.সন্দেহবাতিক ........... ক্ষমতায় এসেই দেশের সব নাগরিককে ‘চোর’ ঠাওরানো আসলে একটা ‘মহান’ দ্বিচারিতা------- চৌকিদারকে চোর ধরে দেখাতে হয়, চোর চোর বলে চিৎকার করলে হয় না। সমস্যার কথা, এ ক্ষেত্রে চিৎকার শুধু নয়, গোটা দেশের নাগরিকের জীবনযন্ত্রণা বাড়িয়ে দেওয়ায় আগুয়ান ভূমিকা নিয়ে খলনায়কের ভূমিকায় প্রযুক্তি। প্রযুক্তি তো আর নিজে নিজে হাঁটতে পারে না, তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় নিজেদের মতাদর্শ মতো- ‘নাচে কারা? তারা তারা !’ ... ...
বিলিতি কম্পানির বড় সাহেবদের জন্য সাপ্লায়ার সমূহ প্রেরিত "ডালা"। যত বড় সাহেব ততো বড়ো চ্যাঙারি। তাতে বাছাই করা ফল-বাদাম - বিস্কুট - চকলেট - রসে ডোবানো আনারসের "সুদর্শন" চক্র যেমনি থাকতো... থাকতো Gold Coin Apple Juice, সোডাপানি আর লাঠি হাতে বুড়ো ছাপ কালো বাক্সের লালজলের বোতল। কেন জানি সেটা দেখলেই আমার 'আবোলতাবোল' এর 'কাঠবুড়োর' কথা মনে হতো ! ... ...
সিদ্ধার্থ যদি দুহাজার বছর আগে না জন্মে এই দুর্মর পলিটিকাল-কারেক্টনেসের যুগে জন্মাতেন, সুজাতার হাতে পায়সান্ন খেয়ে তাঁর আর বুদ্ধদেব হওয়া হতনা। বদলে হাজতে বসে পুলিশের পিটুনি আর মোটা চালের ভাত খেতেন। বৌদ্ধধর্ম লাটে উঠে যেত, নির্বাণ লাভ আরও কয়েক জন্ম পিছিয়ে যেত, কারণ মাথায় যা মামলা চাপত, তাতে মিনিমাম ১৪ বছর জেল। একে তো নাবালিকা সুজাতাকে ফুসলানোর অপরাধে শ্লীলতাহানির কেস। তারপর "বিয়ে করে বৌ-ছেলেকে ফেলে পালিয়েছিস?" বলে প্রতারণার চার্জ । রিগ্রেসিভ-প্রগ্রেসিভ চুলচেরা বিশ্লেষণে অভ্যস্ত সমবেত ভদ্রমহোদয় ও মহিলাগণ মিডিয়া এবং সোশাল মিডিয়ায় হাঁ করে কেসের ধারাবিবরণী গিলতেন, তারপর "বেশ হয়েছে, আর পালাবি?" বলে হাততালি মারতেন। ... ...
মাত্রাছাড়া হয়ে গেছে "এগিয়ে চলা" "জনপ্রিয়" মিডিয়ার এই ছ্যাবলামো। এ আর সহ্য করা যায়না। ... ...
'রমণীসিরিজ'; নামেই বোধগম্য এই কাব্যসিরিজের চরিত্র রমণীসংকুল। বিভিন্ন যুগের বিভিন্ন নারীদের নিয়ে, তাঁদের ছক ভাঙার গল্প, প্রথাকে উপেক্ষা করার সাহস মূলত উপজীব্য। ... ...
মধুর ঠোঁট থেকে সিগারেটটা পড়ে গেল। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে লোকটাকে আচমকা ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ছুটে পালানোর চেষ্টা করল সে। পারলো না, আরও দু জন লোক কাছেই ছিল, একজন মধুকে ল্যাং মারল, সে উলটে পড়ে যেতেই চার জন মিলে তাকে ধরে পিছমোড়া করে হাতে হাতকড়া লাগিয়ে দিল। তারপর কোমরে দড়ি পরিয়ে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে চলল পাশের গলির দিকে, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে একটা পুলিশের গাড়ি। মধুকে তাতে তুলে বেরিয়ে গেল গাড়িটা। আশেপাশে জড়ো হওয়া লোকেরা হাঁ করে তাকিয়ে থাকল। ... ...
এটা আসলে ট্রেনের গল্প। আমার বাবা নেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথ, পেশায় রেল-কর্মচারী - বছরে দু-দুটো পাশ পেতেন আর আমরা পুজোর ছুটি, শীতের ছুটি দেদার ঘুরে বেড়াতাম এদিক-ওদিক। প্রায়ই প্ল্যান শুরু হতো পুষ্কর লেক দিয়ে, শেষ হতো পাশের পাড়ায় পুরীর বীচে। কখনো আবার হঠাৎ করে দেখতাম একগাদা কিচিরমিচির করা ফ্যামিলি নিয়ে চলেছি পাহাড়ে বা সমুদ্রে। ইস্কুল থেকে কলেজে উঠে তো আরো মজা, ফি বচ্ছর শিক্ষামূলক ভ্রমণ হয়, একজন অসহায় টিচার, আর একগাদা উচ্ছৃঙ্খল জনতা। আমাদের সেই ছোটো আর মাঝারি-বেলার সব গরমের ছুটি যদি একটা আঁতেল আর্ট ফিলিম হয়, তার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হবে শুধুই কু-ঝিক-ঝিক এবং ফাঁকে ফাঁকে 'চায়ে গ্রম চায়ে'। ... ...
যুগে যুগে দুর্বৃত্তের সূর্যের মত প্রখর তেজে পিঠ রেখে সত্য কায়ার ছায়ার খেলা দেখিয়ে দুরাচারী দামালকে শাসন করতে পারে, মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব কমাতে পারে এমন এক মায়ের সন্ধানে আমরা নই কি! অন্বেষণ থেকেই হয়ত হবে আবিষ্কার! সেদিন দামাল ছেলে শাসন করতে গিয়েই হয়ত আবিষ্কৃত হবে শাসনের আর এক নতুন কোন পন্থার! ... ...
পৃথিবীর আরো নানাবিধ জিনিসের মত বাটিকের উৎপত্তি নিয়েও টানাবাহানা আছে – বিশেষ করে যখন আজকে যাকে বাটিক বলি তেমন ডিজাইনের কাপড় দেখা গেছে ভারত, চীন, মিশর থেকে শুরু করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নানা জায়গায়। এই সব জিনিস নিয়ে বিতর্ক শেষ হয় না – কথায় বলে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু! তবে মোটামুটি আজকাল যা স্বীকৃত তা হলে বাটিক পদ্ধতির উৎপত্তি হয়েছিল আজকের দিনের ইন্দোনেশীয়া দেশের জাভা দ্বীপে। বাটিক শব্দটির উৎপত্তি জাভা থাকে, মূল শব্দ ছিল ‘আমবাথিক’। জাভানীজ ভাষায় ‘আমবা’ মানে হচ্ছে চওড়া বা বৃহৎ এবং ‘থিক’ শব্দের অর্থ ‘বিন্দু’। এই ভাষাতেই বাথিকান শব্দের অর্থ আঁকা বা লেখা। কালের ক্রমে ইন্দোনেশীয়ার মূল স্রোতে যখন বাথিকা মিশে গেল তখন ‘থিক’ শব্দবন্ধ উচ্চারিত হতে লাগল ‘টি’ দিয়ে এবং সেই থেকেই আজকের বাটিক শব্দটি। ... ...