এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মার্ক্সিজম রাষ্ট্র বাজার ও কিছু ক্লিশে

    aka
    অন্যান্য | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ | ৪১৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 203.110.243.21 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ২০:৩৩435678
  • ইরাকি সেনারা কুয়েতের হাসপাতালে ঢুকে শিশুদের শুন্যে ছুঁড়ে বেয়োনেটে গেঁথেছে-এই গুজব কে ছড়িয়েছে কেউ জানেনা। কিন্তু এতেই ইরাক আক্রমণের আদ্দেক পথ তৈরি হয়েছিল!

    কিন্তু গুজব ""লড়াইয়ের রাস্তা""-এই ব্যাপারটা ঠিক বোধগম্য হল না।
  • kallol | 124.124.93.202 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ২০:৪৭435679
  • ইরাক কুয়েতে আক্রমনকারী হিসাবে কুয়েতের মানুষের খবর পাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়। তাতেই গুজব।
    লড়াই শুধু প্রতক্ষই হয় না।
  • aka | 24.42.203.194 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:৪৯435680
  • রঞ্জন-দা, আসলে সেখানেই বক্তব্য। বিকল্প জানতে হলে মনে হয় জার্মানি, ফ্রান্স বা ইংল্যন্ডে এবং অন্যান্য জায়গায় কমিউনিস্ট আন্দোলনের গতি প্রকৃতি কেমন সেটা দেখা মনে হয় জরুরী।

    আর আপনার ৫ নং পয়েনের সাথে বিরাট বড় ক। এটা আমার একটা বড় প্রশ্ন। বামপন্থা নাকি উন্নততর গণতন্ত্র অথচ সেদিনের রাশিয়া, থেকে আজকের চীন, কিউবা - ইতিহাস কিন্তু তা বলে না। অথচ অন্যদিকে গণতন্ত্রের সর্বোত্তম বিকাশ ঘটছে ধনতন্ত্রের সর্বোত্তম বিকাশ যেখানে সেখানেই। সব কেমন গুলিয়ে যায়।
  • de | 59.163.30.4 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৩৯435681
  • aka র প্রথম কোশ্চেনেয়ারের উত্তর দেওয়ার মতো কি কেউ নেই? খুব আশায় আছি, যদি কেউ লেখেন।
  • lcm | 69.236.169.214 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৩:১১435682
  • সোস্যালিজ্‌ম এর ফ্যালাসি নিয়ে একটা গল্প আছে ----

    টেক্সাস-এর এক কলেজে একজন ইকনমিক্‌স প্রফেসর-এর একটা ব্যাচের স্টুডেন্টরা দাবী করে যে - মার্ক্সিজম/সোস্যালিজ্‌ম নিশ্চয়ই কাজের জিনিস... কেউ ধনী নয়, কেউ গরীব নয়, সবাই সমান - এতে অসুবিধে কোথায়?

    প্রফেসর বললেন ঠিক আছে, একটা এক্সপেরিমেন্ট করা যাক। এখন থেকে পরীক্ষায় এই ক্লাসে সবাই সমান গ্রেড পাবে, যাতে করে কেউ A পাবে না, আবার কেউ ফেল করবে না। সবাইকে অ্যাভেরেজ গ্রেড যা হবে তাই দেওয়া হবে। সবাই সমান পাবে।

    প্রথম টেস্টের পর সব স্কোর নিয়ে অ্যাভেরেজ করে দেখা গেল সবাই B পেয়েছে। যারা খুব পড়াশোনা করেছিল তারা একটু আপসেট হল, আর যারা খুব বেশী পড়াশোনা করে নি তারা বেশ খুশী।

    সেকেন্ড টেস্টে দেখা যারা আগে একটুও পড়াশোনা করছিল, তারা আরো কম পড়ল। আর যারা আগে প্রচুর পড়াশোনা করছিল, তারাও ফ্রি রাইড নেবার জন্য কিছুই প্রায় পড়ল না। অ্যাভারেজ হল D। সবাই একটু অখুশী।

    থার্ড টেস্টে অ্যাভেরেজ হল F
    ----
    ক্যাপিট্যালিজ্‌ম এর মোদ্দা কথা হল ক্যাপিট্যাল/সম্পদ-এর ক®¾ট্রাল মানুষের ওপর ছেড়ে দাও। যার আছে, আর, যার নেই, দু পক্ষই চেষ্টা করুক সম্পদ বৃদ্ধির বা অর্জনের। কিন্তু এতে একটা অসুবিধে আছে, যাদের নেই অর্থাৎ, হ্যাভ নট-দের দল - তাদের কোনোদিন সুযোগ আসবে এমন কোনো গ্যারান্টি নেই। অর্থাৎ, অনেকের ক্ষেত্রেই জন্মের সময়ই ঠিক হয়ে যাচ্ছে সে কোন দলে পড়ছে।

    একে ট্যাকল করতে আছে সোস্যালিস্ট ক্যাপিট্যালিজ্‌ম। অর্থাৎ, যার অনেক অনেক আছে তাকে গভর্নমেন্ট অবলিগেট করুক সমাজে কϾট্রবিউশন বেশী করতে। কি ভাবে? বেশী আয়ের মানুষ বেশী ট্যাক্স দেবে। বড় কর্পোরেশনকে তাদের লাভের অংশ থেকে ইনফ্রাস্ট্রাকচারে পয়্‌সা দিতে হবে... পার্ক/রাস্তা বানানোতে কϾট্রবিউট করতে হবে... বড় বড় রিয়্যাল স্টেট কোম্পানীকে দামী কমপ্লেক্স বানানোর সঙ্গে সঙ্গে শস্তার অ্যাপার্টমেন্ট বানিয়ে দিতে হবে লো ইনকাম মানুষদের জন্য... ... ইত্যাদি। আমেরিকা ছাড়াও অন্য অনেক ক্যাপিট্যালিস্ট দেশ ধীরে ধীরে এদিকে যাচ্ছে।
    ------
  • aka | 168.26.215.13 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৪৩435683
  • ল্যাদোষ-দার গপ্পোটা ভালো। কিন্তু আমাকে গুরুজনেরা পড়া করতে দিয়েছেন আর আমি বাধ্য ছাত্র। ওদিকে মাস্টারমশাইরা কিছু লেখে না তাই আমিই ভাট বকি?

    ল্যাদোষ-দা যে উদাহরণটা দিয়েছে তাহল সাম্যবাদী দুনিয়ায় সম-বণ্টন/সুষম বন্টন/ পক্ষপাতহীন বন্টন যাকে বাংলায় ফেয়ার ডিস্ট্রিবিউশন বলে সে সম্বন্ধে আমাদের ধারণা। দেখা যাক মার্ক্স সাহেব কি বলেছেন।

    এইযে আজকের বন্টন ব্যবস্থা বুর্জোয়ারা বলে থাকে এটাই সবথেকে ভালো উপায়। এরজন্য আইন কানুনও আছে। কিন্তু সোশ্যালিস্টরা এই বন্টন ব্যবস্থাকে পক্ষপাতহীন বলে না। তারা বলে যে সমাজে শ্রমিকের কাজ করার উপকরণগুলি সমাজের সম্পত্তি এবং শ্রম সমাজের কো-অপারেটিভ দ্বারা নির্ণীত সেই সমাজে শ্রমের ওপর সকলের সমান অধিকার।

    কেমন হল? এমনকি যারা কাজবাজ করে না তাদেরও?

    মার্ক্স সাহেব বললেন যে ""সকলের সমান অধিকার"" আসলে কিন্তু অলংকার মাত্র, শুধু ঐ কয়েকটি কথায় আটকে গেলে ভুল করবেন কমরেড।

    কিরকম? সমাজে শ্রমিক শ্রম দিল, তৈরি হল শ্রমের ফসল (undiminished proceeds of labour)। এইবারে সেখান থেকে অনেক কাটাকুটি হবে। এক, উৎপাদন করতে যা যা খরচ হয়েছে সেইসব আবার জায়গায় জিনিষ জায়গায় রাখতে হবে। দুই, উৎপাদন বাড়াতে যা যা লাগবে সেটাও খেয়াল করতে হবে, কারণ একই হারে উৎপাদন করে গেলে তো চলবে না। তিন, যাকে আমরা আজকের দুনিয়ায় বেনিফিট বলি ঐ ইন্সিওরেন্স ইত্যাদি ইত্যাদি।

    সবই তো বুঝলাম। কিন্তু শ্রমের ফসল (কবি যাকে undiminished proceeds of labour) সেটা বের করা হবে কিকরে? তো সাহেব বললেন সে বড় কঠিন অংক। কি জন্য শ্রম দেওয়া হচ্ছে, সমাজে বিলি হবার সম্ভাবনা কতটা ইত্যাদি অনেক কিছু দেখতে হবে। কিন্তু যা হবে না তা বলতেই পারি। কিছুতেই সব সমান হবে না। মানে মুড়ি আর মুরকির অক্ষয়, অজয় শ্রমের ফসল এক হবে না।

    (আরও খানিকটা বাকি আছে, লিখছি, সঙ্গে থাকুন)।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:১৮435684
  • কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়। ব্যক্তির মধ্যে অক্ষয় শ্রমের ফসল (undiminished proceeds of labour) ভাগ বাঁটোয়ারা করার আগে আরও হিসেব নিকেশ বাকি আছে।

    আরও কিছু জিনিষ কেটে নিতে হবে। এক, যারা পুরো ব্যপারটা দেখভাল করছেন তাদের খরচ আছে, সেটা কাটতে হবে (পড়ুন ট্যাক্স)। অবশ্য উনি বলেছেন যে সমাজ যত উন্নত হবে এই ট্যাক্সের পরিমাণ কমবে। দুই, সমাজের যা কিছু সর্ব সাধারণের জন্য যেমন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদির জন্য যা লাগে (এটাও ট্যাক্স)। তিন, যারা কাজ করতে পারে না তাদের জন্য (সোশ্যাল সিকিউরিটি, মেডিকেয়ার ইত্যাদি)।

    এই এতসব কাটাকুটির পরে যা পড়ে থাকবে তা ব্যক্তির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। কিভাবে? এখানেও কিন্তু সম-বন্টন ধরে নিলে ভুল করবেন। ও শুধু কথায় হয়। হ্যাঁ তাও এই ব্যবস্থা সমান অধিকারের ব্যবস্থা। কিরকম? না যেকোন ব্যক্তি ব্যক্তিগত সম্পতি হিসেবে ততটাই পাবে সমাজে সে যতটা শ্রম দিয়েছে। সবাইকে শ্রমের সমান দাঁড়িপাল্লায় মাপা হবে।

    কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে সবাই সমান নয়। কেউ খুব পরিশ্রমি, কেউ বুদ্ধিমান, কেউ আবার একটু কম পরিশ্রমি, হাতের পাঁচটা আঙুল সমান নয়। কে কতটা শ্রম দিল তার ওপরেই নির্ভর করবে সে কতটা ফেরত পাবে। সমান অধিকার আসলে শ্রমের ভিত্তির বৈষম্যের ন্যায্য একটা ব্যবস্থা। সমাজে একটাই শ্রেণী তাহল শ্রমিক শ্রেণী। কিন্তু সবাই সমান নয়। তার ওপরেও দেখতে হবে যে কেউ বিবাহিত, কারুর চারটে বাচ্ছা, কারুর পাঁচটা ইত্যাদি ইত্যাদি। ঠিক সবার জন্য সমান জায়গা নয় কিন্তু শ্রেণীবিহীন সমাজ। যৌথ খামার যখন আরও উন্নত হবে তখন আর এসব থাকবে না।

    শুনতে বেশ ভালো লাগে। সবাই সমান কিন্তু সমান নয়। জন্মগত সূত্রে গরীব হবার জন্য আর কাউকে আটকে থাকতে হবে না। ইত্যাদি ইত্যাদি।

    কিন্তু বাস্তবে ধনতন্ত্র কাটিয়ে উন্নততর সমাজে পৌঁছনর আগেই সেই সমাজতন্ত্র ভেঙে পড়েছে সর্বত্র। তবে কি সাহেব সদ্যো ধনতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা সমাজের মাথাদের ওপর বেশি আশা করেছিলেন? হ্যাঁ আমার মতে সমাজের মাথা মানে কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা তখনও থাকবে। ঐ যারা ঠিক করবে undiminished proceeds of labour কি? যারা স্কুল গড়বে ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই সমাজও শ্রেণী বিহীন হল না। কিছু লোক সমাজের মাথা হয়ে বসে রইল, সাথে ক্ষমতাও কেন্দ্রীভূত হল সেখানে। অন্তত ইতিহাস তাই বলে। নয় কি? জানতে চাই। এইহল রঞ্জন-দার পাঁচ নং পয়েন, ল্যাদোষ দার পোস্ট আর আমার ১০ নং প্রশ্ন।

    এরপরে মাস্টারমশাইরা ভুল ত্রুটি শুধরে দেবেন।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:৩০435685
  • চাপ যাচ্ছে। তাই ছোটোখাটো ফুক্কুড়ির বেশী কিছু লিখতে পারছি না। দুটো কথা মনে এল -

    ১) সমাজতন্ত্র এবং সাম্যবাদের দুরকমের নিয়ম। সমাজতন্ত্র মানে আজ্জো যেটা বল্ল সেইটা। অর্থাৎ যে যেমন দেবে সে তেমন পাবে। অন্তর্নিহিত অর্থে এটা একটা বুর্জোয়া নিয়ম। আর সাম্যবাদের নিয়মটা হল সকলে তার সাধ্য মত দেবে আর প্রয়োজন অনুযায়ী নেবে। 'সাধ্য' এবং 'প্রয়োজন' শব্দদুটিতে আন্ডারলাইন। এই সমাজের দুটি পূর্বশর্ত আছে - ক) উৎপাদন গোটা সমাজের প্রয়োজনকে মেটানোর মত যথেষ্ট হতে হবে। খ) এই সমাজকে ধারণ করতে চাই নতুন মানুষ। এই 'নতুন মানুষ' শব্দে আবার আন্ডারলাইন। কারা নতুন মানুষ? না, যারা ব্যক্তিগত সম্পত্তিহীন সমাজে বড় হয়েছে, বুর্জোয়া ব্যক্তিসম্পত্তি বোধ কি - সেটা যারা বোঝে না, বা বুঝলেও সেই বোধ থেকে সচেতনভাবে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। সমাজতন্ত্রের সফল প্র্যাকটিস ঠিক কত বছর চললে এই দুটো পূর্বশর্ত পূরণ হতে পারে - সে ব্যাপারে কারুর কোনও ভবিষ্যৎবাণী নেই।

    ২) গোটা পৃথিবীর প্র্যাকটিস সমাজতন্ত্রে এসেই আটকে গ্যাছে। তাই সাম্যবাদের প্রকল্পটা ঠিক কি ভুল - সে নিয়ে আলোচনার আগেই সমাজতন্ত্রের প্রকল্পটার ঠিক ভুলের আলোচনা চলে আসে এবং অনেকেই এই দুটো ধরণের সমাজব্যবস্থার পার্থক্যটা না বোঝায় একটির ভুল অন্যটির ঘাড়ে চাপিয়ে আলোচনা হয়।

    সমাজতন্ত্রের প্র্যাকটিস আজ্জো যেমন বল্ল, ঠিক সেইরকম কিছু সমস্যার জন্ম দিয়ে গ্যাছে। অর্থাৎ ডিস্ট্রিবিউশনের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে কিভাবে থাকবে? সেই নিয়ন্ত্রণ থেকে আবার একটা ক্ষমতাশালী শ্রেণী তৈরী হবে কি না? (বাস্তবে দেখা গেছে হয়েছে) - এগুলো অত্যন্ত ভ্যালিড প্রশ্ন। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে - এই প্রশ্নগুলো, আর সাম্যবাদে লোকে ল্যাদে কাজ করবে না - এই ধরণের অভিযোগগুলো একই সাথে জড়িয়ে পেঁচিয়ে আলোচনা করা যায় না। তাই প্রথমে এই দুটোকে আলাদা করতে হবে।

    আমার পার্সোনাল ওপিনিয়ন হল দ্বিতীয় অভিযোগটা অনেক সহজে অ্যাড্রেসযোগ্য। অর্থাৎ গিভেন দ্য সিচুয়েশন, যেখানে সাম্যবাদের পূর্বশর্তগুলো (ক ও খ) সমাজতন্ত্রের একটা দীর্ঘ ও সফল প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে অ্যাচিভড, সেখানে সাম্যবাদ যে অলীক প্রকল্প হবে না - সেটা যুক্তি দিয়ে আলোচনা করা সহজ। কিন্তু প্রথমটা নয়। অর্থাৎ সমাজতন্ত্রের দীর্ঘ ও সফল প্র্যাকটিস কিভাবে একইসাথে পর্যাপ্ত উৎপাদনকে এনসিওর করবে এবং নতুন মানুষ তৈরী করবে - এটা দুমদাম দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায় না। কাজটা কঠিন এবং সব প্রশ্নের উত্তর হাতে গরম রেডী থাকলে গোটা পৃথিবীতে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের এই দুর্দশা হত না।

    কিন্তু এতদ্‌সঙ্কেÄও আমার মতে বিকল্পের অন্বেষণ কেন করব - এই প্রশ্নটা একটা জীবন দর্শনের সাথে যুক্ত এবং প্রত্যেককে তার তার মত করে দার্শনিক স্তরেই উত্তরটা পেতে হবে। তবেই মার্ক্সবাদ যদিবা কখনও ভুল প্রমাণিতও হয়, তাহলেও বিকল্পের খোঁজটা থাকবে। কারাগারের গায়ে সেটা একটা হাতে আঁকা জানলার মত। হাতে আঁকা হলেও যেটা জানলাই।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:৩৩435686
  • ঠিক বুঝতে পারছি না, লাস্ট লাইনদুটো কারুর থেকে একটা ঝাড়লাম বলে মনে হচ্ছে। :-(
  • kd | 59.93.192.14 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:৪৭435688
  • রিয়ালিটি বলে, দেয়ালে যতই জানলা-দরজা আঁকো না কেন, পালাবার সময় দেখবে ওটা দেয়ালই - তবে যারা স্বপ্ন দেখে (বা গ্যাঁজা খায়), তারা অন্য কিছু দেখতেই পারে।

    জানি জানি, আমি অত্যন্ত নীরস ব্যক্তি। আমার বেশীরভাগ কবিতার বই দেখলেও গাছগুলোর জন্যে কষ্ট হয়।
  • anandaB | 170.35.224.65 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৪:২২435689
  • কেনো জানি না প্রেমেন্দ্র মিত্রের ঐ কবিতা টা মনে পড়ে গেলো....

    দরজা জানালা ভেজাও যত না
    আকাশ-ই তোমায় খুঁজবে
    পাল্লা সার্সি ফাটলে ফুটোয়
    কত কাঁথাকানি গুঁজবে
    উঁকি দেবে, দেবে, দেবেই
    যতই ভাব না কিছু নেই, একদিন ঠিক
    শিরায় ও শোণিতে
    ছট্‌ফটে ছোঁওয়া বুঝবে
  • aka | 24.42.203.194 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৫০435690
  • পিনাকি জানলার বাইরে অতল খাদ আছে কিনা দেখতে হবে না? :))

    সমাজতন্ত্রে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে এটা ঘটনা। কিন্তু তঙ্কÄগত ভাবে আনডিমিনিশড প্রসিডস অফ লেবার কিভাবে নির্ণয় করা হবে এটা বোধহয় আরও বড় প্রশ্ন।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৬ এপ্রিল ২০১০ ২০:১৭435691
  • টইটা আমি খুলেছি তাই প্রোমোট করার একটা দায় থেকেই যায়। মার্ক্সবাদ নিয়ে আমাদের পিরিয়ডিক পর্যালোচনা আবার শুরু হয়েছে তাই তুলে দিলাম।

    আরও একটা টই।

    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1208165215234&contentPageNum=4

    র, ব্যবহারিক মূল্য আর বিনিময় মূল্য নিয়ে প্রশ্ন

    ক্যাপিটালিজমের আগে ছিল C-M-C* (C- Commodity, M- Money, C*-New Commodity) তারপর ক্যাপিটালিজমে হল M-C-M* (M* > M)। আগে দ্রব্যের ওপর সম্পূর্ণ অধিকার ছিল শ্রমিকের কিন্তু এখন উৎপাদিত দ্রব্যের ওপর শ্রমিকের আর কোন অধিকার নেই। এই যে নতুন M*-M তৈরি হল তা গেল মালিকের পকেটে। ফলত শ্রমিকের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হল।

    এটা খুব অনৈতিক হল। কারণ উৎপাদিত বস্তুর ওপরে পুঁজি এবং শ্রমের সমান অধিকার থাকা উচিত। এইখানেই আমার প্রশ্ন আছে?

    পৃথিবী যত এগিয়েছে এবং আমরা শিল্পকেন্দ্রিক ও নগরকেন্দ্রিক জীবনের দিকে এগিয়েছি ততই তো গায়ে গতরে খাটার মূল্য কমবে। এবং উৎপাদিত বস্তুর ওপর শ্রমের থেকেও অন্য কিছুর অধিকার বেশি হবে। যেমন নলেজ ইকনমিতে বুদ্ধির দাম সবথেকে বেশি। আজকের আমেরিকায় সেরকম একটা প্যাটেন্ট থাকলে আর পায় কে? তার দাম কিন্তু পুঁজির থেকেও বেশি। প্রশ্নটা হল এটা কি একটা ন্যাচারাল ট্র্যানজিশন নয়? এটাকে এত অনৈতিক ভাবার কি আছে?
  • aka | 168.26.215.13 | ১৬ এপ্রিল ২০১০ ২০:৪৭435692
  • ধরা যাক একটা সিনারিও

    রামবাবুর কাছে প্রচূর টাকা আছে সে শ্যামবাবু নামক বিজ্ঞানীকে আল্পসের পর্বতে ছুটিতে পাঠিয়ে বললে পার্সোনাল কম্পিউটারের সাথে কমপিট করতে পারে আমার এমন একটা প্রোডাক্ট চাই। ছয়মাস সময়, এই ছয়মাসে শ্যামবাবুর যাবতীয় খাই, খরচা রামবাবু বহন করলেন। শুধু তাই নয় প্রচূর টাকা পয়সাও দিলেন। এবারে শ্যামবাবু একটির বদলে দুটি প্রোডাক্ট ডিজাইন করলেন। রামবাবুর দুটোই পছন্দ হল। তারপর রামবাবু আমার মতন শ্রমিক নিযুক্ত করে দুটোই ডিজাইন করলেন বাজারে নিয়ে গেলেন। তখনো তিনি জানেন না আদৌ লাভ করবেন কিনা? এদিকে সব মিলিয়ে ২ মিলিয়ন ডলার বেরিয়ে গেছে।

    এবারে বাজারে গেলে উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি না হলে রামবাবুর গেল গিয়ে।

    প্রশ্ন হল এক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত মূল্যের ওপর অধিকার কার কতটা? রামবাবু, শ্যামবাবু নাকি আমার? ধানচাষের ক্ষেত্রে ব্যপারটা খুব সোজা। কিন্তু এইক্ষেত্রে ব্যাখ্যা টা কি জানতে চাইছি।

    এবারে প্রশ্ন করাই যেতে পারে পার্সোনাল কম্পিউটার থাকলে আবার একটা নতুন জিনিষের কি দরকার? তার ব্যবহারিক মূল্য কতটা। ব্যবহারিক মূল্য আছে তো, যেমন টাইপ করা থেকে টাচ স্ক্রীন। ফোন থেকে স্কাইপ ইত্যাদি। নগরকেন্দ্রিক উপযোগীতা। মানুষ সেই দিকে হেঁটেছে বলেই পুঁজিবাদ এসেছে না পুঁজিবাদ এসেছে বলেই মানুষ সেই দিকে হেঁটেছে?
  • Arpan | 112.133.206.20 | ১৬ এপ্রিল ২০১০ ২১:০১435693
  • উদ্বৃত্ত মূল্যের উপর আল্পসের অধিকার ভুলে যাবেন না কমরেড!
  • stoic | 160.103.2.224 | ১৬ এপ্রিল ২০১০ ২২:৪০435694
  • শ্যামবাবু খামোখা দুটো প্রোডাক্ট ডিজাইন করতে গেলেন কেন? আর করলেনই বা যদি, সেটা রামবাবুকে কেদ্দানী করে বলতে গেলেন কেন? একটা রামবাবু কে দিয়ে অন্যটা অন্য এক কম্পিটিটর কোম্পানি কে দিলেন না কেন বেশী দামে? :-)
  • aka | 168.26.215.13 | ১৬ এপ্রিল ২০১০ ২২:৪৮435695
  • লোকে এমন ছিদ্রান্বেষী টাইপ কি বলব। :)) ঠিক ধরেছে।

    আসলে বক্তব্য ছিল একটা প্রোডাক্ট বেশ বেশি দামে বাজারে বিক্রি হল কিন্তু অন্যটি হল নি। রাম বাবু দুই মিলিয়ন খরচ করে দুটি প্রোডাক্ট বেচে দুই মিলিয়ন পেলেন।

    অন্যদিকে শ্যামবাবু এবং আমি দুজনেই আমাদের প্রাপ্য বকেয়া পেয়ে গেছি। এদিকে এত কিছু করে রামবাবুর খাতায় নেট উদ্বৃত্ত মূল্য শূন্য। রামবাবু এত কিছু না করে টাকা ব্যাঙ্কে সুদে খাটালেই পারতেন।

    এইসব আর কি। কিন্তু লিখতে লিখতে বসে তাড়া দিলে বলে আর লিখলুম না। মোদ্দা যুক্তিটা একই থাকে।
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১৭ এপ্রিল ২০১০ ০০:১১435696
  • যদ্দুর মনে পড়ছে, মার্ক্সের ইকনমিক বক্তব্যে সারপ্লাস ভ্যালু চুষে খাওয়া অনৈতিক ব্যাপার এটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট ছিল না। মার্ক্সের থিসিস ছিল এই রকম। মালিকের চেষ্টা যথাসম্ভব সারপ্লাস ভ্যালু এক্সট্রাক্ট করা। যদি মালিক সাকসেসফুলি সেটা করতে পারে, তো শ্রমিকের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে বিক্কিরি কমে। অ্যান্ড ইট স্টার্টস এ ডাউনওয়ার্ড স্পাইরাল। যেটাকে ম্যানিফেস্টোতে 'অতি উৎপাদনের মহামারী' বলা হয়েছে।

    এইটে মার্কসের লার্জার স্কীমে ফিট করে যায়। একটা উৎপাদন ব্যাবস্থা কিছুদিন ঠিক থাকে। তারপর ইকনমি (অ্যান্ড সোসাইটি) সেই ব্যাবস্থার মধ্যে আর ইভলভ করতে পারে না। তখন নতুন একটা উৎপাদন সম্পর্কের দরকার হয়।

    কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ নিয়ে কিছু বললাম না। শুধু মার্ক্সের লেখায় মরালিটির বাইরেও একটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট ডাইমেনশন আছে সেটা মনে করিয়ে দিলাম।
  • ranjan roy | 122.168.209.255 | ১৭ এপ্রিল ২০১০ ০৫:৩৭435697
  • শিবু'র বক্তব্য নিয়ে ক।অর্থাৎ মার্ক্স ইকনমিক অ্যানালিসিসে অবজেক্টিভ থাকার চেষ্টায় সেখানে নিজস্ব ভ্যালু জাজমেন্ট আরোপিত করেন নি।
    কিন্তু তারপর? ম্যানিফেস্টো তো ওই অ্যানালিসিসের ভিত্তিতে ভ্যালু-বেসড অ্যাকশন প্রোগ্রামের ডাক।
  • Sibu | 173.128.85.190 | ১৭ এপ্রিল ২০১০ ১০:২৬435699
  • রঞ্জনদা,

    মার্কসের লেখায় বা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ভ্যালুর জায়গা নেই তা নয়। তবে আমার বক্তব্য ছিল ভ্যালুর প্রশ্ন বাদ দিলেও মার্কসের মতামতের একটা বড় অংশ (হয়তো বা সবচেয়ে সারালো অংশ) বাকী থাকে।
  • aka | 24.42.203.194 | ১৯ এপ্রিল ২০১০ ০৭:২৯435700
  • আচ্ছা অনৈতিক নয় এক্সপ্লয়টেশন বাই দা অপ্রেসর। এরকমই বলেছিলেন বোধহয়।

    আমার কেমন ধারণা ছিল, এই এক্সপ্লয়টেশনের বিরুদ্ধেই শ্রেণী সংগ্রাম এবং আন্দোলন। নইলে তো সরকারী হস্তক্ষেপে ক®¾ট্রাল করা যায় বোধহয়।

    প্রশ্ন ছিল সারপ্লাস ভ্যালুর এক্সপ্লয়টেশনের ব্যাখ্যার দিকে? আর ক্যাপিটাল অ্যাকুমুলেশনের প্রয়োজনীয়তার দিকে।

    ক্যাপিটাল অ্যাকুমুলেট না হলে রামবাবু টাচস্ক্রীন আবিষ্কার করার জন্য শ্যামবাবুকে টাকা দেবে কি করে? আর তারপর সেই জিনিষ তৈরি করার জন্য আমাকেই বা টাকা দেবে কি করে?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৯ এপ্রিল ২০১০ ১০:২২435701
  • একটা ব্যাপার হল আজ্জো ধানচাষ (রাদার তুলোচাষ) আর কয়লাখনি/জাহাজ-কারখানা/কটন-মিল-এর পার্স্পেক্টিভে তৈরী থিওরিগুলোকে আইফোং/গুগুল/টাচ্‌স্ক্রীনের সাথে ম্যাপ করতে চাইছে। হয়তো হয় - কিছুটা। কিভাবে হয়, কতটা হয় সেটা নিয়ে অনেক ভাবতে হবে। আরেট্টু পড়া মনে করতে হবে। অফহ্যান্ড এইটাই মনে হল...
  • Sibu | 72.62.179.89 | ১৯ এপ্রিল ২০১০ ১১:২৬435702
  • ক্যাপিটাল সারপ্লাস ভ্যালু এক্সপ্লয়েট না করেও অ্যাকুমুলেট হতে পারে। শ্রমিকের সঞ্চয়ের টাকা ধার নিয়ে ক্যাপিটাল অ্যাকুমুলেটেড হতে পারে। ডেফিসিট ফাইন্যান্স করা যেতে পারে আরেন্ডির খরচ।

    মার্কসের মূল বক্তব্য ছিল এই রকম। মিনস অফ প্রোডাকশনের ব্যাক্তিগত মালিকানা থাকলে সারপ্লাস ভ্যালু এক্সট্রাক্ট করা হবেই। এবং সে হলে ইভেনচুয়ালি ডিম্যান্ড সাইডে ধ্বস নামবে। তখন নতুন উৎপাদন সম্পর্ক ছাড়া সমাজ এগোতে পারবে না। কমিরা যখন ক্যাপিটলিজমের ধ্বংসের অবশ্যম্ভাবিতার কথা বলে, তখন এই অ্যানালিসিসের কথা মাথায় রেখেই বলে।

    ডি: মার্কসকে ডিফেন্ড করা আমার কাজ নয়, আই ডোন্ট গেট পেড ফর দ্যাট। জানা মতে তথ্যগুলো মনে করিয়ে দিতে চাই, এই টুকুই।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ এপ্রিল ২০১০ ১৯:৪০435704
  • শিবুদা, এইটা পড়েছি। এটা নিয়েও প্রশ্ন ছিল আগে করেছি।

    এখন প্রশ্নটা অজ্জিত যা বলল তাই। যতটুকু পড়েছি, বুঝেছি তাতে শ্রম ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্কটা মার্ক্সের মতে খুবই জেনেরিক। কিন্তু ঠিক মতন বুঝতে পারি না। তাই জিগ্যেস করলাম।

    ক্যাপিটালিস্ট ইকনমিকে ডিফেন্ড করাও আমার উদ্দেশ্য নয়। ইভেন আই ডোন্ট গেট পেইড ফর দ্যাট। পড়াশুনো করলে প্রশ্ন তো আসবেই। চোখ বন্ধ করে ছোটবেলায় মেনে নিতাম। এখন চোখ খুলে রাখি, কদিন বাদেই আবার চালসের হাতছানি তদ্দিনে যতটুকু জানা, বোঝা যায়। ;)

    হাতের কাছে বিদ্দজনদের পেলে যা লাভ আর কি।
  • aka | 168.26.215.13 | ২১ এপ্রিল ২০১০ ২০:০১435705
  • সেদিন যা প্রশ্ন করেছিলাম যে মার্ক্সের সারপ্লাস ভ্যালু থিওরি সমস্ত ইকনমি এবং সমস্ত প্রোডাক্ট ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে খাটে কিনা। খুব ইন্টিউটিভলি মনে হয়েছিল বেসিক অ্যাজাম্পশনটা হল যেকোন রকম উৎপাদনে উদ্বৃত্ত মূল্যে শ্রম ও পুঁজির অনুপাত সমান। বাস্তবে সেটা নয়। যেখানে উৎপাদনে শ্রমই সবকিছু যেমন ধানচাষ সেখানে সারপ্লাস ভ্যালু থিওরি খাপে খাপে মিলে যায় কিন্তু রামবাবু, শ্যামবাবু এবং আমার কোম্পানিতে মেলানো খুব মুশকিল। বড়রা উত্তর দিলে না। তাই কাকুরে জিগালাম।

    সেখানে পাইলাম যে এই নিয়ে বিস্তর কাজকম্মো হয়েছে। সেই ১৯০৬ সাল থেকে ১৯৭১ সাল অবধি। মার্ক্স নিজেই ক্যাপিটাল ভল্যুম III তে এই সমস্যার কথা প্রথম বলেন এবং এই নিয়ে কাজ করতে গিয়ে শেষ অবধি হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। সমস্যাটির গাল ভরা নাম হল ট্র্যান্সফরমেশন প্রবলেম। উনি যা সলিউশন দিয়েছেন তা পরবর্তী কালে Böhm-Bawerk (1896) and Bortkiewicz (1906) ভুল প্রমাণ করেছেন। তারপর বিভিন্ন সময়ে মার্ক্সসিস্ট ও বুর্গোসিস অর্থনীতিবীদরা এই নিয়ে চাপান উতোর চালিয়েছেন।

    সবথেকে কমপ্রিহেন্সিভ কাজ মনে হয় করেছেন সামুয়েলসন - Understanding the Marxian Notion of Exploitation: A Summary of the So-Called Transformation Problem Between Marxian Values and Competitive Prices

    সেখানে উনি যা বলেছেন তার সার সংক্ষেপ হল (by Abba Lerner ) (সামুয়েলসনের মূল লেখাটিও জেস্টোরে আছে, খুব ইন্টারেস্ট থাকলে পড়ে দেখতে পারেন)

    In his article on the Marxian notion of exploitation, in June 1971, Professor Sumelson demonstrate in impressive detail that the undiluted labor theory of value of Marx' Capital, Volume I is valid only for an economy where homogeneous labor is the only scare factor of production. It is therefore a complete failure in explaining exchanging exchange values or relative prices in an economy that has ever existed. This is recognized by sophisticated marxist (to be distinguished from true believers of in the Volume I theory of value) as the problem of "transforming values into prices of production" - a problem discussed in Volume III and in great deal of Marxist literature.

    প্রসঙ্গত ডি:, শ্রমিকের শোষণের গল্প এতে মিথ্যে হয়ে যায় না।
  • aka | 168.26.215.13 | ২১ এপ্রিল ২০১০ ২২:২৩435706
  • শ্রমিকের শোষণের গল্প এতে মিথ্যে না হলেও অন্য একটা অসুবিধা হয়। সাহেব সারপ্লাস ভ্যালু থিওরির সাহায্যে দেখিয়েছিলেন যে উন্নত পরিবেশে কনস্ট্যান্ট ক্যাপিটাল (মেশিন, রোবট ইত্যাদি) যত বাড়বে এবং ভ্যারিয়েবল ক্যাপিটাল (লেবার) যত কমবে প্রফিট তত কমবে। কারণ, তাতে উদ্বৃত্ত শ্রমের সময় কমবে, যত উদ্বৃত্ত শ্রমের সময় কমবে তত কমবে উদ্বৃত্ত মূল্য এবং তত কমবে প্রফিট। কারণ ওনার মতে উদ্বৃত্ত মূল্য = উদ্বৃত্ত শ্রম। আর ক্যাপিটালিস্ট তত খেপে যাবে এবং প্রফিট বাড়াতে শ্রমিককে তত বেশি করে শোষণ করবে। এইভাবে যখন শোষণের বাড়াবাড়ি শুরু হবে শ্রমিক তখনই বিপ্লব আসবে ইত্যাদি। ওনার মতে এটাই ছিল "the most important law of political economy"

    কিন্তু দেখা গেল কি? না উদ্বৃত্ত মূল্য শুধুই উদ্বৃত্ত শ্রম নয়। তাহলে কি ওনার "the most important law of political economy" তঙ্কÄটি ভুল? আবার প্রশ্ন রইল। ফুটকিবাবুর কানে তালা ধরেছে মনে হয়।
  • Sibu | 173.153.121.33 | ২২ এপ্রিল ২০১০ ০৯:৫৫435707

  • http://en.wikipedia.org/wiki/Transformation_problem

    Empirical Marxists, including Anwar Shaikh, Moshe Machover, and Paul Cockshott, maintain that since empirical data bears out the correspondence of prices and labour values, the transformation problem is irrelevant.

  • Sibu | 173.153.121.33 | ২২ এপ্রিল ২০১০ ০৯:৫৮435708
  • অকর ১০:২৩-এর পোস্টে টাইপো আছে। সাহেবের নাম লেখা হয় নি। কোন সাহেবের কথা বলা হল?
  • . | 125.18.104.1 | ২২ এপ্রিল ২০১০ ১২:০৮435710
  • আমার আর এ সব পোষায় না। বাইরে খুব গরম। প্রতিদিন আপিসে আসতে হয়। ঘুম ছাড়া আর কিছু ভালো লাগে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন