দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সব কিছুরই টানাটানি । রুটি , কয়লা র্যাশনে পাওয়া যেতো , চকোলেটের র্যাশন ছিল ১৯৫৮ অবধি। বাড়ির বাথরুম অজানা বস্তু। মাঝে মধ্যে সার্বজনীন স্নানঘরে পয়সা দিয়ে গা ধোয়ার ব্যবস্থা। সেন্ট্রাল হিটিং অনেক দূরে তখন। যুদ্ধে ভাঙ্গা বহু বাড়ির মেরামত হয় নি। যুদ্ধ থেকে যারা ফেরেন নি ব্রিটিশ সরকার তাঁদের পরিবারকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছেন । লন্ডন অনেক দূরের শহর । জর্জ এবং জেনি অ্যাডামস নিঃশব্দে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের দিকে । না, কোন ইউনিসেফ বা অক্সফ্যামে টাকা পাঠিয়ে বিবেক পরিষ্কার করেন নি । নিজের হাতে টাকা বা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন । ১৯৯৯ সালের ২৭শে আগস্ট বিবাহের সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনে শেষ বারের মতো জর্জ অ্যাডামস জেনিকে নিয়ে গিরজে থেকে রাসটন লজ অবধি তাঁর প্রিয় সিলভার শ্যাডো রোলস রয়েস চালান । পরের দিন সেটি নিলামে তোলা হয় – সে যাবত প্রাপ্ত সমস্ত টাকা দান করেন। ... ...
পোস্ট কলোনিয়াল সময়ে রান্নাঘর মেয়ে পুরুষ সবার জীবন থেকেই উঠে গেল। পড়ে রইল রেস্তোরাঁ, টেক অ্যাওয়ে, রেডি টু ইট, প্যাকেজড ফুড, রান্নার লোক প্রমুখের তৈরী রান্না। অ্যালিয়েনেশন ঘটল টোটালি। রান্নার প্রক্রিয়ায় যে আনন্দ আছে, এটা যে সবাই মিলে ভাগ করে নিয়ে করার মত জিনিস, খেতে যতটা ভাল লাগে, রান্না করতেও ততটাই ভাল লাগা উচিত, এসব কথা পাশ্চাত্যকে আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন সামিন নোসরতের মত অনেকে। আমাদের কবে ভ্রমমুক্তি ঘটবে কে জানে। ... ...
অনেক কিছু স্মৃতি উঠে আসছে – ২০০০ সাল অবধি তেমন ভাবে ‘কবিতা’ নিয়ে চর্চা বা ভাবনা হয়ে ওঠে নি। ওই গোঁফ ওঠার বয়সে যা ছড়া/কবিতা লেখে সবাই তেমন কিছু ছাড়া। আর সব প্রচলিত বিখ্যাত কবির কবিতা পড়া – সেই সময় ছিল সমকালীন জয় গোস্বামী টাইপের ইত্যাদি। এমন এক সময়ে পরিচয় হয়ে যায় এক অদ্ভুত ওয়েবসাইটের সাথে – মনে রাখতে হবে তখনো ইন্টারনেট এমন প্রচলিত হয়ে ওঠে নি, ব্রড ব্যান্ড ইত্যাদি তো দূরের কথা – অর্কূট, ফেসবুক, ইউটিউব কিছুই নেই। এমন ভাবে নিরলস কবিতার সাধনা করে যাওয়ার সাইট বিরল। দুই বাংলার অনেক এখনকার চেনা এবং জনপ্রিয় কবি এই সাইটে হাত পাকিয়েছিলেন এখানে। ভাবছি তেমন কারো কারো দের দিয়েই কিছু লেখা যাক টুকটাক। ... ...
লকডাউন উঠে গেলেই কি করোনা ফিনিশ? স্পষ্ট করে প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার, না। এই ধুন্ধুমার লকডাউন উঠে গেলে পৃথিবী আদপেই পৃথিবী করোনামুক্ত হবেনা। একবার যখন এসে পড়েছে, ভাইরাসটি আছে এবং থাকবে। নির্মূল হবেনা। সে চেষ্টাও পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো স্বাস্থ্যসংস্থা বা সরকার করছেনা। অতএব, যদি নেহাৎই প্রশান্ত মহাসাগরের কোনো দ্বীপে গিয়ে একাকী বসবাস না করতে পারেন, আজ হোক বা ছমাস পরে, এর সংস্পর্শে আপনি আসবেনই, যদি না ইতিমধ্যেই এসে গিয়ে থাকেন। তার মধ্যে কোনো টিকা বেরিয়ে যাবার সম্ভাবনা খুবই কম। (যখন বেরোবে তার পরেও, ফ্লুয়ের মতোই ভাইরাসের নতুন কোনো গোষ্ঠী সম্ভবত উদয় হবে, টিকা যার কোনো প্রতিষেধক নয়।) ফলে ভাইরাস নাকের ডগায় এলে আপনার ভরসা আপনার প্রতিরোধক্ষমতা। কোনো লকডাউন, কোনোভাবেই আপনাকে তার থেকে বাঁচাবেনা। ... ...
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় যেমন জনাদৃত, সংস্কৃতির উচ্চকোটিতে তেমনই ছিছিকৃত। হেমন্তর গান বাঙালির সংস্কৃতির পরিপন্থী, হেমন্তর ক্লাসিকাল বেস নেই, হেমন্তর রবীন্দ্রসঙ্গীত রাবীন্দ্রিক নয়, হেমন্ত রবীন্দ্রসঙ্গীতে স্বরলিপিতে থাকেন না, হেমন্ত সুরে গভীরতা নেই - নেই আর নয়। এই ধারাবাহিকে এই 'নেই আর নয়' পেরিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি হেমন্ত কেন জনাদৃত, এই 'নেই আর নয়'-গুলো কতটা সুপ্রযুক্ত। ... ...
ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ। ইংরেজ আমল। 1854 সালের বড়ি বন্দর থেকে থানে পরীক্ষামূলক ট্রেনের পরে ট্রেন লাইন পাতা হচ্ছে দেশের দিকবিদিকে। 1870 সালে পাতা হয়েছে হাওড়া এলাহাবাদ মুম্বাই লাইন। জুড়ে গেছে ভারতের দুই প্রান্ত। সেই সময়ে কোলহাপুর থেকে কলকাতায় বদলী হয়ে এলেন পোস্টমাস্টার গোপাল বিনায়ক জোশী। চৌঠা এপ্রিল। 1881। সঙ্গে ষোল বছরের বৌ। আনন্দী। সে বছরই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পড়তে চেয়ে আবেদন করলেন দুটি কন্যা। ডি আবরু আর অবলা বোস। অনুমতি না পেয়ে তারা চলে গেলেন মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজে। মেয়েদের জন্য তারা দরজা খুলেছে 1875 সালে। আমাদের গল্পের আরেক কন্যা কাদম্বিনী তখন বেথুনের বি এ ক্লাসের ছাত্রী। অঙ্ক নিয়ে লড়াই চলছে। কে বলেছে মেয়েরা অঙ্ক পারে না? ... ...
১৯৮৬ সালের নম্ভেম্বর মাস – ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব লীগের নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে টালমাটাল অবস্থায় আছে। চট করে কিছু চেঞ্জ না আনলে আরো নিচের লিগে অবনমন হয়ে যেতে পারে। কি করবে তা হলে ম্যাঞ্চেষ্টার ইউনাইটেড? বাকি সব ফুটবল ক্লাব যা করে তারাও তাই করল্ম পাল্টাও কোচ। নিয়ে আসা হল আবেরডীন ফুটবল ক্লাব থেকে আলেক্স ফার্গুসেনকে যে সেখানে ছয় বছরে দশটা ট্রফী জিতেছে, তার মধ্যে একটা ইউরোপীয়ান কাপও আছে রিয়েল মাদ্রীদ কে হারিয়ে। বাকিটা ইতিহাস। ... ...
পরে অবশ্য জানা যায়, যে, হেলিকপ্টারে আদৌ মৃতদেহ ঝুলছিলনা। কান্দাহারের প্রশাসক-ভবনের পাশে লম্বা কিছু পতাকার খুঁটি ছিল। হেলিকপ্টারে ঝুলে একজন তালিবান কর্মী তাতে তালিবান পতাকা লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা ব্যাপারটি জানান। পরে একটি ভিডিওও আসে। দুনিয়া জুড়ে সংবাদমাধ্যমের বিখ্যাত ব্যক্তিরা, যাঁরা খবরটি ছড়াচ্ছিলেন, তাঁদের কেউ-কেউ নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্ট মুছেও দেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমগুলি, যারা সোৎসাহে খবরটি ছাপছিল, তাদের কাউকে সেভাবে ভুল স্বীকার করতে দেখা যায়নি। ... ...
অতএব পেনসিল কী বলে দেখা যাক। পেনসিলের কাজ হিসাব করা - সেই কারণে সাট্টার হিসাবরক্ষককে পেনসিলার বলা হয়। তা পশ্চিমবঙ্গে যে সাট্টা খেলাটা হল, তার হিসাব তাহলে কী দাঁড়াল? নাটশেলে - ১। তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সির প্রেডিকশন তুচ্ছ করে বিপুল ভোটে জয়ী; ২। বিজেপি প্রবলভাবে পরাজিত হয়েও প্রধান বিরোধী শক্তি, বস্তুত একমাত্র বিরোধী শক্তি (বিধানসভায়); ৩। বামেরা, সিপিএম এবং জোটসঙ্গীরা আরও একবার প্রত্যাখ্যাত - এবারে সম্পূর্ণভাবে। অঙ্ক সহজ এবং ম্যান্ডেট এতটাই স্পষ্ট যে মেনে না নিয়ে আমার মত ঘোর সিপিএম সমর্থকেরও উপায় নেই। ... ...
শীত ভাল করে পড়তে না পড়তেই মেলার সীজন শুরু হয়ে গেছে। গুরু এবারে ওমনিপ্রেজেন্ট – গাদাগুচ্ছের মেলাতে অংশ নেবার মনস্থ করেছে। একেবারে সূচনাপর্বেই সোনারপুর মেলা – বোতীনবাবুর দৌলতে তার কথা এখন এখানে অনেকেই জানেন। তো সেই সোনারপুর বইমেলাকেই পদধূলি দিয়ে ধন্য করব এরম একটা সুদুদ্দেশে শনিবার সন্ধ্যেবেলা বেরিয়েছিলাম। মারিয়া আগেই হাত তুলে রেখেছিল, তাই মারিয়ার সাথে গড়িয়ার মোড়ে দেখা করাই সমীচিন মনে করলাম। মারিয়া কামস টু গড়িয়া, সেথা হতে সোনারপুর অটো করিয়া, এই হল গে পেলান। ... ...
হিংসার ঘটনা এই তো প্রথম নয়। ২০১৭ ফেব্রুয়ারীতে টাউনহল খাপ পঞ্চায়েত বসিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট কে তুলোধোনা করার পর রাজ্যে ১ নতুন ক্লিনিক্যাল এস্তব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট চালু হয়েছিল। বলা হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতাল গুলি র রোগী শোষণ বন্ধ করার জন্য, সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নাকি এই আইন। কিন্তু আইনের বলে যে রেগুলেটরি কমিশন তৈরি হলো তার শীর্ষে রইলেন বেসরকারি হাসপাতালে র ডাক্তাররা। আর বেসরকারি হাসপাতাল কে নিয়ন্ত্রণ করার বদলে কমিশন ভিক্টিমাইজ করতে লাগলো ব্যক্তি ডাক্তারদের। পাশাপাশি ডাক্তার ও চিকিৎসা কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে গেল। ডাক্তারদের যুক্ত মঞ্চ জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস পরিসংখ্যান বলে গত আড়াই বছরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ২৩৫ টি। এর মধ্যে অধিকাংশই কিন্তু সরকারি হাসপাতালে। ... ...
আজকাল হ্যাজ দিতে ভালো লাগেনা। সামাজিক অসামাজিক রাজনৈতিক প্রাকৃতিক পারিবারিক - কিচ্ছুর ওপর না। পুরো "ভাড় মে যায় দুনিয়া হাম বাজায়ে হারমুনিয়া" মোডে থাকি। তবু, তবু, তবু দু একটা জিনিস নিয়ে না লিখলে ব্রেন থেকে চোঁয়া ঢেকুরের আওয়াজ আসে। বাধ্য হয়ে এই ক্যাচাল লেখাটা নামাতেই হচ্ছে। আমার লেখার নাম: ভালো গরু খারাপ গরু । ঘটনা হচ্ছে এই যে কলকাতা শহরে একটা "বিফ ফেস্টিভাল " হওয়ার কথা ছিলো। মেনুতে কি পাওয়া যাবে জানতাম না তবে মনে হচ্ছিলো গরুর রকমারি পদ থাকবে আর ব্যাপারটার মধ্যে বেশ এক ... ...
ভারতের বৃহৎ বুর্জোয়াদের উৎস ও বিকাশের আসল রহস্য লুকিয়ে আছে বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির হাতেই? নাকি এরা জাতীয় বুর্জোয়ার দল? ইতিহাসের পাতা কী বলছে? চলুন দেখেনি। কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিকের বিতর্ক ও তত্ত্ব অনুযায়ী। ... ...
পরিস্থিতি অবশ্য এরকমই হবার কথা। নিজের ভাষা, নিজের জাতীয়তাকে রক্ষা করা একটা রাজনৈতিক কাজ, সেটাকে দশকের পর দশক ধরে উপেক্ষা এবং দুচ্ছাই করে যাওয়া হয়েছে। কংগ্রেস দিল্লির ধামা ধরেছে, সিপিএম বামফ্রন্ট সরকারকে চোখের মনির মতো রক্ষা করতে গিয়ে ৭৭এর স্মারকলিপি গিলে ফেলেছে, অশোক মিত্র সরকার ছেড়েছেন, আর তৃণমূল ঠিক কী চায় নিজেই জানে কিনা সন্দেহ। সবার উপরে অবশ্যই বিজেপি, যাদের অ্যাজেন্ডা, বস্তুত, বাংলাভাষী ধর আর বাংলাদেশে পাঠাও। বাংলাদেশী হটাও আর গরু-পাচার বন্ধ কর। অস্যার্থ, গরুরাই এপারে থাকবে, বাংলাভাষীরা সীমানার ওপারে। ... ...
রাশিয়ানরা সম্প্রতি উত্তরের নরডস্ট্রিম পাইপ লাইনের কল বন্ধ রেখেছিলেন কি সব যন্ত্রপাতি সারাবেন বলে । দিন দশেক বাদে কল খুলেছেন কিন্তু গ্যাস আসছে খুব কম । মহামতি পুতিন জানেন ইউরোপের বাতি, ইউরোপের ঘরের গরম জল তাঁর নিয়ন্ত্রণে। খেলা এই তো সবে শুরু। এখন এই গ্রীষ্মকালে সূর্যদেব উষ্ণতা বিতরণ করে যাচ্ছেন । তবে মাঘ মাস খুব দূরে নেই। মিত্র দেশ জার্মানির অবস্থা সবচেয়ে জটিল – রাশিয়ান গ্যাসের অভাবে তাদের কল কারখানা অবধি বন্ধ হতে পারে । এস্টোনিয়া থেকে রোমানিয়া অবধি যখন পারা শূন্যের অনেক নিচে নেমে যাবে তখন মহামতি পুতিন তাদেরও সিধে করে দেবেন । ইউক্রেন নিয়ে আর বাঁদরামি করো না । ... ...
১৯৭৯-এর শেষার্ধে মেডিকাল কলেজ ছাত্র সংসদ ও সেই সময় ছাত্র সংসদে আসীন মেডিকাল কলেজ ডেমোক্রাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসন-এর উদ্যোগে হাসপাতালে এক অনুসন্ধান চালানো হয়। দেখা যায়- হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে সিনিয়র অফিসার অন ডিউটি-র পদ সাতটা, তার মধ্যে তিনটে পদ খালি। হাউসস্টাফদের ওপর বিরাট কাজের চাপ থাকা সত্ত্বেও তাদের দিয়ে জোর করে জুনিয়র অফিসার অন ডিউটি-র কাজ করানো হয়। গত এক মাস ধরে ইসিজি মেশিন খারাপ, হার্টের রোগীদের চিকিৎসা না করে পাঠাতে হয়েছে অন্য হাসপাতালে, রাস্তায় মারা গেছেন কিছুজন। ... ...
আজ থেকে বত্তিরিশ বছর আগে রঞ্জনদার লেখা পড়ি প্রথম। দেশ পত্রিকায় 'বাঙালির বাঙালোর' নামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। বুদ্ধিতে আর উইটে ভরপুর এক অতি স্বাদু, মুচমুচে, আরবান লেখা। ভাল লেখা পড়লে কেটে রাখতাম। এ লেখাও সংগ্রহ করেছিলাম। আজও আছে। লেখকের নাম ছাড়া আর কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। দেশ পত্রিকার আপিসে গেলে হয়ত পাওয়া যেত। তার বছর কয়েক পরে দেশে ছাড়লাম। ... ...
লৌহ স্তম্ভ কেন ক্ষইছে না তা খুঁজতে গেলে কি কি জিনিস টার্গেট করবে গবেষকরা? প্রথম ধারণা করা হবে যে আবহাওয়ার একটা ব্যাপারটা আছে। মানে যেখানে এই স্তম্ভ খাড়া ছিল আগে এবং এখন দিল্লিতে, সেখানে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা কি স্তম্ভের জন্য ভালো ছিল? অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশী নেই – শুকনো বাতাস! যেই কারণে দীঘার হোটেলের বারান্দার গ্রীল কলকাতার হোটেলের গ্রীলের থেকে অনেক বেশী তাড়াতাড়ি ক্ষয়। দ্বিতীয়ত, সেই প্রায় ষোলশো বছর আগে যারা বানিয়েছিল ওই স্তম্ভ তারা কি ধাতুর সাথে অন্য কিছু স্পেশাল মিশিয়েছিল? তৃতীয়ত, ধাতুর সাথে বানাবার সময় কিছু না মেশালেও পরে কি স্তম্ভকে সুরক্ষা দেবার জন্য তাতে কিছু্র প্রলেপ বুলিয়েছিল? ইত্যাদি ইত্যাদি। ... ...