বাঘগুলো চিড়িয়াখানায় থাকত কিন্তু খাবার পেত না। একটু একটু পেত, পেট ভরত না। ওরা তাই এবার জঙ্গলে এল, সম্বার ডিয়ার এখনও খায়নি। দিয়ে এবার বাঁদরগুলো এসে কলা খেয়ে পালিয়ে যাবার আগে সম্বারগুলোকে মাথায় মেরে দিয়েছে। ... ...
আমি দুপুরবেলা ফুলের বীজগুলো মাকে দিলাম আর বললাম মা, তুমি কি এই বীজগুলো পুঁতে দেবে? মা বলল, হ্যাঁ প্রজ্ঞা, দেব। তারপর মা পুঁতে দিল বীজগুলো। আর আমি অপেক্ষা করতে থাকলাম। আমি রোজ জল দিয়েছি। কিন্তু এক সপ্তাহেও কিচ্ছু হল না। দেড় মাস পর চারা বেরোল। আরো দু ... ...
ঋভু,দুজন মাসিমনি তোকে যে গল্প লিখতে বলেছিলেন লিখলি নাতো! মা আমি তো লিখলাম, তুমি তো বললে ছোট কুট্টিরাও অনেক ভালো লেখে। তাছাড়া তুমি যে বললে আমার যখন স্পেলিং দেখলে লোক জখম হয়ে যাবে। ... ...
ঘুম ভেঙে দেখলাম অনেক লোক। কেউ হাসছে। কেউ কাঁদছে। কেউ শুধুই বসে আছে। তারপর বুঝলাম এটা একটা গ্রেভইয়ার্ড। আমি আমার নিজের কবরের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। আমি মরে গেছি চিরকালের মত। কি করেছি আমি যার জন্য কবর ছাড়া আমার আর কিচ্ছু পড়ে রইল না! ... ...
মা বলল, চৈতালি তোমার ফ্রেন্ড, না? ফ্রেন্ডদের বিটিং করে না আর ফ্রেন্ডদের সাথে সব শেয়ার করতে হয়। এই বলে মা আমার টিফিনবক্সে দুটো চকলেট দিয়ে দিল। আমি স্কুলে গিয়ে টিফিনবক্স খুলে একটা চকলেট চৈতালিকে দিলাম। চৈতালি খুব হ্যাপি হল আর বলল, সে। আমিও বললাম, সে। ... ...
একটা ছোট সাদা মাউপুষি ছিল। সে সারাদিন বাইরে বাগানে খেলা করত। বিকেল বেলা বাড়ি যেত। এক দিন বাইরে খেলতে খেলতে উঁচু গাছের মাথায় উঠে গেল। সেখান থেকে লাফিয়ে আকাশে চলে গেল। যেই না আকাশে গেছে অমনি আকাশের নীল রংটা তার সারা গায়ে লেগে গেছে। আর সাদা মাউপুষিটা নীল মাউপুষি হয়ে গেছে। বাড়ি আসার পর ওর মামা মাউপুষি, বাবা মাউপুষি, দিদা মাউপুষি সবাই বলছে "আমাদের সাদা মাউপুষি কোথায় গেল? ... ...
একটা পাখি বলেছে "তুমি ভালো করেছ'। কাক বলল ভাল থাকতে হবে। কাক বলল আজ থেকে আমি কুমিরের বন্ধু। কাক খুব খুশি- কুমির আসবে দুটো বাচ্চাকে নিয়ে। ... ...
একটা ছোত্ত বাচ্চা মেয়ে। মেঘের মেয়ে। সে টাইগারকে জিগ্গেস করলো, তোর নাম কী রে? টাইগার বললো, আমার নাম টাইগার ! মেঘবালিকা জিগ্গেস করলো, তুই কী করিস? টাইগার বললো, আমি খুব ঘুরে বেড়াই। মানুষ-টানুষ ধরে খাই। সব জায়গা দেখি। আমি খুব ভালো। মানুষদের খাই না। -সে কী রে? এই যে বল্লি, মানুষ ধরে খায়? -না, না, ও মানুষফানুষ কিছু খায় না। শুধু হরিণের মাংস খায়। ভালো টাইগার। ... ...
একটা লাল চিটি ছিল, একটা কালো চিটি ছিল, আর একটা সাদা চিটি ছিল। কালো চিটি আর সাদা চিটি লাল চিটিটাকে জিজ্ঞেস করল, হ্যাঁরে হ্যাঁরে, তুই এ রকম লাল কেন? তখন লাল চিটিটা বলল, আমি তো রক্ত খেয়েছি মানুষদের, তাই আমি এ রকম লাল। তখন লাল চিটি আর সাদা চিটি কালো চিটিটাকে বলল, হ্যাঁরে হ্যাঁরে তুই এত কালো কেন? তখন কালো চিটিটা বলল, আমি তো খুব রোদ্দুরে ঘুরেছি, তাই আমি কালো হয়ে গেছি। তখন লাল চিটি আর কালো চিটি সাদা চিটিটাকে জিজ্ঞেস করল, হ্যাঁরে হ্যাঁরে তুই এরকম সাদা কেন? তখন সাদা চিটিটা বলল আমি তো রোজ ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি মাখি, তাই আমি এরকম সাদা হয়ে গেছি। ... ...
নতুন একটা 'রাইড' এসেছে, তার নাম হল 'স্যাটার্ণ রাইড'। একটা বিরাট বড় বল আর তার চারপাশে 'রিঙ'। খুবই ভয়ংকর 'রাইড', কারণ সবাইকে ঐ 'রিঙের' ওপর বসতে হয় আর বলটা খুব জোরে ঘুরতে থাকে। শুধু টাক মাথা লোকেরাই এই 'রাইড' চড়তে পারে... ... ...
ওরা ১১ মিনিট ধরে হাসিঠাট্টা করতে লাগলো যতক্ষণ না ওরা একটা কুকুরের ডাক শুনতে পেল। সোমা ভাবল, "এটা কোন আওয়াজ হতে পারে?' অ্যানজেল ও সিলভেরি একসঙ্গে বলে উঠলো, "এটা একটা কুকুরের আওয়াজ কিন্তু এটা বেশ অন্ধকার দেখতে'। তাই ওরা দৌড়ে পালাল আর যে মলটাতে যাবার প্লান ছিলো সেই মলটাতে চলে গেল। ... ...
একদিন ওশানে আগুন লেগে গিয়েছিল। বেশি জল ছিলনা যেটা দিয়ে আগুনটা চলে যেত। ওশানে গাছ আছে। যখনি মশা বা মাছি বসে তখন ঐ গাছটা ওদেরকে খেয়ে নেয়। ওদের গায়ের ভিতরে যেটা থাকে সেটা বের করে দেয়... ... ...
মাকে খুঁজতে ও তখন আরো জোরে দৌড়তে শুরু করলো। ওকে স্টপ করলো একজন সিকিওরিটি। সে জিগেস করল "তোমার নাম কি?' লিলি বললো "আমি লিলি।' সিকিওরিটি বললো "তুমিই লিলি? তোমার মা অনেকক্ষণ ধরে তোমায় খুঁজছে।' লিলি জিগেস করলো "কোথায় মাম্মা?' সিকিওরিটি বললো "সোজা গেলে দেখবে তোমাদের অ্যাপার্টমেন্ট। তার সামনে তোমার মা দাঁড়িয়ে আছে।' লিলি ছুটে গেল। দেখতে পেলো মা দাঁড়িয়ে আছে। মাকে একটা বিগ হাগ দিলো ও। আর কোনোদিনও কিন্তু এরপর লিলি রং বাস স্টপে নামে নি। ... ...
লেখক এবং তাঁর সহকর্মীরা কিছুদিন আগেই একটি ছক্কা মেরে একটি গাড়ির সমূহ ক্ষতিসাধন করেছেন। লেখক এবং তাঁর সহকর্মীদের পরিবারবর্গকে যৎপরোনাস্তি অপমানিত হতে হয়েছে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে। লেখকের মায়ের মতে সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত এই কাহিনীর নাম হওয়া উচিৎ ""খারাপ ছেলের স্বপ্ন'' । লেখকের ইচ্ছা এই গল্পের নাম হোক 'দ্য ড্রীম টিম' ... ...
পাশেই একটা জায়গায় একটা জিরাফ একা একা দাঁড়িয়েছিলো। তাকে দেখে রাজের বড় দু:খ হল, কারণ ওই জিরাফটার কোনো বন্ধু ছিলো না। তাই রাজ ওই মাঠে আর একটা জিরাফ এঁকে দিলো আর তার পাশে দুটো গাছ এঁকে দিলো, যাতে ক্ষিদে পেলে ওরা গাছের পাতা খেতে পারে। জেব্রা, সিংহ আর চিতা দেখে কুমীরের দিকে যাওয়ার সময় রাজ দেখলো দুটো ছোট ছেলেমেয়ে উটের পিঠে চড়ে ঘুরছে। কুমীরের পুকুরের সামনে গিয়ে রাজ দেখলো পুকুরে একটুও জল নেই - কুমীরটা ডাঙায় শুয়ে আছে। তাই দেখে রাজ পুকুরে জল এঁকে দিলো। আর কুমীরটাও অমনি সরসর করে জলে নেমে গেলো। ... ...
যেদিন স্কুল থেকে অবসরে গেলেন-তারপর থেকে তিনি বলছেন আর আমি লিখছি চিঠি। মাজেদ - তোমাদের কাছে কখনো গুরু দক্ষিণা চাইনি। কিন্তু কিছু বই চাই। প্রাপক মাজেদ অথবা আলী নূর। কোন এক মোসাব্বির পাঠিয়ে দিচ্ছেন ডাকে কিছু টাকা। আমরা দুজনে মিলে বুক লিস্টি বানাতে লেগে যাই। আর চিঠি লিখি মুক্তধারায়, বাংলা একাডেমীতে-জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনীতে। কাউকে লিখি-ভিক্টর হুগোর অমনিবাস আমাদের দরকার। একদিন লিখতে দেওয়া হল একটি সাইনবোর্ড - সুভদ্রা স্মৃতি গ্রন্থাগার। ... ...
আমি গল্প লিখতে পারিনা, সবার সব কিছু অ্যাটেম্পট নেওয়াও উচিৎ না; ফলে এরপর অনেক প্রাইভেট টিউশন, ইউথ ফর ইকুয়ালিটি, রিসেশন, অনসাইট পেরিয়েও তিতিরকে খেলতে দিচ্ছি সুবাইয়ের সাথে। সুবাইয়ের বাবা শুকদেব আমার বাড়ির নীচের গ্যারাজে থাকতো একসময়, এখন প্লাম্ববিং-এর কাজ খুব ভালই করছে, ইন্দিরা যোজনায় বেশ সুন্দর একটা থাকার জায়গা বানিয়ে নিয়েছে, বিশ্বকর্মাপুজোর দিন ওদের বাড়িতে নেমন্তন্ন করে। তাই, তিতির সুবাইয়ের সঙ্গে বর-বউ খেলছিলো দেখে ওদের কাউকে কিচ্ছু বলিনি। ... ...
প্রথমে দেখতে পাই নি। ছিল হয়তো,খেয়াল করি নি। টিফিনের সময় চোখে পড়ল। বছরের মধ্যিখানে নতুন ছেলেপুলে ভর্তি হওয়া পাড়াগাঁয়ের স্কুলে এমন কিছু বিরল ঘটনা নয়। তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেইও। প্রথম দিন গোবেচারার মতো পেছনের বেঞ্চিতে বসে থাকবে,কেউ লক্ষ্য করবে না। দিদিম২৪৬৭;২৪৯৫; নাম জিজ্ঞেস করবেন, জানতে চাইবেন আগে কোন স্কুলে পড়ত। শহরের স্কুল থেকে এসে থাকলে নরম হেসে বসতে বলবেন। ... ...
পাহাড়ঘেরা সবুজ উপত্যকার মাঝে একফালি হ্রদ। রিশা নামে এক বাচ্চা মেয়ে ঐ উপত্যকায় রোজ তার গরুছাগলের পাল নিয়ে চরাতে যায়, ফিরে আসে সন্ধ্যায়। খুব ছোটবেলাতেই রিশার বাবা-মা মারা যান। ওর আর কোন ভাইবোনও ছিলোনা। তাই সে একাই থাকে। সারাদিন মাঠের ধারের একটা গাছের নিচে রিশা বসে বসে আকাশপাতাল ভাবে। কখনও বা ঘুমিয়েও পড়ে। ঘুমোলেই ওর স্বপ্নে হানা দেয় এক অদ্ভুৎ সুরেলা গান। মানুষের গলায় গাওয়া গান না, যেন বাঁশী আর অজানা আরো কিসের সব মিঠে ধ্বনি মিলেমিশে ঐ অপার্থিব সুর রচনা করেছে। রিশা ঘুম ভেঙে মুষড়ে পড়ে। ঐরকম একটা বাজনা থাকলে সে সারাদিন বসে বসে বাজাতে পারতো। ... ...
আজ দশ বছর পর সেই ঘরে দাঁড়িয়ে তিন ভাই-বোন। বহুদিন পর সবাই মিলে এক জায়গায় হওয়া গেছে। দিদিভাইয়ের বাচ্চা দুটো সারা ঘর জুড়ে ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছে। আলমারি ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ ছোট মেয়েটা একটা পুরনো শিশি বার করে এনে পিউকে দেখিয়ে বলল, "এটাতে কী আছে মিমি? তোমরা এরকম ধুলোবালি জমিয়ে রাখো কেন বোতলে করে?' উত্তরে অবাক হয়ে দেখল তিন জনের মুখে হাসি, চোখে জল। ... ...