রামধনু সিরিজের দ্বিতীয় গল্প। ... ...
আমাদের বাড়িতে চারটে প্রাণী... অনমিত্র(যিনি এখানে দুধভাতের রোল প্লে করবেন), আমি(যে এখানে গল্পগুলো বলবে), আর আমাদের দুটো অত্যাচারী ছানা...একজনের নাম কাজু, আরেকজনের সুফি.. কাজুর একটা ল্যাজ আছে। সুফিরও আছে। যদিও সেটা অদৃশ্য..কাজু প্রথম আমার কাছে আসেন ৮ই জুন, ২০১৫। তখন ওনার বয়স ছিল ৩৪দিন। সেরেল্যাক খেতেন.. চার ঘন্টা পরপর আড়াই চামচ করে..কোলে ঘুমোতেন... আমি ওনাকে কোলে নিয়ে রান্না করতাম। উনি কাঁধের জামা আঁকড়ে ধরে থাকতেন... নিজের কাজকম্মো বাদে আমার আর কাজুর মধ্যে কিছু ধরাবাঁধা নিয়ম ছিল। যেমন গাছে জ ... ...
কিশোর কবি সুকান্ত এসব ছড়া লিখেছিলেন সম্ভবতঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিনগুলিতে বেলেঘাটায় বসে। আমাদের বাড়িতে রেডিও এল ১৯৫৭ সালে, তখন ক্লাস টু’তে পড়ি। এর আগে কাকারা রেডিও ভাড়া করে আনতেন মহালয়ার একদিন আগে, বাড়ির সবাই ভোর চারটেয় উঠে ‘শ্রীমহিষাসুরমর্দিনী’ শুনবে যে! সেটা আসলে কালীবাবুর ইলেক্ট্রিকের দোকানে তৈরি লোক্যাল সেট, খালি কোলকাতা ক’ স্টেশন শোনা যায়। ... ...
ছোট বেলায় বিজ্ঞানের পোস্টার বয় হিসাবে নিউটনের পরেই আসত আইনস্টাইনের নাম। তার মানে কি মাঝে আর কেউ নেই? অবশ্যই আছে কিন্তু তবুও এক নিঃশ্বাসে ওই দুটি নামই আসত। এখানেও ঠিক তাই কান্টের সময় বিষয়ক আলোচনার পর ম্যাকট্যাগার্টের নামটা এসে গেলো, যদিও মাঝে অনেকেই পরে রইল। থাক, তাদের নিয়ে নাহয় আলাদা একটি পর্ব হবেছোট বেলায় বিজ্ঞানের পোস্টার বয় হিসাবে নিউটনের পরেই আসত আইনস্টাইনের নাম। তার মানে কি মাঝে আর কেউ নেই? অবশ্যই আছে কিন্তু তবুও এক নিঃশ্বাসে ওই দুটি নামই আসত। এখানেও ঠিক তাই কান্টের সময় বিষয়ক আলোচনার পর ম্যাকট্যাগার্টের নামটা এসে গেলো, যদিও মাঝে অনেকেই পরে রইল। থাক, তাদের নিয়ে নাহয় আলাদা একটি । ... ...
স্তালিনের মৃত্যুর পরেরদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত নেহরু ভারতীয় সংসদে স্মৃতিচারণ করে লম্বা বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেন, যে, স্তালিনের গুরুতর অসুস্থতার কথা যখন কানে আসে, তখন তিনি মস্কোর ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের পাঠানো একটা প্রতিবেদন পড়ছিলেন। সেই শেষ সাক্ষাৎকারে স্তালিন কথা বলেছিলেন ভারতের নানা ভাষা নিয়ে। তাদের শতকরা বিন্যাস, প্রভাব, সম্পর্ক, এইসব নিয়ে। এতটাই বিশদে, যে, নেহরু স্তালিনের জ্ঞানে কিঞ্চিৎ বিস্মিতও হন। ... ...
কোভিড করোনা আক্রান্ত পৃথিবীতে জন্ম নিচ্ছে সৃষ্টির নতুন ধারা । ... ...
৩১। আজাদ পরিন্দা কভি কিসিকা আপনা না হুয়া। গুরুজী কে আজ শায়রীতে পেয়েছে। গান কম হচ্ছে আর শায়রী বেশি - একটুও ভালো লাগে না শোভার! ভালোটা লাগবে কি করে? কবিতার মানে বুঝতে যদি দশ বার মানে বই খুলতে হয়,তবে তাতে আনন্দ আছে কোন? ভাবটা নয়, ভাষাটাই যে বুঝতে পারেনা শোভা! হিন্দি ভাষাটাই জানেনা ও, তার আবার উর্দূ!তবে ভাষাটায় একটা মাদকতা আছে - এটা মানতেই হবে! গুরুজীর শায়রী গুলোর বিশেষ মানে না বুঝলেও ওনার গলায় শব্দ গুলোর ধ্বনিময়তা, বাচন ভঙ্গী, উপস্থাপনা আর সকলের মতই ওকেও আবিষ্ঠ করে রাখে। আর সকল ... ...
সমস্ত ঝড় একদিন থেমে যায়। সব পাখি একসময় ঘরে আসে। কিন্তু কেউ কেউ ঘরে ফেরেনি। কেউ কেউ স্বপ্নভঙ্গের বেদনা বুকে নিয়ে জীবনভর অপেক্ষা করে, হয়ত কোন একদিন ঘুর্ণি হাওয়ায় উড়ে আসা শালপাতায় ভর করে ডাক আসবে ফেরারি ফৌজের ... ...
সে এক অদ্ভুত জিনিস। ছোট। গোল। কমলা। চকচকে। আর তার গায়ে আলো পড়লেই চারদিক কমলা হয়ে যায়। হাওয়ার সংস্পর্শে এলে সে জিনিস সবার গলা থেকে বেরোতে শুরু করে সাপের বাঁশির মতো সুর। কানের পাশ দিয়ে হাওয়া বয়ে গেলে তখন হিসহিসে শব্দ হয়। ক এইবার জিনিসটা হাতে নিয়ে দেখতে পারলো। ... ...
মিডিয়া ট্রায়ালের পর শুরু হয়েছে এক নতুন ফেনোমেনন সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল। সবার কী সুন্দর বিচার, ফাঁসি, জেল, সব কিছুর নিদান দিয়ে দেন। নির্ভয়া কান্ডের পর গোটা ফেসবুক জুড়ে ফাঁসির জন্য কী প্রচণ্ড চিৎকার। শিক্ষিত হোক বা অশিক্ষিত, একটা গোটা জাত ফাঁসি চায়, মৃত্যুদণ্ড চায়। নির্ভয়া কাণ্ডের বিচার হয়ে গিয়েছে। একজন অভিযুক্ত জেলের মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন। ঠিক যেমন ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়েছিল। কিন্তু ধর্ষণ থেমেছে কী? ধর্ষণ এইভাবে থামে না। থামতে পারে না। এই সব আলোচনায় লোকে হোয়াটঅ্যাপের মিথ্যে উদ্ভট তথ্য দেয়। এক ভদ ... ...
নিচের স্টুডিওতে ঢুকে কবিগুরুর মূর্তিটার সামনে দাঁড়িয়ে পড়লেন বৃদ্ধ। ভাস্কর্যের গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে যেন অনেক দূর থেকে বললেন, "সুধীর কিন্তু কাজটা খুব ভালো করেছিল, বল। আমার যেখানে যত মূর্তি দেখেছি -- ," তারপর মজদুরমন্ডলীর ছেলেটির দিকে তাকিয়ে কৌতুকের গলায় বললেন, "এটা কিন্তু তুমি বল নি -- কত লোক যে আমার ছবি এঁকে আর মূর্তি বানিয়ে সংসার করছে এত বছর!" এই প্রথম শব্দ করে হাসতে শোনা গেল বুড়ো মানুষটিকে। সবাই তখন বাইরে জনতা সামলাতে ব্যস্ত। ... ...
এই লেখায় থাকবে বেশীর ভাগ অপ্রয়োজনীয় এবং কিঞ্চিত প্রয়োজনীয় চিঠি সকল নিয়ে হ্যাজ। কৈশোর বেলায় আমাদের মত কিছু পাবলিকের কাছে পাচু রায় ছিল এক লেজেন্ডের নাম। বিদেশের সাহেব সুবাদের ব্যাপার বলতে পারব না, কিন্তু বাংলা ভাষায় কাগজে ‘সম্পাদক সমীপেষু’ শীর্ষক চিঠি লিখে পাচু বাবুর থেকে বেশী নাম কেউ করেছিলেন বলে আমার জানা নেই। আনন্দবাজার খুললেই চারের পাতায় তেনার চিঠি একদিন অন্তর। আর হেন কোন বিষয় নেই যে তিনি চিঠি লেখেন নি – দ্বিতীয় হুগলি সেতু গঙ্গার দুই দিকের দুই পাড় থেকে বানিয়ে নদীর মাঝ বরাবর মেলাবার ক্ষমতা ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের নেই থেকে শুরু করে জার্সি গরুর দুধের উপকারিতা বেশী, ইডেনের থার্ডম্যান বাউন্ডারিতে উৎপল চ্যাটার্জীর লাঞ্চের পর ঝিমানো, সুন্দরবনের আসল মধু যৌবন ফিরিয়ে আনে, পানিফলের উপকারিতা আপেলের থেকে বেশী, জ্যোতিবাবু বিগত কুড়ি বছর ধরে নাকি ক্যালকুলেটেড রিক্স নিচ্ছেন – ইত্যাদি ইত্যাদি। গ্যাট চুক্তি এবং কলকাতা বইমেলার ব্যাপারটা আর ঢোকালাম না – এই দুই জিনিস নিয়ে নিলে, গান্ধীর চিঠির রচনাবলীর ভ্যলউমের থেকেও বেশী হবে পাচু রচনাবলী। ... ...
বাংলায় শেষমেস এনআরসি হবে, না হবে না, জানি না। তবে গ্রামের সাধারণ নিরক্ষর মানুষের মনে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আজ ব্লক অফিসে গেছিলাম। দেখে তাজ্জব! এত এত মানু্ষের রেশন কার্ডে ভুল! কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানলাম প্রায় সবার ভোটারেও ভুল। সব আইকার্ড নির্ভুল আছে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুস্কর। অন্যের ভুলের দায় সাধারন মানুষ গুলোকে পোহাতে হচ্ছে। লাল্টু সেখ, ফরিদা বিবি, লক্ষীরানী বাউরি, গোবিন্দ বায়েনদের লম্বা লাইন সাপের মতো চলে গেছে। কাউন্টার থেকে অফিসের প্রধান দরজা পেরিয়ে রোড অব্দি। ঘন্টার পর ঘন্টা এভ ... ...
ব্রাউন-ব্যাগ এক সারমেয়। সে কথা কহিতে সক্ষম। পুর্বে প্রকাশিত। 'ব্রাউন-ব্যাগ' সিরিজ হইতে, কিছু পাঠকের অনুরোধে পুনঃ প্রকাশ করা হইল। মুল রচনাকাল - ২০১৬ ... ...
#পুরোন_দিনের_লেখক-ফিরে_দেখাআশালতা দেবী / আশালতা সিংহ১৯১১-১৯৮৩আগেকার দিনের মহিলা লেখকদের নিয়ে আমার একটু বিশেষ কৌতূহল আছে। এঁরা হয়তো ভাষা বা ফর্ম নিয়ে বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন নি, কিন্তু সহজ ভাবে একটি নিটোল গল্প বলার যে কাজটা সেটা বেশিরভাগই বেশ নিখুঁত ভাবে করেছেন। আর বেশিরভাগ জনের লেখায় তখনকার সমাজের, বিশেষত অন্দরমহলের বেশ একটা অন্তরঙ্গ ছবি পাওয়া যায়। তাই কিছু বছর আগে কখন বই মেলায় "আশালতা সিংহের গল্প সংকলন" হাতে পেলাম, কিনে নিতে দ্বিধা করি নি। দেজ এর ২০০৭ র বই। অভিজিত স ... ...
মাটির দুলুনি একটু থামতে বাড়ির রাস্তা ধরেছিল মিতা। চেনা রাস্তা তবু যেন কেমন অচেনা! রাস্তার মাঝে মাঝে ফাটল দিয়ে বেরিয়ে এসেছে মহীরূহ। গাছ তেমন চেনে না মিতা, তবে চওড়া গুঁড়ি, ছড়ানো ডালপালা দেখে বোঝা যাচ্ছিল কচি গাছ তো নয়, আদিম অরণ্যের বৃদ্ধ সন্তান। রাস্তার পাশের বাড়িগুলোর পাঁচিল ফুঁড়ে উদ্ধতভাবে বেরিয়ে আছে মোটা সপত্র ডাল। ... ...
[মধ্য প্রদেশের এক দলিত অধ্যুষিত গ্রামে মেয়ের বিয়েতে ঢোল না বাজিয়ে ব্যান্ড বাজানোর অপরাধে গ্রামের একমাত্র কুয়োর জলে কেরসিন ঢেলে দিয়েছে গ্রামের উচ্চবর্ণের মাতব্বররা। আইসিস সন্ত্রাসীদের মতো এক কোপে গলা না কেটে সঙ্ঘু সন্ত্রাসীরা এই ভাবে সহনশীল পদ্ধতিতে গলা শুকিয়ে তিলে তিলে পরলোকে প্রেরণের আয়োজন করছে। ঠিক সেই দিন যেদিন দক্ষিণ এশিয়ার নামে ভারত সরকার একটি কৃত্রিম উপগ্রহ আকাশে তুলবে বলে ঘোষণা হল। মন্দ না! এই ভাবেই হিন্দু রাজ চায় ১৬ শতাংশের জন্য আধুনিক সুখী রাজ্য গড়ে তুলতে, আর ৮৪ শতাংশকে নিয়ে যেতে চায় ২৭ ... ...
সরকারের প্রত্যক্ষ সাহায্য ও আনুকুল্য নিয়ে ডিজিটাল ক্লাসের উপাদান সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করার দরকার আছে বোর্ড ও কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। এমন একটি ওয়েবসাইট যা ব্যবহার করতে খুব শক্তিশালী ইন্টারনেট কানেকশান লাগবে না বা ব্রাউজিং এর জন্য খুব বেশি ডেটা খরচ হবে না। এই ওয়েবসাইটটিতে প্রতিটি ক্লাসের বিষয়ভিত্তিক ও টপিক ভিত্তিক অডিও ভিসুয়াল আলোচনা থাকতে হবে। এ তাবৎ প্রস্তুত করা মাস্টারমশাইদের টিচিং এইডগুলি থেকে বেছে নিয়ে, আরো নতুন অনেক কিছু যুক্ত করে এই কাজটি শুরু করে দেওয়া দরকার। বাইজুস বা আন একাডেমির মতো বেসরকারী সংস্থা বেশ কিছু টিচিং এইড তৈরি করেছেন, যা বেশ আকর্ষণীয়। সেগুলি সবই হয় ইংরাজী বা হিন্দি ভাষায়। সরকারী স্কুলের লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের জন্য দরকার সহজ আকর্ষণীয় বাংলা ভাষার অডিও ভিসুয়াল টিচিং এইড। সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান হিসেবে এই কাজে সমস্ত শিক্ষক সমাজ ও প্রযুক্তি বিশারদদের নিয়ে নামলে পনেরো দিনের মধ্যেই অন্তত ৮০ শতাংশ কাজ করে ফেলা সম্ভব। ভিডিওগুলির মান উন্নয়নের জন্য এডিটিং সহ টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের একটি বাহিনীকে এই কাজে সমন্বিত করতে হবে। ... ...
দাগ কাটতে গেলে ঝকমক করার দরকার নেই। একথা বিশ্বাস করি বলে আমরা ওসবের কারবারে নেই। ফলে জগৎ জোড়া জালে যখন গিজগিজ করছে জাল-সিরিজ, তখন আমরা, আমরা, গুরুচণ্ডা৯ সদলবলে ও সগর্বে হাঁটছি উল্টো-পাল্টা দিকে। উল্টো দিকে নয়, উল্টোপাল্টা দিকে। দৃশ্যশ্রাব্য আমাদের ভালই লাগে। ঝিম মেরে সিনেমা টিনেমা দেখি, পারলে দু-একটা বানিয়েও ফেলি। কিন্তু আমরা ঋত্বিক ঘটকও নই, যে, পুরোনো জিনিসকে লাথি মেরে "উন্নততর" মাধ্যমে চলে যাবার তাড়া আছে। আমরা উন্নততর বা ওটিটি প্লাটফর্ম কিসুই নই, নিজেদের তালে চলি। আমরা তাই সিরিজ বা সিরিয়াল নয়, নিয়ে এসেছি চিত্ররূপ ও অক্ষরে বাঙ্ময় কিছু ধারাবাহিককে। স্রেফ অক্ষরে। প্রকাশিত হচ্ছে প্রতি শনিবার। আমাদের ওয়েবসাইটে। ... ...