মাথায় উলের টুপি গায়ে মোটা জ্যাকেট পরে দোকানী হয় উদাসমুখে বাইরে দাঁড়িয়ে রোদ্দুর মাখছেন নয়ত পাশের দোকানীর সাথে গল্প জুড়েছেন। ক্রেতার প্রতি আবাহনও নেই বিসর্জনও না। ক্রেতা নিতান্তই কিনতে আগ্রহী হলে স্মিতমুখে ভিতরে ঢুকে বিকিকিনিতে ব্যস্ত হন। দেখে ভারী আরাম লাগে, কারো বিশেষ তাড়া বা উত্তেজনা কিছু নেই। ... ...
নমসেওয়াল হোমস্টে একটা বড়সড় তিনতলা বাড়ি আমার আগামী দুই সপ্তাহের বাসস্থান। লক ডাউন শুরু থেকে সেই যে ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু হয়েছে, ১৬ই মার্চ ২০২০ শেষ অফিসে গিয়েছিলাম কাজ করতে। এর মধ্যে অক্টোবর-২০২০ থেকে দেখছি পাহাড়প্রেমী লোকজন ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন করতে শুরু করেছে। সেই থেকে ইচ্ছে টিমস কলে জয়েন করব সামনে চোখ মেলে হিমালয় দেখতে দেখতে। সাপ্তাহিক টিম মিটিঙে ক্লায়েন্ট ম্যানেজারকে বলব এসো আমার ভিডিও অন করে তোমায় হিমালয় দেখাই। তো নানাকারণে হয়ে উঠছিল না। সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রতিভা তামাঙের সাথে আলাপ। ওঁদের কালিম্পঙের ফেসিলিটিতে নাকি গত জানুয়ারি থেকে ছেলেপুলেরা ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন করছে। নেটওয়ার্ক নিয়ে কোন ইস্যু নেই। মূল্যও যা বললেন তা খুবই সন্তোষজনক। প্রথমে ভেবেছিলাম ডিসেম্বরের শুরু থেকেই চলে আসব। তারপর নামদাফা ট্রিপ চলে এলো মাঝে, অতএব সেসব ঘুরে টুরে এলাম সোওজা কালিম্পঙ। কাল সক্কাল সক্কাল কাঞ্চনদাদু যদি দেখা দেয় তো তাঁকে চোখে নিয়ে অফিস জয়েন করে ফেলব। মুহাহাহা #WorkfromMountain #BucketListAchievement ... ...
সামনে দিগন্তজোড়া ক্যানভাসে চলছে রঙে রেখায় ছবি আঁকা। কমলা থেকে লাল হয়ে মেরুণ হয়ে সূর্য টুপ্পুস করে নেমে যায়, ডুব দেয় দিবাঙে। বিশাল উপত্যকা ছড়িয়ে থাকে রূপোলি থেকে নীল হয়ে পার্পল হয়ে যাওয়া দিবাঙের ধারাগুলো বুকে নিয়ে, কমলালেবু গাছেরাও সেজে ওঠে লাল কমলার নানা শেডে, সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে আরো পঁয়তাল্লিশ মিনিট কি একঘন্টা পশ্চিম আকাশ ধরে রাখে রঙের ছোপ। ওখান থেকে নেমে ভেতরের প্রাঙ্গনে এসে দাঁড়াই, খাবারঘরের জানলা দরজা দিয়ে লালে লাল আকাশ আর মাথার উপরে পেট্রোল ব্লু আকাশ ধীরে ধীরে মুছে নেয় মনের উপর লেপ্টে থাকা কালো অন্ধকার। ‘কলুষ কল্মষ বিরোধ বিদ্বেষ হউক নির্মল,হউক নিঃশেষ-‘ সুচিত্রা মিত্রর জোরালো বলিষ্ঠ গলার সাথে মিশে যেতে থাকে আমার গলা। ... ...
নামদাফায় যদিও বিগ ক্যাট প্রজাতির চার রকম প্রাণীর (টাইগার, লেপার্ড, স্নো লেপার্ড, ক্লাউডেড লেপার্ড) সন্ধান পাওয়া যায় তবে এতটা নীচে লোক চলাচলের পথের এত কাছে তারা আসে না, বলা ভাল তাদের আসার দরকার হয় না (ভাগ্যিস!), জঙ্গল এখনো যথেষ্ট ঘন এবং জঙ্গলের অনেকটাই মানুষের, অন্তত শহুরে মানুষের জন্য প্রায় অগম্য স্থান। কিন্তু চোরাই কাঠ পাচারকারিদের উৎপাতে বেমক্কা বন নিধনের ফলে নামদাফার জীববৈচিত্র্য অনেকটাই ঝুঁকির মুখে। আর কতদিন তথাকথিত উন্নয়নের জাঁতাকল ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নামদাফা বাঁচবে জানি না, এখনো অন্তত অনেকটাই আছে। এমনকি নদীর ওইপারের কোর এরিয়াতে না ঢুকলেও প্রজাপতিই যে কতরকম দেখা যায়, পাখি সেও তো কতরকমই দেখা যায় আর দেখা যায় নানারকম রঙ বেরঙের পোকা। ও হ্যাঁ নামদাফায় কিন্তু প্রচুর অজস্র জোঁক। এখানে পাঁচ রকম বিভিন্ন প্রজাতির জোঁক দেখা যায়। শুকনো আবহাওয়ায় এমনিতে জোঁক কম হলেও ডিসেম্বরেও কিছু জোঁক দিব্বি মানুষের গোড়ালি কিম্বা জুতোমোজা ও জিন্সের ফাঁক গলে পায়ের গোছে ঝুলে পড়েছে। ... ...
দেবান বাংলোটা এমন জায়গায় যেখান থেকে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত কিছুই দেখা যায় না। কিন্তু সূর্যাস্তের দেড়ঘন্টা পরেও নদী পেরিয়ে জঙ্গলের ওই কোণায় যে দক্ষিণ পশ্চিম আকাশ তার দিগন্তরেখা ঘেঁষা আঁচল টকটকে লাল হয়ে থাকে। গোটা আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে, আমলকি গাছের মাথায় হীরের দুলের মত ঝকঝকে সন্ধ্যাতারা, আস্তে আস্তে একটি দুটি করে রাতের ক্লাসে হাজিরা দিচ্ছে অন্য তারারাও, তবুও দিগন্তের আঁচল তখনো লাল থেকে গাঢ় লাল হয়ে মেরুণ হয়ে আসছে আর সেই রঙটুকু ফোটাতেই যেন অল্প একটু তুঁতেনীল লেগে আছে উপরে। ... ...
দার্জিলিং জেলার মিরিকের কাছে চা বাগান ঘেরা একটা ছোট্ট গ্রাম তাবাকোশি। যে চা বাগানের মাঝে আমাদের হোমস্টে তার নাম মাগারজাং টি গার্ডেন। প্রচুর কমলালেবু পাওয়া যায় বলে জায়গাটিকে অরেঞ্জ ভ্যালিও বলে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা। অন্য সব পাহাড়ি গ্রামের মতোই এখানে সুস্থ, কর্মঠ মানুষের বাস। গোটা গ্রামে তাই একটিও ওষুধের দোকান নেই। নেই কোনো মিষ্টির দোকানও। ... ...
গাইড হঠাৎ একটু পিছিয়ে এসে দেবাশীসের জ্যাকেট টেনে ধরে থামতে ইশারা করেন। আমরাও থেমে যাই। আমাদের ওখানেই স্থির হয়ে দাঁড়াতে ইশারা করে পাশের জঙ্গলে চোখ রেখে গাইড পায়ে পায়ে পিছিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। আড়চোখে দেখি নিঃশব্দে দরজা খুলে কী যেন করছেন মুখ কিন্তু সেই জঙ্গলের দিকে। আমি নড়তেই দেবাশীস আমার ব্যাগে হ্যাঁচকা টান মারে। কী যেন দেখায় ইশারায়, আমি কিছুই দেখতে পাই না। ... ...
ঘনাদা থুড়ি বেণুদা তখন বলছেন রিঙ্কুর সাথে তাঁর প্রেমের গল্প। ‘বুzলেন আমি তো মুসলমান আর ও হিন্দু, তা রেজেস্ট্রি করেসি, হিন্দুমতে আর মুসলমান মতেও বিয়ে করেসি। তিনবার বিয়ে করেসি। তা হিন্দু বিয়ায় জিগ্যাস করে গোত্র কী? আমি বলে দিসি হিমু গোত্র। পুরুতেও বিয়া পড়ায় দিসে।‘ ... ...
সে প্ল্যানটা, কি বলব মশাই, এক্কেবারে লালে লাল। লাল পান্ডা, লাল কাঠবেড়ালি, লাল শিয়াল, লাল খ্যাঁকশিয়াল, লাল লাল প্রজাপতি, তিনরকম গন্ধগোকুল, চার রকম উদবেড়াল, উল্লুক, হনুমান, শম্বর, কয়েক রকম হরিণ আর অনেকরকম পাখি দেখা যাবে শুধু নয়, আদিম অ-মানুষ বা না-মানুষ (non human primate)ও দেখা যাবে বলে লেখা। এতকিছু তো আর আমাদের দেখা দেবে বলে তৈরী হয়ে বসে নেই, কিন্তু এর চার ভাগের একভাগ দেখতে পেলেও ভারী খুশি হয়ে যাব নির্ঘাৎ। অতএব চলো গোছগাছ করি। ওদিকে জানুয়ারী মাসে অফিস যদি নিতান্তই খুলে যায় তার আগে অন্তত দুই এক সপ্তাহ ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন করে নেওয়া দরকার, নাকি? ... ...
নামদাফা টাইগার রিজার্ভ - অভয়ারণ্যের নাম এটাই। ব্যপ্তি মিশমি পাহাড়ের দাফা-বাম রেঞ্জ আর পাটকাই রেঞ্জের মাঝের পুব পশ্চিমে বিস্তৃত প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার এলাকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৬৫৬ ফুট (২০০ মিটার) থেকে ধাপে ধাপে বেড়ে প্রায় ১৫০০০ হাজার ফিট (৪৫৭১ মিটার) অবধি উঠেছে। বলা হয় যে এই অঞ্চলের উদ্ভিদসম্পদের পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করতে কমবেশী ৫০ বছর সময় লাগবে, এত বহুল ব্যপ্ত এর উদ্ভিদবৈচিত্র। মিশমি-তিতা বা কপতি-তিতা নামের ভেষজ উদ্ভিদ নামদাফার গহীনেই একমাত্র পাওয়া যায়। স্থানীয় জনজাতির মানুষেরা এই ভেষজ উদ্ভিদ তাঁদের প্রায় সবরকম অসুখ বিসুখেই ব্যবহার করেন। এই উদ্ভিদের রপ্তানী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখানে বলে রাখি ডিব্রুগড়ে নেমে ঈপ্সিতার সাথে কথা বলার সময় ঈপ্সিতা বলেছিল নামদাফায় গিয়ে লোকজনকে জিগ্যেস করতে যে জ্বর টর হয় কিনা। তা,আমি জিগ্যেসও করেছিলাম, শুনলাম না না জ্বর হয় না তো। হলে ঐ লতা পাতা বেটে খেলেই কমে যায়। কী পাতা? শুনলাম জংলী পাতা এই জঙ্গলেই পাওয়া যায়। পাতা মানে তাহলে হয়ত মিশমি-তিতার কথাই বলছিলেন ওঁরা। ‘নামদাফা’ শব্দটা দুটো সিংফো শব্দের মিশ্রণে তৈরী। নাম হল জল আর দাফা মানে উৎস। দুইয়ে মিলে দাফা-বাম হিমবাহে উৎপন্ন নদীকে বোঝানো হয়। নদীর নামটাও ভারী মিষ্টি – নোয়া ডিহিং’ ... ...
পৃথিবীর আরো নানাবিধ জিনিসের মত বাটিকের উৎপত্তি নিয়েও টানাবাহানা আছে – বিশেষ করে যখন আজকে যাকে বাটিক বলি তেমন ডিজাইনের কাপড় দেখা গেছে ভারত, চীন, মিশর থেকে শুরু করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নানা জায়গায়। এই সব জিনিস নিয়ে বিতর্ক শেষ হয় না – কথায় বলে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু! তবে মোটামুটি আজকাল যা স্বীকৃত তা হলে বাটিক পদ্ধতির উৎপত্তি হয়েছিল আজকের দিনের ইন্দোনেশীয়া দেশের জাভা দ্বীপে। বাটিক শব্দটির উৎপত্তি জাভা থাকে, মূল শব্দ ছিল ‘আমবাথিক’। জাভানীজ ভাষায় ‘আমবা’ মানে হচ্ছে চওড়া বা বৃহৎ এবং ‘থিক’ শব্দের অর্থ ‘বিন্দু’। এই ভাষাতেই বাথিকান শব্দের অর্থ আঁকা বা লেখা। কালের ক্রমে ইন্দোনেশীয়ার মূল স্রোতে যখন বাথিকা মিশে গেল তখন ‘থিক’ শব্দবন্ধ উচ্চারিত হতে লাগল ‘টি’ দিয়ে এবং সেই থেকেই আজকের বাটিক শব্দটি। ... ...
সময়টা ১৯৪০ সালের আশেপাশে – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তখন জাপানের অবস্থা ভালো নয়, নানা দিকে পিছু হটছে জাপানী ইম্পিরিয়াল বাহিনী। সাধারণ লোকেরাও বুঝতে পারছে যে এই যুদ্ধে জাপানের পরাজয় প্রায় আসন্ন। কিন্তু তখনও সম্রাট এবং তার বাহিনী শেষ কামড় দিতে লড়ে যাচ্ছে। নিত্য নতুন সৈন্য নিয়োগ হচ্ছে – প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে যুবক সম্প্রাদয় নিযুক্ত হচ্ছে যুদ্ধে যাবার জন্য। পরিবার জানাচ্ছে সেই সব তরতাজা যুবকদের বিদায় – মুখে বলছে সবাই, কারো বাবা-মা, কারো প্রিয়তমা, কারো ভাই, কারো স্ত্রী – “শপথ করো আবার দেখা হবে” – কিন্তু প্রায় সকলেরই চোখের কোণের জল টের পাচ্ছে যে এই শপথ রক্ষার প্রায় কোন উপায়ই নেই! সেদিনের দেখাই শেষ দেখা! ঠিক এমন ভাবেই বিদায় জানাচ্ছিলেন মাসাকি তাকাওকা তাঁর ছাত্রদের। মাসুকি তখন ইহিমে পার্বত্য এলাকার এক ছোট্ট গ্রামের কৃষি বিদ্যালয়ে পড়াতেন। সেই বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ছিল এক বিরাট চেরী গাছ। মাসাকি জানতেন আসল সত্যি – কিন্তু তবুও প্রত্যেক ছাত্রের হাতে হাত রেখে অঙ্গীকার করছিলেন যে আবার দেখা হবে স্কুল প্রাঙ্গণে ফুল ফুটে ভরে ওঠা চেরী গাছের তলায়। যুদ্ধের পর যেন তারা সবাই আবার স্কুল প্রাঙ্গণের চেরী গাছের তলায় ফিরে আসে। ... ...
সারাদিন পাহাড়পথ ভেঙে আপনি ক্লান্ত। আরাম করে বসুন এই ছোট্ট ক্যাফেটায়, আমার উল্টো দিকের চেয়ারে। টেবিলে দু'টো বিয়ারের বোতল। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে হিমালয়ান্ ব্লুজ। ... ...
সারাদিন পাহাড়পথ ভেঙে আপনি ক্লান্ত। আরাম করে বসুন এই ছোট্ট ক্যাফেটায়, আমার উল্টো দিকের চেয়ারে। টেবিলে দু'টো বিয়ারের বোতল। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে হিমালয়ান্ ব্লুজ। ... ...
দুটো জিনিষ আবিষ্কার করলাম - ঠান্ডা বেশ ভালই আছে, আর নেট নেই। গেস্ট হাউসের একটা ওয়াই ফাই আছে বটে, কিন্তু সেটাও না থাকারই মত - মাঝে মধ্যে কোন কোন স্পটে দাঁড়িয়ে হয়তো একটু কানেক্ট হল - এরকম ব্যাপার। অগত্যা শুধু পাহাড় আর আমরা। স্নান টান সেরে ডাইনিং হলে লাঞ্চ সেরে একটু বিশ্রাম। তারপর বেরোলাম হাঁটতে। ক্যাশ টাকা সব শেষ, তাকদায় এটিএম পাব, তাই ঠিক হল, এখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে তাকদা যাব, তারপর যদি দেখি পারছি, তাহলে হাঁটতে হাঁটতেই ফিরব, আর না পারলে কোন গাড়ি ধরে ... ...
আমাকে যদি কেউ চট করে জিজ্ঞেস কর, ভাই বেড়াতে বেড়িয়ে তোমার অনুভূত এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে ওভার-হাইপড জিনিস কি? খুব বেশী না ভেবে যে জিনিসটির কথা আমার মনে সর্বপ্রথম চলে আসবে তা হল – ভেনিসে গন্ডোলা চেপে ঘোরা!বেশ কিছু ইতালি বা মলটা দেশের বন্ধু বান্ধব থাকার জন্য গন্ডোলা নিয়ে আজকের দিনের ওভার-হাইপড ব্যাপারটা আগেই শুনেছিলাম। কিন্তু যা হয় আর কি – জেনেশুনেই বিষ পান করতে হয় আমাদের সবাইকেই মাঝে মাঝে। বিশেষ করে যেখানে এই গন্ডোলার সাথে কিভাবে যেন রোমান্টিকতা জুড়ে যায় – তার পর আর কিভাবে এ জিনিস চাপা থেকে নিজেকে এড়াতে পারেন যদি কেবল আপনারা দুটি-তে ঘুরতে যান! গন্ডোলা যার রোমান্টিক চাপে পড়ে চেপেছিলেন, নৌকাবিহার শেষে সে আপনাকে জিজ্ঞেস করবে – “কি দারুণ, না?” আপনি বুদ্ধিমান হলে শুধু “হুঁ” বলে চুপ করে যাবেন - ... ...