না, আমি কবিতারও কেউ নই। কবিতা কস্মিনকালেও আমাকে ডাকেনি তার সাতমহলা নাটমহলে। অথচ হাভাতে, হাঘরে আমি তার হিমজানালায় গাল ঠেকিয়ে দেখেছি অন্দরের তারা ও তুবড়ি, পানপাত্রের ক্রিস্টাল আর কলস্বনা মেয়েদের; তাদের শাড়ির ভাঁজের খসখস, তাদের হাসির ঠমক যে রূপোর ঘন্টার কেলাসিত টুং টাং-এসবই হল জনশ্রুতি। জনশ্রুতিকে আমি সত্যি হতে জেনেছি, জানালার কাচে গাল ঠেকানো বোকাহাবা ছেলে । আর বাইরে অবিরাম ঝরে গেছে বরফ। সাদা হয়ে গেছে মাঠঘাট। জ্যোৎস্না ও তুষারে। না, আমি রাজার বাড়ির বরাতি নই। সোনার জলে ছাপা নেমন্তন্নর চিঠি আমার জন্য আসেনি কখনো। তবু ঘুমের ঘোরে কখনো তো শুনেছি রাতের শেষ ট্রেনের বাঁশি; আমার বাড়ির পাশ দিয়ে, আমার জানালার ফাঁক দিয়ে, আমার মশারির চাল আর মনসার ঘট ছুঁয়ে সে আবার মিলিয়ে গেছে দূরে, দিগন্তের দিকে। একবার, শুধু একবার। এ বেঁচে থাকায় শুধু একটিবার। ... ...
আমি অবাক হয়ে আম্মার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম, কুড়ি টাকা! মাত্র কুড়ি টাকা দিয়ে আম্মা কী বলছে এসব! একটা পিস্তলের দাম ৮ টাকা, ১ টাকা করে বারুদ। একটা বাঁশি দুই টাকা, একটা প্লাস্টিকের চশমা ৫ টাকা। তারপর? ট্রলারখান কেনা হবে না! সে ভারি দাম, অতি দরাদরি করলেও ১৮ টাকার নিচে কুলাবে না। কিন্তু বাদবাকি জিনিস কেনার পর আমার হাতে থাকবে সাকুল্যে ৪ টাকা! তাহলে? তাহলে কী, সব বাদ দিয়ে শুধু ট্রলারখান কিনে ফেলব? ... ...
দুর্জনে বলে থাকে আমাদের পরিবারে মানুষের থেকে পশুদের বেশি কদর। আমরা নাকি মানুষের সুখ দু:খ মান অপমান কিছুই বুঝি না। পশুদেরটা বুঝি। অবশ্য এই দুর্জনরা সকলেই মানুষ। পশুদের বক্তব্য আমার কখনো শোনা হয়নি। ... ...
ঋষি গৌতম খুব অন্যমনষ্ক থাকেন ৷ কোন কাজে মনসংযোগ করতে পারেন না৷ কেন এমন হয়েছে তা তিনি বুঝতেই পারছিলেন না৷ আশ্রমের চারিদিকে বসন্তের রঙ লেগে যায় ৷ গাছে গাছে পাখিরা কলরব করে৷ হাওয়ার রঙ বদলায়৷ ঋষি গৌতম তাঁর আশ্রমের মাথার চাল মেরামত করছিলেন। তাঁর দিন কাটে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে। তাঁর পক্ষে পিছনের ছায়া দেখা সম্ভবপর নয়৷ এমন সময় ঋষি নারদের আগমন ঘটে। ঋষি গৌতম একটুও আশ্চর্য্য হলেন না নারদকে দেখে। তাঁরা একসাথে কাজ করেছেন ধর্মসূত্র নিয়ে এবং গৌতম জানেন ঋষির আগমনের সম্ভাব্যতা৷ নারদের চরিত্র ভীষণই অকল্পনীয়! সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে উপস্থিত হন তিনি৷ ... ...
এই তো গেল খাওয়াদাওয়া। আলতাফের আরও অনেক গুণ। সে গড়গড়িয়ে সংস্কৃত বলতে পারে, ইতিহাসের বৈদিক যুগ তার খুব পছন্দের, কেনোপনিষদে কত নম্বর সূক্তে যম নচিকেতাকে কী কী বলেছিল সে সব তো বটেই উর্দু আরবি কোরান হাদিসও একইরকম ভাবে হজম করে ফেলেছে মহাভারতের ইল্বল বাতাপির মতো। তারপর আগেই বলেছি তার পরোপকারের তুলনা নেই। আলতাফের খুব পছন্দের শব্দ হল ইত্তেফাক অর্থাৎ কিনা কোইন্সিডেন্স অর্থাৎ কিনা সমাপতন। ওতেই জীবনের সব রহস্য লুকিয়ে আছে বলে ওর মনে হয়। এই যেমন আমার বন্ধু রিনা আর্কাইভের গবেষণা করতে দিল্লিতে না এলে আলতাফের সঙ্গে আমার দেখাই হত না। এরকম অজস্র ইত্তেফাকের কাহিনি নিয়ে আলতাফের সোজা সরল মজার জীবন। আমি বললুম, চলো, হজরত নিজামুদ্দিনের দরগায় একদিন যাই। যেখানে উনি সাধনা করতেন সে নাকি খুব শান্তির জায়গা। আমার বন্ধুরা বলেছে। আলতাফ একটু চুপ করে রইল, বলল, আপনি বলছেন, আমি নিশ্চয়ই যাব কিন্তু আমি মসজিদ দরগায় যাই না, তাই আপনাকে হয়তো ভালো করে গুছিয়ে সব বলতে পারব না। আমি বললাম সে তো আমিও নিয়মিত মন্দিরে যাই না। তাতে কী এসে গেল? মেহবুব-এ- ইলাহি এই সুফিসাধকের দরগায় সব ধর্ম আর জাতের মানুষরা যায়। আর এখানেই পাশাপাশি চিরশান্তিতে শুয়ে আছেন মুরিদ আর মুরশিদ, শিষ্য আর গুরু। চিস্তি সুফিয়ানা সিলসিলা ধরে রেখেছে বিখ্যাত শায়ের, সংগীতজ্ঞ, কাওয়ালির স্রষ্টা, ভাষার জাদুকর আমির খুসরো আর তাঁর গুরু নিজামুদ্দিন আউলিয়ার গভীর প্রীতিময় আখ্যান। ... ...
এবার পুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। মন্ডপরা পেয়েছে অনেক পুরষ্কার। কিন্তু পুজো মানে তো কেবল মন্ডপ বা প্রতিমা না। মানুষও। তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে? কে পাচ্ছেন শারদ সম্মানের শিরোপা? জানতে হলে পড়তে থাকুন। একমাত্র গুরুচণ্ডালিতে। ... ...
ইসলামে রমজানের উপবাস মানুষের উপর নিষ্ঠুরভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। শয্যাশায়ী, নিরাময় অযোগ্য রোগী, গর্ভবতী মহিলা, সফরকারী মানুষকে রোজা পালন করা থেকে সাময়িক ছাড় দেওয়া হয়েছে। অবশ্য পরবর্তী সময়ে তাদের প্রতিকূল অবস্থা দূর হলে তখন তাদের সেই রোজাগুলি করে নিতে হবে। কোন ব্যক্তি উপবাস করে ভুলবসত পেট ভরে খেয়ে নিলেও তার উপবাস ভঙ্গ হয় না। ... ...
এখন এসব কথাবার্তা থেকে কি আমন ধানের ক্রপিং ইনটেনসিটি ক্যালকুলেট করা যায়? বিঘা প্রতি ইনটারনাল রেট অব রিটার্ন হিসাব করা যায়? অপটিমাম কস্ট বের করা যায়? ল্যাসপেয়ার্স ইনডেক্স কষা যায়? কস্ট-আউটপুট রেশিও বের করা যায়? অথচ ভারত সরকার, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, আই এম এফ জানতে চাইছে। ভাল হল যে সর্বজনীন ভাইরাল ফিভারে আমিও আক্রান্ত হলুম। টানা ছুটি। দাড়ি গজিয়ে গেল। হাত বুলিয়ে দাড়ি আদর করি। এই ফাঁকে, মুখে তো অফুরন্ত হাই, ছেলেমেয়েকে ওদের ছোটবেলায় যে জুনিয়ার এনসাইক্লোপিডিয়া কিনে দিয়েছিলুম, তার ছবি দেখে টাইমপাস। হাই তুলতে-তুলে দাড়ি খুঁজি। নানারকম জ্ঞানবিজ্ঞানের দাড়ি। ... ...
মুগ্ধ করছে, ডর নাই জানে! কথাটা ভিন্নতর ভোল ডলফিনের কানে কানে একদিন দুঃস্বপ্নে বলেছি হাত-জোড় করে! জানিয়েছে, মহারথী মহা এক শোল ফুরিয়ে আসছে তারও সময়দীপন। তার জন্য কেঁদেছি, তাতে কিবা লাভ! সমস্ত লোকসান মানেই তিজারা, তাতেই লাইসেন্স মেলে গম্যতার গম ও লূতার। কীচকের সূরে খসে পরিশ্রান্ত যত-তত আধোলীন তারা র্যাদা ঘষে ঘষে ঘাম ফ্যালে বিহ্বল সিনিক ছুতার। কি দেখব এসব! বিপণিরচিতা, সংঘ-মেদ, পাষণ্ড নুনু নিম্নগ মাটির টানে, চায় কি ও ঢুকে যেতে, মরে যেতে সেথা? কর্ণবিলাস, তার কাজ হল শুনে যাওয়া রুচিরাক্ত নীপার ঘুঙুর সেত্তেনত্রিয়ন আর জ্বলবে না, তাই বুকে ব্যথা? ... ...
রাতের ঝাউয়ের বন ঘেঁষে বালিয়াড়ির পাদদেশে ধিকধিক বনফায়ার, ওদের পাঁচটা মুখে আগুনের লাল লেগেছিলো- এখন আর পাঁচটা মুখ নেই, বিয়ারের তোবড়ানো ক্যান হাতে গোড়ালি ভেজানো ঢেউয়ে আমি-এ সমুদ্র এমত বেহায়া- তেমনই ওরাও পাঁচজন বন্ফায়ারের হা-হা:-- পাঁচ কেন, ওরা চার, দুজোড়া কপোত-কপোতিনী, আমি তো ব্রাত্য ঐ দলে, অথচও লোক চাই, দর্শক; নিজেদের প্রেমগুলো নিয়ে দর্শক না দেখলে ফ্যান্টাসি মেটেনা ওদের। ওরাও সমুদ্রের মত ঐ সমুদ্র, চাঁদের রিফ্লেকশন জলে ফসফস বলে ভুল হতে থাকে, হাওয়ায় পেট ফাঁপে ছেঁড়া ক্যারিব্যাগ যেন জেলিফিশ এই সমুদ্র, চাঁদের আলোর পথ করে দেয় মানুষের কাছে, আমার কাছেও লুনাটিক স্পৃহা সব সেই পথ ধরে হেঁটে গিয়ে অতলে তলিয়ে মরে যায়, মরে, তবু বেঁচে ওঠে তবু এই সমুদ্রের ধারে কাঠের আগুন থেকে হাওয়া বেয়ে ছিটকিয়ে যায় জ্বলন্ত জৈবযৌগ, ব্রেনের পাকগৃহ ঘিরে জৈব রিঅ্যাকশন হয়ে চলে, এসে পড়ে অসহ্য অতীত। এমনই সমুদ্র তার গাঢ় সব দুপুরের বেলাভূমি, স্নানের গোপন আর সেই সব কথা যেগুলো উহ্য রেখে সরে গিয়েছিলো আমার এইখান থেকে, আর কিছু ভাবিনা, আর কোনও স্বপ্ন দেখিনা, আর কোনও কান্না রাখিনি আগুনে ... ...
লোকটি শাহানার দেবর। তাকে আমি প্রথম দেখি শাহানার বৌভাতে। খাওয়ার টেবিলে আমাকে খুব সমাদর করছিল। যে বিষয়টি অন্য সবার থেকে লোকটিকে আলাদা করে তোলে তা হচ্ছে তার অদ্ভুত হাসি। তার হাসিতে কিছু একটা ছিল। রহস্যময়। দেখে মনে হয় বলছে – আমি সব জানি। জানি না কেন, আমার খুব অস্বস্তি লেগেছিল। লোকটির নাম আমার মনে নেই। মাহমুদ, মাসুদ কিংবা মাহতাব হতে পারে। তবে কেউ একজন পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল, লোকটি শাহানার দেবর। শাহানার শ্বশুরবাড়িতে ঐবারই আমার প্রথম এবং শেষ যাওয়া হতে পারতো, হয়নি। ... ...
রহমান ৩০ বছর ধরে কামারহাটিতে থাকে। আজ থেকে ২৩ বছর আগে রহমানের আব্বা,আফজল, সুস্থ মানুষ,হজ করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর পাওয়া যায় নি। রহমানের মা সাকিরা আগে খুব কাঁদত। তারপর আল্লার কাছে দোয়া করত, জলজ্যান্ত লোকটাকে ফিরিয়ে দাও। তারপর শুধু চিৎকার করত। একদিন চুপ করে গেল। সারাদিন ধরে ঘরে বসে থাকত। কোনো সাড়াশব্দ নেই। তিনবার পানি খেতো, একবার ভাত। তার চোখে পানি নেই.. সব শুকিয়ে গেছে। রহমান বাসায় ফিরে এলে তার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকত। লোকে বলে রহমানকে দেখতে তার হারিয়ে যাওয়া আব্বা আফজলের মতো। সেই রকম চোখ মুখ ভুরু। ... ...
তা হলে, শ্রীরাম কি শরতে যুদ্ধ করেন নি? এই নিয়েও নানা প্রশ্ন আছে৷ কারণ, বিন্ধ্যের দক্ষিণে এই পুজো করলেও তার আগে অযোধ্যায় দুর্গাপুজোর উল্লেখ কোনও রামায়ণে নেই৷ বাল্মিকী রামায়নে অকালবোধনই নেই৷ এমন কি, বনবাসের আগে বা পরেও কখনও তিনি অযোদ্ধায় দুর্গা পুজো করেছেন বলে কোনো উল্লেখ নেই। ... ...
শৈশব ব্যাপারটা নিয়ে আমার বিশেষ আদিখ্যেতা নেই। গেছে- বাঁচা গেছে, আপদ গেছে। বাঙালির শৈশব(অন্তত আমি যখন শিশু ছিলুম) তো ঠিক অ্যালিস বা চার্লির শৈশব নয়। কোনও নার্নিয়ার গপ্পো নেই। শিশু অর্থাৎ বারোয়ারি দুচ্ছাই! যেই না সিলিং-এর নুরনকশায় একটা হিজিবিজবিজ দেখতে পেয়েছে, অথবা ব্যাকরণ শিং-এর সঙ্গে দু’দণ্ড আপন মনে কথা বলতে বসেছে – সবে মনে হয়েছে, দূর এইখানটায় হ য ব র ল ফেল, আমি হলে তো এইটা বলতাম – সাতপাঁচ ভেবে যেই না খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠতে যাবে,অমনি কোথ্থেকেকে এক হুমদো কাকীমা এসে, ‘ওমা! আপন মনে কী বিড়বিড় করছিস?’ বলে গাল টিপে দিয়ে চলে যাবে। তুমি লজ্জায় কুঁকড়ে যাচ্ছ তাতে কারও কিছু যায় আসে না, তোমার কোনও নির্জনতা নেই। সর্বক্ষণ গোটা দুনিয়া তোমার ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে, তুমি উলঙ্গ, ল্যাংটো। তোমার যে কোনও নিরিবিলিকে, একলাযাপনকে দুনিয়ার সামনে বেপর্দা করে দেওয়া যায়। বাবা সিগারেট খাওয়ার সময় বলবে, ‘বড়রা খায়’; চপ-মুড়ি খেতে খেতে রোববারের সিনিমা চোখে মাসিমা বলবে, বড়রা দেখে; মধ্যকৈশোরে পা-রাখা দিদি বাড়িতে তুমি থাকলে আরামসে বয়ফ্রেন্ডকে ডেকে নেবে, ফোনে বলবে; একা আছি’। তুমি নেই চাঁদ, তুমি আসলে একটা ছায়া। তুমি ভোট দাও না, দেশের সেবায় মিছিল করো না, বন্যাত্রাণ কি বিচিত্রানুষ্ঠানে চাঁদা দাও না, মাধ্যমিকে ফার্স্ট হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করুণা কুড়োও না, তুমি জাস্ট নেই। ... ...
এরপর কথা শুরু হতে গিয়ে দাগের ওপর দিয়ে আবার চলাচল করল। সুকুমারকে পাটা মারতে দেখা যায়। সব ঠিকঠাক থাকে। খালি পাটার আওয়াজ হয় ধুপ ধুপ ধুপ ধুপ থ্যাস। আর কোদালের আওয়াজ হয় খ্যারর খ্যারর। কর্নিকের আওয়াজ থ্যাস থ্যাস থুপুস। সব আওয়াজ থেমে গেলে নিঃশব্দ হয়। চারদিক নিঃশব্দ না হলেও একটুখানি জায়গা যেখানে কাজকাম হচ্ছিল নিঃশব্দ হয়ে পড়ল তারপর সেটা হয়ে উঠল এমন এক নরম সরম জায়গা যেখানে খুব শিগ্গির শক্তপোক্ত এক আস্তরণ গড়ে উঠবে। সে রোদ আসুক আর না আসুক। দিনের শেষে বা রাতের শুরু আস্তে আস্তে নরম সরম জায়গার সিমেন্ট জমাট হয়ে যাবে। সেখানে তখন দাগের সম্ভবনা তৈরি করতে তিনটে কুকুর ঘোরাফেরা করতে করতে নানান দাগ সত্যিই তৈরি করছিল। সে সব ঘুরে ঘুরে নরম জায়গার আসপাশে তৈরি করা দাগেরা। ... ...
যেখানে এখনও মৃত জ্যোৎস্নারা জীবন্ত হয়ে যায় বাইরে গান হচ্ছে 'কতদিন দেখিনি তোমায়…' কয়েকটা বীজধান উপহার দিলাম তাঁকে সঙ্গে দিলাম দু-একটা মেঘ গানটা থামলে মন গেয়ে ওঠে 'মেনেছি গো হার মেনেছি…' ... ...
ঘুমন্ত নগরীতে সবাই ঘুমোচ্ছে। সবাই পাথরের মত ফ্রিজ। রানীর পায়ের কাছে এক মস্ত ফিনিক্স পাখি, সেও ঘুমোচ্ছে। দুইজন মুখোশধারী জ্যান্ত যুবক সব খুঁটে খুঁটে দেখছে। একজন রানীর পাশে রাখা বড় ঘন্টায় আওয়াজ করতেই সবাই জেগে ওঠে। অন্যজন ফিনিক্স জেগে উঠতেই তরবারি দিয়ে তার গলা কেটে ফেলে। নগরীর সবাই ছটফট করতে করতে ড্রাগনের আকারধারণ করে ও মারা যায়। ভয়েস ওভারে সীমান্তবাবা কী করে অশুভ শক্তি ড্রাগনদের ধ্বংস করতে হবে তার বিবরণ দেন। সারা সমুদ্র লাল রঙ হয়ে যায়। মুখোশ পরিহিত দুই যুবক তার মধ্যে দিয়ে ভেসে ওঠে। সমুদ্রতটে দেখা যায় ড্রাগন দেবাদিদেব ইউনিকর্ণ ছটফট করতে করতে ঢুবে যেতে থাকে চোরাবালিতে। মুখোশ পরা দুই যুবক তাকে ডিঙিয়ে ফ্রেমের দুইপাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ড্রাগন দেবাদিদেব ইউনিকর্ণ বাঁচাও বাঁচাও করতে করতে ঢুবে যায় চোরাবালিতে। ... ...