আরেক শঙ্কিত দেশ ফিনল্যান্ড। তাঁদের অবশ্য বাঙ্কার আছে। খবর পাই সেখানে, বিশেষ করে পূর্ব অঞ্চলে, মানুষজন অস্ত্র সংগ্রহ করছেন। ১৯৩৯ সালের শীতকালীন যুদ্ধে ( উইন্টার ওয়ার) ফিনরা সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণ কেবল ঠেকান নি, কষে কয়েক ঘা দিয়েছিলেন। এবার স্থিতি বেশ জটিল। রাশিয়ান মতিগতির সম্বন্ধে সন্দিহান ফিনল্যান্ড ন্যাটোর দ্বারস্থ হবে – এটি সেই লাল শালু যা দেখলে শ্রী পুতিন উচ্চকিত হয়ে ফিনল্যান্ডে হানা দিতে পারেন। শোনা যাচ্ছে সুইডেনও নিজেকে বিপন্ন বোধ করছে। শিগগির ন্যাটোর দুয়োরে করা নাড়তে পারে। ... ...
যে সমস্ত প্রবলেম সলভিং মডেল নিয়ে কাজ করেছি তার মধ্যে সিক্স-সিগমা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত DMAIC খুব কাজের মনে হয়েছে প্ল্যান্ট বা ফিল্ডে প্রয়োগ করতে। D = Define, M = Measure, A = Analuze, I = Improve, C = Control ব্যাপারটা অনেকটা “চক্রাকার পরিবর্তন্তে সুখানি চ সুখানি চ” কেস। দেখা গেছে আমরা অনেক সময় ছাড়াই ‘কনট্রোল’ স্টেপটায়। এই স্টেপটা সিরিয়াসলি না নিয়ে, এক বার কিছুর একটা সমাধান বা আপাত উন্নতি করেই আমরা হাল ছেড়ে দিই। ফলে এই সমগ্র চক্রটায় একটা বিচ্ছেদ চলে আসে। ... ...
".........হঠাৎ ডাক পড়লো তিন তলায় মানে ওটি’র সামনে। গিয়ে যা শুনলাম তাতে তো চক্ষু আমাদের ছানাবড়া। অপারেশন চলাকালীন নাকি কারেন্ট চলে যায় (জানিনা সেই মেশিন বিগড়ে ছিল কি না ?) আর তাতেই ল্যাপ্রোস্কপিক মেশিন সেই যে দেহ রাখে, তাকে আর সচল করা যায় নি ওটি’তে। স্বাভাবিক ভাবেই ডাক্তার আর ঝুঁকি না নিয়ে ওই অবস্থায় সেই মেশিনকে বা মেশিনের যে অংশ বাবার শরীরে ঢুকিয়ে অপারেশন করা হচ্ছিল সেই অংশকে বার করে (নিশ্চই টানাহ্যাঁচড়া করে – যা আমাকে বলাই হয়নি ! ) নেওয়া হয়েছে। তাই আবার আরেকদিন বাকি অপারেশন করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।......" বাকিটা পড়ুন - ... ...
কাগজে কলমে রোমানিয়ার ইউক্রেন সীমান্ত প্রায় ছশো কিলোমিটার লম্বা কিন্তু তার মাত্র অর্ধেকটা স্থলপথ। বাকিটা জলপথ- পার হতে হয় দানিউব নদী অথবা কৃষ্ণ সাগরের ব দ্বীপ দিয়ে। ক্যালে থেকে প্রধান রোমানিয়ান চেক পয়েন্ট সিরেত প্রায় বাইশ শো কিলোমিটার, আবশ্যিক বিরতি সহ চব্বিশ ঘণ্টার ড্রাইভ। সেখান থেকে ইউক্রেনের ট্রেন বা রাস্তার যোগাযোগ তেমন ভালো নয়। আরেকটা সমস্যা রোমানিয়ার নিজের আভ্যন্তরীণ পরিবহন কাঠামো। দু দশক আগে হাঙ্গেরিতে বাণিজ্যের সূত্রে গিয়ে দেখেছি ভিয়েনা থেকে বুদাপেস্ত (এম ওয়ান) এবং বুদাপেস্ত থেকে রোমানিয়ান বর্ডার যাওয়ার চমৎকার অটোবান (এম সেভেন) তৈরি হয়ে গেছে। ... ...
মাথায় উলের টুপি গায়ে মোটা জ্যাকেট পরে দোকানী হয় উদাসমুখে বাইরে দাঁড়িয়ে রোদ্দুর মাখছেন নয়ত পাশের দোকানীর সাথে গল্প জুড়েছেন। ক্রেতার প্রতি আবাহনও নেই বিসর্জনও না। ক্রেতা নিতান্তই কিনতে আগ্রহী হলে স্মিতমুখে ভিতরে ঢুকে বিকিকিনিতে ব্যস্ত হন। দেখে ভারী আরাম লাগে, কারো বিশেষ তাড়া বা উত্তেজনা কিছু নেই। ... ...
...পথে পথে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ চোখে পড়ে। এদিক-সেদিক আগুনে পোড়া, ভাঙাচোরা ঘরবাড়ি, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল লাশ আর লাশ। নদীতেও ভাসছিল অসংখ্য মৃতদেহ। পুরো ঢাকা শহর তখন যেনো এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।... ... ...
অতএব সাধারণ মানুষের সঙ্গে আত্মার (পরবর্তী কালে, দেবতাদের ) সম্পর্কটা নির্বিঘ্নে হয়ে উঠছিল – Head you win, tail I loose – অর্থাৎ “হে আত্মা, হেডে জয় তোমার, টেলে আমার হার” ... ... ...
রামপুরহাট বগটুই বীরভূমের হত্যার রাজনীতি নিয়ে দু একটা ব্যক্তিগত কথা। ... ...
আপাত কঠিন মানুষগুলোও একা একা পথ চলতে চলতে, স্বাবলম্বীতার আড়ালে কোনও কোনও ঘটনায় বড্ড ক্লান্তি অনুভব করে .. কোথাও যেন একটা স্নেহবহূল স্পর্শের চাহিদা সবসময়ই রয়ে যায় তাদের মনের গভীরে... ... ...
[ আমার চোখে দেখা আর হৃদয়ে্র অনুভবে জারিত এই ছোট্ট ছোট্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনাগুলি এখনো মোছেনি আমার মাথার স্মৃতিকোষগুলোর থেকে। তার থেকে তুলে আনা এই মণি-কাঞ্চনগুলোয় যেমন পেয়েছি সাক্ষাৎ ভগবানদের, তেমনি কিছু কিছু সাংঘাতিক ঘটনা নেহাৎ-ই সহ্য করেছি উপায়ান্তরহীন যাপনে। ক্রোধে ফেটে পড়েছি মননে। রক্তচাপ বাড়িয়েছি বারংবার – মধ্যবিত্ত মনোভাবনায়। পেয়েছি আচম্বিত বাড়ানো হাত - অকাতর অকৃপন স্পর্শে। কৃতজ্ঞতাও হয়তো অব্যক্ত ছিল আমার পক্ষে সে সময়। তো এইসব ছিন্নবিচ্ছিন্ন ঘটনার কিছু রেশ গ্রন্থিত করছি প্রাণের আনন্দে। এখনো বেঁচে আছি, বেঁচে আছে আমার প্রজন্ম। তাই ভগবানের নামকীর্তন যেমন করেছি অক্লেশে, আবার সেই ‘আতঙ্ক’ চলচিত্রের মতো যেন কিছুই দেখিনি আমি হয়ে পাল্টেছি চরিত্র কিম্বা স্থান-নাম। মহাবীর-বুদ্ধ-নানক-রামকৃষ্ণের পুণ্যভুমিতে আজ হিংসা পৌনঃপুনিকতায় ছড়াচ্ছে বিদ্বেষের লাল আগুন। যে আগুন শুধুই ভস্ম-জন্ম আহ্বান করে। নিরুপায় আমি করজোড়ে মার্জনা চাইছি আমার এটুকু অপৌরুষেয়তার।] ... ...
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অমলবাবু বুঝলেন মনটা বেশ ফুরফুরে লাগছে। আসলে এটা কাল রাতের রেশ। রাত তখন প্রায় বারোটা। হাই উঠে গেছে গোটা পাঁচেক, ঘুম ঘুম পাচ্ছে। এমন সময় এল। কবিতার লাইন। কবিতা যারা লেখেন তাঁরা জানেন, কবিতা খুব মারাত্মক জিনিস। একবার এলে, যতক্ষণ না লিখে ফেলা হচ্ছে, পেটের ভেতরটা গুড়গুড় করে, মন আনচান। লিখে ফেললে তবে শান্তি। অমলবাবুও দেরি করেন নি। স্ত্রী সুরমা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছেন। চট করে কবিতাটা লিখে ফেলেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট। কিন্তু কটা লাইক পড়ল সেটা দেখার জন্য বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারেন নি অমলবাবু। ঘুমে চোখ জড়িয়ে এসেছিল। কটা লাইক পড়ল সেটা দেখার জন্য আজ একটু তাড়াতাড়িই ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন। ... ...
ঊনিশশো একাত্তরের মার্চ থেকে আজ এই দুহাজার বাইশ সালের মার্চ পর্যন্ত পৃথিবীতে কতগুলো যুদ্ধ হয়েছে? ... ...
তিনি মধুপ্রিয়। তাঁর পছন্দ নীল। তাই রুপোলি বুটিদার নীল রেশমের কাপড়ের পশ্চাৎপটে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত গৌরবর্ণ সুস্মিত দারুবিগ্রহের বুকের কাছে ধরা বাম হাতটিতে মধুর বাটি। হাতের ফাঁকে গোঁজা রয়েছে একটি হল। মাথার উপরে অনন্তনাগের প্রসারিত ফনার নিচে ডান হাতের মুঠিতে ধরা মুষল। তিনি বিষ্ণুর বাহন সর্পরাজ শেষাবতার। তিনি শ্রীকৃষ্ণের দাদা বলদেব। তিনিই তো হলধর কিংবা হলায়ুধ, বলরাম বা সঙ্কর্ষণ অথবা পুরীর মন্দিরে জগন্নাথদেবের পাশে বসা বলভদ্র। তিনি এক তবু অনন্য। বর্ধমানের রায়না থানার বোড়ো গ্রামে দশ হাত উঁচু, চোদ্দটি হাতের অনার্য-পূজিত প্রাচীন বলরাম মন্দির রয়েছে। যার উল্লেখ পাওয়া যায় ধর্মমঙ্গল কাব্যে -- "বোড়ো গ্রামের বলরামে নত কৈনু শির।" উত্তর কলকাতার রাজবল্লভ পাড়ার কাছে 'হারানো বলাই' মন্দিরও আছে। কিন্তু বেলেঘাটার শুঁড়া অঞ্চলে ইতিহাস-প্রসিদ্ধ রাজাবাহাদুরের গৃহদেবতা বলদেব ও শেষজায়া অর্থাৎ রেবতীরানির এই বিশেষ মূর্তি ভূ-ভারতে আর দ্বিতীয়টি নেই। বিভিন্ন মন্দিরে বা পারিবারিক দেবালয়ে রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ সুপরিচিত ও জনপ্রিয় হলেও বলদেব ও রেবতীরানির ঠাকুরবাড়ি একেবারেই ব্যতিক্রমী। শ্রীকৃষ্ণের দাদা, তাই পরিবারের ভক্তহৃদয়ে এই কুলবিগ্রহের মৌখিক পরিচিতি একান্ত আপনার 'দাদা-বৌদি' হিসেবেই। আর এই দারুবিগ্রহের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বঙ্গীয় এশিয়াটিক সোসাইটির প্রথম ভারতীয় প্রধান, বাংলার রেনেসাঁসের পুরোধা ব্যক্তিত্ব রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্রের নাম। রবীন্দ্রনাথ 'জীবনস্মৃতি'তে লিখেছিলেন, "রাজেন্দ্রলাল মিত্র সব্যসাচী ছিলেন। তাঁহার সঙ্গে পরিচিত হইয়া আমি ধন্য হইয়াছিলাম। রাজেন্দ্রলালের স্মৃতি আমার মনে যেমন উজ্জ্বল হইয়া বিরাজ করিতেছে, এমন আর কাহারো নহে।" তাঁর দ্বিশতজন্মবার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে চলতি বছরেই। ... ...
যত গভীরে ঢুকব দেখব তত মজার ব্যাপার – যেহেতু শুরু করেছিলাম যদুবাবুর চ্যালেঞ্জার দুর্ঘটনা নিয়ে লেখাটি উল্লেখ করে, তাই আজকের পর্ব শেষ করি যদু বাবুর লেখা দিয়েই। ওই পর্ব একজায়গায় উনি লিখেছেন, “উৎক্ষেপণের ঠিক ৭৩ সেকেন্ডের মাথায় চ্যালেঞ্জার ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বিস্ফোরণে – সাতজন নভচরের সকলেই প্রাণ হারান মুহূর্তেই”। এই যে “মুহুর্তে প্রাণ হারানো ব্যাপারটা”, এটা চ্যালেঞ্জার দুর্ঘটনা নিয়ে অনেকে লেখাতেই দেখা যায় – আদপে এটা একটা মিথ। এমনকি যেটাকে ‘বিষ্ফোরণ’ বলে জেনারেলাইজ করা হয় সেটা ‘ক্রু কম্পার্টমেন্টের’ জন্য প্রযোজ্য নয় – স্পেস শাটলটা ভেঙে টুকরো হয়ে গিয়েছিল, বিস্ফোরণে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায় নি। মহাসমুদ্রে আছড়ে পড়ার মুহুর্তেও ক্রু কম্পার্টমেন্টটি ছিল অক্ষত, এবং তার ভিতরে ক্রু এবং প্যাসেঞ্জারের অনেকেই বেঁচে ছিলেন তখনো! এই “মুহুর্তে প্রাণ হারানো” আর “মহাসমুদ্রের বুকে আছড়ে পড়ার পর মৃত্যু” এই দুই পৃথক তথ্য কি রুট কজ অন্যালিসিস-কে প্রভাবিত করতে পারে? পারে, প্রবল ভাবেই পারে। ... ...
আমাদের গ্রামে যে সব ইউক্রেনিয়ান পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হবে তাঁদের আজ এক লম্বা প্রশ্নোত্তরের ফর্ম ভর্তি করতে হচ্ছে – এই সব শিশু এবং তাঁদের মাতারা যে সন্ত্রাসবাদী বা অলিগারকের সন্ততি নন সেটি প্রথমে প্রমাণ করতে হবে। এই পদ্ধতির কেতাবি নাম ভেটিং। বিশ বছর আগে চেলসি ক্লাব এবং লন্ডন শহরে একাধিক অট্টালিকা কেনার সময়ে রোমান আব্রামোভিচকে ব্রিটেন কোন প্রশ্ন করে নি। আজ অন্তত মুখরক্ষার্থে ব্রিটিশ সরকার এইসব অপ্রিয় প্রশ্ন করছেন। মিখাইল ফ্রিডমান গত সপ্তাহে লন্ডনে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি নাকি সেই ডাক্তারের ২০০ পাউনডের ফি দিতে পারেন নি – সব টাকা আটকে আছে। ... ...
নমসেওয়াল হোমস্টে একটা বড়সড় তিনতলা বাড়ি আমার আগামী দুই সপ্তাহের বাসস্থান। লক ডাউন শুরু থেকে সেই যে ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু হয়েছে, ১৬ই মার্চ ২০২০ শেষ অফিসে গিয়েছিলাম কাজ করতে। এর মধ্যে অক্টোবর-২০২০ থেকে দেখছি পাহাড়প্রেমী লোকজন ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন করতে শুরু করেছে। সেই থেকে ইচ্ছে টিমস কলে জয়েন করব সামনে চোখ মেলে হিমালয় দেখতে দেখতে। সাপ্তাহিক টিম মিটিঙে ক্লায়েন্ট ম্যানেজারকে বলব এসো আমার ভিডিও অন করে তোমায় হিমালয় দেখাই। তো নানাকারণে হয়ে উঠছিল না। সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রতিভা তামাঙের সাথে আলাপ। ওঁদের কালিম্পঙের ফেসিলিটিতে নাকি গত জানুয়ারি থেকে ছেলেপুলেরা ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন করছে। নেটওয়ার্ক নিয়ে কোন ইস্যু নেই। মূল্যও যা বললেন তা খুবই সন্তোষজনক। প্রথমে ভেবেছিলাম ডিসেম্বরের শুরু থেকেই চলে আসব। তারপর নামদাফা ট্রিপ চলে এলো মাঝে, অতএব সেসব ঘুরে টুরে এলাম সোওজা কালিম্পঙ। কাল সক্কাল সক্কাল কাঞ্চনদাদু যদি দেখা দেয় তো তাঁকে চোখে নিয়ে অফিস জয়েন করে ফেলব। মুহাহাহা #WorkfromMountain #BucketListAchievement ... ...
[ আমার চোখে দেখা আর হৃদয়ে্র অনুভবে জারিত এই ছোট্ট ছোট্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনাগুলি এখনো মোছেনি আমার মাথার স্মৃতিকোষগুলোর থেকে। তার থেকে তুলে আনা এই মণি-কাঞ্চনগুলোয় যেমন পেয়েছি সাক্ষাৎ ভগবানদের, তেমনি কিছু কিছু সাংঘাতিক ঘটনা নেহাৎ-ই সহ্য করেছি উপায়ান্তরহীন যাপনে। ক্রোধে ফেটে পড়েছি মননে। রক্তচাপ বাড়িয়েছি বারংবার – মধ্যবিত্ত মনোভাবনায়। পেয়েছি আচম্বিত বাড়ানো হাত - অকাতর অকৃপন স্পর্শে। কৃতজ্ঞতাও হয়তো অব্যক্ত ছিল আমার পক্ষে সে সময়। তো এইসব ছিন্নবিচ্ছিন্ন ঘটনার কিছু রেশ গ্রন্থিত করছি প্রাণের আনন্দে। এখনো বেঁচে আছি, বেঁচে আছে আমার প্রজন্ম। তাই ভগবানের নামকীর্তন যেমন করেছি অক্লেশে, আবার সেই ‘আতঙ্ক’ চলচিত্রের মতো যেন কিছুই দেখিনি আমি হয়ে পাল্টেছি চরিত্র কিম্বা স্থান-নাম। মহাবীর-বুদ্ধ-নানক-রামকৃষ্ণের পুণ্যভুমিতে আজ হিংসা পৌনঃপুনিকতায় ছড়াচ্ছে বিদ্বেষের লাল আগুন। যে আগুন শুধুই ভস্ম-জন্ম আহ্বান করে। নিরুপায় আমি করজোড়ে মার্জনা চাইছি আমার এটুকু অপৌরুষেয়তার।] ... ...
সেদিন খুব ভোর ভোর সৌমিত্র হাজির হলেন উত্তমকুমারের বাড়ি। সেখান থেকে দুজনে গড়ের মাঠে যাবেন উত্তমকুমারের গাড়িতে করে। এমনটাই চলছিল বেশ কয়েকদিন। এমনিতে উত্তমকুমার আর সৌমিত্র দুইজনাই একদম সাহেবী টাইম মেনটেন করতে ভালোবাসেন। সৌমিত্র পৌঁছালে দুজনে এককাপ করে চা খেয়েই বেড়িয়ে যেতেন গাড়ি নিয়ে। অন্যদিনের মত বাড়ি ঢুকেই সৌমিত্র হাঁক দিলেন, “বৌদি, চা দাও”। কিন্তু সেদিন আশেপাশে উত্তমকুমারকে দেখা গেল না। বরং বাড়ির ভিতর থেকে দাদার আওয়াজ ভেসে এল, “পুলু, তুই খানিক বসে চা খা – আমি আসছি”। ... ...
কাশ্মীর সমস্যাকে আবেগ ও অনুভূতির জায়গা থেকে দেখতে হলে স্মৃতিকথার গুরুত্ব আছে। কাশ্মীরী পণ্ডিতদের হত্যা,উচ্ছেদ, উদবাস্তু হওয়া যেমন সত্য, সাধারণ কাশ্মীরী মুসলমানদের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ইতিহাসও কম মর্মবেদনার নয়। তাই এসমস্ত কিছুকে সামগ্রিক ভারসাম্যের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য এই আলোচনার অবতারণা। এখানে দৃষ্টিকোণ মূলত বইগুলির লেখকদের। ... ...
[ আমার চোখে দেখা আর হৃদয়ে্র অনুভবে জারিত এই ছোট্ট ছোট্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনাগুলি এখনো মোছেনি আমার মাথার স্মৃতিকোষগুলোর থেকে। তার থেকে তুলে আনা এই মণি-কাঞ্চনগুলোয় যেমন পেয়েছি সাক্ষাৎ ভগবানদের, তেমনি কিছু কিছু সাংঘাতিক ঘটনা নেহাৎ-ই সহ্য করেছি উপায়ান্তরহীন যাপনে। ক্রোধে ফেটে পড়েছি মননে। রক্তচাপ বাড়িয়েছি বারংবার – মধ্যবিত্ত মনোভাবনায়। পেয়েছি আচম্বিত বাড়ানো হাত - অকাতর অকৃপন স্পর্শে। কৃতজ্ঞতাও হয়তো অব্যক্ত ছিল আমার পক্ষে সে সময়। তো এইসব ছিন্নবিচ্ছিন্ন ঘটনার কিছু রেশ গ্রন্থিত করছি প্রাণের আনন্দে। এখনো বেঁচে আছি, বেঁচে আছে আমার প্রজন্ম। তাই ভগবানের নামকীর্তন যেমন করেছি অক্লেশে, আবার সেই ‘আতঙ্ক’ চলচিত্রের মতো যেন কিছুই দেখিনি আমি হয়ে পাল্টেছি চরিত্র কিম্বা স্থান-নাম। মহাবীর-বুদ্ধ-নানক-রামকৃষ্ণের পুণ্যভুমিতে আজ হিংসা পৌনঃপুনিকতায় ছড়াচ্ছে বিদ্বেষের লাল আগুন। যে আগুন শুধুই ভস্ম-জন্ম আহ্বান করে। নিরুপায় আমি করজোড়ে মার্জনা চাইছি আমার এটুকু অপৌরুষেয়তার।] ... ...