তখন বোধহয় কাঁপা কাঁপা হাতে স্লেটে খড়ি দিয়ে অ আ লিখতে শুরু করেছিলাম, সাথে ঘাস ,পাতা, সাপ ব্যাঙ হিজিবিজি লিখতে লিখতে একদিন মা শিখিয়েছিল ত্রিনয়ন,দশভুজ, আর একটু কারিকুরি দিয়ে তৈরী হয় দুর্গাঠাকুর। তার পাশে খড়ি দিয়ে বাবার এঁকে দেওয়া দুষ্টু অসুর।তারপর ওয়াটারবটল গলায় ঝুলিয়ে বাবামায়ের হাত ধরে একটা নতুন দেশে গিয়েছি, যেখানে পদবী বিহীন বন্ধুরা রোজ রোজ ব্যাগ পেতে অপেক্ষা করেছে।অতিশৈশবের গন্ডি পেরোনো, অ্যাডমিশন টেস্টের কড়াকড়ি সামলেমিশনারী স্কুলের অনুশাসনের তলায় ভীতদৃষ্টিতে পেঁয়াজ, র ... ...
ছেড়ে চলে যেতে হবে, কিমাকার এই মাংসল পৃথিবী, আজি গুরুগৃহবাস সমাপ্ত আমার। পৃথিবীর পরিখা বরাবর হাঁটছে দুই আচ্ছন্ন পাফরমার, যেন ঘড়ির দুটি কাঁটার ইশারা, তারা এদিক ওদিক ছুটে যায়, উদবাস্তু জ্যামিতি যেমন হয়, আর দিঘীভরা জল করে টলমল। জলঘড়ি। উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগের শুরু যেখানে, কেন মুখপানে চেয়ে আছ গো মা, নীলগাইটি এসে দাড়ায়, যে কদাচ নীল ছিল না। আকাশ ছিল, জল ছিল, অবকাশও ছিল বিস্তর হাঁটাহাঁটির মাঝে, সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় আমাদের ঘড়ির কাঁটারা নিজে নিজে ঘুরত, নন্দন দুই নিচে জলতল ক্রমশ উঠত, মোবাইল বাজত, চাই মিং-ল ... ...
ক্লাসে আমি তখন তিন-চারটে নলওয়ালা চৌবাচ্চার জলে হাবুডুবু খাই। পিতা আর পুত্রের বয়েস গুলিয়ে পুত্রের থেকে পিতার বয়েস কম হিসাব করি। আর যে কোন সরল অঙ্কের সমাধান ২২ পূর্ণ ৩২৮ ভাগ ৮৩৭ করে অংকের মাষ্টারমশাইয়ের কানমলা খাই। ... ...
মর্মে সার-জল পড়েনি বহুদিনই... ... ...
টুরিস্ট-ম্যাপের বাইরে অজানা এক জায়গায় হানা দেওয়ার কাহিনী... ... ...
ট্রাইবাল টেনেন্সি অ্যাক্টগুলো মেয়েদের উত্তরাধিকার আর বহির্বিবাহ দুইয়ের ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ভারতের সাতশো খানা ট্রাইবের সাতশো আলাদা আলাদা বৈবাহিক আর উত্তরাধিকার আইন আছে। অনেক আইনই নথিবদ্ধ নয়। কিছু আইন ব্রিটিশরা লিখিত আকারে আনে।ইউনিফর্মিটি আনার জন্য প্রথম কাজ হবে সাতশোখানা আইন স্টাডি করা। ... ...
উহ্যনাম পণ্ডিত====================আজকাল, ভোরের দিকে শরীরটা শিন শিন করে অল্প ঠাণ্ডায় । কুয়াশা না পড়লেও, বেশ একটা মায়াবী পরিবেশ ।গলির ঢোকার মুখটাতে, কালভার্ট নতুন করে তৈরি হয়েছে- হরির দোকান ঘেঁসে । একটা ক্রংকিটের স্ল্যাব জোগাড় করে, তার নীচে ইট দিয়ে, দোকানের সামনে বসার জায়গা তৈরি করেছে হরি ।ষ্টোভে সাঁ সাঁ করে জল ফুটছে । এখনও সে রকম চাতাল রা আসে নি ।নাগের বাজারের দিক থেকে রিক্সা করে এসে, একজন নামলেন, দোকানের সামনে ।সায়েবী পোষাক পরণে, তবে ... ...
আটের দশকে ইউরোপের পক্ষে একজোট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণ বৈষম্য বাদী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিবন্ধ সৃষ্টি করা শক্ত হয়েছিল। মিসেস থ্যাচার বললেন ‘ তাতে করে মূল সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। আমাদের উচিত দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সঙ্গে কথা বলা, আলোচনা করা, তাদের বুঝিয়ে মত পরিবর্তন করা, স্যাঙ্কশন নয়’। স্বভাবতই তিনি শেল বা ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের ব্যবসার ক্ষতি করতে অনিচ্ছুক ছিলেন।সোয়েতো বা আলেকজান্দ্রার কালো মানুষদের কথা ভেবে কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চায়। ... ...
আজ পুঁটির মস্ত গর্বের দিন। শেষপর্যন্ত সে বড় হল তাহলে। সবার মুখে সব বিষয়ে "এখনও ছোট আছ, আগে বড় হও" শুনে শুনে কান পচে যাবার জোগাড়! আজ পুঁটি দেখিয়ে দেবে সেও পারে, সেও কারো থেকে কম যায় না। হুঁ হুঁ বাওয়া, ক্লাস ফোরে কি আর সে হাওয়া খেয়ে উঠেছে!! রোজ মা মামনদিদি সমেত তাদের ইস্কুলে পৌঁছে অফিস যান আর ছুটির সময় মামনদিদির মা এসে তাদের বাড়ি নিয়ে যান, এই বন্দোবস্ত নিজেদের মধ্যে। এই হপ্তায় মায়ের পড়েছে অফিসের ট্রেনিং, মহা মুশকিল! অগত্যা সকালে বাবা নিয়ে আসছেন অসুবিধে করেই, বাবার অফিস একদম অন্যদিকে কিনা ... ...
কুলদা রায়ের সাহিত্য নিয়ে একটি লাইভ আলোচনায় আমন্ত্রিত হয়ে কিছু কথা বলার সুযোগ হয়েছিল স্বয়ং লেখকের উপস্থিতিতে। তার থেকে অনেক বেশি কথা না বলা থেকে গিয়েছিল, সময় সংক্ষেপের কারণে । সেই বলা এবং না বলা কথা, যা ছিল ঐ আলোচনার একটি প্রস্তুতি পর্বের নোট ,পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম। ... ...
অনুষ্ঠানের নাম ঘরের বায়োস্কোপ। কদিন আগে হয়ে যাওয়া টিভি নাইন আয়োজিত বাংলা সিরিয়াল, ওটিটি এসবের পুরস্কার-প্রদান অনুষ্ঠান। এইসব গুচ্ছের হয় জানি, দেখিনা, কিন্তু প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণার পর আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় খানিকটা দেখেই ফেললাম। পুরোটা দেখিনি, অনেক লম্বা, কিন্তু যেটুকু দেখিলাম, জন্ম-জন্মান্তরে না হলেও, অনেকদিন ভুলবনা। প্রদীপ্ত কিছু ভুল বলেননি। রাজনীতিকরা যে টিভি-সিরিয়ালের জগতে এত গুরুত্বপূর্ণ, সে এই অনুষ্ঠান না দেখলে জানতেই পারতামনা। মঞ্চে যাঁদের দেখলাম, তাঁদের মধ্যে সবার উপরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। দিল্লিতে তখনও কুস্তিগীরদের ধর্ণা চলছে, কেন্দ্রীয় সরকারের দিল্লি পুলিশ তাঁদের ঠ্যাঙাচ্ছে, আর ক্রীড়া ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসে মঞ্চ আলো করে বাণী দিচ্ছেন। তিনি সম্প্রচারের জগৎই বদলে দিচ্ছেন, অনূর্ধ উনিশ ক্রিকেট দলে ছিলেন, পরিচিতিতে এইসব বলা হল। খাঁটি ইংরিজিতে, আহা বেচারি বাংলা বোঝেননা। তিনিও প্রচুর ভালো-ভালো কথা বললেন ভাষণে। মিঠুন আর সত্যজিৎএর একই রকম প্রশংসা করলেন, রবীন্দ্রনাথকে রবিন্দরনাথ বললেন, নিজেরও পদবী ঠাকুর, তবু টেগোর বললেন, উচ্চারণটা শিখে নেবারও প্রয়োজন বোধ করেননি। বললেন অবশ্যই হিন্দিতে, পশ্চিমবঙ্গের সকল মানুষের হিন্দি জানার কথা, আর ওঁরা উচ্চারণ অবধি না জানলেও চলবে, এই বা কে না জানে। ... ...
আমি আজ দেখলাম অশোক ধাওলেকে। অনেকক্ষণ তাঁর কথা শুনলাম, কি ক'রে নাসিক থেকে মুম্বাই অব্দি পদযাত্রায় রক্তমাখা ক্ষতবিক্ষত পা দুটোকে চলন্ত টেম্পোতে উঠে বিশ্রাম দেবার কথায় গর্জে উঠেছিলেন আদিবাসী কৃষক-নারী, বলেছিলেন, - নাসিক থেকে এতোদূর হেঁটে এলাম, সে কি গন্তব্যে পৌঁছবার আগেই বিশ্রাম নেব বলে ! - কেন এতো কষ্ট করছেন - এই দীর্ঘ পথ হাঁটা ? সহযাত্রীদের এই প্রশ্নের জবাবে তার উত্তর, --আমার সন্তানসন্ততিকে যাতে এতো দীর্ঘ হাঁটতে না হয় আর কোনদিন, সে কারণেই আমার এই কষ্ট কর ... ...
পর্ব-২ঝাঁ-চকচকে শহরের সবচেয়ে বিলাসবহুল বহুতলের ওপরে, সৌর বিদ্যুতের অসংখ্য চাকতি লাগানো এ্যান্টেনার নীচে, একটা গুপ্ত ঘর আছে। সেটাকে ঠিক গুপ্ত বলা যায় কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ থাকতে পারে। যাহা চোখের সামনে বিরাজমান, তাহা গুপ্ত হয় কেমনে? ভাষা-বিদ্যার লোকজনেরা চোখ পাকাতেই পারেন। প্রশ্ন করতেই পারেন। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও চোখের সামনে দন্ডায়মান ঘরটা গুপ্তই। কেউ ওখানে প্রবেশ করেনা সচরাচর। সভ্য জামাকাপড় পরা পাহাড়াদাররা ওটাকে বলে মেশিন ঘর।নীচের উঠোন থেকে বাইশতলার মেশিন ঘরের হদিশ তারাও খুব একটা রাখে না ... ...
জীবনীশক্তির কথা। কীভাবে এই সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশ সঙ্কটের মধ্যে স্যানিটি বজায় রাখা যায়, আর দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়। কী করে এই ভীষণ যুদ্ধ করা যায় -- নিজের মনের বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে। অথবা, ঘৃণা হিংসার রাস্তায় না গিয়ে। আত্মহত্যার রাস্তায় না গিয়ে। ... ...
অটোঃ এই তুই সামলে যা।টোটোঃ তুমি মুখ সামলে কথা বল।অটোঃ কেন রে? আমি তোকে ভালভাবেই তো বোঝালাম!টোটোঃ আমি তোমাকে ‘তুমি’ বলছি আর তুমি আমাকে তুইতোকারি করছ।অটোঃ দেখ এ লাইনে তুই জুনিয়র আছিস, তাই ওটা কোনও ম্যাটার না।টোটোঃ না ম্যাটার করে আমার কাছে। তুমি যা কাজ কর আমিও একই কাজ করি। তাহলে এই ভেদাভেদ কেন? কেন আমাকে হ্যারাস করছ?অটোঃ এই আমি তোকে হ্যারাস করতে যাব কেন?টোটোঃ তাহলে এই যে জনস্বার্থ মামলা করা? এটা কি?অটোঃ সে আমি করিনি, যে করেছে সে অটো চালায়ও না। তাকে গিয়ে বলগে ... ...
'মুসলিম তোষণ' তেমন কিছু জটিল ব্যাপার নয়। সারাবছর 'এ তারে ত্যালাইছে আর ও তার ভাগের মাখন ঝেঁপেছে' বলে ফুটেজ খাওয়ার আগে বেমক্কা কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হলে 'ওজু ও হাতে'র আঙুল থেকে যে ক'ফোঁটা পানি ভোটের গামলায় পড়ে, তাহারে সজোরে লাথানোর ধক রাখে একমাত্র ভক্তদল। এনারা যতই হুপহাপ শব্দে হাততালি থুড়ি বগল বাজান না কেন, দেশে থেকেই দেশের লোককে চাবকে-ভয় দেখিয়ে-মুখে ঠুঁসো গুঁজিয়ে মাতারানীর শিং নাচিয়ে উদুম মারার পর দেশভক্তি শেখাতে আসতে খুলির ভেতর কিলোখানেক গোবরের সাথে কয়েক ছটাক গোমূত্রের সাথে মাস্তানির জম্পেশ কম্বি লাগ ... ...
কীটদষ্টএকটু একটু করে বিয়ারের মাথা ভাঙা বোতল টা আমি সুনয়নার যোনীর ভিতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছিলাম আর ওর চোখ বিস্ফারিত হয়ে ফেটে পড়তে চাইছিলো। মুখে ওরই ছেঁড়া প্যাডেড ডিজাইনার ব্রা'টা ঢোকানো তাই চিৎকার করতে পারছে না। কাটা মুরগীর মত ছটফট করছে, কিন্তু হাত পা কষে বাঁধা। সাদা চাদর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। এর আগে ওর সাদা নিটোল স্তনে খান পাঁচেক জ্বলন্ত সিগারেট চেপে চেপে নিভিয়েছি, নাভিতে গেঁথে দিয়েছি একটা পেরেক, বেশ ভালো পিয়ার্সিং হয়েছে কিন্তু। ক্লিটোরিসের ডগা টা ধারালো কাঁচি দিয়ে কেটে নেওয়ার সময় রগর ... ...
কালীপূজো নাকি ভূতচতুর্দশী আরও যেন কিকিসব। সকলে কালচারাল অথেণ্টিসিটি আর নেটিভিটি নিয়ে উৎসাহী দেখছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাঙালির কালীপূজা কেমন করে দিওয়ালী হয়ে উঠছে তা নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। এই দিনে ১৪ শাক খেতে হয়, ১৪ প্রদীপ দেখাতে হয় পিতৃপুরুষকে। বিশ্বাসী পরিবারে বড় হওয়ার মাশুল হিসেবে এইসব দেখতে এবং অল্পবিস্তর অংশ নিতে হয়েছে অতীতে। শাক-টাক কোনদিন খেতে ভাল লাগত না, একেবারে অসহ্য। ১৪ প্রদীপের কিন্তু একটা আধিভৌতিক আকর্ষণ আছে, এক ধরনের জাদুবাস্তবতা আছে। এই যে পূর্বপুরুষের সঙ্গে সংযোগের গল্প, এই 'মৃতের সহিত ক ... ...
গপ্পো ... ...
টুরিস্ট-ম্যাপের বাইরে অজানা এক জায়গায় হানা দেওয়ার কাহিনী ... ...