১। বিশ্বের মোট কাজের ঘণ্টার ৬৬% করেন মেয়েরা, ৫০% খাদ্য উৎপাদন করেন মেয়েরা, কিন্তু ব্যক্তিগত আয়ের ১০% মেয়েদের, মোট সম্পত্তির ১%-এরও কমের ওপর মেয়েদের অধিকার। বছরের পর বছর ধরে এই "তথ্য"টি আমরা শুনে আসছি। ২০১৪ সালে অক্সফ্যাম নারীদিবসের প্রাক্কালে এই মর্মে একটি টুইট করে। গেটস ফাউন্ডেশন একই জিনিস করে তার কদিন পরে। ২০১৩ তে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রাম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে। ইউনিসেফের সাইটে বিষয়টি আসে আরও ২ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১১তে। এর কোনোটিতেই কোনো সমীক্ষার সূত্র নেই। গেটস কোট করেছে ... ...
ছোটবেলা থেকেই ইতিহাসে আমার হেবি ভয় ছিল, চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর নাম শুনে ভাবতাম সিওর হয় ওর চুল ধরে কেউ টানত, নয় ও কারুর চুল ধরে টানত, তাই ঐরকম নাম। তার ওপরে বুদ্ধদেবের বংশপরিচয় আর সুকুমার রায় মাথায় মিলেমিশে এরকম একটা ছড়া হয়ে গেছিল -শাক্যরাজা শুদ্ধোদনসাতসকালে দিতেন ডন,শ্যাম লাহিড়ী বনগ্রামেরকী যেন হয় গঙ্গারামের…ইত্যাদি।এর ওপরে আবার যখন জানলাম আমাদের ছবি বিশ্বাসের পূর্বপুরুষ ছিল গৌড়রাজ শশাঙ্ক, তখন পুরোই ঘেঁটে গেলাম। মানে 'সুদখোরের টাকায় আমার একমাত্র ... ...
কথায় আছে Everything is fair in love and war. কথাখানি যার জীবনপ্রবাহের সঙ্গে পুরদস্তুর খাটে সে এজিদ। খ্রীষ্টীয় সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বছর তিনেক ( ৬৮০ - ৬৮৩ খ্রী:) মুসলিম উম্মার স্বঘোষিত খলিফা এজিদ ইবনে মাবিয়া। দামেস্কাধিপতি পিতা মাবিয়া ছিলেন নবী করিম (সাঃ) এর একনিষ্ঠ ভক্ত। আদর করে পুত্রের নাম রেখেছিলেন এজিদ। পুত্রের প্রতি অপত্য স্নেহে কখন যেন কালের ফেরে ভুলেই গেছিলেন নবী করিমের ভবিষ্যদ্বাণী - "তোমার পুত্রই হবে আমার কলিজার টুকরো, আমার নয়নের পুত্তলি আমার নাতিদ্বয় ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেনের ঘাতক"। ... ...
হ্যাঁ আমি নারীদিবস পালনে বিশ্বাস করি। আরো নানারকম দিবসের পালনেও বিশ্বাস করি তবে সে কথায় পরে আসছি। আগে একটা গল্প বলি, একটা মেয়ের গল্প। জন্মসূত্রে মেয়েটি ভারতীয় নারী সমাজের সেই ‘ক্রিমি লেয়ার’ এর সদস্য যারা জন্ম ইস্তক পরিবারের সম্পদ হিসেবেই গণ্য হয়েছে, বোঝা নয়। যাদের ১৮, ২০, ২২ এমনকি ২৫ বছরেও শুধুমাত্র ‘বিয়ের জন্য’ অপেক্ষায় থাকতে হয় নি, যারা যদ্দুর সম্ভব যেমন ইচ্ছে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে, আর্থিক ও পারমার্থিক (আহ্ সব কথা ধরতে হয় নাকি !) দিক থেকে স্বয়ম্ভর হবার সুযোগ পেয়েছে, এ হল সেই দলের মেয়ে। ... ...
২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসের এক মঙ্গলবারের সকাল। কিংস ক্রস স্টেশন থেকে বের হয়ে এসে বরফে মোড়া লন্ডনের রাস্তাতে পা ফেললেন এক যুবক। শীতের চাদরে মোড়া কুয়াশার প্রলেপ কেটে শহরের ঘুম হয়ত ভেঙেছে। কিন্তু কর্মচঞ্চল হতে তখনও দেরী আছে। ঘড়ির কাঁটায় সবে আটটা বাজে। মাথার টুপিটি প্রায় চোখ অবধি নামিয়ে ঠাণ্ডা হাওয়ার হাত থেকে নিজের চোখ আর নাককে রক্ষা করার চেষ্টা করলেন তিনি। পরনের ওভারকোটের কলারটি মুখের প্রায় অর্ধেক ঢেকে রেখেছে। হাত দুখানি পকেটে ঢোকানো। যুবকটির চেহারা লম্বা ছিপছিপে। উন্নত নাসা, শ্বেত ত্বক তাঁর ইউরোপীয় ... ...
*এ কেমন রঙ্গযাদু?*ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলের আন্ডারগাউন্ডে গিজগিজে মানুষ। ইন্ডিয়ার ভিসা প্রার্থীদের দীর্ঘতর লাইন। হাতে হাতে সবুজ পাসপোর্ট। লাইনে নানা বয়সী পুরুষেরাই শুধু। মেয়েরা এখানে সংখ্যালঘু, তাদের লাইন নাই। মেডিকেল ভিসা প্রার্থীদের আবার আলাদা খাতির। মোডে মোডে ওয়াকিটকি হাতে নিরাপত্তা রক্ষী। ব্যাগ ভেতরে যাবে না, ব্যাগ জমা দিয়ে টোকেন নিন – নির্দেশ তাদের। বিশাল হল রুমে গোটা চল্লিশেক ডেস্ক। ওপাশে পেশাদার তরুণ-তরুণী। ভিসার ধরণ বুঝে টোকেন নিয়ে পাসপোর্ট জমা। স্লিপ হাতে নিতে না নিত ... ...
সাহিত্যের পাঠক কম বেশি সকলেই। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ কেউ জহুরী। তাঁরাও পড়েন সাহিত্য, কিন্তু কেবল গল্পের টান বা ছন্দের তানের আকর্ষণে নয়। তাদের নজর চলে যায় সৃজনের অন্দরমহলের দিকে। পুঁথির পাতায়, অক্ষর বিন্যাসে। প্রাচীন বা মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রামাণিকতা নিয়ে আলাপ আলোচনায় এগুলি অত্যন্ত জরুরী হয়ে ওঠে সে আমরা জানি। আর এও জানি সাহিত্যের জহুরীদের এইসব পণ্ডিতি আলোচনা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম পেরিয়ে খুব কমই সাধারণ পাঠকের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ে। কিন্তু কখনো কখনো একটা ব্যতিক্রম তৈরি হয়ে যায়। প্রীতম বসুর মতো ... ...
অনেকেই বুঝতে পারছেননা, ভবিষ্যতের ভূত বাতিল হয়েছে স্রেফ শিল্পগত কারণে। বাংলায় এখন শিল্পী একজনই, ভুল করলে তিনি কান মলে দেবেনই। কেউ সেটা না বুঝলে তার একমাত্র কারণ, তিনি মাননীয়ার কবিতা খুঁটিয়ে পড়েনি। পুরোটাই শিক্ষার অভাব। মাননীয়া তাঁর 'নামতা' শীর্ষক কবিতায় বহুকাল আগেই এই শিক্ষার অভাব নিয়ে আমাদের সচেতন করেছিলেনঃ নয়-দশ-এগারো-বারোপড়াশোনা করলে পোয়াবারো।তেরো-চোদ্দো-পনেরো-ষোলোরেজাল্ট শুনেই কান্না পেলো।(নামতা)কবিতাটি খুবই সহজ ভাষায় লেখা। একবার চোখ বোলালেই বোঝা যায়, ... ...
মন্দির টন্দির নিয়ে আমি বিশেষ কিছু জানিনা। সবরীমালা না শবরীমালা, স না শ, তাও জানতামনা, এখনও জানিনা। বাঙালি গড়পড়তা বাঙালি মধ্যবিত্তও আমার চেয়ে বেশি কিছু জানে বলে মনে হয়না। দক্ষিণের একটি মন্দিরে মানুষের মাথায় নারকেল ফাটানো হয় রিচুয়াল হিসেবে, এরকম একটা ভিডিও দেখে হেসেছিলাম মনে আছে। তারপর এই শবরীমালা। সেই মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের ঢোকা বারন, এরকম পড়লাম চারদিকে। তা নিয়ে দিগ্বিদিকে প্রবল হইচই, কোর্টের রায়, মানবীপ্রাচীর। অবশেষে দুজন অ্যাটিভিস্ট ঢুকে পড়লেন মন্দিরে। তারপর আরেকদফা হইচই। চতুর্দিক ... ...
যে লালকেল্লার বিশাল তোরণ দ্বার দিয়ে বাহাদুর শা জাফরকে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে গিয়েছিল লালমুখো বানিয়ারাজ, তারপর খুনী দরওয়াজার সামনে তার দুই ছেলেকে হত্যা করেছিল, সেই লালকেল্লার সামনের প্রশস্ত প্রাঙ্গণ আজ দেখলো দেশের দূর দূর গাঁও থেকে আসা লাল ঝান্ডাওয়ালাদের। তারা শুধু শ্লোগানেই দড় নয়, সুর করে গাইছে স্বৈরতন্ত্রের নিপাতনামা। দেহাতী সেই সুর একজন জোর জোরসে গাইলে অন্য মরদ আর আওরতরা ধুয়া ধরছে সঙ্গে সঙ্গে। গানবাজনার সাথেই চলছে বিশাল মিছিলের প্রস্তুতি। একেবারে আক্ষরিক অর্থে লাল ঝান্ডায় নিজেকে মুড়ে সে মিছিল চলল শহ ... ...
সন্মুখে সম্ভাব্য মৃত্যুসমুদ্র দেখিয়া অর্জুন কম্পিতকন্ঠে কহিলেন, “হে কেশব। আমার হস্ত শিথিল হচ্ছে, আমি গান্ডীব ধরে রাখতে পারছি না। আমার শরীরে কম্পন অনুভব হচ্ছে, সর্বাঙ্গে স্বেদনি:সরণ হচ্ছে। এ যুদ্ধ আমার পক্ষে সম্ভব নয়, মধুসূদন। তুমি আমায় পথ দেখাও।” অর্জুনের বিচলিত অবস্থা দেখিয়া বাসুদেব স্থিরকন্ঠে কহিলেন, “হে সখা, শান্ত হও। তোমার মত স্থিতধী পুরুষের এমন নার্ভাস ব্রেকডাউন সাজে না। যদি তুমি এই যুদ্ধে জয়লাভ কর তবে সসাগরা ধরিত্রীর অধীশ্বর হবে। আর যদি বীরগতি লাভ কর, তবে লোকে তোমার ছবি নিয়ে ভোট ... ...
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধু মাত্র বাংলার জন্য না। যেহেতু এখন আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছে তাই বিশ্বের সকল নাগরিকের যার যার নিজের মাতৃভাষা দিবস আজকে। আমরা রক্তের বিনিময়ে এই দিন পেয়েছে কারন আমাদের কপাল খারাপ ছিল। অদ্ভুত মাথা মোটা এ জাতির সাথে ইতিহাসের মারপ্যাঁচে জরিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। প্রাথমিক অবস্থায় ভাষা আন্দোলন অন্য কোন ভাষার বিরুদ্ধে ছিল না। উর্দু এবং বাংলা দুইটাই রাষ্ট্রীয় ভাষা হোক এমন দাবীই ছিল সকলের। কিন্তু নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহিরের জন্য হোক বা আসলেই বাংলা কে অবমূল্যায়নের জন্য হোক এই সহজ হিসে ... ...
মডার্ন মেডিসিনের ছাত্র হিসেবে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে কিছু ভাবনার কথা লিখেছিলাম অনেকদিন আগে।কথাগুলো প্রাসঙ্গিক বোধ করায় আরেকবার শেয়ার করলাম।প্রথমেই জানাই, আমি মডার্ন মেডিসিন প্র্যাক্টিশনার, ওরফে এলোপ্যাথি চিকিৎসক আর অন্য চিকিৎসাপদ্ধতি বিষয়ে খুব একটা বিশেষ জানি না। আর, সেই না জানার জন্যেই, অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি বিষয়ে আমি খুব একটা কথাবার্তা বলতে চাই না।হোমিওপ্যাথি নিয়ে আমার খুব একটা জ্ঞানগম্যি আছে এমন নয়। আর সেইজন্যেই, এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে নিকটজনের অসুস্থতার তদারক ... ...
বাংলা ভাষায় শহীদ শব্দটি কি খুব গোলমেলে হয়ে উঠেছে ? নেটে দেখলাম মহৎ কারণে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেওয়া ব্যক্তি বোঝাতে শহীদ শব্দটি ঐশ্লামিক না উৎসে ইহুদী, তাই নিয়ে বিস্তর কোন্দল। কারা সত্যিকারের শহীদ সেই তর্কের ফলাফলে রুটিরুজি হারাতে হতে পারে তার সাক্ষী তো আমরা সদ্যই হলাম। স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ছাড়িয়ে শব্দটি নাকি বাংলাদেশে পরিস্থিতির হেরফেরে রাজাকারদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে ! এতো বৈপরীত্য ঘাবড়ে দিল বলে সত্যি শহীদ কে বা কারা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গত পর্শু হাজির ছিলাম "শহীদ-এ-আজম" ভগ ... ...
ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বালেশ্বরে। চাঁদিপুরে গেছিলাম সাতদিনের জন্যে। গিয়ে দেখি প্রেশারের ওষুধ আনিনি। বালেশ্বরে গেলাম ওষুধ কিনতে। বলল, "আনিয়ে দেব, কাল আসুন।" বাজারে চা খেতে গিয়ে আলাপ হল ভদ্রলোকের সঙ্গে। স্বাস্থ্যবান, দেহাতি চেহারা। খেটো ধুতির ওপর মোটা সুতির পাঞ্জাবি, গলায় তুষের উড়ুনি। ভদ্রলোক যে কোন প্রদেশের বোঝা মুশকিল। আমার সঙ্গে পরিষ্কার বাংলায় কথা বললেন, দোকানির সঙ্গে উড়িয়ায়, সঙ্গে দুজন আদিবাসী মজুর ছিল - তাদের সঙ্গে কোন এক উপভাষায়। আমার জঙ্গলপ্রীতির কথা জেনে বললেন, "আসুন না। জঙ্গল দেখে য ... ...
বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানবাজারের অঘটনের পর গতরাতে ভক্তদের সারারাতব্যাপী মিটিং চলছে। মিটিংএ নাকি ব্যাপক গোলযোগ। এর সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। গত সপ্তাহের শেষেও আসন্ন যুদ্ধ নিয়ে ভক্তদের এক গোপন মিটিং হয়। আশ্চর্য হলেও সত্যি, যে, গুজরাত থেকে আসা এক নেতা মিটিংএর শুরুতে মনুস্মৃতির বদলে মোল্লা নাসিরুদ্দিনের সেই বিখ্যাত গল্প পড়ে শোনান, যে গল্পে মোল্লা রাত্রিবেলা তাঁর হারিয়ে যাওয়া পয়সা খুঁজছিলেন । পয়সা হারিয়েছিল নদীর ধারে, কিন্তু খুঁজছিলেন রাস্তার মোড়ে। কেন? জিজ্ঞাসা করলে মোল্লা বলেন, নদীর পাড়ে তো ... ...
কাং ইয়াৎজে বেসক্যাম্প (০৮.০৯.২০১৮)___________________________কলকাতায় সারাবছর চারদেওয়ালের মধ্যে বসে পরিচিত মুখগুলোর সাথে বক্বকম করতে করতে খালি মনে হয়, ধুস্, পুরো হেজে গেলাম। কবে পাহাড়ে যাবো! সারাদিন হাঁটবো! বসে বসে গায়ে-গতরে তো জং ধরে গেলো! আর পাহাড়ে এসে চার-পাঁচ দিন একটানা চড়াই ভাঙ্গার পর-পরই মনে হয়, লাইফে রেস্ট বলে কি কোনও জিনিস নেই রে! কোথায় টেন্টে বসে শান্তিতে দু-দন্ড জিরোবো, স্লিপিং ব্যাগ থেকে আলগোছে মুখ বের করে আশেপাশের পাহাড়-চুড়োগুলোর দিকে পিট পিট করে তাকিয়ে আবার পাশ ফিরে ... ...
নিডলটা ঝেড়ে, খাপে ঢুকিয়ে, বিনে ফেলে, সোফায় এসে বসে শ্রাবণ। ললিত উঠে বসে, শোয়া অবস্থা থেকে। ইনজেকশন নেওয়ার তুলোটা দুবার ঘষে ফেলে দেয় তারপর জামার বোতাম আট্কাতে আট্কাতে জিজ্ঞেস করে ;- কিরে, কোনো সাইড-এফেক্ট নেই তো ?- সেরকম কিছু না। ইরেকশন কম হতে পারে। কফি টেবিলটাকে হাত দিয়ে টেনে ইঞ্চি তিনেক সরায় শ্রাবণ : ম্যাক্সিমাম ফোর্টি-এইট-আওয়ার্স। নাথিং সিরিয়াস। হেসে ফেলে। চোখ পাকায়। শ্রাবণ। হাফুবেলার বন্ধু, আর আজকাল, ললিতের 'যখন দরকার পড়ে' ফিজিশিয়ান। ললিত উঠতে গিয়ে সোফাতে আবার ... ...
ঝকঝকে একটা সকালে ঘুম ভাঙলো থাচুংসে ক্যাম্প-সাইটে। আহা! এরকম আকাশ, এরকম ওয়েদার যদি আরও দু-তিনটে দিন থাকে! আজ আমাদের যাওয়ার কথা ১৬,৫০০ ফুটের কাং-ইয়াৎজে-২ বেসক্যাম্পে। ২,৬০০ ফুটের মতো অল্টিটিউড গেইন হবে। গতকাল হাঙ্কারের ফোনবুথ থেকে আমাদের ক্লাইম্বিং-গাইডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিলো। মানালির ছেলে। কিরণ কাপুর। ওকে বলা হয়েছে আগামীকাল বেসক্যাম্পে পৌঁছে যেতে। চোকদো থেকে নিমালিং হয়ে কিরণ সরা ... ...
রাষ্ট্র একটি কল্পিত ব্যবস্থা। রাষ্ট্র বলে আসলে কিছু হয় না। আমরা ভেবে নিয়েছি এবং বিশ্বাস করছি তাই রাষ্ট্র আছে। আমার সামনে এই মুহূর্তে যে কম্পিউটারটা রয়েছে রাষ্ট্রের থেকে তা অনেক বেশি সত্যি। এই স্ক্রীনটাকে আমি ছুঁয়ে দেখতে পারি, রাষ্ট্রকে ছুঁয়ে দেখতে পারি না; বিভিন্ন প্রতীক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র প্রতিভাত হয় আমার কাছে।ধরা যাক, একটি হাওয়া ভর্তি থলি, তার ভিতরে যে হাওয়াই রয়েছে এমনটা কেউ বুক ঠুকে বলতে পারে না। কারণ হাওয়া চোখে দেখা যায় না। থলিটি বন্ধ থাকলে বোঝা যায় শুধু যে ভিতরে কিছু ... ...