পরশু প্রায় কিলোমিটার পঁচিশেক পেরিয়ে যখন জলঙ্গী পৌঁছাই, রাস্তায় বার তিনেক আটকে থেকেছি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুশপুতুল দাহন আর প্ল্যাকার্ড হাতে মৌন মিছিলের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ক্রমশ বিপরীতমুখী হয়েছে রাস্তায় গাড়ি আটকে ইঁট ছোঁড়াছুঁড়ির ঘটনায়। অথচ আমি জানি, সাধারণ মানুষকে হ্যারাস করে 'কাটার বাচ্চা আর মোল্লার দল হিংসা ছড়াচ্ছে' বলে বেড়ানো দু'মুখো কালসাপের ভুবনজোড়া ফাঁদে পা না দেবার মতন সাধারণ বোধবুদ্ধি আপামর 'আন্দোলনকারীর' নেই, সেটা হতে পারে না। তবু সেটাই হয়েছে... হচ্ছে। কারণ 'চতুরের ছলের অভাব হয়না'। ... ...
‘কপাল মানুষের সঙ্গে সঙ্গে যায়। পালানোর কি আর উপায় আছে!’- এই সপ্তাহে শরীর ‘খারাপ’ থাকার কথা। কিন্তু, কিছু টাকার খুবই দরকার। সকালে পেট-না-হওয়ার ওষুধ গিলে, সন্ধেয় লিপস্টিক পাউডার ডলে প্রস্তুত থাকলে কী হবে, খদ্দের এলে তো! রাত প্রায় একটা। এই গলির কার্যত কোনো জীবনযাত্রা নেই। ঘুণধরা জীবনগুলি স্মৃতিরও অতীত সময় থেকে যেন এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। তেলচিটে বিছানা। কালী, দুর্গা, বোম্বাইয়া নায়িকার ছবি আঁটা চুন-ঝরা দেওয়ালের খুপরিগুলির জলবায়ু চিরকালই স্যাঁতসেঁতে। ইতিহাস সবারই উনিশ-বিশ। কান পাতলে দীর্ঘশ্বাসদের ব ... ...
নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস—আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা গাম্বিয়ার মামলার শুনানি শুরু হয়েছে আজকে। শান্তি প্রাসাদে শান্তি আসবে কিনা তার আইনই লড়াই শুরু আজকে থেকে। নেদারল্যান্ডের হেগ শহরের পিস প্যালেসেই আইসিজে অবস্থিত। হেগ শহরেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট—আইসিসি) আরেকটি মামলা চলমান। তবে আইসিজের মামলার একটু আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। আইসিজে জাতিসংঘ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, মামলার রায় বাস্তবায়নে পরবর্তীতে জাতিসংঘর সাহা ... ...
ইয়ে, স-অ-অ-অ-ব দেখছে। বড়দা সব দেখছে। বড়দা স্রেফ দেখেনি ওইখানে এক দিন রাম জন্মালেন, তার পর কারা বিদেশ থেকে এসে যেন ভেঙেটেঙে মসজিদ স্থাপন করল, কেন না বড়দা তখন ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুম ভাঙল যখন, চোখ কচলেটচলে দেখলেন মস্ত ব্যাপার এ, বড়দা বললেন, ভেঙে ফেলো মসজিদ, জমি ছিনিয়ে লাও, ওখানে মন্দির ছিল আর মন্দিরই হবে। দেশসুদ্ধু লোকের অবশ্য এত চমৎকার দিব্যদৃষ্টি ছিল না, তারা মৃদু স্বরে কুঁইকুঁই করে বলতে গেল, ইয়ে মানে চোখে তো দেখলাম না। বড়দা ঠাণ্ডা গলায় বললেন, বাবু, যা বলছি মেনে নে না। মন্দির ছিল, মন্দিরই হবে। ওখানে শা ... ...
যেকোন নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে সামনে আসার পর নাগরিক হিসাবে আমাদের একটা ঈমানি দায়িত্ব থাকে। দায়িত্বটা হল অভিযুক্ত ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির দাবি করা। কঠোরতম শাস্তি বলতে কারোর কাছে মৃত্যুদন্ড। কেউ একটু এগিয়ে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার কথা বলে। আবার কেউ আরও একটু এগিয়ে ধর্ষককে কুচিকুচি করে কেটে নুনলঙ্কা মাখানোর বিধান দেন । কাল একটা গ্রুপে দেখলাম একজন অতি দরদী নাগরিক বলেছে "শ্লা রেপিষ্টের মা বোনকে রেপ করা হোক, তবেই রেপিষ্ট বুঝবে জ্বালা"। ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর 'প্রতিবাদ' করতে গ ... ...
বাঙালি মধ্যবিত্তের মার্জিত ও পরিশীলিত হাবভাব দেখতে বেশ লাগে। অপসংস্কৃতি নিয়ে বাঙালি চিরকাল ওয়াকিবহাল ছিল। আজও আছে। বেশ লাগে। কিন্তু, বুকে হাত দিয়ে বলুন, আপনার প্রবল ক্ষোভ ও অপমানে আপনার কি খুব পরিশীলিত, গঙ্গাজলে ধোওয়া আদ্যন্ত সাত্ত্বিক শব্দ মনে পড়ে? না প্রাণভরে বেশ খারাপ খারাপ কথা উচ্চারণ করতে মন চায়? আপনি কি কিশোর বয়সে, তরুণ বয়সে একটিও খারাপ উচ্চারণ-অযোগ্য অসাংবিধানিক অমার্জিত শব্দ বলেন নি? ঠাট্টাছলেও বলেন নি? বেশ, যদি একদমই না বলে থাকেন তাহলে তো আপনি প্রায় বোধি গাছের তলায় বসে আছেন, চরাচর আপনার ... ...
দা আইরিশম্যান। সিনেমা প্রেমীদের জন্য মার্টিন স্করসিসের নতুন বিস্ময়। ট্যাক্সি ড্রাইভার, গুডফেলাস, ক্যাসিনো, গ্যাংস অব নিউইয়র্ক, দা অ্যাভিয়েটর, দ্য ডিপার্টেড, শাটার আইল্যান্ড, দ্য উল্ফ অব ওয়াল স্ট্রিট, সাইলেন্টের পরের জায়গা দা আইরিশম্যান। বর্তমান সময়ের সেরা পরিচালক কী স্করসিস? কিংবা সর্বকালের সেরা? তর্ক থাকতে পারে কিন্তু তিনি যে সেরাদের একজন তা নিয়ে নিশ্চয়ই কোন তর্ক নেই। সর্বকালের সেরাদের ছোট তালিকায়ও অনায়াসে তার জায়গা হয়ে যাবে। ( দা আইরিশম্যান নিয়ে বলতেে গিয়ে স্করসিস নিয়ে আলাপের কিছু নাই। স্করসি ... ...
হ্যালোউইন চলে গেল। আমাদের বাড়িতে হ্যালোউইনের রীতি হল মেয়েরা বন্ধুদের সঙ্গে ট্রিক-অর-ট্রিট করতে বেরোয় দল বেঁধে। পেছনে পেছনে চলে মায়েদের দল। আর আমি বাড়িতে থাকি ক্যান্ডি বিতরণ করব বলে। মুহূর্মুহূ কলিং বেল বাজে, আমি হাসি-হাসি মুখে ক্যান্ডির গামলা নিয়ে দরজা খুলি। নানা সাইজের বাচ্চা। তাদের ক্যান্ডি দিই। দেখেছি আমি নিজের হাতে না দিয়ে বাচ্চাদের গামলা থেকে ক্যান্ডি তুলে নিতে বললে তারা বেশি খুশি হয়। খুব ছোট মেয়েদের পরী সাজার চল বেশি। ছেলেদের মধ্যে ব্যাটম্যান-সুপারম্যান। একটু বড় হলেই ভ্যাম্পায়ার, ব্যাটম্যা ... ...
রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে, শ্যাওড়া গাছের মাথায়, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে, ছাপাখানায় এবং সুখী গৃহকোণে প্রায়শই ভূত দেখা যায়, সে নিয়ে কোনও পাষণ্ড কোনওদিনই সন্দেহ প্রকাশ করেনি । কিন্তু তাই বলে দুরদর্শনে, প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানেও ? আজ্ঞে হ্যাঁ, দাদা ভরসা দিলে এই একুশ শতকেও ভূতের ‘কামব্যাক’ সম্ভব । দাদা বার বার পাহাড়প্রমাণ বাধা ঠেলে ভারতীয় ক্রিকেট দলে ‘কামব্যাক’ করেছেন, আর আমরা সব অধীর উত্তেজনায় আপিস কাচারি কামাই করে সে সব দেখেছি । তাহলে, তাঁর অঙ্গুলি হেলনে যে হাই ডেফিনিশন টিভির পর্দায় ভূতেরা ... ...
রবিবার। সকাল দশটার মত বাজে।শহরের মিরপুর ডিওএইচেসে চাঞ্চল্যকর খুন। স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী পলাতক।টিভি স্ক্রিণে এই খবর ভাসছে। একজন কমবয়েসী রিপোর্টার চ্যাটাং চ্যাটাং করে কথা বলছে। কথা আর কিছুই নয়, চিরাচরিত খুনের ভাষ্য। বলার ভঙ্গিতে সাসপেন্স রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। খুনির ভাইয়ের সাক্ষাৎকার নেয়া হচ্ছে। এই ভাইটি স্বামী স্ত্রী’র সাথে থাকত। ভয়ার্ত মুখে ছেলেটি জানাচ্ছে, ঐদিন সে বাসাতে ছিল না।সাইকিয়াট্রিস্ট হায়দার সাহেব বিরক্তির সাথে চোখ মুখ কুচকে নিউজটি দেখছিলেন। তার স্ত্রী ... ...
কুন্তী: প্রণাম কুরুজ্যেষ্ঠ্য গঙ্গাপুত্র। ভীষ্ম: আহ্ কুন্তী, সুখী হও। কিন্তু এত রাত্রে? কোনও বিশেষ প্রয়োজন? কুন্তী: কাল প্রভাতেই খান্ডবপ্রস্থের উদ্দেশ্যে যাত্রা করব। তার আগে মনে একটি প্রশ্ন বড়ই বিব্রত করছিল। তাই ভাবলাম, একবার আপনার দর্শন করে যাই। ভীষ্ম: সে কি এমন প্রশ্ন পুত্রী যা তোমাকে এত রাত্রে জাগিয়ে রেখেছে? কুন্তী: আজকের হস্তিনাপুর রাজসভার সিদ্ধান্ত।ভীষ্ম: আমি জানি কুন্তী যুধিষ্ঠির তার যথাযোগ্য অধিকার না পাওয়ায় তুমি ক্ষুণ্ণ। সে বিষয়ে তোমার মনে প্রশ্ন থাকলে, তা যথার্থ। ... ...
বাবরি রায় কী হতে চলেছে প্রায় সবাই জানতেন। তার প্রতিক্রিয়াও মোটামুটি প্রেডিক্টেবল। তবুও সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, মানে মূলতঃ ফেবু আর হোয়াটস অ্যাপে চার ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখলাম। বলাই বাহুল্য সবগুলিই রাজনৈতিক পরিচয়জ্ঞাপক। বিজেপি সমর্থক এবং দক্ষিণপন্থীরা খুশী, প্রত্যাশিতভাবেই। মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে মোটামুটি দু ধরণের প্রতিক্রিয়া - এক দল মনে করছেন যা হবার মিটে গেল, এই টেনশনের চেয়ে এটা বেটার। অন্য দল ক্ষুব্ধ, কিন্তু মুখে কিছু বলছেন না এখনো পর্যন্ত। দুই দলই ব্যথিত, স্বাভাবিকভাবেই। বামপন্থীরা মোটের ওপর ... ...
অতিদূর পল্লীটি এমনিতে শান্ত, কতকটা বৈচিত্র্যের অভাবেই। সিনেমা হল ও থানা নিদেন সাত মাইল দূর। ভিন্ন জাতি ও ধর্মের মানুষজন অবিকল সরকারি বিজ্ঞপ্তির ঢঙে পড়শীবৎসল না হইলেও, বহুদিন ধরিয়া ঝুট ঝামেলা নিজেদের মধ্যেই মিটাইয়া একপ্রকার শান্তিতে বহমান। যদিচ কিছুকাল হৈল সদর হইতে রঙ-বেরঙা পতাকা আসিয়া গ্রামের কালীতলায় কয়েকদফা সভা করিয়া গিয়াছে। কে বা কাহারা বুড়ি কালীর থানে অপকর্ম করিয়াছিল শেষাবধি জানা যায় নাই। খানিক গুমোট বাতাস অতিদূরের শান্ত পরিবেশটিতে ঢুকিয়া অম্লত্বের মাত্রা কিছু বাড়াইয়া তুলিয়াছে। তথাপি, পাঠক নড়িয়া চড়িয়া, পুনহ নিশ্চিন্ত বসুন, আকাঙ্খিত ঝঞ্ঝাবাত্যা বহে নাই। ... ...
[মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবনের মধ্যে লেখকের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, তার প্রায় এক দশকের গেরিলা জীবন। কারণ এম এন লারমাই প্রথম সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে পাহাড়িদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখান। আর তাঁর নির্দেশিত পথেই সাবেক গেরিলা দল শান্তিবাহিনী প্রায় দুদশক সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা করেছে। পরে এটি পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে যৌক্তিক পরিণতি লাভ করে। তাই চলতি নোটে চেষ্টা করা হয়েছে মূলত এমএন লারমার গেরিলা জীবনটিকে সংক্ষেপে মূল্যায়ন করার।] ... ...
হ্যামলিনের বাঁশিওলার গল্পটা জানিস তো? একটা শহরে খুব ইঁদুরের উপদ্রব হয়েছিল। ইঁদুরের জ্বালায় শহরের লোকের ত্রাহি ত্রাহি রব। কিছুতেই ইঁদুর তাড়ান যাচ্ছেনা। এমন সময়ে হ্যামলিন শহর থেকে একজন বাঁশিওলা বাঁশি নিয়ে এল। শহরের মেয়রকে বলল যে উপযুক্ত পারিশ্রমিক পেলে সে ইঁদুর তাড়ানোর বন্দোবস্ত করতে পারে। মেয়র এক কথায় রাজী। তখন বাঁশিওলা এমন সুর বাজাল যে সারা শহরের যত ইঁদুর, আনাচ থেকে, কানাচ থেকে, গোলা থেকে, সুড়ঙ্গ থেকে, ভাঁড়ার থেকে, আলমারির তলা থেকে - মানে যে যেখানে ছিল - সব দলে দলে বেরিয়ে বাঁশির সুর অনুসরণ করে ন ... ...
"তোমার মিলনে বুঝি গো জীবন, বিরহে মরণ"।প্রেমের চরম স্টেজটা পার করতে গিয়ে এই রকম একটা অনুভূতি আসে। একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচে না। এই স্টেজটা যদি কোনভাবে খারাপের দিকে যায় তখন মানুষের নানা পাগলামি লক্ষ্য করা যায়। কখনো কখনো পাগলামিটা তার গন্ডি ছাড়িয়ে ছাগলামিতে রূপ নেয়। আমি একজন প্রেমিককে চিনি যে প্রেমের কঠিন স্টেজটা পার করার সময় নিজেকে ছাগল মনে করতো। তখন চারপাশের কাঁঠাল গাছগুলো তার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকতো। ভালোর দিকে গেলেও কখনো কখনো সেইম কেস দেখা যায় (অন্যদিন বলবো)! তবু তো সময় বহিতে হয়। ৭ গোল খ ... ...
প্রায়-শূন্য করিডোর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল তমালী। করিডোরের প্রান্তে হেডমিস্ট্রেসের ঘর। সেখানে মিটিং আছে। ক’দিন ধরে স্কুলে তোলপাড় চলছে। গুরুতর অভিযোগ। আজ সেই নিয়ে মিটিং। হেডমিস্ট্রেস ছাড়াও ম্যানেজিং কমিটির দু-একজন এসেছেন দেখেছে। আর আসার কথা অবন্তীর বাবা-মা’র। করিডরের পাশেই ছোট লন রোদে ভাজা ভাজা হয়ে এলিয়ে আছে। এক কোণের বকুলগাছটার তলায় একটুকরো ছায়া। তমালীর ইচ্ছে হচ্ছে ওই ছায়াটাতে গিয়ে বসে থাকতে। আসলে তমালীর মিটিংটাতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই এতটুকু। তবু যেতে হবে। আক্টিভিটি কো-অর্ডিনেটর সে। নিজের দায়িত্ব কিভাবে ... ...
অলৌকিক জিনিস আজও ঘটে। এই ঘটনা সত্যিই ঘটেছে, এক বর্ণ বানানো না। যে কেউ চেক করে আসতে পারেন। এক কবি কদিন আগে আমার কানে-কানে মানে ফোনে-ফোনে বলেছিলেন, সন্দীপনের পরেই তুমি। ভেবেছিলাম তিনি নির্ঘাত ইয়ার্কি করেছিলেন। কিন্তু আজ কাত্তিকের ফেবু খুলে দেখি কবি সত্যদ্রষ্টা, সত্যিই কপাল খুলেছে। সেই বিদগ্ধ সমালোচক এবার সন্দীপন ছেড়ে আমার পিছনে পড়েছেন। সন্দীপনের মলেস্টেশন ইত্যাদি আবিষ্কার শেষ করে এবার আমার সম্পর্কে লিখেছেন “(তিনি)ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সকে জাস্টিফাই করেন ও মিটু সম্পর্কে সুবিখ্যাত মন্তব্য আছে( 'বিশ বছ ... ...
ছাত্র হয়ে অ্যামেরিকায় পড়তে যারা আসে - আমি মূলতঃ ছেলেদের কথাই বলছি - তাদের জীবনের মোটামুটি একটা নিশ্চিত গতিপথ আছে। মানে ছিল। আজ থেকে কুড়ি-বাইশ বছর বা তার আগে। যেমন ধরুন, পড়তে এল তো - এসে প্রথম প্রথম একেবারে দিশেহারা অবস্থা হত। হবে না-ই বা কেন? এতদিন অব্দি রাস্তায় গাড়ি দেখেছি অ্যাম্বাসেডর আর মারুতি। কন্টেসা দেখলে লোক জমে যেত। সবে বেরোন স্ট্যান্ডার্ড ২০০০ গাড়ি দেখা গেলে বাড়ি থেকে লোক ডেকে এনে দেখান হত। ভেন্ডিং মেশিন দেখিনি কভু - মানে পয়সা ফেললাম আর ঘটাত করে কোকের ক্যান বেরিয়ে এল। ভেন্ডিং মেশিন ছাড়ু ... ...
আসামে এনার্সি কেসে লাথ খেয়েছে। একমাত্র দালাল ছাড়া গরিষ্ঠ বাঙালী এনার্সি চাই না। এসব বুঝে, জিয়াগঞ্জ নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছিল। যাই হোক করে ঘটনাটি থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই হবে। মেরুকরনের রাজনীতিই এদের ভোট কৌশল। ঐক্যবদ্ধ বাঙালী জাতিকে হিন্দু মুসলমানে ভাগ করা ওদের একমাত্র লক্ষ্য। জিয়াগঞ্জের চারটি খুন তাই চারটি রাজনৈতিক লাশ। ঠিক এই কারনেই একবার বলল "বন্ধুপ্রকাশ প্রতিমা শিল্পী তাই হত্যা", একবার এল "অবৈধ মসজিদ নির্মানে বাধা দিয়েছিল তার জন্য হত্যা", শেষে বলল উনি নাকি "সাচ্চা আরএসএস কর্মী" তাই "জেহাদিরা" হত্ ... ...