মাতৃভাষা দিবস এবং তার উৎসব, পুজো এখন একটা নেশা। জীবনের সঙ্গে, জীবনের গল্পের সঙ্গে, বাস্তব জগতের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন। ... ...
নিছক আবেগ না। তখন প্রশ্নটা ছিল পেটে লাথি খাওয়ার। জীবন জীবিকার প্রশ্ন। রাষ্ট্র ভাষা উর্দু হলে কি হবে তা দেশ ভাগের অল্প দিনেই বুঝে গিয়েছিল বাঙালী। তাই আবেগের প্রশ্ন ছিল না, ছিল জীবনের প্রশ্ন। তৎকালীন বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ সবাই বুঝে গিয়েছিল উর্দু রাষ্ট্র ভাষা হলে এই জীবনে আর পাকিস্তানের সাথে পেরে উঠা যাবে না। দেশ ভাগের পরেই যখন মানি অর্ডার ফরম, ডাক স্ট্যাম্প, চিঠির খাম সব উর্দু ভাষায় এসে হাজির হল তখনই বুঝা হয়ে গিয়েছিল উর্দু রাষ্ট্র ভাষা হলে আসলে কত বড় সর্বনাশ হবে। তাই ভাষা আন্দোলন ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। ছিল জনগণের আন্দোলন, যার নেতৃত্ব দিয়েছিল ছাত্ররা। তাই শহিদের তালিকায় এক বরকত ছাড়া আর কাওকে ছাত্র খুঁজে পাই না, সবাই কর্মজীবী, খেটে খাওয়া মানুষ। ... ...
ধর্মের সৃষ্টি হয়েছিল হয়তো সামাজিক বিধি-বিধান থেকে অথবা আশঙ্কা ও উদ্বেগ থেকে মুক্তির আশায়। কিন্তু সেই ধর্মই এখন সারা বিশ্বের অন্যতম উদ্বেগের মূল কারণ ... ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
ঘনাদা থুড়ি বেণুদা তখন বলছেন রিঙ্কুর সাথে তাঁর প্রেমের গল্প। ‘বুzলেন আমি তো মুসলমান আর ও হিন্দু, তা রেজেস্ট্রি করেসি, হিন্দুমতে আর মুসলমান মতেও বিয়ে করেসি। তিনবার বিয়ে করেসি। তা হিন্দু বিয়ায় জিগ্যাস করে গোত্র কী? আমি বলে দিসি হিমু গোত্র। পুরুতেও বিয়া পড়ায় দিসে।‘ ... ...
তা ব্রজেন বাবু হেল্প করলেন। উনার কথাতেই অন্নপূর্ণা যাত্রা অপেরা ডেকে পাঠালো অরুণ কুমারকে একদিন। অরুণকুমার গিয়ে দেখলেন একদমই নতুন ধরণের যাত্রা – নাম “শের আফগান”। সেখানে আলি কুলী খাঁ-য়ের চরিত্রে অভিনয় করছে কম বয়সী, কিন্তু তুখড় একজন ছেলে। সেই ছেলেই পরে শান্তিগোপাল নামে বাংলার ঘরে ঘরের নাম হয়ে ওঠে। অরুণের জন্য ওঁরা ভেবেছিলেন কুতুবউদ্দিন কোকা-র চরিত্র। তবে চরিত্রে ফাইন্যাল করার আগে যাত্রার পরিচালক অরুণকুমারকে টেষ্ট করে নিতে লাগলেন – একটা অন্য কোন যাত্রাপালা থেকে বড় ডায়লগ তাঁকে পড়তে দিলেন, আরো বললেন অভিনয় করে দেখাতে। ... ...
টুরিস্ট-ম্যাপের বাইরে অজানা এক জায়গায় হানা দেওয়ার কাহিনী... ... ...
বইয়ের রিভিউ ফেসবুকে কীভাবে লিখবেন (অথবা লিখবেন না)। ... ...
কেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বাঙালির এতো প্রিয়? ... ...
দার্জিলিং জেলার মিরিকের কাছে চা বাগান ঘেরা একটা ছোট্ট গ্রাম তাবাকোশি। যে চা বাগানের মাঝে আমাদের হোমস্টে তার নাম মাগারজাং টি গার্ডেন। প্রচুর কমলালেবু পাওয়া যায় বলে জায়গাটিকে অরেঞ্জ ভ্যালিও বলে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা। অন্য সব পাহাড়ি গ্রামের মতোই এখানে সুস্থ, কর্মঠ মানুষের বাস। গোটা গ্রামে তাই একটিও ওষুধের দোকান নেই। নেই কোনো মিষ্টির দোকানও। ... ...
কুরোসাওয়া ক্রমশঃ মানিক বাবুর পারিবারিক বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। উনি বিজয়া রায়-কে ডাকতেন “জয়া – সান” বলে। ‘সান’ হল জাপানী ভাষায় এক সম্ভ্রম সূচক সম্বোধন – পুরুষ, মহিলা দুই দলকেই বলা যায়। যেমন প্রথম প্রথম কুরোসাওয়া সত্যজিৎ রায়কে ডাকতেন “মাষ্টার-সান” বলে। কিন্তু মানিক বাবু বেশ অপ্রস্তুত হয়ে একদিন বললেন, “আপনি আমাকে প্লীজ এই ভাবে মাষ্টার বলে ডাকবেন না সবার সামনে – বেশ লজ্জা লাগে”। তারপর থেকে কুরোসাওয়া উনাকে সবার সামনে ‘মিঃ রায়’ আর একান্তে ‘মাষ্টার-সান’ বলে ডাকতেন। ... ...
মজুমদার মশাই সেদিন নাস্তানাবুদ হয়ে গিয়েছিলেন দুই সুন্দরী শিল্পীকে বোঝাতে 'হেথা শুধু বাণী... দরশ নাহি জানি'। তবে ওই এক অনুষ্ঠানে ওনার নিশ্চয়ই পদোন্নতি নিশ্চিত হয়েছিল ... ...
চাইলেই গেরুয়া পরা যায় না। রামকৃষ্ণ মিশনে পড়ার সুবাদে দেখেছি প্রথম স্তরে ব্রহ্মচারীরা সাদা পরতেন। সেখান থেকে গেরুয়ায় উত্তরণের জন্য পরিশ্রম করতে হত। ঐতিহাসিকভাবে গেরুয়া বসনের উৎস যেটুকু শুনেছি তা হল- সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী বা ভিক্ষুরা কোনো মূল্যবান বস্তু এমনকি সাধারণ বস্ত্রও উপহার নিতে পারতেন না গৃহীদের কাছ থেকে। পরিত্যক্ত বস্ত্র সংগ্রহ করে মাটি দিয়ে রঙ করে পরতে হত। সেখান থেকেই গৈরিক রঙের জন্ম। গিরিমাটির রঙকে গৈরিক বলা হত। ... ...
কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে উপরে যে ভিডিওর কথা বললাম তা। আপনারা বাংলা সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন ইংরেজিতে! বাংলা আসলে কোথায় মারা যাচ্ছে তা বুঝতে রকেট সাইন্স জানতে হবে না, মাথাটা একটু নরম হলেই খুব বুঝতে পারতেন। ওই ভিডিওটা দেখার পরে আমি কল্পনা করার চেষ্টা করলাম যে ঢাকায় একুশে বই মেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা হচ্ছে, বিষয় বাংলা সাহিত্য আর কোন এক বাঙালী বক্তা ইংরেজিতে কুস্তাকুস্তি করছেন! কল্পনা করে আমি শিউরে উঠেছি, বেশিদূর যেতে পারি নাই কল্পনাকে টেনে নিয়ে। ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...