আমি যেন একটা ঘাসের বনের মধ্যে শুয়ে আছি। মানুষের মাথা ছাড়িয়ে উঠে গেছে, এমন একটা ঘাসের বন। দূরে হয়তো একটা বাওবাব গাছ। যেমনটা আফ্রিকায় বা চাঁদের পাহাড়ে পাওয়া যায়, তেমন। ... ...
প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে কিছু কথা ... ...
প্রতিবন্ধী মানুষ অধিকার আইন পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। কতটুকু বদল ঘটেছে বঙ্গীয় তথা ভারতীয় প্রতিবন্ধকতার অবস্থানের ক্ষেত্রে? ... ...
তাছাড়া সেদিন কি শুধু সুকল্প তাকে মুক্তি দিয়েছিল? ঊর্মি সুকল্পকে দেয়নি মুক্তি? পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদের হাত ধরে ঘটে যাওয়া এই নিঃশব্দ বিপ্লবকে কোনোদিন স্বীকার করে নি করবেও না। কিন্তু তাতে ঊর্মীদের কৃতিত্ব কমে না। ... ...
সারা জীবনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বুঝেছি যে ক্যাপিটালিজম অথবা কমিউনিজম দুইই মানবজাতির পক্ষে চরম বিপদজনক। আজ সময় এসেছে নতুন চিন্তাভাবনা ও বিশ্লেষণ করার। নতুন রাজনীতি তৈরী করার। ... ...
ইদানিং এমনকি জগদ্ধাত্রী পুজোর প্যান্ডেলেও ‘মায়ের পায়ে জবা হয়ে ওঠ না ফুটে মন’ বেজে চলতে দেখেছি --- একেবারে কালী প্রতিমা কেন্দ্রিক গান দিব্যি চালানো হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজোয়, আসলে যিনি নাকি মা দুর্গারই একটা রূপ ! কী চূড়ান্ত গুরুচণ্ডালী ব্যাপারস্যাপার বলুন দেখি? ... ...
১৯২৩ সালে বোম্বে ফিরে গিয়ে মেয়েটি, একটা প্রাইভেট ডেন্টাল ক্লিনিক খুলে ফেলল। কোলবাদেবীর আবদুল রহমান স্ট্রিটে। অবশ্যই দাদার আর্থিক সাহায্যে। স্বপ্ন, পর্দার আড়ালে থাকা মুসলিম মেয়েদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। বেশ বড় ক্লিনিক, তিনটে ডেন্টাল চেয়ার ওলা। চেম্বারের নিজস্ব কর্মীও ছিল। বোধহয় ইনিই এশিয়ার প্রথম মহিলা প্র্যাকটিসিং ডেন্টিস্ট। আর সেই সঙ্গে ধোবি তালাও এর মিউনিসিপ্যাল ক্লিনিকে স্কুলের মেয়েদের দাঁতের চিকিৎসাও চলল স্বেচ্ছাশ্রম হিসেবে। ... ...
সময়টা ১৯৪০ সালের আশেপাশে – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তখন জাপানের অবস্থা ভালো নয়, নানা দিকে পিছু হটছে জাপানী ইম্পিরিয়াল বাহিনী। সাধারণ লোকেরাও বুঝতে পারছে যে এই যুদ্ধে জাপানের পরাজয় প্রায় আসন্ন। কিন্তু তখনও সম্রাট এবং তার বাহিনী শেষ কামড় দিতে লড়ে যাচ্ছে। নিত্য নতুন সৈন্য নিয়োগ হচ্ছে – প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে যুবক সম্প্রাদয় নিযুক্ত হচ্ছে যুদ্ধে যাবার জন্য। পরিবার জানাচ্ছে সেই সব তরতাজা যুবকদের বিদায় – মুখে বলছে সবাই, কারো বাবা-মা, কারো প্রিয়তমা, কারো ভাই, কারো স্ত্রী – “শপথ করো আবার দেখা হবে” – কিন্তু প্রায় সকলেরই চোখের কোণের জল টের পাচ্ছে যে এই শপথ রক্ষার প্রায় কোন উপায়ই নেই! সেদিনের দেখাই শেষ দেখা! ঠিক এমন ভাবেই বিদায় জানাচ্ছিলেন মাসাকি তাকাওকা তাঁর ছাত্রদের। মাসুকি তখন ইহিমে পার্বত্য এলাকার এক ছোট্ট গ্রামের কৃষি বিদ্যালয়ে পড়াতেন। সেই বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ছিল এক বিরাট চেরী গাছ। মাসাকি জানতেন আসল সত্যি – কিন্তু তবুও প্রত্যেক ছাত্রের হাতে হাত রেখে অঙ্গীকার করছিলেন যে আবার দেখা হবে স্কুল প্রাঙ্গণে ফুল ফুটে ভরে ওঠা চেরী গাছের তলায়। যুদ্ধের পর যেন তারা সবাই আবার স্কুল প্রাঙ্গণের চেরী গাছের তলায় ফিরে আসে। ... ...
ওনাকে ভারতের Commercial Art এর জনক বলে গিয়েছেন সত্যজিৎ রায়। মানুষটি ছিলেন স্বদেশীয়ানার "ফ্লেভারে" ভরপুর। Lipton Co. র কাজ হাতে নিয়েছিলেন এই শর্তে -- " আমি কিন্তু স্বদেশী চা বাগানের মালিকের বিজ্ঞাপনও বানাবো সাহেব ! ইচ্ছে হয় আমায় রাখো, নয়ত চল্লুম। " দেশের মানুষের জন্য বিজ্ঞাপন করতেন বিনা পারিশ্রমিকে। ... ...
পাঠসমলোচনা ... ...
পি.জি ওডহাউসের একটা গল্পকে গাউনের বদলে শাড়ি পরালে কেমন হয় - মানে অনুবাদ না করে রূপান্তর করলে কী দাঁড়ায় ব্যাপারটা, সেটাই দেখার চেষ্টা করেছে এই লেখা। ... ...
মনুষ্যচরিত্র ... ...
সমর সেনের লেখা 'বাবু বৃত্তান্ত' বইটি নিয়ে কিছু ভাবনা চিন্তা। ... ...
সলিল চৌধুরীর গানের যন্ত্রানুষঙ্গের বিবর্তন ... ...