সোমবার, নোতরদামে আগুন লাগে। ৮৫০ বছর বয়সী এই ক্যাথিড্রাল যা তার গোথিক স্থাপত্য, তারকাখচিত ইতিহাস এবং ভিক্টর হুগো ক্লাসিক "দ্য হাঞ্চব্যাক অফ নোতরদাম" এর জন্য বিখ্যাত, তা এখন ৪০০ জন উদ্ধারকর্মীর নয় ঘণ্টার পরিশ্রমের পর আগুন থেকে মুক্ত। কিন্তু এর যে ক্ষতিটা হয়ে গেল, তা ঠিক করতে কয়েক দশক লেগে যেতে পারে। ভাল খবর হল, একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, ভবনটির ফেসাড (অট্টালিকার সদরে ... ...
খুব গরম। দুপুরের ঘুম ডাকাতে নিয়ে গেছে। মনে পড়লো গতকাল অর্থাত্ হারবিষুর দিনে তেতো খাওয়া। আগের দিন বিকেলে আমার বিশালাক্ষী, চোপায় খোপায় সমান ঠাকুরমা আমাকে ভীষ্ম আর হারুকে নিয়ে সরজমিন তদন্তে নেমেছেন,--- গাঙ্গের তলে (চৈত্রের গরমে জল নেমে যাওয়া নদীর ঘাটে) দেখছিলাম রাইজ্যের গিমা শাক, চল্ কয়ডা তুইল্যা আনি। প্রাক্তন ডাকাত জব্বর আলি এখন আজ্ঞাবহ মুনিশ। জব্বর, বাপ্ যাওসেন সতু রুনুরার বাগানো গিয়া কয়ডা বন জামিরের পাতা ছিঁড়া আনসেন। ভীরু চোখে তাকায়, আমতা আমতা করে প্রাক্তন ডাকু, জেডিমা সকালে তিতা ন ... ...
প্রশ্নটা উঠতে দেখেছিলুম যখন বাংলা ১৪০০ সন এসে দুয়ারে কড়া নাড়ছিল। সিকি শতাব্দী আগে। তখন আমরা মত্ত ছিলুম কুসুমচয়নে। নব নব অনুষ্ঠান চারিদিকে। সঙ্গীত-সাহিত্য-ইতিহাস-পরিবেশ থেকে খুঁজে নিচ্ছিলুম ‘বাঙালিয়ানা’র সূত্রগুলি নতুন করে। কবি ভেবেছিলেন ১৪০০ সনে তাঁর লেখা সবাই ভুলে যাবে। দেখা গেল তাঁর লেখার কথা অনেকটা ভুলে গেলেও নামটাকে কেউ ভোলেনি। বাঙালিদের মতো কে আর মানে, ‘কলৌ নামৈব কেবলম।’ সবাই খোঁজে নিজের শিকড়। কিন্তু বাঙালিদের মতো আত্মপরিচয় খুঁজতে ব্যাকুল জাতি আমি ভারতবর্ষে আর দেখিনি। আসলে আমাদের পূর্বপুরুষ ... ...
ছেলেবেলার কোন ইচ্ছে বড়বেলায় পূর্ণ হলে অনেক সময়েই তার স্বাদ খুব মুখরোচক হয়না। ছেলেবেলা থেকে ক্যাভিয়ারের নাম শুনে বড়বেলায় বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ে যখন খেতে পেলাম, তখন মনে হল, "এ বাবা, এই ক্যাভিয়ার!" সবারই বোধহয় এরকম কোন-না-কোন অভিজ্ঞতা আছে। আকাঙ্খা আর পরিপূর্ণতার তফাত যোজনখানেক। এর উল্টো অভিজ্ঞতা বরং কম হয়। মানে যেখানে অভিজ্ঞতা আকাঙ্খাকে শুধু মিটিয়েছে তাইই নয়, তার ওপরে কিছু ফাউও দিয়েছে। এরকম একটা উল্টো অভিজ্ঞতা আমার জিম করবেট পড়া।ছেলেবেলায় বাড়িতে সত্যজিতের বহু-আলোচিত প্রচ্ছদওলা 'কু ... ...
'.. ফেরার পন্থা বন্ধ করে আপনি বাঁধো বাহু ডোরেওরা আমায় মিথ্যে ডাকে বারে বারেজানি নাই....' রবীন্দ্রনাথকে 'এলিটিস্ট' বলার প্রথাটি আধুনিক বাঙালি, অর্থাৎ বঙ্কিমপরবর্তী যুগের নব্যশ্রেণীর নাগরিক সমাজের কাছে একধরনের সেরিব্রাল কণ্ডূয়ণ হয়ে উঠেছে দীর্ঘকাল ধরে। হয় এই সৃষ্টিটিকে ‘ফুলের মালা, দীপের আলো, ধূপের ধোঁয়া’দিয়ে পুজোআচ্চা অথবা সঙ্গীতবোর্ডের সংরক্ষণ দিয়ে দিয়ে আবেষ্টিত রাখা হবে। নয়তো মাঠময়দান, চা'য়ের ঠেকে চীৎকৃত নানা অগভীর যুক্তিঝঞ্ঝায় ... ...
জামাইকে বশে আনার জন্য জনৈক বান্ধবী আমাকে বুদ্ধি দিলো জামাইকে তাবিজকবচ করার। আমি এসবের ঘোর বিরোধী। প্রথমেই ওর বদবুদ্ধি শুনে রাগী গলায় বললাম,আমি এসব পারবো না!ও আমার কাঁধে হাত রেখে বললো, আরে.. পুরুষমানুষের স্বভাব তো তুই জানিস! তারপর তোর জামাই হ্যান্ডসাম,সুন্দর। একে বশ না রাখলে চলে? তোর হুমায়ূন আহমেদেরই তো একটা কথা আছে, পুরুষ মানুষ আর ছাগল এই দুই জিনিসকে সবসময় বেঁধে বেঁধে রাখতে হয়!হুমায়ূন আহমেদের নাম শুনে আমি একটু নরম হলাম। হুমায়ূন আহমেদ আমার দূর্বলতা। হুমায়ূন আহমেদের নাম ... ...
প্রহসন! শুধু প্রহসন বললে ভুল হবে, আজ পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে নির্লজ্জভাবে আত্মসমর্পন করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অবশ্য এছাড়া কোনও উপায় ও ছিল না। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র শুধু বসে দেখতেই পারে গনতন্ত্র নামক দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ। শুরুটা হয়েছিল গতকাল রাত থেকেই, পুর্ব পরিকল্পনামাফিক আচমকাই তুলে নেওয়া হল নিরাপত্তা বাহিনী, শুরু হল রাজনৈতিক সন্ত্রাস যা ১৯৮৮ কেও হার মানাবে।ফ্রি হ্যান্ড বাহিনীর একের পর এক বোমা বর্ষন বিরোধী দলের বাড়ী ঘরে, কংগ্রেস প্রার্থীর রাস্তা অবরোধ, বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোটারদের হুমকি- কিছুই ... ...
অর্ধশতাব্দীর দোড়গোড়ায় এসে বড় অঙ্কের ইনসিয়োরেন্স করতে গিয়ে টেলিফোনিক মেডিক্যাল চেকআপের চক্করে মেয়েবেলার অভিজ্ঞতা স্মৃতির নিস্তরঙ্গ পুকুরে বড় মাছের মত ঘাই মেরে উঠলো। দুপুরবেলায় স্কুলের ব্যস্ত সময়ে সুদূর মুম্বাই থেকে এক ডক্টর ম্যাডামের কল। তাঁর 33তম প্রশ্নটির উত্তরে বলতে হলো তেরো বছরে একবার জন্ডিস হয়েছিল আমার, তারপরে মগজের ভাঁজ থেকে যে ক্যালাইডোস্কোপিক ছবি উঠে আসতে থাকলো তাতে কথোপকথন না থামাতে পারলে হিংলিশে আর বেশীক্ষন টানা যেতনা। মন ততক্ষনে আসন্নপ্রসবার শরীরের মত শব্দে ছব ... ...
চন্দ্রবংশজাত বিখ্যাত রাজা পুরুরবার পুত্র ছিল আয়ু। আয়ু হয়ত তত বিখ্যাত হতেন না, যদি না তিনি এক বিখ্যাত পুত্রসন্তানের জন্ম দিতেন। পুরাণে মহারাজ আয়ুকে সাধারণত ত্রিভুবন জয়ী রাজা নহুশের পিতা হিসেবেই দেখা হয়। পুত্রের পরিচয়য়েই মহারাজ আয়ু বিখ্যাত। নহুশের জন্মকাহিনী অনেকটা পুরনো দিনের হিন্দি সিনেমার মত। আয়ু ও ইন্দুমতীর কিছুতেই সন্তান জন্মাচ্ছে না। এক মুনির আশীর্বাদে একটি স্বর্গীয় ফল ইন্দুমতী খাওয়ার পর তিনি গর্ভধারণ করেন। এক দৈত্য দৈববলে জানতে পারে আয়ু আর ইন্দুমতীর যে পুত্র জন্মাবে তার হাতেই সেই দৈত্যের মৃ ... ...
রবিচন্দন বিশ্বাসের পুরো জীবনটার ধোঁকার ওপর চলে আসছে। তিনি ভাবেন এক,হয় আরেক। মন্দ ভাবলে ভালো হয়,ভালো ভাবলে মন্দ হয়। যৌবনে বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গেলেন। পাত্রীর বাবা হাসিমুখে বললেন, তুমি তো অনেক লম্বা বাবা!আবার গায়ের রংও একদম সাদা!রবিবাবু লজ্জা পেয়ে গেলেন। অথচ তার বিয়েটা ভেঙ্গে গেল এই হাইট আর রংয়ের জন্য। পাত্রী ঘাড় গোজ করে জানালো তার শ্যামলা মিষ্টি চেহারার মিডিয়াম হাইটের ছেলে পছন্দ!যাইহোক, অন্য একটা মেয়ের সাথে বিয়ে হয়ে গেল! মেয়েটা বাসররাতে গল্পে গল্পে ... ...
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা একজন পোলিশ জেনারেলের কঙ্কাল পাওয়া গেছে। আর সেই কঙ্কালের গঠন নারীর কঙ্কালের মত। আমরা জানি না খাজিমিয়ের্জ পুয়াস্কি (Casimir Pulaski) তার নিজের শরীর সম্পর্কে জানতেন কিনা, কিন্তু মনে হচ্ছে আজ যদি তিনি জীবিত থাকতেন তাহলে তিনি ইন্টারসেক্স বা ট্রান্সম্যান হিসেবে চিহ্নিত হতেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী গড়ে তোলার ... ...
বিয়ের মাসখানেক পরপরই আবিষ্কার করলাম আমার বর একজন কপিবাজ। ফেসবুকে নিত্যদিনই অন্যজনের লেখা কপি করে নিজের নামে চালায়। অথচ আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম তার এই লেখা দেখেই। অনেকবার তাকে বলেছি, তুমি তো আমার থেকেও ভালো লেখো! সে লাজুক স্বরে জবাব দিয়েছে, ঐ আরকি! হঠাৎ হঠাৎ মাথায় লেখা আসে! আমি তার লেখা পড়ি আর মুগ্ধ হই। যতবার তার একেকটা লেখা পড়ি মুগ্ধ হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি আর ভাবি,এই মানুষটার থেকে আমার কত কি-ই না শেখার আছে। তার লেখার কাছে আমি এখনো বাচ্চা। আমাকে তার থেকে ভাষাজ্ঞান শিখতে হ ... ...
আমার অবজারভেশন জিনিসটা ব্যাপক খারাপ। নিত্যদিন চোখের সামনে চিনির কৌটা,চা পাতি ইত্যাদি জিনিস দেখেও খুঁজে পাইনা। তারপর ভাবীকে বললে সে রাগী গলায় বলে, আমি গিয়ে যদি পাইই...খবর আছে। এছাড়াও ছোট-বড় কোন জিনিসই একবারে আমার চোখে পড়ে না। আমার কৌতুহলও কম। আমি কোনো জিনিস সম্পর্কে জানার চেষ্টাও করি না। ঘরে বসে টিভি দেখছি এমন সময় হয়তো নিচ থেকে ঝগড়াঝাঁটির আওয়াজ এলো,সবাই ছুটে গেলেও আমি বসেই থাকবো। এত জেনে কি হবে? কে কি করেছে এত জেনে জীবনে?আমার এই খারাপ অবজারভেশনের জন্য প্রায়ই ভুগত ... ...
‘চরকসংহিতা’ অনুসারে ‘বলি’ শব্দের অর্থ ‘গুদাঙ্কুর’ বা ‘পায়ুদ্বারের (পিড়াদায়ক) অঙ্কুরাকার মাংসপিণ্ড’। ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ অনুসারে ‘গুদ্’ শব্দের অর্থ ‘ক্রীড়া’ (স্মর্তব্য: ‘কাতুকুতু’ অর্থে হিন্দি ‘গুদগুদি’ শব্দটি) ও ‘গুদ’ শব্দের অর্থ ‘যা কুঞ্চনাকুঞ্চন (সংকোচন-প্রসারণ) দ্বারা ক্রীড়া করে’ বা ‘মল নির্গমনের পথ’, এককথায় ‘পায়ু’। শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল কাব্যে একটি পংক্তি আছে, ‘উলটি পালটি গুদ দেখাইয়া যায়’। আর বাংলা অপভাষায় যে নারীদেহের যৌনাঙ্গ বোঝাতে ‘গুদ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়, -তা আভিধানিক নয়, লাক্ষণিক অর্থ।একই কথা ... ...
ফেসবুকে শুরু করা লেখাটা কয়েকটা পোস্ট একত্রে করে অল্পসল্প পাল্টে এখানে শুরু করি। ~~~নন্দিতার বন্ধু টন্ধু সহ দোকানে খাওয়ার ছবি দেখেই লিখতে ইচ্ছেটা হোলো, আমার বোন কুটন ও মাঝে মধ্যে এরকম ছবি দেয়। কয়েক বছর আগে ও eating out ব্যাপারটাই খুব gender biased ছিলো। ছেলেরা দল বেঁধে কি একা চায়ের দোকানে রেস্টুরেন্টে হইহই করে খাচ্ছে কুছ পরোয়া নেই। সদ্য মেটার্নিটি লীভ কাটিয়ে আসা মা, পেটে আকাশ পাতাল খিদের জ্বালা চেপে অঙ্ক বাংলা পড়াচ্ছে, ফাইল ওঠাচ্ছে, তাতে কি। আমার খুব শখ ছিলো ছেলেদের মতো চায়ের দো ... ...
আমার একটি প্রতিপাদ্য, বহুদিন ধরেই, ছিল এবং আছে। সেটি হল, বছর দশেকের জন্যে রবীন্দ্রসঙ্গীত ব্যাপারটা বাঙালির জীবন থেকে তুলে দেওয়া উচিত। কেউ গাইবে না, কেউ শুনবে না, কেউ শেখাবে না, কেউ শিখবে না, টিভিতে দেখাবে না, রেডিওতে শোনাবে না, বিজ্ঞাপনে লাইন দেবে না ইত্যাদি। দশ বছর ডিটক্সিকেশনের পরে বোঝা যাবে রবীন্দ্রনাথ কতটা নিজের জোরে দাঁড়াতে পারেন। নইলে গলায় একটু সুর খেললেই পয়সা দিয়ে রেকর্ড বের করে শিল্পী হয়ে গেলাম - এ অনেক হয়েছে। অনেক শুনেছি দুশোটি গানের চর্বিত-চর্বণ। গেল কুড়ি-তিরিশ বছরে একজন গায়কও কি উঠেছে ... ...
আস্তে আস্তে চায়ের কাপে যত্নে চিনি গোলে মল্লিকা। শ্বশুর মশাই দিনের শুরুর চা তার হাতে খেয়ে শান্তি পান। কোনোদিন মুখে কিছু বলেন নি। ভাল হয়েছে টুকুও না। কিন্তু মল্লিকা জানে। চা জলখাবার বাইরের দালানে পাঠিয়ে দিয়ে যত্নে গরম তেলে রাঁধুনী ফোড়ন ছাড়ে সে। আজ যেন তার সব কাজ নিখুঁত হয়। ভারি সতর্ক সে। আজ সে শেষবারের মত এই কাজগুলো করছে যেন। প্রত্যেকে যেন কাল বলে, আহা মেজবঊ সুক্তো রাঁধত বইকি। এক চিলতে হাসি খেলে যায় তার মুখে। ঠানদিদি নিজের হাতে ধরে ধরে রান্না শিখিয়েছিল তাকে বিয়ের দুমাস আগে থেকে। বরাবরের মেধাবী মল ... ...
[ফার্স্টপোস্টের এই ফিল্ম রিভিউটি পড়ে বুঝলাম, আমি ভবিষ্যতের ভূতের এর চেয়ে ভালো সমালোচনা করতে পারবো না। আর তা ছাড়া বহু আলোচিত ছবিটির আলোচনা করতে গিয়ে আলোর বদলে চোনার আবাহন করে বিপদে পড়তে পারি , তাই সে চেষ্টায় বিরত থাকা গেলো।শুধু নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে সেই পেজটি খুলতে যতটুকু সময় লাগে সেই সময়ের মধ্যে এই সামান্য বাক্যবিন্যাস মুখবন্ধ হিসেবে যদি পড়েন]পলিটিক্যাল স্যাটায়ার মানেই যে তাকে জরুরি অবস্থা থেকে নিরাপদ দূরত্বে প্রস্তুত এবং প্রদর্শিত "হীরক রাজার দেশে" হতেই হবে তার তো কোনো মানে নেই।আর য ... ...
পুরো পৃথিবীই তিনটা ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। ওশেনিয়া, ইউরেশিয়া আর ইস্টেশিয়া নামে বিভক্ত পৃথিবী। ওশেনিয়া এমন একটা রাষ্ট্র যেখানে বিগ ব্রাদার নামে একজন একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। সব সময় যুদ্ধ চলছে ওশেনিয়ার। সম্ভবত ইউরেশিয়ার সাথে কিংবা ইস্টেশিয়ার সাথেও হতে পারে। রাষ্ট্রের নাগরিক আসলে পরিষ্কার জানে না কাদের সাথে তাদের যুদ্ধ চলছে। আজগুবি মনে হলেও কিছু করার নেই, ব্যাপারটা এমনই। এই রাষ্ট্রে চারটা মন্ত্রণালয় আছে। এই চারটি মন্ত্রণালয় দিয়েই মূলত রাষ্ট্র চলছে। মন্ত্রণালয় গুলো কী কী? মিনিস্ট্রি অফ পিস, যার কাজ হচ্ছে ... ...
গতবছরের শেষের দিকেই জেনেছিলাম এ বছর সামনের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া উঠবে। কিন্তু জানতাম না সেই ভাড়াটিয়ার এত সুদর্শন,রাজপুত্রের মতো একটা ছেলে থাকবে। প্রথমদিন ছেলেটাকে দেখেই আমার মনে হলো,এই ছেলে এদেশের ছেলে হতেই পারে না। নিশ্চয়ই কোনো দেশের রাজার ছেলেকে এরা চুরি করে নিয়ে এসেছে।প্রথমদিন বাড়ির মালপত্র ওঠানোর তদারকিতে ব্যস্ত ছিলো ছেলেটা,আমি তখন কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছি। ছেলেটাকে দেখে মাথা ঘুরে পড়তে গিয়েও অনেক কষ্টে তাল সামলালাম। তারপর বাড়ি ফিরে ভাবতে শুরু করলাম, জীবনে কি কি পুন্য করেছি... ... ...