১)কিছুতেই কলকাতা যেতে চাইছিল না টুকি ওরফে শ্যামলী রাহা | স্কুলের স্যারের বলা চোখ বড় বড় করে দেওয়া ইতিহাসের গল্প , বিশ্বাস দাদুদের বাড়ির পিছনের জঙ্গলে টিয়াবাচ্ছার তদারকি , পুকুরে ডুব সাঁতার দিয়ে হাঁসেদের সাথে ছোটাছুটি , দামোদরের পারে মাঝে মাঝেই চড়ুইভাতি এহেন জরুরী কাজ ছেড়ে ট্রেনে করে শহরে যাবে কোন মুখ্যু ? তাও আবার এক আধ বেলার জন্য ঘুরতে যাওয়া নয় ওখানেই থাকা | ওর দু ক্লাস উঁচুতে পড়া পুতুল দু বার গেছে কলকাতায় , কালিঘাটে পুজো দেবার জন্য | ওর কলকাতা যাবার কথা শুনে চোখ কপালে তুলে বলেছি ... ...
দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার কাজী পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আয়শা সিদ্দিকা নামের এক নারী কাজী পদের জন্য আবেদন করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও শুধু মাত্র পুরুষের জন্য এই পদ এমন কিছু লেখা ছিল না। আর যেহেতু তিনি আর বাকি সব দিক দিয়ে যোগ্য ছিলেন তাই তিনি আবেদন করে দেন। যথা সময়ে পরীক্ষা হয়, তিনি প্রথম হন। তার সাথে আরও দুইজন নারী আবেদন করেন। এবং পরবর্তীতে পুরো প্যানেলকেই বাদ দেওয়া হয় শুধু মাত্র নারী এই যুক্তিতে। শারীরিক সীমাবদ্ধতা, রাত বিরাতে বিয়ের জন্য যেতে হবে ইত্যাদি নানান কারণ দেখিয়ে তাদের না করে দেওয়া হয়। এবার শুরু হয় আয়শার লড়াই। ২০১৪ সালে তিনি আদালতে যান। আইনের কোথাও নারী হিসেবে নিকাহ রেজিস্টার হতে পারবে না এমন কথা না থাকার পরেও এতদিন পরে আদালত এই রায় দেয় যে নারী বিবাহ পড়াতে পারবে না। আয়শা সিদ্দিকা আবার আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। কি হতে পারে এখনই অনুমান করা যাচ্ছে। বিশেষ করে মানুষের যে পরিমাণ সমর্থন এই কয়দিনে আদালত পেয়ে গেছে তাতে আরও সহজ হয়ে গেছে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। আমার দুইটা কথা না বললে ভাল লাগছে না তাই লিখতে বসছি। ... ...
- ভাগ্যের জোরে যে রাজনৈতিক দল দেশে ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা উপহার দিয়েছেন। দেশের মানুষ কোনদিনই তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা কে সম্মান করবে না। ‘তিন’ সংখ্যাটি অশুভ। তিরঙ্গা যতদিন জাতীয় পতাকা থাকবে, ততদিন মানসিক ভাবে খারাপ প্রভাব ফেলবে এবং দেশের ক্ষতি করবে ¹। কে বলে এমন অলক্ষণে কথা ? ‘দেশদ্রোহী’ কানাহাইয়া কুমার ? ‘পাকিস্তানের স্পাই’ উমর খালিদ ? না ‘চিনের দালাল’ সীতারাম ইয়েচুরি ? আজ্ঞে না ! গণপরিষদ তিরঙ্গা কে জাতীয় পতাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেবার প্রতিবাদে, ১৪’ই অগাস ... ...
চিকন গোয়ালিনী কয় “শুন কথার নাল”।মরিচ যতই পাকে তত হয় ঝাল।।সময়ে বয়স যায় নাহি যায় রস। মুখের কথায় মোর ত্রিজগত বশ।।ফান্দ পাতিয়া চানধরি জমীনে থাকিয়া।আমার গুণের কথা জানে যত ভুঞা।। — কমলা/ দ্বিজ ঈশান/ পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকাআমাদের বাড়ি থেকে মেজফুফুর বাড়ি― পূবহাটি যেতে যে কবরস্থান পড়ে, তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সরু এক খাল। তিতাসের খাল। এঁকে-বেঁকে নানান জায়গা ঘুরে ঘুরে মাঝেরহাটির জলেখা বিবির বাড়ির পিছন দিয়ে বয়ে সে গিয়ে মিশেছে পূবহাটির খালে। খালের দক্ ... ...
[আগামি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বিজ্ঞান শহিদ জিওরদনো ব্রুনোর ৪১৭-তম মৃত্যু বার্ষিকী। এই উপলক্ষে আমি ব্রুনো সম্পর্কে আমার একটি লেখা এখানে সকলের সাথে ভাগ করে নিতে চাই। যাঁরা ওই দিন বা ওই সময়ে ব্রুনো চর্চা করবেন, তাঁদের কাছে আনুষঙ্গিক এই সব তথ্য থাকা দরকার। যাঁরা এগুলো ইতিমধ্যেই জানেন, তাঁরা এটাকে স্বচ্ছন্দে অগ্রাহ্য করতে পারেন। আজ পঞ্চম এবং শেষ কিস্তি] [৭] শেষ কথাব্রুনোর শহিদত্ব বরণের পর চারশ বছর কেটে গেছে। বিজ্ঞান তারপর অনেক দূর এগিয়ে গেছে এবং বিকশিত হয়েছে। বৈজ্ঞানিক মতবাদ হিসাবে ব্রুনোর ... ...
আলী সায়েব বিশ্বাস করতেন, তাঁর জীবনে –“এমন কোনো বাণী নেই, এমন কোনো message নেই, যা না বললে- এই সোনার বঙ্গভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সর্বোপরি আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সর্বসমক্ষে কোনো কিছু বলতে বড়ই লজ্জা বোধ করি । হয়, সত্য গোপন করতে হয়-নয় ডাহা মিথ্যে কথা কইতে হয় ।”মুজতবা আলীপ্রচার বিমুখ আলী সায়েব কেন এইরকম লিখেছিলেন- সেটা এখন আর জানার উপায় নেই। হতে পারে, তিনি নিজের সম্বন্ধে জানাতে চান নি বা কিছু একটা অভিমান ছিল – যেটা আমরা জানি না। এই জ্ঞান সমৃদ ... ...
মা যেদিন বেঘোরে মরে গেল তার পরদিনই আমি গোটা শহর এন্তার চষে বেড়াতে শুরু করলাম। যেন সেই দুই বেণী ঝুলছে কাঁধে, আগের মতো টই টই রাণী বলে প্যাক দিলে এখুনি রেগে যাব, ঝাঁকুনি দিয়ে চেঁচিয়ে উঠব, তোমার কী !তখন আমার ব্যবহার খারাপ ছিল খুব, বাবার ওপর প্রচন্ড রাগ। একটুতেই চেঁচাতাম আবার মেজাজ ভালো হলে উঠোনের বিরাট কুয়োর মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে গাইতাম, আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি। বর্ষাকালে কালো জল উঠে আসতো ওপরে,হাতে ছুঁয়ে ফেলা যাবে যেন,কেমন গা ছমছম করতো অতো নিস্তরঙ্গ বোবা জলের দিক ... ...
আজ মঙ্গলবার। ভাব সম্প্রসারণের দিন। খগেনবাবু দ্রুত রোলকল সারিয়া, গলা খাঁকারিকরত, ছাত্রদের ভাব সম্প্রসারণ করিতে দিলেন। বলিলেন: 'ল্যাখো'। খগেনবাবুর উচ্চারণের বিশেষত্ব আছে। তিনি হেমন্তকে হ্যামন্ত বলেন, অথচ, লজ্জাকে, লোজ্জা উচ্চারণ করিতেই তিনি অভ্যস্ত। অতঃপর খগেনকন্ঠে উচ্চারিত হইল: "কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে, দুঃখ বিনা সুখলাভ হয় কি মহীতে?" ... ...
আরাস্তু জাকিয়া বর্তমানে দিল্লি নিবাসী। একটি স্টার্ট-আপ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি ফেসবুকে তিনি শেয়ার করেছিলেন তাঁর জীবনের গল্প। আহমেদাবাদে একজন মুসলমান হিসেবে বড় হয়ে ওঠার গল্প, প্রথমে ১৯৯২, তার পরে ২০০২এর দাঙ্গা নিজের চোখে দেখার গল্প। তাঁর অনুমতিক্রমে, আমি লেখাটির বাংলা অনুবাদ তুলে দিলাম আমার ব্লগে ... ...
ক্লাব থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতা থেকে সমাজসেবী -অনেকের ধারণা প্রতিবন্ধী মানুষদের কিছু দান করলে করলে পরমকরুণাময় ঈশ্বর খুশি হয়ে থাকেন তাই ‘পূণ্য’ লাভ সম্ভব হয়। সেই চেতনা প্রবল হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে। রাজা আসে রাজা যায়, মন্ত্রী আসে মন্ত্রী যায়, প্রতিবন্ধী মানুষদের অবস্থার পরিবর্তন আদতে সোনার পাথর বাটি। তবে হেলেন কেলারে’র মত প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষ যখন বলেন ‘আমার প্রতিবন্ধকতার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ’। তখন মনে হয় প্রতিবন্ধী মানুষদের জীবনে কিছু তো আছে গর্ব করার মত। প্রতিবন্ধকতার জন্য মানুষগুলো হয়ত প্রতি মুহুর্তে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে। প্রতিবন্ধকতার জন্য জগতকে অন্যভাবে দেখতে পারে কিছুটা আলাদা করে!! ... ...
বিএনপি এখন অস্তিত্ব সংকটে আছে। কিন্তু কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। ক্ষমতার তাপে মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল দলটার। ফলাফল ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা। বিরোধীদলের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করলেই সরকারের ঘাড়ে দোষ যাবে ব্যাপারটা এমন না। বিএনপি সরকার এই দায় নিজে ঘাড়ে নিজেরাই টেনে নিয়েছিল। প্রাথমিক নিন্দা জানানোর পরেই বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এত বড় একটা ঘটনাকে হাস্যকর করে ফেলেছিল। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর সম্ভবত তখনই দিয়েছিলেন তার যুগান ... ...
মুকুলমামার পক্ষীপ্রেমঝুমা সমাদ্দার“আ..আ.. আঃ ! ওইর'ম কইরা কেউ চাটনি খায় ? কিসুই শিখে নাই মাইয়াডা। চাটনির মইধ্যে গন্ধরাজ লেবুখান চিইপ্যা 'ল , হঁ , এইবার লবন দে , আরও দে , এক্কেরে বোগ্দা মাইয়াডা । এইবার একটুখানি আঙ্গুলে লইয়া সাইট্যা খাইয়া দ্যাখ , কেমন ? ” এক চোখ বন্ধ করে মুখে টকাস শব্দ করেই ঝপাৎ ঘাড় কাত বনির । 'না' বলে কোন সাহসে ? টনি ,বনির চেয়ারের ঠিক পেছনটিতেই ঘাড়ের কাছে ব্যাঘ্র ঝম্পনের স্টাইলে ওত পেতে রয়েছেন মুকুলমামা। প্রতিটি আইটেম পাতে পড়তে না পড়তেই 'বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের সহিত খাদ্যা ... ...
ঝাঁ চকচকে ক্যান্টিনে, বিফ কাবাবের স্বাদ জিভ ছেড়ে টাকরা ছুঁতেই, সেই দিনগুলো সামনে ফুটে উঠলো। পকেটে তখন রোজ বরাদ্দ খরচ ১৫ টাকা, তিন বেলা খাবার সঙ্গে বাসের ভাড়া। শহরের গন্ধ তখনও সেভাবে গায়ে জড়িয়ে যায় নি। রাস্তা আর ফুটপাতের প্রভেদ শিখছি। পকেটে ঠিকানার চিরকুট। শহর চিনতে চিনতে বন্ধু বেড়ে গেল। অনেক বন্ধুর সাথে হারিয়ে যাওয়া একটা নাম, আজ আবার ফিরে এলো ডাউন মেমরি লেন বেয়ে…. ফারুক। বন্ধুত্ব বাড়তেই ও আমার পকেটের খোঁজ নিল আর তখন থেকেই ফারুক আমার গাইড। ওর কাছে শিখেছি ১৫ টাকায় দিন যাপনের উপায়। ... ...
এই গাছগুলো ... ...
ওয়েবসাইটে জ্যামিতির বনিয়াদ নিয়ে আমার এই লেখাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে...এখানে লেখাটা একই ভাবেই দিলাম... আমার ব্যক্তিগত অনুরোধ, আমার লেখাটা না পোষালেও ওয়েবসাইট টায় ঘুরে আসতে ভুলবেন না...আজ দ্বিতীয় পর্ব, যা ২৮শে জানুয়ারী, ২০১৫ ( ইংরাজি সন) এ প্রকাশিত হয়েছিল...জ্যামিতির গোড়ার কথা : ইউক্লিড থেকে রীমান ( চতুর্থ পর্ব ) ... ...
আংশিক কথোপকথন। শান্তনু চ্যাটার্জি------------------------নমস্কার ৷ বলুন ৷ একটু আলাপ করতে এলাম ৷ ও ৷ কি ব্যাপার ? কিছু না ৷ just এমনি ৷ ওহ ৷ আপনি কি করেন ? চাকরি ৷ কেন ? না ৷ আমি বেকার ৷ চাকরি বাকরি কিছু করে দিতে পারবো না ৷ ... ...
পাশাপাশি দুই পাড়া - ভ-পাড়া আর প-পাড়া। জন্মলগ্ন থেকেই তাদের মধ্যে তুমুল টক্কর। দুই পাড়ার সীমানায় একখানি সাতমহলা বাহারী বাড়ি। তাতে ক-পরিবারের বাস। এরা সম্ভ্রান্ত, উচ্চশিক্ষিত। দুই পাড়ার সাথেই এদের মুখ মিষ্টি, কিন্তু নিজেদের এরা কোনো পাড়ারই অংশ মনে করে না। পারিবারিক ব্যবসা, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চায় মগ্ন ক-বাড়ি যেন একটি স্বতন্ত্র পাড়া। একবার প-পাড়ার কিছু গুন্ডার চোখ পড়ল ক-বাড়ির দিকে। অভিজাত ক-পরিবারকে নিজেদের পাড়ায় ঢোকাতে পারলে এক লাফে প-পাড়ার প্রতিপত্তি বাড়ে। অনিচ্ছুক ক-বাড়ির দরজা-জানলায় ঢিল পড়তে লাগ ... ...
সেইসব দিনগুলি…ঝুমা সমাদ্দার…...তারপর তো 'গল্পদাদুর আসর'ও ফুরিয়ে গেল। "দাঁড়ি কমা সহ 'এসেছে শরৎ' লেখা" শেষ হতে না হতেই মা জোর করে সামনে বসিয়ে টেনে টেনে চুলে বেড়াবিনুনী বেঁধে দিতে লাগলেন । মা'র শাড়িতে কেমন একটা হলুদ-তেল-বসন্তমালতী'র গন্ধ। কাজল পরাতে গেলে 'উঁ' ‘উঁ' শব্দে তীব্র প্রতিবাদ। "একদম চুপ করে বোসো। চোখ ডলে ডলে , দেখো , সমস্ত গালময় কালি করে ফেললে।" খেলতে পাঠিয়ে দিয়ে মা 'গা-ধুতে' যাবেন । বড়দিদিদের সঙ্গে খেলতে গেলে তারা চোখ মটকে ঈশারা করে , বলে ‘দুধ-ভাত'। কক্ষনো সে ... ...
এমন কত হয়__তিন নম্বর ঘুঁষিটা মারার আগে সব রাগটা মনে মনে এক করে আনতে হল। নইলে এত জোরে মারতে পারত না। ছিটকে পড়ে যাওয়ার আগে ছেলেটা একটা আওয়াজ করে উঠেছিল। মাথার মধ্যে হাজার একটা রাগ গুটিশুটি মেরে বসে আছে তার। বাবা অনুরাগের ছোঁয়া দেখে নাম রেখেছিল, তাপস। নিজের নামটা মনে আসতেই রাগটা গনগন করে ওঠে মাথায় আবার। এই হতচ্ছাড়া গুন্ডাগুলো তার থেকে অনেক বেশি তৈরি হয়ে এসেছে। শুধু নেহাত বোনটার মুখ মনে করে সে লড়ে যাচ্ছে। আজ বাড়ি ফিরে ওটাকেও পালিশ করতে হবে। এসব আপদ জোটে কি করে কে জানে। ... ...
আজ পড়ন্ত বিকেলে গড়িয়াহাট থেকে অটো করে যাদবপুর ফিরছি। বসেছিলাম সামনে, চালকের পাশে। গোলপার্কের কাছে যথারীতি আটকালাম ট্রাফিক সিগনালে। আমার সামনে একটি দামী চার চাকার গাড়ি দাঁড়িয়ে। দেখতে পাচ্ছিলাম সেই গাড়ির পেছনের সিটে দুজন। এক মহিলা এবং একটি দু-তিন বছরের শিশু। অনুমান করা যায় মা আর শিশু। শিশুটি গাড়ির খোলা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে। মা ধরে আছে তাকে। শিশুটি অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে দেখছে আমাদের প্রিয় শহর। তার ছটফটে দুটো ছোট ছোট হাত খেলে বেড়াচ্ছে খোলা জানালার কাছে। সে যেন প্রাণপনে আঁকড়ে ধরতে চাইছে পড়ন্ত ... ...