এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • similia similibus curentur - হোমিওপ্যাথি কী বিজ্ঞান? অপ-বিজ্ঞান? না নাকি অ-বিজ্ঞান?

    SB
    অন্যান্য | ১১ জানুয়ারি ২০১০ | ৭৯১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • SB | 114.31.249.105 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:০৫437264
  • পিটিদা, অ্যালোপ্যাথিক অষুধের কার্যকারিতা আনবিক স্তরে ব্যাখ্যা করা যায়? কিন্তু যে শুনি প্যারাসিটামলের মত একশ বছরের বেশী পুরনো মলিকিউলেরও মোয়া (MOA=mechanism of action) পর্যন্ত বিজ্ঞানিরা সঠিক ভাবে জানাতে অক্ষম!! ইদানিং ব্রেন আর স্পাইনাল কর্ডের কক্স-৩ এনজাইমের ওপর প্যারাসিটামলের অ্যাকশন আছে বলে বিজ্ঞানিরা 'বিশ্বাস' করছেন :-) তাই নাকি জ্বর কমে, ব্যাথা কমে!

    আমার সিম্পুল মতামত হল, যদি বিশ্বাসেই মিলায় বস্তু এমনকি অ্যালোপ্যাথিতেও, তাহলে আরো একটু কাজকর্ম না করে হোমিওপ্যাথিকে ডিস্কার্ড করে দেওয়াটা গাঁটামি হয়ে যাবে নাকি?

    বিশ্বাস না হলে নিজেই পড়ে দেখুন, The action of paracetamol at a molecular level is unclear .... source: http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/15662292 আণবিক স্তরের ব্যাখ্যা নেই :-)
  • Mmu | 78.236.153.102 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:২৯437265
  • PT দা , আমি paris এ থাকি তাই সম্ভব নয়। আমার বাড়ী নর্থে। তাই বাড়ীর কাউকেই পাঠাতে হবে উল্টোডাঙ্গায়।
  • PT | 203.110.243.21 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ২০:০০437266
  • SB:

    আপনার পাঠানো reference-এর abstract-এর শেষ লাইনটা দেখুন: The action of paracetamol at a molecular level is unclear but could be related to the production of reactive metabolites by the peroxidase function of COX-2, which could deplete glutathione, a cofactor of enzymes such as PGE synthase. তার অর্থ MOA অনেকটাই জানা আছে। এই বিষয়গুলো এখন MSc-র পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্গত। উৎসাহ থাকলে, Organic Chemistry of Drug Design and Drug Action by Silverman দেখে নিতে পারেন। হোমিওপ্যাথির সমস্যা হচ্ছে যে, তার machanism of action সম্বন্ধে কোন পরিমাপ যোগ্য তত্ব দিয়ে কিছুই জানা যাচ্ছেনা।
  • SB | 114.31.249.105 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ২০:৪৩437267
  • পিটিদা, আপনি কি করে ভাবলেন যে একটা বাক্যের অর্ধেকটা পড়েছি? অর্ধেকটা কোট করেছি, কারন সেটুকুই প্রসঙ্গিক। প্রশ্ন তো ঐ আপনার কোট করা could be নিয়েই। MSc কেন, ক্লাস এইটেও পড়ানো হতে পারে, সেটা বিতর্কের বাইরে। বিতর্কের মধ্যে প্রশ্ন হোল একশ বছর পরেও প্যারাসিটামলের মত একটা অতি সাধারন মলিকিউল, যেটা এখন সব দেশেই প্রায় ওভার দা কাউন্টার অষুধ হিসেবে বিক্রী হয়, সেটার মোয়াতেও could be কেন থাকবে? তার মানে দেখা গেছে এই অষুধের কিছু ভাল কাজ আছে, আর সেফটি প্রোফাইল ভাল, তাই এই নিয়ে এখনো গবেষণা হচ্ছে। তাহলে হোমিওপ্যাথি কি দোষ করলো যে সম্ভাবনা থাকা সত্বেও গবেষনা না করে একে হস্তবিচারের সাথে তুলনা করতে হবে?

    ওদিকে দেখুন, প্যারাসিটামলের সেফটি প্রোফাইল খুব ভাল। আবার NSAID মাত্রই কক্স-১ আর ২ ইনহিবিশন করে ব্যাথা কমায়। কিন্তু কক্স-১,২ ইনহিবিশনের ফলে পৈটিক অসুবিধাগুলো হয় NSAID খেলে, ফলত কোন NSAID সেফ নয়, OTC নয়, একমাত্র প্যারাসিটামল ছাড়া। প্যারাসিটামলও কক্স-১, ২ ইনহিবিট করলে সেটাও সেফ ড্রাগ থাকত না।

    তাই আণবিক ব্যাখ্যা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারা যায়নি, could be'র স্মরণ নিতে হয়েছে।

  • PT | 203.110.246.23 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ২২:১৪437268
  • SB: এই বিষয়টি নিয়ে ঠিক এইভাবে তক্ক করা যায়না। বিশদ আলোচনা করতে হয়। এইটুকু জানাই যে যেকোনো ওষুধের একটি অণুর সঙ্গে মানব শরীরের ১০০০০ অণুর interact করার সম্ভাবনা থাকে। কাজেই exact MOA, science-এর প্রতিদিনের অগ্রগতির সঙ্গে পরিশীলিত হতে থাকে। আপনি সেইরকম একটি গবেষণা পত্রের উল্লেখ করেছেন। অ্যাসপিরিনের MOA ১৯৭১ সালে নেচার পত্রিকাতে প্রকাশিত হয় যার জন্য MOA-র আবিষ্কারক J. R. VANE ১৯৮২ সালে নোবেল প্রাইজ পান। প্যারাসিটামলের MOA অনেকটাই একরকম।
  • SB | 219.64.179.252 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ২২:২৬437269
  • আমি তক্ক করতে খুব একটা উৎসাহি নই এই নিয়ে, তক্ক করে থাকলে দু:খিত। আসলে আপনার ওই অ্যালোপ্যাথিক অষুধের কার্যকারিতা নিয়ে আণবিক স্তরে ব্যাখ্যা করা যায় দাবীর উত্তরে এত কিছু বললাম ...
  • PT | 203.110.246.23 | ১২ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৪৪437270
  • না, না তক্ক চলুক। এই জাতীয় বিষয় নিয়ে এদেশে সাধারণ ভাবে কোন আলোচনাই হয়না। কাজেই অনেকেই হয়ত জানেন না যে কি পরিমাণ পরিশ্রম, মেধা এবং রহস্যে ঘেরা ইতিহাস প্রতিটি ওষুধের আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ০২:৪৬437271
  • হোমিওপ্যাথিতে কি রোগ হয়েছে কি করে বোঝা যায়? যেমন ধরুন ব্লাড সুগার বা ক্যান্সার কি করে হয়েছে কেমন করে বোঝা যায়?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৩:০১437272
  • আমি হোমিওপ্যাথি নিয়ে কিছু জানিনা। তবে একজন হোমিও চিকিৎসক (পুরোনো দিনের) আমাকে বলেছিলেন, হোমিওপ্যাথিতে ওভাবে রোগের চিকিৎসা হয়না। রোগির বিভিন্ন লক্ষণ বিচার করে চিকিৎসা হয়।

    ধরুন, কথার কথা কইছি, আপনার ঘনঘন ঠান্ডা লাগে। এছাড়াও সর্দি হলে ডান নাক বুজে যায়, বেগুন খেলে গলা কুটকুট করে, পড়তে বসলে ঘুম পায়। আপনাকে ডাক্তার দু দাগ এবিসিডি ওষুধ দেবেন।

    কিন্তু যদি আপনার ঘনঘন ঠান্ডা লাগে, কিন্তু বেগুন খেলে গলা কুটকুট করেনা, টিভি দেখলে মাথা ব্যথা করে, আর সর্দি হলে বাঁ নাক বোজে, তাহলে ওষুধ অন্য। সেটা হয়তো ইএফজিএইচ।

    মানে সোজা বাংলায় বিভিন্ন ধাতকে সিধে করার জন্য বিভিন্ন ওষুধ। বিভিন্ন রোগকে সিধে করার জন্য বিভিন্ন ওষুধ না। এইটাই হল অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে তফাত।

    পু: সবই শোনা কথা। ভুল হলে ধইরে দেবেন।
  • Mmu | 78.236.153.102 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৩:৩৯437274
  • কোনো ভূল নেই Ishan । একদম ঠিক।
  • aka | 24.42.203.194 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৬:৩৩437275
  • মানে রোগীকে খুব অ্যালার্ট হতে হবে। ধরুন পড়তে বসলে ঘুম পায় আবার ট্রেনে চড়লেও ঘুম পায় এবস্থায় ধরে নিলেন যে ট্রেনে চড়লে সকলেরই ঘুম পায় অতএব সেটা আর বলার কি আছে! তাহলেই কেলো আর কি। পড়তে বসলে ঘুম পায় বললেন কিন্তু ট্রেনে চড়লেও ঘুম পায় বললেন না। এবিসিডি র বদলে আপনার কপালে জুটল এবিএফজি। রোগ সারল না। সত্যি এরকম ভাবেই রোগ ধরা হয় নাকি?

    ব্ল্যাংকির ভাই কি বলে?
  • rimi | 24.42.203.194 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:১৩437276
  • হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই, মনে পড়েছে। ছোটোবেলায় ড: মহীনুদ্দিন নামে একজন পাশ করা হোমিওপ্যাথের কাছে যেতাম। প্রত্যেকবারেই তিনি প্রথমেই একটা বিশাল কোয়েশ্চেনেয়ার নিয়ে বসতেন। তাতে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন থাকত, যেগুলোর সঙ্গে রোগের আপাত কোনো সম্পর্ক নেই। হয়ত সর্দি আর গলা ব্যথার জন্যে গেছি, প্রশ্ন হত রোদে বেরুলে চোখ কটকট করে কি না, ভূতে ভয় লাগে কি না ইত্যাদি। অর্থাৎ ইশান যেমন বলল ঠিক সেরকম। :-)) খুব মজার মজার প্রশ্ন ছিল, সেগুলোর উত্তর দিতেও বেজায় মজা লাগত। অধিকাশ সময়েই বানিয়ে বানিয়ে যা খুশি বলে দিতাম। সেইজন্যেই মনে হয়, এখন বুঝতে পারছি, টানা সাত বছর মহীনুদ্দিনের ওষুধ খেয়েও আমার ক্রনিক ফ্যারেঞ্জাইটিস আর ক্রনিক ন্যাসাল কনজেশন কমে নি :-(((

    হায়!! সেই ১৯৮০-৯০ সালে যদি ইন্টার্নেট থাকত, আর হোমিওপ্যাথির গোড়ার কথাটা যদি জানা থাকত তাহলে আর এত ভুগতে হত না আমাকে!!!!
  • rimi | 24.42.203.194 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:১৪437277
  • কিম্বা যদি হোমিওপ্যাথির ডাক্তারের কাছে একখানা পলিগ্রাফ মেশিন থাকত তাহলেও হত!
  • tatin | 70.177.57.163 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৪২437278
  • কেউ জলপড়া ইউজ করেছেন কখনও? আমার ধারণা হোমিওপাথির সংগে বিস্তর মিল পাবেন
  • SB | 59.93.198.42 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১০:২৩437279
  • বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় হোমিওপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট হয় symptomatic, মানে রোগীর সিম্পটম দেখে, আর যতগুলো ইউনিক সিম্পটম আইডেন্টিফাই করা যাবে, তত ভাল ভাবে কোন অষুধ লাগবে সেটাও আইডেন্টিফাই করা যাবে।

    আর আমাদের শাস্ত্রে উল্টো, সিম্পটমের পরে দেখা হয় সেই সিম্পটমের cause, কার্যকারন, তারপরে সেই কারনের চিকিৎসা করা হয়। যেই জন্যেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার আর কোম্পানিগুলোর এত রমরমা!

    ইদানিং আমাদের শাস্ত্রে চিকিৎসার অ্যালগরিদম ব্যাবহার করা হচ্ছে।
  • de | 59.163.30.4 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১০:৫৫437280
  • কিন্তু ডাইলুশনের ব্যাপারটা? সেটার কি লজিক?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১১:০৭437281
  • আজ্জোর জন্যে - প্যাথোলজি বা ওই ধরণের পরীক্ষাগুলোকে তো হুমোপ্যাথিতে ডিনাই করে না। মানে ঋকের যে এই হাইপার আইজিই পাওয়া গেলো, সেই রিপোর্টটাও হুমোপ্যাথি ডাক্তার দেখতে চেয়েছিলো...
  • lcm | 69.236.172.178 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১১:৫৪437282
  • হোমিওপ্যাথি-তে সাইড এফেক্ট নেই। কারণ সিম্পল। ঐ এক ফোঁটা তরল গলায় পৌঁছনোর আগেই ভ্যানিশ, আর, এই ছোট সাবু দানার থেকেও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র গুলি, জিহ্‌বাতে পতনের পরেই মিলিয়ে যায়। পাকস্থলী অবধি পৌঁছয় না বলে, কোনো সাইড এফেক্ট নেই।

    কিন্তু, তাইলে ডাইরেক্ট এফেক্ট-ও কি কিছু নেই? আছে তো। শরীরে মধ্যে যায় না বলেই তো ন্যাচারল কিওর-এ কোনো অবস্ট্রাকশন/কনফিউশন তৈরী করে না।

    আর, অ্যালাপ্যাথি-র ক্যাপসুল/গোলি তো রীতিমত কসরৎ করে এক গ্লাস জল দিয়ে গিলে খেতে হয়, তাও সন্দেহ হয় গলা আর পেটের মাঝখানে গিয়ে আটকে আছে কি না (নইলে উঠে আর এক গ্লাস জল)। সুতরাং, তার এফেক্ট....
  • Blank | 59.93.254.119 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১২:৩৩437283
  • আরে হোমিওপ্যাথি তে রোগ নির্নয় হয় সাধারন পদ্ধতিতেই। ব্লাড সুগারের জন্য ব্লাড টেস্ট করেই রোগ ধরা হয়। মামু যা বলছে ওসব সেই পাড়ার ডাক্তার দের কথা, যারা কলেজ স্ট্রীট থেকে বই কিনে হোমিওপ্যাথি শিখতো।
    আর ডাইলুশনের ফান্ডা হলো যে রোগীর ঠিক যত টা দরকার তার চেয়ে কোনো ভাবে বেশী ওষুধ না যায় (ঐ যত ডাইল্যুটেড হবে, তত ভালো এমন কোনো ফান্ডা নেই)। এর জন্য হোমিও প্যাথির সাইড এফেক্ট কম। আলাদা আলাদা রোগীর জন্য আলাদা আলাদা ডোজ, যেটা অ্যালোপ্যাথি তে হয় না। অ্যালোপ্যাথিতে Age group এর ওপর ডোজ ডিপেন্ড করে।
  • PT | 203.110.246.23 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১২:৪৪437285
  • অ্যালোপাথিতে age group এর ভিত্তিতে ওষুধ দেওয়া এটার সত্যতা যৎসামান্য। একদম শিশুদের কথা আলাদা কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই body-weight-এর ভিত্তিতে ওষুধের ডোজ নির্ধারণ করা হয় (mg/kg)।
  • lcm | 69.236.172.178 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১২:৫০437286
  • অ্যালাপ্যাথি-তে বয়স দেখে অষুধের ডোজ দেয় তো... শুধু বয়স কেন, অন্য নানারকম সিম্পটম-এর ওপর বেশ করে সবাইকে এক অষুধ দেওয়া হয় না।
  • Blank | 59.93.254.119 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১২:৫৬437287
  • আমি ঠিক তেমন বলতে চাইনি। মানে ওষুধ তো বাছতে হয় বাজাএ যে কটা ডোজের অপশান পাওয়া যায়, সেটা থেকে। হোমিও তে এটা আর একটু বেশী ফ্লেক্সিবল।
  • Souva | 125.18.104.1 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১৪:৩৬437288
  • সত্যি বলতে সেভাবে কোনোদিন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করাইনি। মাঝে ভাবছিলুম অ্যাজমার জন্যে হোমিওপ্যাথি করে দেখব। এখানে সব পড়ে-টড়ে পুরো ঘেঁটে ঘ হয়ে গেলুম।

    আমার অবিশ্যি, দাদ-হাজা-জ্বর-পেট খারাপ সবকিছুই অ্যালোপ্যাথিতে সেরে গ্যাছে। তবে সর্দি-কাশি (য্যামন মুজতবা আলি বলে গেসলেন) আর অম্বল-বদহজম কোনো অ্যালোপ্যাথি ওষুধেই সারেনা, এটা আমার বিশ্বাস। :-)
  • SB | 114.31.249.105 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১৫:১৮437289
  • অ্যালোপ্যাথিক অষুধের সাইড এফেক্টসের কারন অন্য।

    যৎসামান্য অষুধ, ধরুন 0.5mg ক্লোনাজেপাম আপনর দরকার, কিন্তু ওই 0.5mg খাবেন কি করে? পেটে গিয়ে কি সেই অষুধ রক্তের সাথে মিশবে? তাছাড়াও এতদিন ধরে (shelf life) এই অসুধ একটা ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের মধ্যে তেকে নষ্ট হয়ে যাবে নাতো? এই ধরনের অনেকগুলো অসুবিধার ঐ 0.5mg ক্লোনাজেপামের সাথে বেশ কয়েক গ্রাম নানাধরনের জীনিসপত্র মেলানো হয়, যার মধ্যে থাকে নানা জীনিস যেমন প্রিসার্ভেটিভ ইত্যাদি।

    এখন, এই সব আলতু ফালতু জীনিস তো আপনার শরীরে দরকার নেই, বারতি এইসব মালপত্রের একতা সাইড এফেক্ট আছে।

    তাছারাও যেহেতু যেকোন অষুধ একগাদা বডি সেলের ওপর কাজ করে, তাই কোনটার ক্ষেত্রে আপনার শরীরে ভাল কাজ করলো তো অন্য কোনটার ক্ষেত্রে সেটা ক্ষতিকারক।

    যেমন আগে লিখেছি, ব্যাথার অষুধ খাবেন তো আপনার পেট ব্যাথা হবে। অ্যান্টিবাইওটিক খাবেন তো আপনার পেট খারাপ হবে।

    সেই জন্য এই মুহূর্তে টারগেটেড ডেলিভারি নিয়ে রিসার্চ হচ্ছে, যেমন অ্যাসমার জন্যে অষুধ, স্পেসালি স্টেরয়েডের মত অষুধ খাওয়ার থেকে সেই স্টেরয়েড ইনহেলার নেওয়া কম ক্ষতিকর।

    হোমিওপ্যাথিতে এধরনের কোন বাওয়াল নেই। তবে কি ভাবে কাজ করে হোমিওপ্যাথি সেটাই পরম আশ্চর্য, পুরোটাই কি প্ল্যাসেবো এফেক্ট??
  • PT | 203.110.243.21 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:১৬437290
  • SB: ভয় পাচ্ছি.........
    ব্যাপারটা আসলে এত খারাপ নয়। আপনি হোমিওপ্যাথির জয়গান করতে চান করুন কিন্তু তার জন্য অ্যালোপাথিকে টেনে নামানোর দরকার নেই।
  • SB | 114.31.249.105 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:৩৪437291
  • হোমিওপ্যাথির জয়গান কোথায় কোরলাম দাদা? আর কোন কথাতে ভয় পেলেন? আর এই আগের পোস্টে কোনটাই বা ভুল লিখলাম, জানাবেন, অপেক্ষায় থাকবো।
  • PT | 203.110.243.21 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:১৩437292
  • অ্যালোপাথি ওষুধে ""আলতু ফালতু"" জিনিস মেশান যায়না। ওষুধের chemical-টির পাশে USP, BP, IP ইত্যাদি লেখা থাকে। তার মানে কোন না কোন pharmacopeia- তে সেই রাসায়নিকের ওষুধ হিশেবে স্বীকৃতি আছে।

    বিভিন্ন রকম পরীক্ষার মাধ্যমে ওষুধের shelf-life নির্ধারণ করা হয়। সেই কারণেই ওষুধের expiry date থাকে। এর মানে এটাও নিশ্চিত বোঝায় না যে expiry date পেরিয়ে গেলেই ওষুধটি বিষাক্ত কিছুতে পরিণত হবে।

    আর ওষুধের প্রিসার্ভেটিভ বলতে কি বোঝাচ্ছেন পরিষ্কার নয়। prodrug বলে একটি পদ্ধতি আছে, যেটা বোঝাতে গেলে কম করে ৫৫ মিনিটের একটা ক্লাশ নিতে হবে। কিন্তু ওষুধের সঙ্গে আদৌ কিছু মেশাতে গেলে সেটারও সব রকম biological পরীক্ষা (toxicity profile সহ) করে drug/food হিসেবে তার স্বীকৃতি পেতে হবে।

  • aka | 168.26.215.13 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:২৫437293
  • ব্ল্যাংকি এবং এসবি দুটো আলাদা কথা বলেছেন। আগে সেইটা ক্লিয়ার হোক।

    ১। যদি হোমিওপ্যাথিতে সিম্পটম দেখে ওষুধ দেওয়া হয় তাহলে ৬৩ বছরের একজন মহিলার কোমরে ব্যথা, রাতে ঘুম না হওয়া, মাঝে মাঝে ঘাম হওয়া এর ওষুধ কি?

    ২। যদি ব্ল্যাংকির কথা মতন প্রথমে ক্লিনিকাল পদ্ধতিতে ডায়গনসিস হয়ে তারপর ট্রিটমেন্ট হয় তাহলে ব্লাড সুগার আর ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট কি? এবং সেটা অ্যালোপ্যাথির থেকে আলাদা কি ভাবে?

    অজ্জিত বুঝলাম, কিন্তু ক্লিনিকাল ডায়গনসিস ডিনাই না করা আর সেটার ওপর বেস করে তারপর চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণের মধ্যে বেসিক যে পার্থক্যটা থাকে তাহল সিম্পটম্যাটিক ট্রিটমেন্ট না পার্টিকুলার রোগের জন্য স্পেসিফিক ট্রিটমেন্ট। হোমিওপ্যাথ ডাক্তার হয়ত রোগীকে খুশী করার জন্য টেস্ট রেজাল্ট হাতে নিচ্ছেন কিন্তু সেই রেজাল্ট আসলে সিম্পটম নির্ধারণের একটা স্টেপ।

    এটা জানা খুব ইম্পর্ট্যান্ট এই জন্যই যে আগে তো রোগ নির্ধারণ তারপর রোগের চিকিৎসা।
  • Blank | 59.93.254.79 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:৫৮437294
  • আমি জেনে নিয়ে ফের বলবো, যে তফাৎ কোথায়।
  • Blank | 59.93.254.79 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:৫৯437296
  • এমনকি এখন MD তেও হোমিওপ্যাথি আছে

    http://www.thewbuhs.org/
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন