অত্যন্ত লজ্জার সাথে স্বীকার করি, আমি রিজিয়া রহমানের নামও জানতাম না। কখনও কোনও আলোচনাতেও শুনি নি। এঁর নাম প্রথম দেখলাম কুলদা রায়ের দেয়ালে, রিজিয়া রহমানের মৃত্যুর পরে অল্প কিছু কথা লিখেছেন। কুলদা'র সংক্ষিপ্ত মূল্যায়নটুকু পড়ে খুবই আগ্রহ জাগে, কুলদা তৎক্ষণাৎ দুটি বইয়ের ই-কপির খোঁজও দেন। এরপরেরদিনই একটি বইয়ের গ্রুপে রিজিয়া রহমানের 'ইজ্জত' গল্পটি পড়ে তীক্ষ্ণ, শক্তিশালী একটি কলমের আন্দাজ পেয়েছিলাম। .আজ প্রায় একবসায় শেষ করলাম 'রক্তের অক্ষরে'। কি আশ্চর্য্য লেখনী! নেকুপুষু আতুপুতু মধ্যবিত্তপনার ... ...
বিএনপি এখন অস্তিত্ব সংকটে আছে। কিন্তু কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। ক্ষমতার তাপে মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল দলটার। ফলাফল ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা। বিরোধীদলের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করলেই সরকারের ঘাড়ে দোষ যাবে ব্যাপারটা এমন না। বিএনপি সরকার এই দায় নিজে ঘাড়ে নিজেরাই টেনে নিয়েছিল। প্রাথমিক নিন্দা জানানোর পরেই বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এত বড় একটা ঘটনাকে হাস্যকর করে ফেলেছিল। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর সম্ভবত তখনই দিয়েছিলেন তার যুগান ... ...
বার্সিলোনা আসলে স্পেনের শহর হয়েও স্পেনের না। উত্তর পুর্ব স্পেনের যেখানে বার্সিলোনা, সেই অঞ্চল কে বলা হয় ক্যাটালোনিয়া। স্বাধীনদেশ না হয়েও স্বশাসিত প্রদেশ। যেমন কানাডায় কিউবেক। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই মনে হয় এরকম একটা জায়গা থাকে, দেশি হয়েও দেশি না। ইতিহাসের পাতার ক্ষোভের দলিল। গোষ্ঠী সংঘাতের ইতিহাস। কেবল আমাদের দক্ষিন পশ্চিম এশিয়ায় এনিয়ে এখনো রক্ত ঝরে কোথাও কোথাও, স্পেন বা কানাডা রক্ত ঝরে না , চলে সাংবিধানিক বিতর্ক দশকের পর দশক ধরে। সে যাই হোক। বার্সিলোনা আসলে ক্যাটালোনিয়ার রাজধানী। বার্সিল ... ...
ঠিক করেছিলাম আট-নয়দিন স্পেন বেড়াতে গেলে, বার্সিলোনাতেই থাকব। বেড়ানোর সময়টুকুর মধ্যে খুব দৌড় ঝাঁপ, এক দিনে একটা শহর দেখে বা একটা গন্তব্যের দেখার জায়গা ফর্দ মিলিয়ে শেষ করে আবার মাল পত্তর নিয়ে পরবর্তী গন্তব্যের দিকে ভোর রাতে রওনা হওয়া, আর এই করে ১০ দিনে ৮ টা শহর/গন্তব্য দেখে ফেলার মত ফিলোজফিতে আমাদের বিশ্বাস নেই। এমনিতে বেড়াতে যাওয়ার ঠিক তিন রকম ভার্টিকাল থাকে। একনম্বর যতটা সম্ভব হয় ততটা দেখা , দুনম্বর ছুটি উপভোগ করা আর তিন নম্বর নতুন দেশ/শহর/সংস্কৃতি অনুভব করা। এরমধ্যে শেষ দুটোয় গুরুত্ব দেওয় ... ...
স্টার্ট-আপ সম্বন্ধে দুচার কথা যা আমি জানি। আমি স্টার্ট-আপ কোম্পানিতে কাজ করছি ১৯৯৮ সাল থেকে। সিলিকন ভ্যালিতে। সময়ের একটা আন্দাজ দিতে বলি - গুগুল তখনও শুধু সিলিকন ভ্যালির আনাচে-কানাচে, ফেসবুকের নামগন্ধ নেই, ইয়াহুর বয়েস বছর চারেক, অ্যামাজনেরও বেশি দিন হয়নি। অতএব স্টার্ট-আপ সম্বন্ধে গভীর বাণী দেবার সবরকমের হক ও জ্ঞানভান্ডার আমার আছে।প্রথম যে স্টার্ট-আপে ঢুকেছিলাম সে একেবারে ওয়ান-পাইস ফাদার-মাদার। একতলার করিডোরের দুপাশে তিনটে মাঝারি সাইজের ঘরে গাদাগাদি করে জনা-পঁচিশ লোক। তারপরে লোক বাড়লে আরেকটা ... ...
পাশাপাশি দুই পাড়া - ভ-পাড়া আর প-পাড়া। জন্মলগ্ন থেকেই তাদের মধ্যে তুমুল টক্কর। দুই পাড়ার সীমানায় একখানি সাতমহলা বাহারী বাড়ি। তাতে ক-পরিবারের বাস। এরা সম্ভ্রান্ত, উচ্চশিক্ষিত। দুই পাড়ার সাথেই এদের মুখ মিষ্টি, কিন্তু নিজেদের এরা কোনো পাড়ারই অংশ মনে করে না। পারিবারিক ব্যবসা, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চায় মগ্ন ক-বাড়ি যেন একটি স্বতন্ত্র পাড়া। একবার প-পাড়ার কিছু গুন্ডার চোখ পড়ল ক-বাড়ির দিকে। অভিজাত ক-পরিবারকে নিজেদের পাড়ায় ঢোকাতে পারলে এক লাফে প-পাড়ার প্রতিপত্তি বাড়ে। অনিচ্ছুক ক-বাড়ির দরজা-জানলায় ঢিল পড়তে লাগ ... ...
সাহেবের কাঁধে আছে পৃথিবীর দায়ভিন্নগ্রহ থেকে তাই আসেন ধরায়ঐশী শক্তি, অবতার, আয়ুধাদি সহসকলে দখলে নেয় দুরাচারী গ্রহমর্ত্যলোকে মানুষ যে স্বভাবে পীড়িতমূঢ়মতি, ধীরগতি, জীবিত না মৃতঠাহরই হবে না, তার কীসে উপশমসাহেবের দুইগালে দয়ার পশমঘোষণা দিলেন ওই অবোধের পাড়াসেখানে থাকুক শান্তি স্বর্গের পারাআমি জানি কীসে হবে গ্রহের উন্নতিআমার পূজাই হোক মানুষের রতিএইকল্পে লোকহিতে সর্বশক্তি ঢেলেনেটিভের ঘরে আলো দিয়েছেন জ্বেলেআলোয় চরম জব্দ দস্যি যত ছেলে ... ...
মোদীজির সাফল্যের কাছে এভারেস্টও বেঁটে মতো, মারিয়ানা খাতও নেহাৎই ডোবা। মঙ্গলে উপগ্রহ পাঠানোও মাছি-মারার মতই সহজ, হালের চন্দ্রযান তো এমনকি গণেশের প্লাস্টিক সার্জারির চেয়েও সোজা। নিত্যনতুন কর্মকান্ডে তিনি আমাদের আশ্চর্য করেই চলেছেন। এর আগে এইভাবেই মোদীজি নতুন নোটে জিপিএস চিপ লাগিয়ে সন্ত্রাসবাদের সাড়ে-সব্বোনাশ করে দিয়েছিলেন। সে এতই কার্যকরী হয়েছিল, যে, সন্ত্রাসবাদীরা জিপিএস ট্র্যাকিং এর জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে আক্রমণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাতে প্রচুর সৈনিক, অনেক অসামরিক মানুষ, কয়েকটি প্লেন, ইত্যাদি নানা জৈব ও ... ...
[লেখাটি মূলত কিশোরবয়স্কদের উদ্দেশে লেখা, বছরদুয়েক আগে ছাপা হয়েছিল 'নেহাই' পত্রিকায় । তবু এর বিষয়বস্তুর কারণে বয়স্করাও হয়ত কেউ কেউ আগ্রহ বোধ করতে পারেন] ............তোমরা কি কখনও ভেবে দেখেছ, যে আমাদের জীবনটা কত বেশি বেশি মজায় ভরপুর ? সে সব মজা অবশ্য এমনিতে সবসময় চোখে পড়ে না, কিন্তু একটু খুঁটিয়ে ভাবলেই টের পাওয়া যায় । যেমন ধর রাস্তায় ভিড়ের মধ্যে একটা লোককে ডেকে যদি জিজ্ঞেস কর, আচ্ছা দাদা, আপনার অচ্ছোদপটলটা ঠিক কোথায় চটপট বলুন তো, তাহলে বেশির ভাগ লোকই বেদম ঘাবড়ে যাবে । সেটা আবার কোন ... ...
কংগ্রেস রাজত্বের পরই দেশে রামরাজত্ব এসে গেছে সন্দেহ নেই। সিকুলার আমলে ধর্ষণ-টর্ষণ হলে কখনও সখনও ন্যায়বিচারের তামাশা হত, রামরাজত্বে ওসব ইয়ার্কির পাট একেবারেই চুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন একদম হাতে-হাতে বিচার। বিলম্বের কোনো গল্পই নেই। এখন এমএলএর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এলে একদম খুল্লামখুল্লা, সোজাসাপ্টা হিসেবনিকেশ। পদ্ধতি একদম সিধে। এখন ধর্ষণের অভিযোগ করলে প্রথমে অভিযোগকারিণীর বাবাকে পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি পুলিশী হেফাজতে মারা যান। তার সাক্ষী আবার মরে যান পট করে। সেই নিয়ে হইচই করলে গ্রেপ্তা ... ...
এ লেখায় খট্টাঙ্গ নেই। স্রেফ নামে টেনিদাকে স্মরণ করে অলংকার হিসেবে আছে। আছে পলান্ন অর্থাৎ পোলাও। পোলাও বলতেই মনে পড়ে ছেলেবেলায় ভিয়েন বসান বিয়েবাড়ির খাওয়া। লম্বা নড়বড়ে ডেকরেটরের টেবিলে হলদেটে সাদা নিউজপ্রিন্ট ধরণের কাগজ পাতা। তার ওপর কলাপাতা। সেখানে লুচি বা রাধাবল্লভী, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, ছ্যাঁচড়া, মাছ-টাছের পরে মাংসর বালতি আসার আগে আসত পোলাওয়ের বালতি। সে পোলাও হত নিরামিষ। কিসমিস, কায়জুবাদাম দেওয়া হলদে তেলাল মিষ্টি-মিষ্টি ভাত। ডাকনাম ছিল উড়ে বামুনের পোলাও। অনেকে ঘি-ভাত বলেও ডাকতেন। গরগরে মাংসর ... ...
ওগো কাঙাল আমারে….. এঁর গাওয়া গানের মহিমা বুঝতে বোধ হয় নিজেকে কিছুটা প্রস্তুত করতে হয়। তার মানে এর মধ্যে কোনও এলিটিস্ট দাগ কাটার কিছু নেই। রবীন্দ্রসঙ্গীত নামক শিল্পটি কীভাবে পরিবেশন করা যায়, সে বিষয়ে তাঁর নিজস্ব কিছু ধারণা ছিলো। তাঁর গায়নভঙ্গির সঙ্গে হিমালয়প্রমাণ পূর্বসূরিদের পরিবেশিত লোকপ্রিয় ধারাগুলির ফারাকটি প্রথম থেকেই বেশ স্পষ্ট। প্রথমত তাঁর কণ্ঠসম্পদ। দার্ঢ্য ও সুরের কারুকাজ একসঙ্গে এভাবে শ্রোতারা শোনেননি আগে। আমাদের বাল্যকালে সুনীল ... ...
আসামের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কী বীভৎস মজা চলছে, কাল তিস্তা শেতলবাদের লেখা পড়ে আরেকবার বোঝা গেল। তিস্তা লিখেছেন, এন-আর-সির কারণে ৫৮ জন শ্রমজীবি মানুষ মারা গেছেন আসামে। তার মধ্যে ২৮ জন হিন্দু, ২৭ জন মুসলমান, একজন বোড়ো, একজন গোর্খা, এবং একজন চা-উপজাতি। সংখ্যার ঠিক-ভুল নয়, বীভৎস মজাটা এই বর্ণনাতেই। ধরুন ভারতের ফুটবল টিমে ১১র মধ্যে ৮ জনই বাঙালি। একজন রিপোর্টার দলের বর্ণনা দিতে গিয়ে ... ...
নিউজফিড ঘাঁটতে ঘাঁটতে বর্তমানের ফেমাস সিঙ্গার, মেয়েদের ক্রাশ মাঈনুল আহসান নোবেলের একটা ছবি হঠাৎ সামনে চলে এলো। ছবিটা দেখামাত্র আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটা শিহরণ বয়ে গেল। ইউরেকা! পেয়েছি! আমার জীবনসঙ্গী,আমার বাচ্চার বাপ, আমার নাতি-পুতির দাদা। সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম অতীত,বর্তমান,ভুত ভবিষ্যত সব ভুলে গিয়ে আমি নোবেলকেই বিয়ে করবো। প্রথম প্রথম পরিবার মানবে না...ইয়ে মানে, নোবেলকে রাজি করানোটাও একটা সমস্যা! তবে ব্যাপার না! আমি রোমান্টিক রোমান্টিক কবিতা লিখে ওর পেজে মেসেজ করে দেবো। ... ...
রঙ! শব্দটা শুনলে একটা অদ্ভুত অনুভূতি জাগে মনে। হঠাৎ যেন মনে হয় কেউ এক মুঠো লাল - হলুদ আবির ছড়িয়ে দিল হাওয়ায়। রঙ শুনলে আমার কেন জানি মনে হয়, একটা ক্যানভাসে খুব পাৎলা করে কেউ ক্রিমসন রেডের একটা শেডের উপরে ক্রোম ইয়োলোর এক পোঁচ ভেজা রঙ লাগিয়েছে। আপনাদের কি মনে হয়? নিশ্চই অন্য কিছুর সাথে আপনারা রঙকে রিলেট করেন। রঙ শুধু একটা শব্দ, একটা বিশেষ্য পদ, যা দিয়ে সব রকম রঙের কথা বলা যায়। শব্দটি সাবজেক্টিভ নয় কোয়ালিটেটিভ। কিন্তু আমি যদি বলি আপেল কিম্বা স্ট্রবেরী? অমনি আপনার মনের মধ্যে লাল রঙের একটা ছবি ভেসে ওঠ ... ...
একটি খুব স্নেহের মেয়ে, বিদেশে পড়াশুনো করছে, সূর্যের নীচে সবকিছু ভালোর জন্যই ওর গভীর ভালবাসা। মাঝে মাঝে পাগলামি করে বটে,আবার শুধরে নেওয়ায় কোন অনীহা নেই।আমার খুব পছন্দের মানুষ !সে একদিন লিখলো ইসলামে কুকুর নাপাক জীব। এইটাতে সে ভয়ানক খাপ্পা, কারণ কুকুর তার প্রাণ।আমি তখন সদ্য গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের সমাধিক্ষেত্রে ঢুকছি। আমার সঙ্গে হিস্টরিওয়ালা অমিত মিত্র।Amit Mitra দিল্লীর পুরো ইতিহাস যার ঠোঁটস্থ। কিছুদূরে অপেক্ষা করছে আর এক বন্ধু শুক্লা বোস। উলটো দিকে তুঘলকাবাদের ধ্বংস ... ...
চিংড়ির হলুদ গালা ঝোলকোলাপোতা গ্রামটার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কপোতাক্ষ। এছাড়া চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে খাল বিল পুকুর। সবুজ জংলা ঝোপের পাশে সন্ধ্যামণি ফুল। হেলেঞ্চার লতা। উঠোনের কোন ঘেঁষে কাঠ চাঁপা। পঞ্চমুখী জবা। সদরের মুখটায় শিউলি। সাদা আঁচলের মতো পড়ে থাকে ফুলগুলো। উঠোনের মাঝখানে বড় তুলসী মঞ্চ। অষ্টপ্রহরের সময় ঘুরে ঘুরে কীর্তন হয় সেখানে। বাড়ির পেছনে আছে নারকেল গাছ বেয়ে ওঠা চুইঝাল। রান্নায় এতোটুকু ঝালের দরকার হলে মা টুক করে গিয়ে ছোট্ট ডাঁটি পেড়ে নিয়ে আসে। একটু ছেঁচে ফেলে দেয় ঝোলের মধ্যে। না ... ...
কিছুদিন ধরে হুট করেই যেন ধর্ষণের খবর খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছে। যেন হুট করে কোন বিষাক্ত পোকার কামড়ে পাগলা কুকুরের মত হয়ে গেছে কিছু মানুষ। নিজের খিদে মিটাতে শিশু বৃদ্ধ বাছ বিচার করারও সময় নাই, হামলে পড়ছে শুধু। যদি বিষাক্ত পোকার কামড়ে হত তাহলে এই সমস্যার সমাধান করা সহজ হত, কিন্তু আফসোস সমস্যা এত সহজ না। আমরা কোন দিন এই সমস্যার গভীরেই যেতে চাইনি, নিষিদ্ধ বস্তু, সামাজিক ধর্মীয় ট্যাবু বানিয়ে রেখেছে এই জিনিসকে, যৌনতাকে। এ নিয়ে কথা বলা যাবে না, শোনা যাবে না কিন্তু আমরা ধরে নিব সবাই সঠিক জ্ঞানে জ্ঞানী হচ্ছে ... ...
বিয়ের আগে শুনেছিলাম আজহারের রাজপ্রাসাদের মতো বিশাল বড় বাড়ি! তার ফুপু বিয়ে ঠিকঠাক হবার পর আমাকে গর্বের সাথে বলেছিলেন, "কয়েক একর জায়গা নিয়ে আমাদের বিশাল বড় জমিদার বাড়ি আছে। অমুক জমিদারের খাস বাড়ি ছিল সেইটা। আজহারের চাচা কিনে নিয়েছিলেন।"সেইসব গল্প শুনে আমাদের বাড়ির সবাই ধরেই নিল ছেলে বিরাট কিছু। এতবড় জমিদার বাড়ির একমাত্র ছেলে! আর কিছু দেখার দরকার নাই। এসে দেখি সত্যিই বিশাল বড় বাড়ি। ভুতুড়ে টাইপ। জায়গায় জায়গায় ভেঙে ভেঙে পড়ছে। রান্না করছি, হঠাৎই রান্না ঘরের ... ...
তোষক আশগুপ্ত নাম দিয়ে গুরুতেই বছর দশেক আগে একটা ব্যঙ্গাত্মক লেখা লিখেছিলাম। এটা তার দোষস্খালন বলে ধরা যেতে পারে, কিন্তু দোষ কিছু করিনি ধর্মাবতার।ব্যাপারটা এই ২০১৭ সালে বসে বোঝা খুব শক্ত, কিন্ত ১৯৯২ সালে সুমন এসে বাঙলা গানের যে ওলটপালট করেছিলেন, ঠিক সেইরকম বাংলা ক্রীড়াসাংবাদিকতার জগতে অশোক দাসগুপ্ত করেছিলেন সত্তরের শেষাশেষি। মুকুল, অজয় বসুদের গতানুগতিকতার খপ্পর থেকে বের করে মাটির ওপর শক্ত জমিতে বসিয়ে দিলেন বাংলার স্পোর্টস জার্নালিজমকে। ক্রীড়াসাংবাদিকতা বলতে অবশ্য শুধুই ফুটবল। আর কিছু ক্ ... ...