এখনো সেই মানছি না, মানব না? বামপন্থী হয়েও আপনার স্ট্রীট কালচারের ওপর রাগ? খেয়াল করছেন না এখন ইতিহাসে সমাজতত্ত্বে সাব-অল্টার্ন নিয়ে কথা বলা ইন-থিং? স্ট্র্রীট কালচারটাই মেইন স্ট্রীম হয়ে যাচ্ছে? নতুন নন্দনতত্ত্ব তৈরি করছে মানুষ। মহারাষ্ট্রের দলিত সাহিত্য পড়েছেন। ওরা 'নীরস -তরুবর -পুরতভাগে" না লিখে " শুষ্কং-কাষ্ঠং-তিষ্ঠতি-অগ্রে"টাই লিখছে। ফুলন দেবীকে নিয়ে শেখর কাপুরের ফিলিমটা দেখেছেন? যেখানে ফুলনকে ধর্ষক বাবু লোহারের খপ্পর থেকে বের করে আনা প্রেমিক ডাকাতটি ওকে গুলি চালাতে শেখাচ্ছে? মায়ের গালিটি কেমন আদর মাখানো উচ্চারণে বলে ফুলনকে সম্বোধন করছে? শুনুন, যারা হানি সিং এর গান ব্যান করতে চাইছে আর যারা বিহারীরাই ধর্ষক বলছে তারা একই রাশির লোক, একই নক্ষত্রে জন্মেছে। মূল বিতর্কের ট্র্যাক বদলে দিচ্ছে। এরা আসলে পিতৃতান্ত্রিক মূল্যবোধকে আড়াল করতে চায়, বদলাতে চায় না। হানির গানে যদি তাৎকালিক চটকের বেশি কোন নান্দনিক আবেদন না থাকে তো কদিন বাদে বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। আজ ক'জন বাবা সায়গল শোনে? ওসব ছেড়ে শীলা দীক্ষিতের বাড়ির দিকে ধর্ণায় যাবেন তো বলুন। আমি যাচ্ছি। ... ...
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন চলে গেল। একজন রবীন্দ্র গবেষক হিসেবে কিছু একটা লেখা দরকার। আমার রবীন্দ্রগবেষণার শুরু ফেসবুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপস্থিতি নিয়ে এক ধ্রুপদি গবেষণার মাধ্যমে যা ২০১১ সালের মে মাসে এখানেই প্রকাশিত হয়েছিল। ধ্রুপদী শব্দের অর্থ বিজ্ঞ পাঠকেরা নিশ্চয়ই জানেন কিন্তু যদি কেউ থেকে থাকেন যিনি জানেন না তার জন্য বলছি ধ্রুপদী শব্দের অর্থ হল গুরুগম্ভীর, চিরায়ত, ক্লাসিকাল ইত্যাদি। উল্লেখ্য, শব্দের অর্থ আমি এইমাত্র অনলাইন অভিধানের সাহায্য নিয়ে জানলাম। এর আগে শব্দটির সাথে পরিচয় ছিল কবি হেলাল হাফিজের কবিতার খাতিরে, হয়তো তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি নয় তো গিয়েছি হেরে থাক না ধ্রুপদী অস্পষ্টতা কে কাকে গেলাম ছেড়ে। ... ...
যোহন বলিলেন, মানুষের যা অসাধ্য কাজ, কেমন করে সাধিব তা আজ। প্রভু বললেন, মনুষ্যের কথা ছাড়। পশ্চিমে তাকাও। বিস্তীর্ণ গোবলয় থেকে দেখ নিয়ে আসছি কেন্দ্রীয় বানরসেনা। এ বাহিনীতে প্রবেশ করতে গেলে সুললিত রাষ্ট্রভাষা জানা আবশ্যক। কোনো বঙ্গীয় যিহাদি এর মধ্যে প্রবেশে সমর্থ নয়। এরা কর্তার ইচ্ছায় কর্ম ও হুপহাপ করে। ব্যবহার কর। শব্দের মাধ্যমে ধর্মপ্রচার না হলে বজ্রপাতের ব্যবস্থা কর। ... ...
প্রত্যেক আবিষ্কারের যেমন একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, এই টেকনোলজিরও খুঁত ডিম বেচতে গিয়েই ধরা পড়ে। ডিমের ভেতরে ও খোসায় অধিক আয়রন থাকার দরুন কিছুদিনের মধ্যেই ডিমের গায়ে জল ও অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে জং পড়া শুরু হয় ও ফেরোসোফেরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়ে খাবার অযোগ্য করে তোলে। ডিম কোম্পানীরা কিছুদিনের মধ্যেই গবেষণার মাধ্যমে স্টেনলেস ডিম তৈরি করতে সক্ষম হয়, কিন্তু তার দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে হওয়াতে সাধারন মুরগির ডিম কেনাই মানুষের পক্ষে শ্রেয় হয়ে ওঠে। ... ...
বীরেনবাবু ভূগোল পড়াইতেন। তিনি ম্যাপ লইয়া ক্লাসে আসিতেন। দেওয়ালে ম্যাপ টাঙ্গাইয়া তিনি একে একে ছাত্রদের ডাকিতেন এবং কোনো এক বিশেষ স্থান, নদী, রাজধানী, পর্বত ইত্যাদি খুঁজিতে বলিতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাত্ররা ব্যর্থ হইত। তখন বীরেনবাবু সস্নেহে সেই বিফল ছাত্রকে কাছে ডাকিতেন এবং শুধাইতেনঃ 'ফুচকা খাইবি?'বলাই বাহুল্য, ভীরু ছাত্র মাথা নাড়িত। অতপর, বীরেনবাবু সেই ছাত্রের জুলফিদ্বয় দুই হাতের আঙুলে ধরিয়া উপরের দিকে আকর্ষণ করিতেন। তখন, সেই অসহায় বালক দুই পায়ের আঙগুলে ভর দিয়া মাধ্যাকর্ষণ অগ্রাহ্য করিয়া দন্ডায়মান হইত। নীচে নামিলে অধিক ব্যথার উদ্রেক হইবে। জুলফির আকর্ষণে পদযুগল মাটি ছাড়িয়া উপরে যাইলে অধিকতর যাতনা! এইরূপ ত্রিশঙ্কু অবস্থায় শাস্তিপ্রাপ্ত বালক ত্রাহি ত্রাহি রব ছাড়িত। ইহাতে হাস্যরসের উপাদান থাকিলেও সহপাঠীরা ইহাতে আদৌ কৌতূক পাইত না। ঘুঁটে পুড়িয়া যাইত, কিন্তু গোবর হাসিত না। শরতের আমলকী বনের ন্যায় বালকদিগের বুক আশংকায় দুরুদুরু করিত। না জানি কখন কাহার ডাক পড়ে? কাস্পিয়ান সাগর বা রাইন নদী চিহ্নিত না করিতে পারিলে অদৃষ্টে বীরেনবাবুর ফুচকা রহিয়াছে। ... ...
যৌন আধিপত্য নানা স্তরীয়। কে যে কাকে সুবিধে দেয় আর কে সুবিধে নেয়, বোঝা দায় বাইরে থেকে। বিস্তর ন্যাকাপনা করে, ক্লিভেজ বা কেশরাশি ব্যবহার করে কাজ হাসিল করা মেয়েদের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। পোশাক যখন স্টাইল স্টেটমেন্ট তখন তার মাহাত্ম্য আলাদা। তখন বিকিনি সুন্দর। স্প্যাগেটি টপ সুন্দর। হটপ্যান্ট সুন্দর। আবার আপাদমস্তক ঢাকা মধুবালাও সুন্দর। কিন্তু কোনটা স্টাইল স্টেটমেন্ট আর কোনটা সিডাকশন স্টেটমেন্ট সেটা তো বুঝতে হবে। ... ...
ধর্ষণ-চুম্বক: আপনার ধর্ষ-কাম যাহার দিকে ধাবিত তাহাই বেশ্যা। এটি একটি ব্যবহারিক সংজ্ঞা। বেশ্যা চিহ্নিত করিবার বহু-পরীক্ষিত পন্থা। ধর্ষণ করিয়া শিওর হওয়া যাইতে হইবে ইহাই ছিল আপনার অদম্য কামের লক্ষ্যবিন্দু। ... ...
দাদু মারা যাবার আগে অবধি মহালয়া মানে ভোরবেলা উঠে রেডিও চালিয়ে মা বাপির ঘুম ভাঙানো, তারপর টিভিতে আরেকপ্রস্থ দুর্গা অসুরের লড়াই, তার-ও-পর ছুটির আমেজে ... ...
হনুমানের লগে শেষ দেখা কথা মনে হয় সীতার। রাম রাজা হইবার পর সবাইরে প্রচুর দান-দক্ষিণা করে। সীতার গলায় সে পরায়া দেয় মূল্যবান একটা মুক্তার মালা। সীতা মালাটা পাইয়া আগায়া যায় হনুমানের দিকে- রানি হিসাবে এই মালাটাই আমার প্রথম আর এখন পর্যন্ত একমাত্র সম্পদ। মালাটা আমি তোমারেই দিতে চাই… হনুমান বিনীত হয়- বানরের গলায় মুক্তার মালা দিবা? যদি সারা জীবন এই কৃতজ্ঞতা ধইরা না রাখা যায়? সীতা কয়- তোমার কি মনে হয় ডর দেখাইলে আর ডরানোর মতো জায়গা বাকি আছে আমার? রাজ বাড়িতে বড়ো হইছি। কূটনীতিকের লগে যে আত্মীয়তাও বেশিদিন টিকে না সেইটা জানি। রাবণের বড়ো পছন্দের মানুষ আছিলা তুমি। সেই রাবণের কী দশা তুমি করছ সেইটা তো সকলেই জানে। তোমার কাছে আমার কোনো প্রত্যাশা নাই; আছে বেসুমার কৃতজ্ঞতা। এই মালাটা তুমি গ্রহণ করো… ... ...
আয়োজনের শেষ নেই। হাইপের চোটে অস্থির। লাখে লাখে লোক। কার্নিভ্যালের থেকেও বেশি ভিড়, বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালকেও বলে কয়ে টেক্কা দেবে। পায়ের চাপে যা ধুলো ওড়ে, তা শারজার মরুঝড়ের কাছাকাছি...এ বস্তু দেখলে চোখ কপালে না ওঠাই অস্বাভাবিক ... ...
জগৎ পারাবারের তীরে বিক্রম জগৎ পারাবারের তীরে লেগেছে কী ঝামেলা জুনের শেষ, জুলাই মাস ঝিলিক মরে স্বল্পবাস বাজিল বুঝি শীতের রাতে নিবিড় ভুভুজেলা ... ...
মুশকিলটা এইখানে, যে এই ধরণের কাজে গণতান্ত্রিকভাবে চাট্টি আলোচনা, বা কথা বলাটা গ্রাহ্য নয়। পাবলিক বলতেই পারে, এইসবই তারা করে আসছে শতশত বছর ধরে, কিন্তু বললেই শুনতে হবে, এরকম ধাষ্টামো করার সাহস ও শিক্ষা আমাদের থাকবে কেন? ছাগুলে পাবলিকের পাগুলে কথা নাহয় বাদই দেওয়া হলো, কিন্তু এমনকি আমাদের সিভিল ইÏনিয়ার ভাইবোনেরা ও উচ্চপদাসীন বিশেষজ্ঞরাই বা খবরের কাগজে - টিভিতে-মায় ফেসবুকে নিজেদের মতামত দেখে পুলকিত হয়ে ওঠার নাবালক লোভে বিশু থেকে শিশু হয়ে উঠছে আর আমরা সেই দেখে ধিনিকেষ্ট নাচ জুড়েছি। এভাবে হয় না। এজলাসে এই মোকদ্দমা উঠলে এই এতগুলি পণ্ডিতের রায় শুধু এক্তিয়ারবহির্ভূতই নয়, এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই দায়িত্বজ্ঞানহীন হিসাবে গণ্য হতে পারে। ফলতঃ, আমোদগেঁড়ে জনতা নিজেদের মধ্যে প্রতর্ক করুক। কিস্যু আসে যায় না। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ কেউ সম্পূর্ণ ঠিক কথা বলে থাকলেও না। সোসাল মিডিয়া আর খবরের কাগজে চ্যানেলে বসে এসব হয় না। তাই অন্ততঃ সাংবাদিক ভাইবোনদাদাদিদিবেয়াইবোনাই সকলকেই করজোড়ে অনুরোধ, এই বিশেষজ্ঞ মতামতটা দেওয়া একটু তামাদি রাখুন না। অনুভব করছি, তাই বলছি। ... ...
ধুধু গ্রীষ্মের দুপুর। সুস্তনী, নিবিড়নিতম্বিনী, মদালসা সবিতাভাবী সোফায় এলিয়ে বসে আছেন। তাঁর আঁচল খসে পড়েছে (বাহ্যতই প্রতিভাত হচ্ছে), শরীরটা কেমন যেন পাগল পাগল লাগছে। এমন সময় দরোজায় টক্ টক ্। কে? ম্যাডাম, আমি। আমি মহিলাদের অন্তর্বাস বিক্রি করি ম্যাডাম , একবার পরখ করেই দেখুন না আমার জিনিস। সবিতাভাবীর চোখে বিদ্যুৎ, গায়ে রোমাঞ্চ। স্বামী বাড়ি নেই, এই সুযোগ। ... ...
এই ধরণের বিভেদকামী চরিত্রের পবিত্র গ্যল ভূমিতে, মহান গ্যল ঐতিহ্যের সাথে কোন সংস্রব থাকতে পারেনা। সর্বোপরি টিনটিন বেলজিয়ান এবং বিদেশী। এই দাবীর চরম পরিণতি হিসেবে, তাঁরা ‘আরেকবার ধাক্কা দাও, মার্লিনস্পাইক গুঁড়িয়ে দাও’ হুঙ্কারে সেই প্রাচীন প্রাসাদটি ধূলিসাৎ করেন। সারা ফ্রান্সে অ্যাস্টেরিক্সের মন্দির-সৌধ-সংগ্রহশালা তৈরীর জন্য দাবী ওঠে। টিনটিন অনুরাগীদের প্রতি বিদ্বেষ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। প্রচুর ভাংচুর-দাঙ্গা হাঙ্গামা হয়। টিনটিন অনুরাগীদের বেলজিয়াম চলে যেতে বলা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় টিনিটিনের কুকুর কুট্টুসের মূর্তির নীচে ‘ডগমাটিক্স’ (ওবেলিক্সের কুকুরের নাম) লিখে দেওয়া হয়। ... ...
লকডাউন পিরিয়ড কর্মহীনতাকে মাত্রাছাড়া করে তুলেছে। ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির ফাঁদে পড়ে বহু ছাত্রকেই আয়ের পথ খুঁজে বেড়াতে হচ্ছে। যে ছাত্রকে আজ সুদিনের আশায় অব্যহতি দেওয়া হল সে ফিরতি বছরে আদৌ স্কুলমুখী হবে কিনা তা বলা মুশকিল। গোটা বিশ্বেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে অতিমারীর প্রকোপ কাটলে ভয়াবহ ড্রপ আউট হতে চলেছে স্কুল কলেজে। ভারতে এর মাত্রা যে ঠিক কত ভয়াবহ হতে পারে তা আন্দাজ করাও মুশকিল। জিরো অ্যাকাডেমিক ইয়ারের প্রাথমিক অব্যহতি নড়িয়ে দিতে পারে ফিরতি বছরের শিক্ষার্থীর হারকেই। তাছাড়া শিক্ষাব্যবস্থা নিজেই অর্থনীতির একটা বড় অংশ। এই গোটা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভিতর বিভাজন কম নয়। ... ...
বিষভাবে-পীড়িত একদল ভগবতী-অন্বেষী সম্প্রতি দূরদর্শনে-সম্প্রসারিত-ফুটবল-ম্যাচ ও সাস-বহু-ধারাবাহিক সম্বন্ধে একটি দীর্ঘ তুলনামূলক গবেষণা প্রকাশ করিয়াছেন এই আখ্যানে তাঁহাদের সিদ্ধান্তেরই একটি ব্যাখ্যান পেশ করা হইল| লিখিবার সুবিধার্থে এই রচনায় ফুটবল ম্যাচকে 'ফু:' ও সাস-বহু-ধারাবাহিককে 'সাবধা' রূপে সংক্ষেপিত করা হইবে । ... ...
ভারত-সরকার আয়োজিত 'দেশপ্রেমের গল্প লেখ' প্রতিযোগিতায় পরীক্ষার ফলাফল গতকাল প্রকাশিত হয়েছে। আদিত্যনাথ ফার্স্ট হয়েছেন। একাই ৪০০ জঙ্গী মেরেছেন। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী অর্ণব গোস্বামী ও অন্যান্য ভারতীয় মিডিয়া। তাঁরা মেরেছেন ৩৫০। তৃতীয় স্থানে অমিত শাহ। সভাপতি হয়েও ২৫০ র উপরে উঠতে পারেননি। ওদিকে সাংসদ আলুওয়ালিয়া বলেছেন জঙ্গী মারতে যাওয়াই হয়নি, ফাঁকা মাঠে বোম ফেলে ব্রহ্মতেজ দেখানো হয়েছে মাত্র। তিনি পেয়েছেন সান্ত্বনা পুরষ্কার। ... ...
২০১৯ এ তাঁরা ক্ষমতায় ফিরবেন কিনা এই প্রশ্ন তোলায় প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরব থাকেন। এইসময় দৃশ্যতই ঘর্মাক্ত প্রধানমন্ত্রীকে গলায় জড়ানো জাতীয় পতাকায় ঘাম মুছতে দেখা যায়। এরপর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য ইশারা করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং আবেগঘন কণ্ঠে ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ গানটি পরিবেশন করেন। ... ...
দেশপ্রেমীঃ সীমান্তে সেনারা মারা যাচ্ছে আর তুমি দেশের জন্য একটু লাইনে দাঁড়াতে পারবেনা? নির্লজ্জ! জেএনইউ! দেশদ্রোহী! জেএনইউ ছাপ ২ঃ ভাই, দশ টাকা ধার হবে? চা খাবো। যাদবপুর ছাপঃ ভাই, দশ টাকা ধার হবে? চা খাবো। পোতিবাদ করে গলা শুকিয়ে গেছে। ... ...
এইভাবে হাজার লেখালিখি ও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং-উত্তর চক্রাকারে একই যুক্তির বারংবার সম্মুখীন হয়ে চলার হতাশাতেই অর্জুনপুত্র অভিমন্যু নিজের কুরুক্ষেত্র অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করতে বাধ্য হয়। তার পর মনের দুঃখে সে অধুনা হরিয়ানার আমিন গ্রামের কাছে দুর্গ বানিয়ে একা একা থাকতে শুরু করে। আর কোনোদিন সে কোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রোফাইল খোলেনি। ... ...