“শুনুন, এটা অনুসন্ধানের ইসরায়েলি কায়দা ! প্রথম জন আপনার সঙ্গে কথা বলে দ্বিতীয় জনকে পাঠাবার আগে রিপোর্ট দিয়েছে, আপনি কি বললেন। সেই লিস্টি মিলিয়ে দ্বিতীয় জন আপনাকে চেক করে। থিওরি হচ্ছে আপনি সত্যি বললে প্রতিবার তাই বলবেন, কোন ক্রিয়া পদ বিশেষ্য বিশেষণ একটু ওদিক হতে পারে,আপনার কণ্ঠস্বরে উষ্মা দেখা দিতে পারে। কিন্তু পর পর তিন বার ধারাবাহিক ভাবে মিথ্যে বলাটা শক্ত কাজ। নিরাপত্তার লোকেদের মনে সন্দেহ হলে আপনাকে পাঁচবারও প্রশ্ন করতে পারে। হিথরোতে আপনি ক্লিন চিট পেয়েছেন। যখন বেন গুরিওন হাওয়াই আড্ডায় নামলেন, আপনি একেবারে কোশার মানুষ ! এখন আপনি আমাদের অফিস কেন, এই উলটোদিকের পার্লামেন্টে গিয়ে একবার উঁকিঝুঁকি দিয়ে আসুন না !” ... ...
Tame birds sing of freedom, wild birds fly.... হাওয়াবিহীন দিনগুলিতে আকাশকে চুপসানো বেলুনের খণ্ড মনে হয় - ফ্রেমে আটকানো; যেদিন বাতাস ওঠে, নীল বেলুনের টুকরো ঢাউস শামিয়ানা হয়ে উড়তে থাকে, মেঘ আর ডানারা মোটিফ তৈরি করে - সাদা কালো লাল নীল মেঘ ছেনে ছোটো ডিঙি, বড় বড় পালতোলা নৌকো, বিশাল সব দুর্গ, হাতি, উট আর বুড়ো মানুষ। তার ওপর ঘুড়িরা লাট খায়, জেট চলে যাওয়ার ঘন সাদা লাইন ফিকে হতে হতেই একগুঁয়ে উড়োজাহাজরা উড়ে যায় আচমকা। পাখিরা চক্কর কাটে আর চক্কর কাটে, শেপ ফর্ম করে - ভি, ওয়াই, এম, এ, ডব্লিউ; কখনও তারা মানুষের কাছাকাছি নেমে আসে এমন, যেন ডানার কথা ভুলেই গিয়েছে। ঘাসের ওপর শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখি- ডান হাত মাথার নিচে, বাঁ হাত শুরু হয়েই শেষ হয়ে গিয়েছে, কাঁধের খুব কাছেই চেটো- তাতে তিনটে আঙুল। যেন ডানা। আমি হৃদয়রাম, পঁয়ত্রিশ বছরের এক্ট্রোড্যাকটাইলি পেশেন্ট। উড়তে পারি না অথচ বাঁ কাঁধে কারো হাত ঠেকলে খাঁচায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় পাই। আসলে এ'সবই ডানার গল্প। ... ...
উপত্যকার দিকে তাকিয়ে বেবাক পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কবি। মাথার ওপর যখন চাঁদ ওঠে তখন হাব্বা খাতুন পাহাড়ের বুকের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা সেই মেয়ে, জুন বা জুনি যার নাম ছিল, হঠাৎ কেঁদে ওঠে সে। সেই কান্না অথৈ জল হয়ে কিসেনগঙ্গার রূপ নিয়ে বয়ে চলে যায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কত রঙে সেজে ওঠে সেই পাহাড়। এখনও অপেক্ষায় আছে সে! ... ...
সাফল্যের সামান্য খতিয়ানে ধরা থাকে কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মেধা পুরস্কার। আর থাকে প্রতিরোধের আখ্যান। বিশ্বব্যাপী হিংসা, দেশব্যাপী বিদ্বেষের আবহাওয়ায় পরিবেষ্টিত বাঙালি, এখনো রূপ - যশ - জয় আকাঙ্খার সঙ্গে উচ্চারণ করে : দ্বিষো জহি। এত ক্লেদের মাঝেও, জাতি বর্ণের ক্লেদ, পড়শীর প্রতি ঈর্ষার ক্লেদ বাঙালিকে সম্পুর্ণ পাড়িয়া ফেলিতে পারে নাই। ... ...
অনেককাল আগের কথা। দেশ থেকে চাকরিবাকরি ছেড়ে সব পেয়েছি'র দেশ আমেরিকায় এসে ফের ছাত্র হয়ে পি এইচ ডি করতে ঢুকেছি আটলান্টা শহরে অবস্থিত জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে, সংক্ষেপে জর্জিয়া টেকে। তাও আবার সস্ত্রীক। একটা এক কামরার এফিশিয়েন্সি অ্যাপার্টমেন্টে থাকি দুজনে। সেখানে আমাদের রুমমেট কয়েক হাজার আরশোলা৷ অ্যাপার্টমেন্টের ছাত থেকে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে বলে সারাক্ষণ তলায় বসিয়ে রাখতে হয় একটা বালতি। শীতের কামড় থেকে বাঁচতে সেকেন্ড হ্যান্ড দোকান স্যালভেশন আর্মি থেকে কিনে আনি মৃত সাহেব-মেমের কোট। ... ...
বহু দিন ধরে ঐতিহাসিকরা, তাত্ত্বিকরা উৎস খুঁজতে চেষ্টা করেছেন এই দশকব্যাপী ভয়ানক, বিষময় সংঘর্ষের। কেউ দায়ী করেন অটোমান সাম্রাজ্যের পতনকে, কেউ ব্রিটিশ চক্রান্ত বা ১৯১৭-র বেলফোর ঘোষণাকে, কেউ বা বারংবার ব্যর্থ হওয়া শান্তিপ্রস্তাব অথবা বহু শতাব্দীর বঞ্চনার ইতিহাসকে। সেইসব কূট তর্কের মধ্যেই দ্রুত বদলে যায় জেরুজালেম, ইতিহাসের চিরস্থায়ী রক্তাক্ত রঙ্গমঞ্চ, যা একইসাথে ক্রিশ্চান, ইহুদি ও ইসলাম ধর্মবিশ্বাসী মানুষের পবিত্র ভূমি। কারুর বধ্যভূমি, কারুর নির্বাসন, কারুর বা প্রতিশ্রুত নিজভূম। ইতিহাসের ক্লাস নয়, একজন সাধারণ মানুষের ডায়রির পাতায় ধরে রাখা সেই আমূল বদলের একটুকরো ছবি, হীরেন সিংহরায়ের কলমে। ... ...
বাংলার বুকে বহুদিন বাদে গণআন্দোলনের ময়দানে খেটে খাওয়া মানুষের এই বিপুল অংশগ্রহণ এত দিনের নৈশব্দ ভেদ করে সকলের কাছেই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে জীবিকা নির্বাহ করার লড়াইয়ের পাশাপাশি কেন্দ্রের আগ্রাসী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান প্রকল্পের বিরোধিতা ধারাবাহিকভাবে করে এসেছে জাতীয় বাংলা সম্মেলন। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। অর্থনৈতিক দাবীদাওয়া এবং মর্যাদার প্রশ্নে লড়াইয়ের পাশাপাশি এই আন্দোলনের আরও দুটো দিক রয়েছে। একটি হল ৯৬ সালের অপারেশন সানসাইন বিরোধি আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০০৬-২০০৭-এর উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় কর্পোরেট উন্নয়নের এই মডেলকে চ্যালেঞ্জ করার প্রশ্ন। বাংলার বুকে হকার আন্দোলনের ঐতিহ্যকে মনে রেখে এখানে কয়েকটা কথা বলি। ১৯৯৬ সালে হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিল বামফ্রন্ট সরকার। সে প্রকল্পের নাম ছিল 'অপারেশন সানশাইন'। যুক্তিটা প্রায় একই রকম ছিল। আজ যেমন বলা হচ্ছে স্টেশনকে উন্নত করা হবে, স্টেশনটা যাত্রীদের, হকারদের নয়। সেদিনও বলা হয়েছিল ফুটপাথে হকার বসলে তা শহরের সৌন্দর্যের পক্ষে হানিকারক এবং সেই দৃশ্য মহানগরীর অন্ধকার ছবি তুলে ধরে। ... ...
বড়দাদীর ভাষায়, রিজিকে যা আছে তা জুটে যাবেই। তাই আজ এই দু-পদের সাথে যুক্ত হলো মাছ সুক্তোও। আর এই পদের যোগানদার – স্বয়ং মুসা। এমনিতে স্কুলে যাবার কথা শুনলে মুসা পালিয়ে যায়। কিন্তু আজ কোন ফাঁকে চলে গেছে স্কুলের উঁচু মাঠে – তা কারো জানা নেই। সেখান থেকে তুলে এনেছে এক গোছা বথুয়া শাক। আর এনেই বড়দাদীর কাছে বায়না ধরেছে বিক্রির। বড়দাদীও কম বোদ্ধা ক্রেতা না। বড়দাদী দরদাম করে এক টাকার বথুয়া শাক তিরিশ পয়সায় কিনেছে মুসার কাছ থেকে। সেই শাকই ভাগযোগ হলো বড়বাড়ির দুই ঘরে। ... ...
মায়ের চিন্তার কি আর শেষ আছে? সংসারের হাজারো খুঁটিনাটি কাজ সামলে একটু সময়ের জন্যও নিজের কথা ভাববার জো নেই মেনকার। সারাক্ষণ নানান চিন্তা মাথাতে জাঁতার মতো বনবন করে ঘুরে চলেছে। এদিকে আকাশপটের রঙ বদলানো মানেই হলো মেয়ের বাপের বাড়ি আসার দিন ঘনিয়ে আসা। উঠোনের বাইরে রাখা বড়ো পাথুরে চাট্টানের ওপর খড়ি দিয়ে আঁক কেটে কেটে শুভ সময়ের হিসেব রাখার পর্ব ... ...
কোভিড, বিধ্বংসী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বইপাড়ার বিবরণ ‘মার্কো পোলোর ভ্রমণ বৃত্তান্ত ২০২০’ আখ্যানে এসেছিল। বাঙালি যত আধুনিক হল, যত অর্থবান হল, বিনোদনের নানা উপকরণ পেতেই বই ত্যাগ করল। মধ্যবিত্ত, সংস্কৃতিপ্রবণ মানুষ কেউ কেউ বইকে আঁকড়েই বাঁচতে চাইল, স্বপ্ন দেখল। বাড়ি গাড়ি ভোগবাদের আতিশয্য বিসর্জন দিয়ে কেউ বাইরে মত্ত হল। ভোগবাদে ভেসে যাওয়া, ক্ষমতার অন্দরমহলে থাকা মানুষ বইকে অবহেলা করতে শুরু করল। বিমলের প্রতি অখিলের মনোভাবের মধ্য দিয়ে লেখক কালের ধ্রুব সত্যের তরঙ্গমালা এঁকে চলেন। ... ...
গল্প শেষ। বলার অপেক্ষা রাখে না যে ভিলমন্ত শুধুমাত্র পাস্তারনাকের কথা শুনেছিলেন। স্তালিনের কথাগুলো তাঁর বন্ধু তখনই নিজে তাঁকে বলেছিলেন। লাইনটা কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাস্তারনাক আবার ফোন করার চেষ্টা করেন। তিনি জানাতে চেয়েছিলেন যে মান্দেলস্তাম সত্যিই তাঁর বন্ধু নন, এমনটা নয় যে তিনি ভয় পেয়ে তাঁর সাথে বন্ধুত্ব অস্বীকার করেছেন। কিন্তু বৃথাই চেষ্টা, ফোন ডেড! ... ...
গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ ইউরোপে মশা পেয়েছি, মশারি পাইনি। তবে তাদের আক্রমণাত্মক মনে হয়নি। এখানেও কিছু গুঞ্জন শুনে ঘুমিয়ে পড়ি। পরের দিন ব্রেকফাস্টের সময়ে রজার বললে রাতে সে কিছু আরশোলার সম্মুখীন হয়েছিল। রিসেপশনে ফোন করে সঙ্কটের কারণ জানালে দু-জন মুশকো প্রহরীর আবির্ভাব হয়। তাকে খাটের ওপরে পা তুলে বসে থাকার আদেশ দিয়ে ঘরের এমুড়ো থেকে ওমুড়ো একটা ছোটো চাপ জালের মতো বস্তু নিয়ে তাঁরা সেই প্রাণীদের পিছনে ধাওয়া করে তাদের গ্রেপ্তার করেন। অতঃপর প্রহরীদ্বয় বিজয়ীর হাসি হেসে ইঙ্গিতে দুয়োর বন্ধ করতে বলে বিদায় নিয়েছেন। ... ...
দুশো? ঠিক আছে, বললেন গুরুদেব। আমি কিন্তু তোকে শান্তিনিকেতন ছাড়তে বলছি না। শান্তিনিকেতনে তুই কারো দয়ায় থাকিস না, এখানে থাকার অধিকার তোর স্বোপার্জিত। আমি শুধু তোকে নিজের চোখে, অন্যের প্রভাব ছাড়া, সম্পূর্ণ নিজের দৃষ্টিতে জায়গাটা দেখতে পাঠাচ্ছি। যতদিন ভালো লাগে, থাকবি। ফিরে আসতে ইচ্ছে না করে যদি, আসবি না। যদি ইচ্ছে করে ফিরে আসতে, কারোকে জিজ্ঞেস করবার দরকার নেই। এখানে তোর নির্দিষ্ট কাজ তো আছেই। ... ...
ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় গো.. প্রেম নিবেদন করায় সু.. জুতো খুলে ছুঁড়ে মারার ভঙ্গি করেছিল। সে তো রাধাও কৃষ্ণকে মারতে বাকি রেখেছিল প্রথম প্রস্তাবে। সেহারাবাজারে প্রেম মানে তো কোন দোকান বা পার্কে বসা নয়। ওই স্কুলে যাওয়ার সময় রিটায়ারিং রুমের যাত্রীদের সামনেই একটু আলাদা কথা বলা। চিঠি আদান-প্রদান। সেহারাবাজারে ছিল জংশন স্টেশন। বিডিআর ট্রেন। মিটার গেজ নয় একটু উন্নত। ধিকিধিকি চলে। দিনে দুবার ক্রশিং। সকাল দশটায়। বেলা সাড়ে তিনটায়। বাঁকুড়া থেকে ছেড়ে রায়না যায়। রায়না থেকে ছেড়ে বাঁকুড়া। সেহারাবাজার জমজমাট এই জংশনের কারণে। বহু লোক এসে দুড়দাড় করে নামে। ছুটে এসে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ওঠে। দুটো বাস দাঁড়াত। ... ...
এই মন্ত্রের অপূর্ব অনুবাদ আমরা পাই রবীন্দ্রনাথের রচনায় -- "বায়ু মধু বহন করিতেছে। নদী সিন্ধু সকল মধুক্ষরণ করিতেছে। ওষধি বনস্পতি সকল মধুময় হউক। রাত্রি মধু হউক, ঊষা মধু হউক, পৃথিবীর ধূলি মধুমৎ হউক। সূর্য মধুমান হউক।" বিশ্বজনীন কল্যাণ কামনায় ভারতীয় ঋষিদের এই প্রার্থনা গভীর আধ্যাত্মিক উপলব্ধি থেকে উৎসারিত। অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় মধুর ব্যবহারের কথা আমরা পাই গ্রিক মহাকাব্য ইলিয়াড ও ওডিসিতেও। ... ...
ভদ্রলোকের নাম সৈয়দ আমীর মির্জা,বয়স ৮৬ বছর। থাকেন কেল্লা নিজামতের ভেতরে হাজারদুয়ারি প্রাসাদের সন্নিকটে একটি বাড়িতে। ভদ্রলোকের সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৯ সালে, পরে আরও বহুবার দেখা হয়েছে। বর্তমানে অধিক বয়সের ভারে ও নানান শারীরিক সমস্যা জনিত কারণে ভদ্রলোক এখন ঠিক মতো হাঁটাচলাও করতে পারেন না, তবুও তাঁর সাথে কথা বললে ভদ্রলোকের আচার-আচরণ ও মার্জিত ব্যবহারই বুঝিয়ে দেয় তাঁর শরীরে আজও নীল রক্ত বইছে। ... ...
২০ জানুয়ারি, ১৮৭২। আজ আমাদের যাত্রা স্থগিত ছিল। শিকারের জন্য বেরোতে গিয়ে দেখি এগারোটা জিরাফের একটা পাল। এরকম একটার চামড়া পেলে কী ভালই না হত! এমপোকওয়া নদী পেরিয়ে আমি তাদের একজনের দেড়শ গজের মধ্যে আসতে পেরেছিলাম আর এটাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাই; কিন্তু, এটা আহত হলেও, পেড়ে ফেলতে পারিনি। ... ...
তামিলনাড়ু সরকারের মন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিনের ‘সনাতন ধর্ম’ প্রসঙ্গে মন্তব্যের জেরে জোর শোরগোল পড়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন এই বলে যে, বিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘সনাতন ধর্ম’ ধ্বংস করতে সচেষ্ট। তুমুল রাজনৈতিক বাদানুবাদের মধ্যে ‘সনাতন ধর্ম’ বিষয়টি প্রসঙ্গে কিঞ্চিৎ আলোকপাত করা অপ্রাসঙ্গিক হবে না। ... ...