এবার মহাজোট। ঁ৬৬এ গুরুচণ্ডা৯র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল। যেমত গাছের ডালে পাখি, এবার ৬৬এ বহন করবে গুরুর প্যাঁচাকে। যেমত জলের মধ্যে মাছ, গুরুতে থাকছে ৬৬এর পাতা। অ্যাদ্দিন মীনগণ হীন হয়ে ছিল সরোবরে। আলাদা আলাদা খোপে ছিল উট ও যাযাবর। এবার তারা সুখে জলক্রীড়া করবে। শহরের সার্কাস ময়দানে খেলা দেখাবে একসাথে। খেলার নিয়ম কানুন খুব মাপজোক করা আছে তা অবশ্য না। ফলত বাঁকা উঠোনের নাম হবে নৃত্যনাট্য, খামারের নাম যৌথ ক্যালোর ব্যালোর। সঙ্গে ভিডিও টিডিও ফ্রি। বলাবাহুল্য, কেলোর কীর্তিও কিছু হতে পারে, কারণ ৯ এর সঙ্গে ৬ যো ... ...
ছোটোবেলায় দেখা একটি লোকপ্রিয় সিনেমায় মহানায়কের একটা উক্তি মনে পড়ে। কোনও চাকরির ইন্টারভিউ তে চাওয়া হয়েছিলো প্রার্থী যেন শেক্ষপিরের মতো ইংরিজি, রবীন্দ্রনাথের মতো বাংলা আর তুলসীদাসের মতো হিন্দি জানে। তা মহানায়ককে যখন প্রশ্ন করা হলো, তিনি কী বললেন? হ্যাঁ, আমি জানি। তবে একটু এদিকওদিক। মানে? তাঁর উত্তর, তিনি শেক্ষপিরের মতো বাংলা, রবীন্দ্রনাথের মতো হিন্দি আর তুলসীদাসের মতো ইংরিজি জানেন। হ্যাঁ, চাকরিটা তাঁর হয়ে গিয়েছিলো। গোস্বামী তুলসীদাস সম্বন্ধে বাঙালিদের ধারণা এর বেশি আর যায়নি কখনও। তবে শুধু তু ... ...
বক্স অফিস চুরমার করে দিতে, জানা ইতিহাসকে ঘেঁটে ঘ করে দিতে, পাঠ্যবই নতুন করে লেখার দাবী তুলে, এপ্রিল ফুলের আগাম শুভেচ্ছা সহ আসছে মননশীল ঋদ্ধ তথ্যচিত্র বামৈস্লামিক। একটুও গ্যারান্টি না দিয়ে দিয়ে একথা নিশ্চিন্তে বলা যায়, যে, গোদারের পর এভাবে রিয়েলিটিকে কেউ পাছা ওল্টাতে বাধ্য করেননি, ফারেনহাইট ৯১১ ছাড়া আর কোনো তথ্যচিত্র এমন নাটকীয় হয়নি, পথের পাঁচা৯র পর আবহসঙ্গীতের এমন প্যাঁচ আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি। এ জিনিস দেখলে মানব চোখে সর্ষেফুল দেখবে, মানবীর গায়ে কাঁটা দেবে, শিশুর বাসযোগ্য হয়ে উঠবে পৃথিবী, আর ... ...
কৃত্যা : প্রথম পর্বপ্রসেনজিৎ বসুযুধিষ্ঠির ক্লেশকম্পিত কণ্ঠে বললেন, "যিনি আকুঞ্চিত নীলকুন্তলা, মল্লিকামুখী, পদ্মনেত্রী ও পদ্মগন্ধা, যিনি মেষপালিকার ন্যায় শেষে নিদ্রিতা ও অগ্রে জাগ্রতা, সেই শ্রীলক্ষণা দ্রৌপদীকে পণ রাখলাম।"দ্যূতসভা চাঞ্চল্যবিক্ষুব্ধ হল। এ এক অভিনব ঘটনা বটে ! ইতোপূর্বে পতিকর্তৃক পত্নীপীড়ন, পত্নীদান, পত্নীপরিত্যাগ, পত্নীহত্যা ইত্যাদি বহুবিধ কর্ণরোচক সংবাদ প্রাপ্ত হওয়া গেছে। কিন্তু পতিকর্তৃক পত্নীকে দ্যূতের পণরূপে বিঘোষণা -- এটি প্রথম ! প্রকাশ্যে সকলেই উদ্বেগে ... ...
কলকাতা ও লাগোয়া অঞ্চলে কত বস্তী আছে, তার কত শতাংশ নথিভুক্ত আর কত নয় এ তথ্য গুগল করলেই পাওয়া যায়। পাওয়া যায়না যা তা হলো এই সমস্ত অঞ্চলের দৈনন্দিন সাধারণ সচেতনতার রূপরেখা। বস্তী থেকে চোখ তুলে তাকালেই দেখা যায় বহুতল ইমারৎ, একটু এগোলেই চোখ ধাঁধানো শপিং মল। কিন্তু এই সমস্ত বস্তীতে একটি ব্যবহার যোগ্য শৌচালয় পর্যন্ত নেই। সমস্যা অনেক, তালিকা রইলো১. স্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভাব। ন্যূনতম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই। কোথাও পাশেই পূতিগন্ধময় খাল তো কোথাও ঘরের সামনেই খোলা নর্দমা, মশা মাছি ... ...
- ভাগ্যের জোরে যে রাজনৈতিক দল দেশে ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা উপহার দিয়েছেন। দেশের মানুষ কোনদিনই তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা কে সম্মান করবে না। ‘তিন’ সংখ্যাটি অশুভ। তিরঙ্গা যতদিন জাতীয় পতাকা থাকবে, ততদিন মানসিক ভাবে খারাপ প্রভাব ফেলবে এবং দেশের ক্ষতি করবে ¹। কে বলে এমন অলক্ষণে কথা ? ‘দেশদ্রোহী’ কানাহাইয়া কুমার ? ‘পাকিস্তানের স্পাই’ উমর খালিদ ? না ‘চিনের দালাল’ সীতারাম ইয়েচুরি ? আজ্ঞে না ! গণপরিষদ তিরঙ্গা কে জাতীয় পতাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেবার প্রতিবাদে, ১৪’ই অগাস ... ...
রবিবারের বিকেলে শপিং মলের এস্ক্যালেটরের সামনে দাঁড়িয়ে অ্যান হ্যাথওয়েকে মনে করার কথাই নয় অদিতির। অ্যান হ্যাথওয়ের সিনেমা সে খুব কমই দেখেছে - দুই মেয়ের সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ারি আর হিমানীশের সঙ্গে ডেভিল ওয়ারস প্রাডা দেখেছিল। আর কি একটা সিনেমা দেখতে গিয়ে সং ওয়ানের একটা ট্রেলার- অথচ এই রবিবারের বিকেলে এস্ক্যালেটর থেকে নেমে ঐ ট্রেলারটাই মনে এল অদিতির। এই শপিং মলের উপচে ভরা ভীড়, আলোকোজ্জ্বল বিপণি, এস্ক্যালেটর, স্যান্টা ক্লজ , শেষ বিকেলের রোদ্দুরটুকু, গোটা মল জুড়ে ক্রিসমাসের সাজ-সব ছাপিয়ে সং ওয়ানের অ্যান ... ...
স্কুল জীবনে স্কাউটিং করতাম। লিডার ট্রেনিং করে টরে একাকার। কিন্তু আমি প্যারেডে গলা ছেড়ে কমান্ড দিতে পারতাম না। মানে ওইটা আমার ভিতরে নাইই। কিন্তু স্কুল তা মানতে চাইত না। তুমি লিডার শিপ ট্রেনিং করে আসছ কাজেই তুমিই আরামে দাঁড়াও, সোজা হও বলে চিৎকার করবা! আমি বুঝাতে পারি নাই যে স্কাউটিং করা এক জিনিস আর প্যারেড পরিচালনা করা আরেক জিনিস। শুধু এই কারনেই স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস আমাকে একটা আতঙ্কে ফেলে দিত সেই সময়। (এই আতঙ্কেই আমি কলেজে উঠে রোভার স্কাউটিং এর যোগদানের ফরম হাতে নিয়েও ফেরত দিয়ে দিয়েছিলাম।আমি ... ...
তারপর সমস্ত ছড়ানো অপমান কুড়িয়ে নিয়ে মুখোশ বানাতে বসি। খসে যাওয়া পাতার পোষাক সযত্নে চড়িয়ে নিই গায়ে। অনিবার্য খুকি ডাকে সাড়া দিতে ভুলে যাই। চৌকাঠের ওপারে তখন শহরের স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। তুমি জানো, আমার অন্তঃস্থিত নদীর পারে তখন স্রোত বাড়ে, রক্ত চঞ্চল হয়। চোখ তুলে তাকাই না আমি। চৌকাঠে পিঠ ঠেকিয়ে বসি।বাদরিয়া ঘেরি আয়ি চারহু ঔর কারি..এই নতুন বাড়িটা ভালোলাগে, আরো ভালোলাগে সব ঘরগুলোয় কেমন তুমি তুমি গন্ধ। অভিমানে সরে থাকি, মায়াটুকু ছেড়ে তুমি এনে দাও অনুপম স্নেহ। আজ যানে কি জিদ না করোর সুরে র ... ...
আপনি ফারহা জারীন কে চিনবেন না।চেনার কথাও নয়।তিনি একডাকে চিনে ফেলার মতন কোনো কেউকেটাও নন। এবার যদি আপনি এন্টালি’র বাসিন্দা হয়ে থাকেন বা ওই চত্বর দিয়ে যাতায়াত থাকে তাহলে দেখে থাকতেও পারেন।মেরেকেটে পাঁচফুট উচ্চতা, ক্ষয়াটে চেহারা,কাঠির মতন হাত পা, মাথায় ওড়না। আর কাঁধে একটা পুরোনো ব্যাগ।তালতলা থানা থেকে ডানদিকে যে রাস্তাটা ঢুকে গেছে,তার কিছু অলিগলি পেরিয়ে একটা গলির ভিতরে তিনতলায় একটা দুকামরার ফ্ল্যাটে উনি থাকেন।দাঁড়ান। এই ‘থাকেন’ শব্দটা সর্বার্থে সত্য নয়। উনি ওই ফ্ল্যাটে থাকেন রাত আটটা থেকে ... ...
-দিদিভাই।দিদিভাই। ও দিদিভাই। দিদিভাই। দিদিভাইইইইইইই!- আঃ! ধাক্কাচ্ছিস কেন?- ধাক্কা কোথায় দিলাম? চ্যাঁচালাম তো।- ঐ হলো। আমার কানে ধাক্কা লাগলো।- তা,আর কি করব?সেই কখন একটা প্রশ্ন করেছি,তুমি জবাব দেওয়ার বদলে তেপান্তরের দিকে তাকিয়ে রয়েছ। রয়েছ তো রয়েইছ।তাই চ্যাঁচাতেই হল। এবার বলতো..- কি বলব?- আবার? কী জানতে চাইলাম?- কী জানতে চাইলি?- তুমি কি নারীবাদী? মানে ফেমিনিস্ট? নারীবাদটা কি ব্যাপার বলতো?-......- আবার চুপ! ঠিকাছে, বলতে হবে না। তুমি আমাকে ওসব আলোচন ... ...
শাহাদুজ্জামানের লেখা একজন কমলালেবু পড়ে শেষ করলাম। জীবনানন্দ দাশের জীবনী বলা যেতে পারে এই উপন্যাসকে। শাহাদুজ্জামান সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নাই। ক্র্যাচের কর্নেল দিয়ে মুগ্ধ করেছেন অনেক আগেই। ক্র্যাচের কর্নেলের পরে অন্য কিছু আর পড়া হয়নি, দুই একটা গল্প বাদে। একজন কমলালেবু দিয়ে তিনি আবার মুগ্ধ করে দিলেন আমাদের। গত বছরের বই, আমার সৌভাগ্য হয়েছে এ বছর পড়ার। জীবনানন্দ দাশ কে বলা হয় বিশুদ্ধতম কবি। আধুনিক কবিতা যার হাত ধরে পূর্ণতা পেয়েছে। যাকে রবীন্দ্রনাথের পরে বা রবীন্দ্রনাথের সম পর্যায়ের কব ... ...
রাতের শুরুর দিকে আমি গিয়েছিলাম থিয়েটারে, দারুণ সব নৃত্যগীত হবে, হবে সার্কাস ম্যাজিক। নাম জানা অনেক দেশ বিদেশ থেকে এসেছেন শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তাদের নাম যশ খ্যাতি দিগন্ত বিস্তৃত। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল আমাদের শহরের রাস্তাঘাট, দোকানপাট। এই কয়দিন এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ছিল মহা উৎসবের আমেজ। রাত বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ঢল নামল থিয়েটারে। যেন শহর উজার করে চলে এসেছে সবাই।সিটে বসে আছি আমি, একেবারে পিছনের দিকে। দর্শকদের বিমোহিত করছিল নৃত্যগীত, অভিনয়। আমার হাই উঠল, ঘুম পেল। মনে হলো সব ... ...
'সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি।' কবিরা সংবেদনশীল হন। কবিরা দ্রষ্টা হন।যে দৃশ্য অন্যরা সাধারণভাবে দেখেন, সেই 'কেউ কেউ কবি', এ-সব দৃশ্যের অন্তরালে দেখতে পান অন্যতর সত্য। সেই সত্যের ধারাভাষ্য লেখেন তাঁরা।বিনয় মজুমদার এই ধরনের কবি ছিলেন। চেনা ও আপাত দৃশ্যের আড়ালে ঢাকা সত্য বের করে আনতেন স্বকীয় দক্ষতায়। তাঁর বহুচর্চিত কাব্যগ্রন্থের নাম ' ফিরে এসো চাকা'। 'ফিরে এসো চাকা'র প্রথম কবিতাটি নিয়েই এই সামান্য প্রয়াস, সেটি পড়লে বিস্ময়ের উদ্রেক হয়:একটি উজ্জ্বল মাছ একবার উড়েদৃশ্যত সুনীল কিন্তু প্ ... ...
সব চরিত্র জ্যান্ত............................দুটি অল্প বয়সী ছেলে মেয়ে প্রেমে পড়ল। দুজনেই আমার থেকে বয়সে ছোট এবং আমার বন্ধু স্থানীয় ছিল। কলকাতার একটা শপিং মলে দুজনে সেলসে চাকরী পায়। সেই সূত্রেই আলাপ ও প্রেম। ছেলেটা জেলা থেকে আসা, গড়পরতা বাঙালীছাপ চেহারার ছেলে। মধ্যবিত্ত পরিবার কিন্তু অনটন আছে।বাবা মারা গেছে। মা একা যতটা পেরেছে টেনেছে, এবার ছেলে দায়িত্ব নিয়েছে। মেয়েটা ভয়ানক ফর্সা, রূপসী। লেকটাউনে পুরনো বাড়ি। মধ্যবিত্ত পরিবার কিন্তু অনটন আছে।বাবা মারা গেছে।বাড়ি প্রমোটর নিচ্ছে। প্রচু ... ...
মহিনের ঘোড়া মৌসুমী বিলকিসঘোড়াটা উড়ছে। ওকে ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। ওর চারপাশে শুধু রঙ। দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যাচ্ছে রংগুলো। সবুজ, হলুদ কত রঙ পার হচ্ছে ঘোড়াটি। ধানের খেত, সর্ষে খেত তুলি বোলানো রঙ হয়ে যাচ্ছে কেবল। নাকি আকাশের কোনো রঙ? মনে হচ্ছে ওর ডানাও দেখতে পাচ্ছি। আমি চেঁচিয়ে বলি, : নিশি, আমাকে নিয়ে চল। ও মুখ ঘুরিয়ে তাকায়। তারপরেই আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। আমি লাগাম টেনে ধরে ওর পিঠে ওঠার চেষ্টা করি। চেষ্টা করে করে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। ... ...
যে ছেলেটা কলেজে পড়ার সময় ভালবাসত বেপরোয়াভাবে নৌকো বাইতে, এবং তা করতে গিয়ে প্রায়শই নৌকোটির বারোটা বাজিয়ে বিস্তর বদনাম কিনত, সে বা অন্য কেউই বোধহয় কখনও ভাবেনি যে, তার জীবনের শেষ দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে সে শুধু নিশ্চুপে বসে মহাবিশ্বের সাথে কথা বলবে মনে মনে । ছেলেটা মানে স্টিফেন উইলিয়াম হকিং, অসাড় দেহ আর অসীম মেধা নিয়ে মহাবিশ্বের দুর্বোধ্যতার সাথে সাপলুডো খেলে যাওয়া সেই অবিশ্বাস্য বিজ্ঞানী । গণিত দিয়ে বিশ্বকে বাঁধতে চাওয়াটা তাঁর বরাবরেরই, কিন্তু ক্রমেই শুকিয়ে এসেছে স্নায়ু আর পেশি, শিকেয় উঠেছে নিজের হাতে অ ... ...
ডাবের জলটা বেশ মিষ্টি। বহুদিন এতো ভালো ডাব খায়নি অভিমন্যু। স্ট্রয়ে চুমুক দিতে দিতে ভাবছিলো সে। তাকে এখন দেখতে লাগছে গম্ভীর এবং চিন্তামগ্ন। আর থেকে থেকে "হুম" বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছে সে। যেন কত রহস্য উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে তার অর্ধোন্মিলিত চোখের সামনে। কত জটলার জট ছাড়িয়ে সে বুঝে যাচ্ছে যেন এরপরে ঠিক কি ঘটতে চলেছে। আসলে গোটাটাই ভাঁওতা। শুভাশীষকে চাপে রাখার উপায়। সে ভাবছে বলতে মূলত ওইটাই --- আহা রে! কি মিষ্টি ডাবের জল! রোজ যদি এরকম পাওয়া যেত!জলটা শেষ হয়ে যেতে ওইভাবেই না তাকিয়ে কোনোদিকে না ফিরে বাঁহা ... ...
জর্জ ফাঁকা শুয়োরের খোঁয়াড়টার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে ছিল আর ভাবছিল যে শুয়োরটা কি এমনি এমনি হাওয়া হয়ে গেল? একবার চোখ বন্ধ করে আবার খুলল - যদি কোন বিচ্ছিরি আলোর কারচুপি হয়ে থাকে! কিন্তু আবার যখন চোখ খুলল , দেখল - নাঃ শুয়োরটা নেই ই. ওর মোটকু গোলাপী রংএর বিশাল বপুটা কোথাও দেখা যাচ্ছে না। সত্যি কথা বলতে কি, জর্জ যখন দ্বিতীয় বারের মত ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে গেল, ব্যাপারটা খারাপ থেকে খারাপতর হল। ও দেখল যে খোঁয়ারের পাশের দরজাটা হাট করে খোলা। তার মানে কেউ একজন সেটা ঠিক করে বন্ধ করে নি। আর সেই কেউ একজনটা খ ... ...
মা হওয়া। একটা আনন্দজনক, মন আলো করা কথা। মাতৃত্ব ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের দেশে যত আলোচনাই হোক, সেটি অর্জনের পূর্ব-মুহূর্তের কথাগুলো কিন্তু ধামাচাপা দেওয়া থাকে। ছিঃ ওগুলো নেহাত-ই ব্যক্তিগত ব্যাপার – ওসব নিয়ে আবার আলোচনা করে নাকি কেউ? আমিও করতাম না। যদি না এই লেখাটা কাকতালীয় ভাবে চোখে পড়তো। মনে হল একটু কথা হোক। নন-আকাডেমিক পরিসরের আলোচনা। আমার শরীর ... ...