হাতপাখা থেকে কুঁজো-কলসি, এক সময় বাংলার ঘরে ঘরে হরেক দৈনন্দিন কাজের জিনিসও ছিল পরমাশ্চর্য শিল্পে সজ্জিত। আজ তার সিংহভাগ চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার মুখে। মাটির সরা এমনই এক শিল্পের চমৎকার উদাহরণ। এই লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যের বিষয়ে একটি সাম্প্রতিক বই। পড়লেন লেখক ও লোকসংস্কৃতি গবেষক রঞ্জন সেন। ... ...
তিন নবীন কবির তিনটি বই। ‘এই প্রজন্মের নারীকবিদের কালো কবিতা এসব। মুখ গুঁজে বসে থাকতে হয় মেয়েদের এই যাপনের মধ্যে।’ পাঠ করে লিখছেন কবি চৈতালী চট্টোপাধ্যায়। ... ...
কলকাতার কথা। ঘাটের কথা, পথের কথা, সৌধ, ভাঙা বাড়ির কথা, প্রতিষ্ঠানের কথা, ফিল্মস্টার, চিত্রপরিচালকদের কথা, কিন্নরকণ্ঠীদের কথা, আবার একেবারে আটপৌরে মা-মাসিমাদের জীবনের কথাও। হাসি-ঠাট্টার কানায় কানায় ভরা চোখের জলও। ছোট বড় ব্যক্তিগত গদ্যে বিন্যস্ত আড্ডার মেজাজে লেখা দু’ পর্বের একটি বই। পড়লেন লেখক জয়া মিত্র। ... ...
রোগের ব্যাপক সংক্রমণ কী ভাবে বদলে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে মানবসভ্যতার গতিমুখ? সাড়ে চার দশক আগে লেখা একটি বইয়ে তা চর্চা করেছিলেন ইতিহাসকার উইলিয়াম হার্ডি ম্যাকনিল। ইতিহাসের এক সম্পূর্ণ ভিন্ন পাঠ। কোভিড অতিমারির এই অনিশ্চিত দিনকালে সে বই হয়ে উঠেছে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। পড়লেন জনস্বাস্থ্য-আন্দোলনের কর্মী, চিকিৎসক বিষাণ বসু ... ...
আলব্যের কামু-র মতো কালজয়ী ঔপন্যাসিকের ভাষ্যও আজকের আলজেরিয়ার ফরাসি সাহিত্যে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে। ম্যর্সো, কন্ত্র-অঁকেত (ম্যর্সো, পালটা অনুসন্ধান) নামের সাম্প্রতিক উপন্যাসে L’Etranger বা ‘আউটসাইডার’-এর কাহিনিকে পালটা ভাষ্যে পাঠকের সামনে হাজির করে হইচই ফেলেছেন এ সময়ের ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম নাম কামেল দাউদ, যাঁকে হত্যার ফতোয়া জারি করেছেন এক উগ্রপন্থী ইমাম। লিখছেন ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার শিক্ষক পার্থপ্রতিম মণ্ডল ... ...
বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই। পড়লেন দময়ন্তী এবং মো. সাইফুজজামান। ... ...
সম্প্রতি প্রয়াত হলেন চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত। অত্যন্ত সীমিত সুযোগ-সুবিধা ও গবেষণার পরিকাঠামো সত্ত্বেও তিনি একাধিক পুস্তক ও প্রবন্ধে যেমন রেখে গিয়েছেন পশ্চিমরাঢ়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতির তথ্যসমৃদ্ধ ব্যাখ্যা, তেমনই বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে গড়ে তুলেছিলেন এক গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা। খ্যাতি বা অর্থ নয় এই কাজেই ছিল তাঁর প্রাণের আনন্দ। তাঁর কাজের যথাযথ মূল্যায়ন জরুরি। জানালেন প্রত্নতত্ত্ববিদ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দ চেয়ার প্রোফেসর অফ সোশাল সায়েন্স রূপেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। ... ...
সম্প্রতি প্রয়াত হলেন বিজয়া মুখোপাধ্যায়, কবি, গদ্যকার, সংস্কৃতজ্ঞ। ‘নারীবাদী’ তকমার পাঁচিলে না ঘিরেও বলা যায় তাঁর লেখালেখি নারীবিশ্বের উঠোনে দাঁড়িয়েই। লিখছেন কবি চৈতালী চট্টোপাধ্যায় ... ...
পেদ্রো পারামোর দেশ থেকে আলো আসে, যদি তারে নাই চিনি, আমার সদর পুরো খুলবে না আর! অচিন ডানায় মেলা প্রেমের আহার, নেশা, রণের আহার তুমি কাছে টেনে নাও, শিস দাও মধ্যরাতে মেধার মাতাল, অপরিচয়ের ক্ষতে আলিঙ্গন রাখো, ... ...
কিন্তু আমার যাদবপুরে এম.এ. পড়তে আসাই হত না যদি না সেই গ্রীষ্মশেষের বিকেলে, কফিহাউসে গিয়ে টেবিল দখলের আগে, প্রেসিডেন্সির সিড়ির তলায় অপেক্ষারত প্রদ্যুম্ন ও আমার কাছে রীতিমত উদয় হয়ে, মানব বার্তা দিত, শহরে এক নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বসেছে এবং তাতে তুলনামূলক সাহিত্য নামে এক নূতন বিদ্যা চালু হচ্ছে। আমাদের অনার্সের ফল বেরিয়ে গেছে, আমরা স্নাতকোত্তরের দরজায়। মানব জানাল, সে কলকাতায় বাংলা না পড়ে যাদবপুরে তুলনামূলক সাহিত্য পড়বে। সেই বিভাগের প্রধান, বুদ্ধদেব বসুকে সে চেনে; তিনি তাকে উৎসাহ দিয়েছেন। ... ...
আর সেই বন্ধুত্ব অটুট ছিল বলেই ১৯৭০-এর দশকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আন্দোলন থেকে, আমেরিকায় ভিয়েতনাম যুদ্ধ-বিরোধী আন্দোলন থেকে যে বিপুল লেখাপত্তর উঠে আসছিল, তার সঙ্গে আমায় পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিল মানবই। আমি তো তখন একেবারে মূলধারার ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী ছিলাম। আর মানব কোনোদিন মেনস্ট্রিম ছিল না। মানব আমাকে, মিকিকে আর তিন্নিকে শত শত বই কিনে দিয়েছে। এই সম্পর্কটা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকবে কিন্তু এটাই মানবের সঙ্গে ছিল শেষদিন পর্যন্ত। আসলে সেসময়টাও অদ্ভুত ছিল—সেই সত্তরের দশক। চারপাশে আন্দোলন, বিরাট নারী-মু্ক্তি আন্দোলন হচ্ছে। সেসময় আমি আর মানব দুজনেই বিশ্বাস করতে শিখেছিলাম যে একটা কাগজ দিয়ে কোনো সম্পর্ক নির্ধারণ করা যায় না। আমরা সকলে একটা স্লোগান খুব ব্যবহার করতাম— The personal is political। ... ...
তুলনামূলক সাহিত্যের সঙ্গে তরজমার যে আত্মীয়তা তা মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো করে আর কেউ সম্ভবত দেখাননি। শুধুমাত্র ঘরের জানালা খুলে দিয়ে একটা মুক্ত এলাকা তৈরি করে তিনি সন্তুষ্ট থাকেননি। চেয়েছিলেন মননে স্বরাজ আনতে, তৃতীয় বিশ্ব বা এখনকার ভাষায় দুই-তৃতীয়াংশ বিশ্বের নানা স্তরীয় সমৃদ্ধ মায়াময় বাস্তবের আর পৃথিবীর অবদমিত মানুষের সংগ্রামের কাহিনি বাঙালি পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে। বিশ্বসাহিত্যের দরজায় এসে তিনি প্রশ্ন করলেন, কার বিশ্ব, কোন্ সাহিত্য? ... ...
মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি অবশ্য, আমার অন্তত মনে হয়, একটু অন্যরকম। তরজমাকারীকে আমার নদী পারাপারের বড়ো মাঝি মনে হয়। অনবরত দুই ভাষানদী পারাপারের অভিজ্ঞতা প্রকৃতপক্ষে লেখকের ‘আত্ম’-কে লুপ্ত করারই অনুশীলন। মানববাবু সেকথা বুঝতেন। এই ‘মিডিয়াম’ হিসেবে কাজ করতে করতে কণ্ঠস্বর বদলে যাবার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। সেটা মানববাবুর সম্ভবত অভিপ্রেত ছিল না। তিনি সর্বদা চাইতেন ‘নিজস্ব’ কণ্ঠস্বর নিয়ে কবিতায় ফিরে আসতে। হয়তো সেই জন্যই এত দীর্ঘ প্রতীক্ষা করতেন, প্রস্তুতি নিতেন। ... ...
এবার আমরা নজর দেব মানবেন্দ্রের নিজের লেখার দিকে—বিশেষ করে তাঁর কবিতার দিকে। আমি বলছি না যে অনুবাদগুলো তার নিজের লেখার বাইরে। তবু এটা ঠিক যে অনুবাদক হিসেবে তার খ্যাতির জন্য তার কবিতা যতটা চোখে পড়ার ছিল ততটা পড়েনি। তা ছাড়া অন্য কারণও আছে যা হচ্ছে আমাদের মানসিক অভ্যাস সবকিছুকেই খোপে খোপে গুছিয়ে রাখার। ভাসকো পোপার ভাষায় আমরা কেবলই ছোটো ছোটো বাক্স তৈরি করি ও জগৎটাকে ভাগ ভাগ করে তাতে পুরে রাখি। এই অভ্যাস যদি ছাড়ি তাহলে দেখব যে মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় চুপিসারেই অনেক কবিতা, গল্প ও ছোটো উপন্যাস লিখেছেন। যদিও তাদের প্রভাব কিছুটা পড়েছে তবু মানবেন্দ্রর অনূদিত সাহিত্য তার কবিতার নিজস্ব চরিত্র কেড়ে নেয়নি বরং তাকে সমৃদ্ধ করেছে। ... ...
কিন্তু এত কিছুর পরও তিনি সবসময়ই ভারতীয় সাহিত্যের কথা মনে রেখেছেন এবং বাঙালির কাছে বিভিন্ন ভাষার ভারতীয় সাহিত্যকে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন। এ ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি ছিলেন পুরোপুরি সচেতন। পাঁচ খণ্ডে ভারতীয় গল্পের অনুবাদ সম্ভবত তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ। এ ছাড়া দুই খণ্ডে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ভারতীয় গল্পের সংকলন তাঁর আর একটি স্মরণীয় কাজ। ভারতীয় সাহিত্য নিয়ে সারাজীবন ভেবেছেন ও কাজ করেছেন মানবেন্দ্র। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বাঙালিরা ইউরোপীয় সাহিত্যের প্রতি যত আকর্ষণ বোধ করে, ভারতীয় সাহিত্যের প্রতি ততটাই উদাসীন। তাঁদের চোখে ভারতীয় সাহিত্যও একটি প্রান্তিক সাহিত্য। তাই ভৈকম মহম্মদ বশিরের মতো দিক্পাল ভারতীয় লেখকের সঙ্গে বাঙালি পাঠকের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি উদ্যোগী হয়েছেন। ... ...
কোনো পাঠক যদি মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কৃত জুল ভের্নের অনুবাদ গল্পগুলি পড়েন, তিনি বুঝবেন এই অনুবাদ আসলে কতখানি রূপতৃষ্ণা নিয়ে ওই বিখ্যাত লেখকটির রচনার প্রত্যেক শব্দকে নিজের জন্যই যেন সাজাচ্ছে, যেন জুল ভের্নের মধ্যে আছে এক আশ্চর্য জগতের চাবিকাঠি এবং মানবেন্দ্র প্রত্যেক দুটি শব্দের মধ্যবর্তী ফাঁকে সেই চাবিকাঠিকেই খুঁজছেন, আর সঙ্গে নিয়েছেন নিজের পাঠককে, যে পাঠকের মধ্যে ঠিক তাঁর মতোই এক বিস্ময়পাগল চিরকিশোর লুকিয়ে আছে। ... ...
একবার সাত আটদিন এ ঠেক ও ঠেকে কাটিয়ে সোজা ইউনিভার্সিটি গেছি। চুল-দাড়ি জট পাকিয়ে বীভৎস দেখাচ্ছে। সিঁড়ি দিয়ে নামার মুখে আমাকে দেখেই খপাত করে পাকড়াও করলেন। “খালাশিটোলাতেই গড়াগড়ি খাওয়া হচ্ছিল বুঝি!” সঙ্গের বান্ধবীটিকে জিজ্ঞেস করলেন, “ওর বাপ কী করে? এত পয়সা পায় কোত্থেকে মাল খাওয়ার?” তারপর ট্যাঁক খালি শুনে পয়সা দিয়ে পাঠালেন চুল-দাড়ি কাটতে। নিজের ঘরে বসে বই পড়ছিলেন—আমি শ্মশ্রুগুম্ফহীন হয়ে সামনে গিয়ে দাঁড়াতে খুব খুশি হয়ে বাড়ি গেলেন। আমাকে কোনোদিন একবারের তরেও বলেননি খালাশিটোলায় যেও না। বরং হিজলিতে চাকরি করার সময় কবি শক্তি চাটুজ্জে একবার কেমন ওঁর বুকে চেপে বসে গলা টিপে মাল খাওয়ার পয়সা আদায় করেছিলেন সে গল্প শোনাতেন রসিয়ে। ... ...
উনি শেষ পর্যন্ত যখন ‘দ্য মেটামরফোসিস' পাঠটিতে এলেন আমি তখন এটুকু জেনে গেছি যে কিছুই আগে জানা হয়নি আমার। যত দূর মনে হয়, এই ছোটোগল্প পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকেই বোধহয় কাফকার উপন্যাস ‘দ্য ট্রায়াল’-ও পড়িয়ে দিয়েছিলেন। ওটা পাঠ্য ছিল না বলে পড়বার দরকার নেই এমন তো না। এ যুগের স্যারেদের মতো বেশি তথ্য দিলাম ফলে সব জমিয়ে রাখা জ্ঞানটুকু খরচ হয়ে গেল সেই ভয় ওনার ছিল না। জীবনদর্শনই ছিল জানা ও জানানোর। সিলেবাসে যা আছে, যতটা পড়ানোর কথা, তার থেকে সবসময় বেশি পড়িয়ে দিতেন। অনেক পরে দেখেছিলাম মেপে কাজ করা, মিতব্যয়িতা ও যৌক্তিকতা এইসব সামান্য খোপের মধ্যে আটকে পড়ে থাকার মতো মানুষ উনি নন। ... ...
স্মৃতিরোমন্থনের এই মুহূর্তে মনে আসছে তায়েব সালিহ্-র ‘A season of Migration to the North’ বা ‘উত্তরে দেশান্তরিত হবার মরশুম’ নামের ছোটো উপন্যাসটির কথা, মানববাবুর কথায়, “উত্তরে দেশান্তরিত হবার মরশুম প্রধানত সন্ধানের কাহিনি: অন্য একজন মানুষের পরিচয় খুঁজতে গিয়ে কী করে একজন শেষপর্যন্ত, নিজেকেই খুঁজে পেল।” এই উপন্যাসের শেষে উপন্যাসের কথক নদীর জলে ডুবতে গিয়েও, জীবনকে বেছে নেয়, সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করে ওঠে। তায়েব সালিহ্-র এই কথকের মতোই আমরা অনেকে নিজেকে খুঁজতে থাকি মানববাবুর লেখার মধ্যে। অনুবাদের জন্য যে টেক্সটকে নির্বাচন করেছেন, তার সঙ্গে আমরাও ঘুরেছি—উত্তর থেকে দক্ষিণে, কেন্দ্র থেকে প্রান্তে বা বলা যায় বিভিন্ন জানা-অজানা প্রান্তে। দেশ থেকে দেশান্তরে ঘোরার এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে, ভাষার বহুত্বকে অনুভব করলে বোঝা সম্ভব মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ডের স্বরূপকে। ... ...
অনুবাদের পাশাপাশি এইসমস্ত অসামান্য প্রবন্ধের মধ্যে দিয়ে মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দেখাতে থাকেন লাতিন আমেরিকার রক্তাক্ত ইতিহাস ও তার থেকে নতুন এক লাতিন আমেরিকাকে গড়ে তোলার স্বপ্ন কীভাবে সেখানকার সাহিত্যে ভাষা পাচ্ছে। লাতিন আমেরিকার বিদ্রোহী কবি কথাকারেরা ইউরোপীয় আখ্যান জগৎ থেকে সচেতনভাবে স্বতন্ত্র হতে চেয়েছেন। সেটা রচনার বিষয় ও প্রকৃতি উভয় দিক থেকেই। তাঁদের লেখায় রয়েছে এক বিশেষ ধরনের রাজনৈতিকতা, যা তাদের লেখার বিষয়বস্তু ও রীতিকে বিশিষ্টতা দিয়েছে। তাঁরা লাতিন আমেরিকার ইতিহাস জুড়ে যে শোষণ চলেছে ঔপনিবেশিক ও নয়া ঔপনিবেশিক যুগে, তাকে ও তার প্রতিক্রিয়াকে নানাভাবে ধারণ করতে চান তাঁদের গল্প উপন্যাসে। সম্পদের লুঠতরাজ, শ্রম শোষণ, স্বৈরতন্ত্র এবং সে সবের প্রতিক্রিয়াজাত দ্রোহ রাজনীতির ব্যাপারটি লাতিন আমেরিকান সাহিত্যে কীভাবে উঠে আসছে অনুবাদ ও প্রবন্ধের মাধ্যমে বাঙালি পাঠককে তার সাথে নিরন্তর পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন মানববাবু। ... ...