, unite" মানে আমাদের ""দুনিয়ার মজদুর এক হও"" হল কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের মূল ভিত্তিপ্রস্তর। এই সম্বন্ধে জানতে চাইছিলাম।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৮ মে ২০১০ ০৭:১৪435739
  • কতকগুলো ডটস আছে একদিকে মার্ক্সের ভবিষ্যত রাষ্ট্র সম্বন্ধে ভাসা ভাসা ধারণা, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসী উত্থান, কমি¾ট্রান বা কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের আগ্রাসী মনোভাব অন্যদিকে কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোতে এইরকম রক্ত গরম করা ডাক - "The proletarians have nothing to lose but their chains. They have a world to win, working men of all countries unite", জানি না এগুলো জোড়া সম্ভব কিনা, বা আদৌ সেই চেষ্টা কোনদিন হয়েছে কিনা। তবে স্বীকার করতে অসুবিধা নেই যে দুনিয়ার মজদুর এক হও খুবই পাওয়ার ফুল একটি স্লোগান যদি না সবথেকে পাওয়ারফুল স্লোগান না হয়, স্বভাবতই গরম করে তুলেছিল বহু মার্ক্সসিস্টকে যারই ফলশ্রুতি কমি¾ট্রান।

    এখন প্রশ্ন হল আগ্রাসী পুঁজিবাদ বা সাম্রাজ্যবাদকে সামলাতে কি তাহলে আগ্রাসী কমিউনিজম দরকার? এই কি মার্ক্স মনে করেছিলেন। জানি না, কারণ মার্ক্সবাদ সেইভাবে কখনোই বিকশিত হয় নি। হলে হয়ত আজ অনেকেই বলত সাম্রাজ্যবাদী কমিউনিস্ট দুর হঠো। তবে এই প্রশ্ন বোধহয় খুব অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে সমাজের বিকাশ সম্বন্ধে তিনি নিজে খুব বেশি কিছু বলেন নি সেই সমাজের জন্য এইরকম যুদ্ধং দেহি হুঙ্কার কতটাই বা নৈতিক?

    তো, বাকি প্রশ্ন কমরেডদের জন্য এই যে দেওয়ালে দেওয়ালে কমিউনিস্টরা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বিনাশ করুন বলে ফতোয়া জারি করেছে সে কি দরজা অর্ধেক খোলা থাকলে বাকি অর্ধেক বন্ধ সেটা দেখতে না পাওয়া? অথচ কিছু কিছু তঙ্কÄ এবং পরবর্তীকালের ইতিহাস - যা অরিজিত বলছিল - অন্য কিছুই বলে নাকি?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৮ মে ২০১০ ১১:৩৪435740
  • দাঁড়াও, পরে লিখছি। আইসোলেটেড ভাবে দেখলে হবে না। ১৯১৯ সালে কমিন্টার্নের পিছনে কিছু কারণ ছিলো। আর কমিন্টার্ন মানে মনে হয় না এরকম যে লাল ফৌজ গোটা পৃথিবীতে ঘুরে ঘুরে সব দেশের প্রলেতারিয়াকে লিবারেট করবে।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৮ মে ২০১০ ১১:৫০435741
  • দ্বিতীয়ত: Soviet republic কথাটার সাথে সোভিয়েত ইউনিয়ন/রাশিয়াকে গুলিয়ে ফেলেছ কিনা জানি না। দুটো কিন্তু আলাদা। Soviet কথাটার মানে রাশান ভাষায় "কাউন্সিল' - নির্বাচিত লোকাল গভর্নিং বডি।

    Soviets were representatives of workers, peasants and soldiers in a given locale (rural soviets were a mix of peasants and soldiers, while urban soviets were a mix of workers and soldiers). The Soviets were bodies whose members were volunteers; people who were involved did so to strengthen their class position in Russian politics. Soviets gained political power after the Bolshevik revolution, acting as the local executive bodies of government. Delegates were elected from Soviets to the All-Russian Congress of Soviets, where the foundation of the Soviet government was intended to rest. Gradually, however, soviets began to lose their power because of the extremely harsh conditions brought on by the Civil War , and by the late 1920s became top-down extensions of the "Communist" party.

    http://www.marxists.org/glossary/orgs/s/o.htm#soviets


    মানে তখন এর মানে পৃথিবীর ওপর রাশিয়ার কব্জা নয়। রাদার, বিভিন্ন দেশের soviet-দের কথা বলছে।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৮ মে ২০১০ ১২:৪৬435743
  • এবার এটা পড়ো - http://www.marxists.org/archive/lenin/works/1919/mar/comintern.htm - প্রথম ইন্টারন্যাশনালে লেনিনের ওপেনিং স্পীচ, আর ডিক্টেটরশিপ অব দ্য প্রলেতারিয়া-র থীসিস - যেটা ওই কনফারেন্সে গৃহীত হয়।

    আমরা অধিকাংশই হয়তো ওই রিভিশনারি সোশ্যালিস্ট গোত্রে পড়ি এখন - কারণ মোটামুটি সকলেই "ডেমোক্রেসী ইন জেনারেল'-এর কথা বলি আর "ডিক্টেটরশিপ ইন জেনারেল'-কে ডিনাউন্স করি। কিন্তু পুরো বক্তব্যটা পড়ো - এক্ষুণি দান্তেওয়াড়া বা বস্তারে মাওবাদিরা যে কথা বলছে (এবং অ্যাপারেন্টলি যে কারণে বলছে) সেগুলোই প্রতিটা প্যারাতে দেখবে - রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, বুর্জোয়া শোষক/পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, তাদের ধ্বংস করা, দরকার হলে অস্ত্র নিয়ে - ইত্যাদি।

    যা কিছু ভেবে আমরা (মানে রিভিশনারি সোশ্যালিস্টরা) মাওবাদিদের বক্তব্যগুলোর বিরুদ্ধে বলি, সেই একই যুক্তিগুলো এখানেও খাড়া করা যায়।

    কিন্তু সাম্রাজ্যবিস্তারের সাথে এর বিরাট তফাত রয়েছে। এক নং ওই সোভিয়েত কথাটা আগেই এক্সপ্লেইন করেছি। সোভিয়েত মানে রাশিয়া নয়। লেনিনের এই বক্তব্যটা থেকে যেটা বেরোচ্ছে সেটা হল সমস্ত দেশে ওয়ার্কিং ক্লাস ক্ষমতা দখল করবে - যেটা নট নেসেসারিলি "সাম্রাজ্যবাদ'।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন