১৪শ শতক হচ্ছে ইউরোপের মধ্যযুগের শেষ শতক। দুর্ভিক্ষ, প্লেগ মহামারির মত নানান বিপর্যয়ে এই শতাব্দি পরিপূর্ণ। এই শতাব্দীতে জনসংখ্যার হ্রাসের ফলে ইউরোপের কৃষি, বাণিজ্য, শিল্পোৎপাদন সব কিছুতেই বিপর্যয় নেমে আসে। কিন্তু এই বিপর্যয়ের মাঝেই হয়তো আধুনিক যুগের উত্থানের বীজ নিহিত ছিল। এই বিপর্যয়ের প্রভাবের পতন ঘটে তদকালীন সামন্ততন্ত্রের। প্রচুর কৃষক-শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলেও যারা বেঁচে যায় তারা হয়ে ওঠে আগের থেকেও বেশি স্বাধীন, জীবনযাত্রার মান হয় আগের থেকেও উন্নত। এই শতাব্দীর বিপর্যয় আবার প্রভাবিত করেছিল পরের শতকের সমুদ্রযাত্রা, ভারত আবিষ্কার ও এর সাথে বাণিজ্যকে। সব মিলে পৃথিবীর ইতিহাসে এই শতাব্দীর গুরুত্ব অনেক। তাই ইউরোপের ১৪শ শতক সম্পর্কে জানতে চাইলে এই নিবন্ধটি পড়ুন (আগাম সতর্কতা - এই লেখায় সাহিত্যরসের ঘাটতি আছে)। ... ...
এমনিতেই আমার স্বপ্ন সবসময়ই অদ্ভুত সিনেম্যাটিক হয়। তার ওপর বহুদিন পর অন্ধকার থাকতে থাকতে চোখ বুজতে পেরেছি। ব্যাস আর যায় কোথায়!! এই ঘন্টা তিনেক ধ'রে আমি ইস্কুলে ইস্কুলে গিয়ে সাইকেল চুরি করে বেড়াচ্ছিলাম। তাও গাড়ি নিয়ে। গাড়ির ডিকিতে প্রচুর খাবারের প্যাকেট ছিল। সেটাতে পরে আসছি। আমার তিনজন পার্টনার ছিলো সাথে। একজন কে সেটা মনে পড়ছেনা। এছাড়া ছিলো কাজু আর সুফি। সুফি একটু বড়। তিনি ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে পা দোলাচ্ছিলেন। ... ...
সুফি আজকাল লোকনাথ বাবার স্টাইলেই বেশিরভাগ সময় বসে থাকেন। বসেন লোকনাথ বাবার মতো কিন্তু শয়তানি বুদ্ধি লুসিফারের মতো। আমি প্রায়ই ওর অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে বলি, বেরিয়ে যা ... ...
তোমার কথা আমার কথা বললে জোরে শুনবে লোক; ভারত চালায় আম্বানি আর মৌলবাদী আহাম্মক। ... ...
বিজ্ঞান ও যুক্তির সত্যসন্ধানী ভাবমূর্তিতে নাকি আজকাল একটু কালির ছিটে লেগেছে, ও সব নাকি আসলে ততটা ‘সত্য’ নয়, যতটা পশ্চিমী মগজ-ধোলাই । ও হচ্ছে এশিয়া, আমেরিকা আর আফ্রিকার প্রাচীন জ্ঞানকে দাবিয়ে রাখা আর অস্বীকার করবার হাতিয়ার, পশ্চিমী জ্ঞানকেই একমাত্র জ্ঞান বলে বাকি পৃথিবীর ওপর চাপিয়ে দেবার ষড়যন্ত্র । এই কারণেই নাকি আধুনিক যুক্তিবাদ, বিজ্ঞান আর তারই উপজাত আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগে যুদ্ধ-বিগ্রহে, মানুষকে দমিয়ে রাখতে, নির্বিচারে পরিবেশ ধ্বংস করতে । কাজেই, এ হেন খারাপ জিনিসের জন্ম ও বাড়বৃদ্ধি যে এশিয়া আর আফ্রিকার উপনিবেশগুলোকে শোষণ না করে সম্ভব হতে পারত না, তাতে আর সন্দেহ কী ? আধুনিকতা ও পাশ্চাত্যের রোমান্টিক বিরোধিতার এই ফ্যাশনেব্ল্ বয়ানটি বিশ শতকের সাত থেকে নয়ের দশক পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক্স-এ খুব চলত । আজ তার সুদিন গিয়াছে, তবু আজও অনেকে নিয়মিতই এ নিয়ে ফেসবুকে চর্বিতচর্বণ করে থাকেন । ভারতের মত এক সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ইংরেজের হাতে দখল হয়ে যায়, আর, মোটামুটি ওই একই সময় থেকে ব্রিটেন-এ শুরু হয় শিল্প-বিপ্লব, অতএব সেটা নিশ্চয়ই ভারত থেকে লুঠ করা টাকাতেই সম্ভব হয়েছিল, এ রকম একটা ধারণা অ্যাকাডেমিক পণ্ডিত থেকে শুরু করে সাধারণ পড়ুয়া মানুষ অবধি অনেকেই পোষণ করে থাকেন । কিন্তু, কথাটা কি সত্যি ? মানে, যে ভাবে বলা হয় ওভাবেই সত্যি ? ... ...
"....আরটিআই একটি সামাজিক আন্দোলন হিসাবে গড়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। সেই পথেই আমাদের এগোতে হবে। আরটিআই করুন, অন্যকে আরটিআই করতে বলুন। তথ্যের অধিকার আপনার নাগরিক অধিকার। সেই অধিকারকে ব্যবহার করুন, সেই অধিকারকে রক্ষা করুন।" ... ...
কলকাতা শহর এথেন্স বিশেষ। বুদ্ধিজীবীর সন্ধান মিলত দেশপ্রিয় পার্ক তথা রাসবেহারীর ফুটপাতে নিয়ত। দু দশক আগেও। বুলেভার্ডে সবুজ গাছে লাল থোকা ফুল, শরত এসে গেল! বস্তুত, উনিশ শতক যদি উত্তরের মননে ধরা দেয়, বিশ শতক দক্ষিণের। তো, এ হেন কলকাতায় পথচলতে প্রায় ধাক্কা-মেরে-চলে-যাওয়া অটোর মতোই চলে গেছেন বুদ্ধিজীবীরা। কানা ঘেঁষে। বার্লিনে মেঘ করলে, জল ঝড়েছে ফার্ন রোডে..দিনরাত্তির.. দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নতুন কলামে এবারে ধরে রাখবেন, সেসব স্মৃতি, সত্তা ও ভবিষ্যৎ। যা দু দশক পেরিয়েও, পুরোনো বই দোকান ও প্রবীণ নাগরিকের স্মৃতি হাতড়ে তিনি খুঁজে পান; হরপ্পা সভ্যতা। বলবেন, যে সব বিচিত্র মানুষদের দেখেছেন তিনি, তাঁদের নিয়ে। যারা যতটা পাড়ার ততটাই দুনিয়ার..এই মাত্র ফুটপাতের বই তুলে নিয়ে ঘাটছিলেন, একটু পরেই তাঁকে দেখা যাবে কন্সতানতিনোপলের সদর রাস্তায়..এ বাঙালির ভবানীপুর ছিল। রাজারহাট ছিল না। স্বপ্ন ছিল। টাকা ছিল না। সত্তরকে নব্বইয়ের প্রজন্মর এই আকুল খোঁড়ার পিছনে কি রয়েছে? ফ্যাসিবাদের হাওয়ার হিউমিলেয়াশান? নাকি পোস্ট-ট্রুথ ডিস্টোপিয়া? চল্লিশ বছরের অন্ধকারের ব্যবধানে ক্রাইসিস কি মেলাচ্ছে আবার দুটো প্রজন্মকে? ... ...
এর আগে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কন্সপিরেসি তত্ত্বের অবতারণা করেছিলাম| এই লেখায় সেই তত্ত্বের আরো একটু বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছি | প্রধাণত সেই থিওরীগুলো কারা ছড়াচ্ছে এবং কি উদ্দেশ্যে| স্পেসিফিক্যালি, যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি তা হচ্ছে, WHERE IS THE MONEY? ... ...
ওই, শিরোনামে যা দেওয়া আছে তাই। অত লিখতে পারছি না আবার ... ...
Women's Equality Day এল আর চলেও গেল| তাতে কি ভাগ্যি বাড়লো জানি না, তবে ফিরে দেখার ইচ্ছে হলো একশো বছরের সালতামামি| সত্যিই কি কিছু বদলেছে? এ লেখার সব চরিত্র সত্যি, ইতিহাস থেকে নেওয়া| শুধু নায়িকার নামটি বদলে দিয়েছি| দুটি ভাগে লেখা এটি| একইসঙ্গে দিলাম| ... ...
বসুধা আমায় ধারণ করবে বলে সৃষ্ট হয়ে ছিল।আমার ফল থেকে, বীজ থেকে আরেকটা আমির জন্ম হয়।আস্তে আস্তে আমি ছেয়ে যাই সবখানে। ... ...
ভবেশ দেখছিলো শীতের সূর্যের আলোয় বাবার পিঠের চামড়ায় একটা ধাতব আঁকশি চকচক করে উঠছে। ভবেশের অবাক লেগেছিলো। পরে একদিন রাত্রিবেলা বাবার পাশে শুয়ে ভবেশ বাবাকে জিজ্ঞেস করে আঁকশিটার কথা। বাবা প্রথমে অস্বীকার করে যায় ব্যাপারটা, যেন কিছুই জানে না। যেন ভবেশ ভুল দেখেছে, আর গোটাটাই তারই ভ্রম। কিন্তু ভবেশ ছাড়েনি। সে বাবার পিঠের আঁকশিটায় হাত রেখে বলে, "এই যে, এইটা। এইটা কী?" --- বাবা থমকে যায়। যেন এইটুকু একরত্তি ছেলে হয়ে ভবেশ আঁকশিটা দেখে ফেলবে এটা বাবা ভাবতে পারেনি। কিন্তু তারপরও উত্তর দেয়নি বাবা। হেসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলো। আর বলেছিলো, "তুই ঘুমো। কাল সকালে নইলে প্রেয়ার লাইন মিস হয়ে যাবে।" ... ...
২০১৬ সালের ইন্ডিয়া টুডে এর একটি সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অ্যাপলের কো-ফাউন্ডার স্টিভ ওজনিয়াক বলছেন "ভারতীয়রা কঠিন পড়াশোনা করে এবং এমবিএ পায়, মার্সিডিজ কিনতে পারে ,কিন্তু সতাদের মধ্যে সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে"। প্রতিবেদনটির প্রথম অনুচ্ছেদটির অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, "ভারতীয়রা সৃজনশীল হতে পারে না। ভারতেও অনেক মানুষ এই সন্দেহ করেছে। এখন এটা অ্যাপলের আরেক স্টিভ, স্টিভ ওজনিয়াকেরও মতামত। ওজনিয়াক ওরফে ওজ, যিনি অ্যাপলের প্রথম কম্পিউটার অ্যাপল ১ এর পেছনে ছিলেন এবং স্টিভ জবসের সাথে কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা, তিনি বলেন যে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা অধ্যয়নশীলতা-ভিত্তিক ( based around studiousness), কিন্তু তা সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে না।" ... ...
এই বছরের ২৮ ও ২৯শে আগস্ট মুসলিমদের, বিশেষ করে শিয়া মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় পবিত্র দিবস আশুরা উদযাপিত হচ্ছে। ইসলামিক পঞ্জিকা অনুযায়ী মুহররম এর দশম দিনকে আশুরা বলা হয়। সুন্নি মতানুযায়ী ইহুদীরা মুসার বিজয়ের স্মরণে আশুরার সাওম বা রোজা পালন করত। তবে শিয়া মত আশুরার পূর্ব ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তারা আশুরাকে কারবালার বিষাদময় ঘটনার স্মরণে পালন করে। এই দিনটি শিয়া মুসলমানদের দ্বারা বেশ আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে তারা বিভিন্ন ধরনের মিছিল, মাতম ও শোকানুষ্ঠান আয়োজন করে। তবে একটি ক্ষুদ্র অংশ তদবীর পালন করে থাকে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, লেবানন ও বাহরাইনের শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে এসব অনুষ্ঠান চোখে পড়ার মত। ... ...
প্রায়ই শহর থেকে বাসে করে স্কুলে আসার সময় শুনি গতরাতে ওমুক গঞ্জ কি তমুক ছড়ার স্কুলে আগুন লেগেছে। বেশিরভাগ টিনের চাল আর বাঁশ বা কাঠের ওপর প্লাস্টার করা স্কুল বাড়ি। দৃষ্টিশোভণ কিন্তু সহজ দাহ্য। একদিন দেখি বাসে একজন বয়স্ক মাষ্টারমশাই নীরবে চোখের জল ফেলছেন, স্কুল পুড়ে গেছে, পুড়ে গেছে তাঁর সার্ভিসবুক। সামনে রিটায়ারমেন্ট। একরকম একদিন স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসে উঠে একটা জানালার ধারে সীট পেয়ে গুছিয়ে বসেছি তখনই শুনলাম আগের রাতে আমাদের স্কুলে আগুন লেগে অফিস ব্লকসহ অনেকখানি পুড়ে গেছে। ... ...
প্রাজ্ঞজন উপদেশ দিয়েছিলেন মুখোশপরা মানুষের থেকে দূরে থাকতে| এমনই কপাল, কোভিড-কালে সব্বার মুখে এঁটে বসেছে মুখোশ| আক্ষরিক অর্থেই মানুষ চেনা দায়| তাই মাস্ক নিয়ে একটু মস্করা আজ| ... ...
স্রোতস্বিনী নিশ্চিত হতে চেয়েছিল। সে চেয়েছিল তার ম্যাজিকটা সারাজীবন তারই থাক। তার জন্য চেষ্টার কসুর সে করেনি কখনও। রোজ বিকেলে সে ঘন্টাখানেকের জন্য ম্যাজিকটাকে একা ছেড়ে দিত শুরুতে। যাতে ম্যাজিকটা নিজের মতো ঘুরেফিরে একটু শ্বাস নিয়ে আসতে পারে। তার বিশ্বাস ছিল তার ম্যাজিক যখন তার কাছেই ফিরে আসবে নিশ্চয়ই। কিন্তু ম্যাজিকটা একদিন ফিরলো না। বাধ্য হয়ে স্রোতস্বিনী তখন তাকে খুঁজতে বেরোলো। পাক্কা দেড়দিন পর দেখা গেলো সেখান থেকে তিনটে পাড়া পেরিয়ে একটা হলুদ বাড়ির দোতলায় একজন বয়স্ক মহিলার কোলে শুয়ে ম্যাজিকটা তখন চাঁদের বুড়ির গল্প শুনছে ... ...
দিনা বরাবরই জে’র খুব প্রিয়। অনেক পরে, একদিন এই দিনা জে’র চোখে চোখ রেখে বলবে সে তার ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করতে চায়। দিনাকে জে তাঁর বোনের হাতে সঁপে দিয়েছিলেন, সে সম্পূর্ণ মুসলিম ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত। কিন্তু তার পছন্দের মানুষটি ধর্মে পার্সি, নাম নেভিল ওয়াদিয়া। জে ক্ষুব্ধ হবেন, আর ইতিহাস ঘরের ইজিচেয়ারে বসে দোল খাবে আর মুচকি হাসবে। দিনার মা কে? সেটা কি সত্যিই ভুলে গেলেন নাকি জে? বার্ধক্যের ভ্রম না নিয়তি এড়িয়ে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা? ... ...