সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের সমস্যা অন্য রকম। মাত্র চল্লিশ বছরের পুরনো এই ব্যাঙ্কে আপনার আমার মতন সাধারণ নাগরিক খুব সামান্য টাকা রেখেছিলেন, মোট অঙ্কের দশ শতাংশও নয়। সেখানে যারা বৃহৎ অঙ্কের ডলার জমা রেখেছেন তাঁরা ব্যাংকিং জগতে হালে আবির্ভূত এক প্রজন্ম – এঁরা উদ্যোগী মূলধনের সরবরাহকারি – ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট। টাকার প্রকাণ্ড পোঁটলা নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন, আপনার আমার পাড়ায় নয়, সেই সিলিকন ভ্যালিতে যেখানে টেক জগতের অনেক উজ্জ্বল তারকা কিছু না কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন – তাঁদের মাথায় বুদ্ধি আছে, একটা দুর্দান্ত কিছু বানানোর পুরো ব্লু প্রিন্ট আছে। নেই শুধু অর্থ। তাঁদের মধ্যে কেউ না কেউ একদিন বিল গেটস হয়ে উঠবেন – এই উদ্যোগী মূলধনের মালিক আজকে তাঁদের শেয়ার সস্তায় কিনে নিয়ে অগ্রিম অর্থ সাপ্লাই করছেন। আশা রাখেন এই টেক তারকারা একদিন এমন কেরামতি দেখাবেন যে সে শেয়ারের দাম লক্ষ ডলার হবে। অবশ্যই দশ জন উদ্ভাবকের মধ্যে দু চার জন এলিজাবেথ হোমসের মতন টোটাল ফ্রড হবেন (উনিশ বছরে স্ট্যানফোরডের ড্রপ আউট এই বালিকা নয় বিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানি বানিয়ে ফেলেছিলেন - এক ফোঁটা রক্ত থেকে ১৮০ রকমের টেস্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে - এখন হাওয়ালাতে আছেন) তাতে কি? জুয়ার সব দান সমান হয় না, তাহলে তো সব খিলাড়ি রকিফেলার হয়ে যেত ... ...
এবারের সংগ্রাম মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম! আমাদের হাতিয়ার ‘সুদের হার’ আর ‘টাকার সরবরাহ’। রিভার্স গিয়ার। সুদের হার বাড়াও, নোট কম ছাপো। টাকার ভাও বেশি হলে জিনিসপত্রের চাহিদা কমবে। লোকে খরচা করবে হিসেব করবে। সুইগি থেকে খাবার না আনিয়ে গৃহবধূরা স্বহস্তে রন্ধন করবেন, নেটফ্লিক্সের চাঁদা বন্ধ করবেন। ব্যাঙ্কের খাতায় জমার পরিমাণ বাড়বে অবসর প্রাপ্ত মানুষ যারা ব্যাঙ্কে জমা টাকার সুদ থেকে জীবনযাত্রা নির্বাহ করেন, তাঁরা দু হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন। মুদ্রাস্ফীতি কমলে গ্যাঁটের টাকার মূল্য বাড়ে। ... ...
ডিএ নিয়ে আন্দোলন কতটা নৈতিক আর কতটা রাজনৈতিক? সরকারের অগ্রাধিকার কি সত্যিই গরীব মানুষ? টাকার সংস্থান কোথা থেকে হবে? এই নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত এই লেখায় । ... ...
মেয়েদের দায়িত্ব মা হিসেবে, বোন হিসেবে এবং স্ত্রী হিসেবে পুরুষদের শারীরিক এবং মানসিক যত্নআত্তির দায়িত্ব নেওয়া। সমাজনির্দিষ্ট এই পুরুষতান্ত্রিক সুভাষিতাবলীকে চ্যালেঞ্জ করে আত্নপরিচয় খোঁজা নারী আন্দোলনের অন্যতম দায়িত্ব ছিলো, আজও আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সমাজে যত্ন, পরিচর্যা এবং পরিষেবার প্রয়োজন ফুরিয়েছে বা ফুরাবে। তাই এই ধারণাগুলিকে পরিত্যাগ করার বদলে তাকে সমাজে সর্বব্যাপ্ত করার কথাও উঠে এসেছে নারী আন্দোলনের ভেতর থেকেই। শুধু তাকে পুঁজিবাদী ও পিতৃতান্ত্রিক নিগড় থেকে মুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। ... ...
দু দশক বাদে বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্টের এক নতুন প্রয়োগের সঙ্গে পরিচিত হলাম । ব্যাঙ্কিং বাজারে স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের কেনা বেচা চলে, যার নাম সেকেন্ডারি ট্রেডিং । যেমন ধরুন সিটি ব্যাঙ্ক জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কোম্পানিকে দু বছরের কড়ারে ধার দিয়েছে এবার সিটি তার স্বত্ব বিক্রি করে দিলো রাবো ব্যাঙ্ককে । দু বছর পার হলে রাবো ব্যাঙ্ক কভেন্ট্রিতে জাগুয়ারের দরোজায় সেই টাকা আদায়ের জন্য কড়া নাড়তে পারে অথবা ইতিমধ্যেই অন্য কাউকে বেচে দিয়ে থাকতে পারে । ঋণ শোধের দিন যার হাতে মালিকানা তাঁকে আমরা বলি হোল্ডার ইন ডিউ কোর্স যিনি সেদিন সেই টাকা পেলেন অথবা হাতে হ্যারিকেন ধরলেন ! এ ধরণের ট্রেডিং তুলকালাম হারে দেখা যায় স্বল্প মেয়াদি আমদানি রপ্তানির ব্যবসায় যাকে আমরা ট্রেড ফাইনান্স বলি। বি পি ( ব্রিটিশ পেট্রলিয়াম - ব্লাড প্রেশার নয় ) ছ মাসের কড়ারে জাহাজ ভর্তি তেল বেচল কেনিয়ার কোবিলকে। কোবিল একটি হুন্ডি লিখে জানাল ১৮০ দিন বাদে তারা দশ মিলিয়ন ডলার নিউ ইয়র্কে জমা করবে বি পির খাতায় । কেনিয়ান কোম্পানির ওপরে ভরসা নেই তাই বি পি সিটিব্যাঙ্কের গ্যারান্টি চাইল- অর্থাৎ কেনিয়া দাম না চুকোলে সিটি সে ডলার দেবে । আগামী কল্য সিটি এই হুন্ডি মেলন ব্যাঙ্ককে বেচে দিতে পারে – ছ মাসের ভেতরে এই কাগজটি মালিকানা বহুবার বদলে যায় এবং এইখানে শুরু হয় ট্রেডিঙের বেড অ্যান্ড ব্রেকফাস্টের খেলা। ... ...
এখন ধরো শেয়ারের দাম বেড়ে যাচ্ছে দেখে আমার পুত্র ব্যাঙ্ককে বলতে পারে তুমি আর কোন সুরক্ষা নয়, আমার কোম্পানির শেয়ার জমা রাখো । কোন কারণে যদি সুদ আসল শোধ না করতে পারি, আমার শেয়ার বেচে দিয়ে টাকা উদ্ধার করে নিও , এই যেমন মর্টগেজ শোধ না করতে পারলে ব্যাঙ্ক বসতবাড়ি বাজেয়াপ্ত করে টাকা উসুল করে। পেছন থেকে একটি ছেলে বললে বাড়ি ঘরের দাম কমতে বাড়তে পারে, তবু তার কিছু মূল্য থেকে যায়। কিন্তু শেয়ারের দাম শূন্য হয়ে যেতে পারে না কি ? এই যেমন এনরনের ক্ষেত্রে হয়েছে। আমার বাবা পেনশন ফানডে এনরনের শেয়ার জমা রেখেছিলেন, এখন সেগুলো ছেঁড়া কাগজের বাকসোয় ঠাই পেয়েছে। ... ...
পরবর্তী ষোল বছরে ভারতীয় ব্যবসায় নিবেশকারীদের জন্য এক রাজপথ , এক বিশাল অটোবান খুলে গেলো – ভারতীয় শেয়ার বাজারের নিবেশকবৃন্দ টাকার গাড়ি পাঠালেন চিরাচরিত নিউ ইয়র্ক লন্ডন প্যারিস নয়, আপাত অখ্যাত এক শহর পোর্ট লুই থেকে ( জনসংখ্যা সওয়া লক্ষ) । বিদেশি ব্যাঙ্ক সেখানে নেই তাই তাঁরা তাদের ডলার পাঠান স্থানীয় ব্যাঙ্কে , তা দিয়ে কেনা হয় রাশি রাশি ভারা ভারা ভারতীয় শেয়ার । দাম বাড়লে বেচেন , ট্রেডিং করেন , ট্যাক্স দেন মরিশাসে যার হার ব্রিটেন ফ্রান্স জারমানির তুলনায় নস্যি । ভারতীয় কর বিভাগ উদার দৃষ্টি উন্মীলন করে থাকেন । সরকারি ভাবে এর নাম দেওয়া হল বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক নিবেশন (ফরেন ইন্সটিটিউশনাল ইনভেসটরস)। কাগজে কলমে এঁরা বিদেশি নিবেশক কিন্তু খুঁটিয়ে দেখে কে ? পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি না হলে মালিক নৌকর চাকরের ঠিকানা ড্রাইভিং লাইসেন্স বিজলি বা জলের বিল ব্যাঙ্কের কাছে জমা দিয়ে আপন বৈধতা প্রমাণ করার কোন প্রয়োজন নেই । টাকা বা রুপিয়া আসছে নানান দিশা থেকে , যাচ্ছে শুধু ভারতের পানে, যেমন একদা পর্তুগিজ ডাচ ইংরেজ জাহাজ যেতো । ... ...
সদ্য পড়ে শেষ করলাম প্রতিভা সরকারের ‘মানসাই’। ছোটগল্প রচনায় তাঁর মুন্সিয়ানার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। এটি তাঁর প্রথম উপন্যাস। বইটির মুদ্রণ পারিপাট্য চমৎকার। পড়ে মনে হল একটু লিখে রাখা দরকার। খুব ভেবেচিন্তে গুছিয়ে নয়, এটা একটা তাৎক্ষণিক পাঠ প্রতিক্রিয়া। ... ...
বিশ্বজুড়ে সম্পদের একটি সাধারণ প্রবণতা হল, গরীবদের কাছে থেকে সেই ধনীদের কাছে চলে যাওয়া যারা ভোগ করে কম, যার স্বাভাবিক পরিণতি- প্রনোদণার অভাবে চাহিদায় বন্ধ্যাত্ব তৈরী হওয়া এবং ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থনীতির তলা ফুটো হয়ে যাওয়া। প্রখ্যাত ভারতীয় অর্থনীতিবিদ রঘুনাথ রাজন মনে করেন, করোনা মহামারী এ চিত্র কিছুটা হলেও পালটে দিয়েছে, চাহিদা এই মুহুর্তে এতটা পরিপুষ্ট যে, আয় ও সম্পদের সমতা কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে? ব্র্যাকের একটি গবেষনায় উঠে এসেছে, করোনা মহামারির আগে যেখানে ১ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচন হত, সেখানে করোনাকালে ৪ শতাংশ হারে নতুন দরিদ্র সৃষ্টি হয়েছে। স্পষ্টতই অর্থনৈতিক চাহিদার বলবর্ধক ঔষুধগুলো দরিদ্র জনগোষ্ঠির শরীর অবধি পৌঁছুতে পারেনি আমাদের দেশে। ... ...
আপনি খেয়াল করে দেখেন রাস্তাঘাটে এত কুকুর, অথচ কয়টা কুকুর গাড়ির নিচে চাপা পরে মরে? আমাদের বাচ্চাকে আমরা সাবধানে রাখি, রাস্তা পাড় হাওয়া শিখাই। ওদেরকে কে শিখাইছে? ওদের মস্তিষ্ক বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়েছে। আজকে থেকে দুই তিনশ বছর আগের কোন কুকুরকে যদি আজকের রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া যায় চোখের নিমিষে গাড়ির নিচে পরে মরে যাবে। কিন্তু এখনকার কুকুরেরা ঠিক নগর সভ্যতার সাথে অভিযোজিত হয়ে গেছে। এমন অনেক প্রাণী আছে যারা বিবর্তনের মাধ্যমে প্রকৃতিতে টিকে আছে। আর এগুলাই বিবর্তনের পক্ষের যুক্তি। ক্ষুদ্র জীবাণুতে এর উপস্থিতি আরও পরিষ্কার বুঝতে পারা যায়। এই যে অ্যান্টি বায়োটিক খান আর কয়দিন পরেই বলেন যে কাজ করে না, অন্য আরেকটা দেন, পাওয়ার বাড়ায় দেন, কেন বলেন? ওই ব্যাকটেরিয়া সমানে বিবর্তনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে চলছে। অ্যান্টি বায়োটিক যেটা ওকে মেরে ফেলছে ওইটার প্রতিরোধ নিয়ে পরেরটা আসছে, বিবর্তনের মাধ্যমেই এই কাজ হচ্ছে। মশার কয়েলে কাজ করে না বলে চিল্লাফাল্লা করেন, কাজ করে না কেন? মশাও বিবর্তিত হচ্ছে, আপডেট কয়েল না ফলে মশা তাড়াতে পারবেন না। ... ...
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলে কে দায়ী? এইটা আসলেই রয়ের মাস্টার প্ল্যান ছিল? পাকিস্তান সদলবলে ঢুকে পড়েছিল রয়ের চালে? রয়ের নীল নকশা হলে মকবুল বাটের সমর্থনের যুক্তি কী? তিনি খুবই সুপরিচিত নেতা ছিলেন। ১৯৭৬ সালে কাশ্মীরে ঢোকার সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। আট বছর ধরে বিচার চলে, তিহার জেলে ফাঁসি হয় মকবুল বাটের। কাশ্মীরিদের কাছে মকবুল বাট এখনও শ্রদ্ধেয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত নাম। কাজেই এই দিক দিয়েও আসলে প্রমাণ করার উপায় নাই যে এইটা রয়ের পরিকল্পনা। পরবর্তীতে কেউ কেউ বলেন যে হাসিম কুরেশি মূলত ডাবল এজেন্ট, তিনি মকবুলের সাথে বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে ভারতে প্রবেশ করে এবং ধরা খান। তিনি তখন দল বদল করে ভরতের পক্ষে কাজ করে। এবং রয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী গঙ্গার মত পুরান একটা বিমান নিয়ে লাহোর নামে। এখানে প্রশ্ন থাকে যে তখন হাসিম কুরেশির বয়স কত? ১৬/১৭ বছরের একটা বাচ্চা ছেলের উপরে রয়ের মত গোয়েন্দা সংস্থা নির্ভর করবে? বিশ্বাসযোগ্য না। আবার রয়ের বেশ কিছু সাবেক কর্মকর্তা পরবর্তীতে দাবী করেছেন পুরোটাই তাদের পরিকল্পনায় হয়েছে, পাকিস্তানকে ঘোল খাইয়েছে বলে দাবী করে! পাকিস্তান তাদেরকে রয়ের সদস্য বলে বিচার করলেও একজনকে শাস্তি দিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেয় কেন জানা যায় না, একজনকেও কয়দিন পরে কেন ছেড়ে দিল কেন তারও কোন উত্তর নাই। দেশদ্রোহীদের এত সহজে কেউ মুক্তি দেয়? তাহলে সত্য কী? কোন দাবীই আসলে নিরঙ্কুশ ভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। ... ...
বলতে গেলে যা বলতে হয় তা বলা যায় ... ...
বলা হয়, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্যাস্ত যেত না। সারা দুনিয়ায় ছিল এই সাম্রাজ্যবাদের নাগপাশ, উলম্ব জিহবা। কিন্তু শেখ-শাসিত দেশগুলো হাতে পায়ে ধরে ডেকে এনেছিল এই জিহবাকে, কোন ছল-বল-কৌশল করতে হয় সাপকে জিহবা বিস্তারে। কিন্তু কেন এই আহবান? কোন ভিক্ষার তরে অবনত মস্তক আর করজোর প্রার্থনা ভারতে অবস্থিত ব্রিটিশরাজের দরবারে? ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তিন প্রকারের সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। প্রথমটি ছিল কুটনৈতিক, যেখানে পরষ্পর যুধ্যমান উপসাগরীয় শাসকদের মধ্যকার শান্তি আলোচনায় সালিসি করতে ব্রিটিশ প্রভুকে প্রয়োজন পড়েছিল। শুধু তাই নয়, আলোচনা থেকে কোন সন্ধি বা যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছুতে পারলে, তাতে জামানতকারী হওয়ার জন্য নিকটস্থ ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধিকেই সব থেকে উপযুক্ত মনে হত তাদের। দ্বিতীয় সাহায্যটি ছিল নৌ সম্বন্ধীয় যেখানে সামুদ্রিক চুক্তির শর্তগুলো মানতে বাধ্য করার জন্য ব্রিটিশ দন্ড কামনা করা হত। এছাড়া শেখসাম্রাজ্য ও তাদের অধীনস্ত প্রজাদের নৌ-শত্রুর আক্রমন থেকে প্রতিরক্ষার তরেও ব্রিটিশ হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করা হত। আর সর্বশেষ ও ৩য় প্রার্থিত সাহায্যটি ছিল সামরিক, অর্থাৎ, তাদের অধীনস্ত এলাকাগুলোকে স্থলপথে বহিঃশত্রুর আক্রমন থেকে রক্ষা করা। তবে এসব ছাড়াও আরো কিছু ভূমিকায় ব্রিটিশকুশীলবরা অবতীর্ণ হয়েছিলেন এবং বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির গতিপথ চিরদিনের জন্য নির্ধারন করে দিয়েছিলেন, এঁকে দিয়েছিলেন অর্থনৈতিক ভুগোলের এক স্থায়ী মানচিত্র অনাগত কালের জন্য। ... ...
আমেরিকান অর্থনীতির বিশাল মন্দার সময়ে তাঁকে হ্যাঙ্ক পলসন যা আদেশ করেছিলেন সেটাই বেরনানকে পালন করেন , তল্পি বাহক বা করণিকের মতন । বেরনানকে ব্যাঙ্কিং জগতে কোন গোলযোগের হদিশ পান নি। ২০০৫ সালের আগস্টে রঘুরাম রাজন সতর্কবাণী দিয়েছিলেন , কানে যায় নি । ২০০৭ সালের আগস্টে ফ্রান্সে ব্রিটেনে স্বল্প মেয়াদি আমানত প্রায় বন্ধ হলো। এর সঙ্গে ওয়াল স্ট্রিটের জুয়ো খেলার কোন সম্পর্ক তিনি দেখতে পান নি । অনেক খুঁজেও ব্যাঙ্কিং সুপারভিশন, অডিট , ইনসপেকশন নিয়ে বেরনানকের কোন মন্তব্য আমার চোখে পড়ে নি বরং হ্যাঙ্ক পলসন করেছেন। ... ...
খারাপও ভালো হয় ... ...