অনেক সময় লেখক নিজের বিপরীত অবস্থানে গিয়েও তো আখ্যান লিখতে পারে। সেক্ষেত্রে লেখকের স্বর আর চরিত্রের স্বর কখনোই এক হবে না। একজন পুরুষ লেখকের কলম যখন নারীর জবানীতে আখ্যান লেখে কিংবা একজন নারী লেখকের কলমে পুরুষ যখন গল্পকথক (প্রোটাগোনিস্ট) হয়ে ওঠে তখন আলাদা করে লেখকের স্বর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। লেখক অভিজ্ঞতা, রুচি, আবেগ, পর্যবেক্ষণ, দর্শন, ইতিহাসসহ সংস্কৃতির অগণন সূত্র মিলিয়ে বিপরীত লিঙ্গের চরিত্রটিকে তৈরি করে। চরিত্রটি লেখকের স্বরে নয় ভিন্নস্বরে কথা বলে। আসলে তখন ভাষা কথা বলে। লেখক না। অটো রাইটিং বা স্বতোলিখনে যা রচিত হয় সেটাই টেক্সট হয়ে ওঠে। ভাষা পারফর্ম করতে থাকে, লেখা তৈরি হতে থাকে। অটোম্যাটিক রাইটিং শব্দটা পড়ে মনে হলো- সব লেখাই আসলে অটো রাইটিং। ... ...
স্মরণজিৎ চক্রবর্তী লিখিত অদ্যম ৩ বইটির আলোচনা। ... ...
ধানজমির মাঝে এক্সোটিক রেষ্টুরান্ট! জীবনে ভাবিনি এ জিনিসও দেখতে হবে! যাঁরা বালি গেছেন তাঁরা হয়ত জানবেন আরো নানাবিধ খাবারের মধ্যে বাইরের লোকেদের কাছে বালির এক অন্যতম জনপ্রিয় ডিসের নাম ‘ক্রিসপি ডাক’। মানে ঠিক হাঁসের মাংস ডিপ ফ্রায়েড বললে ওই ডিসটিকে ঠিক ঠাক সম্মান দেওয়া হবে না, কিন্তু অনেকটা তাই। এমনিতে বালির প্রায় সব রেষ্টুরান্টেই এই ক্রিসপি ডাক সার্ভ করা হয় – তবে আমি বলব যদি বালি যান তাহলে উবুদের দিকে বিস্তৃর্ণ ধানক্ষেতের মধ্যে বেশ কিছু খুব সুন্দর সুন্দর রেষ্টুরান্ট আছে, সেখানেই খেতে। এগুলো মূলত টুরিষ্টের কথা ভেবেই বানানো – কিন্তু একটা অভিজ্ঞতা। অনেক রেষ্টুরান্ট আছে, কিন্তু সব থেকে বিখ্যাত বা জনপ্রিয় মনে হয় ‘বেবেক টেপি সাওয়া’ (Bebek Tepi Sawah) নামক রেষ্টুরান্টটি। ... ...
উত্তাল যমুনার বুকে দীর্ঘ এক ফালি চর - নাম ফুলেশ্বরী, পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার মধ্যে পড়েছে চরটি। বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন যমুনার বুকে এই চর জেগে উঠেছে স্বাধীনতার পরেই, তবে বসতি গড়ে উঠেছে আরো কয়েক বছর পরে। বর্ষাকালে প্রমত্তা যমুনার স্রোতরাশি যখন উত্তাল হয়ে ওঠে সে-সময়ে ইঞ্জিন নৌকায় প্রবল ঢেউ ঠেলে বেড়াবাজার ঘাট থেকে ফুলেশ্বরীতে যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। ... ...
লোকনৃত্য সমাজকে সংহত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । ... ...
মাসকাবারি বইপত্তর ... ...
এ বছরের ইকোনমিক সার্ভে-তে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে মহিলাদের জন্য কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা, বেতন ও উন্নতির রাস্তা সুষম করা, কাজে যোগদানে উৎসাহ দেওয়া এবং সর্বোপরি সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের উদ্দেশ্য মহিলাদের পরিষেবামূলক কাজে আরো এগিয়ে নিয়ে আসা, শিশু প্রতিপালনের সুযোগসুবিধা বাড়ানো, পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের দেখাশোনার উপযুক্ত কাঠামো কাজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া, বেতন-সহ পিতৃত্ব-ছুটি দেওয়া ইত্যাদি। এক কথায়, মহিলাদের কাজের ক্ষেত্রে একটি পরিবার-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করার দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে। দেখা যাক, সরকার এই সোনার পাথরবাটিটি কী ভাবে গড়তে চাইছে। ... ...
তাঁর সৌভাগ্যই বলতে হবে, হিন্দু ধর্ম নিয়ে অনেক কুসংস্কার চর্চা, দৃশ্যত অনেক বাড়াবাড়ি করা সত্ত্বেও তিনি যে মনের গভীরে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ছিলেন না, নৃশংস মরণে সেটা প্রমাণ করার সুযোগ পেলেন। ভারতের প্রথম (হিন্দু) জঙ্গি নাথুরাম গদসের বন্দুক মোহনদাসকে শুধুই মারে নি, তাঁর সম্মানকে বাঁচিয়েও দিয়েছে। ... ...
মৃত্যুর তিন দিন আগে, কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে এক রচনা, যাঁকে তাঁর শেষ উইল বলা হয়, যেখানে তিনি কংগ্রেসের বিলুপ্তি এবং পঞ্চায়েত ভিত্তিক শাসনকাঠামোর পক্ষে সওয়াল করেন, সেখানে তিনি দেশের সাত লক্ষ গ্রামের স্বায়ত্তশাসন এবং স্বরাট আর্থিক বিকাশের কথা বলছেন। নির্মল বসু এই রচনার ফুটনোটে লেখেন- সাত লক্ষ গ্রাম ভারতে নেই, আছে ভারত পাকিস্তান মিলিয়ে। অর্থাৎ, গান্ধিজি দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় পাকিস্তানকেও বাদ দিচ্ছেন না। ... ...
"বনের আজা" সিংহ হঠাৎ 'মাঙ্কিভাতে' ঘোষণা করল, কাল থেকে প্রাণী হত্যা বন্ধ । আমরা সবাই নিরামিষাশী হলাম এখন থেকে। এই ঘোষণায় সব মাংসাশী প্রাণীদের মাথায় বজ্রাঘাত হল । : আজা, আজা , আমরা খাবো কি ? : কেন ? তোমরা চিঁড়ের পোলাও খাও ! উথাপ্পম খাও ! লে লুল্লু ! কি হবে এখন !! ... ...
আউটডোর জিনিসপত্র – সে খেলাধূলাই হোক বা ট্রেকিং বা হাইকিং সবকিছুতেই বিশাল ইন্টারেষ্ট ছিল এককালে। তবে আজকাল সেই ইন্টারেষ্ট কিছুটা হলেও কমে এসেছে, বিশেষ করে যদি একসাথে ডরমিটারি-তে থাকতে হয় যেখানে খানিক দূরেই জুতো-জামাকাপড়-ব্যাগ রাখা থাকবে। এর কারণটা বিশেষ কিছু নয় – জুতো এবং মোজার গন্ধ। তা সে নিজের জুতো-মোজাই হোক বা অন্যের। নিজেরটা যদিও নাক চেপে সহ্য করে নেওয়া যায়, কিন্তু অপরের জুতো-মোজার গন্ধে একেবারে অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে আসে। ... ...
এত বছর পর গতমাসে ফোনে শিবুদার গলা শুনে অবাকই হয়েছিলাম! যোগাযোগ নেই প্রায় সিকি শতক! সে বছর মাঝ শ্রাবণে ভাসতে ভাসতে ভাসতে এসে পৌঁছেছি মহানগরের স্নায়ু কেন্দ্রে। ঠাঁই নাড়া হবার পর সেই আমার নতুন ঠিকানা! সেখানে হাত বাড়ালেই প্রসিদ্ধ স্মৃতি-সৌধ, গির্জাঘর, ঝাঁ-চকচকে রাস্তা, কৃষ্টি-কেন্দ্র আর অজস্র-ধারা-বৃষ্টির মতন মানুষ! শিকড় সমেত উপড়ে এনে আমাকে বলা হয়েছে, ডালপালা ছড়াও হে, এই তোমার নতুন আকাশ! ... ...
সম্ভবতঃ এটি সরকারী সাবতাজ প্ল্যানের অঙ্গ হিসাবেই সাধিত হয়েছে - কিন্তু তা হয়ে থাকলে সেটা এ বিরাট ব্যাকফায়ার করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রজাতন্ত্র দিবসে সাধারণ প্রজারা গিয়ে আইন অমান্য করে লালকেল্লায় নিজেদের ঝান্ডা উড়িয়েছে জাতীয় পতাকার নীচে - বিবিধের মাঝে মিলন মহানের এর চেয়ে বড় প্রতীকি বিজ্ঞাপন আর কী হতে পারত সেদিন? ... ...
তেমন ‘বড় মাপের’ মানবিকতা না দেখালে তো আর খবরের কাগজে জায়গা পাওয়া যায় না। তবু মনে হয় ছোট সাহায্যও কি কম? প্রতিদিনের এমন কত ছোট ছোট সাহায্য যে কত মানুষকে অন্য ভাবে খবরের কাগজে নাম ওঠান থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে কে তার হিসেব রাখে। ... ...
অনির্বাণ মুখার্জীর লেখা তিন বাহু দশ মুখ নামক বইটির আলোচনা। ... ...
যদি গুগুল সার্চ করেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ – তো মনে হয় না প্রথম দশে আপনি মলটা দেশের নাম পাবেন – সেখানে দেখবেন ফিনল্যান্ড এবং অন্যান্য স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলিরই আধিক্য। কিন্তু এই সুখীর সংজ্ঞার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ বা আমরা যাকে বলি ‘আনন্দে’ বেঁচে থাকা তা ঘুলিয়ে ফেললে চলবে না। তেমন লিষ্টী বানাতে হলে প্রথম বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে মলটার নাম একেবারে প্রথম দিকে থাকবে। বিশাল আনন্দে এবং টেনশন ফ্রী জীবন কি ভাবে কাটাতে হয় এদের কাছ থেকে শেখা যেতে পারে। ... ...
একাল সেকালের জগা খিচুড়ি ... ...