পারভারশান - এমনও হয়৷৷ সত্য ঘটনা অবলম্বনে৷ চরিত্রের নাম ,স্থান, কাল কাল্পনিক৷ ... ...
কামাখ্যার যোনিপূজার ধুপেরধোঁয়ার সঙ্গে আজকের সতীর যোনি থেকে টেনে বের করা অন্ত্রের কুন্ডলীতে স্বাধীনতা পরাধীনতা মিলেমিশে এক হয়ে যায়। এখনকার দুর্গার লড়াইটা সেখান থেকেই– ... ...
৭৫তম স্বাধীনতা দিবস এ ফিরে দেখা কিছু খাপছাড়া সংলাপ৷৷ ... ...
৭৫তম স্বাধীনতা দিবস এ ফিরে দেখা কিছু খাপছাড়া সংলাপ৷৷ ... ...
MistBorn-এর লেখক Brandon Sanderson-কে নিয়ে পরে বিশদে আলোচনা হবে (প্রচণ্ড ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার মশাই – লালমোহন থাকলে হয়তো ‘হাইলি সাসপিশাস’-ও বলতেন), কিন্তু ওঁর একটা ক্ষমতা নিয়ে অল্প-কথা এই জায়গায় বলতেই হচ্ছে – তা হল ওঁর অসাধারণ ম্যাজিক-সিস্টেম তৈরি করার ক্ষমতা। এই বিশেষ বইটিতে যে সিস্টেমটা ব্র্যান্ডনবাবু বানিয়েছেন, তার নাম অ্যালোমেন্সি। ব্যাপারটা ঠিক কি, তা নিয়ে একটি শব্দও আমার খরচ করার দরকার নেই – বইয়ে বিশদে আছে। এতটাই ডিটেলে, যে এই ধরণের সিস্টেমের অন্তর্গত সামঞ্জস্য সম্পূর্ণ ঠিকঠাক আছে কিনা, তা নিয়ে এদের জন্যে নিবেদিত রেডিট-পাতায় মাইলের পর মাইল তক্কো চলে। ... ...
কৌশিক মজুমদার লিখিত তোপসের নোটবুক বইটির আলোচনা। ... ...
লিখবটা কি? অনেক ভেবে মাথায় এল – ‘ফ্যান্টাসি’। ওসব ‘কুয়াশানগরীর উপাখ্যান’-মার্কা কবিতা-কবিতা গপ্পো নয় (লেখার এমন বেগ – কি না কি বলে চলেছি), গভীর Genre-fiction, বিশেষ করে – হাই-ফ্যান্টাসি। আপনি যদি কেবলমাত্র ওই চন্দ্রিলবাবুর ‘কিছু Dystopia’ দেখে সায়েন্স-ফিকশন সম্পর্কে, আর গেম অব থ্রোন্স/লর্ড অব দ্য রিংস দেখে ফ্যান্টাসি সম্পর্কে ধারণা তৈরী করে থাকেন, তা হ’লে হবে না – ঐসব রোগের উপসর্গ মাত্র। এই ছড়ানো জঁরাগুলির বিস্তৃতি বহুদূর। সেই বিখ্যাত কুম্ভকার-সন্তান, যিনি পেশাদার জাদুকর হওয়ার চেষ্টায় বংশের মুখে চুন-কালি লেপেছিলেন, আর যাঁর কৈশোর-অ্যাডভেঞ্চারগুলি লিখে ফেলে ওই বয়স্কা, আপাত-trans-phobic মহিলা এখন টাকার স্তূপের ওপর ‘রোলিং’, তাঁর গপ্পোগুলিও পড়ে এর আওতায়। আরও কত কি-ই না আছে এই জঁরায়! ... ...
ধাত্রী পান্নার গল্প ও কয়েকটি প্রশ্ন ... ...
গোয়েন্দা কাহিনী এবং গোয়েন্দাকে কেমন করে চিনবেন। ... ...
সহকর্মীর থেকে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির পাশ নিয়ে গেছে, এমন নেশা। চেষ্টা করেও মোহনবাগান গ্যালারির পাশ যোগাড় করতে পারেনি। খেলা চলছে। সাবধানে চেপেচুপে বসেছিল। হঠাৎ মোহনবাগান গোল মিস করাতে অজান্তে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে, ইশশ। ব্যাস, আর যায় কোথা। গ্যালারিতে রব উঠল, ওরে ছারপোকা ঢুকেছে। বাবাকে মেরে ধরে গ্যালারির নিচে ফেলে দিল। হায় ভগবান। ছোটোবেলায় বাবা একবার কালশিটে নিয়ে কাদা মেখে বাড়ি ফিরেছিল, আর বলেছিল পড়ে গেছি। ... ...
আমার নতুন কাজের জায়গায় এসে একসময় অনুভব করলাম আরও অনেক বেশি করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা দরকার। শুধু ক্যুইয়ার নয় সাধারণ মানুষেরও এইচ আই ভি নিয়ে ভুল ভাঙা দরকার। এইচ আই ভি নিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক থাকা যায় সেটা লোকে যত জানবে তত এইচ আই ভি পরীক্ষা করতে এগিয়ে আসবে। এই ভাবনা থেকেই সিদ্ধান্ত নিলাম নতুন একটা পোস্টার ডিজাইনের।এই পোস্টারটা সমস্ত সরকারী হাসপাতালে এইচ আই ভি নির্ণয় কেন্দ্র বা আই সি টি সি বিভাগে আছে। যখন দেখি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ফোনে কেউ বলে "দাদা আপনি সত্যি সত্যি এইচ আই ভি পজিটিভ!এইচ আই ভি নিয়ে সত্যিই ভাল থাকা যায়? একটু আগেই জানতে পারলাম আমিও এইচ আই ভি পজিটিভ।" আর তখন আমাকেই কাউন্সেলিং করতে হয়। এইচ আই ভি নিয়েও সুস্থ স্বাভাবিক থাকা যায় অ্যন্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপির মাধ্যমে। শুধু নিয়মিত ওষুধ আর চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলতে হয়। তখন বুঝতে পারি পোস্টারে সেদিন আমার মুখ দেখানোর সিদ্ধান্তটা একদম সঠিক ছিল। ... ...
আর স্প্যানিশ ফ্লু অতিমারীর আবহেই দেশে তখন চলছিল কংগ্রেস ও গান্ধীজীর নেতৃত্বে বৃটিশ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলন (১৯২০ - ২২)। আর ঐ সময়ে ১৯২০ তেই বাংলায় আর একটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী দল ইস্টবেঙ্গলের জন্ম হয় - যার সঙ্গে মোহনবাগানের দ্বৈরথ একদিন অমরত্ব লাভ করবে। প্রিয়নাথ মিত্র রাজা রাজবল্লভ স্ট্রিটে তৈরি করেছিলেন অ্যাশক্রফ্ট হল। ... ...
পৃথিবীতে কিছু শিশু নানান ধরনের সমস্যা/অক্ষমতা নিয়ে জন্মায় এবং বড় হয়। যাদের আমরা "বিশেষ শিশু" বলে থাকি। তাদের সম্পর্কিত বিষয়ে ইংরাজী ভাষার বইপত্তর থাকলেও সহজ বাংলায় তার বেশ অভাব। যেটুকু আছে তাতে সবসময় সব সঠিক তথ্যও থাকে না। নিজের বহুবছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে এবং এক শুভান্যুধায়ীর অনুপ্রেরনায় নানান ধরনের সমস্যা/অক্ষমতা নিয়ে সহজবোধ্য ভাবে কয়েকটি পর্বে ধারাবাহিক হিসেবে লেখার প্রচেষ্ঠা করেছি৷ আজ প্রথম পর্ব৷ ... ...
সুবীর কুমার বসুকে কেউই চিনবেন না। সুবীর বসু কখনো কখনো আমার সঙ্গে বিকেলে হাঁটতে বেরোতেন। শেষ বয়সের কুঁচকে যাওয়া, চকচকে চামড়া, টলোমলো পা। হাত ধরে ধরে কিছুটা নিয়ে গিয়ে ফিরিয়ে আনতাম আবার। যাওয়াতেও যে তাঁর খুব আপত্তি ছিল, এমন নয়; আবার ফিরেও আসতেন লক্ষ্মী হয়ে, কিচ্ছুটি না বলে। ... ...
মায়ের কথাগুলো মনে পড়ে - মোহনবাগান একটা আদর্শ, আমাদের পূর্বপুরুষদের অনেক আশা আর স্বপ্ন নিয়ে গড়া যখের ধন, ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক, আমাদের অস্তিত্ব। মোহনবাগানের হারজিত, আর আমাদের জেতা হারা এক। সেদিন না বুঝলেও, এবারে একটু একটু বুঝতে পারছি। মোহনবাগানের প্রথম দিকের দলের একটি নাম নিয়ে আমি খুবই আগ্রহী। ইনি কে? সেই নামটি হল দ্বিজেন্দ্রনাথ বসু। ... ...
বিলাসপুর সেন্ট্রাল জেল। দুটো রাত কেটে গেছে। ঘুম হয় নি। দেয়ালে পিঠ দিয়ে বসে ছিলাম। দিদি আমার কাঁধে মাথা রেখে একটু ঝিম মেরে রয়েছিল। আমরা খুনি নই, নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখেছি -- এটা সত্যি না ব্যাড ড্রিম। আনফরচুনেটলি সত্যি। একেবারে কাফকা মার্কা। পিজি ক্লাসে কাফকার ‘দি ট্রায়াল’ পড়াই। কখনও ভেবেছি এইরকম কাফকেস্ক অভিজ্ঞতা আমাদের দু’বোনের কপালে জুটবে? আমরা দুই বোন, সংস্কৃত সাহিত্য ও ইংলিশ লিটারেচারে ডক্টরেট, তাও শান্তিনিকেতন থেকে — আমরা আজ ছত্তিশগড়ের জেলে আন্ডার ট্রায়াল প্রিজনারদের সেকশনে বন্দী! খুনের দায়ে, ভাবা যায়? আমাদের মোবাইল পর্য্যন্ত চালাকি করে বুড়ারে সেই মোটা মত লোকটা পরীক্ষা করার অজুহাতে সীজ করে নিয়েছে। ... ...
আমি অসৎ হলে বলতাম ওর গায়ের রং ছিল আবলুশ কাঠের মতন কালো। কিন্তু আমি সৎ, আর আমি জীবনে আবলুশ কাঠ দেখিনি। অনিতার গায়ের রং কালো ছিল নিঃসন্দেহে, তবে ওরকম কালো শেডের কাঠ আমি কখনো দেখি নি। ... ...