এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বই

  • রক্তের অক্ষরে লেখা সেই সব দিনরাত্রি 

    লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বই | ২৭ মে ২০২৩ | ১০৬৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • একটি জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা, ধর্ষণ, উদ্বাস্তুকরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, সম্পদ লুট, সংস্কৃতি ধ্বংসের মত অপরাধগুলোর সমষ্টি হচ্ছে জেনোসাইড। রাফায়েল লেমকিন ১৯৪৪ সালে জেনোসাইডের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেন। বাংলায় অনেক সময়ই জেনোসাইডকে ভুলভাবে অনুবাদ করে গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আসলে গণহত্যা হল জেনোসাইডের অন্তর্গত অনেকগুলো অপরাধের একটি মাত্র।  ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাঙালি অর্থাৎ বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে জেনোসাইড ঘটায়। গত শতকের শুরু থেকে পৃথিবীতে যতগুলো জেনোসাইড সংঘটিত হয়েছে পরবর্তীকালে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে জেনোসাইডের শিকার জীবিত ব্যক্তিদের এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথিবদ্ধ করা হয়েছে, ব্যতিক্রম ছিল বাংলাদেশ।    

    তা যুদ্ধ হোক বা দাঙ্গা, নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে হিংস্র আক্রমণের শিকার হন প্রায় সবক্ষেত্রেই। এর মধ্যেও নারীর প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ প্রথম যদি নাও হয়, একেবারে উপরের দিকেই থাকবে। শেখ মুজিব হত্যাকান্ড  পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে এই বীভৎস আক্রমণ, বাঙালি জাতিকে সম্পূর্ণ নির্মূল করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তান কর্তৃক ঘটানো জেনোসাইড বাংলাদেশের জনমানস থেকে মুছে দেবার, ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা চলেছে। ২০০৯ এর জানুয়ারীতে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আস্তে আস্তে রাজাকারদের বিচার হয়, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাঙ্গীন ইতিহাস পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের সামরিক ও রাজনৈতিক দিকগুলো নিয়ে যত পর্যালোচনা, স্মৃতিচারণ হয়েছে, এই সময়ের জেনোসাইড নিয়ে তার কিছুই প্রায় হয় নি। ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে চারযুগেরও বেশী সময়।

    ২০১৭ সালে হাসান মোরশেদ ও আরো কয়েকজন মিলে নিতান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টরভিত্তিক এলাকা ধরে জেনোসাইডের সাক্ষ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজ শুরু করেন। সংগৃহীত সাক্ষ্যের অনেকটাই ডিজিটাল আর্কাইভ (1971archive.org)তে সংরক্ষিত হয়েছে। সেখান থেকেই এক বা একাধিক নারীর বয়ানে বারোটি জেনোসাইডের সাক্ষ্যভুক্ত হয়েছে ‘নারীসাক্ষ্যে জেনোসাইড’ বইতে। এই নারীরা সমাজের নানা স্তরের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে সমাজের প্রান্তবাসী অতি দরিদ্র নারী, কেউ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, কেউ নিরুপায় হয়ে দেখেছেন আত্মীয়দের নির্মমভাবে খুন হতে। কেউ বা হয়েছেন অকথ্য যৌন নির্যাতনের শিকার। এমনই একজন তরুবালা সরকার, যুদ্ধের সময় বয়স ছিল ছয় কি সাত, সাক্ষ্যদানের সময় আনুমানিক পঞ্চাশ। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচঙ্গ উপজেলার হিন্দুপ্রধান  নজিপুর গ্রামে শ্রাবণ মাসের শেষদিন ‘শাওইন্না পুজা’র দিনে বেলা আনুমানিক সাড়ে বারোটা নাগাদ পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা চালায়।

    তরুবালার ভাষ্যে তখন হাওরে অনেক কচুরিপানা। এক বড়ভাই আরো দুই বোনকে নিয়ে কচুরিপানার মধ্যে ডুব দিয়েছিলেন। ছোট ছিলেন বলে তাঁকে নিয়ে ডুব দেওয়া যায় নি। তরু ও আরো কয়েকটি শিশুর চোখের সামনেই তাঁর দুই ভাইসহ কিছু আত্মীয়কে পরপর খুন করে। বলেন ‘আমরা ভয়ে বসে থেকেছি। ছোটো তো। একটু পরপর এসে দেখে যাই এইদিক থেকে রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। এইখান থেকে রক্তের স্রোত, ওইদিক পর্যন্ত যাচ্ছে ... এরপর এরা যখন মেড়ে চলে গেছে, সন্ধ্যা হবার পর অন্য মানুষেরা মৃতদেহগুলো এইদিকে হাওরের পানিতে নামিয়ে ফেলে গেছে। আমি আর কয়েকজন কমবয়সি এই রক্তের মধ্যে, লাশের মধ্যে সারাদিন বসে থেকেছি। আমাদের ক্ষিধে পেয়েছিল, খাবার পানিও ছিল না।‘ পড়তে পড়তে মনে হয় গত তেতাল্লিশ চুয়াল্লিশ বছর ধরে তরুবালা এই বীভৎস ঘটনা তাঁর মস্তিষ্কে, স্মৃতিতে ধারণ করছেন করতে বাধ্য হচ্ছেন কোন শক্তির বলে!

    লুৎফুন্নাহার হেলেন, স্বামী আলি কদর ও ভাই জাহাঙ্গীর কবীর প্রত্যেকেই বামপন্থায় বিশ্বাসী, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের মাগুরা আঞ্চলিক শাখার নেত্রী ছিলেন  লুৎফুন্নাহার। ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চের পর তাঁদের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় আঞ্চলিক শাখাগুলো একেক জায়গায় একেক রকম ভূমিকা নেয়। মাগুড়া, যশোর, নড়াইলের বিল বাঁওড় অঞ্চলের কমিউনিস্টরা মুক্তিবাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে এই এলাকায় মুক্তাঞ্চল গঠনের চেষ্টা করেন। এই প্রচেষ্টা অনেকাংশে সফল হলেও আড়াই বছরের শিশুপুত্রসহ লুৎফুন্নাহার ধরা পড়েন রাজাকারদের হাতে। শোনা যায় পাকিস্তানি অফিসার দ্বিধান্বিত ছিলেন এত ছোট শিশুর মা’কে হত্যা করা নিয়ে, কিন্তু রাজাকাররা কিছুতেই রাজী হয় নি কদর কম্যান্ডারের বৌকে ছেড়ে দিতে। মেড়ে নদীতে ফেলে দেওয়ায় হেলেনের লাশও  পাওয়া যায় নি। এরকমই  রক্তভেজা ভয়ানক সব গল্প নিয়ে হাজেরা খাতুন, সুরঙ্গ মালাকার, মোছাম্মাৎ শামসুন্নাহার বেগম চলেফিরে বেড়ানো ইতিহাসের এক এক টুকরো, বেঁচে আছেন দুঃসহ স্মৃতির ভার বুকে নিয়ে।    
      
    প্রতিটি জেনোসাইডের স্মৃতি ও সাক্ষ্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন, তা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বার্তা দেয় আর জেনোসাইড নয়। সেই কারণেই হাঁসান মোরশেদের এই কাজটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সাক্ষ্য নিতে গিয়ে তিনি খেয়াল করেছেন স্মৃতিমন্থনে নারীরা অনেক বেশী বিস্তৃত এবং গভীর। পুরুষরা অনেকক্ষেত্রে যেগুলি আপাততুচ্ছ জ্ঞানে এড়িয়ে বা ভুলে গেছেন নারীরা সেগুলি মনে রেখে বলেছেন। সাক্ষ্যগ্রহণের কাজ এখনও চলছে। আশা করি বইটির পরিবর্ধিত সংস্করণ শীঘ্রই প্রকাশিত হবে। বাঙালি নির্মূলের লক্ষ্যে সংঘটিত জেনোসাইডের ইতিহাস প্রতিটি বাঙালিরই জানা উচিৎ।  

    বই – নারীসাক্ষ্যে জেনোসাইড
    লেখক – হাসান মোরশেদ
    প্রকাশক – বাতিঘর প্রকাশন ঢাকা
     
    # লেখাটি ১৪ই মে'২০২৩ 'এই সময়' পত্রিকায় 'শেলফ লাইফ' বিভাগে প্রকাশিত 
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৭ মে ২০২৩ | ১০৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • m | 2405:8100:8000:5ca1::59:3d0a | ২৮ মে ২০২৩ ১৮:৩৮520082
  • কিনতে চাই কোথায় পাব?
  • | ২৯ মে ২০২৩ ২১:৪০520105
  • এটা তো এখন আউট অব প্রিন্ট। পরের সংস্করণ বেরোলে আবার কিনতে পারবেন।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:153:e1a5:7d1:5c14 | ২৯ মে ২০২৩ ২৩:০২520106
  • এই বইগুলো খুব দরকার।
  • একক | ০২ আগস্ট ২০২৩ ২৩:২৫522024
  • অবশ্যই পড়ব। গুরুতে ইন্ট্রো পড়েছিলুম।  দ, এই লেখাটি লিখে  প্রায়োরিটি বাড়িয়ে দিলেন। 
  • π | ০৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:২৮522087
  • অরণ্যদা, এই যে, আলোচনা। 
  • Aranya | 2601:84:4600:5410:7410:8fd8:b4d3:cd6a | ০৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৩০522088
  • ধন্যবাদ, পাই 
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ০৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৫৩522089
  • খুবই কষ্টকর সব অভিজ্ঞতা।

    কিন্তু জেনোসাইড কি আর প্রমাণ সংগ্রহ করে, বই লিখে থেমে থাকবে ? মণিপুরে তো প্রায় সেরকমই। সেখানকার ঘটনা লিখলে এরকমই সব কাহিনি বেরোবে।

    কথা হল, ভবিষ্যত প্রজন্ম শিক্ষা পায় কিনা, মানুষ ইতিহাস থেকে আদৌ শিক্ষা নেয় কিনা।

    সন্দেহ আছে।

    বিবিধ স্বার্থবৃত্তি এমনই, অকল্পনীয় ঘটনাগুলো সময়ের ব্যবধানে, স্থানের ব্যবধানে ঘুরে আসতে পারে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:a42f:fae8:4e6d:c1b | ০৪ আগস্ট ২০২৩ ২৩:১১522108
  • লেখালেখি একটা উপায়। 
    ইহুদীরা আর্কাইভিং-এর ব্যাপারে রোল মডেল । আমরা তাদের এক ভগ্নাংশ- ও করতে পারি নি। 
  • ~ | 208.127.71.78 | ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৫৯524791
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন