নাটক নভেলে পুরুলিয়ার নাচনীকে জানা এক কথা, আর নারী দিবসের ঠিক আগে তাদের এক আইকনকে বুকে জড়িয়ে ধরে তার কেশের নারিকেল তেলের সুবাস নেওয়া, তার জীবনের নানা তোলপাড়ে ভেসে যাওয়া, আর এক।আমার বাহুবন্ধনে পোস্তুবালা দেবী কর্মকার। নিজে নাচনী , আবার নির্যাতিত নাচনী সম্প্রদায়ের লড়াকু নেত্রী, পোস্তদানার মতোই মহার্ঘ এই নারী। দুর্বার মহিলা সমণ্বয় সমিতি এবং নাচনী সম্প্রদায়ের যৌথ উদ্যোগে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রাণনারী পোস্তুবালার সংগে নাচনীদের সাজঘরে বসে অনেক কথা হল। ... ...
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপণে।'না, কেবল মুখই ঢাকে না। বুদ্ধিশুদ্ধিও ঢেকে যায়। কর্পোরেট জগৎ, বিজ্ঞাপণ জগৎ যখন যে ভাবে আমাদের ভাবাতে চায়, আমরাও সেভাবেই ভেবে চলি।কবছর আগে ধুঁয়ো তোলা হোলো, 'লেটস্ সেলিব্রেট ওমেনস্ ডে'। আমরাও নেচে উঠলুম।'চলো।''লেটস... '। ওমেনস্ ডে-র হদ্দমুদ্দ করে ছাড়লাম। পথে-ঘাটে নেমে, টেলিভিশনে, খবরের কাগজে জিগির তুলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন জ্বেলে - সে কী রইরই ব্যপার! এমনকি, গয়নার মজুরীতে কিম্বা শাড়ীকাপড়ে ওই দিন 'বিশেষ ছাড়ে'র বন্দোবস্তও করা হল।আবার এব ... ...
দাদা এসে ঘুম ভাঙালো। বিকেল শেষের পড়ন্ত রোদটা সবে আমাদের বাড়ির উঁচু পাঁচিলটা ছেড়ে এবার কন্টিদের ছাদে মিলিয়ে যাবে। “এখোনও ঘুমোচ্ছিস ভাই? বিশালদের বাড়িতে টিভি এসেছে।” দাদার সাথে আমি ছুটি। কিন্তু ঢুকবো কী করে? সামনে যেন সিনেমা হলের মতো ভিড়। তবুও সবাইকে ঠেলে ঠুলে আমি আর দাদা ঢুকে পড়ি বিশালদের বাড়িতে কোনমতে। এককোণে জায়গাও হয়ে যায়। এই প্রথম পাড়ার লোকের সাথে আমি দেখি টিভি। উত্তেজনার পারদ আরো চড়ে যখন একটা সিনেমা শুরু হয়। জানলা থেকে বাদুড় ঝোলা লোক, ঘরের মধ্যে ঠাসা ভিড়, রাস্তায় দাঁড়িয়ে গেছে পথ চলতি মানুষ। ... ...
সারা দিনের কর্মক্লান্ত কলকাতা শহরের রাস্তায় একটি মেয়েকে হাতে গুচ্ছের কাগজপত্র আর একটা কালো ছাতা নিয়ে হাঁটতে দেখতেন পরিচালক ঋত্ত্বিক। মেয়েটি এই শহরের খুব বেশী দিনের বাসিন্দা নয়। মেয়েটি এসেছে তার জন্মভূমি থেকে উৎপাটিত হয়ে এক নতুন শহরে। এসেছে বাবা, মা, দাদা, ভাই বোনদের সাথে। রয়েছে কলোনী এলাকায়। যেখানে মানুষদের মনে দানা বেঁধে আছে স্বাধীনতা মানে দেশভাগ। মনের মধ্যে সেঁধিয়ে আছে নিজের দেশে পর হয়ে যাওয়ার অপমান। সংসারের গায়ে মাটির প্রলেপের মতো হাহাকার ... ...
'কেমন করে গল্প লিখতে হয়...চিত্রনাট্যের কর্মশালা'য় আমি তখন খুবই মনোযোগী ছাত্র। প্রত্যেকটি গল্প গিলছি হাঁ করে। পাশে খোশ মেজাজে গল্প করছেন গাবো। হ্যাঁ এই নামেই নাকি তোমাকে তোমার ভালোবাসা...ভালোলাগার লোকগুলো ডাকতো। আমিও তো তোমাকে ভালোবাসতাম...। না তোমার মাতৃভাষায় না...আমার মাতৃভাষায়। কিন্তু তাতে কোনো অসুবিধে হতো না। আমার বইয়ের পাতাগুলো বারবার মনে করিয়ে দিতো ভাষা যেন কোনো বাধাই না...। সেটা তো তুমিই দেখিয়েছিলে গাবো, 'নিঃসঙ্গতার একশো বছরে' বরফের ধূসর বিষন্নতায়। তুমিই তো বলেছিলে ছবি দেখে গল্প শেখার প্রক ... ...
ছিল মানুষ হয়ে গেলো বমি! তাই তো? সুকুমার রায় পড়েছেন অনেক ছোটবেলায়, তাই না? - স্যার আমি সত্যি বলছি, আমি সারারাত ওখানেই ছিলাম। ... ...
১৯৯৮-এ আমি, অমিতাভ আর সুমিত ভাবলাম এবার একটা সংগঠন বানানো দরকার, সেই সংগঠন-শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ সোসাইটি হিসেবে রেজিস্টার্ড হয় ১৯৯৯-এর ডিসেম্বরে। আমরা তখন কাজ করি চেঙ্গাইলের শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। আমি ১৯৯৫ থেকে, অমিতাভ আর সুমিত যথাক্রমে ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ থেকে। ৯০-এর দশকের গোড়ায় কানোরিয়ার শ্রমিক আন্দোলন যখন তুংগে তখন, শ্রমিকরা ঠিক করেন যে তারা ছত্তিশগড়ের শ্রমিকদের মত এক স্বাস্থ্য কর্মসূচী শুরু করবেন শহীদ হাসপাতালের ধাঁচে। ১৯৯৫-এর ২১শে মার্চ চেঙ্গাইলের বেলতলায় এক পরিত্যক্ত ... ...
কেন যেতে চাইবঃ পাহাড় পর্বতের নীচের দিককার ও মাঝারি উচ্চতার কিছু কিছু অংশে শহরের মানুষ গাঁটের কড়ি ফেলে পৌঁছে যায় খেয়াল খুশি মত। পাহাড়ের দেওয়াল কেটে, ডিনামাইট দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে, পাহাড়ি ঝর্নার উপরে সেতু বেঁধে নয়নাভিরাম সব জায়গা গুলিতে ক্যামেরা নিয়ে পৌঁছে যাবার সুবন্দোবস্ত করা আছে। কিন্তু সেই ভাবে পাহাড় চড়ার একটাই সমস্যা। যে শব্দ ও দৃশ্য দূষণ এবং তার আনুষঙ্গিক বাতাবরণের বিষ-বাষ্প থেকে মুক্তি পাবার আশে পাহাড়ে যাওয়া, বাসে-ট্রাকে-এরোপ্লেনে চেপে সেই দূষণ পাহাড়েও পৌঁছে যায়। ন ... ...
মেডিকাল কলেজে হাউসস্টাফশিপ শেষ করে ভোপালের জন স্বাস্থ্য কেন্দ্র-এ কাজ শুরু করেছিলাম ১৯৮৫-র ২৫শে আগস্ট। ২৮শে আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিলেন জন স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে থায়োসালফেট সরবরাহ করতে। সায়ানাইড বিষের প্রতিষেধক সোডিয়াম থায়োসালফেট। ২-৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৪-র ভোপাল গ্যাস-কান্ডের পরপরই অনেক চিকিৎসাবিজ্ঞানী গ্যাস-পীড়িতদের শরীরে সায়ানাইড বিষের প্রমাণ পেয়ে জীবিত মানুষদের সোডিয়াম থায়োসালফেট লাগানোর সুপারিশ করেন। বিরোধিতা করেন ভোপালের সরকারী চিকিৎসকরা, নানাভাবে যাঁরা ইউনিয়ন কারবাইডের প্রস ... ...
এই জন্মদিনে ট্রেনে চেপে বাড়ি যাচ্ছি মা'র সংগে দেখা করতে। সেই কোন ছোটবেলায় কয়লার ট্রেনে করে বাড়ি যেতাম! তারপর নানা এসি বাস এল, রাস্তা হলো, ঘাট হলো, উন্নয়ন আর হলো না। বার বার শৈশবের কথা মনে পড়ছে। খুব ছোট বেলায় একবার দাদুবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছি। তখন আমার বয়স কত আর হবে, ধরা যাক, ছয় কি সাত। দাদু বাড়ি হচ্ছে সিরাজগজ্ঞের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। তিনি ছিলেন ব্রিটিশের এক জাঁদরেল দারোগা। তার বাড়িটা খুব সুন্দর, একবারে ব্রিটিশ আমলের লাল ইটের খিলান করা একতলা পাকাবাড়ি। বাড়ির সামনে দিগন্তজোড়া সর্ষে ফুলের ক্ষ ... ...
আজ বিরজ মে হোরি রে রসিয়া... বৃন্দাবনের পথে পথে আজ রঙের উৎসব। গত এক মাস যাবৎ পলাশ, অপরাজিতা, গোলাপ ইত্যাদি পুষ্পপত্র শুষ্ক ও চূর্ণ করে প্রস্তুত করা হয়েছে লাল, গোলাপি, সবুজ ও নীল গুলাল। আর সব কিছুর ওপরে রয়েছে বৃন্দাবনের নয়নমণি পীতাম্বরের প্রিয় হলুদ। হরিদ্রাচূর্ণর ভেষজগুনের জন্যই অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নন্দলাল একে হোরিখেলায় প্রাধান্য দিয়েছেন। চতুরচূড়ামণি জানেন অনুরোধ-উপরোধ-পরামর্শ-তিরস্কারে যে কার্য সিদ্ধি করা যায় না, তাকে রীতি-লৌকিকতায় মিশিয়ে দিলে সহজেই পালিত হয়। এই সব আব ... ...
পেডিয়াট্রিক সার্জারীর সিনিয়ার হাউসস্টাফ তখন। আউটডোরে একটা টেবিলের তিনদিকে আমরা তিনজন বসতাম—স্যার ডা পি কে সরকার, আরএমও সুমিত্রদা (বিশ্বাস) আর আমি। স্যার রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন ডিক্টেট করতেন, আমি লিখে নিতাম। একজন বাচ্চাকে দেখে স্যার যথাযথ মাত্রায় কোট্রাইমোক্সাজোল আর প্যারাসিটামল লিখতে বললেন, লিখলাম। তৃতীয় ওষুধ—একটা টনিক। আমি স্যারের দিকে প্রেসক্রিপশন এগিয়ে দিলাম—স্যার আমি এটা লিখতে পারবো না, আপনি লিখুন। স্যার আমার আপত্তির কারণ বুঝতে পারলেন। সেই রোগীকে টনিক লেখা হল না। কেবল টনিকই নয়, কা ... ...
আপনার চেয়ে বেশী ভালো করে কেউ বোধহয় বোঝাতেই পারতো না, ভালোবাসা কি, কি রিল কি রিয়েল লাইফে! মৃত্যুতেও এক অনন্য স্বকীয়তা বজায় রাখলেন কিন্তু আপনি, ঠিক ফিল্মি রহস্যময়তায় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে, অন্তত নিউজ চ্যানেলগুলোর ঘন্টার পর ঘন্টা 'ঠিক কি ভাবে ঘটেছিলো দূর্ঘটনা' শিরোনামের আলোচনা শুনে তো তাই-ই মনে হয়। পরভীন বাবি বিষাদগ্রস্ত ছিলেন শুনেছি, সেই বিখ্যাত পরিচালক কে নিয়ে প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগতেন, যা শেষের পথে নিয়ে গিয়েছিলো সেই সম্পর্ক কে। আপনার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগাও যেন এক বিষাদপ্রতিমা তৈরী করছিলো আপন ... ...
সবে স্লেট-পেন্সিল থেকে খাতা-পেন্সিলে উত্তরণ হচ্ছে। আঁকাবাঁকা অক্ষরে নিজের নাম লিখি। স্যার রোলকল করলে ‘ইয়েস স্যার’ বা ‘প্রেজেন্ট প্লিজ’ বলি। আমাদের বাংলা মিডিয়ামে ওইটুকু ইংরিজি-ই বলতাম। সঙ্গে চলছে যোগ-বিয়োগ আর অভিশপ্ত নামতা। একের নামতা আর দশের নামতা সবচে সুন্দর লাগতো। সকলের-ই লাগে। পাঁচেরটাও মন্দ ছিলো না। কিন্তু ঝামেলা পাকাতো বাকি সংখ্যাগুলো, বিশেষ করে পাঁচ এর পরেরগুলো। এরকম ঘোর দুর্দিনে হাতে এসে পড়লো শুকতারা পত্রিকা। কমিক্সে রঙিন বাঁটুল দি গ্রেট, আর শাদা কালোর হাঁদা-ভোঁদা। এলো বেশ স্বস্তি নিয়ে। ... ...
ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত।এমনিতে কলকাতা শহরে বাজি ছাড়া আর বিশেষ কিছু ফুটতে দেখা মুস্কিল। এমনকি মানুষও কোন খবর ছাড়াই হঠাৎ করে ফুটে যায়, অতএব এ শহরে ফুল ফুটতে দেখার প্রশ্নই আসে না। তবু কোথা থেকে যেন একটা বসন্ত এসে গেছে। রাস্তাঘাটে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, বাঁদুরে হরেক রঙ মেখে ভূত হয়ে ঘুরে বেড়ানো কলেজ ছাত্রছাত্রীর দল জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে। ফলত ছবি তুলিয়ে আর হতে চাওয়া চবি তুলিয়েরা ডিএসএলআর নিয়ে বেরিয়ে পরেছে শান্তিনিকেতন বা অন্ততপক্ষে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির উদ্দেশ্যে। বেরিয়ে পরেছে সেখানে কোথাও কোন ... ...
দুপুরের খাওয়ার পর আম্মি একটা মাদুর পাতত খড়খড়ি মেঝের ওপর। শুকনো, শক্ত মেঝে, কীসের তৈরি মনে নেই তবে লাল বা ছাই কোনো সিমেন্টেরই প্রলেপ ছিলনা তাতে : যেন কত জন্মের দুঃখ বুকে গেঁথে কঠিন বটের ঝুরির পেছনে লুকিয়ে থাকা পলেস্তরাখসা রাজমন্দির দাঁত ভেঙে পড়ে আছে। মাদুরের ওপর ক্লান্ত শরীরখানা এলিয়ে দিলে আপনিই ঘুম নেমে আসত আম্মির চোখে। আমি অবিশ্যি শুতাম পাশে, আম্মির আঁচলে মুখ ডুবিয়ে তাল পাতা হাতপাখার শরীর ভেদ করে মিহি হাওয়ার আবেশ নেব বলে। চৈত্রের দুপুরে লোডশেডিং ছিল সেকালের স্থাবর সম্পত্তি। আমার যদিও সে হওয়াছা ... ...
বুড়ো নিধুরাম আজকে খুব নিষ্ঠার সঙ্গে গাছকালীবাড়িতে পুজো দিয়েছে। সোয়া পাঁচআনার নকুলদানা আর প্রসাদী বেলপাতা লাল সালুর রুমালে বেঁধে নিয়ে এসেছে। নিধুর বড়ছেলে নুটু স্নান করে শুদ্ধভাবে বাটিতে তেল আর কালি গুলছে। নুটুর বৌ বিরিঞ্চির মা রঙ্গময়ী কালো একটা জাঙিয়ার ফুটোফাটা যত্নে সেলাই করছে। সন্ধ্যেবেলা সবাই স্নান করে তুলসীতলায় বাতাসা দিয়ে হরির লুঠ দিয়েছে। আজকে এই প্রজন্মের প্রথম সন্তান তেরো বছরের বিরিঞ্চি কাজে বেরোবে। তার সঙ্গে বিরিঞ্চির পিতৃবন্ধু সিঁদেল হরি।এলাকার নামকরা চোর নিধুরাম। এইদিকে ছড়িয়ে ছিটিয় ... ...
১ নওলকিশোরের প্রবল জাত্যাভিমান। মানে ব্যাপারটাকে জাত্যাভিমান হয়তো বলা যায় না ঠিক। তবে কিনা তার হেব্বি গর্ব। তার বংশপরিচয়, তার ছোড়দাদুর গানের গলা, তার দূরসম্পর্কের পিশেমশাইয়ের পি এইচ ডি, তার নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া মামার আঁকার হাত, তার বাবার খুড়তুতো ভাইয়ের জার্মানির স্থায়ী ঠিকানা, তার নিজের বোধশক্তি ও বিচক্ষণতা --- মানে একটা তো জায়গা চাই থামবার! এরকমটা হলে কার নাক আর ছোট থাকতে পারে! দোষটা মোটেই নওলকিশোরের নয়! সে বহুবার ভেবে দেখ ... ...
অমরদার সবজি দোকানে নোনা ধরা দেওয়ালে দক্ষিণেশ্বরের মা কালীর ছবির পাশেই থাকতো রামকৃষ্ণ, সারদা মা, মিঠুন, ব্রুসলি, অমিতাভ আর তার পাশেই এক সুন্দর মহিলার মিষ্টি হাসি মুখের ছবি। যেন ঠিক ওপাড়ার বুলিদি। এর আগে তো ছবিটা দোকানে দেখিনি। ওই ছবিটা কার গো? জিজ্ঞেস করলেই কটমট করে তাকায় অমরদা। দোকান খোলার সময় কারো সাথে সে কথা বলে না। যতক্ষণ না তার ঝাঁট দেওয়া হচ্ছে। দোকানের সামনে জল ছেটানো হচ্ছে। ঠাকুরের থালায় বাতাসা দেওয়া হচ্ছে। অন্তত মিনিট পাঁচেক দেওয়ালের ছবির সামনে ধূপ নিয়ে বিড়বিড় করা হচ্ছে। সবটা হয়ে যাওয়ার প ... ...
যুদ্ধবিদ্ধস্ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে অসংখ্য মানুষ রিফিউজি হয়ে যান প্রতিবছর। তারা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পরেন একটা ঠিকানার খোঁজে।আদতে রিফিউজিদের কি কোন ঠিকানা হয়? কোথাও তাদের সন্তান সন্ততিদের লোকে কোথাও মোহাজির বলে না তো? কিংবা কোথাও হয়তো পিঠের কাঁটাতারের দাগ খোঁজে। আল আমনা একজন সিরিয়ান রিফিউজি, যুদ্ধবিদ্ধস্ত সিরিয়া থেকে হাজার হাজার মানুষ জীবনের খোঁজে ছড়িয়ে পরেছেন, ইওরোপে, এশিয়ায়। তাদেরই একজন আল আমনা, তার অস্ত্র ফুটবল। সে অস্ত্র বারবার মাথা কোটে গোলমুখে, ফিরে আসে একবার দুবার তিনবার তারপর কখনো কখনো হয়ত ... ...