ছাত্র হয়ে অ্যামেরিকায় পড়তে যারা আসে - আমি মূলতঃ ছেলেদের কথাই বলছি - তাদের জীবনের মোটামুটি একটা নিশ্চিত গতিপথ আছে। মানে ছিল। আজ থেকে কুড়ি-বাইশ বছর বা তার আগে। যেমন ধরুন, পড়তে এল তো - এসে প্রথম প্রথম একেবারে দিশেহারা অবস্থা হত। হবে না-ই বা কেন? এতদিন অব্দি রাস্তায় গাড়ি দেখেছি অ্যাম্বাসেডর আর মারুতি। কন্টেসা দেখলে লোক জমে যেত। সবে বেরোন স্ট্যান্ডার্ড ২০০০ গাড়ি দেখা গেলে বাড়ি থেকে লোক ডেকে এনে দেখান হত। ভেন্ডিং মেশিন দেখিনি কভু - মানে পয়সা ফেললাম আর ঘটাত করে কোকের ক্যান বেরিয়ে এল। ভেন্ডিং মেশিন ছাড়ু ... ...
হ্যামলিনের বাঁশিওলার গল্পটা জানিস তো? একটা শহরে খুব ইঁদুরের উপদ্রব হয়েছিল। ইঁদুরের জ্বালায় শহরের লোকের ত্রাহি ত্রাহি রব। কিছুতেই ইঁদুর তাড়ান যাচ্ছেনা। এমন সময়ে হ্যামলিন শহর থেকে একজন বাঁশিওলা বাঁশি নিয়ে এল। শহরের মেয়রকে বলল যে উপযুক্ত পারিশ্রমিক পেলে সে ইঁদুর তাড়ানোর বন্দোবস্ত করতে পারে। মেয়র এক কথায় রাজী। তখন বাঁশিওলা এমন সুর বাজাল যে সারা শহরের যত ইঁদুর, আনাচ থেকে, কানাচ থেকে, গোলা থেকে, সুড়ঙ্গ থেকে, ভাঁড়ার থেকে, আলমারির তলা থেকে - মানে যে যেখানে ছিল - সব দলে দলে বেরিয়ে বাঁশির সুর অনুসরণ করে ন ... ...
জেনিফার যেরূপ বলিয়াছিল শশী সেইরূপ সাজিয়া আসিয়াছেন। বিশুদ্ধ বাঙালির বেশ। গিলে করা সাদা পাঞ্জাবি ও সঙ্গে ধুতি। বাড়তি, একটি ওড়নাসম রঙিন উত্তরীয় রহিয়াছে।জেনিফারের অদম্য বায়না শশীকে শুনিতেই হয়। চলো শশী, কতকাল ক্যালকাটা যাই নাই। মনে পড়ে শশী, ওখানেই প্রথম দেখা, সেই স্টেজ, সেই গ্রিনরুম, যেখানে দোঁহে প্রথম দৃষ্টিপাত। কী করে জানিলে ডিয়ার, আমার প্রিয় ফুল, প্রিয় রঙ, প্রিয় চকোলেট ও কেক। বড় মিস করি শশী সেসব দিন। চলো, এইবেলা ক্যালকাটা যাই। জেনিফারের কথা ফেলিতে পারা যায় না। তথাপি ... ...
"তোমার মিলনে বুঝি গো জীবন, বিরহে মরণ"।প্রেমের চরম স্টেজটা পার করতে গিয়ে এই রকম একটা অনুভূতি আসে। একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচে না। এই স্টেজটা যদি কোনভাবে খারাপের দিকে যায় তখন মানুষের নানা পাগলামি লক্ষ্য করা যায়। কখনো কখনো পাগলামিটা তার গন্ডি ছাড়িয়ে ছাগলামিতে রূপ নেয়। আমি একজন প্রেমিককে চিনি যে প্রেমের কঠিন স্টেজটা পার করার সময় নিজেকে ছাগল মনে করতো। তখন চারপাশের কাঁঠাল গাছগুলো তার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকতো। ভালোর দিকে গেলেও কখনো কখনো সেইম কেস দেখা যায় (অন্যদিন বলবো)! তবু তো সময় বহিতে হয়। ৭ গোল খ ... ...
অলৌকিক জিনিস আজও ঘটে। এই ঘটনা সত্যিই ঘটেছে, এক বর্ণ বানানো না। যে কেউ চেক করে আসতে পারেন। এক কবি কদিন আগে আমার কানে-কানে মানে ফোনে-ফোনে বলেছিলেন, সন্দীপনের পরেই তুমি। ভেবেছিলাম তিনি নির্ঘাত ইয়ার্কি করেছিলেন। কিন্তু আজ কাত্তিকের ফেবু খুলে দেখি কবি সত্যদ্রষ্টা, সত্যিই কপাল খুলেছে। সেই বিদগ্ধ সমালোচক এবার সন্দীপন ছেড়ে আমার পিছনে পড়েছেন। সন্দীপনের মলেস্টেশন ইত্যাদি আবিষ্কার শেষ করে এবার আমার সম্পর্কে লিখেছেন “(তিনি)ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সকে জাস্টিফাই করেন ও মিটু সম্পর্কে সুবিখ্যাত মন্তব্য আছে( 'বিশ বছ ... ...
রামপ্রসাদ সেনের কাছে আরও এক বার ফিরে আসা গেল। কার্তিকে যখন পুরোনো বাংলা বছর শেষ হতে চলেছে স্মরণোৎসব আর আকাশপ্রদীপে, সর্বস্বশৃঙ্খলে বাঁধা ইতিহাসের ভেতর থেকে একটি-দুটি ভূত হানা দেয়। ভূত মানে অতীতস্মৃতি যেমন, বিশ্বচরাচরে উপ্ত জীবনদায়ী মৌলও তো, ততটাই। কার্তিকের শেষে মাঠে থরে থরে ধান, দুর্গাসপ্তমীর কলাবউ স্নান থেকে সবুজের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল, তা খানিক পরেই স্মৃতির খাতায় চলে যাবে। রামপ্রসাদকে, আবারও, ঠিক এই মোকামেই মনে পড়ে যায়। তাঁর নিদানটি সহজ: মন কৃষিকাজ জানে না। মানবজমিন যদি ... ...
প্রায়-শূন্য করিডোর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল তমালী। করিডোরের প্রান্তে হেডমিস্ট্রেসের ঘর। সেখানে মিটিং আছে। ক’দিন ধরে স্কুলে তোলপাড় চলছে। গুরুতর অভিযোগ। আজ সেই নিয়ে মিটিং। হেডমিস্ট্রেস ছাড়াও ম্যানেজিং কমিটির দু-একজন এসেছেন দেখেছে। আর আসার কথা অবন্তীর বাবা-মা’র। করিডরের পাশেই ছোট লন রোদে ভাজা ভাজা হয়ে এলিয়ে আছে। এক কোণের বকুলগাছটার তলায় একটুকরো ছায়া। তমালীর ইচ্ছে হচ্ছে ওই ছায়াটাতে গিয়ে বসে থাকতে। আসলে তমালীর মিটিংটাতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই এতটুকু। তবু যেতে হবে। আক্টিভিটি কো-অর্ডিনেটর সে। নিজের দায়িত্ব কিভাবে ... ...
বীতশোকের প্রথম দিকের কবিতা বাংলা কবিতা-কে এক অন্য স্বর শুনিয়েছিলো, তাঁর কণ্ঠস্বরে ছিলো নাগরিক সপ্রতিভতা, কিন্তু এইসব কবিতার মধ্যে আলগোছে লুকোনো থাকতো লোকজীবনের টুকরো ইঙ্গিত। ১৯৭৩ বা ৭৪ সালের পুরনো ‘গল্পকবিতা’-র (কৃষ্ণগোপাল মল্লিক সম্পাদিত) কোনো সংখ্যায় আমার মামাবাড়ির পুরনো বইয়ের ঘরে খুঁজে পেয়েছিলাম এই কবিতা-টি, কবিতার নাম ‘শীতকাল’।"চেয়ে দ্যাখো, সেরকম-ই রেখেছি স্বভাব;সহজ কবচে কত যত্ন করি, বেতার যন্ত্রের কাছে কান পেতে থাকিকারা এত শব্দ করে, মনে প’ড়ে যায়কত ডেকে কাকে যেন লিখ ... ...
"ইনসাইড আস দেয়ার ইজ সামথিং দ্যাট হ্যাজ নো নেম,দ্যাট সামথিং ইজ হোয়াট উই আর। "হোসে সারামাগো, ব্লাইন্ডনেস ***হেলেন - ঘড়ির কাঁটাটাকে এক ঘন্টা বাঁয়ে হেলিয়ে দিলে, সৌম্য তখনও বসেছিলো শিখরের পাশে। বাইরে একটা ভ্যাপসা গরম ছাড়ছে। জানালার নিচে হানিসাকলের ভারি উগ্র মিষ্টি গন্ধ ফ্লাই স্ক্রিনের মিহি জালি ভেদ করে ঢুকতে চাইছে নাছোড়বান্দা। ধাপে ধাপে নিচে নেমে যাওয়া বুরিম অ্যাভেন্যুর ওদিকে চীৎকার করছে রোদ। এখান থেকে আকাশ দেখা যায় না । ... ...
সেকালে কাঁসাই নদীতে 'সুতি' নামের একটা খেলা প্রচলিত ছিল। মাছ ধরার অভিনব এক পদ্ধতি, বহু কাল ধরে যা চলে আসছে। আমাদের পাড়ার একাধিক লোক সুতি খেলাতে অংশ নিত। এই মৎস্যশিকার সার্বজনীন, হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ে জনপ্রিয়। মনে আছে ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় একদিন নদীর কাছে গিয়ে দেখি আমাদের পাড়ার প্রতিবেশী জনাব রাজা সুতিতে একটি মাঝারি রুই তুললেন। মাছটিকে খেলিয়ে টেনে তুলে এনে মাছের খাবি খাওয়া ঠোঁট মুখের কাছে নিয়ে কীসব অদ্ভুত মন্ত্র বিড়বিড় করে জপতে লাগলেন। এইসব লোকাচার খেলারই অঙ্গ।যাই হোক, এবার নবমী ... ...
অনেকদিন পরে পুরনো পাড়ায় গেছিলাম। মাঝে মাঝে যাই। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়, আড্ডা হয়। বন্ধুদের মা-বাবা-পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। ভাল লাগে। বেশ রিজুভিনেটিং। এবার অনেকদিন পরে গেলাম। এবার গিয়ে শুনলাম তপেস নাকি ব্যবসা করে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। একটু পরে তপেসও এল আড্ডায়। জিগেস করলাম, কী ব্যাপার কাকা? ্বেওসা করে লাল হয়ে গেছ শুনলাম এই কদিনে, ড্রাগ বেচছ নাকি?"আরে ড্রাগ ছাড়। পুজো-পুজো। আজকাল এই পুজো-টুজো কীরকম নুইসেন্স হয়েছে জানিস তো! তার ওপর জুটেছে থিম। কাগজ আর টিভির দৌলতে সব পুজোই এখন হিট পুজো। আম ... ...
"কে কাকে রেখেছে মনে?হিজলের বনে দোল খায় পুবদেশী হাওয়াআজীবন যাকে চাওয়া সে হয়েছে ঈশানের মেঘ..."সেই পুবদেশী আশ্চর্য হাওয়া আজও বয় কলকাতায় তথা মফস্বলে। সে দেশ একটাই ছিল, তারপর কাদের প্ররোচনায়, কাদের বিট্রেয়ালে কবে ভাগ হয়ে গেল গঙ্গায় পদ্মায়? দেশভাগ উদ্বেল করেছিলো সাদাত মান্টো আর ঋত্বিক ঘটককে, যুগপৎ। সমরেশ বসুর আদাব আমরা আঠারো পার করার আগেই পড়েছি। এই নিয়ে বিস্তর চর্চা ঐতিহাসিকদের। সম্প্রতি পড়লাম দময়ন্তীর লেখা ' সিজনস অব বিট্রেয়াল'। তিনি 'দ' নামে লেখেন গুরুচন্ডা৯ তে। দ বলে একটি লোকশব্ ... ...
'The Rojava Revolution is the Paris Commune under German siege ,Mardrid during the Spanish civil war,and Stalingrad during the second world war' জর্জ অরওয়েল তার স্পেনের গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা ‘ Homage to Catalonia’ শুরু করছেন এইভাবে ‘ In the Lenin Barracks in Barcelona, the day before I joined the militia,I saw an Italian militiaman standing in front of the officer’s table.’। ফ্যাসিবাদি বিরোধী ১৯৩৬-১৯৩৯সালের সেই লড়াই হাজারো স্বাধীনতাকামী মানুষের সাথে পেয়েছিলো ... ...
ভীষ্ম বধ (শেষ পাঁচ দিন)*******************************কী হল গত পাঁচ দিনে? নামকরা রথীদের মধ্যে নিহত হলেন পান্ডব পক্ষের বিরাটপুত্র উত্তর ও শংখ, সাত্যকির দশ পুত্র আর কৌরব পক্ষে দুর্য্যোধনের সাত ভাই এবং নিষদ রাজ কেতুমান। কলিংগরাজ শ্রুতায়ুর দুই ছেলেও। শংখ আর কেতুমান বাদ দিলে বাকী সবাই শুধু পিতৃ/ভ্রাতৃ পরিচয়েই বিখ্যাত - যোদ্ধা হিসেবে নন। প্রথম দিনে কৌরবপক্ষের সার্বিক জয় হলেও আরো তিনদিন পান্ডবেরাই বেশী শত্রুক্ষয়ে সমর্থ হয়েছিলেন।আর একদিন বলা যায় সমান সমান। কিন্তু অনেক বেশী ... ...
১৯৮৩ সনের মাঝামাঝি অকস্মাৎ আমাদের বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ(ক) শ্রেণী দুই দলে বিভক্ত হইয়া গেল।এতদিন ক্লাসে নিরঙ্কুশ তথা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করিয়া ছিল কুচু। কুচুর ভাল নাম কচ কুমার অধিকারী। সে ক্লাসে স্বীয় মহিমায় প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করিয়াছিল। একটি গান অবিকল কিশোরের স্টাইলে গাহিবার অব্যবহিত পরেই সে মহম্মদ রফির স্টাইলে পরবর্তী গান গাহিত। এছাড়া মিঠুনের কোন সিনেমা রিলিজ করিল, 'তেরি মেহেরবানিয়া'র স্টোরি কীরূপে অভিনব, দলবদলে ইস্টবেঙ্গল কীরূপ কৌশলে মোহনবাগানের হাতে হ্যারিকেন ধরাইল, এইসব বিষয়েও তা ... ...
অনেকদিন আগে একবার দিন সাতেকের জন্যে ভূটান বেড়াতে যাব ঠিক করেছিলাম। কলেজ থেকে বেরিয়ে তদ্দিনে বছরখানেক চাকরি করা হয়ে গেছে। পুজোর সপ্তমীর দিন আমি, অভিজিৎ আর শুভায়ু দার্জিলিং মেল ধরলাম। শিলিগুড়ি অব্দি ট্রেন, সেখান থেকে বাসে ফুন্টসলিং। ফুন্টসলিঙে এক রাত্তির থাকব। পরের দিন পারোর পার্মিট নিয়ে বাসে করে পারো হয়ে থিম্পু। এই হল প্ল্যান। প্রথমেই গর্দিশ। আমাদের পারো যাবার পার্মিট দিলনা। কাজেই সোজা থিম্পু। থিম্পুতে নেবেই মালুম হল এখানে সাতদিন কেন, তিনদিনও থাকা যাবেনা। করার মতন কিচ্ছু নেই। দ্বিতীয়দিন ... ...
আমার যে ঠাকুর-দেবতায় খুব একটা বিশ্বাস আছে, এমন নয়। শাশ্বত অবিনশ্বর আত্মাতেও নয়। এদিকে, আমার এই জীবন, এই বেঁচে থাকা, সবকিছু নিছকই জৈবরাসায়নিক ক্রিয়া, এমনটা সবসময় বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না - জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য-পরিণতি সব নিয়েই বেশ ঘেঁটে থাকি। সেদিক থেকে বরং তথাগত বুদ্ধের অনাত্মার ধারণা কিছুটা গ্রহণযোগ্য মনে হয়। কিন্তু, এলোমেলো সেসব ভাবনার দিকগুলো নিজের মনেই গুছিয়ে উঠতে পারিনি, কাজেই সাজিয়েগুজিয়ে বলে ওঠা মুশকিল।বরং বলতে পারি, এই দশমীর দুপুরে ঘরের ... ... ...
দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা বুয়েটে পড়ার সুযোগ পায়। দেশের সবচেয়ে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিঃসন্দেহে বুয়েট। সেই প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্রকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলল কিছু বরাহ নন্দন! কাওকে পিটিয়ে মেরে ফেলা কি খুব সহজ কাজ? কতটুকু জোরে মারতে হয়? একজন মানুষ পারে আরেকজন মানুষকে কিছু দিয়ে আঘাত দিয়ে দিয়ে মেরে ফেলতে? এত নীচ মানুষ হয় কীভাবে? মানুষ না সৃষ্টির সেরা জীব বলে গর্ব করে? আবরার ভারতের সাথে নতুন পানি চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে কিছু লিখেছে, এই কারনে তাকে শিবির সন্দেহে মহান ছাত্রলীগের সুমহান ছাত্ররা ত ... ...
রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর বউদির সঙ্গে প্রেম আর নেতাজী ফিরে আসবেন, বেঁচে আছেন, বিয়ে করেছেন কিনা, এই দুটো বিষয় নিয়ে যত অখাদ্য বই লেখা হোক না কেন, পাবলিশারতো জুটে যাবেই, বিক্রি বাট্টাও কম হয় না। সেটা অনেকে বুঝেছেন, বুঝেছেন অনুজ ধর ও। কাজেই নেতাজী নিয়ে প্রায় একই গাল গল্প ছাপিয়েই যাচ্ছেন। একবার বাংলা তে, একটু পালটে নিয়ে সেটাই আবার ইংরিজি তে। তো ওনার ‘নেতাজী ফিরেছিলেন’ আর CONUNDRUM বই দুটো পড়ে এই লেখা। একটা পুরো দস্তুর জোচ্চর হামবাগ নিম্ন স্তরের ফেরেব্বাজ কে ... ...
শহরে হেমন্ত আসে না। আসতে আসতে দু'দুটো ঢাউস জোড়া ব্রিজের মুখে সে কর্পুরের মতো উবে যায়। বিকেল নাগাদ একটা অজানা ঠাণ্ডা গন্ধ ছড়ায়। কারোর হঠাৎ মন কেমন করে। প্রয়োজনীয় কথার ফাঁকে ফাঁকে অকারণ ক্ষণবিরতি। এক মুহূর্তের কিছু বা বিস্মরণ। কোথাও কি যাবার ছিল? কেউ আসবে? কী জানি। পথচলতি লোকজন অকস্মাৎ একেকবার চোখ তুলে অকারণ আকাশ দেখে নেয়। কী দেখল কেন দেখল, জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে না। ... ...