"সে ছিল এক একদম অন্যরকম হিন্দোস্তান। যেখানে বাস করতেন বলিষ্ঠ পাঠান, নির্ভীক রাজপুত, জ্ঞানী ব্রাহ্মণরা…সম্মানের সঙ্গে সেখানে একসঙ্গে বাঁচতেন হিন্দু আর মুসলিম জনগণ.."। আনিস কিদওয়াই লিখেছিলেন তাঁর 'আজাদী কি ছাঁও মে' নামক বইয়ের মুখবন্ধে। কে ছিলেন এই আনিস কিদওয়াই? কি এমন কাজই বা করেছিলেন তিনি এই দেশের জন্য? নিশ্চিত আমাদের অনেকের কাছেই আনিস এক অশ্রুতপূর্ব নাম। এই লেখায় আমরা বরং সংক্ষেপে ফিরে দেখি এই ব্যতিক্রমী অথচ বিস্মৃত সমাজকর্মীর জীবন ও মহতী সক্রিয়তাগুলিকে…। ... ...
এই জীবনের আসা যাওয়ার পথের ধারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতনামা কিছু মানুষের সঙ্গে সামান্য সময়ের জন্য সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে । তাঁদের কাউকে চিনেছি কেবল কাজের সূত্রে , ঘটনাচক্রে হয়েছি সম্মুখীন। কোন ভালোলাগার মানুষকে পেয়েছি মুখোমুখি, নিতান্ত কপালগুণে । তাঁদের কথা নিয়েই শুরু করছি ' কিছুক্ষণ' পর্যায়ের কিছু লেখা । দেব আনন্দের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ঝরিয়া ( সে আমলে বিহার,আজকের ঝাড়খণ্ড)শহরের বিহার টকিজ সিনেমায় ; তৎকালীন বিহার প্রদেশের একমাত্র শীততাপ নিয়ন্ত্রিত চিত্রগৃহ। ছবির নাম সি আই ডি। একা সিনেমা দেখার স্বাধীনতা পেতে অনেক দেরি কিন্তু হোলি হ্যায় এই আওয়াজ তুলে পাড়ার বড়োদের সঙ্গে কিছু বালকের দলে আমিও ভিড়ে গেছি; টিকিটের লাইন হলের পেছন দিকে একটা লম্বা খাঁচায় , সেখানে গরমে ঘামে জামা ভিজে যায় । সে যাবত বাবা মায়ের সঙ্গে একটি মাত্র হিন্দি সিনেমা দেখে জেনেছি রাজ কাপুর নামক ভদ্রলোক জাপানি জুতো এবং ইংরিজি প্যান্ট পরেন – ছবির নাম শ্রী ৪২০। এবার রুপোলী পরদায় আমার সামনে আবির্ভূত হলেন দেব আনন্দ - ‘আঁখো হি আঁখো মে ইশারা হো গয়া ‘ সে ইশারা তিনি অভিনেত্রী শাকিলাকে করছিলেন কিন্তু সেই সঙ্গে আমার মন জয় করে নিলেন। ... ...
হ্যারি বেলাফন্টেদের কাছে সময় হার মানে...সবসময়!! ..আর জিতে যায় ক্লান্ত ক্লান্তিহীন মানুষের নিয়ত ভেসে চলার গান!! ... ...
কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া নিয়ে সাড়ে চার দশকের অবলোকন ... ...
কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া নিয়ে সাড়ে চার দশকের অবলোকন ... ...
বন্ধুর জীবন বন্ধুর ... ...
কলেজ স্ট্রিট এলাকা নিয়ে সাড়ে চার দশকের অবলোকন ... ...
অনতিদূরে দেখতে পেলাম, মিন্টু ভাইয়ের বাইক। গ্রামের একটি স্কুলের একুশ না, বরং ঐ বাইকটি আমায় আগ্রহী করে তুলল। তো সেই ভাঙ্গাচোরা স্কুলে গিয়ে যা ভেবেছিলাম, তা-ই দেখতে পেলাম- কোন শহীদ মিনার নাই। সাজসজ্জা নাই। মঞ্চ নাই। মনে মনে একটু হাসলামও। শহরের সেই বক্র হাসি, যা একান্ত স্বভাবজাত ও চিরাচরিত। ... ...
১৯৬৪র কোন এক সময়। ডক্টর মিচিয়াকি তাকাহাসির তিন বছরের ছোট্ট ছেলে তেরুয়ুকি ভীষন কষ্ট পাচ্ছে ক'দিন হোলো। হিউস্টনে ওদের পড়শী মেয়েটির কপালে খেলার দিনই কপালে গুটি গুটি ফুসকুড়ি বেরিয়েছিল। মেয়েটির সঙ্গে খেলে আসার পরই তেরুয়ুকির ধুম জ্বর, গা ভর্তি ফোস্কা আর প্রবল শ্বাসকষ্ট। বিজ্ঞানী বাবা বোঝেন রোগটা চিকেন পক্স। ছোট্ট ছেলের রোগ সেরে গেল একসময়। কিন্তু পৃথিবীকে পক্সমুক্ত করার শপথ থেকে আর সরে আসলেন না ডক্টর মিচিয়াকি তাকাহাসি। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৪; প্রথমে মার্কিন মুলুকে, তারপর ১৯৭০ থেকে জাপানে ভ্যারিসেলা জোস্টার ভাইরাস নিয়ে দীর্ঘ একদশকের নিমগ্ন গবেষণার পর বিজ্ঞানী বাবা আবিষ্কার করে ফেললেন পৃথিবীর প্রথমতম চিকেন পক্সের টিকা। ... ...
কলেজ স্ট্রিট নিয়ে সাড়ে চার দশকের অভিজ্ঞতা ... ...
কলেজ স্ট্রিট এলাকার সাড়ে চার দশকের নানা আখ্যান ও স্মৃতি বিষয়ক রচনা ... ...
আমরা ভারতীয়রা সত্যিই লজ্জাজনকভাবে আত্মবিস্মৃত। কোন দিবস-টিবসের ছলেও আজ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মুসলমান শিক্ষিকা ফাতিমা শেখের ১৯২ তম জন্মদিনটিতে একবারও তাঁকে মনে করিনি আমরা। তার ওপর এদেশের গুগলে ফাতিমা শেখকে খুঁজলে গত ক'বছর ধরে সত্যিই অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের ঠিকুজিকুষ্ঠী বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু ব্যবসার তাগিদে হলেও উপভোক্তা দেশগুলোর ঐতিহ্য আর ইতিহাসকে ভুললে চলেনা মাল্টিন্যাশনাল জায়ান্টদের। তাই গতবছর ফাতিমা শেখের ১৯১তম জন্মদিনে তাঁর এক ডুডল ছবি তৈরি করে এই প্রাতঃস্মরণীয়াকে সম্মান জানিয়েছিল মার্কিনি গুগল। তেমন আজও মার্কিন ফেসবুকই আমায় তাঁর জন্মদিনটি মনে করিয়ে দিল। আর এক ব্যস্ত-শীতল ৯জানুয়ারিতে নতুন করে প্রণম্যা ফাতিমা শেখ ফিরে এলেন আমার কাছে ... ...
বলতে বলতে বলতে বলতে অনেক কিছু মনে পড়ে না ... ...
শৈশব থেকে এগিয়ে চলা ... ...
১৯১৯ এর ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের গুজরানওয়ালাতে (হ্যাঁ, এই জায়গাটি ইদানিং বিলেতের অধুনা বিখ্যাত 'ভারতীয়' প্রধানের পূর্বপুরুষের ভিটের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে) জন্মেছিলেন অমৃতা। চলে গিয়েছিলেন আরেক ৩১ এ, ২০০৫ এ। ঠিক গত পরশু দিনই। ৯৬ বছরের ইমরোজ আজও জীবিত। দিল্লিতে সেই ছোট্ট ফ্ল্যাটের পরিসরে, একান্ত নিজস্ব এক অমৃতাকে ঘিরে বাঁচেন তিনি। কবি -লেখিকা - নারীবাদী আইকন অমৃতা হিসেবে পাঠক-ভক্তের মধ্যে অনির্বাণ রইলেও ইমরোজের সমগ্রতায়, ইমরোজের ফ্ল্যাটের অসংখ্য ছবিতে রয়ে যাওয়া অমৃতা আসলে ছিলেন এক প্রাণবতী ঝর্ণা। যে নির্ঝরের সকল অভিমুখে উপলসম বুক পেতে অনিঃশেষ প্রেম নিয়ে ৭টি দশক ধরে অবিচল হয়ে আছেন ইমরোজ, আজও রোজ…। ... ...
সমীর রায়চৌধুরী সম্পর্কে দুচার-কথা ... ...