এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত স্কুলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তৈরি হয় শ্যামবাজারে লিভারপুল স্কুল, এন্টালিতে সালেম স্কুল, চিৎপুরে বার্মিংহাম স্কুল ( ১৮২২ জানুয়ারি ) , কাশীপুরের গ্লাসগো স্কুল ( ১৮২২ ডিসেম্বর) , মেজ পন্ড স্কুল ( ১৮২৩ জানুয়ারি), ব্রডমীড স্কুল( ১৮২৩ অক্টোবর) ইত্যাদি। স্কুলের নাম পৃষ্ঠপোষকদের বাসস্থান অনুসারে। ১৮২৩ সালের রিপোর্টে পাওয়া যায়, সাতটি স্কুল আর সব মিলিয়ে ১৬০ জন ছাত্রীর দায়িত্বে ছিল সোসাইটি। পড়তে শেখা, লিখতে শেখার পাশাপাশি অভিভাবকদের অনুরোধে সেলাই শেখানোও শুরু হয়। প্রথম থেকেই রাজা রাধাকান্ত দেব প্রমুখেরা এই প্রয়াসের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন । রাজার অনুপ্রেরণায় গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার লিখলেন স্ত্রীশিক্ষাবিধায়ক, নারী শিক্ষার গুণ গেয়ে। ১৮২২ সালে সকলের সামনে দেশি ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া হল। মেয়েদের বই পড়ে শোনানো আর বানানজ্ঞান দেখে রাজা রাধাকান্ত দেব এবং আরও উপস্থিত মান্যগণ্যরা খুব খুশিও হলেন। ... ...
বড়ি দেওয়ার কথা বলছি। এ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা মেদিনীপুর। অধুনা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলাতে ঘরে ঘরে বড়ি দেওয়ার চল। বড়ির ডালের অনেক রকমফের। সে সব আপনারা আমার চেয়ে বহুগুণ বেশি জানেন। আপনাদের সঙ্গে সে ব্যাপারে পাঙ্গা নিতে গেলে আমি ভির্মি খাব। আমি অন্য কথা বলি বরং। শীত এল তো ঘরে ঘরে উসখুস মা কাকিমা জ্যেঠিমাদের মধ্যে। কেউ শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন। ... ...
খ্রীষ্টপূর্ব দেড় হাজার বছর আগে থেকে খ্রীষ্টের জন্মের পরে প্রায় আরো এক হাজার বছর পর্যন্ত ভারতের লোহা এবং তার বানানোর জ্ঞান-জন্মি একদম স্টেট অব্ দ্যা আর্ট ছিল। অনেক বিষয়ে ভারতে সেই সব পৃথিবীতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। মিশরের পাবলিক যে সব মন্দির, পিরামিড এই সব বানিয়ে তাতে হেয়ারোগ্লিফিক্স নাকি কি সব দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল, সেই সব বানাতে যে যন্ত্রপাতি ইত্যাদি লেগেছিল তা বানাতে নাকি ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতীয় ইস্পাত। বলা হয়ে থাকে যে সেই সময়ে ভারত ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন সভ্যতায় এমন লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায় নি যে তারা ভারতের মতন এত উন্নত মানের ইস্পাত তৈরী করতে পারত। সেই সময়কার গ্রীক এবং ল্যাটিন লেখা লিখি পড়লে এটা বোঝা যায় যে এই লোহা-ইস্পাত ইত্যাদির ডিটেলস্ সম্পর্কে তারা বেশ অজ্ঞই ছিল। অবশ্যই তারা জানত কি ভাবে লোহা-ইস্পাত ব্যবহার করতে হয়, কিন্তু কি ভাবে লৌহ আকরিক থেকে লোহা নিষ্কাষণ করে তার থেকে ইস্পাত ইত্যাদি বানাতে হয় সেই সম্পর্কে তারা তেমন কিছু জানত না। ... ...
ট্রান্সজন্ডার কমিউনিটি মোদী আমলে পাশ করা বিল নিয়ে এমনিতেই মহা খাপ্পা হয়ে আছে। কারণ নালসা জাজমেন্ট যা একজন রূপান্তরকামীর নিজের শরীর সম্বন্ধে শেষ কথা বলার অধিকার রূপান্তরকামীকেই দেয়, তার বিরুদ্ধে কথা বলে এই বিল, যাকে দ্রুত পাশ ক'রে আইনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এক তো বিল পাশ করার সময় এই কমিউনিটির মানুষজনকে ডাকা হয়নি, এক্ট হবার পর জানা গেল তাদের জেন্ডার কী সেটা ঠিক করে দেবে নাকি সরকারি স্ক্রিনিং কমিটি। পিংকি প্রামাণিকের কেসটা আমরা কি ভুলে গেছি ? তার হেনস্থা, পুলিশ হেফাজতে তার 'অন্যরকম' শরীরের ... ...
সাইদি ওয়াজে জান্নাতের টিকেট বিক্রি করত! আর আমার দেশের সাদাসিধে মানুষ এমন মানুষের কথায় নাচত! সাইদির জেল হাওয়ার পরে মানুষ সাইদিকে চাঁদে দেখতে পাইছে বলে দাবী করছে। দেশ জুড়ে হাঙ্গামা হয়েছে, মানুষ মারা গেছে! গতকাল ঢাকায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে, আর সাইদির ভক্তকুল বলা শুরু করেছে সাইদির মৃত্যুতেই এই ভূমিকম্প! এই শ্রেণীর সমর্থক থাকলে লাগে কিছু আর? যাই হোক, ওয়াজের ওই সব দিনে সাইদি নিজেকে হয়ত ঈশ্বরের কাছাকাছি কিছু একটা মনে করত। একবার ইরাকে আমেরিকা আক্রমণের পরে কক্সবাজারে এক ওয়াজে তিনি বলে বসেন আমেরিকান বা ব্রিটিশ, যাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিশোধ নিতে হবে! এই ওয়াজের ক্যাসেট ইংল্যান্ডের চ্যানেল ফোরের হাতে পরে। এমন লোক কীভাবে ইংল্যান্ডের ভিসা পায় বলে প্রশ্ন তুলে চ্যানেল ফোর! ফলাফল সাইদির বিলেত সফর বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে অবশ্য সাইদির আমেরিকার ভিসা বন্ধ হয়। নাইন ইলিভেনের পরে আমেরিকা সারা দুনিয়ায় নানা জনের উপরে নিষেধাজ্ঞা দেয়, বাংলাদেশ থেকে একমাত্র সাইদির নাম ছিল সেই তালিকায়। ... ...
আর সে কারণেই এই পরিবারটি থাকেন ছায়াবৎ। কলকাতার হু'জ হুদের দরবারে তাঁদের তেমন ছায়া পড়ে না। হুগলি জেলার ইতিহাসেও ঠাঁই মেলে না এই প্রবাসী পরিবারের। উত্তরাখন্ডের কলোনিয়ান মেমরিতে এক সামান্য স্কুল মাস্টারের বা তাদের মেয়ের কথা ধরা পড়ার কোন কারণ নেই। আবার উত্তরাখন্ডের ক্রিশ্চিয়ান ইতিহাস যখন লেখা হয় তখনও সেখানে স্থানীয়দের ঠেলায় মিশনের কর্মী বাঙ্গালী পরিবারটি জায়গা পান না। সময়ের ঘুর্ণিতে হারিয়ে যাওয়াই তাঁদের ভবিতব্য। ... ...
তোমার সুরের ধারা ঝরে যেথায়...আসলে যে কোনও শিল্প উপভোগ করতে পারার একটা বিজ্ঞান আছে। কারণ যাবতীয় পারফর্মিং আর্টের প্রাসাদ পদার্থবিদ্যার সশক্ত স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। পদার্থবিদ্যার শর্তগুলি পূরণ হলেই তবে মনন ও অনুভূতির পর্যায় শুরু হয়। যেমন কণ্ঠ বা যন্ত্র যদি সঠিক কম্পাংকে না বাজে বা রঙের দুনিয়ায় পরস্পর পরিপূর্ত বর্ণিকাবিভঙ্গ বিষয়ে যদি আঁকিয়ের ধারণা না থাকে, তবে তো প্রথম বেড়াটিই পেরোনো যাবেনা। যে সব শিল্পীদের সিদ্ধিলাভ হয়ে গেছে, তাঁদের শিল্প পরিবেশন, পদার্থবিদ্যা কেন, মননেরও প্রাথমিক ... ...
দু দশক বাদে বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্টের এক নতুন প্রয়োগের সঙ্গে পরিচিত হলাম । ব্যাঙ্কিং বাজারে স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের কেনা বেচা চলে, যার নাম সেকেন্ডারি ট্রেডিং । যেমন ধরুন সিটি ব্যাঙ্ক জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কোম্পানিকে দু বছরের কড়ারে ধার দিয়েছে এবার সিটি তার স্বত্ব বিক্রি করে দিলো রাবো ব্যাঙ্ককে । দু বছর পার হলে রাবো ব্যাঙ্ক কভেন্ট্রিতে জাগুয়ারের দরোজায় সেই টাকা আদায়ের জন্য কড়া নাড়তে পারে অথবা ইতিমধ্যেই অন্য কাউকে বেচে দিয়ে থাকতে পারে । ঋণ শোধের দিন যার হাতে মালিকানা তাঁকে আমরা বলি হোল্ডার ইন ডিউ কোর্স যিনি সেদিন সেই টাকা পেলেন অথবা হাতে হ্যারিকেন ধরলেন ! এ ধরণের ট্রেডিং তুলকালাম হারে দেখা যায় স্বল্প মেয়াদি আমদানি রপ্তানির ব্যবসায় যাকে আমরা ট্রেড ফাইনান্স বলি। বি পি ( ব্রিটিশ পেট্রলিয়াম - ব্লাড প্রেশার নয় ) ছ মাসের কড়ারে জাহাজ ভর্তি তেল বেচল কেনিয়ার কোবিলকে। কোবিল একটি হুন্ডি লিখে জানাল ১৮০ দিন বাদে তারা দশ মিলিয়ন ডলার নিউ ইয়র্কে জমা করবে বি পির খাতায় । কেনিয়ান কোম্পানির ওপরে ভরসা নেই তাই বি পি সিটিব্যাঙ্কের গ্যারান্টি চাইল- অর্থাৎ কেনিয়া দাম না চুকোলে সিটি সে ডলার দেবে । আগামী কল্য সিটি এই হুন্ডি মেলন ব্যাঙ্ককে বেচে দিতে পারে – ছ মাসের ভেতরে এই কাগজটি মালিকানা বহুবার বদলে যায় এবং এইখানে শুরু হয় ট্রেডিঙের বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্টের খেলা। ... ...
উনিশশো একাত্তর সনের ৬ই মে, সেই মানিককিশোর সত্তর বছর বয়সে জীবন্ত বলি হলেন বলিহার বাজারের সেই চালাঘরটিতে, যেখানে টিনের চাল বেয়ে নামত সুরের বৃষ্টি, ফোঁটায় ফোঁটায় ভিজিয়ে দিত চালার তলায় আশ্রয় নেয়া ভাগ্যবান শ্রোতাদের! হয়ত বড় ভালবাসতেন চালাঘরটিকে, সে কারণেই সেই চালাঘরের যূপকাষ্ঠেই অগ্নিস্নান করে সেদিন অমরলোকে পৌঁছে গিয়েছিলেন শহীদ মানিককিশোর, সপ্তাকাশ জুড়ে তখন বেজেই চলছিল কোন ধ্রুপদী রাগ! ... ...
সব ব্যাপারে আদালতই শেষ কথা বলবে, এ অতি বিপজ্জনক ব্যাপার। আদালত যখন সমকামিতার পক্ষে রায় দেয়, তখন আমরা নাচি, যখন অযোধ্যা-বিবাদে একরকম করে বিজেপির পক্ষে রায় দেয়, তখন আমরা গেল-গেল রব তুলি, কিন্তু কথা হল, এগুলো আদৌ আদালতের বিচার্য কেন? আইন প্রণয়ন করা, সমাজকে সঠিক (অথবা বেঠিক) পথে চালনা করা, মানুষের বোরখা পরে ঘোরার অধিকার আছে, নাকি ন্যাংটো হয়ে, খুনে মৃত্যুদন্ড থাকবে না নয়, এগুলো দেখা আদৌ আদালতের কাজ নয়। ... ...
নিউ জিলান্ড নিয়ে কয়েকটি এলোমেলো কথা - মাউই এর মায়ের নাম "তরঙ্গা", আমার কাছে বেশ লাগে ভাবতে যে সমুদ্রের ঢেউ (আমাদের তরঙ্গ?) নাকি মাউই কে বড় করেছে। ... ...
কাল একটা নাম প্রকাশ হতেই রে রে করে তেড়ে এসেছিল কিছু চাড্ডি, সে আসবেই জানা কথা। কেউ কেউ তো প্রমাণ না দিয়ে লিখেছি বলে পুলিশ টুলিশের ভয়ও দেখালো। তা সে দেখাক গে। কি আর করা যাবে। ধরে ফরে নিয়ে গেলে কদিন বিনি পয়সায় লপসি খাওয়া যাবে। কিন্তু একটা প্রশ্ন, নাম ভুল, নামের মধ্যে আমরা হিন্দুত্ব খোঁজার চেষ্টা করছি সেসব মেনে নিলাম। কিন্তু প্রশ্নটা হলো ঠিক নির্বাচনের পরপরই দিল্লির এই দাঙ্গা কেনো? আর দাঙ্গাই যদি হলো তাহলে বেছে বেছে ইস্ট দিল্লিতে কেনো? ইস্ট দিল্লির চেয়ে অনেক বেশি মুসলমান দিল্লির অন্যান্য অংশে আছে, সবচেয়ে বড়ো কথা শাহিনবাগেও হতে পারত দাঙ্গা, কিন্তু না হলো ইস্ট দিল্লিতেই। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, ভোট পরপরই দাঙ্গা কেন? দাঙ্গার কারণ আদৌ দিল্লি তো, দাঙ্গার মোড়কে আসল লক্ষ্যটা পশ্চিমবঙ্গ নয়ত? একটু খতিয়ে দেখা যাক না হয়। ... ...
কয়লা নয় তেল নয় গ্যাস নয় এমনকি আণবিক রিঅ্যাক্টর নয়। ফেলডহাইমের বাতি জ্বলে এমন শক্তি দিয়ে যা জীবাশ্ম জ্বালানির মতন এক দিন ফুরিয়ে যাবে না । এই পৃথিবীর ভু রাজনীতি যে বা যারা সঞ্চালন করুন না কেন, ফেলডহাইমের শক্তির উৎস বইবে অনন্ত কাল কারণ তার মৃত্যু নেই । পুড়িয়ে ভস্মীভূত অথবা শস্ত্র দিয়ে ছেদ করা যায় না তাকে। সেই উৎস চিরন্তন, এই পৃথিবীর মতন। ... ...
আনা আমাকে বলছিলেন ,’ মিশা আর আমি প্রতিরাতে শুনেছি উড়ো জাহাজের শব্দ । আমি কখনো ভাবিনি বাজ পড়ার আওয়াজে ভয় পাবো । আকাশে বিদ্যুতের ঝলকানি আর বজ্রপাত দেখতে শুনতে ভালো লাগত। বনিস্লাভের হবি ছিল আকাশে চমকানো বিদ্যুতের ছবি তোলা । এখন সব শব্দেই ভয় পাই । যে কোন আওয়াজে মিশা আতঙ্কে আমায় জড়িয়ে ধরে ‘ । ... ...
মানুষের পোষাক সম্পূর্ণ তার চয়েজ হতে পারে না। মানুষ নিজেই সমাজের নির্মাণ। পোষাক নির্বাচনে সামাজিকতা মাথায় রাখাই সভ্যতা। ... ...
করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্ট RT-PCR টেস্টের সম্পূরক। করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার সরাসরি পদ্ধতি হল Reverse Transcription Polymerase Chain Reaction (RT-PCR) । এই পরীক্ষাটি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের কয়েকটি অংশকে চিহ্নিত করে সেটির উপস্থিতি নির্দিষ্ট করে। পদ্ধতিটি সহজ নয় এবং সেটিকে ব্যাপকহারে ব্যবহার করতে হলে দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। সেই তুলনায় অ্যান্টিবডি টেস্টটি সহজ। তবে অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট তৈরি করতে হলেও উন্নত গবেষণাগারের প্রয়োজন। অন্যদিকে অ্যান্টিবডি টেস্টের ফলাফল সরাসরি সংক্রমণের ব্যাপারে উত্তর নাও দিতে পারে, বরং সংক্রমণ-উত্তর জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে পারে। ... ...
কিন্তু প্রথম থেকেই যেটা লক্ষ্য করছিলাম, এই উপলক্ষ্যে মানুষ তিনটে জিনিষ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে - এক, কেরলের লিটারেসি রেট, দুই, মালাপ্পুরম মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল আর তিন, কেরলের মানুষের হিংস্রতা। ছকটা খুব কঠিন নয়। ... ...
ধড়মড় করে উঠে বসলো অজয়। ভয়ার্ত চিৎকার করে উঠলো। নিমেষে ঘুম ভেঙে গেলো দীপার।"ক্কি ?" উৎকন্ঠায় গলা বসে গেছে দীপার "কি হোলো?" "শুনতে পাচ্ছো?""পাচ্ছি" দীপা বলে। একটা শব্দ। ঠিক চেনা যাচ্ছে না। কারুর আওয়াজ। কোনো দুর্বোধ্য ভাষায় কেউ বিড় বিড় করছে। না, মনে হচ্ছে গান গাইছে। কান পেতে শোনে দীপা। কেউ যেন অনেক দুরে চেঁচিয়ে উঠলো। অজয়ের বুকে কান পাতে। হৃতপিন্ডের ধুকধুক আওয়াজের সাথেই অস্ফুট একটা হাসি। শুনতে পায়।"আমার বুকের মধ্য থেকে। কেউ। কিছু। কথা বলছে।"দীপা উত্তর দেয় না ... ...
ঠিক পড়েছেন। অন্য এক প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টরের কাছে লেখা খোলা চিঠিতে সই করার ‘অপরাধে’ তাঁদের শো-কজ হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের গবেষণার খাতে বরাদ্দ সমস্ত টাকা প্রতিষ্ঠান আটকে দিয়েছে। আগামী ১৩ তারিখের মধ্যে সেই চিঠির উত্তর দিতে হবে অভিযুক্ত অধ্যাপকদের। মোহালিরই এক অধ্যাপকের মন্তব্য, “কোনো CCS (Central Civil Services) আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে আমি মনে করি না, … গোটা দেশে, বৃহত্তর পরিসরে যা হচ্ছে এ আসলে তারই প্রতিফলন। ‘শুধু প্রতিবাদ-ই শাস্তিযোগ্য অপরাধ’—বছরের পর বছর এই মানসিকতাই গড়ে তোলা হচ্ছে গোটা দেশে।” ... ...