গতকাল শুক্রবার ৮ই জুন, ২০১৮ তারিখে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বাংলা নিউজ পোর্টাল আই ই বাংলায় আমার একটা লেখা প্রকাশিত হয়। সেই সংক্রান্ত ফেবুতে নিজের দেওয়ালে ও গুরুর ফেবু গ্রুপে কিছু আলোচনাও শুরু হয়েছে ও চলছে। খানিক সেইগুলো এক জাযগায় রাখার জন্যে আর খানিকটা এখানেও আলোচনা শুরু করার জন্য ও বিশেষত আলোচনার বাইরে কাজ করার ব্যাপারেও যদি সবাই মিলে কিছু একটা সলতে পাকানো যায় সেসবের জন্যে এখানে রাখলাম সেগুলো। ... ...
“শুয়োরের বাচ্চা জনগণ, / বছর বছর নির্বাচন?” --সব তো হল। বোমা বাঁধা, কামানের গোলা, এক ঘুসিতে একটা ছেলের ঠোঁট ফাটিয়ে দেওয়া, বই পোড়ানো, স্যারের হাত থেকে বেত কেড়ে নেওয়া; আর কিছু বলার নেই? ... ...
সতেরো বছর বয়সে তার ভারী ওজনের শরীরটা ও একটা ভুলভাল মেকআপ সেন্স সঙ্গে করে মনিকা ম্যাকন প্রথম টরন্টো আসে ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্য পড়তে। টিনএজকালে তাকে বেশ সাধারণ দেখতে ছিল আর তখনও তার কোনো বয়ফ্রেন্ড জোটেনি। একমাত্র হাসলে তাকে কিছুটা সুন্দর দেখাত, কিন্তু সে প্রায় সবসময়ই মুখ গম্ভীর করে থাকত। ইউনিভার্সিটির ক্লাসগুলো সে মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করত, যদিও মাঝারিমানের ছাত্রী হওয়ায় অনেককিছুই তার মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে যেত। ... ...
এই লেখাটি Age of Big Cats নামে একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ এর ধারাবাহিক অনুবাদ। এখানে বিগ ক্যাটদের বা প্যান্থেরাদের, মানে বাঘ, সিংহ, জাগুয়ার, চিতা, স্নো লেপার্ড - এদের বিবর্তনীয় ইতিহাস বা উৎপত্তি, টিকে থাকার রহস্য, স্থলভাগকে ডোমিনেট করার রহস্য, আর আজকে এদের অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে। ইভোল্যুশনারি বায়োলজি, নেচার, ওয়াইল্ড লাইফ, ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন নিয়ে যাদের ইন্টারেস্ট আছে, কিন্তু ডকুমেন্টারিটি এখনও দেখেননি, বা কখনও দেখা হবে না বলে মনে করছেন তারা পড়তে পারেন। ... ...
সুন্দর ব্যাপারটা আপেক্ষিক – কারণ আমার চোখে যা সুন্দর, তা আপনার কাছে লাগতে নাও পারে! তবে কিনা একটা ব্যাপার থাকে – যেমন ঐশ্চর্য্য রাই সুন্দর, এ নিয়ে মনে হয় না তেমন কেউ দ্বিমত হবেন। তাই যদি কেউ ভিয়েতনাম ঘুরে এসে থাকেন এবং এই শহরে সময় কাটিয়েছেন এমন থাকেন, তাহলে মনে হয় তাঁরা আমার সাথে একমত হবেন যে, ভিয়েতনামের সবথেকে সুন্দর শহর খুব সম্ভবত ‘হোই-আন’। ভিয়েতনামের দক্ষিণে হো-চি-মিন সিটি থেকে উত্তরে হ্যানয় যেতে পারেন বা ভাইস ভার্সা। কিন্তু ভিয়েতনামের মধ্যভাগটা যেন কোন ভাবেই মিস করবেন না – মধ্য ভিয়েতনামেই আছে, হুয়ে, মাই-সন, হোই-আন, ডা-নাং এই সব সুন্দর জায়গা গুলি। একে একে লিখব যদি সময় পাই বা উৎসাহ থাকে। আজকে একটু হোই-আন নিয়ে ফিরে দেখা যাক। ... ...
গ্রাম হেকে শহরে যারা আসেন, তারা যেই আকাঙ্খা নিয়ে আসেন আর যেমন করে সেই আকাঙ্খা আঁকড়ে থাকেন, অনেক ক্ষেত্রে একটা ব্যবধান থেকে যায়; স্বপ্ন আর বাস্তব, আশা আর প্রাপ্তির ... ...
জ্ঞানউপুড় পোস্ট ঢালি আমরা।রাষ্ট্রব্যবস্থা সমাজব্যবস্থা সব নিয়েই কী অগাধ পাণ্ডিত্য! আদালতের ভারডিক্ট, তার ঠিক ইন্টারপ্রিটেশন ভুল ইন্টারপ্রিটেশন...সমীহ জাগে আর তখনই জেগে ওঠে শাঁখা সিঁদুরজনিত অন্য অন্ধকার। হ্যাঁ। আমাদের আলো-পাওয়া চোখ, ইন্টেলেকচুয়াল বিভা,বন্ধনমুক্তির জন্য কোমরের জোর, শাঁখা সিঁদুর ইত্যাদি বিবাহচিহ্ন মুছে ফেলার জোর যোগায় বই কী! ... ...
পার্লামেন্টে সাম্প্রতিক জেএনইউ বিতর্কের শুরুর দিন স্মৃতি ইরানি জেএনইউর ছাত্রদের প্রচারিত একটি লিফলেট থেকে পড়ছিলেন, যেখানে দুর্গাকে একজন বেশ্যা হিসেবে দেখানো হয়েছে যিনি মূলবাসী রাজা মহিষাসুরকে ছলনা করে বধ করেন। স্মৃতিজি পড়ছেন যখন সংসদ জুড়ে শেম শেম ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এরপর তিনি বলেন যে, এই কী বাক্ স্বাধীনতা, কলকাতার রাস্তায় কেউ এরকম বলতে পারবে? পুরাণেতিহাসের এই ভিন্নতর ভার্সন নিয়ে আলোচনার অবকাশ আছে। একটি মত শুনছি কোনো জনজাতির মধ্যে নাকি এইরকম লোকগাথা আছে। দুর্গাপ্রতিমা গড়তে বাংলায় বেশ্ ... ...
অবশ্য তিনি এই ভদ্রলোকের মত হিন্দি বলেন কি না জানা নেই যিনি পাঞ্জাবি ক্লায়েন্টকে বলেছিলেন, "হাম ঘরমে খাকে বনকা মোষ কিঁউ তাড়ায়গা?" অথবা সেই আর একজনের মত। ইনি একগাদা প্রিন্টআউট নিয়ে যাকে দেওয়ার তাঁকে বলেন, "পেজ থোড়া আগে পিছে হো গিয়া, আপ থোড়া গুছা লেনা।" ... ...
এক গলা জলে দাঁড়িয়ে দুটি ছেলেমেয়ে দেখছে, এক কোমর জলে দাঁড়ানো স্কুলশিক্ষক জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছেন - আমার কাছে ওই বাচ্চাদুটি আমার দেশ - আর মাথার ওপরে পতপত করা ওই পতাকাটা রাষ্ট্র। মাটির থেকে দূরে, নিজ গর্বে উড্ডীয়মান, নীচের দেশটিই তাকে তুলে ধরেছে কিন্তু তার সঙ্গে সম্পর্ক বিরহিত। তাকে "ভালবেসে" কিছু করা যায় না কারণ তাকে ভালবাসা যায় না। ... ...
শিল্পী সুলতানের কথা আমার বলার অধিকার আছে? আমি জানি না। উনার কিংবদন্তী কাজ গুলো সম্পর্কে তো খুব অল্প জানি। এদিক সেদিকে কিছু কাজ দেখার সুযোগ হয়েছে। যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা আমাকে করে ছিল। ক্ষেতে খামারে কাজ করছে কিন্তু একেকজনের কী পেশিবহুল শরীর একেকজনের। সুলতান লেখককে ব্যাখ্যা করেছে কেন তার চরিত্ররা এমন দারুণ স্বাস্থ্যের অধিকারী। তিনি বলছেন বাঙালিকে দুর্বল ভাবার কোন সুযোগ নাই। যারা প্রতি বছর ঝড় বন্যার সাথে যুদ্ধ করে ক্ষেতে খামারে কাজ করে টিকে আছে তারা কীভাবে দুর্বল হয়? তিনি এই খেটে খাওয়া মানুষদের ভিতরের শক্তির ছবি এঁকেছেন! তখন প্রশ্ন আসছে উনার আগের ছবিতে কেন এমন চরিত্র আঁকেন নাই? তখন কি তিনি তেমন ভাবতেন না? সুলতান জবাব দিয়েছেন তখনো তিনি তেমনই ভাবতেন। কিন্তু আঁকেন নাই। কেন? কারণ হচ্ছে তখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি! মুক্তিযুদ্ধের পরে উনি যা এঁকেছেন সব জায়গায়ই এমন পেশিবহুল মানুষের আনাগোনা। উনার কথা হচ্ছে পরাধীন একটা জাতিকে এমন শক্তসমর্থ করে আঁকলে তা বিশ্বাস যোগ্য হত না। কী দারুণ না! ... ...
বেশ্যাদ্বার (প্রথম পর্ব)প্রসেনজিৎ বসুরামচন্দ্র দুর্গাপুজো করছেন। রাবণবধের জন্য। বানরসেনা নানা জায়গা থেকে পুজোর বিপুল সামগ্রী জোগাড় করে এনেছে। রঘুবীর পুজো শুরু করেছেন। ষষ্ঠীর বোধন হয়ে গেছে। চলছে সপ্তমীর মহাস্নান। দেবীস্বরূপা সুসজ্জিতা নবপত্রিকাকে একেকটি মন্ত্রে একেকটি দ্রব্য দিয়ে স্নান করাচ্ছেন রাম। নদীজলে, শঙ্খজলে, গঙ্গাজলে স্নান হল। উষ্ণজলে, গন্ধজলে, শুদ্ধজলে স্নান হল। কুশজলে, পুষ্পজলে, ফলজলে স্নান হল। শিশিরজলে, সাগরজলে,ওষধিজলে স্নান হল। তীর্থজলে, বৃষ্টিজলে, ঝর্ণাজলে স্নান হল। ... ...
এইটা একটা পাঁচ পর্বের গল্পের প্রথমটা। ... ...
পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক নির্বাচনী ফলাফলের ভিত্তিতে বাম রাজনীতির ভবিষৎ। ... ...
(দক্ষিণ কলকাতা নিয়ে এই সিরিজটা শুরু হল। চলবে নিজের মর্জিমাফিক। নিয়মিত, এবং অনিয়মিত, যখন যেটা ইচ্ছে) “ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্চে মানুষের সাজানো বাগান" দক্ষিণ বাংলা থেকে বাঘের গর্জন ভেসে আসে। নৌকো দোলে উনিশশো সাতাত্তর সালে। ধরা যাক, এভাবেই শুরু। ধরা যাক, বাঘের হুংকার অথবা নৌকোবিলাস, এ সমস্তই একটা ছক বন্দী ক্লাসিফিকেশনের ঘেরাটোপ, যে অবয়বের মধ্যে বন্দী হয়ে ছিল এক মিথিকাল অস্তিত্ব। তার নাম দক্ষিণ কলকাতা। কেন বাঘের গর্জন? কেন না, এই ... ...
আজ শুরুতেই একটু ইতিহাস নিয়ে চর্চা হোক। গুমনামির গুল গল্পে পরে আসছি। কেউ একটা বই লিখে দিলেই সেটা ইতিহাস হয়ে যায় না। অযোধ্যায় রাস্তায় অনেক চটি বই পাওয়া যায়, সেখানে অমুক সন্ত তমুক মহারাজ রাম ঠিক কোন জায়গায়, কবে কোন মুহূর্তে জন্ম নিয়েছিল,তার বিবরণ আছে। অবশ্যি নানান বই তে নানান বিবরণ। তাতে কি? তাদের সবাই দাবী করেন যে ঘোড়ার মুখ থেকে বার করা তথ্য, এসব বলে গেছেন অমুক মহারাজ, তমুক মহারাজ। এদের আবার নিজেদের মধ্যেও রোজকার ক্যাঁচাল। যেমন ঝগড়া গুমনামির ফলোয়ারদের মধ্যেও। একদল বলে ... ...
কমলবাবু হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।ছেলেবেলায় "চাঁদের পাহাড়" আমাদের অনেকেই পড়েছি ও শিহরিত হয়েছি। বাংলা ভাষায় লেখা শিশুপাঠ্য উপন্যাসের মধ্যে "চাঁদের পাহাড়" নিঃসন্দেহে একদম ওপর দিকে থাকবে। আজ থেকে অত বছর আগে স্রেফ কিছু বই আর নিজের কল্পনার জোরে অ্যাফ্রিকার পটভূমিতে যে অমন উপন্যাস লেখা যায় ভাবতেই মস্তিষ্কে জট পড়ে যায়। আজকের মতন তথ্যবহুল, প্রায়-বাস্তব-ছবিসংকুল তেমন বইও কি আর তখন হত? আর মফস্বলে বা কলকাতাতেও কটাই বা ভাল বই পাওয়া যেত রিসার্চ করা জন্যে? কোথায় ছিল ডিসকাভারি চ্যানেল, হলিউডের অ্যাডভেঞ্চ ... ...
গত তিন বছর ধরে ছেলের খুব ঘুড়ি ওড়ানোর শখ। গত দুবার আমাকে দিয়ে ঘুড়ি লাটাই কিনিয়েছে কিন্তু ওড়াতে পারেনা - কায়দা করার আগেই ঘুড়ি ছিঁড়ে যায়। গত বছর আমাকে নিয়ে ছাদে গেছিল কিন্তু এই ব্যপারে আমিও তথৈবচ - ছোটবেলায় মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঘুড়ি ওড়ানো "বদ ছেলে" দের কাজ - অতএব গ্রাম / মফস্বলে ছেলেবেলা কাটিয়েও আমার ঘুড়ি ওড়ানো হয়নি - অন্যরা ওড়াতো, আমি সতৃষ্ণ নয়নে চেয়ে দেখে বোঝার চেষ্টা করতাম কেন এটা খারাপ কাজ। সে বোধ আজও হলনি আমার - এদিকে যারা এসব বলত, তারা দেখি কবে যেন পালটি খেয়ে গেছে - ঘুড়ি ওড়ানো নাকি খুবই ... ...
বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানবাজারের অঘটনের পর গতরাতে ভক্তদের সারারাতব্যাপী মিটিং চলছে। মিটিংএ নাকি ব্যাপক গোলযোগ। এর সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। গত সপ্তাহের শেষেও আসন্ন যুদ্ধ নিয়ে ভক্তদের এক গোপন মিটিং হয়। আশ্চর্য হলেও সত্যি, যে, গুজরাত থেকে আসা এক নেতা মিটিংএর শুরুতে মনুস্মৃতির বদলে মোল্লা নাসিরুদ্দিনের সেই বিখ্যাত গল্প পড়ে শোনান, যে গল্পে মোল্লা রাত্রিবেলা তাঁর হারিয়ে যাওয়া পয়সা খুঁজছিলেন । পয়সা হারিয়েছিল নদীর ধারে, কিন্তু খুঁজছিলেন রাস্তার মোড়ে। কেন? জিজ্ঞাসা করলে মোল্লা বলেন, নদীর পাড়ে তো ... ...