না, হাত দিয়ে গোল তার নিন্দুকেরা করেনি নি, বলা ভালো, ওই জায়গা অবধি পৌঁছনর হিম্মত হয় না তাদের, হয়নি। আগুয়ান বিখ্যাত গোলকীপার পিটার শিলটনের মুখোমুখি দৌড়ে নিজের পাঁচ ফুট পাঁচের শরীর নিয়ে লাফ দিতে গেলে হাত নয়, লাগে দম। ধক। হিম্মত। ... ...
এই আধ্যাত্মিকতা এদেশের মানুষের নিজস্ব জীবনবোধ, ভারতের জাতীয়তাও এই চেতনাই। কাউল-সেন দম্পতির উদাহরণ এইজন্য প্রাসঙ্গিক ছিল এই লেখায়। গান্ধীজি মানুষকে মানুষের সমাজকে রাজনীতির থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। গান্ধীজি বিভিন্ন আন্দোলন যখন উঠিয়ে নিয়েছেন, সেইসব পদক্ষেপ নিয়ে কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মীরা ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিন্তু, দেশবাসীর বিরাট অংশের কাছে তারপরও গান্ধীজির জনপ্রিয়তা হ্রাস হয় নি। এবং আমরা দেখতে পাই, অসহযোগ থেকে আইন অমান্য, সবকটি ক্ষেত্রেই আন্দোলন তুলে নেওয়ার কারণ রাজনৈতিক নয়, সামাজিক। রাষ্ট্রনীতি রূপায়ণের থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন সমাজের ক্ষমতায়নকে, সাম্যের লক্ষ্যে সমাজসংস্কারকেও। ... ...
আমাদের শনিদেব তুল্য এ এক স্প্যানিশ দেবী - ঘোর কৃষ্ণবর্ণা, লোল বক্ষ,বীভৎস উজ্জ্বল চক্ষু - লা সান্তা মুয়ের্তো। শনির দৃষ্টিতে সব ছারেখারে যায়, আবার সুনজরে সর্বসুখ। লা সান্তা মুয়ের্রতোর সামনে নরবলি দেওয়া হয়, সদ্যচ্ছিন্ন রক্তমাখা আঙুল খেতে বাধ্য করা হয় গ্যাবিনো ইগলেসিয়াসের সাড়া জাগানো উপন্যাস জিরো সেইন্টসের নায়ক ফার্নান্দোকে।কিন্তু এই দেবীর বরাভয় প্রাপ্ত হয় প্রান্তিকতম মানুষজন, গরীবগুর্বো, অসহায় দিন আনি দিন খাই মুটেমজুররা। যতো ছোটখাটো ড্রাগ পেডলার, দোকানী, মুটে মজুর, তাদের সকলের আশ্রয় দেব ... ...
দা আইরিশম্যান। সিনেমা প্রেমীদের জন্য মার্টিন স্করসিসের নতুন বিস্ময়। ট্যাক্সি ড্রাইভার, গুডফেলাস, ক্যাসিনো, গ্যাংস অব নিউইয়র্ক, দা অ্যাভিয়েটর, দ্য ডিপার্টেড, শাটার আইল্যান্ড, দ্য উল্ফ অব ওয়াল স্ট্রিট, সাইলেন্টের পরের জায়গা দা আইরিশম্যান। বর্তমান সময়ের সেরা পরিচালক কী স্করসিস? কিংবা সর্বকালের সেরা? তর্ক থাকতে পারে কিন্তু তিনি যে সেরাদের একজন তা নিয়ে নিশ্চয়ই কোন তর্ক নেই। সর্বকালের সেরাদের ছোট তালিকায়ও অনায়াসে তার জায়গা হয়ে যাবে। ( দা আইরিশম্যান নিয়ে বলতেে গিয়ে স্করসিস নিয়ে আলাপের কিছু নাই। স্করসি ... ...
মানুষের চোখ যে এত সুন্দর তা এই অতিমারী না হলে হয়তো জানতেই পারতাম না। মহিলা, পুরুষ, শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ - সবার চোখ দৃশ্যমান। নাকের নিচ থেকে ঢাকা মুখোশে, মাথা আর কপালও অনেকেরই টুপির নিচে চলে গেছে। বাজারে ঢোকার মুখের রাস্তায় পাঁচটা মিনিট দাঁড়িয়ে যান, দেখুন আশপাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষের চোখ। কারও চোখ যামিনী রায়ের ক্যানভাসের মত, কারোর আবার রবি ঠাকুরের কালোহরিণ। কারও চোখে সরু কাজলের টান, কারোর চোখের উজ্জ্বলতা আবার চশমার ভিতর দিয়েও স্পষ্ট। কারও চোখ আবার অন্য গল্পও বলে। ... ...
তখন আমি ছিলাম দারুণ গরীব এবং দারুণ সুখী, হেমিংওয়ের মতো বলতে পারলে ভালো হতো; কিন্তু সত্যিটা এটাই, পকেটে পয়সা না থাকাটা বেশ কষ্টকর ব্যাপার। তখন আমি থাকতাম ডাউনটাউন ব্রুকলিনের একটা বেসমেন্ট অ্যাপার্টমেন্টে। আমার বাথরুমটা ছিল নিজস্ব আর শুধু এইটুকুর জন্যে আমি ঐ ঘুপচি অ্যাপার্টমেন্টটা ছাড়িনি। অনেকরকম ছোটখাটো কাজ করতাম আমি, যার মধ্যে রেস্তোরাঁয় বাসন ধোয়া থেকে শুরু করে ডেলিভারি সবই ছিল। কখনও কখনও বেশ অদ্ভুত কাজে জড়িয়ে পড়তাম। ... ...
সে প্ল্যানটা, কি বলব মশাই, এক্কেবারে লালে লাল। লাল পান্ডা, লাল কাঠবেড়ালি, লাল শিয়াল, লাল খ্যাঁকশিয়াল, লাল লাল প্রজাপতি, তিনরকম গন্ধগোকুল, চার রকম উদবেড়াল, উল্লুক, হনুমান, শম্বর, কয়েক রকম হরিণ আর অনেকরকম পাখি দেখা যাবে শুধু নয়, আদিম অ-মানুষ বা না-মানুষ (non human primate)ও দেখা যাবে বলে লেখা। এতকিছু তো আর আমাদের দেখা দেবে বলে তৈরী হয়ে বসে নেই, কিন্তু এর চার ভাগের একভাগ দেখতে পেলেও ভারী খুশি হয়ে যাব নির্ঘাৎ। অতএব চলো গোছগাছ করি। ওদিকে জানুয়ারী মাসে অফিস যদি নিতান্তই খুলে যায় তার আগে অন্তত দুই এক সপ্তাহ ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন করে নেওয়া দরকার, নাকি? ... ...
আমার ছোট বেলা থেকে বড় হওয়ার মধ্যেও বেশ কিছুটা মেয়েলিপনা ছিল। একটা বয়স পর্যন্ত সেগুলো নিয়ে বাড়ীর লোকে প্যাম্পার করলেও বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজের সাজগোজের ইচ্ছেটা মনের মাঝেই লুকিয়ে ছিল। রণ র সঙ্গে সম্পর্কের কারণে সেটা আরও চাপা পড়ে গেছিল। আসলে বিছানায় নারীত্বকে নিয়ে আদিখ্যেতা করলেও বাইরে যে সেটা করা যায় না। তারপরেও মেয়েলি পুরুষের সঙ্গে চলাফেরায় যদি নিজের সম্পর্কে লোকে কিছু বলে! যদি গোপন কথা গোপন না থাকে। নিজেকে তো মেয়ে মনে করে মেয়েলি হতে চাইতাম না। সেবার চন্দননগর থেকে বাড়ী ফেরার সময় ছলবলে কয়েকটা বাচ্চার সাথে আলাপ হল। এতদিন দূর থেকে দেখলেও সামনাসামনি আড্ডা দিতে দিতে একসঙ্গে ফিরলাম সেদিন। একসাথে ফিরতে গিয়ে আরও একটু জ্ঞান অর্জন হল। বুঝলাম আসলে কতি মানে মেয়েলি পুরুষ। এটা উল্টি ভাষা সে ভাষায় আরও কিছু বিশেষ শব্দ যোগ হল আমার ঝুলিতে, সবগুলো শব্দই যৌনতায় মাখামাখি। কিন্তু সাহিত্যের ছাত্তর হয়েও এমন ভাষার কথা কোনদিনও শুনিনি। ভাবলাম হবে হয়তো কোনও আঞ্চলিক ভাষা। ওরা আমাকেও "কতি" বলতেই রিয়্যাক্ট করে উঠলাম, "আমি কতি নয়"। তখনও জানতাম না এই মানুষ গুলোই একদিন আমার ভবিষ্যতের হাসিকান্নার সাথী হতে চলেছে। ... ...
ছাতের কামরার সামনে টিনের শেড, টিনের নীচে রংগনাথ, ওর নীচে খাটিয়া। বেলা দশটা, এখন শুনুন আবহাওয়ার খবর।কাল রাত্তিরে আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল, এখন কেটে গেছে। ঠান্ডা হাওয়া বইছে। বিগত দিনে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছিল, এখন সেসব পরিষ্কার হয়ে যেতেই পৌষের শীতের কামড় টের পাওয়া যাচ্ছে। বাজারের নব্বই প্রতিশত মিষ্টি যেমন দেখতেই ভাল, খেতে নয়, তেমনই রোদ্দূরও পিঠে লাগানোর ছেয়ে দেখেই বেশি আরাম।রোদ চারদিকে ছড়িয়ে গেছে। কিন্তু দেখলে মনে হচ্ছে শুধু নীমগাছের মাথাতেই আটকে রয়েছে। ... ...
পৃথিবীর আরো নানাবিধ জিনিসের মত বাটিকের উৎপত্তি নিয়েও টানাবাহানা আছে – বিশেষ করে যখন আজকে যাকে বাটিক বলি তেমন ডিজাইনের কাপড় দেখা গেছে ভারত, চীন, মিশর থেকে শুরু করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নানা জায়গায়। এই সব জিনিস নিয়ে বিতর্ক শেষ হয় না – কথায় বলে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু! তবে মোটামুটি আজকাল যা স্বীকৃত তা হলে বাটিক পদ্ধতির উৎপত্তি হয়েছিল আজকের দিনের ইন্দোনেশীয়া দেশের জাভা দ্বীপে। বাটিক শব্দটির উৎপত্তি জাভা থাকে, মূল শব্দ ছিল ‘আমবাথিক’। জাভানীজ ভাষায় ‘আমবা’ মানে হচ্ছে চওড়া বা বৃহৎ এবং ‘থিক’ শব্দের অর্থ ‘বিন্দু’। এই ভাষাতেই বাথিকান শব্দের অর্থ আঁকা বা লেখা। কালের ক্রমে ইন্দোনেশীয়ার মূল স্রোতে যখন বাথিকা মিশে গেল তখন ‘থিক’ শব্দবন্ধ উচ্চারিত হতে লাগল ‘টি’ দিয়ে এবং সেই থেকেই আজকের বাটিক শব্দটি। ... ...
৪৫।গরম পড়তে শুরু করেছে। ঘরের পাখাটা না চালালে কিছুক্ষণ পরেই বিজবিজে ঘাম হতে শুরু করে। ওতে অসুবিধে হয়না রতনের। ওদের ক্যাম্পাসের তাপমাত্রা বাকি হাওড়া জেলার তাপমাত্রার চাইতে খানিকটা কম। পাশেই বোট্যানিক্যাল গার্ডেন। অন্য পাশ থেকে আসে গঙ্গার শীতল হাওয়া। তা ছাড়া কযাম্পাসের ভেতরে এত গাছ গাছালী…গরম তেমন অনুভব হয়না।সামনে একটা পরিক্ষা আছে। স্ট্রেঙথ অফ মেটিরিয়াল। টিমোশেঙ্কোর বইটা টেবিলের ওপরে খোলা । এনুয্যাল পরিক্ষার ঢের দেরি এখনও । পরিক্ষা নিয়ে কোনো দিন দুঃশ্চিন্তা না করলেও একটা ... ...
[কুড়ি বছর আগে লেখা এক বছর-পঁচিশ বয়সী যুবকের পুরোন ডায়রি আমার হাতে এসেছে।এডিট না করেই তুলে দিলাম - কুড়ি বছরে কলকাতার বাহ্যিক রূপ কতটা পাল্টেছে সেটা দেখার জন্যে। এর আর কোন মূল্য নেই।]... এ কলকাতার মধ্যে আছে আরেকটা কলকাতা। হেঁটে দেখতে শিখুন ...- শঙ্খ ঘোষআমি হাঁটতে থাকি। যাদবপুর থেকে ঢাকুরিয়া, গড়েহাটা হয়ে বাঁদিকে গোঁত্তা খাই।গুরুসদয় দত্ত রোড হয়ে সার্কুলার থুড়ি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডে পড়ি। বিরাট "হোয়েনএভারইউ সি কালার, থিংক অফ আস" সাইনবোর্ডের ... ...
বাংলায় লেখা রান্নার বই ও তাদের সাংস্কৃতিক অবস্থান নিয়ে দু'চার কথা বলার চেষ্টা। ... ...
জীবনে সেই প্রথম চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করে "কম্পিউটার" দেখা হল - ইনটেল 386 - সাদা রঙের পিসি - টিভির মত দেখতে সাদা দামড়া মনিটার, ইয়া গাব্বা সাইজের সি পি ইউ, সেটাও সাদা, তাতে ছোট এবং বড় দুই রকমের ফ্লপি ডিস্কের স্লট। বলা বাহুল্য এসব ডিটেইল কিছুই তখন জানতাম না - ওটাকে ফ্লপি বলে বা ওই ঢোকানোর জায়গাটাকে স্লট বলে, সেটুকুও না। সিডি ব্যপারটার নামই শুনব আরো প্রায় বছরখানেক পরে ... ...
মৃণাল সেনের জন্ম ১৯২৩ সালের ১৪ মে, পূর্ববঙ্গে। কৈশোর কাটিয়ে চলে আসেন কোলকাতায়। স্কটিশ চার্চ কলেজ ও কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশুনো করেন। বামপন্থী রাজনীতির সাথে বরাবর জড়িয়ে থেকেছেন, অবশ্য কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন না।চলচ্চিত্র নির্মাণ পর্বের আগে চলচ্চিত্র নিয়ে তাত্ত্বিক পড়াশুনো ও লেখালেখি শুরু করেছিলেন। রুডলফ আর্নহেইমের ফিল্ম এসথেটিকস, নীলসনের সিনেমা অ্যাজ এ গ্রাফিক আর্ট এর মতো বই তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।১৯৫৫ সালে তাঁর প্রথম ছ ... ...
ছোটবেলা থেকেই মামাবাড়ির 'পুরোনো ঘর' ব'লে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে ঝিমধরা দুপুরগুলি অতিবাহিত হতো। ঘরটি চুন সুরকির, একটি অতিকায় খাটের নীচে ডাই হয়ে জমে থাকত জমির থেকে তুলে আনা আলু, পচা গন্ধ বেরুত।দেওয়ালের এক কোণে ছিল বিচিত্র এক ক্ষুদ্র নিরীহ প্রজাতির মৌমাছির বাসা। বাতিল হয়ে যাওয়া গ্রামোফোন রেকর্ড, সেজমামার '১৯৭২ সালের কবিতাগুচ্ছ' সম্বলিত ডায়ারি, অজস্র আত্মীয়স্বজনের চিঠিপত্র, দাদুর হাতের লেখায় 'সান্ত্বনার ফ্রকের মাপ' এসব তুচ্ছাতিতুচ্ছ জিনিসের ভিড় দৃষ্টি আকর্ষণ করত। দ্বিপ্রাহরিক নির্জনতায় অধিকতর আকর্ষণ ছ ... ...
বিজাতীয় ভীমরতি ( বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'বাবু' অবলম্বনে )ঝুমা সমাদ্দারজনমেজয় কহিলেন,হে মহর্ষে! আপনি কহিলেন যে, কলিযুগে রিয়্যালিটি শো নামে একপ্রকার জয়ঢাক পৃথিবীতে আবির্ভূত হইবেন। তাঁহারা কি প্রকার জয়ঢাক হইবেন এবং পৃথিবীতে আবির্ভুত হইয়া কি কার্য্য করিবেন,তাহা শুনিতে বড় কৌতুহল জন্মিতেছে । আপনি অনুগ্রহ করিয়া সবিস্তারে বর্ণন করুন ।বৈশম্পায়ন কহিলেন , হে নরবর! আমি সেই বিচিত্রবুদ্ধি,হাস্যক্রন্দনকুশলী রিয়্যালিটি শো গুলিকে আখ্যাত করিব, আপনি শ্রবন করুন । আমি সেই বহুবর্ণঅলঙ্কৃত, অদ্ভুতচর ... ...
নিমতলি থেকে চকবাজার। দূরত্ব খুব বেশি না। নাজিমউদ্দিন রোড দিয়ে হেলে দুলে হেটে গেলে খুব বেশি হলে পনেরো থেকে বিশ মিনিট লাগতে পারে।হোসনে দালান হয়ে গেলেও এমনই লাগার কথা। একটু এদিক সেদিক হতে পারে। এই অল্প দূরত্বের শিক্ষা সফর আমাদের শেষ হয় না। ২০১০ সালের ৩ জুন ভয়াবহ আগুনে পুড়ে এক সাথে ১১৭ জন মারা যায়। গতকাল, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে লাগা আগুনে এখন সম্ভবত পর্যন্ত ৭০ জন মারা গেছে। দুই ঘটনার এত মিল যে আশ্চর্য হয়ে যেতে হয় আমাদের। নিমতলি অগ্নিকান্ডের পর জানা যায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে আগুনের সূচনা হয় তারপর আশেপাশ ... ...
১নির্ধারিত সময়ে ক্লাবঘরে পৌঁছে দেখি প্রায় জনা দশেক গুছিয়ে বসে আছে। এটা সচরাচর দেখতাম না ইদানীং। যে সময়ে মিটিং ডাকা হ’ত সেই সময়ে মিটিঙের আহ্বাহক পৌঁছে কাছের লোকেদের ফোন ও বাকিদের জন্য হোয়া (হোয়াটস্যাপ গ্রুপ, অনেকবার এর কথা আসবে তাই এখন থেকে হোয়া) গ্রুপে মেসেজ পাঠাতেন। সপ্তাহের মাঝ মধ্যিখানে রাত সাড়ে ন’টায় ডাকা মিটিঙে এত ভিড় দেখে ভালোই লাগল কিন্তু। কিছু একটা কথা চলছিল, আমি পৌঁছতেই আচমকা স্তব্ধতা আর যারা বসেছিল তাদের চোখে মুখে আহ্লাদের উদ্ভাস দেখেও ভালো লাগল। “কী খবর? ... ...
আমাদের মত মানুষদের একটা বড় অংশই তথাকথিত মেয়েলি হাবভাবাপন্ন। আবার এর একটা বড় অংশ নিজেকে সিনেমার হিরোইনদের সঙ্গে তুলনা করে মনে মনে হিরোকে নিয়ে স্বপ্নও দেখে। যেমন লাক্স সাবানের বিজ্ঞাপনে তাবড় তাবড় সিনেসুন্দরীদের দেখে অনেক মানুষ লাক্স ব্যবহারে নিজের না পাওয়া বোধটা চরিতার্থ করে। মনে মনে নিজেকে ওই সিনেসুন্দরীদের সমতুল ভেবে আনন্দ পায় তেমনই এই মেয়েলি ছেলেরাও নাচ বা ঠমকে নিজেদের মনে মনে ওই হিরোইন ভাবতে থাকে। আবার বেশির ভাগেরই মনের মধ্যে মর্দ পুরুষ হিসাবে পরিশ্রমী খেটে খাওয়া পুরুষমানুষের ছবি আঁকা থাকে। আর এই মর্দ পুরুষদের বিনোদনে সিনেসু্ন্দরীর কল্প-কামের পোলাওতে ঘি ঢালতে থাকে এই সকল মেয়েলী হাবভাবের রূপান্তরকামী পুরুষরা। এ এক অদ্ভুত ইক্যুয়েশন। বেশিরভাগ মানুষই পরিবার ও সামাজিক ব্যুলিড হতে হতে পড়াশোনার চৌহদ্দি থেকে সরে আসে। অথচ একটু নাচের প্রতি আগ্রহ, মঞ্চের হাতছানি, সঙ্গে দুয়সা রোজগারের স্বপ্ন সবমিলিয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে পিছপা হয়না আজও অনেকেই। বিহার, উত্তর প্রদেশের বিয়ে শাদী শুভ অনুষ্ঠানে বা লগনে এক প্রথা লণ্ডা নাচ। এই লন্ডা নাচে প্রতিবছরই ভিড় জমায় পূর্বভারত, নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলের রূপান্তরকামী পুরুষেরা। ... ...