এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভারতীও মহিলা বিল: স্বপক্ষে,বিপক্ষে কিছু কথা

    Manish
    অন্যান্য | ০৯ মার্চ ২০১০ | ৯০৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Mmu | 78.236.153.102 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০২:২৩444436
  • কল্লোল দা আপনার 15 March 2010-----10:09 AM লেখার সাথে আমি সম্পুর্ন একমত।
  • a x | 143.111.109.151 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০২:৩৫444437
  • ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়াতে কালোদের রাতারাতি এমনকি আগামী কয়েক দশকেও বিশাল কিছু অবস্থার পরিবর্তন হবে, এমন আশা করা খুবই ভুল কিন্তু এটাও যে সম্ভব এটা কালেক্টিভ সাইকি তে একটা বিশাল পাওয়া। মায়াবতী কিম্বা কে আর নারায়নের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। সিম্বলিস্মের বাইরে অবশ্যই বেরোনো দরকার, কিন্তু শুধু এইটা সম্ভব হবার জন্যই অন্তত: এই ইস্যু গুলো মেনস্ট্রীম আলোচনার মধ্যে আসে।

    আর পপুলিস্ট রাজনীতি খারাপ কেন? পপুলেশানের কোন গ্রুপ সেটা নিয়েই তো রাজনীতি।
  • pi | 128.231.22.89 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০২:৫০444438
  • রেপ ট্রায়াল ইত্যাদি নিয়ে মহিলাদের ই কেন বলতে হবে ? একজন পুরুষকে কি এটাকে যথেষ্ট অপরাধ মনে করেন না ?
    মহিলাদের ন্যূনতম রুজি পুরুষের সাথে সমান হতে হবে, এটা বলতে একজন মহিলাকেই কেন সংসদে আসতে হবে ?

  • a x | 143.111.109.151 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০২:৫১444439
  • কারণ ইতিহাস তাই বলে। যার সমস্যা, সেই বেশি সরব হয় সেটা নিয়ে।
  • Mmu | 78.236.153.102 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৩:০৪444440
  • PT দা আপনার 15 march2010----07:43 AM.
    শতাংশ বলা যাবে না কিন্তু কোন রকম সংরক্ষন আছে কি না সেটা বলুন। অন্তত প্রার্থী দাড় করাবার ক্ষেত্রে অবশ্যই নেই। এখানে এতটাই স্বাধীনতা যে ঐ "সং" নামক বস্তুটির দরকার হয় না। মনে করু ন ৩৩% না হয়ে যদি ৬০% মহিলা ক্যান্ডিডেট কন্টেস্ট করে তাহলে সমস্যা আছে কি ? না নেই এখানে প্রয়োজন হলে তাই হতে পারে । কোন দল যদি যোগ্য প্রার্থী ৬০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে থেকেই পায় তাহলে ঐ ৬০ জন মহিলাই কন্টেস্ট করবে।
    আর খবরের কাগজ ওয়ালারা কি করে তা তো আপানরা সবাই জানেন।
    উধারন ১--আমার এক বন্ধু একদিন বলল যে জাপানী পুরুষরা নাকি বৌ পেটাতে ওস্তাদ। সে নাকি কোন একটা পত্রিকায় পড়েছে। শুনে আমি ঢোক গিলেছিলাম শুধু। কেননা দীর্ঘ দিনের এক্সপিরিয়েনস আছে জাপান সম্বধে। যদি তাই হত নিজে না হলেও কারো কাছে অবশ্যই শুনতাম।
    উধারন ২--কিছুদিন আগে কলকাতার ই একটা পত্রিকায় পড়েছিলাম বার্ড ফ্লুর ভয়ে নাকি ফ্রানসে সবাই চুম্বন করা বন্ধ করে দিয়েছে। একদম বাজে কথা। এটা কোলকাতায় বসে লেখা গল্প। এরকম অনেক গল্পই কলকাতায় বসে লেখা হয়।
    তাই সংবাদ পত্রের লিনকের ওপর খুব একটা বিশ্বাস না করাই ভাল।

  • pi | 128.231.22.89 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৫:১০444441
  • তার মানে, একজন মহিলা কোন এক অপরিচিত মহিলার ধর্ষণকে যতটা অপরাধ মনে করবেন, একজন পুরুষ সেটাকে মনে করেন না ? আইডেন্টিফাই করতে পারেন না বলে ? এটা জাস্ট কৌতূহল বশত: প্রশ্ন। পুরুষদের কাছে। :)
  • tatin | 130.39.149.5 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৫:১৩444442
  • সচরাচর একজন পুরুষ ধর্ষণ-কে ফিজিক্যাল অ্যাসল্টের একটু বেশি হিসেবেই দ্যাখেন- প্রমাণ চাইলে অর্কুটে ধর্ষণ নিয়ে অজস্র থ্রেডগুলি পড়ে দেখতে পারো
  • pi | 128.231.22.89 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৫:২৪444443
  • আরো একটা প্রশ্ন। একটা সিচুয়েশনের কথা মনে হল। বেশ কমন সিচুয়েশন। অন্তত গো বলয়ের খবর পড়ে যা মনে হয়। একজন উচ্চজাতের পুরুষের দ্বারা, ধরা যাক, কোনো নিম্নজাতির মহিলাকে ধর্ষণ। এবারে সেই ঘটনাকে ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে রিপোর্ট করে অপরাধীর শাস্তির জন্য ' সংরক্ষিত প্রতিনিধি' হিসেবে কে বেশি সরব হবেন বলে মনে হয়? ঐ মহিলার জাতির কোনো পুরুষ , নাকি কোনো উচ্চজাতির ( ধরা যাক , ধর্ষণকারী র জাতের) কোন মহিলা ?
  • kallol | 115.184.104.236 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৫:৫৬444444
  • অক্ষ - প্রশ্নটা শুধু যোগ্য পুরুষের জায়গায় অযোগ্য মহিলা নয়। সংরক্ষণের নামে যাদের জন্য সংরক্ষণ তাদের মানসিক ভাবে পিছিয়ে দেওয়া - ""তোমাদের আতুপুতু করেই রাখতে হয়"" এই বার্তাটা ঢাক ঢোল পিটিয়ে দেওয়া। আর সেটাকে ঐ সংরক্ষিত বর্গকে দিয়ে মানিয়ে নেওয়া। এটা উঁচু জাত আর পুরুষতন্ত্রের পুরোনো খেলা। এ খেলা আজকের নয়। উচ্চবর্গের ভারত এই খেলাতেই ৩০০০ বছর ধরে হাত পাকিয়েছে।
    যে আইনে এখন ধর্ষণের বিচার হয়, সেটা তার আগের সংষ্করণটার চাইতে অনেক ভালো। অন্তত: মেয়েদের মানুষ বলে গণ্য করা হয়েছে। তার জন্য তো ৩৩% লাগেনি।
    আর ঐ আসনগুলোতে দাঁড়াবে কারা? পুরুষ সাংসদের ঘরের মেয়েরা। তারা তো এমনিতেই সাংসদ বাবা/কাকা/স্বামী/দাদার দৌলতে সংরক্ষিত প্রজাতি। ইন্দিরা গান্ধী/মীরা কুমার/সোনিয়া গান্ধী/প্রিয়াংকা ভদোরা/রাবড়ী দেবী/জয়ললিতা তো বহু আগে থেকে সংরক্ষণে আছেন। সেলাম যদি জানতেই হয় তো জানাবো মায়াবতী, মণিকুন্তলা সেন, মমতাকে। ওঁদের সংরক্ষণ লাগেনি।
    আর যদি সংরক্ষণই করতে হয় (রাজনীতিতে), সংরক্ষিত হোক প্রত্যেকটি ভোটে লড়া রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তগ্রহনকারী সর্বোচ্চ কমিটিগুলোয় (কমিটির বাংলা কি?) ৩৩% মহিলাদের জন্য। নইলে ভোটে প্রতিদ্বন্দীতা করার অধিকার হারাবে সেই দল। হিম্মত আছে?
  • kallol | 115.184.104.236 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৬:০০444446
  • হ্যাঁ, সেই সঙ্গে SC/ST/OBC/র জন্য, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্যো ঐ সংরক্ষণ চাই। কি মনে হয়?
  • pi | 128.231.22.89 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৬:২৬444447
  • নাকি, সেটা বলতে একজন নিম্নজাতির মহিলাকেই প্রতিনিধি হতে হবে ?
  • pi | 128.231.22.89 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৬:৩৬444448
  • তাতিন, বাকিদের কাছেও শুনতে চাইছি তো :)

    তবে , তাই যদি হয়, বেশিরভাগ পুরুষ এটা সেরকম অপরাধ বলে গণ্য করেন না, তাহলে তো সংরক্ষণ দরকার ই । আবার তার মানে, যেসকল পুরুষ মনে করেন, সংরক্ষণ দরকার, তাঁরা মেনে নিচ্ছেন যে, পুরুষের পক্ষে এগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করা সম্ভব নয় । :)
    তাই কি ?
  • a x | 99.165.171.34 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৭:৩৫444449
  • কল্লোলদা, বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে সময় লাগবে। শেষেরটা সোজা, দিয়ে যাই। হ্যাঁ চাই তো।
  • kallol | 115.184.81.211 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৭:৩৬444450
  • ধর্ষণ নিয়ে দুরকমের মত আছে :
    ধর্ষণ ঘৃণ্যতম অপরাধ। এই কুকাজটি শুধু একজন মানুষের শরীরকেই কষ্ট দেয় না, তার মনকেও বিদ্ধস্ত করে দেয়।
    অন্য একটা মতও আছে। ধর্ষণ নি:সন্দেহে অপরাধ, কিন্তু আর পাঁচটা অপরাধের মতো-ই এর গুরুত্ব, তার বেশী কিছু নয়। এটা বরং একজনের শরীরের উপর তার নিজের অধিকারকে লঙ্ঘন করার অপরাধ। কারুর বিনা অনুমতিতে তার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেও সেই একই অপরাধ হয়।
    যুক্তি হিসাবে ওরা যেটা বলেন - ধর্ষণকে যখনই চরমতম অপরাধ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তখনই পুরুষতন্ত্রের গিলিয়ে দেওয়া সতীত্বের ধারনাকে মান্যতা দেওয়া হয় - মেয়ের চিতায় উড়ুক ছাই / তবে সে মেয়ের গুণ গাই - এটাকেই মেনে নেওয়া হয়।
    আর হ্যাঁ, পুরুষও ধর্ষিত হয়।
  • kallol | 115.184.49.32 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৭:৪১444451
  • অক্ষ - তাহলেও সেটাই আগে হওয়া উচিত। সেটা হলে তো এই সংরক্ষণটার (বা আরও অনেক সংরক্ষণের) দরকারই থাকবে না।
  • pi | 128.231.22.89 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৮:১৩444452
  • আমি চরমতম অপরাধ কিনা সে তর্কে যাচ্ছি না। কতটা অপরাধ মনে করে কতটা সরব হওয়ার জন্য মহিলা প্রতিনিধি ছাড়া গত্যন্তর নেই মনে করা হচ্ছে , সেটা জানতে চাইছি।
  • PT | 203.110.246.230 | ১৬ মার্চ ২০১০ ০৮:১৫444453
  • @ MmU

    এই পোস্টিংটা আমার ঢাক পেটানো মনে হতে পারে। কিন্তু আমার ৭।৪৩ আর ৯।১১-র পোস্টিং কাগজ পড়ে লব্ধ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা নয়। আমি সুইডেনে দীর্ঘ সময়, ইংল্যান্ডে মাঝারি সময়, জার্মানিতে ১ বছর আর ফ্রান্সে নিকট অতীতে পর পর দুবছর একমাস করে সময় কাটিয়েছি। ইউরোপের মহিলা-পুরুষের এই সমতা দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফসল। নিচের তালিকা দেখলে খানিকটা অন্দাজ পাবেন:

    Introduction of women's right to vote in some European / North American nations:
    1917 Soviet Union
    1918 Austria
    1919 Germany
    1920 USA
    1928 United Kingdom
    1944 France
    1945 Italy
    1971 Switzerland


    ১৮৮৬ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডের মহিলারা দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে ১৯৭১-এ ভোট দেওয়ার অধিকার অর্জন করেন। এবং মাত্র ২০০৪ সালে সবেতন মেটারনিটি লিভ-এর অধিকার অর্জন করেন!!!
    http://history-switzerland.geschichte-schweiz.ch/chronology-womens-right-vote-switzerland.html

  • SB | 114.31.249.105 | ১৬ মার্চ ২০১০ ১৪:৫৮444454
  • কল্লোলদা, গোর্খাল্যান্ডের আত্মনিয়ন্ত্রন আর মহিলাদের জন্যে কোটা এক তো কোথাও বলিনি।

    কিন্তু যেমন বাঙ্গালী জাতির আত্মনিয়ন্ত্রনের জন্যে লিঙ্গুইস্টিক ভিত্তিতে অঙ্গরাজ্য হয়েছে, তাতে কিছু লাভ হয়নি, গোড়ার প্রবলেমগুলো রয়ে গেছে, সেরকম গোর্খাল্যান্ডের ক্ষেত্রেও গোড়ার প্রবলেমগুলো তো রয়েই যাবে, তাবলে আপনি গোর্খাল্যান্ডকে সাপোর্ট করবেন না?

    মহিলা সংরক্ষনে গোড়ার প্রবলেমগুলো মিটে যাবে এমন দাবীও তো করিনি, কিন্তু এটা যে অ্যাফার্মেটিভ অ্যাকশন তা নিয়ে যদি সন্দেহ না থাকে তাহলে এতে আপত্তির কি আছে? হোক না, ক্ষতি কি?
  • shrabani | 124.124.244.109 | ১৬ মার্চ ২০১০ ১৫:২৯444455
  • মহিলাদের প্রতি অন্যায়ে সে ধর্ষণ হোক আর যাইই হোক নিয়ে অনেক পুরুষই হয়ত বা দু:খ ইত্যাদি পায়, ভাবে,সোচ্চার হয়। কিন্তু সঠিক ভাবে তারা সেগুলো বুঝতে পারে কি, পারে উপলব্ধি করতে?
    আমি যখন এরকম কিছু শুনি প্রথমেই নিজেকে ঐ জায়গায় রেখে ভাবতে যাই, তখন সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি দুরে রেখে শুধু একজন নারী হিসেবে যে অনুভূতি টা হয় সেটা দরদী পুরুষরা কোনোদিনও পারবে বুঝতে, শত চেষ্টা করলেও?
    হ্যাঁ তারপরে হয়ত একটা বড় নি:শ্বাস ফেলি এই ভেবে যে আমার সঙ্গে এসব হতেই পারেনা, এঅবস্থায় আমি সম্ভবই না, সেগুলো অন্য ব্যাপার।

    তাই হাতে ক্ষমতা থাকলে একজন মহিলা মহিলাদের ইস্যু নিয়ে কথা বলতে বেশী পারবে, বেশী চাইবে বলে আমার মনে হয়। কিন্তু এই ক্ষমতার লড়াইয়ে আমরা এতটাই পিছিয়ে যে সর্বক্ষেত্রে আমাদের সংখ্যা হাতে গোণা যায়। কয়েকটা ইন্দিরা শীলা মায়াবতী মমতা সোনিয়া মনে রাখতে কাউকেই দিমাগের ওপর বেশী জোর লাগাতে হয় না, লিস্টটা এতই ছোট!

    আমি সংরক্ষন হয়ে সামান্য কিছু হলেও যদি সত্যিকারের কাজের যোগ্য মহিলারা সামনে আসেন খুব খুশী হব। আজও এদেশে প্রত্যেকটি জায়গায় কাজের ক্ষেত্রে মহিলাদের দাবিয়ে রাখা হয় নানা ছলে। যে জায়গায় উঠতে পুরুষদের ১০০% দিতে সেখানে মহিলাদের দিতে হয় ২০০% বা তারও বেশী।

    আমার দেখা এরকম অজস্র পুরুষ আছেন যারা বাবা হিসেবে মেয়েদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পাঠাচ্ছে, গর্ব করছে তাই নিয়ে এদিকে নিজের অফিসে মেয়ে সাবর্ডিনেটদের নানা ভাবে হেয় করছে। একজন বঙ্গসন্তান কেই জানি যিনি খুব গর্বের সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকটি ফোরামে ঘোষণা করেন মেয়েরা কাজের নয়, উপরওয়ালাদের সঙ্গে ঝগড়া করেন যেন তার আন্ডারে কোন মেয়ে পোস্ট না করা হয়, মেয়েরা দুদিন বাদে বিয়ে করবে ওদের নানা ফ্যাচাং। এদিকে তার মেয়ে দ্বিতীয় বার জয়েন্টে বসতে যাচ্ছে!

    আমাদের এতবড় দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠানে প্রচুর মহিলা ইঞ্জিনিয়ার থাকা সত্বেও আজ পর্যন্ত একজন খালি জেনারেল ম্যানেজার অবধি গেছেন, তাও রিটায়ারমেন্টের কমাস আগে। আর একজনই মহিলা আছেন যিনি ঠিকঠাক উঠছেন (আমার খুব ক্লোজ একজন দিদি) যার সংসার বলতে কিছু নেই, কাজে দিন রাত্রি নেই, আজ তিরিশ বছর পুরো কোম্পানিতে নিবেদিত প্রাণ।
    তার যোগ্যতা এখন স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে সবাই, তবু তিনিও তার ব্যাচমেটদের অনেক পিছনে আছেন যারা কিন্তু এত কিছুই ত্যাগ স্বীকার করেনি।

    দেখেছি ভালো ভালো সম্ভাবনাময় সত্যিকারের ট্যালেন্টেড মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের একটা সময়ের পর লড়াই করতে করতে নুয়ে পড়তে, হেরে যেতে। তারপরে শুধু চুপচাপ কাজ করে যায়, হেসে বলে মাইনে তো পাচ্ছি, এটাই অনেক। অনেকে তো আবার কাজের সুযোগও পায়না, পুরুষ কর্তারাই ঠিক করে নেয় যে মেয়েদের হালকা কাজ দেওয়া দরকার, বেশী ট্যুরে পাঠালে পরিবার ডিসটার্ব হবে। এসব ডিসিশন তারা নিজেরাই নিয়ে নেয়, যেমন ধরে নেয় যে বিয়ের পর মেয়েরা কাজ করবেনা।
    ছেলেরা বিয়ের পর আলাদা হয়না, মেয়েরা হয় কারণ সেই এক। এ সমাজে লোকে মনে করে বাড়ির দায়িত্ব মেয়েদের বেশী, ছেলেদের কোনো বাধ্য বাধকতা নেই, তাই তাদের স্ট্যাটাস পালটায় না!

    এই সমস্ত চিন্তাধারা যতদিন থাকবে ততদিন মেয়েদের শুধুমাত্র নিজেদের জোরে ওপরে ওঠা আপহিল টাস্ক যেটা পুরুষেরা কোনোদিন বুঝবেনা। মেয়েদের স্বাধীনতা নিজের হাতে, যোগ্যতা নেই তাই ওঠেনা এসব বলে যারা তারা আসলে সত্য থেকে অনেক দুরে।

    আর কে বলে পুরুষদের কোটা নেই? এই যে শুধু পুরুষ হওয়ার দৌলতেই মেয়েদের আগে সব জায়গায় সুযোগ পাচ্ছে। চাকরিতে, প্রোমোশনে, নির্বাচনী ক্ষেত্রে সব জায়গায় তাদের নাম আগে কনসিডার করা হয়।এ অদৃশ্য ১০০% কোটা ছাড়া আর কি?

    সেই আগে যেমন মেয়েরা তখনই রাজ্যের ভার পেয়েছে যখন আর কোনো অপশন সুবিধের নেই, যোগ্য পুরুষ তৈরী হলেই তাকে ভার ছেড়ে দিতে হবে এই শর্তে। এখনও অবস্থাটা খুব হেরফের হয়নি।
  • PT | 203.110.246.230 | ১৬ মার্চ ২০১০ ১৭:০৪444457
  • এই প্রশ্নদুটোর পরিষ্কার উত্তর পাইনি কখনও:

    ১। যে দেশগুলোতে মেয়েরা স্বাধীন বলে ধরে নেওয়া হয়, সেখানে রাজনীতিতে মেয়েদের সংখ্যা এত কম কেন? (পার্লামেন্টে এমপির সংখ্যা গুনলেই বোঝা যাবে)।

    ২। এত কম সংখ্যায় মেয়েরা Physics নিয়ে পড়ে কেন আর bio-সংক্রান্ত বিষয়ে মেয়েদের এত সংখ্যাধিক্য কেন? (বিদেশেও)
  • kd | 59.93.197.38 | ১৬ মার্চ ২০১০ ১৭:২৬444458
  • ১) পৃথিবীর সবদেশের মেয়েরাই ছেলেদের থেকে কম্প্যারেটিভলি সৎ।
    ২) এই প্রশ্নটির 'মেয়ে' পালটে 'ছেলে' করে নিলে যা উত্তর হয়, এরও তাই উত্তর।
  • Sibu | 71.102.122.58 | ১৬ মার্চ ২০১০ ১৮:৩৩444459

  • http://www.boston.com/news/local/articles/2005/01/17/summers_remarks_on_women_draw_fire/

    "The president of Harvard University, Lawrence H. Summers, sparked an uproar at an academic conference Friday when he said that innate differences between men and women might be one reason fewer women succeed in science and math careers. Summers also questioned how much of a role discrimination plays in the dearth of female professors in science and engineering at elite universities."


    সামার্স এখন ওবামার ইকনমিক অ্যাডভাইসর, বোধহয় টিম গাইটনারের পরেই তার ক্ষমতা।
  • Du | 65.124.26.7 | ১৬ মার্চ ২০১০ ২০:২৭444460
  • পাই , তোমার প্রশ্নটার যা উত্তর সেটা আইডিয়ালি এটাই বলে যে জাতের লোকই জাতের কষ্ট বুঝবে। খটকা শুধু এটাই যে সমবর্গের পুরুষ যার ওপর আশা করছো - তিনিই হতে পারেন খোদ ধর্ষণকারী - সেক্ষেত্রে?
    আর ধর তোমার বর্ণিত সিচুয়েশনটাই হল - দুরকম ক্ষেত্রেই - অর্থাৎ অপরাধী দুটি ভিন্ন বর্ণেরই (so called উচ্চ বা নিম্ন) - সেক্ষেত্রে মহিলাটির স্ববর্ণের একজন পুরুষের অপমানবোধে সন্দেহ করছি না - কিন্তু সেটা অনেক সময়েই প্রতিশোধ খোঁজে - শাস্তির চেয়ে বেশি - এর উদাহরণ পৃথিবীর ইতিহাসে তো কম নয় - সেক্ষেত্রে অপরাধীর বর্ণ বা জাতির মহিলাই হয়ে যান শাস্তির অংশ।

    ব্যপারটা খুবই গোলমেলে। মহিলাদের গোলগাল ভালোমানুষ ভাবার দরকার নেই - কিন্তু হাজার বছররে গতিপথকে চোদ্দ বছর একটু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলে, ক্ষতি কি?
  • a x | 143.111.109.151 | ১৭ মার্চ ২০১০ ০১:৫৯444461
  • ফিজিক্সে মেয়ে কম। স্ট্রিং-এ আরো কম। এই কিছুদিন আগেই একটি কনফারেন্সে বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের নেমনতন্ন করা হল। তার মধ্যে দুজন - একজন কে নেমন্তন্ন পত্র পাঠানো হল, আরেকজনকে পাঠানো হলনা, কিন্তু দুজনেই নিমন্ত্রিত। একজন মহিলা আরেকজন পুরুষ। মহিলাটি যেহেতু ঐ পুরুষটির স্ত্রী, কাজেই তাকে আর আলাদা করে চিঠি পাঠানোর দরকার বোধ করেনি ইরুডাইট মহল।

    ল্যারি সামার্স পুরুষদের এই আচরণের কোনো জেনেটিক ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছেন কি? ব্রেন ম্যাপিং? অ্যা®¾থ্রাপলিজাল চর্চা কিছু?

    যাগ্গে, শ্রাবণী কে টু থাম্বস্‌ আপ। একদম ঠিক লিখেছে।

    আর কল্লোলদা, আপনি বোধহয় ইন জেনেরাল সংরক্ষণের বিরুদ্ধে, তাইলে অমি আর কোনো তর্ক করুম না, ঐ তর্ক হেজে গেছে :-)
  • Mmu | 78.236.153.102 | ১৭ মার্চ ২০১০ ০৩:০৮444462
  • PT দা,
    কে রাজনীতি করবে আর কে না করবে সেটা তো তার ব্যাপার, সেখানে তো জোর করার কিছু নেই। উন্নত দেশে তো কোনো কিছু করতে বাধ্য করা হয় না। তাই কত শতাংশ রাজনীতি করবে বা physics / bio পড়বে সেটা সেটা তাদের ব্যাপার। তাই নয় কি?? একটু ভেবে দেখবেন।
  • Sibu | 66.102.14.1 | ১৭ মার্চ ২০১০ ০৩:১১444463
  • কে রুটি খাবে আর কে কেক খাবে আর কে না খেয়ে থাকবে - সে সব তাদের নিজেদের ব্যাপার।
  • a x | 143.111.109.151 | ১৭ মার্চ ২০১০ ০৩:২৬444465
  • হ হ, পোস্টোমর্ডান যুগ। নন-ইন্টার্ভেনশনিস্ট হতে শিখতে হবেনা?
  • Manish | 117.241.228.137 | ২০ মার্চ ২০১০ ১৪:৩৮444466
  • সবাই এত চুপচাপ কেনো?
  • Mmu | 78.236.153.102 | ২০ মার্চ ২০১০ ২০:২৩444468
  • Manish আপনিই শুরু করুন আবার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন