সত্তরের শেষে বা আশির দশকের প্রথম দিকে , যখন-ও পর্যন্ত আনন্দবাজারের কভার পেজে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ময়দানি গুঁতোগুঁতি আর ব্যাকপেজে আর্জেন্টিনা বা ইতালির বিশ্বকাপ জয় ছাপা হতো , প্রণয় রায়ের 'ওয়ার্ল্ড দিস উইক' চায়ের দোকানের মাতব্বর খোকন-দা কে পেরেস্ত্রৈকার বোদ্ধা করে তোলে নি তখন-ও পর্যন্ত, সেই সময় আমার মতো একনিষ্ঠ খুদে বাঙালের ইস্টবেঙ্গলের উয়াড়ির কাছে এক গোলে হেরে যাওয়া কে শ্মশানে-র হাহাকার মনে হতো। সেটাকেই বলে সমর্থন ... ...
কবি বীতশোক ভট্টাচার্যের প্রয়াণ-দিবস আজ। কিছু স্মৃতি ও কিছু কবিতা নিয়ে এই লেখা। ... ...
কোরোনা নিয়ে নতুন কিছু আমার বলার নেই যেটা এখানে কেউ না কেউ ইতিমধ্যেই বলে ফেলেছে। ডাক্তার ও আমি নোই, সুতরাং কোনো আশ্বাস , সমাধান দিতে পারিনা। কিন্তু যেটা করতে পারি সেটা হচ্ছে মডেল করার চেষ্টা যে কিছুদিন এর মধ্যে আমাদের দেশে কিরকম ভাবে আক্রান্ত এর সংখ্যা বাড়বে (বা কমবে) ... ...
গতকাল শুক্রবার ৮ই জুন, ২০১৮ তারিখে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বাংলা নিউজ পোর্টাল আই ই বাংলায় আমার একটা লেখা প্রকাশিত হয়। সেই সংক্রান্ত ফেবুতে নিজের দেওয়ালে ও গুরুর ফেবু গ্রুপে কিছু আলোচনাও শুরু হয়েছে ও চলছে। খানিক সেইগুলো এক জাযগায় রাখার জন্যে আর খানিকটা এখানেও আলোচনা শুরু করার জন্য ও বিশেষত আলোচনার বাইরে কাজ করার ব্যাপারেও যদি সবাই মিলে কিছু একটা সলতে পাকানো যায় সেসবের জন্যে এখানে রাখলাম সেগুলো। ... ...
এবারের সংগ্রাম মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম! আমাদের হাতিয়ার ‘সুদের হার’ আর ‘টাকার সরবরাহ’। রিভার্স গিয়ার। সুদের হার বাড়াও, নোট কম ছাপো। টাকার ভাও বেশি হলে জিনিসপত্রের চাহিদা কমবে। লোকে খরচা করবে হিসেব করবে। সুইগি থেকে খাবার না আনিয়ে গৃহবধূরা স্বহস্তে রন্ধন করবেন, নেটফ্লিক্সের চাঁদা বন্ধ করবেন। ব্যাঙ্কের খাতায় জমার পরিমাণ বাড়বে অবসর প্রাপ্ত মানুষ যারা ব্যাঙ্কে জমা টাকার সুদ থেকে জীবনযাত্রা নির্বাহ করেন, তাঁরা দু হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন। মুদ্রাস্ফীতি কমলে গ্যাঁটের টাকার মূল্য বাড়ে। ... ...
নতুন কেন্দ্রীয় সরকার আসার পর আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বিষয়টা। এখন শিল্প মুনাফা তো নয়ই, বরং ওইটাই দেশপ্রেম। আর কোনো প্রতিযোগিতার লেশমাত্রই নেই। ঠেকনা চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে। ব্যবসার নতুন মডেল হল, শিল্পপতি ব্যাংক থেকে ধার নেবেন। সেই টাকায় শিল্প বানাবেন। তারপর সেই ধারের টাকা ব্যাংক মকুব করে দেব। অর্থাৎ দেশবাসীর টাকায় শিল্প হবে, মুনাফা করবেন শিল্পপতি। কিন্তু সে তো মুনাফা নয়, সেটাই হল দেশপ্রেম। এই নতুন মতাদর্শ এখন বছর দশেক চলছে। ওইটাই এখন ইনথিং। এখন চুপচাপ আস্ত বন্দর আদানির হাতে চলে যায়। কোথাও একটিও বিবাদী কণ্ঠস্বর শোনা যায়না। এখন টাটাকে কে তাড়িয়ে মহা অপরাধ করেছিল, এই নিয়ে তর্জা হয়। কারণ, শিল্পপতিরা মুনাফা নয়, তৈরি করেন কর্মসংস্থান, সমাজসেবার ঠিকাদারি তাঁদের। তাঁরা আমাদের স্বজন। তাই আমাদের কোনো মুক্ত অর্থনীতি নেই, আছে স্বজনপোষিত অর্থনীতি। ক্রোনি ক্যাপিটালিজম। পোষিত পুঁজিবাদ। ঠেকনা দেওয়া পুঁজিবাদ। স্বাধীন, স্বাবলম্বী মুক্তবাজার অর্থনীতি বলে কিছু নেই। স্বাধীন ভারতের উৎপত্তির আগে থেকেই। ভারতবর্ষের পুঁজির ইতিহাস মূলত স্বজনপোষণের ইতিহাস। ... ...
প্রশ্ন তুলেছেন মহামতি পুতিন। তাঁর এক সাম্প্রতিক ভাষণে তিনি বলেছেন: জার মহান পিটার যখন উত্তরের যুদ্ধে জয়ী হলেন, তিনি এমন কিছুর অধিকার নেন নি যা অন্যায্য ছিল । সেন্ট পিটারসবুরগ প্রতিষ্ঠার পরে বহু ইউরোপীয় শক্তি মনে করেছিল পিটার সুইডেনের অংশ দখল করেছেন । সেটি অসত্য । এই অঞ্চলে বহু বছর যাবত স্লাভিক মানুষ বসবাস করেছেন। এখন যদি প্রশ্ন ওঠে কেন মহান পিটার নারভা অভিযান করেন ? এর উত্তর সহজ। তিনি তারই দখল নিয়েছেন যা স্লাভিক যা একান্তই রাশিয়ার নিজভূমি ... ...
অনিশ্চিত ছোট অন্যান্য উদ্যোগের মতন এখানেও অনিশ্চিত অংশটুকু সমাজ না দেখলে মানুষ সেটা সামলে উঠে উৎপাদনের সামাজিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন কী করে? সরকার সমাজের হয়ে সেই ভূমিকাটা একটা মাত্রা নিচ্ছেন বলেই মনে হয়। অর্থাৎ, আমরা দেখলাম এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের রোজগার নেই এরকম না। কিন্তু সেই রোজগার নিশ্চিত করতে সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন, যার মধ্যে বিভিন্ন ভাতা অনুদানও এসেছে। ... ...
১৯৮৩ র শীতে লয়েডের ওয়েস্টইন্ডিজ ভারতে সফর করতে এলো। সেই সময়কার আমাদের মফস্বলের সেই শীতঋতু, তাজা খেজুর রস ও রকমারি টোপা কুলে আয়োজিত, রঙিন কমলালেবু-সুরভিত, কিছু অন্যরকম ছিলো। এত শীত, এত শীত সেই অধুনাবিস্মৃত কালে, কুয়াশাআচ্ছন্ন পুকুরের লেগে থাকা হিমে মাছ অবধি ঘাই মারতে ভুলে যেত। মাইরি! বললাম বটে লয়েডের ওয়েস্টইন্ডিজ, আসলে সেই শীতের মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলো ম্যালকম মার্শাল নামের এক তরুণ ফাস্ট বোলার। কোণাকুনি দৌড়ে এসে বাঁহাত টা সামনে তুলে দ্রুত ডেলিভারি করতেন। হৃৎকম্পন শুরু হতো আপামর ভারতীয় দর্শক ... ...
পূর্ণেন্দু পত্রী মশাই মার্জনা করবেন - তোকে আমরা কী দিইনি নরেন? আগুন জ্বালিয়ে হোলি খেলবি বলে আমরা তোকে দিয়েছি এক ট্রেন ভর্তি করসেবক। দেদার মুসলমান মারবি বলে তুলে দিয়েছি পুরো গুজরাট। তোর রাজধর্ম পালন করতে ইচ্ছে করে বলে পাঠিয়ে দিয়েছি স্বয়ং আদবানীজীকে, কড়ি নিন্দার সাথে আশীর্বাণী পাঞ্চ করিয়ে খাইয়েছি তোকে। সমস্ত বিরোধী দল, বিরোধী জাতকে বলেছি সরে যাও, নরেন এখন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার খেলা খেলবে। তোকে আমরা কী দিইনি নরেন? মঞ্চে আদবাণী, মুরলী মনোহরদের সাইড করে ... ...
এবার রাশিয়ান আক্রমণ প্রকট হলো দূর হতে নিক্ষিপ্ত রকেটের রূপে । তার কতগুলো ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থানে আঘাত হেনেছে তা সঠিক জানা যায় নি । তবে নিরাপদ আস্তানায় বসে ছোঁড়া রাশিয়ান অনেক রকেট বাহী বোমা দেখা দিয়েছে অসামরিক মানুষের ঘরবাড়ির জানলায়, দরোজায়, হাসপাতালে, গোশালায় । প্রতিদিন, প্রতি রাতে সশব্দে সেই সব রকেট নাগরিকের প্রাণ ও শিশুর নিদ্রা হরণ করেছে। যুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কবিহীন কোনো প্রকারের সামরিক গুরুত্ব হতে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন সাধারণ নাগরিকের জীবন এবং জানলা চুরমার দ্বারা সামগ্রিক গণভীতি উৎপাদনে সক্ষম মহামতি পুতিন দেশছাড়া করেছেন বহু মানুষকে। অন্য কোন উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে কিনা সেটা তিনিই জানেন। অধিকন্তু ন দোষায় বিধে রাশিয়ান করদাতার অর্থে কেনা অজস্র লক্ষ্যভ্রষ্ট রকেট আছড়ে পড়েছে যেখানে সেখানে, গোয়ালে, স্কুলের মাঠে , হাইওয়েতে, বনে বাদাড়ে । ... ...
আমি আগ্রহ আরও হারিয়ে ফেললাম কারণ তিনি তখন মরিয়া হয়ে প্রথা ভাঙতে চাচ্ছেন। মৌলবাদের প্রতি প্রচণ্ড আক্রোশ তৈরি হয়েছে, ফলে ধর্মকে নানান ভাবে আঘাত করছেন, আঘাতের অস্ত্র সব সময় সুবিধার না। গাছে মাছে আক্রমণ চলছে তখন। এবং তখনই সম্ভবত দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ধর্মকে আক্রমণ করে এর আগেও অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। তাদের প্রতি মানুষ এই রকম বিরক্ত হয়নি। তাদের কথা পছন্দ হয়নি, হয়নি, চুপ করে থেকেছে। কারণ তাদের বলার ধরন অন্য রকম ছিল, তাতে সম্ভবত সাহিত্যের গুণাগুণ বেশি ছিল। তসলিমা নাসরিন কোনমতেই আহমেদ শরীফের চেয়ে বড় নাস্তিক ছিলেন না, হুমায়ুন আজাদের চেয়ে কঠোর কথা তিনি বলেন নাই তাও হয়ত বলা চলে। এরপরেও তাঁকে এঁদের চেয়ে বেশি গালাগালি শুনতে হয়েছে। এর কারণ এক যা বললাম, বলার ধরন অনেকের পছন্দ হয়নি আর দ্বিতীয়ত তিনি নারী! নারীর মুখে এই সব শুনতে আমরা রাজি না। ... ...
(ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লেখাটি তৈরী। ভিন্ন মত ও সুস্থ আলোচনায় ডাক্তার-রোগী সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান অসুস্থতায় পরবর্তীকালে আরও উপযোগী প্রেসক্রিপশন লিখতে পারবো, এই আশা রাখি ১. অভয় দা কে আমি চিনি না। আরও যারা চেনেন না, তাদের জন্য বলি, অভয় দা S.S.K.M এ Orthopaedics এর পিজিটি। কাল এক অ্যাক্সিডেন্টের রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শাসকদলের এক নেতার মদতপুষ্ট গুন্ডাবাহিনী তাকে ওয়ার্ডের মধ্যেই মেরে, হাত পা ভেঙে ফেলে রেখে যায়। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা কেউ অভয় সরকারকে চিনি না। ... ...
ফেলুদা ধপ্ করে একটা শব্দে বইটা বন্ধ করে, নীচু টেবিলটার উপরে রাখা ডান পায়ের উপরে বাঁ পাটা লম্বা করে তুলে, তুড়ি মেরে সিগারেটের ছাইটা ছাইদানিতে ফেলে বললো, "শার্লক হোমস।" ফেলুদা এতক্ষণে ধরে দুটো বই প্রায় একসাথে পড়েছিল। দুমাস আগে বিহারের শিমূলতলায় একটা খুনের ব্যাপারে অপরাধীকে জুতোর সাইজের গোলমালের সাহায্যে ধরে দিয়ে, বেশ মোটা রোজগার করে বসে আছে। ... ...
এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৮২৩-২৪ সালে দেশে কলের সুতো এল। হাতে বোনা সুতোর থেকে তার দাম কম। ধীরে ধীরে বাজার ছেয়ে গেল কলের সুতোয়। টিঁকে রইল শুধু খুব মিহি সুতো আর খুব মোটা সুতো, যা পরে দেশের গরীরগুর্বোরা। সেই সময়ে ১৮২৮ সালের সমাচার দর্পনে এক সুতাকাটুনির দুঃখভরা চিঠি বেরোল, তিনি দৈনিক দুই তোলা সুতো কেটে দিনে এক টাকা আয় করতেন। এই কাজ করে তিনি সাত গন্ডা টাকা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, এগার গন্ডা টাকা দিয়ে শ্বশুরের শ্রাদ্ধ করেছেন, ভাত কাপড়ের কোন চিন্তা ছিল না। কিন্তু কলের সুতো এসে তার আয়ের উপায় কেড়ে নিয়েছে। তাঁর দৈনিক কাটা সুতোর পরিমাণ আর আয়ের হিসেব দেখে অবশ্য একটু অবাকই লাগে। কারণ ১৮২২-২৩ সালেও নাকি ক্ষীরপাই, রাধানগরে কোম্পানির কাটুনিদের মাসিক আয় ছিল ৩ টাকা আর মালদহে ২টাকা ৮ আনা। অসামান্য দক্ষতা ছাড়া এই আয় সম্ভব না। তাই আমরা ব্যক্তির দুঃখে দুঃখিত হই, কিন্তু সামগ্রিক ভাবে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জয়গান গাইব নাকি মেয়েদের আয়-হরণের দুঃখে কাতর হব তা ঠিক বুঝে উঠি না। ... ...
অনেকেই জানেননা, ভারতবর্ষে প্রথম পাঁচ বছরের হিন্দুত্ববাদী সরকারের কাছা খুলে দিয়েছিল একটা প্রতিস্পর্ধী মিডিয়া, যার নাম তেহেলকা। শুরু করেছিলেন তরুণ তেজপাল এবং অনিরুদ্ধ বহাল। বাজপেয়ি জমানা তখন 'শাইনিং', তেহেলকা নিয়ে এল স্টিং অপারেশন 'অপারেশন ওয়েস্ট এন্ড'। তাতে দেখা গেল বিজেপি সভাপতি বঙ্গারু লক্ষণ থেকে শুরু করে সরকারি দল এবং দপ্তরের কচি এবং বাস্তুঘুঘুরা প্রতিরক্ষার নাম করে পয়স খান। তাঁরা আবার কারগিল-কারগিল কর ভোটও চান। তখনও ওয়াশিং মেশিন জমানা আসেনি। ভাবতেও আশ্চর্য লাগে এই এক স্টিং অপারেশনের ঠেলায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। জেল হয়েছিল বিজেপি সভাপতির। সরকার খড়্গহস্ত হয়েছিল তেহেলকার উপরে। তেহেলকা প্রায় উঠে যাবার উপক্রম হয়। অনিরুদ্ধ বহাল তেহেলকা ছেড়ে কোবরাপোস্ট খোলেন। কিন্তু, বাজপেয়ি সরকার জেলে পোরেনি দুজনের কাউকেই। মোদি জমানার আগে ওরকম ভাবাই মুশকিল ছিল। ... ...
টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই ( Geographical Indications ) পাওয়া নিয়ে দুইটা ভিন্ন যুক্তি শোনা যাচ্ছে। দুইটাই সঠিক কিন্তু প্রসঙ্গ ভিন্ন। একটা ভারত থেকে জোর গলায় প্রচার হচ্ছে, তা হচ্ছে টাঙ্গাইল থেকে বসাক গোষ্ঠী, যারা মূলত শাড়ি বানাত তারা ভারত চলে গিয়ে সেখান থেকেই শাড়ি বানাচ্ছে, প্রচুর বিক্রি হচ্ছে, একজন বসাককে ভারত সরকার পদ্মশ্রী পুরস্কারও দিয়েছে। দেশের সংখ্যালঘু অত্যাচার, হিন্দুদের বাড়িঘর ছেড়ে সীমান্ত পাড়ি দেওয়া এগুলা দিয়ে বলা হচ্ছে তোমরা তাড়িয়ে দিয়েছে এখন আর তাঁদের শৈল্পিক কৃতিত্বের ভাগ চাও কেন? আর দ্বিতীয় কথাটা হচ্ছে বাংলাদেশের নারীরা শাড়ি পরা কমিয়ে দিয়েছে! এইটাও সত্য, আমার চোখের সামনে শাড়ি পরা নারীর সংখ্যা কমতে দেখছি। বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া শাড়ি পড়ে না এখন অনেকেই, যারা এক সময় শাড়ি ছাড়া আর কিছুই বুঝত না। ... ...
১৯৬০ এর পর থেকেই লাতিন আমেরিকা জুড়ে চালু হয়েছে, জনপ্রিয় হয়েছে একটা শব্দ –গেভারাইজম। গত পঞ্চাশ বছর জুড়ে,এমনকী এই একুশ শতকেও লাতিন আমেরিকায় এমন কোন বিপ্লবী বা প্রগতিশীল আন্দোলন হয় নি যা এই আর্জেন্টিনিয়-কিউবান চিকিৎসক-বিপ্লবীর দ্বারা অনুপ্রাণিত নয়। মার্কসবাদ বা লেনিনবাদ বা মাও চিন্তাধারার মত গেভারা বাদ/চিন্তাধারা-র মত শব্দ আমাদের এখানে খুব বেশি শোনা না গেলেও লাতিন আমেরিকার নিজস্ব বাস্তবতার কারণেই তা ওখানে বহু উচ্চারিত। জাপাতিস্তা আন্দোলন ‘গেভারিয়ান’ হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করেছিল। কলম্বিয়ায় ‘ই এল এম’ গেভারীয় আদর্শে এখনো গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। অবশ্য শুধু গেরিলা যুদ্ধের দিক থেকেই নয়, ভূমিহীন কৃষক সহ সমাজের সব নিপীড়িত শাসিত শোষিতদের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনেও চে প্রাসঙ্গিক ও অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন। ... ...